���������������������
এলপিএলে অংশ নিতে তাসকিনের এনওসি দিতে দেরি করছে বিসিবি
লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল) অংশ নিতে তাসকিন আহমেদকে অনাপত্তি সনদ (এনওসি) দেওয়ার বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। কারণ, পেসারের ভারী কাজের চাপের বিষয় উদ্বেগ রয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ দলের গুরুত্বপূর্ণ বোলার ডানহাতি পেসার তাসকিন আহমেদ। এ ছাড়া বেশ কয়েকটি ম্যাচে আঘাতের কারণে তার ক্যারিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে তার পারফরম্যান্সকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করেছে।
তবে গত কয়েক বছর ধরে, তিনি চোট নিয়ে কোনো বড় সমস্যা ছাড়াই মূলত খেলছেন।
বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘খেলোয়াড়দের কাজের চাপ বিবেচনা করে, আমরা তাসকিনের জন্য এনওসি দেওয়ার বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। বোর্ডের নীতিমালার ভিত্তিতে চূড়ান্তভাবে জানানো হবে।’
আরও পড়ুন: নারী ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করা প্রথম বাংলাদেশি ফারজানা
এই মাসের শেষের দিকে এলপিএল অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে এবং তাসকিন টুর্নামেন্টে একটি দলের হয়ে খেলার আমন্ত্রণ পেয়েছেন।
এদিকে তাসকিনের এনওসি মুলতবি থাকলেও এলপিএলের জন্য শিগগিরই এনওসি পেতে চলেছেন তৌহিদ হৃদয়। জাতীয় দলে ব্যাটিং দক্ষতার পরিচয়দানকারী প্রতিভাবান ডানহাতি ব্যাটারের জন্য এটি প্রথম বিদেশি লিগে অংশগ্রহণের সুযোগ হবে।
বর্তমানে তাসকিন জিম্বাবুয়েতে জিম আফ্রো টি-১০ খেলায় ব্যস্ত, যেখানে জিম্বাবুয়ে ও দক্ষিণ আফ্রিকা উভয় দলই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।
তাসকিনের পাশাপাশি মুশফিকুর রহিমও খেলছেন জিম আফ্রো টি-টেন লিগে।
আরও পড়ুন:লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগের নতুন মৌসুমে ডাক পেয়েছেন তাসকিন ও তৌহিদ
লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগের নতুন মৌসুমে ডাক পেয়েছেন তাসকিন ও তৌহিদ
আসন্ন লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগে (এলপিএল) খেলার ডাক পেয়েছেন বাংলাদেশের ফাস্ট বোলার তাসকিন আহমেদ এবং তরুণ ডানহাতি ব্যাটার তৌহিদ হৃদয়।
চলতি জুলাই মাসের শেষের দিকে এলপিএল শুরু হচ্ছে।
আরও পড়ুন: আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩ ভেন্যু: ভারতের যে স্টেডিয়ামগুলোতে খেলা হবে
বর্তমানে বুলাওয়ে ব্রেভিসের জিম আফ্রো টি-টোয়েন্টি লিগে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশের ফাস্ট বোলার তাসকিন আহমেদ।
এটি তরুণ ডানহাতি ব্যাটার তৌহিদ হৃদয়েরও বিদেশি লিগে খেলার প্রথম সুযোগ।
তিনি এলপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন জাফনা কিংসের হয়ে খেলছেন।
তবে, বাংলাদেশের ফাস্ট বোলার তাসকিন আহমেদ এবং তরুণ ডানহাতি ব্যাটার তৌহিদ হৃদয়ের এলপিএলে অংশগ্রহণ এখনও নিশ্চিত হয়নি।
কারণ, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) থেকে অনাপত্তি সনদ (এনওসি) ইস্যু করার অপেক্ষায় রয়েছেন তারা।
তাসকিন এর আগে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) থেকেও খেলার ডাক পেয়েছিলেন। তবে সেসময় জাতীয় দলের খেলা থাকায় আইপিএলে অংশ নিতে পারেননি তিনি।
এখন পর্যন্ত ১৫৮ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ফাস্ট বোলার তাসকিন আহমেদের ১৩৭ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার একটি দুর্দান্ত রেকর্ড রয়েছে।
এ ছাড়া ২২ বছর বয়সী তরুণ ডানহাতি ব্যাটার তৌহিদ হৃদয় ইতোমধ্যে ৫৭ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ৮টি হাফসেঞ্চুরি সহ ১২৮২ রান সংগ্রহ করেছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারত ওয়ানডে সিরিজ ড্র
নারী ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করা প্রথম বাংলাদেশি ফারজানা
বাংলাদেশ-ভারত ওয়ানডে সিরিজ ড্র
তারকায় ভরা ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের নারীরা তাদের প্রথম ওয়ানডে সিরিজ ড্র করেছে। এর আগে সিরিজের প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সমতায় ফেরে ভারতীয় নারী ক্রিকেট দল। তবে শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে সিরিজ ড্র করাটাও বাংলাদেশের গর্ব।
তবে ম্যাচ শেষে এই সিরিজে আম্পায়ারিং নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন ভারতীয় অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌর।
তিনি বলেন, ‘এই ম্যাচ থেকে অনেক কিছু শিখলাম। ক্রিকেট ছাড়াও, যে ধরনের আম্পায়ারিং হয়েছে তাতে আমরা অবাক। ’
তিনি আরও বলেন, ‘পরের বার বাংলাদেশে আসার সময় এই ধরনের আম্পায়ারিংয়ের মোকাবিলা করার জন্যে তৈরি থাকতে হবে। সেই মতো আমাদের প্রস্তুত হতে হবে।’
