এশিয়া
ভারতে সেতু নির্মাণে ব্যবহৃত ক্রেন ধসে ১৬ শ্রমিক নিহত
পশ্চিম ভারতে একটি হাইওয়ে নির্মাণের জায়গায় একটি বিশাল ক্রেন ধসে কমপক্ষে ১৬ জন শ্রমিক নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার (১ আগস্ট) দেশটির জাতীয় দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে।
টেলিভিশনের ফুটেজে মাটিতে ধসে পড়া ক্রেন দেখানো হয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা মুম্বাইয়ের ঠিক বাইরের শহর থানে শহরের কাছে দুর্ঘটনাকবলিতদের খোঁজে অনুসন্ধান করছেন। আহত অন্তত তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ক্রেনটি হাইওয়ে এবং হাই-স্পিড রেলব্রিজ নির্মাণের সময় প্রিকাস্ট বক্স গার্ডার ইনস্টল করতে ব্যবহৃত হয়।
আরও পড়ুন: চীনে বন্যায় ১১ জন নিহত, ২৭ জন নিখোঁজ
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক্স-এ একটি বার্তায় শোক প্রকাশ করেছেন, যা আগে টুইটার নামে পরিচিত ছিল।
তার অফিস একটি পোস্টে বলেছে, ‘যারা মারা গেছে তাদের পরিবারের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা রয়েছে। যারা আহত হয়েছেন তাদের জন্য প্রার্থনা রইলো।’
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে সমাবেশে বোমা হামলায় ৪৪ জন নিহত, আহত প্রায় ২০০
চীনে বন্যায় ১১ জন নিহত, ২৭ জন নিখোঁজ
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, রাজধানী বেইজিংয়ের আশেপাশের পাহাড়ে বন্যায় ১১ জন নিহত হয়েছেন এবং ২৭ জন নিখোঁজ রয়েছে।
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) দেশটির সিসিটিভি চ্যানেল জানিয়েছে, কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টির কারণে কর্তৃপক্ষ ট্রেন স্টেশনগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। দুর্বল সম্প্রদায়ের লোকদের স্কুলের জিমে সরিয়ে নিয়েছে। বাড়িঘর ডুবে গেছে এবং রাস্তাঘাট ভেঙে গেছে।
মৌসুমী বন্যা প্রতি গ্রীষ্মে চীনের বড় অংশে আঘাত হানে, বিশেষ করে আধা-ক্রান্তীয় দক্ষিণে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে সমাবেশে বোমা হামলায় ৪৪ জন নিহত, আহত প্রায় ২০০
তবে দেশটির উত্তরাঞ্চলে এই বছর ৫০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার খবর পাওয়া গেছে।
জুলাইয়ের শুরুর দিকে চংকিং-এর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চলে বন্যায় কমপক্ষে ১৫ জন নিহত হয়েছিল এবং সুদূর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় লিয়াওনিং প্রদেশে প্রায় ৫ হাজার ৫৯০ জন লোককে সরিয়ে নিতে হয়েছিল।
হুবেই প্রদেশের মধ্যাঞ্চলে বৃষ্টি-ঝড়ে বাসিন্দারা বাড়িতে আটকে পড়ে।
সাম্প্রতিক ইতিহাসে চীনের সবচেয়ে মারাত্মক এবং সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক বন্যা ছিল ১৯৯৮ সালে। সেবার ৪ হাজার ১৫০ জন মারা গিয়েছিল।
২০২১ সালে হেনানের কেন্দ্রীয় প্রদেশে বন্যায় ৩০০ জনেরও বেশি লোক মারা গিয়েছিল। সেই বছরের ২০ জুলাই রেকর্ড বৃষ্টিপাতের ফলে প্রাদেশিক রাজধানী ঝেংঝো প্লাবিত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ব্রাজিলে কারাগারে দাঙ্গায় নিহত ৫
পাকিস্তানে সমাবেশে বোমা হামলায় ৪৪ জন নিহত, আহত প্রায় ২০০
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় বাজুর জেলায় রবিবার (৩০ জুলাই) একজন কট্টরপন্থী ধর্মগুরু ও রাজনৈতিক নেতার সমর্থকদের সমাবেশে শক্তিশালী বোমা হামলা করা হয়েছে।
দেশটির পুলিশ ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কমপক্ষে ৪৪ জন নিহত এবং প্রায় ২০০ জন আহত হয়েছে।
