%E0%A6%8F%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE
মিয়ানমারে জেড পাথরের খনি ধসে নিহত ২, নিখোঁজ ৩০
মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের কাচিন রাজ্যে একটি জেড পাথরের খনির ভূমিধসে দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এখনো ৩০ জনেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন।
স্থানীয় পুলিশ সোমবার (১৪ আগস্ট) এ তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে স্থানীয় সময় রবিবার (১৩ আগস্ট) বিকাল ৩টার দিকে এ ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।
এইচপাকান্ট টাউনশিপ পুলিশ কর্মকর্তা সিনহুয়াকে জানিয়েছেন, কাচিন রাজ্যের হাপাকান্ত উপশহরের মা না গ্রামের কাছে একটি জেড খনিতে এই ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘দুটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যরা নিখোঁজ রয়েছে। প্রায় আটজন আহত হয়েছেন।’
আরও পড়ুন: বন্যার কারণে ২ হাজার মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে রাশিয়া
হপাকান্ত উপশহরের একজন উদ্ধারকর্মী কো থেইন থান টাইকে সিনহুয়াকে বলেছেন, নিখোঁজদের সঠিক সংখ্যা নির্ধারণ করা কঠিন, কারণ তারা অভিবাসী শ্রমিক।
কাচিন রাজ্যে, বিশেষ করে হপাকান্ত খনির অঞ্চলে প্রায়ই মারাত্মক ভূমিধস হয়।
অনেক স্থানীয় এই অঞ্চলে জেড পাথর আহরণ করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে।
২০২০ সালের জুলাই মাসে হপাকান্ত উপশহরের একটি জেড খনির সাইটে একটি মারাত্মক ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। এতে ১৭৪ জন মারা যায় এবং ৫৪ জন আহত হয়।
আরও পড়ুন: মাউই দাবানল: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮৯
কঙ্গোতে ভূমি অধিকার ও কর নিয়ে আন্তঃসাম্প্রদায়িক সহিংসতায় নিহত ১০
আনোয়ার-উল-হক কাকার পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত
পাকিস্তানের আগামী নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন আনোয়ার-উল-হক কাকার। শনিবার (১২ আগস্ট) দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
এর মধ্যদিয়ে প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ বেলুচিস্তানের কোনো সিনেটর জাতীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নেতৃত্ব দেবেন।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং বিরোধী দলীয় নেতা রাজা রিয়াজের মধ্যে দ্বিতীয় দফা বৈঠকের পর কাকারকে নির্বাচন করা হয়।
রিয়াজ সাংবাদিকদের বলেন, তিনিই কাকারের নাম প্রস্তাব করেছিলেন।
পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভি সই করার পর কাকারের মনোনয়ন কার্যকর হয়।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের ইমরান খানের বিরুদ্ধে যথাযথ বিচারিক প্রক্রিয়া মানার আহ্বান জাতিসংঘ প্রধানের
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ায় গত সপ্তাহে সংসদ ভেঙে দেন।
সাধারণত, সংসদ ভেঙে দেওয়ার ৯০ দিনের মধ্যেই দেশের সাধারণ নির্বাচন আয়োজন করতে হয়।
কাকার পাকিস্তানের রাজনীতিতে তুলনামূলকভাবে নতুন মুখ। তিনি ২০১৮ সাল থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সিনেটে বেলুচিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করেছেন এবং বর্তমানে বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টির সদস্য।
বেলুচিস্তান পাকিস্তানের চারটির মধ্যে সর্বনিম্ন জনবহুল ও স্বল্পোন্নত প্রদেশ। কিন্তু আয়তনের দিক থেকে এটি দেশটির বৃহত্তম প্রদেশ।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গ্রেপ্তার
পাকিস্তানে সমাবেশে বোমা হামলায় ৪৪ জন নিহত, আহত প্রায় ২০০
ভারতের উত্তরাখণ্ডে ভূমিধসে ৫ তীর্থযাত্রী নিহত
ভারতের উত্তরাখণ্ডে ভূমিধসের ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে পাঁচ তীর্থযাত্রী নিহত হয়েছেন। শনিবার (১২ আগস্ট) পুলিশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, দেরাদুন থেকে প্রায় ২৩০ কিলোমিটার পূর্বে রুদ্রপ্রয়াগ জেলায় ভূমিধসের ধ্বংসস্তূপে নিহতদের বহনকারী গাড়িটি চাপা পড়ে।