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ওপেনার শামীমা সুলতানার হাফ সেঞ্চুরির মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ দারুণ একটা শুরু করে।
তবে ফারজানা হক পিংকির অসাধারণ ব্যাটিংয়ের ওপর ভর করে ভারতের বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ওয়ানডেতে বড় সংগ্রহ পেয় বাংলাদেশ নারী দল। ১৬০ বলে ১০৭ রান করেন ফারজানা। এরফলে নারী ওয়ানডেতে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে সেঞ্চুরি করার রেকর্ড গড়েন তিনি।
ফারজানা তার ইনিংসে সাতটি বাউন্ডারি মেরেছিলেন এবং এককভাবে বাংলাদেশের ইনিংসকে ধরে রেখেছিলেন। কারণ অন্য প্রান্তে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়েছিল।
শেষ পর্যন্ত ফারজানার বীরত্বে বাংলাদেশ তাদের নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২২৫ রান করতে সক্ষম হয়।
বাংলাদেশের দেয়া ২২৫ রানের জবাবে ভারত নারী ক্রিকেট দল ৪৯.৩ ওভারে ১০ উইকেটে ২২৫ রান সংগ্রহ করে। ফলে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজও টাই হলো।
ভারতের পক্ষে বোলারদের মধ্যে স্নেহ রানা ৪৫ রানে দুই উইকেট নেন এবং অন্য উইকেট নেন দেবিকা বৈদ্য।
আরও পড়ুন: নারী ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করা প্রথম বাংলাদেশি ফারজানা
জয়ের জন্য ২২৬ রান তাড়া করে দ্বিতীয় ওভারে ওপেনার শেফালি বর্মাকে হারিয়ে ভারতের শুরুটা খারাপ হয়েছিল। ইয়াস্তিকা ভাটিয়াও দ্রুতই পড়ে যান, ফলে ৩২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ভারতকে বেশ বিপাকেই পড়তে হয়।
তবে হারলিন দেওল ও স্মৃতি মান্দানা ইনিংস টিকিয়ে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়ে তোলেন। তৃতীয় উইকেটে তারা ১০৭ রান যোগ করেন।
দেওল ১০৮ ডেলিভারিতে ৭৭ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। তিনি দুটি গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। প্রথমে মান্দানার সঙ্গে এবং তারপর জেমিমাহ রড্রিগেজের সঙ্গে। মন্দনা ৮৫ বলে ৫৯ রান করেন এবং জেমিমা ৪৫ বলে ৩৩ রানে অপরাজিত থাকেন।
তবে ভারত ফের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে উইকেট হারায়। দেওলও ৪২তম ওভারে রান আউট হয়ে যায়।
এক ওভার বাকি থাকতে ভারতের জয়ের জন্য দরকার ছিল ৩ রান। তবে, বাংলাদেশ নিজেদের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখে এবং খেলাটি টাই করতে সক্ষম হয়। ভারত ৪৯.৩ ওভারে ১০ উইকেট হারিয়ে ২২৫ রান করে।
মারুফা শেষ ওভারের প্রথম দুই বলে দুই রান দেন এবং তৃতীয় বলে তিনি মেঘনা সিং-এর উইকেট তুলে নেন। মাত্র ৩৪ রানে শেষ পাঁচ উইকেট হারিয়েছে ভারত।
বাংলাদেশের পক্ষে নাহিদা আক্তার ৩টি ও মারুফা আক্তার ২টি এবং ফাহিমা খাতুন ও সুলতানা খাতুন একটি করে উইকেট নেন।
বাংলাদেশের অধিনায়ক নিগার সুলতানা বলেছেন, ‘আমরা এই মুহূর্তটি উদযাপনের জন্য উন্মুখ।
এই রোমাঞ্চকর টাই নিয়ে সিরিজে সমতা আনে বাংলাদেশ। সিরিজের প্রথম ম্যাচে টাইগ্রেসরা জিতেছিল, কিন্তু ভারত দ্বিতীয় ম্যাচে বাউন্স ব্যাক করে।
আরও পড়ুন: তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ নারী দলের জয়
নারী টি-টোয়েন্টি: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৮ রানে জিতল ভারত
নারী ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করা প্রথম বাংলাদেশি ফারজানা
বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের ডানহাতি ওপেনার ফারজানা হক পিংকি শনিবার (২২ জুলাই) প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে নারীদের ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করার ইতিহাস গড়েছেন।
ঢাকার শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে তিনি এই মাইলফলক অর্জন করেন।
ফারজানার সেঞ্চুরির আগে ২০১৩ সালে ভারতের বিপক্ষে নারী ওয়ানডেতে বাংলাদেশের প্রাক্তন অধিনায়ক সালমা খাতুন ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৭৫ রান সংগ্রহ করেন।
আরও পড়ুন: তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ নারী দলের জয়
শনিবারের ম্যাচে টস জিতে বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং ৫০ ওভারে চার উইকেটে ২২৫ রান করে।
ফারজানা ১৬০ বলে ১০৭ রান করেছেন। শারমিন সুলতানার সঙ্গে ওপেনিং পার্টনারশিপে এই জুটি ৯৩ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। এটি ওয়ানডেতে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের সর্বোচ্চ ওপেনিং সংগ্রহ।
বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই ভারতের বিপক্ষে সিরিজের উদ্বোধনী ম্যাচে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছে। প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধেও এটি তাদের প্রথম ওয়ানডে জয়।