সিনিয়র পুলিশ অফিসার নাজির খান বলেন, বাজুর জেলার রাজধানী খারের উপকণ্ঠে মাওলানা ফজলুর রহমানের জমিয়ত উলেমা ইসলাম (জেইউআই) পার্টির কর্মী সম্মেলনে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এপি’র ভিডিওতে দেখা গেছে, বিস্ফোরণের পর বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে আহত ব্যক্তিদের ঘটনাস্থল থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
সমাবেশে আসা ৪৫ বছর বয়সী আদম খান পায়ে ও দুই হাতে স্প্লিন্টারে আঘাত পান।
তিনি বলেন, বিকাল ৪টায় বোমা হামলা হয় এবং তিনি মাটিতে পড়ে যান।
তিনি বলেন, ‘চারপাশে আমি শুধু ধুলো ও ধোঁয়া দেখতে পাই।’
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বন্দুকযুদ্ধে ৩ সেনাসদস্য ও ২ বিদ্রোহী নিহত
কেউ তাৎক্ষণিকভাবে হামলার দায় স্বীকার করেনি, তবে ইসলামিক স্টেট (আইএস) গোষ্ঠী আফগানিস্তানে সীমান্তের বাইরেও হামলা করা শুরু করছে।
খান বলেন, আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
একটি বাজারের কাছে একটি হলের মধ্যে জেইউআই কর্মী সম্মেলন আয়োজন করা হয়। তবে, সমর্থক সংখ্যা বেশি হওয়ায় বাইরে তাঁবু করা হয়। এসময় দলীয় স্বেচ্ছাসেবকরা অনুষ্ঠানস্থলটি পাহারা দিচ্ছিল।
খাইবার পাখতুনখোয়া পুলিশ প্রধান আখতার হায়াত গন্ডাপুর বলেছেন, প্রাথমিক তদন্তে বলা হয়েছে দলীয় স্বেচ্ছাসেবকদের নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও একজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী অনুষ্ঠানস্থলে ঢুকে পড়ে।
তিনি বলেন, বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞরা আলামত সংরক্ষণের জন্য ঘটনাস্থলে চিরুনি অভিযান চালাচ্ছেন।
জেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফয়সাল খান জানান, বিস্ফোরণে নিহত ৪৪ জনের লাশ এবং প্রায় ২০০জন আহত ব্যক্তি খারের প্রধান হাসপাতালে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর এবং তাদের পেশোয়ার এবং পার্শ্ববর্তী জেলা দিরের একটি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ, রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভি এবং অন্যান্য নেতারা এই হামলার নিন্দা করেছেন। তারা আহত ও শোকাহত পরিবারকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ভারী বর্ষণে নিহত ২৫, আহত ১৪৫
নিহতদের মধ্যে রেহমানের দলের স্থানীয় প্রধান মাওলানা জিয়াউল্লাহও রয়েছেন।
সিনেটর আবদুর রশিদ এবং সাবেক সংসদ সদস্য মাওলানা জামালউদ্দিনও মঞ্চে ছিলেন; তবে তিনি অক্ষত রয়েছেন।
রেহমান সমাবেশে ছিলেন না বলে দলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
দলের আঞ্চলিক প্রধান রাশেদ বলেছেন, হামলাটি নভেম্বরে সংসদ নির্বাচনের আগে জেইউআইকে মাঠ থেকে সরানোর চেষ্টা।
তিনি বলেন, এ ধরনের কৌশল কাজ করবে না।
রেহমানকে তালেবানপন্থী ধর্মগুরু বলে মনে করা হয় এবং তার রাজনৈতিক দল ইসলামাবাদের জোট সরকারের অংশ। আসন্ন নির্বাচনের জন্য সমর্থকদের একত্র করতে সারাদেশে সভা-সমাবেশ করছে দলটি।
তিনি বলেন, ‘এই ঘটনায় আমাদের অনেক সহকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন। আমি ফেডারেল ও প্রাদেশিক প্রশাসনকে এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ ও চিকিৎসা সুবিধা দিতে বলব।’
মোহাম্মদ ওয়ালি বলেন, তিনি একজন বক্তার বক্তব্য শুনছিলেন, তখন বিকট বিস্ফোরণে সাময়িকভাবে বধির হয়ে যান।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে কয়লা খনি নিয়ে দুই উপজাতির মধ্যে সংঘর্ষে নিহত ১৫
