%E0%A6%8F%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BE
দ্বীপপুঞ্জ থেকে ভারতীয় সামরিক বাহিনীকে সরাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ মালদ্বীপের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু
দ্বীপপুঞ্জে নিযুক্ত ভারতীয় সামরিক বাহিনীর সদস্যদের অপসারণের বিষয়ে নির্বাচনী প্রচারণার সময় তিনি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা বাস্তবায়নের অটল থাকবেন এবং প্রক্রিয়া শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে নির্বাচনী বিজয় উদযাপনে জড়ো হওয়া তার সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন।
মুইজ্জু বলেন, তিনি তার নাগরিকদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে মালদ্বীপে থাকা বিদেশি সামরিক বাহিনীর পক্ষে দাঁড়াবেন না।
তিনি বলেন, ‘জনগণ আমাদের বলেছে যে তারা এখানে বিদেশি সেনার উপস্থিতি চায় না।’
আরও পড়ুন: দলীয় প্রার্থী বিজয়ী হওয়ার পর কারাগারের পরিবর্তে গৃহবন্দী হলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন
ভারত মহাসাগর অঞ্চলে চীনের সঙ্গে ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভারতের জন্য এটি একটি গুরুতর আঘাত। যেখানে শনিবার মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট পদের নির্বাচনকে ভার্চুয়াল গণভোট হিসাবে দেখা হয়েছিল এবং আঞ্চলিক শক্তিগুলোর মধ্যে দ্বীপপুঞ্জে কোনটি সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলবে তাও নির্ধারণের বিষয় ভাবা হয়েছিল।
বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহ ২০১৮ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন। দেশের অভ্যন্তরে ভারতকে একটি অনিয়ন্ত্রিত উপস্থিতির অনুমতি দিয়েছেন মোহাম্মদ মুইজ্জুর এমন অভিযোগের বিরুদ্ধে লড়াই করছিলেন তিনি। মুইজ্জুর দল পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেসকে অধিকহারে চীনপন্থী হিসেবে মনে করা হয়।
মালদ্বীপের একটি দ্বীপে সার্বভৌমত্বের প্রতি ভারতীয় সামরিক বাহিনীর কথিত হুমকি ছিল মুইজ্জুর প্রচারণায় প্রধান বিষয়বস্তু , যা দলটির পক্ষ থেকে বছরের পর বছর ধরে ‘ভারত তাড়ানোর’ কৌশলের অংশ।
অপরদিকে সোলিহ জোর দিয়েছিলেন যে মালদ্বীপে ভারতীয় সেনাবাহিনীর উপস্থিতি শুধুমাত্র দুই সরকারের মধ্যে একটি চুক্তির অধীনে একটি ডকইয়ার্ড তৈরি করার জন্য এবং তার দেশের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করা নয়।
আরও পড়ুন: মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী বিরোধী দলীয় প্রার্থী মোহামেদ মুইজ্জু: স্থানীয় গণমাধ্যম
পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেসের নেতা সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন ২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তাঁর প্রেসিডেন্টের মেয়াদকালে মালদ্বীপকে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনেশিয়েটিভের একটি অংশ করে তোলেন। এশিয়া, আফ্রিকা এবং ইউরোপ জুড়ে বাণিজ্য এবং চীনের প্রভাব সম্প্রসারণের জন্য রেলপথ, বন্দর এবং মহাসড়ক নির্মাণের উদ্দেশ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ইয়ামিনকে রবিবার কারাগার থেকে গৃহবন্দীতে স্থানান্তরিত করা হয়েচে। যা আগামী ১৭ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব নেওয়ার আগেই ইতোমধ্যেই মুইজ্জের প্রচারাভিযানের একটি প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছে।
মালদ্বীপ ভারত মহাসাগরে এক হাজার ২০০টি প্রবাল দ্বীপ নিয়ে গঠিত, যা পূর্ব এবং পশ্চিমের মধ্যে প্রধান শিপিং রুটে অবস্থিত।
আরও পড়ুন: মালদ্বীপের নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী
৪০ জনেরও বেশি কানাডীয় কূটনৈতিককে প্রত্যাহার করতে বলেছে ভারত