তবে দ্বিতীয় ম্যাচে দুর্দান্ত খেলে সিরিজে সমতা আনে সফরকারীরা।
আরও পড়ুন: নারী টি-টোয়েন্টি: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৮ রানে জিতল ভারত
আফগানিস্তানের বিপক্ষের বাকি ম্যাচগুলো থেকে বাদ পড়েছেন এবাদত
আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩ ভেন্যু: ভারতের যে স্টেডিয়ামগুলোতে খেলা হবে
শুরু হতে যাচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩-এর ১৩তম আসর। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) আয়োজিত এক দিনের আন্তর্জাতিক (ওডিআই) ক্রিকেট টুর্নামেন্টটির পর্দা উঠতে যাচ্ছে চলতে বছরের ৫ অক্টোবর, চলবে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত। গতবারের মতো এবারও ক্রিকেট যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে চলেছে ১০টি দেশ। এবার প্রথমবারের মতো এককভাবে পুরো বিশ্বকাপ আয়োজন করতে যাচ্ছে ভারত। দেশটির ১০টি ভিন্ন শহরের ১০টি স্টেডিয়ামে সব মিলিয়ে মোট ৪৮টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। আহমেদাবাদ, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, দিল্লি, ধর্মশালা, হায়দ্রাবাদ, কলকাতা, লাখনৌ, মুম্বাই এবং পুনের স্টেডিয়ামগুলো এখন প্রস্তুতির চূড়ান্ত মূহুর্তে। চলুন আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩ আসরের ভেন্যুগুলোর সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
ভারতের ১০ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ২০২৩ আইসিসি বিশ্বকাপ
নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম, আহমেদাবাদ
ভারতের গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল স্পোর্টস কমপ্লেক্সে অবস্থিত এই স্টেডিয়ামটি পূর্বে পরিচিত ছিলো মোটেরা স্টেডিয়াম নামে। এটি বিশ্বের বৃহত্তম স্টেডিয়াম, যেখানে ১ লাখ ৩২ হাজার দর্শকের বসার ক্ষমতা রয়েছে। স্টেডিয়ামটি গুজরাট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের মালিকানাধীন। ২০২১-এর ২৪ ফেব্রুয়ারি এর নাম পরিবর্তন করে ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নামানুসারে নামকরণ করা হয়।
স্টেডিয়ামটি নির্মিত হয়েছিলো ১৯৮৩ সালে। প্রথম সংস্কার হয় ২০০৬ সালে। নতুন ডিজাইনে স্টেডিয়ামটির জায়গা ৬৩ একর। এখানে প্রবেশপথ রয়েছে তিনটি। যেগুলোর একটির সাথে একটি মেট্রো লাইন সংযুক্ত। স্টেডিয়ামের একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো ক্রিকেট মাঠে সাধারণ ফ্লাডলাইটের পরিবর্তে ছাদে এলইডি লাইট। ছাদটির ডিজাইন করা হয়েছে বিশেষভাবে হালকা এবং বসার সারি থেকে আলাদা করে। যাতে এটি মোটামুটি ভূমিকম্প-প্রতিরোধী হয়। কাঠামোতে কোন স্তম্ভ না থাকায় স্টেডিয়ামের যেকোনো স্থান থেকে দর্শকদের পুরো মাঠ দেখতে কোন সমস্যা হয় না।
আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩ আসরের ফাইনাল ম্যাচসহ মোট ৫টি খেলা এখানে অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: Crickex.in লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ ২০২৩: গ্যালে টাইটানসের সঙ্গে স্পনসরশিপ চুক্তি সই
এম. এ. চিদাম্বারাম স্টেডিয়াম, চেন্নাই
মুথিয়া আন্নামালাই বা এম. এ. চিদাম্বারাম স্টেডিয়াম ভারতের চেন্নাইয়ের তামিলনাড়ুতে অবস্থিত। যার আরেক নাম চেপাউক স্টেডিয়াম। বঙ্গোপসাগরের ধারে মেরিনা বিচ থেকে কয়েকশ মিটার দূরে চেপাউকে এর অবস্থান। স্টেডিয়ামের উত্তরের গা ঘেষে চলে গেছে ব্যাকিংহাম খাল।
১৯১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত স্টেডিয়ামটি সর্বপ্রথম পরিচিত ছিলো মাদ্রাজ ক্রিকেট ক্লাব গ্রাউন্ড নামে। পরবর্তীতে এটি মুথিয়া আন্নামালাই চিদাম্বারাম চেত্তিয়ার নামে নামকরণ করা হয়। তিনি ছিলেন বিসিসিআই-এর প্রাক্তন সভাপতি এবং তামিলনাড়ু ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (টিএনসিএ)-এর প্রধান । এই স্টেডিয়াম তামিলনাড়ু ক্রিকেট দল এবং আইপিএল দল চেন্নাই সুপার কিংসের হোম গ্রাউন্ড।
এর ব্যাপক সংস্কার ঘটে ২০১১ সালে। প্রথমে এর স্তম্ভ সহ পুরোনো ছাদ পুরোনো স্টেডিয়ামের দৃশ্যকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। সংস্কারের পর তা তারের দ্বারা একত্রে রাখা হালকা চতুর্ভুজ শঙ্কুযুক্ত ছাদ দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়। ফলে পুরো স্টেডিয়াম দেখতে এখন আর কোনো বাধা নেই।
স্টেডিয়ামে বর্তমানে ৫০ হাজার দর্শক বসতে পারে। এই ভেন্যুতে এবারের বিশ্বকাপের মোট ৫টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পঞ্চগড় ভ্রমণের উপায়
ইডেন গার্ডেন, কলকাতা