তারা আরও জানায়, হতাহতরা কেদারনাথ মন্দিরে যাচ্ছিলেন। নিহতদের মধ্যে তিনজন ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটের বাসিন্দা এবং বাকি দুজন হরিদ্বারের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: হাওয়াইয়ের মাউই দ্বীপে দাবানলে ৫৩ জনের মৃত্যু: গভর্নর
পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাতে গাড়িটি ভূমিধসের কবলে পড়ে থাকতে পারে বলে তাদের ধারণা।
খবরে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই স্টেট ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স (এসডিআরএফ) উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে। তবে প্রবল বর্ষণে ওই এলাকায় উদ্ধার প্রচেষ্টা ব্যাহত হচ্ছে।
চলতি মাসের গোড়ার দিকে গৌরীকুণ্ডে ব্যাপক ভূমিধস হয়।
কর্মকর্তাদের মতে, ওই ভূমিধসে এখনো ১৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
আরও পড়ুন: চলতি বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দাবদাহে ১৪৭ জনের মৃত্যু
পাকিস্তানে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে নিহত ৩০, আহত ৬০
ভূ-রাজনৈতিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে ব্রিকস সম্মেলন-২০২৩: মডার্ন ডিপ্লোমেসি
মডার্ন ডিপ্লোমেসি শুক্রবার(১১ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে বলেছে, ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মতো প্রধান উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর গ্রুপ ব্রিকসের আসন্ন শীর্ষ সম্মেলন বিশ্ব ভূ-রাজনীতিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শীর্ষ সম্মেলনের প্রধান আলোচ্য বিষয় হলো- সদস্য দেশগুলোর মধ্যে একটি অভিন্ন মুদ্রা চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করা। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে মার্কিন ডলারের আধিপত্য হ্রাস করার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপের ফলে ভূ-রাজনৈতিক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সংস্কারের সম্ভাবনা রয়েছে এবং এই পদক্ষেপ আমেরিকান আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করবে।
এতে বলা হয়েছে, ‘দশকের পর দশক ধরে মার্কিন ডলার বিশ্ব বাণিজ্য ও লেনদেনে সর্বোচ্চ রাজত্ব করেছে, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অতুলনীয় অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক সুবিধা প্রদান করেছে। প্রতিপক্ষকে চাপে রাখতে এবং বল প্রয়োগ করতে যুক্তরাষ্ট্র তার ডলার ও অর্থনীতিকে ব্যবহার করছে। এ ছাড়া রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের হাতিয়ার হিসেবেও ডলারকে ব্যবহার করছে।’
আরও পড়ুন: দ. আফ্রিকায় ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ
এতে আরও বলা হয়, মার্কিন আধিপত্য, শ্রেষ্ঠত্ব ও জবরদস্তির বিরুদ্ধে একত্রিত হতে তাদের মধ্যে যে প্রবণতা দেখা দিয়েছে তা ক্রমাগত বাড়ছে। ‘ব্রিকসের একটি একক মুদ্রার প্রস্তাবিত প্রবর্তন বা ডি-ডলারাইজেশনের লক্ষ্য এই স্থিতাবস্থাকে পরিবর্তন করা। এর মাধ্যমে সম্ভাব্যভাবে মার্কিন প্রভাব ও ক্ষমতা হ্রাস করবে। যা ডলারের আধিপত্যের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত।’
প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে, ‘ব্রিকস একটি শক্তিশালী জোট এবং বৈশ্বিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগে একটি বিশাল ভূমিকা পালন করে। সর্বোপরি এটি আমেরিকান প্রভাবের ঊর্ধ্বে।’ ‘ব্রিকস বিশ্ব অর্থনীতিকে সামগ্রিকভাবে রূপান্তরিত করার অবস্থানে রয়েছে। এই পদক্ষেপ মার্কিন ডলারের বৈশ্বিক আধিপত্যের ক্রমবর্ধমান অসন্তোষ এবং পূর্বাঞ্চলে টেক্কা দিতে অগ্রসর হওয়ার ইঙ্গিত দেয়।’
আরও পড়ুন: ব্রিকস সম্মেলন ২০২৩: নতুন সদস্য হচ্ছে কোন কোন দেশ সেদিকেই সবার নজর
