%E0%A6%8F%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE
মুম্বাইয়ে প্রথম জি-২০ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক শুরু
ভারতে জি-২০ এর প্রথম ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার ভারতের মুম্বাইয়ে ভারতের সভাপতিত্বে এই বৈঠক শুরু হয়।
কেন্দ্রীয় বাণিজ্য সচিব সুনীল বার্থওয়াল ৭০ জন প্রতিনিধিকে স্বাগত জানিয়েছেন যারা মুম্বাইতে বৈঠকের জন্য সমবেত হন। আঞ্চলিক গ্রুপিং এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বৈশ্বিক বাণিজ্য এবং বিনিয়োগকে ত্বরান্বিত করতে আলোচনায় অংশ নিবেন বলে জানায় ভারতের বার্তা সংস্থা এএনআই।
ভারতের জি-২০ প্রেসিডেন্সির লক্ষ্য হলো বৈশ্বিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগকে ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জগুলোর মোকাবিলা করা। এবং বিদ্যমান সুযোগগুলাকে কীভাবে মানব-কেন্দ্রিক গঠনের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে এবং দৃঢ় ফলাফল বয়ে আনা যায়, সেগুলোকে ভাগ করে নেয়া।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে মতৈক্য ছাড়াই ভারতে জি-২০ বৈঠক শেষ
তিন দিনের বৈঠকের আলোচনায় ভারতের জি-২০ প্রেসিডেন্সির অগ্রাধিকারের পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগে সহযোগিতার সুবিধা দেবে।
সভার প্রথম দিন একটি সেমিনার দিয়ে শুরু হবে যেখানে প্রতিনিধিরা ক্রমবর্ধমান ট্রেড ফাইন্যান্স ব্যবধান কমানোর জন্য চিন্তাভাবনা করবে এবং সমাধান দিবেন।
উল্লেখযোগ্যভাবে, আজ মুম্বাই, ভাইজাগ এবং রামনগরে শুরু হওয়া আরও তিনটি বৈঠক জি-২০ সভার অর্ধশতক পূর্ণ করেছে।এখনও পর্যন্ত ভারতের জি-২০ প্রেসিডেন্সির অধীনে যা ২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর গৃহীত হয়েছিল। দুটি মন্ত্রী পর্যায়ের, একটি শেরপা, ২৩টি ওয়ার্কিং গ্রুপ, ২০টি এনগেজমেন্ট গ্রুপ এবং একটি কার্টেন রাইজার অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এতে প্রায় ৩০টি ইউনিভার্সিটি কানেক্ট এবং কয়েক ডজন জনভাগীদারি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্ব উষ্ণায়ন কমাতে জি-২০ দেশগুলোকে সংশোধনমূলক পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান ঢাকার
কারাদণ্ডের পর এবার লোকসভার সদস্যপদ হারালেন রাহুল গান্ধী
মানহানির মামলায় দুই বছরের কারাদণ্ডের একদিন পর শুক্রবার ভারতের পার্লামেন্ট সিনিয়র বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধীর লোকসভার সাংসদ পদ খারিজ করেছে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিম্নকক্ষকে ইঙ্গিত করে সংসদের একটি নোটিশে বলা হয়েছে যে রাহুল গান্ধীর ‘লোকসভার সদস্যপদ খারিজ করা হলো’।
২০১৯ সালের নির্বাচনী সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপাধি সম্পর্কে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের জন্য আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন।
রাহুল গান্ধী দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালার ওয়েনাড়ের সাংসদ ছিলেন।
তিনি বর্তমানে ৩০ দিনের জন্য জামিনে রয়েছেন এবং জানিয়েছেন যে তিনি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।
রাহুল গান্ধীর দল কংগ্রেস এই রায়কে ‘ভুল এবং পক্ষপাতদুষ্ট’ বলে অভিহিত করেছে।
দলের সিনিয়র নেতা জয়রাম রমেশ বলেছেন, দল ‘আইনগত ও রাজনৈতিক উভয়ভাবেই’ রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লড়াই করবে।
শুক্রবার রাজধানী দিল্লিতে বিক্ষোভ মিছিলে বিরোধী নেতাদের নেতৃত্ব দেয় কংগ্রেস।
প্রতিবাদী সাংসদরা রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সরকারি বাসভবন রাষ্ট্রপতি ভবনে মিছিল করার পরিকল্পনা করেছিলেন।
কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খারগে গণমাধ্যমকে বলেছেন, রাহুল গান্ধী শুক্রবার সংসদে কথা বলার অনুমতি চেয়েছিলেন, কিন্তু তা প্রত্যাখান করা হয়।
আরও পড়ুন: মানহানির মামলায় রাহুল গান্ধীর ২ বছরের কারাদণ্ড
তিনি অভিযোগ করেছেন, রাহুলের বিরুদ্ধে এই রায় মূলত আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তের জন্য একটি যৌথ সংসদীয় কমিটির তদন্তের দাবির ফলাফল।
এই বছরের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক শর্ট-বিক্রেতা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের প্রকাশিত প্রতিবেদনে আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে কয়েক দশক ধরে স্টক ম্যানিপুলেশন এবং অ্যাকাউন্টিং জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছিল। যদিও আদানি গ্রুপ আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
কংগ্রেস সভাপতি বলেছেন, ‘যারা সত্য কথা বলছে তারা (সরকার) তাদের রাখতে চায় না, তবে আমরা সত্য কথা বলতে থাকব।’