‘ক্রিকেটের কলোসিয়াম’ ‘ভারতীয় ক্রিকেটের আতুর ঘর’, অথবা ‘ভারতীয় ক্রিকেটের মক্কা’। এ সবগুলো বিশেষণেই ব্যাপকভাবে স্বীকৃত পশ্চিমবঙ্গের এই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামটি। ভারতের প্রাচীনতম এই ক্রিকেট ভেন্যুটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৬৪ সালে। গোটা ভারতে দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং সারা বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম এই ক্রিকেট স্টেডিয়ামটির বর্তমান ধারণক্ষমতা ৬৬ হাজার দর্শক।
ইডেন গার্ডেন ওডিআই বিশ্বকাপ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং এশিয়া কাপ সহ বড় বড় আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার ম্যাচ আয়োজন করেছে। এছাড়াও স্টেডিয়ামটি বেঙ্গল ক্রিকেট দল এবং কলকাতা নাইট রাইডার্স ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ(আইপিএল)-এর ফ্র্যাঞ্চাইজি হোস্ট করে।
ইডেন গার্ডেন তার বিশাল এবং উৎসুক দর্শকদের ভিড়ের জন্য বিখ্যাত। ১৯৯৬-এর বিশ্বকাপে ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা সেমিফাইনালে ১ লাখ ১০ হাজার ৫৬৪ জন দর্শকের ভিড়ের রেকর্ড গড়ে। ২০১৬ সাল থেকে খেলার শুরুতে স্টেডিয়ামে একটি ঘন্টা বাজানোর প্রথা চালু হয়।
এবারের টুর্নামেন্টে সেমিফাইনাল সহ মোট ৫টি ম্যাচের জন্য নির্ধারিত হয়েছে ইডেন গার্ডেন।
আরও পড়ুন: তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ নারী দলের জয়
অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম, দিল্লি
কলকাতার ইডেন গার্ডেনের পর ভারতের দ্বিতীয় প্রাচীনতম ক্রিকেট ভেন্যু দিল্লির এই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম। দিল্লি ও জেলা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (ডিডিসিএ)-এর মালিকানায় পরিচালিত এই স্টেডিয়ামটির অবস্থান নয়া দিল্লির বাহাদুর শাহ জাফর মার্গ-এ। ১৮৮৩ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়াম নামে, যার নামকরণ হয়েছিলো নিকটবর্তী দুর্গ কোটলার নামে। ২০১৯-এর ১২ সেপ্টেম্বর প্রাক্তন ডিডিসিএ সভাপতি ও অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির নামানুসারে স্টেডিয়ামটির নামকরণ করা হয়। বর্তমানে স্টেডিয়ামটির দর্শক ধারণ ক্ষমতা ৪১ হাজার ৮৪২।
২০১৭ সাল পর্যন্ত ভারতের জাতীয় ক্রিকেট দল এই মাঠে টেস্ট ম্যাচে ২৮ বছরেরও বেশি সময় ধরে এবং ওয়ানডে ম্যাচে ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে অপরাজিত ছিল। তবে ২০০৯-এর ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে একটি ওডিআই ম্যাচটি বাতিল হয়েছিলো পিচের প্রতিকূল অবস্থার কারণে। এছাড়া ২০১৭-১৮ সালে ভারতে শ্রীলঙ্কার তৃতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনের ম্যাচটি বাতিল হওয়ার পিছনে কারণ ছিলো এলাকার বৈরী পরিবেশ। সে সময় ধোঁয়াশার ফলে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারদের খেলা বন্ধ করে দূষণ বিরোধী মুখোশ পরতে হয়েছিলো। ক্রিকেট ইতিহাসে এই বিরল দৃষ্টান্তের ফলে ভেন্যুটির নামের সঙ্গে কুখ্যাতি জড়িয়ে পড়ে।
এবারের বিশ্বকাপের মোট ৫টি খেলার জন্য নির্ধারিত করা হয়েছে এই মাঠটি।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরের ১০ জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান
এম. চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম, ব্যাঙ্গালুরু
কর্ণাটক সরকারের উদার পৃষ্ঠপোষকতায় ১৯৬৯ সালে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় মঙ্গলম বা এম. চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের। এটি আইপিএল-এর ফ্র্যাঞ্চাইজি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হোম গ্রাউন্ড। পাঁচ দশকেরও বেশি পুরোনো এই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামটির অবস্থান ভারতের কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে। মনোরম কাবন পার্ক, কুইন্স রোড, কুবন এবং আপটাউন এমজি রোডকে পাশে নিয়ে শহরের একদম কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত ক্রিকেট ভেন্যুটি। এটির দর্শক ধারণ ক্ষমতা ৪০ হাজার। ওডিআই, আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টির পাশাপাশি এখানে নিয়মিত আয়োজন চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও।
পূর্বে স্টেডিয়ামটি কর্ণাটক স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়াম নামে পরিচিত ছিল। পরে মঙ্গলম চিন্নাস্বামী মুদালিয়ারের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এর নতুন নামকরণ করা হয়। মান্ডিয়ার মানুষ চিন্নাস্বামী পেশায় ছিলেন একজন আইনজীবী। এছাড়া তিনি ১৯৭৭ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত বিসিসিআই-এর সভাপতি ছিলেন।
চিন্নাস্বামী বিশ্বের প্রথম ক্রিকেট স্টেডিয়াম, যেখানে সোলার প্যানেল ব্যবহার করা হয়। প্যানেলগুলো সংগ্রহ করা হয়েছিলো কর্ণাটক স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (কেএসসিএ)-এর ‘গো গ্রীণ’উদ্যোগের মাধ্যমে।
আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩-এর মোট ৫টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এই মাঠে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লার ১০ দর্শনীয় স্থান
এইচপিসিএ স্টেডিয়াম, ধর্মশালা
হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়াম, সংক্ষেপে এইচপিসিএ স্টেডিয়ামের অবস্থান ভারতের হিমাচল প্রদেশের কাংড়া জেলার ধর্মশালা শহরে। এইপিসিএর মালিকানায় স্টেডিয়ামটির প্রতিষ্ঠা হয় ২০০৩ সালে। ধর্মশালা শহরটি আন্তর্জাতিকভাবে তিব্বতি বৌদ্ধ ধর্মের আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামার বাড়ি হিসেবে সুপরিচিত। তাই এই মনোরম ক্রিকেট ভেন্যুটি পর্যটকদের জন্যও পছন্দের জায়গা।
বিশ্বের অন্যতম সুন্দর এই ক্রিকেট মাঠটির দর্শক ধারণ ক্ষমতা ২৩ হাজার। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১ হাজার ৪৫৭ মিটার উচ্চতায় ডিম্বাকৃতির জায়গাটিকে ঘিরে আছে তুষারাবৃত হিমালয় পর্বত।
ভেন্যুটি বিশেষত আইপিএল ম্যাচের জন্য ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। উচ্চতার কারণে ব্যাট্সম্যানদের বড় বড় ছক্কা মারার জন্য এর বেশ সুখ্যাতিও আছে। তবে পার্বত্য অঞ্চল এবং কনকনে শীত খেলার জন্য প্রতিকূলতা সৃষ্টি করে। বিশেষ করে বৃষ্টি এবং তুষারপাতের সময়গুলোতে প্রায়ই ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।
এবারের বিশ্বকাপে এই ভেন্যুটি মোট ৫টি ম্যাচের জন্য নির্ধারিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিঝুম দ্বীপ ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, হায়দ্রাবাদ
ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যের হায়দ্রাবাদের এই ক্রিকেট স্টেডিয়ামটি হায়দ্রাবাদ ক্রিকেট স্টেডিয়াম নামেও পরিচিত। উৎপলের পূর্ব উপশহরে ১৫ একর জমি জুড়ে বিস্তৃত এই স্টেডিয়ামে সর্বোচ্চ ৫৫ হাজার জন দর্শক বসতে পারে। এটি হায়দ্রাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন(এইচসিএ) এবং আইপিএল দল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের হোম গ্রাউন্ড। ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামটির নামকরণ করা হয় ভারতের জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর নামে।
২০০০ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর বাংলাদেশ এই ভেন্যুতে তাদের প্রথম টেস্ট খেলে। সমতল ট্র্যাকের উইকেটের এই মাঠ ব্যাটসম্যান-বান্ধব এবং উচ্চ-স্কোরিং পিচ হিসাবে বিখ্যাত। এর প্যাভিলিয়ন প্রান্ত এবং উত্তর প্রান্ত নামে দু’টি প্রধান সীমানা রয়েছে। কিংবদন্তির তারকা ব্যাটসম্যান ভিভিএস লক্ষ্মণের অবসরের পর, এইচসিএ তার নামে উত্তর প্রান্তের নামকরণ করে। আর প্যাভিলিয়ন প্রান্তের নামকরণ করা হয়েছে শিব লাল যাদব-এর নামানুসারে।
এবারই প্রথম এই মাঠটি আইসিসি বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজন করবে। মোট ৩টি ম্যাচ নির্দিষ্ট করা হয়েছে এই মাঠে খেলার জন্য।
আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
ওয়াংখেড় স্টেডিয়াম, মুম্বাই
মুম্বাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের মালিকানায় পরিচালিত এই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামটি আইপিএল-এর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হোম গ্রাউন্ড। মুম্বাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন ছাড়াও এখানে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই) এবং আইপিএল-এর সদর দপ্তর রয়েছে। চার্চগেট পাড়ার মেরিন ড্রাইভের কাছে অবস্থিত এই স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছিলো শচীন টেন্ডুলকারের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচটি।
পুরো মাঠটি স্থানীয় লাল মাটিতে পরিপূর্ণ, যার ফলে এর বাউন্সিং পিচ হিসেবে খ্যাতি আছে। অতিরিক্ত বাউন্স ব্যাটিং-এর জন্য বেশ সুবিধাজনক হওয়ায়, বছরের পর বছর ধরে পিচটি বোলারদের চেয়ে ব্যাটসম্যানদের কাছে বেশি পছন্দের। অবশ্য স্টেডিয়াম বরাবর সামুদ্রিক হাওয়া প্রবাহের কারণে পেস বোলাররা এখানে কিছুটা সুবিধা পান।
স্টেডিয়ামের অন্যতম আকর্ষণ হলো সামনের দিকে প্রসারিত ছায়াদানকারি দীর্ঘ ছাদ। টেফলন ফ্যাব্রিকের ছাদ ওজনে তুলনামুলক হালকা এবং তাপ প্রতিরোধী। ছাদের জন্য কোন বীম সাপোর্ট নেই। ফলে দর্শকদের খেলা দেখায় কোন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয় না। এছাড়া রয়েছে এক্সস্ট ফ্যানের ব্যবস্থা, যেগুলো গরম বাতাস শুষে নেয় এবং পশ্চিমের বাতাসকে ভেতরে আসতে দেয়।
স্টেডিয়ামটির দর্শক ধারণ ক্ষমতা ৩২,০০০। এবারের টুর্নামেন্টে এখানে সেমিফাইনাল সহ মোট ৫টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: আপনি কি মার্কিন ডলার না কিনে বিদেশে ভ্রমণ করতে পারবেন?