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, কানাডাকে তার ৪০ জনেরও বেশি কূটনীতিককে প্রত্যাহার করতে বলেছে ভারত সরকার।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নয়াদিল্লি প্রত্যাহারের জন্য ১০ অক্টোবর পর্যন্ত সময়সীমা নির্ধারণ করেছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতে কানাডার ৬২ জন কূটনীতিক রয়েছে এবং এর আগেও নয়াদিল্লি বলেছিল মোট সংখ্যা কমিয়ে ৪১ জনে নামানো উচিত।
আরও পড়ুন: ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ কানাডা: ট্রুডো
কানাডার মাটিতে একজন খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদীকে হত্যার বিষয়ে নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে অটোয়ার অভিযোগের পর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে গেছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে, ভারত কানাডাকে তার দেশে কূটনৈতিক উপস্থিতি কমাতে বলেছিল।
যদিও ভারত এই দাবিকে অযৌক্তিক আখ্যা দিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর সম্প্রতি বলেছেন, কানাডায় ভারতীয় কূটনীতিকদের বিরুদ্ধে ‘হিংসার পরিবেশ’ এবং ‘ভীতি প্রদর্শনের পরিবেশ’ রয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতের বিশাল কৌশলগত গুরুত্বের তুলনায় কানাডার স্বার্থ ফিকে: বিশেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে বিবিসি
'ফাইভ আইজ' দেশগুলোর গোয়েন্দা তথ্য কানাডাকে শিখ হত্যার সঙ্গে ভারতকে যুক্ত করতে সাহায্য করেছে: মার্কিন কূটনীতিক
দলীয় প্রার্থী বিজয়ী হওয়ার পর কারাগারের পরিবর্তে গৃহবন্দী হলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মুইজ্জু জয়ী হওয়ার পর নির্বাচনী প্রচারণার সময় দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করে কারাগারে বন্দী মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিনকে রবিবার গৃহবন্দী হিসেবে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
ইয়ামিন ২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ঘুষ ও অর্থ পাচারের দায়ে কারাভোগ করছেন। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জের অনুরোধে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহ তাকে বদলির আদেশ দিয়েছেন।
নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু ১৭ নভেম্বর শপথ নেবেন।
দেশটির নির্বাচন কমিশন শনিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফলাফল রবিবার (১ অক্টোবর) প্রকাশ করেছে। এতে মুইজ্জু পেয়েছেন ৫৪ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ ভোট এবং সোলিহ পেয়েছেন ৪৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ ভোট। এর আগে সেপ্টেম্বরের শুরুতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের প্রথম রাউন্ডে আটজন প্রার্থীর কেউই ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পাননি।
আরও পড়ুন: মালদ্বীপের নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী
নির্বাচনটিকে একটি ভার্চুয়াল গণভোট বলে মনে করা হয়েছিল। একটি গুরুত্বপূর্ণ পূর্ব-পশ্চিম শিপিং রুট বরাবর কৌশলগতভাবে অবস্থিত ভারত মহাসাগরের দ্বীপপুঞ্জ দেশ হিসেবে এর উপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলবে আঞ্চলিক শক্তি চীন বা ভারত।
চীনপন্থী হিসেবে পরিচিত মুইজ্জু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তিনি মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সৈন্য সরিয়ে নেবেন এবং দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় রাখবেন।
আরও পড়ুন: মালদ্বীপের শিক্ষার্থীদের দীর্ঘমেয়াদী ভিসা প্রদানের সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা
মালদ্বীপের অনেক নাগরিককে আশ্রয় দেওয়া ভারত মনে করে যে দেশটি তার প্রভাবের অঞ্চলে অবস্থিত। ইয়ামিন প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন মালদ্বীপকে বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের অংশ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করেছে চীন। এশিয়া, আফ্রিকা এবং ইউরোপ জুড়ে বাণিজ্য এবং চীনের প্রভাব সম্প্রসারণের জন্য রেলপথ, বন্দর এবং মহাসড়ক নির্মাণের উদ্দেশ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে চীন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মুইজ্জুকে নির্বাচনে জয়লাভ করায় তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