তিনি বলেন, ‘আমি এক গ্লাস পানি আনতে ওয়াটার ডিসপেনসারের কাছে গিয়েছিলাম, আকস্মিক বোমা বিস্ফোরণের ধাক্কায় আমি মাটিতে পড়ে যাই।’
তিনি বলেন, ‘আমরা হাসিমুখে সমাবেশে এসেছিলাম। কিন্তু হাসপাতালে গিয়ে শেষ পর্যন্ত কান্নারত আহত মানুষ এবং তাদের প্রিয়জনের লাশ নিয়ে স্বজনদের কাঁদতে দেখেছি।’
বাজুর একটা সময় একটি উপজাতীয় অঞ্চল ছিল, কিন্তু এখন একটি জেলা।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী উপজাতীয় অঞ্চল থেকে জঙ্গিবাদ নির্মূল করার জন্য ব্যাপক অভিযান চালানোর আগ পর্যন্ত ইসলামিক জঙ্গিদের একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থল ছিল এটি। জঙ্গিরা এখনও প্রায়ই নিরাপত্তা বাহিনী ও বেসামরিকদের ওপর হামলা চালায়।
তিন দশক পর কাশ্মিরে মহররমের মিছিলের অনুমতি দিয়েছে ভারত
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের রাজধানী শ্রীনগরে তিন দশক পরে বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) প্রথমবারের মতো মহররম উপলক্ষে শিয়া মুসলমানদের একটি ধর্মীয় মিছিল করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
তিন দশকেরও বেশি সময় আগে বিতর্কিত এই অঞ্চলে ভারতবিরোধী বিদ্রোহ শুরু হয়।
মিছিলটি শ্রীনগরের বাণিজ্যিক কেন্দ্র প্রদক্ষিণ করে। এসময় অংশগ্রহণকারীরা বেশিরভাগই কালো পোশাক পরেছিলেন, তারা নিজেদের বুকে আঘাত করছিলেন এবং মাতম (শোকগীতি আবৃত্তি) করছিলেন।
সম্প্রতি সুইডেন ও ডেনমার্কে প্রকাশ্যে পবিত্র কুরআন অবমাননার প্রতিবাদে কেউ কেউ কুরআন নিয়ে এসেছিলেন।
মহররম হলো শিয়া মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে পবিত্র মাস। খ্রিষ্টীয় সপ্তম শতাব্দীতে বর্তমান ইরাকের কারবালার প্রান্তরে এক যুদ্ধে নবী মুহাম্মদ (সা.) এর নাতি ইমাম হুসাইন এবং তার ৭২ জন সঙ্গী শহীদ হন এই মাসে। এই উপলক্ষে শিয়া সম্প্রদায় মাসজুড়ে শোক পালন করে। তবে আশুরা অর্থাৎ মহররমের দশম দিন তারা অধিক শোকাতুর হয়ে উঠেন।
১৯৮৯ সালে ভারত থেকে এই অঞ্চলের স্বাধীনতা বা প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে একীভূত হওয়ার দাবিতে সশস্ত্র বিদ্রোহ শুরু হওয়ার এক বছর পরে শ্রীনগরে মহররমের অষ্টম ও দশম দিনে করা মিছিল নিষিদ্ধ করা হয়। তবে ভারত নিয়ন্ত্রিত অংশের অন্যত্র সমাবেশের অনুমতি ছিল।
ভারত থেকে স্বাধীন হওয়ার এ বিদ্রোহে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক, বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর সদস্য নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: কাশ্মির ইস্যুতে ভারতের সাথে যুদ্ধের বিষয়ে সতর্ক করলেন ইমরান
বিগত বছরগুলোতে বহু মানুষ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মহররমে শোক মিছিলের চেষ্টা করেছে। তবে পুলিশ লাঠিচার্জ করে ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে শক্ত হাতে তাদের দমন করেছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই অঞ্চলের সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে।
শ্রীনগরের বেসামরিক প্রশাসক মহম্মদ আইজাজ বলেছেন, মিছিলটি ছিল ‘শান্তি লাভের উদ্দেশ্যে।’
শিয়া নেতা ও সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে ধারাবাহিক আলোচনার পর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।
কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকটি শর্ত আরোপ করেছে। যার মধ্যে রয়েছে-অংশগ্রহণকারীরা ‘দেশবিরোধী স্লোগান দেবে না বা গুজব রটাবে না। অথবা কোনো জাতীয় প্রতীককে অসম্মান করবে না।’