কংগ্রেস বলছে আগামী দিনে তারা সরকারের বিরুদ্ধে আরও বড় পরিসরে বিক্ষোভের পরিকল্পনা করছে।
২০১৯ সালে একটি নির্বাচনী সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপাধি সম্পর্কে মন্তব্যের জন্য বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) দুই বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে রাহুল গান্ধীকে।
২০১৩ সালের সুপ্রিম কোর্টের একটি আদেশে বলা হয়েছে যে একজন আইনপ্রণেতা অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে দুই বা তার বেশি বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে অবিলম্বে সংসদ থেকে অযোগ্য ঘোষণা করা হবে।
সাজা স্থগিত না হওয়া পর্যন্ত বা মামলায় খালাস না পাওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে লড়তে পারবেন না রাহুল গান্ধী।
আগামী বছর ভারতে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা।
কংগ্রেস পার্টি বলেছে, সরকারের ‘অন্যায়’ প্রকাশ করার জন্য টার্গেট করা হচ্ছে রাহুলকে।
মি. রমেশ গুজরাটের আদালতের রায়কে ‘খুবই গুরুতর রাজনৈতিক সমস্যা’ বলে অভিহিত করেন এবং বলেন এই রায় ‘আমাদের গণতন্ত্রের ভবিষ্যত’কে প্রভাবিত করতে পারে।
বৃহস্পতিবার একটি দলীয় বৈঠকের পরে তিনি বলেন, ‘এটি মোদী সরকারের প্রতিহিংসার রাজনীতি, হুমকির রাজনীতি, ভয় দেখানোর রাজনীতি এবং হয়রানির রাজনীতির একটি বড় উদাহরণ’।
ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) মন্ত্রীরা অবশ্য রায় নিয়ে প্রশ্ন তোলার জন্য রাহুল গান্ধী ও তার দলের সমালোচনা করেছেন।
কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব বলেছেন, রাহুল গান্ধী আদার ব্যাকওয়ার্ড ক্লাসেস (ওবিসি) নামে পরিচিত গোষ্ঠীর সদস্যদের অপমান করেছিলেন, যার অধীনে ‘মোদি’ নামটি পড়ে।
তিনি বলেন, ‘কোনও পদবীকে অপমান করা বাক স্বাধীনতা নয়।’
গত বছর কংগ্রেস দল ছাড়া ভারতের প্রাক্তন আইনমন্ত্রী কপিল সিবাল আদালতের সিদ্ধান্তকে ‘উদ্ভট’ বলেছেন।
তিনি আরও বলেন, রাহুল গান্ধীর মন্তব্য ‘একজন ব্যক্তিকে’ লক্ষ্য করে, কোনও গোষ্ঠীকে নয়।
বৃহস্পতিবারের রায়ের প্রতিক্রিয়ায়, রাহুল গান্ধী মহাত্মা গান্ধীর একটি উদ্ধৃতি টুইট করেছেন, ‘আমার ধর্ম সত্য ও অহিংসার উপর প্রতিষ্ঠিত। সত্য আমার ঈশ্বর, অহিংসা তা পাওয়ার মাধ্যম।’
বেশ কয়েকটি বিরোধী দল রাহুল গান্ধীর সমর্থনে নেমেছে।
শুক্রবার কংগ্রেসসহ ১৪টি দল সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল।
তাদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার বিজেপির বিরোধীদের লক্ষ্যবস্তু করার জন্য তদন্তকারী সংস্থাগুলোর অপব্যবহার করছে।
আরও পড়ুন: রাহুল গান্ধীকে আটকের পর ছেড়ে দিল দিল্লি পুলিশ
দিল্লিতে বিক্ষোভ থেকে রাহুল-প্রিয়াঙ্কা আটক
মানহানির মামলায় রাহুল গান্ধীর ২ বছরের কারাদণ্ড
ভারতের কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে বৃহস্পতিবার দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন সুরাটের একটি আদালত।
ভারতীয় গণমাধ্যম এএনআইয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে এক নির্বাচনী সমাবেশে দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নাম নিয়ে 'অবমাননাকর' মন্তব্যের জন্য দায়ের করা মানহানির মামলায় তাকে এই কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
তবে, আদালত জামিনে রাহুল গান্ধীর জামিন মঞ্জুর করেছেন এবং তাকে উচ্চ আদালতে আপিল করার অনুমতি দিয়ে ৩০ দিনের জন্য সাজা স্থগিত করেছেন।
রায়ের পরে বিজেপি নেতারা রাহুল গান্ধীকে আক্রমণ করে বলেন, তিনি (রাহুল) যাই বলুন না কেন তা কংগ্রেস দল এবং দেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
অন্যদিকে, কংগ্রেস নেতারা বলছেন যে বিজেপি সরকার রাহুল গান্ধীর কণ্ঠস্বরকে দমন করার চেষ্টা করছে এবং তিনি রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন।
কংগ্রেস নেতারা আরও অভিযোগ করেন, বিচার বিভাগ চাপের মধ্যে রয়েছে।
দলের প্রধান মল্লিকার্জুন খাড়গে সহ কয়েকজন কংগ্রেস নেতা এই মামলায় বিচারক পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন: রাহুল গান্ধীকে আটকের পর ছেড়ে দিল দিল্লি পুলিশ
অন্যদিকে, রায়ের কয়েক ঘন্টা পরেই ভিনীত জিন্দাল নামক সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী, লোকসভার স্পিকারের কাছে কারাদণ্ডের জন্য রাহুল গান্ধীকে হাউস থেকে অযোগ্য ঘোষণা করার অভিযোগ করেন।
রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মানহানির মামলা করেছেন সুরাট পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক পূর্ণেশ মোদি।
২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে কর্ণাটকের কোলারে একটি লোকসভা নির্বাচনী সমাবেশে রাহুল গান্ধী বলেন, ‘সব মোদিরা কেন চোর হয়?’
