এশিয়া
ফিলিপাইনে বন্যা ও ভূমিধসে ৩১ জনের মৃত্যু
ক্রান্তীয় ঝড় নালগা দক্ষিণ ফিলিপাইনে আঘাত হানার ফলে প্রবল বর্ষণের কারণে হওয়া আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ৩১ জন মারা গেছেন এবং অন্তত ৯জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
শুক্রবার দেশটির কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
মুষলধারে বৃষ্টি ও ঝড়ের ফলে রাতারাতি আকস্মিক বন্যা শুরু হয়। যার ফলে মিন্দানাও দ্বীপের তিন লাখ মানুষ বাসকারী শহর কোটাবাটো ও এর আশেপাশের এলাকার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
মুসলিম স্বায়ত্তশাসিত মিন্দানাও এর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাগুইব সিনারিম্বো বলেছেন, ক্ষতিগ্রস্তদের বেশিরভাগই বন্যার পানিতে ভেসে গেছে।
তিনি বলেন, মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মিন্দানাও প্রদেশের তিনটি শহর।
আরও পড়ুন: ব্রাজিলে প্রবল বৃষ্টিতে বন্যা ও ভূমিধস, নিহত কমপক্ষে ১৯
সিনারিম্বো টেলিফোনে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) বলেছেন, ‘রাতারাতি বৃষ্টির পানির পরিমাণ অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায় এবং নদীগুলো পানিতে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আশা করি হতাহতের সংখ্যা আর বাড়বে না। তবে এখনও কিছু এলাকা রয়েছে যেখানে আমরা পৌঁছাতে পারিনি।’
সিনারিম্বো বলেছেন, শুক্রবার সকাল থেকে বৃষ্টি কমেছে। যার ফলে বেশ কয়েকটি শহরে বন্যা কমতে শুরু করেছে।
সিনারিম্বো আরও বলেছেন মেয়র, গভর্নর ও দুর্যোগ-প্রতিক্রিয়া কর্মকর্তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে, মিন্দানাওয়ের পার্শ্ববর্তী উপকূলীয় শহর দাতু ওডিন সিনসুয়াত ও দাতু ব্লা সিনসুয়াতে ২৬জন ডুবে মারা যায় এবং বাকি পাঁচজন মাগুইন্দানাওতের উপি শহরে মারা যায়।
সিনারিম্বো বলেন, নিচু গ্রামগুলোতে বন্যার পানি দ্রুত বেড়েছে, কিছু গ্রামবাসী বাড়ির ছাদে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। সেনা সৈন্য, পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকরা যেখান থেকে তাদের উদ্ধার করেছে।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কায় বন্যা ও ভূমিধসে ২১ হাজারের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত
সিনারিম্বো আরও বলেছেন, কোটাবাটো শহরের মতো অনেক এলাকা, যেগুলোতে অনেক বছর ধরে বন্যা হয়নি, সেগুলোও রাতারাতি জলাবদ্ধ হয়ে গেছে।
মিন্দানাওয়ের একটি বন্যা কবলিত শহরের কথা উল্লেখ করে দেশটির দুর্যোগ-প্রতিক্রিয়া কর্মকর্তা নাসরুল্লাহ ইমাম বলেন, ‘উপির একটি এলাকায় বন্যার পানির ওপরে শুধুমাত্র একটি স্কুলের ছাদ দেখা যায়।’
চলতি বছর ফিলিপাইন দ্বীপপুঞ্জে আঘাত হানা ১৬ তম ঝড় নালগাই।
ম্যানিলার প্রাদেশিক আবহাওয়া অফিস বলেছে যে এই ঝড়- বৃষ্টির কারণ গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড় ন্যালগে। যা উত্তর ফিলিপাইনের দিকে অগ্রসর হয়েছে।
সিভিল ডিফেন্স অফিসের আবহাওয়ার পূর্বাভাসকারী স্যাম ডুরান বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় ন্যালগের কারণে প্রায় ৫ হাজার মানুষকে সুরক্ষিতভাবে ঝড়ের কবল থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
ফিলিপাইন অ্যাটমোস্ফিয়ারিক, জিওফিজিক্যাল এবং অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সার্ভিস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বলেছে, ন্যালগে (স্থানীয়ভাবে পায়েং নামে পরিচিত) আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে তীব্র হতে পারে এবং সম্ভবত বন্যা ও বৃষ্টির কারণে ভূমিধস হতে পারে। এবং সেই সঙ্গে প্রচণ্ড ঘূর্ণি বাতাস বইতে পারে।