শাবিব উল হাসান নামে একজন তরুণ অংশগ্রহণকারী বলেন, ‘প্রায় ৩৪ বছরের দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আবার এই ঐতিহাসিক মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার শ্রীনগরে মহররমের অষ্টম দিনের শোকযাত্রা করা হয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ দশম দিনের মিছিলেও নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে কি না তা স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন: কাশ্মিরে ৮ বিদ্রোহী ও ২ ভারতীয় সেনা নিহত
কাশ্মিরি মুসলমানরা দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে, ভারত সরকার কাশ্মিরের হিমালয়ের অমরনাথ তীর্থস্থানে একটি পবিত্র গুহায় বার্ষিক হিন্দু তীর্থযাত্রা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার যুক্তি দিয়ে তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতাকে সীমাবদ্ধ করে।
বর্তমানে দুই মাসের হিন্দু তীর্থযাত্রা চলছে। ভারত জুড়ে কয়েক হাজার হিন্দু তীর্থযাত্রী সেখানে উপস্থিত হয়েছে। গুহা মন্দিরের দিকে যাওয়ার রাস্তাগুলো হাজার হাজার সৈন্য পাহারা দেয়।
২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হিন্দু জাতীয়তাবাদী দলের নেতৃত্বাধীন ভারত সরকার এই অঞ্চলের আধা-স্বায়ত্তশাসন বাতিল করার পর থেকে মুসলমানদের উপর নিষেধাজ্ঞা অনেক বেড়েছে।
সমালোচকরা বলছেন, ভারত সরকার তারপর থেকে ভিন্নমত, নাগরিক স্বাধীনতা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে রোধ করে ‘নয়া কাশ্মির’ বা ‘নতুন কাশ্মির’ তৈরি করার চেষ্টা করেছে।
কর্তৃপক্ষ এই অঞ্চলের প্রধান ধর্মগুরু এবং শীর্ষ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা মিরওয়াইজ উমর ফারুককে তার বাড়িতে বন্দি করেছে। এমনকি এই অঞ্চলের প্রধান মসজিদে বৃহৎ জামাতের নামাজও সীমাবদ্ধ করেছে।
আরও পড়ুন: কাশ্মিরে পাকিস্তানের সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, দুই পাইলট নিহত
এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে ২০২২ সালের দুর্যোগে ৭৫০০ জনের মৃত্যু: ইএসসিএপি
এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চল জলবায়ু-পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট বিপর্যয়ের মোকাবিলায় একটি জটিল পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে এই সতর্কতার কথা বলা হয়েছে।
ইউনাইটেড নেশনস ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক (ইএসসিএপি) -এর সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালে এই অঞ্চলটিতে ১৪০ টিরও বেশি বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। এতে সাড়ে ৭ হাজার মানুষের প্রাণহানি এবং অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে ৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এশিয়া-প্যাসিফিক দুর্যোগ রিপোর্ট-২০২৩ -এ ধারণা করা হয়েছে ২ -ডিগ্রি-সেন্টিগ্রেড উষ্ণায়নের পরিস্থিতিতে এই অঞ্চলটি ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার বা তার জিডিপির ৩ শতাংশের কাছাকাছি বার্ষিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। এই বিপর্যয় এড়াতে এবং দুর্যোগের ঝুঁকি অভিযোজিত ক্ষমতা অতিক্রম করার হুমকির কারণে উন্নয়নকে রক্ষা করার জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আর্মিদা সালসিয়াহ আলিসজাহবানা, জাতিসংঘের আন্ডার-সেক্রেটারি-জেনারেল এবং ইএসসিএপি-এর নির্বাহী সেক্রেটারি বলছেন, তাপমাত্রা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বিপর্যয়ের নতুন ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল সৃষ্টি হচ্ছে এবং বিদ্যমানগুলোও তীব্রতর হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘একটি জরুরি দুর্যোগ অবস্থা চলছে এবং আমাদের অবশ্যই সহনশীলতা তৈরিতে দৃষ্টিভঙ্গিকে মৌলিকভাবে রূপান্তর করতে হবে।’