গত সপ্তাহে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এইচ এইচ ভার্মার আদালত উভয় পক্ষের চূড়ান্ত যুক্তি শুনানি শেষ করেন এবং চার বছরের পুরনো এই মানহানির মামলায় রায় ঘোষণার জন্য ২৩ মার্চ দিন ধার্য করেন।
রায় ঘোষণার সময় ওয়ানাডের সাংসদ রাহুল গান্ধী অন্যান্য কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
গুজরাটের প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেশ মোদি আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমি আদালতের রায়কে স্বাগত জানাই।
আরও পড়ুন: অর্থ পাচারের অভিযোগে রাহুল গান্ধীকে তলব
পূর্ণেশ মোদীর আইনজীবী কেতন রেশমওয়ালা বলেছেন, রাহুল গান্ধীকে আইপিসির ৪৯৯ এবং ৫০০ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
রাহুল গান্ধী গত বছরের জুনে ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় দুর্নীতির অভিযোগে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছিলেন।
এই মামলায় দলের প্রাক্তন প্রধান সোনিয়া গান্ধীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
২০১৫ সালের ডিসেম্বরে দিল্লির একটি আদালত মামলায় এই দুই নেতাকে জামিন দিয়েছিলেন।
রাহুল গান্ধীর প্রপিতামহী ইন্দিরা গান্ধীও আদালতের প্রতিকূল রায়ের মুখোমুখি হয়েছিলেন এবং ১৯৭৫ সালের জুন মাসে এলাহাবাদ হাইকোর্টে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ছয় বছরের জন্য কোনো নির্বাচিত পদে থাকা থেকে বিরত ছিলেন।
এই রায়ের ফলে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইন্দিরা গান্ধীকে নির্বাচনী অসদাচরণের জন্য দোষী সাব্যস্ত করার সময়, বিচারপতি জগমোহনলাল সিনহা তাকে সংসদ থেকে অযোগ্য ঘোষণা করেন এবং তার ওপর যে কোনও নির্বাচিত পদে থাকার ব্যাপারে ছয় বছরের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।
আরও পড়ুন: প্রিয়াঙ্কার অবৈধ গ্রেপ্তার যোগী সরকারের ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তাহীনতার প্রকাশ: রাহুল গান্ধী
পুতিন-শি জিনপিং বৈঠক, বিচ্ছিন্ন রুশ প্রেসিডেন্টের জন্য রাজনৈতিক উৎসাহ
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ার পর বিচ্ছিন্ন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে রাজনৈতিক উত্সাহ দিতে তার সঙ্গে বৈঠক করবেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
এই বৈঠকের কারণ ও উদ্দেশ্য কি তার কোনো বিশদ বিবরণ দেয়নি শি’র সরকার।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলার আগে শি ও পুতিন ঘোষণা করেছিলেন যে তাদের ‘সীমাহীন বন্ধুত্ব’ ছিল, তবে যুদ্ধের পুরোটা সময়ই চীন নিজেকে নিরপেক্ষ হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছে। এমনকি বেইজিং গত মাসে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছিল।
চীন সরকার জানিয়েছে, শি সোমবার থেকে বুধবার মস্কো সফর করবেন, তবে তিনি চলে গেছেন কিনা তার কোনও ইঙ্গিত তারা দেয়নি।
রুশ সরকার জানিয়েছে যে শি’র মধ্যাহ্নে পৌঁছানোর কথা রয়েছে এবং এরপরে পুতিনের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে।
বৈঠকের আগে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইসিসির প্রতি একজন রাষ্ট্রপ্রধানের ‘বিচার বিভাগীয় অনাক্রম্যতাকে সম্মান করার’ এবং ‘সবকিছুকে রাজনীতিকরণ এবং ডাবল স্টান্ডার্ড ত্যাগের’ আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলেন আন্তর্জাতিক আদালত
চীন রাশিয়াকে তার অর্থনীতির জন্য তেল ও গ্যাসের উৎস হিসেবে এবং বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে আমেরিকার আধিপত্যের বিরোধিতা করার অংশীদার হিসেবে মনে করে।
ওয়াশিংটনের আমেরিকান ইউনিভার্সিটির চীনা-রাশিয়ান সম্পর্কের বিশেষজ্ঞ জোসেফ টোরিজিয়ান বলেছেন,এ বৈঠক পুতিন ও শি’কে ওয়াশিংটনের সঙ্গে উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের সময়ে ‘শক্তিশালী অংশীদারিত্ব’- দেখানোর একটি সুযোগ দেবে।
টোরিজিয়ান বলেন, ‘এই বৈঠক চীনের দেয়া এমন ইঙ্গিত হতে পারে যে রাশিয়াকে সাহায্য করার জন্য তারা আরও বেশি কিছু করতে পারে; যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের আরও অবনতি হয় তবে তারা রাশিয়াকে শক্তিশালী করতে এবং ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে রাশিয়াকে সহায়তা করতে আরও অনেক কিছু করতে পারে।’
প্রযুক্তি, নিরাপত্তা, মানবাধিকার এবং হংকং ও মুসলিম সংখ্যালঘুদের প্রতি ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির আচরণ নিয়ে বিরোধের কারণে ওয়াশিংটন, ইউরোপ এবং এর প্রতিবেশীদের সঙ্গে বেইজিংয়ের সম্পর্ক তিক্ত।
কেউ কেই ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডে রাশিয়ার দাবি এবং তাইওয়ানের প্রতি বেইজিংয়ের দাবি একই বলে মনে করেন।
কমিউনিস্ট পার্টির দাবি, ১৯৪৯ সালে গৃহযুদ্ধের পরে চীন থেকে বিভক্ত হওয়া স্ব-শাসিত দ্বীপ তাইওয়ানকে প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করে হলেও মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে একত্র হতে বাধ্য করা হবে।