ফিলিপাইন দ্বীপপুঞ্জে প্রতি বছর প্রায় ২০টি টাইফুন ও ঝড় আঘাত হানে। এটি প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অফ ফায়ার’-এ অবস্থিত। অর্থাৎ এটি প্রশান্ত মহাসাগরের বেশিরভাগ অংশ বরাবর এমন একটি অঞ্চল, যেখানে অনেক আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত এবং ভূমিকম্প ঘটে। যার ফলে দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় এই দেশটি বিশ্বের অন্যতম দুর্যোগ-প্রবণ দেশ হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: ভারতে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে ৩১ জনের মৃত্যু
প্রবীণ রাজনীতিবিদ খাড়গের কাঁধে কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব
প্রবীণ রাজনীতিবিদ মল্লিকার্জুন খাড়গে মঙ্গলবার ২৪ বছরে প্রথম গান্ধী পরিবারের বাইরের হিসেবে ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতৃত্বভার নিয়েছেন।
বুধবার সকালে ভারতের রাজধানীতে অবস্থিত কংগ্রেসের সদর দপ্তরে এক অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী আনুষ্ঠানিকভাবে ৮০ বছর বয়সী এই নেতার কাছে নেতৃত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন।
সোনিয়া প্রায় ২৩ বছর ধরে কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। তার ছেলে রাহুল গান্ধী এক বছরের জন্য এই দায়িত্ব পালন করেন।
দলের নেতাদের উদ্দেশে সোনিয়া বলেন, খাড়গে কংগ্রেস সভাপতির দায়িত্ব নেয়ায় তিনি স্বস্তি পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: ২৪ বছর পর গান্ধী পরিবারের বাইরে কংগ্রেস সভাপতি হলেন মল্লিকার্জুন খাড়গে
তিনি বলেন, ‘সাধ্যমত আমি আমার দায়িত্ব পালন করেছি। আজ এই দায় থেকে মুক্তি পেয়েছি। আমার কাঁধ থেকে একটা ওজন সরে গেছে। আমি স্বস্তির অনুভূতি অনুভব করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটা একটা বড় দায়িত্ব ছিল। দায়িত্ব এখন মল্লিকার্জুন খাড়গের ওপর। দেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সংকট আজকের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।’
১৯ অক্টোবর কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচিত হন খাড়গে। গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে বিবেচিত প্রবীণ এই নেতার কাছে তুলনামূলক তরুণ শশী থারুর বড় ব্যবধানে পরাজিত হন। তিনি জাতিসংঘের এক প্রাক্তন কূটনীতিক।
আরও পড়ুন: ২৪ বছর পর গান্ধী পরিবারের বাইরে সভাপতি পেতে যাচ্ছে ভারতীয় কংগ্রেস
৮০ বছর বয়সী খাড়গের ৫০ বছরের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা রয়েছে। অন্যদিকে ৬৬ বছর বয়সী থারুর জাতিসংঘে প্রায় ৩০ বছর দায়িত্ব পালনের পর ২০০৯ সালে পুরানো এই দলটিতে যোগ দিয়েছেন।
২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জাতীয়তাবাদী বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে কংগ্রেসে পতন দেখা যায়৷ কংগ্রেস বর্তমানে ভারতের হাতেগোনা কয়েকটি রাজ্যে ক্ষমতা ধরে রাখতে পেরেছে।
প্রায়শই দলের খারাপ অবস্থার জন্য দায়ী করায় সোনিয়ার ছেলে রাহুল ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের দৌড়ে দলের লাগাম হাতে নিতে অস্বীকার করেন।
আরও পড়ুন: কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করলেন গোলাম নবি আজাদ
‘আমরা ফিরে আসব’ লিখে কি সতর্কতা দিচ্ছে মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী!