ইএসসিএপি বহুমাত্রিক বিপদের প্রারম্ভিক সতর্কীকরণ ব্যবস্থায় বিনিয়োগ বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে, যা দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি ৬০ শতাংশ পর্যন্ত কমানোর সম্ভাবনা রাখে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ভারী বর্ষণে নিহত ২৫, আহত ১৪৫
এটি ২০২৭ সালের মধ্যে সকলের জন্য প্রাথমিক সতর্কতা অর্জনের জন্য একটি আঞ্চলিক কৌশলের সঙ্গে লক্ষ্যযুক্ত রূপান্তরমূলক অভিযোজন ব্যবস্থাকে একত্রিত করার এবং সমর্থন করার জন্য অঞ্চলটিকেও আহ্বান জানিয়েছে।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার জুলাইয়ের প্রথম দিকের ভবিষ্যদ্বাণী ২০২৩ সালের দ্বিতীয়ার্ধে এল নিনো অব্যাহত থাকার ৯০ শতাংশ সম্ভাবনার বিষয়ে সতর্ক করে। যা সম্ভাব্যভাবে তাপমাত্রার রেকর্ড ভঙ্গ করবে এবং মহাসাগরসহ বিশ্বের অনেক অংশে চরম তাপ সৃষ্টি করবে।
আরও পড়ুন: তীব্র ঘূর্ণিঝড় ‘বিপর্যয়’: মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত ও পাকিস্তান
চীনে স্কুলে জিমের ছাদ ধসে ১১ জন নিহত
চীনের হেইলংজিয়াং প্রদেশের কিকিহার শহরে একটি মিডল স্কুলের জিমের ছাদ ধসে ১১ জন নিহত হয়েছে। সোমবার (২৪ জুলাই) কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
রবিবার (২৩ জুলাই) বিকালে এই দুর্ঘটনা ঘটার পর থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালানো হয়।
দেশটির সরকারি নিউজ এজেন্সি সিনহুয়া’র তথ্যমতে, স্কুলের ত্রুটিপূর্ণ নির্মাণ কাজের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। শ্রমিকেরা জিমের ছাদে নির্মাণ সামগ্রী জমা করে রাখায় সেগুলো বৃষ্টির পানি শুষে নেয়।
সিনহুয়া জানায়, ৩৪ নম্বর মিডল স্কুলের জিমনেসিয়ামে ১৯ জন ছিলেন। কিন্তু এদের মধ্যে কতজন শিক্ষার্থী ছিল সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
আরও পড়ুন: চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ভূমিধসে খনি শ্রমিক আবাসনে নিহত ১৯
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে খনির ছাদ ধসে ৫জন নিহত
চীনে কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৩৮
নির্মাণ ও শিল্প দুর্ঘটনা চীনে নিয়মিত ঘটনা। মূলত কোম্পানিগুলোর নিরাপত্তা বিধি না মানা এবং দুর্নীতি বা স্থানীয় সরকারি সংস্থাগুলোর দায়িত্বহীনতার অভাবের ফলে এসব দুর্ঘটনা ঘটছে।
এসব সমস্যা বিশেষত দ্বিতীয় ও তৃতীয়-স্তরের শহরগুলোতে তীব্র। যেমন-কিকিহার, যা রাশিয়ার সীমান্তবর্তী হেইলংজিয়াংয়ের চীনা রাস্টবেল্ট প্রদেশে অবস্থিত।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই অঞ্চলে বড় আকারের অর্থনৈতিক পতন এবং বহির্মুখী অভিবাসন ঘটেছে।
ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপে নৌকাডুবিতে নিহত ১৫, নিখোঁজ ১৯
ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপে নৌকা ডুবে অন্তত ১৫ জন নিহত ও ১৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন। সোমবার উদ্ধার কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিরা বিষয়টি জানিয়েছেন।