শি’র সরকার তাইওয়ানের চারপাশ দিয়ে ফাইটার জেট উড়িয়ে এবং সমুদ্রে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে দ্বীপটিকে ভয় দেখানোর প্রচেষ্টা জোরদার করছে।
পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মুখে রাশিয়ার রাজস্ব বাড়াতে সাহায্য করার জন্য চীন ক্রেমলিনের থেকে তেল ও গ্যাস কেনা বাড়িয়েছে। তবে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা ও সামরিক সহায়তার বিধানের ক্ষেত্রে ওয়াশিংটন এবং ইউরোপীয় সরকারগুলোর নির্ধারিত নিয়ম ভাঙে, এমন কোনও পদক্ষেপ নেয়নি চীন।
আরও পড়ুন: সৌদি-ইরান চুক্তির পর বিশ্বে বৃহৎ ভূমিকা রাখতে চায় চীন
গত শুক্রবার আইসিসি অভিযোগ করে যে ইউক্রেন থেকে হাজার হাজার শিশু অপহরণের জন্য পুতিন ব্যক্তিগতভাবে দায়ী। যেসব দেশের সরকার এই আদালতের কর্তৃত্ব স্বীকার করে, পুতিন তাদের দেশে গেলে তাৎক্ষণিক তাকে গ্রেপ্তার করতে তারা বাধ্য থাকবে।
পুতিন এখনও এই ঘোষণার বিষয়ে মন্তব্য করেননি, তবে ক্রেমলিন এই পদক্ষেপকে ‘আপত্তিকর ও অগ্রহণযোগ্য’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
বরং এ রায়কে অবজ্ঞা করে পুতিন ইউক্রেন থেকে রাশিয়ার ক্রিমিয়ান উপদ্বীপ দখলের নবম বার্ষিকী উপলক্ষে ক্রিমিয়া এবং দখলকৃত ইউক্রেনীয় বন্দর শহর মারিউপোল পরিদর্শন করেন।
রাশিয়ান সংবাদ প্রতিবেদনে তাকে মারিউপোলের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলতে এবং ক্রিমিয়ার সেভাস্তোপলে একটি আর্ট স্কুল এবং একটি শিশু কেন্দ্র পরিদর্শন করতে দেখা গেছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেছেন, আইসিসির উচিত ‘একটি বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখা এবং একজন রাষ্ট্রপ্রধানের প্রাপ্য বিচার বিভাগীয় অনাক্রম্যতাকে সম্মান করা’ এবং ‘সবকিছুকে রাজনীতিকরণ এবং ডাবল স্ট্যান্ডার্ড ত্যাগ করা উচিত’।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধের সমালোচনা করায় শিক্ষার্থীর ৮ বছরের কারাদণ্ড
ওয়াং বলেন, ‘চীন ইউক্রেনের সঙ্কটের বিষয়ে তার বস্তুনিষ্ঠ ও ন্যায্য অবস্থান বজায় রাখবে এবং শান্তি আলোচনার প্রচারে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করবে।’
রুশ সংবাদপত্র রাশিয়ান গেজেটে সোমবার প্রকাশিত একটি নিবন্ধে শি বলেছেন যে চীন ‘সক্রিয়ভাবে শান্তি আলোচনার চেষ্টা করেছে’।
চীনের সিনহুয়া নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে জানা যায় যে শি বলেছেন, ‘আমার আসন্ন রাশিয়া সফর হবে বন্ধুত্ব, সহযোগিতা ও শান্তি স্থাপনের যাত্রা।’
শি আরও বলেছেন, ‘সঙ্কট সমাধানের একটি যুক্তিসঙ্গত উপায়’- খুঁজে পাওয়া যেতে পারে; যদি ‘সব পক্ষ অভিন্ন, সর্বাঙ্গীন, সহযোগিতামূলক এবং টেকসই নিরাপত্তার মনোভাব পোষণ করে।’
বেইজিংয়ে সেঙ্গে বৈঠকের পর ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের আশ্চর্য ঘোষণার পর শি এই সফর করছেন।
টোরিজিয়ান বলেন, শি একজন বিশ্বব্যাপী রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে নিজেবে দেখতে চান, যিনি শান্তির কথা বলে ‘গঠনমূলক ভূমিকা পালন করছেন’। কিন্তু যুদ্ধ শেষ করার জন্য শি পুতিনকে চাপ দেবেন এমন কোনও সম্ভাবনা নেই।
পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ দায়ের
পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানসহ তার ১৭ জন সহযোগী ও কয়েক হাজার সমর্থকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ। আগের দিন ইসলামাবাদের খানের অনুসারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষের পর তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ এবং অন্যান্য অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হলো।
রবিবার এই অভিযোগ দায়ের করে দেশটির পুলিশ।
শনিবার একটি আদালতের বাইরে কয়েক ঘন্টা খানের অনুসারীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছিল। যেখানে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির মামলায় হাজিরা দেয়ার কথা ছিল। দাঙ্গা পুলিশ লাঠিচার্জ করে এবং কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। এসময় খানের সমর্থকরা ককটেল বোমা নিক্ষেপ করে এবং অফিসারদের দিকে ঢিল ছুড়ে।
পুলিশ জানিয়েছে, ৫০ জনেরও বেশি কর্মকর্তা আহত হন এবং একটি পুলিশ চৌকি, বেশ কয়েকটি গাড়ি ও মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়া হয়। সহিংসতার সময় খানের ৫৯ জন সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন প্রাপ্ত রাষ্ট্রীয় উপহার বিক্রি এবং সম্পদ গোপন করার অভিযোগের মুখোমুখি হওয়ার জন্য খান আসলে আদালতে হাজির হননি।
খান ছাড়াও, রবিবার দায়ের করা মামলায় সাবেক ও বর্তমান সংসদ সদস্য, প্রাক্তন মন্ত্রী, প্রাক্তন জাতীয় পরিষদের স্পিকার এবং খানের সমর্থকদেরও অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযোগের মধ্যে রয়েছে সন্ত্রাসবাদ, পুলিশ অফিসারদের কাজ করতে বাধা দেয়া, পুলিশের উপর হামলা, অফিসারদের আহত করা এবং তাদের জীবনের হুমকি দেয়া।