লোকসভায় মোদি সরকারের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ) সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যায় লোকসভায় খারিজ হয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম এএনআই এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, লোকসভায় এনডিএ সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব কণ্ঠভোটে বাতিল হয়েছে।
বিরোধীরা গত ২৬ জুলাই মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করেছিল এবং লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা সেটি গ্রহণ করেছিলেন।
প্রস্তাবের তিন দিন মণিপুর সহিংসতা এবং অন্যান্য উত্তেজনাপূর্ণ ইস্যুতে সরকার ও বিরোধী জোটের মধ্যে তীব্র বাকযুদ্ধ চলে।
এই নিয়ে দ্বিতীয়বার অনাস্থা প্রস্তাবের মুখোমুখি হলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
অন্ধ্রপ্রদেশকে একটি বিশেষ বিভাগের মর্যাদা দেওয়ার বিষয়ে ২০১৮ সালে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে প্রথম এই প্রস্তাব আনা হয়েছিল। তবে সেটি খারিজ হয়ে যায়।
৩৩১ জন সংসদ সদস্যের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে এনডিএ সরকারের। এর মধ্যে বিজেপির ৩০৩ জন সংসদ সদস্যে রয়েছে। এছাড়া বিরোধী জোট ইন্ডিয়া’র ১৪৪ জন সংসদ সদস্য এবং নিম্নকক্ষে এই দুই জোটের বাইরের দলগুলোর সংসদ সদস্য সংখ্যা ৭০ জন।
আরও পড়ুন: ভারতে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী দলের আইনপ্রণেতাদের বিক্ষোভ মিছিল
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৃহস্পতিবার সংসদে অনাস্থা প্রস্তাবের বিতর্কের জবাব দেওয়ার সময় কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করেছেন।
এসময় কংগ্রেসের প্রতি দেশের জনগণের আস্থা নেই বলেও তিনি বিদ্রুপ করেন।
মোদি বলেন, “কংগ্রেসের প্রতি দেশের মানুষের আস্থা নেই। অহংকারের কারণে তারা বাস্তবতা দেখতে পাচ্ছে না। তামিলনাড়ুতে তারা ১৯৬২ সালে জিতেছিল এবং ১৯৬২ সাল থেকে তামিলনাড়ুর মানুষ বলছে ‘নো কংগ্রেস’। পশ্চিমবঙ্গে তারা ১৯৭২ সালে জিতেছিল, পশ্চিমবঙ্গের মানুষও বলছে ‘নো কংগ্রেস’। ইউপি, বিহার ও গুজরাটে তারা ১৯৮৫ সালে জিতেছিল এবং এই রাজ্যগুলোর মানুষও বলছে ‘নো কংগ্রেস’।’’
বিরোধীদের অনাস্থা সবসময়ই এনডিএ সরকারের জন্য সৌভাগ্যজনক বলেও মন্তব্য করেন মোদি।
তিনি আরও বলেন, ‘একঅর্থে বিরোধীদের অনাস্থা সবসময়ই আমাদের জন্য সৌভাগ্যজনক। আজ, আমি দেখতে পাচ্ছি, আপনারা (বিরোধীরা) ভাবছেন, আগের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়ে ২০২৪ সালের নির্বাচনে এনডিএ ও বিজেপি দুর্দান্ত জয় নিয়ে ফিরে আসবে।’
তিনি বলেন, আমাদের সরকারের প্রতি দেশের মানুষের আস্থা বহুবার পরীক্ষিত।
আরও পড়ুন: জি২০ অর্থমন্ত্রীদের 'সবচেয়ে নাজুক মানুষদের' দিকে মনোনিবেশ করার আহ্বান মোদির
মোদির তথ্যচিত্র প্রকাশের পর বিবিসির দিল্লি অফিসে তল্লাশি
পাকিস্তানের ইমরান খানের বিরুদ্ধে যথাযথ বিচারিক প্রক্রিয়া মানার আহ্বান জাতিসংঘ প্রধানের
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি (পিটিআই) -এর চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া এবং আইনের শাসনকে মেনে চলার জন্য পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
সোমবার জাতিসংঘ প্রধান এই আহ্বান জানান।
গুতেরেসের ডেপুটি মুখপাত্র ফারহান হক বলেছেন, ‘ইসলামাবাদে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের গ্রেপ্তারের পরে যে চলমান বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়েছে তার প্রতি মহাসচিব নজর রাখছেন এবং তিনি সব পক্ষকে সহিংসতা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: ইমরান খানকে উচ্চ-নিরাপত্তা সম্পন্ন কারাগারে স্থানান্তর
হক নিয়মিত একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘তিনি (গুতেরেস) শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকারকে সম্মান করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।’ ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে উন্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়া এবং আইনের শাসনকে মেনে চলার জন্য মহাসচিব কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছেন।’