বিআরএসএবিভি ইকানা ক্রিকেট স্টেডিয়াম, লাখনৌ
বিআরএসএবিভি বা ভারতরত্ন শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী ইকানা ক্রিকেট স্টেডিয়াম সাধারণত ইকানা ক্রিকেট স্টেডিয়াম নামেই সর্বাধিক পরিচিত। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের তত্ত্বাবধানে ২০১২-২০১৭ বছর রাজ্য সরকারের মেয়াদে ইকানা স্পোর্টজ সিটি এবং লাখনৌ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মধ্যে একটি পাবলিক-প্রাইভেট অংশীদারিত্ব হয়। এই চুক্তির অধীনেই নির্মিত হয় লাখনৌ-এর স্টেডিয়ামটি। প্রথমে ‘ইকানা ক্রিকেট স্টেডিয়াম’ নামটাই ঠিক করা হয়েছিল। পরে ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর নামে এর নামকরণ করা হয়।
২০১৭ সালে খেলার জন্য উন্মুক্ত করা হলেও প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় ২০১৮ সালে। সে বছর ৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয় ভারত এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে আন্তর্জাতিক টি২০ ম্যাচ। এর মাধ্যমে স্টেডিয়ামটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আয়োজন করা ৫২তম ভারতীয় স্টেডিয়াম হওয়ার মর্যাদা লাভ করে।
ভারতের এই পঞ্চম বৃহত্তম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামটিতে ৫০ হাজার দর্শকের বসার ক্ষমতা রয়েছে। ভারতের অন্যান্য স্টেডিয়ামগুলোর তুলনায় এই স্টেডিয়ামটির সবচেয়ে দীর্ঘ সীমানা। ভেন্যুটি উত্তরপ্রদেশ ক্রিকেট দল এবং আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি লাখনৌ সুপার জায়ান্টসের হোম ভেন্যু।
এবারের বিশ্বকাপে স্টেডিয়ামটি মোট ৫টি ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন করবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের শীর্ষ ১৫টি ঐতিহ্যবাহী স্থান
মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়াম, পুনে
মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এমসিএ)-এর মালিকানায় পরিচালিত এই স্টেডিয়ামটি ভারতের মহারাষ্ট্রের পুনেতে অবস্থিত। শহরের সীমানার উপকণ্ঠে গাহুঞ্জে গ্রামে পুনে-মুম্বাই এক্সপ্রেসওয়ের ঠিক পাশেই স্টেডিয়ামটির অবস্থান। ২০১২ সালে আনুষ্ঠানিক উন্মোচনের পর প্রথম টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচটি খেলা হয়েছিলো ২০১২ সালের ডিসেম্বরে ভারত এবং ইংল্যান্ডের মধ্যে।
স্টেডিয়ামটি নকশা করেছেন ব্রিটিশ স্থপতি স্যার মাইকেল হপকিন্স। ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটনের লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডের মাউন্ট স্ট্যান্ড এবং এজেস বোল স্টেডিয়ামের নকশার জন্য তার জগত জোড়া খ্যাতি রয়েছে।
এই স্টেডিয়ামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো এর বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা। এর বালি-ভিত্তিক আউটফিল্ড উন্নত প্রযুক্তির কারণে অতি ভারী বর্ষণেও, আউটফিল্ডের পানি দ্রুত বেরিয়ে যায়। ফলে মাঠ কয়েক মিনিটের মধ্যে আবার খেলার জন্য উপযোগী হয়ে যায়।
এই মাঠের দর্শক ধারণ ক্ষমতা ৩৭ হাজার ৪০৬ জন। এবারের ক্রিকেট বিশ্বকাপের মোট ৫টি খেলার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে এই স্টেডিয়ামটি।
শেষাংশ
আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩-এর ভেন্যুগুলো আপগ্রেড করার জন্য ইতোমধ্যেই তহবিল দেয়া হয়েছে আয়োজক সংস্থাগুলোকে। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম এবং লাখনৌয়ের ইকানা স্টেডিয়ামের মতো নতুন সংযোজনগুলো দর্শকদের বেশ নজর কাড়বে। তবে পিছিয়ে থাকবে না দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম ও কলকাতার ইডেন গার্ডেনের মতো পুরোনোগুলোও। প্রস্তুতি ম্যাচগুলোর ভেন্যু ঠিক করা হয়েছে হায়দ্রাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, গোয়াহাটির আসাম ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়াম এবং তিরুবানান্তপুরামের গ্রিনফিল্ড আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালে বিশ্বের শীর্ষ ১০ বিলাসবহুল গাড়ি
Crickex.in লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ ২০২৩: গ্যালে টাইটানসের সঙ্গে স্পনসরশিপ চুক্তি সই
ক্রিকেট বিষয়ক জনপ্রিয় ও স্বনামধন্য প্ল্যাটফর্ম Crickex.in গ্যালে টাইটানসের সঙ্গে স্পন্সরশিপ চুক্তির ঘোষণা দিয়েছে।
এ চুক্তি অনুযায়ী, আসন্ন লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ ২০২৩- এ গ্যালে টাইটানসের মূল স্পন্সর হিসেবে থাকবে Crickex.in।
আগামী ৩০ জুলাই থেকে ২০ আগস্ট পর্যন্ত কলম্বো ও ক্যান্ডিতে অনুষ্ঠিত হবে লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ ২০২৩।
আরও পড়ুন: ব্যাট নিয়েছে আফগানিস্তান, ৩ পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ
ক্রিকেটের প্রচারণা ও ক্রিকেটের উপযোগী পরিবেশ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অভিন্ন লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে Crickex.in ও লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ।