এক্সে (সাবেক টুইটার) তিনি বলেন, 'ভারত-মালদ্বীপ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতে এবং ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আমাদের সামগ্রিক সহযোগিতা বাড়াতে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
যুক্তরাষ্ট্রও মুইজ্জুকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছে, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও অভিন্ন স্বার্থের ভিত্তিতে দুই দেশের মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্ক রয়েছে।
আরও পড়ুন: মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী বিরোধী দলীয় প্রার্থী মোহামেদ মুইজ্জু: স্থানীয় গণমাধ্যম
দিল্লিতে 'কূটনৈতিক সহায়তার অভাবে' আফগান দূতাবাস বন্ধ
আফগান দূতাবাস জানিয়েছে, ভারতে কূটনৈতিক সমর্থনের অভাব এবং কাবুলে একটি স্বীকৃত সরকারের অনুপস্থিতির কারণে রবিবার থেকে নয়া দিল্লিতে এটি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
এক বিবৃতিতে বলা হয়, তবে আফগান নাগরিকদের জরুরি কনস্যুলার সেবা প্রদান অব্যাহত রাখবে।
এতে আরও বলা হয়, ‘আমাদের জন্য উপলব্ধ কর্মী এবং সংস্থান উভয়ই উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে, এতে কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়া ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠেছে।’
২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলকারী তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি ভারত। দুই বছর আগে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের আগে কাবুল থেকে তাদের নিজস্ব কর্মীদের সরিয়ে নেওয়া হয় এবং সেখানে এখন আর কূটনৈতিক উপস্থিতি নেই।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ১৬ জন আহত
নয়া দিল্লিতে আফগান দূতাবাসটি ভারতীয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে ক্ষমতাচ্যুত আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির পূর্ববর্তী সরকারের নিযুক্ত কর্মীদের দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য করা হয়নি, তবে গত সপ্তাহে এক কর্মকর্তা বলেছিলেন, আফগান রাষ্ট্রদূত বেশ কয়েক মাস আগে ভারত ত্যাগ করেছেন এবং অন্যান্য আফগান কূটনীতিকরা আশ্রয় পাওয়ার পরে তৃতীয় কোনো দেশে চলে গেছেন বলে জানা গেছে।
ভারত বলেছে, তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তারা জাতিসংঘের নেতৃত্ব অনুসরণ করবে।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে ভয়াবহ পঙ্গপালের বিষয়ে সতর্কতা জারি জাতিসংঘের
আফগান দূতাবাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারা ভারত সরকারের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে চেয়েছিল যাতে ভারতে বসবাসকারী, কাজ করা, পড়াশোনা করা ও ব্যবসা করা আফগানদের স্বার্থ সুরক্ষিত থাকে।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ভারতে নিবন্ধিত প্রায় ৪০ হাজার শরণার্থীর প্রায় এক-তৃতীয়াংশই আফগান। তবে এই পরিসংখ্যানে যারা জাতিসংঘে নিবন্ধিত নন তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে।
গত বছর ভারত আফগানিস্তানে গম, ওষুধ, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন এবং শীতবস্ত্রসহ ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়েছিল।
গত বছরের জুনে কাবুলে তাদের দূতাবাসে কর্মকর্তাদের একটি দল পাঠিয়েছিল ভারত।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে নারী শিক্ষা বন্ধে বিশ্ব নীরব: প্রধানমন্ত্রী
মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী বিরোধী দলীয় প্রার্থী মোহামেদ মুইজ্জু: স্থানীয় গণমাধ্যম
মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিরোধী দলীয় প্রার্থী মোহামেদ মুইজ্জু ৫৩ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। স্থানীয় গণমাধ্যম এ খবর জানিয়েছে।
এই নির্বাচন একটি ভার্চুয়াল গণভোটে পরিণত হয়েছে, কারণ এর ফলাফলের ওপর আঞ্চলিক শক্তি ভারত বা চীন ভারত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশটিতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলবে।
মিহারু নিউজ উল্লেখ করেছে, বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ ৪৬ শতাংশ ভোট পেয়েছেন এবং মুইজ্জু ১৮ হাজারেরও বেশি ভোটে জয়লাভ করেছেন। রবিবার আনুষ্ঠানিক ফলাফল প্রকাশ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জয়ের পর এক বিবৃতিতে মুইজ্জু বলেন, ‘আজকের ফলাফলে আমরা দেশের ভবিষ্যৎ গড়ার সুযোগ পেয়েছি। যা মালদ্বীপের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার শক্তি।’
আরও পড়ুন: মালদ্বীপের শিক্ষার্থীদের দীর্ঘমেয়াদী ভিসা প্রদানের সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা
মুইজ্জু সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিনকে কারাগার থেকে গৃহবন্দী করার জন্য সলিহকে অনুরোধ করেন।
মুইজ্জু’র জন্য এটি এক বিস্ময়কর জয়। অর্থ পাচার ও দুর্নীতির দায়ে কারাদণ্ড ভোগ করায় সুপ্রিম কোর্ট ইয়ামিনকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বাধা দেওয়ার পর মনোনয়নের সময়সীমার কাছাকাছি তাকে ‘ফলব্যাক’ প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করা হয়। ইয়ামিনের সমর্থকরা বলছেন, রাজনৈতিক কারণে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: মালদ্বীপের সঙ্গে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের আহ্বান ডিএনসিসি’র
মুইজ্জু’র দলের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা মোহাম্মদ শরীফ বলেন, ‘আজকের ফলাফল আমাদের জনগণের দেশপ্রেমের প্রতিফলন। আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি পূর্ণ সম্মান প্রদর্শনের জন্য আমাদের সকল প্রতিবেশি ও দ্বিপক্ষীয় অংশীদারদের প্রতি আহ্বান রইলো।’
তিনি অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) বলেন, অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত করা এবং ইয়ামিনের মুক্তি ছিল মুইজ্জু’র একটি ম্যান্ডেট।
সেপ্টেম্বরের শুরুতে প্রথম দফার ভোটে মুইজ্জু বা সলিহ কেউই ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পাননি।
২০১৮ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া সলিহ মুইজ্জু’র অভিযোগের বিরুদ্ধে লড়াই করছিলেন। অভিযোগ করা হয়- তিনি দেশটিতে ভারতকে অনিয়ন্ত্রিত উপস্থিতির অনুমতি দিয়েছিলেন। মুইজ্জু’র দল পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেসকে ব্যাপকভাবে চীনপন্থী হিসেবে দেখা হয়।
আরও পড়ুন: মালদ্বীপ ছেড়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট
২০২২ সালে ভারতে বিদেশি পর্যটক আগমনের শীর্ষ তিন উৎস দেশ যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ
২০২২ সালে ভারতে বিদেশি পর্যটক আগমনের(এফটিএএস) শীর্ষ উৎস দেশের তালিকায় উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ।
বিশ্ব পর্যটন দিবসে ভারতীয় পর্যটন মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই তথ্য প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছে পিটিআই।
এতে বলা হয়েছে, ভারতে ২০২২ সালে ৬ দশমিক ১৯ মিলিয়ন বিদেশি পর্যটকের আগমন নথিভূক্ত করেছে, যা ২০২১ সালে ছিল ১ দশমিক ৫২ মিলিয়ন।
২০১৯ -এ প্রাক- মহামারির বছরে ভারতে ১০ দশমিক ৯৩ মিলিয়ন বিদেশি পর্যটকের আগমন হয়েছিল।
কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি এপ্রিলে রাজ্যসভায় এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে বলেছিলেন, মহামারির পরে পর্যটন শিল্প ঘুরে দাঁড়ানোর আশাব্যঞ্জক ইঙ্গিত দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে সপ্তাহব্যাপী বিচ কার্নিভাল ও পর্যটন মেলা শুরু আজ