গত এপ্রিলে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত ৭০ বছর বয়সী খানকে ঘিরে ক্রমবর্ধমান সহিংসতার সঙ্গে সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো ঘটে। তারপর থেকে, প্রাক্তন ক্রিকেট তারকা পরিণত ইসলামপন্থী রাজনীতিবিদ প্রমাণ ছাড়াই দাবি করেছেন যে তার ক্ষমতাচ্যুতি ছিল বেআইনি এবং এর পিছনে ছিল তার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ এবং ওয়াশিংটন সরকারের ষড়যন্ত্র। শাহবাজ শরিফ ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়েই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এছাড়াও শনিবার, পূর্বাঞ্চলীয় শহর লাহোরে খানের বাড়ির বাইরে আবার সহিংসতা শুরু হয়। যেখানে পুলিশ খানকে গ্রেপ্তার করতে উচ্চ পাড়ায় আসার পরে, গত সপ্তাহের শুরুতে একটি স্থবিরতার মধ্যে অফিসার এবং খানের সমর্থকরা দুই দিন ধরে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছিল।
টিয়ার গ্যাস এবং সংঘর্ষের মধ্যে, পুলিশ খানের বাসভবনে হামলা চালায় এবং পরে বলে যে তারা ৬১ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং পেট্রোল বোমা, অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করেছে। খান বাড়িতে ছিলেন না, আদালতে হাজিরা দিতে ইসলামাবাদে গিয়েছিলেন। তিনি আদালতে হাজির হতে ব্যর্থ হলে বিচারক সেই শুনানি ৩০ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত করেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১০ পুলিশ নিহত
রবিবার সম্প্রচারিত একটি রেকর্ড করা ভিডিও বার্তায়, খান শনিবার আদালতে হাজির হতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য পুলিশকে দোষারোপ করে বলেন যে পুলিশ তার কনভয় এবং সমর্থকদের উপর টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করার কারণে তিনি কখনই তার গাড়ি ছেড়ে যাননি।
তার দাবিকে সমর্থন করার জন্য কিছু প্রস্তাব না করে, খান বলেছিলেন যে তার বিরোধীরা তাকে কারাগারে বন্দী করতে বা তাকে হত্যা করতে চায়। লাহোরে তার বাড়িতে অভিযানকে ‘লজ্জাজনক কৌশল, ষড়যন্ত্র এবং পরিকল্পনা’ বলে নিন্দা করেছেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ খানের বিরুদ্ধে আদালতকে এড়াতে সব নাটক করার অভিযোগ করেছেন।
আরও পড়ুন: ইমরান খানের বাড়িতে পুলিশের অভিযান, গ্রেপ্তার ৬১
ইমরান খানের বাড়িতে পুলিশের অভিযান, গ্রেপ্তার ৬১
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের লাহোরের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এসময় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে ইমরান খানের ৬১ জন সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার দেশটির পুলিশ কর্মকর্তারা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিনিয়র পুলিশ অফিসার সুহেল সুখেরা ইমরান খানের বাড়িতে অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছেন।
পুলিশ অফিসার সুহেল সুখেরা অবশ্য বলেছেন, পুলিশ ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির সদস্যদের এবং তার বিরোধীদের নির্মিত একটি ব্যারিকেড অপসারণের কাজ করেছে।
তিনি বলেন, তারা কংক্রিটের ব্লক, কাটা গাছ, তাঁবু এবং একটি ট্রাক পার্ক করে ইমরান খানের বাড়ির চারপাশের রাস্তাগুলো অবরোধ করে রেখেছিল।
এ অভিযানের সময় ইমরান খান বাড়িতে ছিলেন না।
প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বিদেশ থেকে পাওয়া উপহার বিক্রি এবং তার সম্পদ গোপন করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে হওয়া মামলার শুনানিতে অংশ নিতে তিনি ইসলামাবাদে গিয়েছিলেন। বিচারক এই মামলার শুনানি ৩০ মার্চ পর্যন্ত মুলতবি করেন।
আরও পড়ুন: শাহরুখ ও সালমানের চেয়ে অনেক ভালো অভিনেতা ইমরান খান: পাকিস্তানের রাজনীতিবিদ
সুখেরা বলেন, ইমরান খানের সমর্থকরা লাঠি হাতে পাথর ও মলোটভ ককটেল নিক্ষেপ করে পুলিশকে বাধা দেয়ার চেষ্টা করে এবং খানের বাড়ির ছাদে থাকা এক ব্যক্তি গুলি চালায়। এতে অন্তত তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
সুখেরা আরও বলেন, খানের বাসভবনের প্রধান দরজা ভেঙ্গে তারা পুলিশের ওপর হামলায় ব্যবহৃত অটোমেটেড অস্ত্র, মোলোটভ ককটেল, লোহার রড ও লাঠিসোঁটা খুঁজে পেয়েছে।
সুখেরা জানান যে বিশাল বাসভবনের ভেতরে, পুলিশের ওপর হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের আশ্রয় দেয়ার জন্য অবৈধ স্থাপনা তৈরি করা হয়েছিল। যারা কয়েক ডজন পুলিশ অফিসারকে আহত করেছে।
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ এ বিষয়ে বলেন, পুলিশ খানের বাড়িতে অনুসন্ধান করে বাঙ্কার খুঁজে পেয়েছে, যেখানে আরও অনেক অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুকিয়ে রাখা আছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, পুলিশ টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে খানের সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করেছিল এবং তাদের তাড়া করে জামান পার্কের আশেপাশের বেশ কয়েকটি বাড়ি পর্যন্ত নিয়ে যায়।
অন্যদিকে, শনিবার ইমরান খান ও তার আইনজীবী ইসলামাবাদের একটি আদালতে হাজির হন। কারণ একদিন আগেই দেশটির শীর্ষ আদালত খানের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা স্থগিত করে, তাকে ইসলামাবাদে চলাফেরা করার সুযোগ দেয় এবং তাকে আটক না করেই দুর্নীতি মামলা পরিচালনার নির্দেশ দেন।