স্থানীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থার প্রধান মুহাম্মদ আরাফাহ বলেন যে দক্ষিণ-পূর্ব সুলাওয়েসি প্রদেশের বুটন সেন্ট্রাল রিজেন্সির লান্টো গ্রাম থেকে নিকটবর্তী লাগিলি গ্রামে যাওয়ার সময় সোমবার মধ্যরাতে নৌযানটি ডুবে যায়।
মোটামুটি ২০ জন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন কাঠের নৌকাটি ৪০ জন যাত্রী বহন করছিল।
আরাফাহ বলেন, উদ্ধারকারীরা সোমবার উত্তাল সমুদ্রে নিখোঁজ ১৯ জনকে খুঁজছিল। ১৫টি লাশ এবং ৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন যে নিখোঁজদের সন্ধানে তিনটি ইনফ্ল্যাটেবল নৌকা, দু’টি মাছ ধরার নৌকা এবং ছয়জন ডুবুরি মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় স্পিডবোট ডুবে ১১ জন নিহত, নিখোঁজ ১
রবিবার রিজেন্সির নবম বার্ষিকী উদযাপনের জন্য হাজার হাজার বাসিন্দা তাদের গ্রামে ভ্রমণ করেছিলেন এবং এজন্য অনেক মানুষ মাছ ধরা বা যাত্রীবাহী নৌকা ব্যবহার করেছিলেন।
টেলিভিশনের খবরে দেখা গেছে, মাছ ধরার নৌকায় করে লোকজন রাতের অন্ধকারে লাশ উদ্ধার করছে এবং শোকাহত স্বজনরা বন্দর ও স্থানীয় একটি হাসপাতালে তথ্যের জন্য অপেক্ষা করছে।
ইন্দোনেশিয়া ১৭ হাজারেরও বেশি দ্বীপ নিয়ে একটি গঠিত এবং এখানে নৌকা বা ফেরির ব্যবহার খুব সাধারণ একটি বিষয়। নিরাপত্তার মানে ঘটতি এবং ধারণ ক্ষমতার বেশি যাত্রী পরিবহনে প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২১
ইন্দোনেশিয়ায় জ্বালানি ডিপোতে আগুনে নিহত ১৯, নিখোঁজ ৩
ভারতে ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৭
ভারতের মহারাষ্ট্রের একটি গ্রামে চার দিন আগের ভূমিধসে ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৭ জনে পৌঁছেছে। রবিবার (২৩ জুলাই) স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।
জানা যায়, এ দুর্ঘটনায় এখনও প্রায় ৮০ জন নিখোঁজ রয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেকের চাপা পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তবে দুর্গম ভূখণ্ডের কারণে উদ্ধার প্রচেষ্টা ব্যাহত হয়েছে। এখনও অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান ধীরগতিতে এগোচ্ছে।
সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, গ্রামে বসবাসকারী ২২৯ জনের মধ্যে ১৫১ জন নানাভাবে ভূমিধসের শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং ৮ জন আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: ভারতের উত্তরাঞ্চলে রেকর্ড বৃষ্টিপাতে শতাধিক মৃত্যু
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট চলাকালীন সহিংসতায় নিহত ৯
ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনায় ২৯০ জনের বেশি নিহতের ঘটনায় ৩ রেল কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
চীনের ঝিনজিয়াংয়ে 'বন্দিশিবিরের' দাবি ভিত্তিহীন: বাংলাদেশের গণমাধ্যম প্রতিনিধি দলকে অঞ্চলটির বৃহত্তম মসজিদের ইমাম
চীনের ঝিনজিয়াংয়ের বৃহত্তম ঈদ কাহ মসজিদ দেশ-বিদেশের অনেক পর্যটককে আকৃষ্ট করে থাকে।
কাশগর প্রাচীন শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত মসজিদটিকে স্থানীয় নিদর্শনগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে প্রাচীন সিল্ক রোডে অবস্থানের জন্য কাশগর ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
মসজিদের ইমাম মোহাম্মদ জুম্মাহ সফররত বাংলাদেশি গণমাধ্যমের একটি প্রতিনিধি দলকে বলেন, ‘দু’টি প্রধান ধর্মীয় উৎসবের সময় মসজিদটি প্রায় ২০ হাজার মানুষ ধারণ করতে পারে।’