পর্যটন মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ভারত রাজস্ব থেকে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৫৪৩ কোটি রুপি (১৬ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) বৈদেশিক মুদ্রা পেয়েছে, যা ২০২১ সালের ৬৫ হাজার ৭০ কোটি রুপি থেকে ‘উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি’।
এছাড়াও, মার্কিন ডলারে বিদেশি পর্যটক প্রাপ্তিতে ভারতের অংশ ২ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। প্রতিবেদন অনুসারে, পর্যটক প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিশ্বের ১৪তম স্থানে রয়েছে ভারত।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দিল্লি বিমানবন্দর ২০২২ সালে ভারতের এফটিএ-র জন্য শীর্ষ আটটি বন্দরের ৩১ দশমিক ২১ শতাংশ গঠন করেছিল।
আরও পড়ুন: বিদেশি পর্যটকদের জন্য আমাদের দেশের ভিসা পদ্ধতি সহজ করা উচিত: পর্যটন প্রতিমন্ত্রী
পাকিস্তানে বোমা হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৪
পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উদযাপন সমাবেশে বোমা হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৪ জনে পৌঁছেছে। শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দেশটির কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, শুক্রবার দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ বেলুচিস্তানের মাস্তুং জেলায় ইসলামের শেষ নবী মুহাম্মদের (সা.) জন্মদিন উপলক্ষে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উদযাপন সমাবেশে একজন সন্দেহভাজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী বিস্ফোরণ ঘটায়।
কয়েক মাসের মধ্যে পাকিস্তানে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে করা সবচেয়ে মারাত্মক হামলা ছিল এটি।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘এ হামলায় প্রায় ৭০ জন আহত হয়েছে। যাদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর।’
এখনও পর্যন্ত কেউ এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।
তবে ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর আঞ্চলিক সহযোগীদের দিকে মূলত সন্দেহের তীর রয়েছে। কারণ তারা পাকিস্তানের চারপাশে এর আগেও কয়েকটি মারাত্মক বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে।
বেলুচিস্তানে তাদের এক কমান্ডার নিহত হওয়ার পর আইএস কয়েকদিন আগেও একই এলাকায় একটি হামলা চালায়।
এছাড়াও, শুক্রবার উত্তর-পশ্চিম খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের একটি জেলা হাঙ্গুতে একটি থানার চত্বরে অবস্থিত একটি মসজিদে বিস্ফোরণে কমপক্ষে পাঁচজন নিহত এবং সাতজন আহত হয়।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উদযাপনের সমাবেশে বিস্ফোরণে নিহত ২১
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুই আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী পুলিশ স্টেশনের মসজিদের কাছে আসে। রক্ষীরা একজনকে গুলি করে হত্যা করলেও অন্যজন মসজিদে ঢুকে বিস্ফোরণ ঘটায়।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভিতরে প্রায় ৪০ জন মুসল্লীকে নিয়ে ইটের তৈরি ভবনটি বিস্ফোরণে ধসে পড়ে।
ওই এলাকার পুলিশ প্রধান জাভেদ লেহরি জানিয়েছেন, মাস্তুংয়ে শুক্রবারের বোমা হামলার ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
একটি মসজিদের পাশের খোলা জায়গায় এই হামলা ঘটেছে, যেখানে প্রায় ৫০০ মানুষ জুমার নামাজের পরে নবীর (সা.) জন্মদিন উদযাপনের জন্য একটি মিছিলের জন্য জড়ো হয়েছিল, যা মিলাদুন্নবী নামে পরিচিত।
লেহরি বলেছেন, বেশিরভাগ লাশ স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে এবং অন্যদের দেহাবশেষ নিজ শহরে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, সন্দেহভাজন অপরাধী বা অপরাধীদের ছিল কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য বোমা বিস্ফোরণের স্থান থেকে উদ্ধার করা দেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ডিএনএ পরীক্ষা করা হচ্ছে।