শনিবার (৫ আগস্ট) স্থানীয় আদালত তাকে আর্থিক সম্পদ লুকানোর জন্য তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, যা বিক্ষোভের সূত্রপাত করেছিল।
আরও পড়ুন: কারাগারে থেকেও কলকাঠি নাড়তে পারেন ইমরান
কারাগারে থেকেও কলকাঠি নাড়তে পারেন ইমরান
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির (পিটিআই) চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বর্তমানে পাকিস্তানের বিরোধী দলীয় নেতা। সম্প্রতি দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়ে তিন বছরের কারাদণ্ডের পর এখন উচ্চ নিরাপত্তাবিশিষ্ট কারাগারে বন্দী আছেন তিনি।
২০২২ সালের এপ্রিলে সংসদে অনাস্থা ভোটে তিনি পদচ্যুত হন। এরপর থেকে তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে ইরমানের রাজনৈতিক ও আইনি লড়াইয়ের মধ্যে এখনও পর্যন্ত এটিই সবচেয়ে নাটকীয় মোড়।
ইমরানের দল সরকারের সমালোচনা করে এই মামলাকে সাজানো বলে মন্তব্য করেছে। এর বিরুদ্ধে তারা আপিল করবে বলেও জানিয়েছে। তারা আরও বলেছে, এই মামলার লক্ষ্য হলো আসন্ন শরৎকালে অনুষ্ঠিতব্য সাধারণ নির্বাচনের আগে প্রাক্তন ক্রিকেট তারকাকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়া। সরকার ইমরানের প্রতি রাজনৈতিক নীপিড়নকে অস্বীকার করে তার দোষী সাব্যস্ত হওয়াকে বৈধ বলছে।
দোষী সাব্যস্ত হলে ৭০ বছর বয়সী ইমরান সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। পাশাপাশি ১৯৯০ সালে তার প্রতিষ্ঠা করা তেহরিক-ই- ইনসাফের (পিটিআই) নেতৃত্ব থেকেও আইনানুযায়ী সরে যেতে হবে তাকে। এদিকে জরিপগুলো পিটিআই-এর জন্য একটি শক্তিশালী নির্বাচনের ইঙ্গিত দেয় এবং খানের কারাদণ্ড তার অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে পারে।
তার বিরুদ্ধে কী মামলা ছিল
ইমরান ক্ষমতায় থাকাকালীন বিদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং রাষ্ট্রপ্রধানদের কাছ থেকে পাওয়া উপহার থেকে আয়ের প্রতিবেদন জমা দেননি বলে ইসলামাবাদের একটি আদালত শনিবার রায় দিয়েছে। পাকিস্তানে সরকারি পদ ছাড়ার পর নেতাদের এই ধরনের উপহার রাখার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে সেসব উপহারের মূল্যের একটি অংশ প্রদান করা হয়।
আদালত বলেছে, ইমরান সেই উপহারগুলোর মধ্যে কিছু বিক্রি করেছেন এবং গত বছর পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের কাছে একটি প্রতিবেদনে সেই উপার্জনগুলো উল্লেখ করেননি। এজন্য আদালত খানকে দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে, তিন বছরের কারাদণ্ড দেয় এবং তাকে ১ লাখ রুপি বা সাড়ে ৩০০ মার্কিন ডলার জরিমানা করে।
রায়ের পরপরই, খানকে পূর্বাঞ্চলীয় শহর লাহোরে তার বাড়ি থেকে আটক করা হয় এবং রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে প্রায় এক ঘণ্টার দূরত্বে অ্যাটক শহরে একটি উচ্চ নিরাপত্তাসম্পন্ন কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
ইমরানের বিরুদ্ধে বিচারাধীন মামলাগুলো
ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর আদালত অবমাননা থেকে শুরু করে সন্ত্রাস ও সহিংসতাকে উসকে দেওয়ার অভিযোগে বিভিন্ন সরকারি সংস্থা তার বিরুদ্ধে ১৫০টিরও বেশি মামলা দায়ের করেছে।
সমালোচকরা বলছেন, আইনি লড়াইয়ের এই ঝাঁকুনি খানকে সরিয়ে দিতে শাসক জোটের একটি প্রচেষ্টার অংশ। কারণ তিনি বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে বিপুল সংখ্যক সমর্থক জড়ো করতে সক্ষম হয়েছেন।
খানকে একজন দুর্নীতিবাজ প্রতারক হিসেবে চিত্রিত করতে তাকে কারাগারের বাইরে রাখার পরিববর্তে ভেতরে রাখতে আইনি কৌশল প্রয়োগ করেছে সরকার। পাকিস্তানের শক্তিশালী সামরিক বাহিনীতে সরকারের সমর্থক রয়েছে, যারা তার ৭৫ বছরের ইতিহাসের বেশিরভাগ সময় ধরে দেশটিকে নিয়ন্ত্রণ করেছে।
এই গ্রেপ্তার ভিন্ন কীভাবে?