মামলার আগের দুই শুনানিতেই হাজির না হওয়ায় ১৩ মার্চ দ্বিতীয়বার আদালত তার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন। এরপর থেকে খান লাহোরে তার বাড়িতে লুকিয়ে ছিলেন।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেপ্তারের হাত থেকে রক্ষা করতে তার সমর্থকরা ঢিল ছুঁড়েছে এবং লাঠিচার্জকারী পুলিশের সঙ্গে টানা দুই দিন ধরে সংঘর্ষ করেছে।
শনিবার খানের গাড়িবহর ইসলামাবাদের জেলা আদালতের জুডিশিয়াল কমপ্লেক্সের কাছে পৌঁছালে পুলিশ তাদের কমপ্লেক্সে ঢুকতে বাধা দেয়। এরপরই তার সমর্থকরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে সরকারবিরোধী সমাবেশে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গুলিবিদ্ধ
বিক্ষুব্ধ খান সমর্থকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছুঁড়ে মারে এবং পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য কাঁদানে গ্যাসের ক্যানিস্টার ছোঁড়ে।
সানাউল্লাহ বলেন, খানের অনেক সমর্থক সশস্ত্র ছিল।
খানের অ্যাটর্নি বাবর আওয়ান বিশেষ পরিস্থিতিতে ইমরান খানের আদালতে উপস্থিতি থেকে অব্যাহতির জন্য আবেদন করেছিলেন।
শনিবার বিচারিক কমপ্লেক্সের গেটে উপস্থিত হওয়া সত্ত্বেও পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ না করা এবং আদালতে হাজির না হওয়ার জন্য খানের নিন্দা করেছেন আইনমন্ত্রী আজম নাজির তারার।
তিনি অভিযোগ এড়াতে খানকে তার বিক্ষুব্ধ সমর্থকদের ব্যবহার করার অভিযোগ করেন।
তারার মতে, খানের সমর্থকরা ছত্রভঙ্গ হওয়ার সময় বিচারিক কমপ্লেক্সের বাইরে দুটি পুলিশের গাড়ি এবং বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
ইমরান খান ইসলামাবাদে যাওয়ার সময় একটি ভিডিও বার্তায় বলেছিলেন যে পুলিশ লাহোরে তার বাসভবনে ভাঙচুর করেছে, যখন তার স্ত্রী বাড়িতে একা ছিলেন।
তিনি এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে দায়ীদের শাস্তির দাবি জানান।
খানের পিটিআই পার্টির সেক্রেটারি-জেনারেল আসাদ উমর পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতির কাছে একটি চিঠিতে বলেছেন, পুলিশ ইমরান খানের লাহোরের বাড়িতে অভিযানের জন্য তার ইসলামাবাদ যাওয়ার অপেক্ষা করেছিল।
তিনি বলেন, ‘দরজা ও দেয়াল গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে’ এবং বাড়ির ৪০ জনেরও বেশি লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত এপ্রিলে সংসদে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হন বর্তমান বিরোধীদলীয় নেতা ইমরান খান।
তার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বিদেশ থেকে পাওয়া উপহার বিক্রি এবং সম্পদ গোপন করার অভিযোগ রয়েছে। যদিও তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
আরও পড়ুন: ইমরান খানকে অযোগ্য ঘোষণা করল পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন
প্রাক্তন ক্রিকেট তারকা থেকে ইসলামপন্থী রাজনীতিবিদে পরিণত হওয়া ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে, এটি তার মধ্যে একটি।
৭০ বছর বয়সী ইমরান খান পার্লামেন্টে আগাম নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি দাবি করেছেন যে তার ক্ষমতা থেকে অপসারণ তার উত্তরসূরি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল।
যদিও ওয়াশিংটন ও শাহবাজ শরীফের সরকার উভয়েই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
শপথ নিলেন নেপালের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পাওদেল
নেপালের সবচেয়ে পুরোনো রাজনৈতিক দল নেপালি কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ নেতা রাম চন্দ্র পাওদেল দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে সোমবার কাঠমান্ডুতে শপথ নিয়েছেন।
এর আগে ফেডারেল পার্লামেন্ট ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যরা বৃহস্পতিবার রাম চন্দ্র পাওদেলকে নির্বাচিত করেন।
উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, কূটনীতিক এবং সংসদ সদস্যরা সোমবারের অনুষ্ঠানে নতুন রাষ্ট্রপতিকে অভিনন্দন জানান। সেসময় সামরিক ব্যান্ড দেশটির জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে এবং তাকে অভিবাদন জানায়।
রাম চন্দ্র পাওদেল শপথ নেয়ার পর বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারি পদত্যাগ করেন।
যদিও দেশটিতে প্রেসিডেন্ট মূলত সামান্য রাজনৈতিক ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তিত্ব।
আরও পড়ুন: নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দাহাল
কিন্তু এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহালের নেতৃত্বাধীন শাসক জোটের অংশীদারদের মধ্যে বিরোধের সূত্রপাত হয়।
কেননা দাহাল বিরোধীপক্ষের পাওদেলকে সমর্থন করেছিলেন, যিনি এখন নেপালী সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ কমান্ডারও।
অন্যদিকে তার প্রধান জোটের অংশীদার কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল- ইউনিফায়েড মার্কসিস্ট-লেনিনিস্টের (সিপিএন-ইউএমএল) তার নিজের প্রার্থী সুভাষ চন্দ্র নেমবাংকে সমর্থন করেছিল।