বেলুচিস্তান প্রদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মীর আলি মারদান ডোমকি সাংবাদিকদের বলেছেন, এখন পর্যন্ত তদন্তের সমস্ত ফলাফলে মনে হচ্ছে এটি একটি আত্মঘাতী বোমা হামলা।
তিনি বলেন, কাউন্টার-টেররিজম তদন্তকারীরা সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর জন্য কাজ করছে। শিগগিরই পুরো জাতিকে তদন্তের ফলাফল জানানো হবে।
ডোমকি বলেন, ‘আমরা এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব এবং তাদের আর নিরপরাধ জীবন নিয়ে খেলতে দেবো না।’
তিনি বলেন, ‘সরকার গুরুতর আহত রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য করাচিতে স্থানান্তর করতে চায়। প্রত্যেক আহত ও নিহত ব্যক্তির পরিবার আর্থিক ক্ষতিপূরণ পাবে।’
মাস্তুংয়ের মানুষ নিহতদের উদ্দেশে শোক জানাতে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে। পাকিস্তানের অন্যান্য স্থানেও হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর গাড়িবহরে আত্মঘাতী বোমা হামলা, ৯ সেনা নিহত
একটি ধর্মীয় সংস্থা মজলিস-ই-উলামা নিজামিয়ার সদস্যরা বোমা হামলার নিন্দা জানাতে লাহোর শহরে একটি প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হয়েছিল।
জনতার উদ্দেশে মাওলানা আবদুস সাত্তার সাইদী মাস্তুং ও হাঙ্গুরের নৃশংস হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভি, প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার-উল-হক কাকার, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সাবেক আইন প্রণেতা, রাজনৈতিক দলের প্রধান, সামাজিক ও ধর্মীয় গোষ্ঠী ও সুশীল সমাজের সদস্যরাও বোমা হামলা এবং মানুষের জীবনের ক্ষয়ক্ষতির নিন্দা জানিয়েছেন।
একটি বিবৃতিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরাও ‘পাকিস্তানে জঘন্য ও কাপুরুষোচিত আত্মঘাতী সন্ত্রাসী হামলার’ নিন্দা করেছেন।
তারা ‘এই নিন্দনীয় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অপরাধীদের, সংগঠক, অর্থদাতা ও পৃষ্ঠপোষকদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা এবং তাদের বিচারের আওতায় আনার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন।’
রাষ্ট্রীয় টিভির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলেছেন যে এই ধরনের হামলা প্রকাশ করে যে মুসলমানদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করা ছাড়া সন্ত্রাসীদের আর কোনো লক্ষ্য নেই।
ইসলামাবাদে মার্কিন দূতাবাস এক্স (টুইটার)-এ একটি বিবৃতি পোস্ট করেছে।
যেখানে বলা হয়েছে, ‘পাকিস্তানের জনগণ সন্ত্রাসী হামলার ভয় ছাড়াই তাদের বিশ্বাসকে উদযাপন করার যোগ্য।’
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে গির্জা ও খ্রিস্টানদের বাড়িতে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ১২৯
পাকিস্তানে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উদযাপনের সমাবেশে বিস্ফোরণে নিহত ২১
পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের নবী মুহাম্মদের (সা.) জন্মদিন উদযাপনের একটি সমাবেশে শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণে কমপক্ষে ২১ জন নিহত হয়েছেন। একই সঙ্গে ৫০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দেশটির পুলিশ ও একজন সরকারি কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সরকারি প্রশাসক আতা উল্লাহ জানান, দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বেলুচিস্তান প্রদেশের মাস্তুং জেলায় একটি মসজিদের কাছে এই বোমা হামলা করা হয়েছে। আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আতা উল্লাহ বলেন, নিহতদের মধ্যে একজন জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ নওয়াজও রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, বোমা বিস্ফোরণটি আত্মঘাতী হামলা কি না তা নিশ্চিত করতে কর্মকর্তারা তদন্ত করছেন।