ইমরান খানকে অ্যাটক কারাগারে রাখা হয়েছে। এটি এমনটি একটি কারাগার, দণ্ডিত জঙ্গি ও সহিংস অপরাধীদের জন্য এর কুখ্যাতি রয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেছেন, সেখানকার অবস্থার সঙ্গে পরিচিত কর্মকর্তারা বলেছেন, তার জন্য একটি ফ্যান এবং আলাদা গোসলের সুবিধাসহ তার নিজস্ব সেল রয়েছে। যা কারাগারের সাধারণ কয়েদিদের মতো কঠিন অবস্থার থেকে এক ধাপ উন্নত।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করায় পিটিআই’র বিরুদ্ধে ক্র্যাকডাউন চলছে: ইমরান খান
মে মাসে ইমরানকে আটক করার ঘটনার চেয়ে এবারের পার্থক্য চোখে পড়ার মতো। এবার দুর্নীতিবিরোধী কর্মকর্তাদের বিভিন্ন অভিযোগে আদালতের শুনানি পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেবার সুপ্রিম কোর্ট দ্রুত হস্তক্ষেপ করে সেই আটককে বেআইনি ঘোষণা করেছিল। ইমরানকে পুলিশ কম্পাউন্ডে একটি গেস্ট হাউসে থাকার অনুমতিও দেওয়া হয়েছিল। সেসময় তার আটকের বিষয়ে আইনি যুক্তি শেষ হওয়ার সময় দর্শকরা সাক্ষাৎ করতে পেরেছিল। খান অবশেষে লাহোরে ফিরেও এসেছিলেন। সমর্থকরা গাড়িতে গোলাপের পাঁপড়ি ছিটিয়ে তাকে বরণ করেছিলেন।
এরপর কী হবে
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ইমতিয়াজ গুল বিশ্বাস করেন, সুপ্রিম কোর্ট খানের দোষী সাব্যস্ত হওয়া এবং আপিলের সাজা বাতিল করতে পারে।
ইসলামাবাদ-ভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের প্রধান গুল বলেছেন, ‘ইমরান খানের বিরুদ্ধে একেবারেই কোনো শক্ত মামলা ছিল না। তবে তাকে একটি প্রযুক্তিগত ভুলের কারণে এই দোষী সাব্যস্ত হতে হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ইমরান খানের নাম নো-ফ্লাই লিস্টে যোগ করা হয়েছে: পাকিস্তানের গণমাধ্যম
তথ্যমন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব এক বিবৃতিতে দাবি করেছেন, খানের প্রতি সমর্থন কমে যাচ্ছে।
‘তিনি কিছু নিষ্পাপ, নির্বোধ সমর্থকদের প্রতারণা করতে পারেন, কিন্তু সাধারণ জনগণ এখন তার আসল চরিত্র চিনতে পেরেছে।’
তিনি লিখেছেন, ‘মুখোশ খুলে তার আসল চেহারা তুলে ধরা হয়েছে। তুচ্ছ লাভের জন্য রাষ্ট্রীয় উপহার কুক্ষিগত করেছেন।’
যদি ইমরান দোষী সাব্যস্ত হন তবে তিনি নির্বাচনে দলের নেতৃত্বও দিতে পারবেন না। কারণ অপরাধী দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে কারাগারে থেকেও তিনি উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করতে পারেন।
আরও পড়ুন: ইমরান খান আদালতে দোষী সাব্যস্ত, নিষিদ্ধ হতে পারেন রাজনীতিতে
মে মাসে তাকে আটক করার পর তার সমর্থকরা বিক্ষোভ করে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত করেছিল। খানের অনুগত কয়েক হাজার মানুষ শহরে তাণ্ডব চালায়। তাদের মধ্যে কেউ কেউ সামরিক ও সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করে। সরকার ক্র্যাক ডাউন করেছে, ৭ হাজারেরও বেশি আটক করেছে। কিছু মামলার বিচার এখনও চলছে।
সরকারের আরও কঠোর পদক্ষেপের আশঙ্কায় আগেরবারের তুলনায় এবার ইমরানের গ্রেপ্তারের প্রতিক্রিয়া অনেক বেশি নীরব ছিল। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের জন্য এবার তার আহ্বান বিপুল সংখ্যক সমর্থক জড়ো করতে ব্যর্থ হয়েছে।
রাজনৈতিক পতন কী?