দলটি তখন থেকে দাহালের ক্ষমতা নিয়ে অভিযোগ করে জোট থেকে বেরিয়ে গেছে।
দাহাল তখন থেকে তিনটি প্রধান রাজনৈতিক দলের সমর্থন হারিয়েছে, যেগুলো তার প্রাথমিক জোট সরকারের অংশ ছিল।
এছাড়া ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য মার্চের পরেই সংসদে তার আস্থা ভোট চাইতে হবে।
দাহাল কেন বিরোধী প্রার্থীকে সমর্থন করার এবং তার জোটকে বিপন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তার কোনও স্পষ্ট ব্যাখ্যা ছিল না, তবে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ক্ষমতার লড়াই সাধারণ। গত ১০ বছরে দেশটিতে আটটি ভিন্ন সরকার ক্ষমতায় এসেছে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিপুল আস্থার প্রতিফলন: নেপাল
নেপাল ভ্রমণ: শত বছরের তীর্থস্থান ঘুরতে হিমালয়ের দেশে
সৌদি-ইরান চুক্তির পর বিশ্বে বৃহৎ ভূমিকা রাখতে চায় চীন
সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরায় চালু করার একটি চুক্তিতে বেইজিং ভূমিকা রাখার পর প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং চীনকে বৈশ্বিক বিষয়গুলো পরিচালনায় আরও বড় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।
সোমবার শি অনুগতদের নিয়ে সরকার গঠনের পর আইনসভা অধিবেশনে বক্তব্য দেন যাতে অর্থনীতি ও সমাজের উপর তার নিয়ন্ত্রণ শক্ত করেছিল।
চীনের আনুষ্ঠানিক আইনসভার বার্ষিক সভা শেষে এক বক্তব্যে কয়েক দশকের মধ্যে দেশটির সবচেয়ে শক্তিশালী নেতা শি বলেছেন, চীনের উচিত ‘বৈশ্বিক শাসন ব্যবস্থার সংস্কার ও নির্মাণে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করা’ এবং ‘বৈশ্বিক নিরাপত্তা উদ্যোগ’ প্রচার করা উচিত।’
শি বলেছেন, এটি ‘বিশ্ব শান্তি ও উন্নয়নে ইতিবাচক শক্তি যোগ করবে এবং আমাদের দেশের উন্নয়নের জন্য একটি অনুকূল আন্তর্জাতিক পরিবেশ তৈরি করবে।’
শি ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির উচ্চাকাঙ্ক্ষার কোনো বিশদ বিবরণ না দিলেও তার সরকার ২০১২ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে বিদেশে ক্রমবর্ধমান দৃঢ় নীতি অনুসরণ করেছে। এটি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল এবং অন্যান্য সংস্থাগুলোতে পরিবর্তনের জন্য চাপ দিয়েছে। বেইজিং বলছে যে উন্নয়নশীল দেশ তাদের চাহিদা এবং ইচ্ছা প্রতিফলিত করতে ব্যর্থ হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইরান ও সৌদি আরবের সম্পর্ক পুনস্থাপনকে স্বাগত জানায় বাংলাদেশ: মোমেন
বেইজিং বাণিজ্য ও নির্মাণ উদ্যোগকে উন্নীত করার জন্য দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হিসাবে চীনের ক্রমবর্ধমান উচ্চতার ওপর ভিত্তি করে তৈরি করেছে। যা ওয়াশিংটন, টোকিও, মস্কো এবং নয়া দিল্লি তাদের বিস্তৃতিতে এর কৌশলগত প্রভাবকে প্রসারিত করবে বলে উদ্বিগ্ন।
শি’র সরকার ২০২২ সালের শুরুর দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অস্ট্রেলিয়াকে বিচলিত করেছিল। যখন এটি সলোমন দ্বীপপুঞ্জের সঙ্গে একটি সুরক্ষা চুক্তি সই করেছিল যা দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশটিতে চীনা নৌবাহিনীর জাহাজ এবং নিরাপত্তা বাহিনীকে মোতায়েন করার অনুমতি দেবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী, কিন গ্যাং গত সপ্তাহে ওয়াশিংটনকে সম্ভাব্য ‘সংঘাত ও সংঘর্ষ’ সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছিলেন। যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ান, মানবাধিকার, হংকং, নিরাপত্তা এবং প্রযুক্তি নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের গতিপথ পরিবর্তন না করে।
শির সোমবারের ভাষণে জাতীয়তাবাদী পদে ভরপুর একটি বক্তব্যে দ্রুত প্রযুক্তি উন্নয়ন এবং আরও আত্মনির্ভরতার আহ্বান জানান। তিনি আটবার ‘জাতীয় পুনরুজ্জীবন’ বা চীনকে অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক নেতা হিসেবে চীনের সঠিক ঐতিহাসিক ভূমিকা পুনরুদ্ধারের কথা উল্লেখ করেছেন।
শুক্রবার, অক্টোবরে ঐতিহ্য ভেঙ্গে এবং শাসক দলের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নিজেকে তৃতীয়-পাঁচ বছরের মেয়াদে পুরস্কৃত করার পরে আজীবন নেতা হওয়ার পথে নিজেকে রেখে দেয়ার পরে আনুষ্ঠানিক চীনা প্রেসিডেন্টের আরেকটি মেয়াদে শির নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের অধিবেশন এক দশকের পরিবর্তনে প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য সরকারি নেতা হিসাবে তার অনুগতদের নিয়োগকে সমর্থন করে শির আধিপত্যকে শক্তিশালী করেছে। শি সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বিদের দূরে সরিয়ে দিয়েছেন এবং ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিরা তাকে সমর্থন করেছেন।
শি বলেছেন যে ১৯৪৯ সালে ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি ক্ষমতায় আসার আগে, বিদেশি দেশগুলোর নিপীড়নে চীন ‘আধা-ঔপনিবেশিক, আধা-সামন্ততান্ত্রিক দেশে পরিণত হয়েছিল।’
শি বলেছেন, ‘আমরা অবশেষে জাতীয় অপমান মুছে ফেলেছি এবং চীনা জনগণ তাদের নিজেদের ভাগ্যের মালিক।’ ‘চীনা জাতি ঘুড়ে দাঁড়িয়েছে, ধনী হয়েছে এবং শক্তিশালী হয়ে উঠছে।’