পাকিস্তান ও সারা বিশ্বের মুসলমানরা জনসমাবেশের মাধ্যমে ইসলামের নবী মুহাম্মদের (সা.) জন্মদিন উদযাপন করে। নবীর জন্মবার্ষিকী ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী নামে পরিচিত। এই দিন মুসলমানরা মানুষকে বিনামূল্যে খাবার বিতরণ করে।
নবীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে জঙ্গিরা হামলা চালাতে পারে বলে কর্তৃপক্ষ পুলিশকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে বলেছিল। তার কয়েক দিন পরই শুক্রবারের বোমা হামলার ঘটনা ঘটল।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে ট্রেন দুর্ঘটনায় ৩০ জন আহত
এক বিবৃতিতে দেশটির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরফরাজ বাগতি বোমা হামলার নিন্দা করেছেন এবং প্রাণহানির জন্য দুঃখ ও শোক প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, মিলাদুন্নবীর মিছিলে লোকজনকে টার্গেট করা একটি ‘জঘন্য কাজ’।
পাকিস্তানের সরকার নবী মুহাম্মদের (সা.) জন্মবার্ষিকীর দিনটিতে জাতীয় ছুটি ঘোষণা করেছিল।
রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভি ও তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল-হক-কাকার পৃথক ম্যাসেজে জনগণকে একতা এবং ইসলামের নবীর শিক্ষা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
তাৎক্ষণিকভাবে কেউ শুক্রবারের বোমা হামলার জন্য দায় স্বীকার করেনি। তবে এই হামলায় পাকিস্তানি তালেবানদের সম্পৃক্ত থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) মূল তালেবানের থেকে একটি পৃথক গোষ্ঠী। কিন্তু তারা আফগান তালেবানের ঘনিষ্ঠ মিত্র।
২০ বছর যুদ্ধের পর ২০২১ সালের আগস্টে মার্কিন ও ন্যাটো সৈন্যরা প্রতিবেশী আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের পর তালেবান দেশটির ক্ষমতা দখল করে।
এ ছাড়া, এর আগে বেলুচিস্তান এবং অন্যান্য জায়গায় বেশ কয়েকটি প্রাণঘাতী হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট (ইউএস) গ্রুপ।
আফগানিস্তান ও ইরানের সীমান্তে গ্যাস সমৃদ্ধ দক্ষিণ-পশ্চিম বেলুচিস্তান প্রদেশটি দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে বেলুচ জাতীয়তাবাদীদের নিম্ন-স্তরের বিদ্রোহের স্থান।
বেলুচ জাতীয়তাবাদীরা প্রথমে প্রাদেশিক সম্পদের একটি অংশ চেয়েছিল, কিন্তু পরে তারা স্বাধীনতার আহ্বান জানিয়ে বিদ্রোহ শুরু করে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর গাড়িবহরে আত্মঘাতী বোমা হামলা, ৯ সেনা নিহত
পাকিস্তানে পিকআপে বাসের ধাক্কা, আগুন ধরে নিহত ২০
ইরাকের উত্তরাঞ্চলে বিয়ের অনুষ্ঠানে আগুন লেগে নিহত শতাধিক
ইরাকের উত্তরাঞ্চলে এক খ্রিস্টান বিয়ের আয়োজক হলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১০০ জন নিহত ও ১৫০ জন আহত হয়েছেন। বুধবার কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানিয়েছে বলেছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
কর্তৃপক্ষ বলেছে, ইরাকের নিনেভেহ প্রদেশের হামদানিয়া এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এটি রাজধানী বাগদাদ থেকে প্রায় ৩৩৫ কিলোমিটার (২০৫ মাইল) উত্তর-পশ্চিমে মসুল শহরের ঠিক বাইরে এটি খ্রিস্টান অধ্যুষিত এলাকা।
টেলিভিশন ফুটেজে দেখা গেছে, আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে বিয়ের হলের ওপর দিয়ে আগুনের শিখা ছড়িয়ে পড়ছে।
বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে তাদের অক্সিজেন ও ব্যান্ডেজ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইরাকের কুর্দি অঞ্চলে সামরিক বিমানবন্দরে হামলায় নিহত ৩
নিনেভেহ প্রদেশের স্বাস্থ্য বিভাগ মৃতের সংখ্যা ১১৪ জনে উন্নীত করেছে। ইরাকের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাইফ আল-বদর এর আগে ইরাকের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কে আহতের সংখ্যা ১৫০ বলে জানিয়েছিলেন।
আল-বদর বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থদের ত্রাণ দেওয়ার জন্য সমস্ত প্রচেষ্টা করা হচ্ছে।’