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ আগামী সপ্তাহে সংসদ ভেঙে দিতে পারেন। সম্ভবত নভেম্বরের মাঝামাঝি নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেবেন। সাম্প্রতিক আদমশুমারির ফলাফলের ভিত্তিতে নির্বাচনী এলাকা পুনর্নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিলে সরকার কয়েক মাস ভোট পিছিয়ে দিতে পারে।
খানের কারাবরণ তাকে এবং তার দলের বৃহত্তর নির্বাচনী সমর্থন আদায় করতে পারে। ক্ষমতা হারানোর পর তিনি যে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তৈরি করেছিলেন। এটি আরও যোগ করবে যে পাকিস্তানের সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য নির্ভীক কর্মী তিনি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক আজিম চৌধুরী বলেছেন, ‘ইমরান খানের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়াই পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে জেল থেকেও তার প্রার্থীদের জন্য কার্যকরভাবে প্রচারণা চালানোর সম্ভাবনা রয়েছে।’
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গ্রেপ্তার
বৃষ্টির কারণে চবিতে ১০ আগস্ট পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে মুষলধারে বৃষ্টিপাতের কারণে মঙ্গলবার থেকে আগামী ১০ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত সব অনুষদের ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত রাখার ঘোষণা দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (৭ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নুর আহমেদের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্তের কথা জানায়। তবে এই সময় অফিস খোলা থাকবে।
আরও পড়ুন: চবিতে সাংবাদিককে নির্যাতন, ২ ছাত্রলীগকর্মী বহিস্কার
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত কয়েকদিন ধরে টানা বর্ষণে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ও যোগাযোগ ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে তিন দিনের জন্য সব ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এর আগে ভূমিধসে গাছপালা ও বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়ায় রবিবার রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত চবি শাটল ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ বিরোধে চবির মূল ফটকে তালা
লোকসভার সদস্যপদ ফিরে পেলেন রাহুল গান্ধী
ভারতের পার্লামেন্ট তথা লোকসভার সদস্যপদ ফিরে পেলেন প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা রাহুল গান্ধী।
দেশটির শীর্ষ আদালত প্রধানমন্ত্রীর উপাধি নিয়ে ‘বিদ্রুপ’ করার অভিযোগে তাকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল। তবে রায় স্থগিত করায় সোমবার (৭ আগেস্ট) তাকে সংসদ সদস্য হিসেবে পুনর্বহাল করেছে লোকসভা।
দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে ভয়ংকর জাতিগত সহিংসতা চলছে। এই সহিংসতা উসকে দেওয়া ও দমনে ব্যর্থ হওয়ায় মোদি সরকার বিরোধীদের কঠোর সমালোচনা মুখে পড়েন।
চলতি সপ্তাহে এই নিয়ে পার্লামেন্টে একটি অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপিত হওয়ার করার কথা রয়েছে। এই মুহূর্তে রাহুলের সংসদ সদস্যপদ ফিরে পাওয়ায় নরেন্দ্র মোদির সরকার আরও কোণঠাসা হয়ে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রাহুল ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী।
এর আগে গত শুক্রবার (৪ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্ট তার সাজা স্থগিত করেছে।
আরও পড়ুন: রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলায় রায় ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টে বহাল
আদালতের এই আদেশের অর্থ হলো আদালতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তার বিরুদ্ধে না গেলে রাহুল আগামী লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন।
নামে ‘মোদি’ উপাধি আছে এমন একজন ব্যক্তি রাহুলের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের নির্বাচনের আগে এক জনসভায় দেওয়া বক্তৃতায় মানহানির অভিযোগে মামলা করেন।
সেই বক্তৃতায় রাহুল কৌতুক করে বলেছিলেন, ‘সব চোরের নামে কেন মোদি উপাধি থাকে?’