তিনি বলেন, মুসল্লিরা প্রতিদিনের পাঁচ ওয়াক্তের নামাজ ছাড়াও জুমার নামাজের জন্য মসজিদে জড়ো হন।
স্থানীয় কর্মকর্তারা বলেন, কাশগরের বাসিন্দারা ধর্মীয় পর্যটকদের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতির সঙ্গে উন্নত জীবন উপভোগ করে থাকে, এতে তাদের ব্যবসা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে নতুন রপ্তানি গন্তব্য হিসেবে ভাবছে চীনা কফি উৎপাদনকারীরা
ভারতের উত্তরাঞ্চলে রেকর্ড বৃষ্টিপাতে শতাধিক মৃত্যু
ভারতের উত্তরাঞ্চলে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাতের কারণে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা, সড়কে তৈরি হয়ে গর্ত, অনেক ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে। পাশাপাশি যানবাহন আটকা পড়ে তৈরি হয়েছে যানজট। এতে বন্ধ রয়েছে স্কুল ও কলেজ। বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে গত ২ সপ্তাহেরও বেশি সময়ের ভারী বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যায় এখন পর্যন্ত ১০০-এরও বেশি মানুষ মারা গেছেন।
রাজ্য সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কমপক্ষে ৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে গত ৫ দিনে মারা গেছেন ৪২ জন। এছাড়া, ১০০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন পার্বত্য হিমাচল প্রদেশে, যেখানে বন্যার পানিতে গাড়ি, বাস, সেতু ও বাড়িঘর ভেসে গেছে। এই অঞ্চলটি নয়াদিল্লি থেকে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার (৩১০ মাইল) উত্তরে অবস্থিত।
আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টিতে বন্যায় ১৫ জনের মৃত্যু, নয়াদিল্লির স্কুল বন্ধ
রাজ্য সরকারের মুখপাত্র শিশির সিং জানিয়েছেন, উত্তর প্রদেশে বুধবার থেকে বৃষ্টিজনিত ঘটনায় ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তিনি বলেন, এদের মধ্যে ৯ জন পানিতে ডুবে, ২ জন বজ্রপাতে এবং ১ জন সাপের কামড়ে মারা গেছেন।
সরকারি কর্মকর্তারা জানান, নয়াদিল্লিতে একজন এবং ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ৪ জন নিহত হয়েছেন।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শনিবার থেকে হিমাচল প্রদেশের চান্দ্রতাল এলাকায় আটকা পড়া প্রায় ৩০০ জনকে উদ্ধারকরতে হেলিকপ্টার ব্যবহার করেছে কর্তৃপক্ষ। তাদের মধ্যে ৭ জন অসুস্থ ব্যক্তি রয়েছেন, যাদের মঙ্গলবার হেলিকপ্টারে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনায় ২৯০ জনের বেশি নিহতের ঘটনায় ৩ রেল কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
রাজ্যের জরুরি অপারেশন সেন্টার বলছে যে রাজ্যে ভারী বর্ষণ ও ভূমিধসে প্রায় ১৭০টি বাড়ি ধসে পড়েছে এবং আরও ৬০০টি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
নয়াদিল্লিতে যমুনা নদীর নিকটবর্তী আবাসিক এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে। রাস্তা, গাড়ি ও বাড়িঘর ডুবে গেছে। যার ফলে নিচু এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
নয়াদিল্লির শীর্ষ নির্বাচিত কর্মকর্তা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ভারতের রাজধানীর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত যমুনা নদীর পানি ৪০ বছরের রেকর্ড অতিক্রম করে বুধবার সন্ধ্যায় ২০৭ দশমিক ৭১ মিটার (৬৮১ দশমিক ৫ ফুট) পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট চলাকালীন সহিংসতায় নিহত ৯