ক্রিকেট ফ্যানদের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ Crickex.in এর লক্ষ্য লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ ২০২৩- এ গ্যালে টাইটাইনসকে সমর্থন দিয়ে তাদের পাশে থাকা।
লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে খেলোয়ার ও ফ্যানদের অভিজ্ঞতাকে নতুন মাত্রা দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে ক্রিকেট বিষয়ক এ ওয়েবসাইট।
নিজেদের সহজে ব্যবহার-বান্ধব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে Crickex.in এর সমর্থকদের পুরো টুর্নামেন্টজুড়েই রিয়েল-টাইম আপডেট দিবে।
এ অংশীদারিত্ব নিয়ে Crickex.in এর মুখপাত্র কারান শর্মা বলেন, গ্যালে টাইটানসের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করতে পেরে আমরা আনন্দিত। দলটির সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে এবং তারা তাদের সফল পারফরমেন্সের জন্য সুপরিচিত।
তিনি আরও বলেন, আমরা দলটিকে সমর্থন দেয়ার ব্যাপারে এবং ফ্যানদের অনন্য ক্রিকেট অভিজ্ঞতা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একসঙ্গে আমাদের লক্ষ্য লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া।
এছাড়া গ্যালে টাইটাইনসের মুখপাত্র এ অংশীদারিত্ব নিয়ে দলের উৎসাহ প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, আমাদের মূল স্পন্সর হিসেবে Crickex.in কে পেয়ে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এ অংশীদারিত্ব ক্রিকেট বিশ্বে দলের সাফল্য এবং স্বীকৃতিরই প্রমাণ।
আমরা আমাদের ফ্যান ও সমর্থকদের জন্য রোমাঞ্চপূর্ণ ও স্মরণীয় অভিজ্ঞতা প্রদানে Crickex.in এর সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করতে প্রত্যাশী।
আসন্ন এ টুর্নামেন্টের মিডিয়াসত্ত্ব থাকছে শুধুমাত্র শীর্ষস্থানীয় স্পোর্টস নেটয়ার্ক স্টার স্পোর্টসের কাছে।
শুধুমাত্র স্টার স্পোর্টসই ভারত, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ভূটান, নেপাল, মালদ্বীপ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ এমইএনএ অঞ্চলে এ টুর্নামেন্ট সরাসরি সম্প্রচার করবে।
আরও পড়ুন: তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ নারী দলের জয়
নারী টি-টোয়েন্টি: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৮ রানে জিতল ভারত
তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ নারী দলের জয়
তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ভারতকে চার উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে জয় পায় বাংলাদেশ।
টস জিতে ভারত প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১০২ রান করতে সমর্থ হয়।
হরমনপ্রীত কৌর ৪১ বলে সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন। আর জেমিমা রদ্রিগেসও ২৬ বলে ২৮ রান করেন। বাংলাদেশের হয়ে রাবেয়া খাতুন চার ওভারে ১৬ রান দিয়ে তিনটি উইকেট নেন এবং সুলতানা খাতুন নেন দু’টি।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানের বিপক্ষের বাকি ম্যাচগুলো থেকে বাদ পড়েছেন এবাদত
জবাবে বাংলাদেশ মাত্র ১৬ রানে দুটি উইকেট হারায়, দু’টিই নিয়েছেন মিন্নি মানু। তৃতীয় উইকেটে ৪৬ রান যোগ করেন শামীমা সুলতানা ও নিগার সুলতানা।
নিগার ১৪ রানে আউট হওয়ার পর স্কোরকার্ডটি ৪২ পর্যন্ত টেনে নেয় শামীমা। তার আউট হওয়ার পর বাংলাদেশ দ্রুত কিছু উইকেট হারায়। তবে নাহিদা আক্তার ও রিতু মনি জয় নিশ্চিত করতে সক্ষম হন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বিপক্ষে এক ম্যাচ হাতে রেখেই প্রথম ওয়ানডে সিরিজ জয় আফগানিস্তানের
বাংলাদেশ ১৯তম ওভারে চার উইকেট হাতে রেখে সফলভাবে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।
তবে প্রথম দুই ম্যাচ জিতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নেয় ভারত।
আরও পড়ুন: ব্যাট নিয়েছে আফগানিস্তান, ৩ পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ
ব্যাট নিয়েছে আফগানিস্তান, ৩ পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ
চট্টগ্রামে হোয়াইটওয়াশ করার লক্ষ্যে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আফগানিস্তান।
একাদশে তিনটি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। গত ম্যাচে হাঁটুতে চোট পাওয়া ইবাদত হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান ও হাসান মাহমুদের জায়গায় দলে এসেছেন তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম ও তাইজুল ইসলাম।
এই ম্যাচের জন্য দুটি পরিবর্তন এনেছে আফগানিস্তান। স্পিনার রশিদ খান ও মোহাম্মদ সেলিমকে বিশ্রামে পাঠিয়ে দলে আবদুর রহমান ও জিয়া আকবরকে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: লিটন দাস বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক
আগের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ৩৩১ রান করে আফগানিস্তান। বাংলাদেশ সেই রান তাড়া করতে ব্যর্থ হওয়ায় আফগানিস্তানের কাছে তাদের প্রথম ওয়ানডে সিরিজ হেরে যায়।
প্রথম ম্যাচে বৃষ্টির কারণে ডিএল পদ্ধতিতে ১৭ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ।
ওয়ানডে সিরিজ শেষে সিলেটে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে মুখোমুখি হবে দুই দল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বিপক্ষে এক ম্যাচ হাতে রেখেই প্রথম ওয়ানডে সিরিজ জয় আফগানিস্তানের
বাংলাদেশ একাদশ
মোহাম্মদ নাঈম, লিটন দাস (অধিনায়ক), নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম (উইকেট রক্ষক), আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, তাইজুল ইসলাম ও শরীফুল ইসলাম
আফগানিস্তান একাদশ
রহমানউল্লাহ গুরবাজ (উইকেট রক্ষক), ইব্রাহিম জাদরান, রহমত শাহ, হাশমতউল্লাহ শহিদি (অধিনায়ক), মোহাম্মদ নবি, নাজিবুল্লা জাদরান, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, মুজিব উর রহমান, ফজলহক ফারুকি, আবদুর রহমান ও জিয়া আকবর
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানের বিপক্ষের বাকি ম্যাচগুলো থেকে বাদ পড়েছেন এবাদত
আফগানিস্তানের বিপক্ষের বাকি ম্যাচগুলো থেকে বাদ পড়েছেন এবাদত
ফাস্ট বোলার এবাদত হোসেন বাম হাঁটুর ইনজুরির কারণে আফগানিস্তানের বিপক্ষে আসন্ন ওয়ানডে ম্যাচ এবং তারপরে টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে বাদ পড়ায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল একটি ধাক্কা খেয়েছে।
রবিবার এ খবর নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
শনিবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে এবাদত চোট পেয়েছিলেন।
টিম ফিজিও মুজাদ্দেদ আলফা সানির মতে, একটি এমআরআই স্ক্যান থেকে জানা গেছে যে আঘাতটি বড় নয়, তবে এটি পুনরুদ্ধারের জন্য প্রায় দুই সপ্তাহ সময় লাগবে।
আরও পড়ুন: এবাদত তোপে জয়ের সুবাস পাচ্ছে বাংলাদেশ
ইনজুরি সম্পর্কে স্যানি বলেন, ‘এমআরআই থেকে বোঝা যায় যে এটি বড় কোনো ইনজুরি নয়। আমরা আশা করছি প্রায় দুই সপ্তাহের মধ্যে সে সেরে উঠবে। পুনর্বাসনের মধ্য দিয়ে তিনি দলের সঙ্গেই থাকবেন।’
চলমান সিরিজে আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলা দু’টি ওয়ানডেতেই পরাজয়ের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ, বাংলাদেশের বিপক্ষে আফগানিস্তানের প্রথম ওয়ানডে সিরিজ জয়ের চিহ্ন। ক্লিন সুইপ এড়ানোর লক্ষ্যে ১১ জুলাই মাঠে নামবে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: লক্ষ্য ছিল নিউজিল্যান্ডকে তাদের মাটিতে হারানো: এবাদত
বাংলাদেশের বিপক্ষে এক ম্যাচ হাতে রেখেই প্রথম ওয়ানডে সিরিজ জয় আফগানিস্তানের
রহমানউল্লাহ গুরবাজ এবং ইব্রাহিম জাদরানের ওপেনিং জুটির রেকর্ডে শনিবার চট্টগ্রামে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে সফরকারীরা।
আর তাতে ১৪৩ রানের জয়ে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে আফগানিস্তান। একই ভেন্যুতে প্রথম ম্যাচে ১৭ রানে জয়লাভ করে তারা।
আরও পড়ুন: লিটন দাস বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক
শেষ ওডিআই ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে হোয়াইট ওয়াশের দুর্দান্ত সুযোগ তৈরি হয়েছে। যা ১১ জুলাই চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হবে।
শনিবার টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। আফগানিস্তান এটিকে বড় স্কোর পোস্ট করার সুযোগ হিসাবে নিয়েছে।
ওপেনিং ব্যাটসম্যান রহমানউল্লাহ ও ইব্রাহিম মিলে গড়েন ২৫৬ রানের অসামান্য জুটি। এটিই ওয়ানডেতে আফগান ব্যাটসম্যানদের দ্বারা সর্বোচ্চ রানের জুটি এবং তারা উভয়ই সেঞ্চুরি করেছেন।
এদিকে রহমানউল্লাহকে আউট করে এই জুটি সাকিব আল হাসান ভাঙার পর দ্রুত উইকেট হারায় আফগানিস্তান।
এদিকে বাংলাদেশের পক্ষে সাকিব, মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ দুটি করে উইকেট নেন।
জবাবে বাংলাদেশ নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায়। তারা প্রথম ১০ ওভারেই তিনটি উইকেট হারায়।
ফজলহক ফারুকী তিনটি উইকেট নিয়েছেন এবং মুজিব উর রহমানও তিনটি উইকেট নিয়ে অবদান রাখেন। যা টাইগারদের আরও সমস্যায় ফেলে।
এদিকে মুশফিকুর রহিম কঠোর লড়াই করে ৬৯ রান করেন। কিন্তু এটি পরাজয় এড়াতে যথেষ্ট ছিল না।
অবশেষে ৩৩১ রান তাড়া করতে গিয়ে ৪৩.২ ওভারে ১৮৯ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ এবং ১৪২ রানে হেরে যায়।
এদিকে ওয়ানডে সিরিজের পর সিলেটে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে মুখোমুখি হবে দল দু’টি।
আরও পড়ুন: গণভবনে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে অবসরের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলেন তামিম
তামিমের আকস্মিক অবসরে সতীর্থরা মর্মাহত ও আবেগাপ্লুত