অনলাইনে এক বিবৃতিতে তার কার্যালয় বলেছে, প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি অগ্নিকাণ্ডের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন এবং দেশটির স্বরাষ্ট্র ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের ত্রাণ সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছেন।
নিনেভেহ প্রদেশের গভর্নর নাজিম আল-জুবরি বলেন, আহতদের কয়েকজনকে আঞ্চলিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, আগুনে হতাহতের কোনো চূড়ান্ত সংখ্যা এখনও পাওয়া যায়নি। যা মৃতের সংখ্যা এখনও বাড়তে পারে বলে ইঙ্গিত দেয়।
আরও পড়ুন: ইরাকে তীর্থযাত্রী বহনকারী বাস উল্টে নিহত ১৮
ইরাকে কুর্দি যোদ্ধাদের হামলায় ৬ তুর্কি সেনা নিহত : আঙ্কারা
স্বাধীন ও স্থিতিশীল ইন্দো-প্যাসিফিকের আহ্বান ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের সেনাপ্রধানের
ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে বলেছেন, ভারত একটি মুক্ত ও স্থিতিশীল ইন্দো-প্যাসিফিক বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ; যেখানে সকল জাতির সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে সম্মান করা হয়। কারণ এই অঞ্চলে চীনা প্রভাব নিয়ে বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ বাড়ছে।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আয়োজিত ইন্দো-প্যাসিফিক আর্মি চিফস কনফারেন্সে জেনারেল মনোজ পান্ডে এসব কথা বলেন।
সামরিক কূটনীতি এবং সহযোগিতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রচারের লক্ষ্যে এই কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। ৩০টি দেশের সেনাপ্রধান ও প্রতিনিধিদল দুই দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন, যা বুধবার শেষ হবে।
পান্ডে বলেছেন, এই অঞ্চলের দেশগুলো যখন একটি মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক নিশ্চিতে কাজ করছে, তখন ‘আমরা আন্তঃরাজ্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও প্রতিযোগিতা দেখতে পাচ্ছি।’
পরোক্ষভাবে তিনি চীনের কথা বলেছেন, কেননা দেশটি সম্প্রতি এই অঞ্চলে তার কার্যক্রম বাড়িয়েছে।
পান্ডে বা মার্কিন সেনাপ্রধান র্যান্ডি জর্জ কেউই তাদের মন্তব্যে স্পষ্টভাবে চীনের কথা উল্লেখ করেননি।
একটি প্রেস ব্রিফিংয়ে চীনা সম্প্রসারণ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে জর্জ বলেন, অঞ্চলটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকার। ‘এ কারণেই আমরা এই কনফারেন্স আয়োজন করেছি এবং এজন্যই আমরা প্রশান্ত মহাসাগরের অন্য যে কোনও জায়গার চেয়ে এই অঞ্চলে বেশি সক্রিয়।’
মার্কিন সেনাপ্রধান আরও বলেন, ‘এই সম্মেলন যা প্রমাণ করে... তা হলো (আমাদের) ঐক্য ও প্রতিশ্রুতি।’
পরে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পান্ডে বলেন, ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি সবসময়ই বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান, বলপ্রয়োগ এড়ানো এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা।
তিনি আরও বলেন, সামুদ্রিক নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জগুলো ছাড়াও, আঞ্চলিক বিরোধসহ ‘কৃত্রিমভাবে সম্প্রসারিত দ্বীপগুলোকে রিয়েল এস্টেট অধিগ্রহণ এবং সামরিক ঘাঁটি স্থাপন’-সহ অঞ্চলটি স্থল নিরাপত্তা ঝুঁকি এবং মানবিক উদ্বেগের সম্মুখীন হয়েছে।’
এখানেও চীনের নাম উহ্য রাখেন তিনি।
দ্বীপগুলোর উপর পূর্ব চীন এবং দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের আঞ্চলিক দাবি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পাশাপাশি জাপানের বেইজিংয়ের ছোট প্রতিবেশীকে বিচলিত করেছে।
এদিকে ২০২০ সাল থেকে নয়াদিল্লি ও বেইজিংয়ের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে।
সেসময় হিমালয় লাদাখ অঞ্চলে অনির্ধারিত সীমান্তে সংঘর্ষে মোট ২৪ জন ভারতীয় ও চীনা সৈন্য নেহত হয়। তাদের মধ্যে ২০ জন ছিল ভারতীয় এবং চার জন ছিল চীনা সৈন্য।