রাহুল তার বক্তৃতায় তিনজন মোদির কথা উল্লেখ করেন- একজন হলেন পলাতক ভারতীয় হীরা টাইকুন, দ্বিতীয়জন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) থেকে নিষিদ্ধ ক্রিকেট নির্বাহী এবং তৃতীয়জন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
যে আবেদনকারী মামলাটি করেছেন তিনি গুজরাটে মোদির ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সদস্য।
কিন্তু রাহুলের উল্লেখিত অন্য দুই মোদি বা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার অন্য কোনো সম্পর্ক নেই।
আরও পড়ুন: রাহুল গান্ধীর জামিন মঞ্জুর, সাজা স্থগিত
চলতি বছরের ২৩ মার্চ গুজরাটের একটি আদালত রাহুলকে মানহানির মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন। এর পরের দিনই তাকে সংসদ সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।
কিন্তু গত এপ্রিল মাসে তার আপিলের ভিত্তিতে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। এরপর গত মাসে তিনি দেশের সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন।
ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর প্রপৌত্র ও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে এই কারাদণ্ড ও লোকসভার সদস্যপদ প্রত্যাহারের তীব্র নিন্দা করেছেন মোদি বিরোধীরা।
তারা এটিকে ক্ষমতাসীন সরকারের করা গণতন্ত্রের উপর সর্বশেষ হামলা এবং ভিন্নমতকে দমন করার পদক্ষেপ বলে সমালোচনা করেছেন।
১ দশমিক ৪ বিলিয়ন জনসংখ্যা নিয়ে ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র।
মোদির সমালোচকরা বলছেন, ২০১৪ সালে মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারতের গণতন্ত্র বাধার মুখে পড়েছে। তারা মোদি সরকারের বিরুদ্ধে হিন্দু জাতীয়তাবাদী এজেন্ডা বাস্তবায়নের অভিযোগ তুলেছেন।
যদিও সরকার এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
সরকারের দাবি, তাদের নীতিগুলো জাত-পাত নির্বিশেষে সব ভারতীয়দের জন্য নেওয়া হয়।
রাহুলের পরিবার থেকে দুইজন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। তার দাদি ইন্দিরা গান্ধী ও বাবা রাজীব গান্ধী দুজনই গুপ্ত হত্যার শিকার হয়েছেন।
আরও পড়ুন: এবার কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করবেন রাহুল গান্ধী
পাকিস্তানে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে নিহত ৩০, আহত ৬০
পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের নবাবশাহ শহরের কাছে একটি ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে কমপক্ষে ৩০ যাত্রী নিহত এবং ৬০ জন আহত হয়েছে। রবিবার (৬ আগস্ট) স্থানীয় কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দুর্ঘটনা এলাকায় দায়িত্বে থাকা রেলের সিনিয়র অফিসার মাহমুদুর রহমান লাখো বলেন, করাচি থেকে রাওয়ালপিন্ডি যাওয়ার পথে নবাবশাহ থেকে সরহারি রেলস্টেশনের কাছে ‘হাজারা এক্সপ্রেস’ এর ১০টি বগি লাইনচ্যুত হয়।
লাখো বলেন, উদ্ধারকারীরা আহত যাত্রীদের নবাবশাহের কাছের পিপলস হাসপাতালে নিয়ে যান।
আরও পড়ুন: ইমরান খানকে উচ্চ-নিরাপত্তা সম্পন্ন কারাগারে স্থানান্তর
রেলের আরেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মহসিন সায়াল জানান, ঘটনাস্থলে মেরামতকারী ট্রেন পাঠানোর কারণে মূল রেললাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
সায়াল বলেন, ট্রেনের যাত্রীদের জন্য বিকল্প যাতায়াত এবং চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করা হবে।
পাকিস্তানে রেলপথে প্রায়ই ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে। ঔপনিবেশিক যুগের এই যোগাযোগ ব্যবস্থা বহুদিন আধুনিকায়ন করা হয়নি এবং এর নিরাপত্তার মানও দুর্বল।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গ্রেপ্তার
ইমরান খান আদালতে দোষী সাব্যস্ত, নিষিদ্ধ হতে পারেন রাজনীতিতে