শি দেশটিকে ‘জাতীয় পুনঃএকত্রীকরণের’ লক্ষ্য ‘অটলভাবে অর্জন’ করার জন্যও আহ্বান জানিয়েছিন। বেইজিংয়ের দাবির উল্লেখ করে যে গণতান্ত্রিক স্ব-শাসিত দ্বীপ তাইওয়ান, তার ভূখণ্ডের অংশ চীনের সঙ্গে একত্রিত হতে বাধ্য, প্রয়োজনে বল প্রয়োগ করে হলেও।
আরও পড়ুন: সৌদিতে ২০২৪ সাল থেকে ওষুধ উৎপাদন করবে বেক্সিমকো
মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন গ্রেপ্তার
মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দেশটির দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা জানিয়েছে, দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের জন্য তাকে আদালতে হাজির করা হবে।
মুহিউদ্দিন ২০২০ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের আগস্ট পর্যন্ত মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। মেয়াদ শেষের পরে দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়া দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন।
এর আগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক ২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পরে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত হন এবং বিচারে তার ১২ বছরের জেল হয়।
দেশটির দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা বলেছে, শুক্রবার মুহিউদ্দিনকে তার মেয়াদকালে সরকারি প্রকল্পের জন্য বরাদ্দকৃত তহবিলের অপব্যবহার এবং অর্থপাচার সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
৭৫ বছর বয়সী মুহিউদ্দিন তিন সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো প্রশ্নের জিজ্ঞাসাবাদের উত্তর দিতে বৃহস্পতিবার দুর্নীতিবিরোধী সংস্থার কাছে যান।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়া প্রধানমন্ত্রীর জরুরি অবস্থা ঘোষণার প্রস্তাবে রাজার না
করোনা মহামারিকালীন অর্থনৈতিক সহায়তা এবং আরও কিছু প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ্ তহবিল নিয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে প্রথমবার তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ক্ষমতায় বসার পর তার আগের প্রশাসনের অনুমোদিত সরকারি প্রকল্পগুলো পর্যালোচনা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
অন্যদিকে, মুহিউদ্দিনের রাজনৈতিক দল বেরসাতু’র দুই জ্যেষ্ঠ নেতার বিরুদ্ধেও সম্প্রতি দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে।
এছাড়া দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা তাদের কথিত বেআইনি কার্যক্রমের তদন্তের জন্য বেরসাতুর ব্যাংক অ্যাকাউন্টও জব্দ করেছে।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ার সাবেক অর্থমন্ত্রী লিম দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার
মালয়েশিয়ার নতুন প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিন
ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২১
ইন্দোনেশিয়ার দুর্গম নাতুনা দ্বীপপুঞ্জের একটি পাহাড়ি গ্রামে ভূমিধসের ঘটনায় কয়েক টন মাটির নিচে চাপা পড়া আরও লাশ উদ্ধার হওয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ জনে।
বৃহস্পতিবার ন্যাশনাল সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ এজেন্সি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সোমবার প্রবল বর্ষণের ফলে সৃষ্ট ভূমিধসে আশপাশের পাহাড় ধসে পড়ে এবং দক্ষিণ চীন সাগরের প্রান্তে নাতুনা দ্বীপপুঞ্জের একটি ছোট্ট দ্বীপের জেন্টিং গ্রামে ৩০টি বাড়ি চাপা পড়ে।
এতে আরও বলা হয়, কর্তৃপক্ষ অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থা, পুলিশ এবং সামরিক বাহিনীর ২০০ জনেরও বেশি উদ্ধারকর্মীকে এখনও নিখোঁজ ৩৩ জনের সন্ধানে মোতায়েন করেছে। যারা ভূমিধসের কারণে প্রায় ৪ মিটার গভীরে আটকা পড়ে।
আরও পড়ুন: পেরুতে প্রবল বর্ষণে ভূমিধসে ৩৬ জনের মৃত্যু
ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট এজেন্সির প্রধান সুহারিয়ান্তো বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, আটজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সোমবার গভীর রাতে তাদের জেন্টিং থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে বোর্নিও দ্বীপের পন্টিয়ানাক শহরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
দুর্যোগস্থলের আশেপাশে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হয়। সুহারিয়ান্তো বলেন, আবহাওয়ার কারণে বেশ কয়েকবার অনুসন্ধান কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বাধ্য হতে হয় এবং যোগাযোগ লাইন ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় অভিযান বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
সোমবারের ভূমিধসে প্রায় এক হাজার ৩০০ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং তাদের চারটি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সুহারিয়ান্তো।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৪, নিখোঁজ ৯