মিয়ানমারের একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক সেনাবাহিনীর হাতে আটক হওয়ার পর মধ্য মিয়ানমারে তার শিরশ্ছেদ করা দেহ বিভৎসভাবে প্রদর্শনের জন্য রেখে দেয়া হয়েছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বৃহস্পতিবার বলেছেন, সেনাবাহিনী সামরিক শাসনের বিরোধিতাকে দমনের চেষ্টা করে বলে অভিযোগ করা অনেকগুলো অপকর্মের সর্বশেষ ঘটনা এটি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা এবং গ্রামীণ ম্যাগওয়ে অঞ্চলের তাউং মিন্ট গ্রামে তোলা ছবিতে দেখা যায়, ৪৬ বছর বয়সী স তুন মো-এর মাথাবিহীন দেহটি স্কুলের বন্ধ গেটের সামনে মাটিতে ফেলে রেখে তার মাথাটি ওপরে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। গত বছর থেকে বন্ধ থাকা স্কুলটিও পুড়িয়ে দেয়া হয়।
সামরিক সরকার বা রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম কেউই এই শিক্ষকের মৃত্যুর তথ্য প্রকাশ করেনি।
গত বছর অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে ক্ষমতা দখলের পর মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী কয়েক হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে। দুই হাজার ৩০০ এর বেশি বেসামরিক মানুষকে হত্যার জন্য দায়ী করা হয় এই জান্তা সরকারকে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস টুইটারে বলেছেন, ‘মিয়ানমার সামরিক শাসকদের দ্বারা ম্যাগওয়ে অঞ্চলে স্কুল শিক্ষককে গ্রেফতারের পর শিরোচ্ছেদ করে বিকৃতভাবে প্রকাশ্যে আনার খবরে আমরা হতবাক।’ ‘শিক্ষককে হত্যা সহ সকল নৃশংস সহিংসতার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে কঠোর প্রতিক্রিয়া দাবি করেন তিনি।’
সেপ্টেম্বরে, উত্তর-মধ্য মায়ানমারের সাগাইং অঞ্চলে বৌদ্ধ বিহারের একটি স্কুলে হেলিকপ্টার হামলায় অন্তত সাতজন তরুণ ছাত্র নিহত হয়। সামরিক সরকার হামলার দায় অস্বীকার করেছে। জাতিসংঘ শিশু অধিকার কমিটি জুন মাসে বলেছে, সেনাবাহিনী দেশটির ক্ষমতা দখলের পর থেকে স্কুল ও শিক্ষা কর্মীদের ওপর ২৬০টি হামলার ঘটনা নথিভুক্ত করেছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার সব সময় একই দাবি করে: ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের পর থেকে মিয়ানমার অশান্ত হয়েছে। নাগরিকরা দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করছে। বিক্ষোভ দমনে নিরাপত্তা বাহিনী মারাত্মক শক্তি প্রয়োগ করেছিল।জান্তা বাহিনীর নিপীড়ন ব্যাপকভাবে সশস্ত্র প্রতিরোধের দিকে পরিচালিত করে। যা পরবর্তীতে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা এটিকে গৃহযুদ্ধ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
দেশটির সেনাবাহিনী গ্রামাঞ্চলে বড় ধরনের অভিযান পরিচালনা করেছে। অভিযানকালে তারা গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া এবং লক্ষাধিক মানুষকে তাদের বাড়িঘর থেকে তাড়িয়ে দেয়া, এমনকি আন্তর্জাতিক বা স্থানীয় কোনও সংস্থাকে তাদের মানবিক সহায়তার সামান্য বা কোনও প্রবেশাধিকার দেয়নি।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য রাখাইনে দীর্ঘদিন ধরেই গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। আন্তর্জাতিক আদালত মনে করছে যে ২০১৭ সালে বিদ্রোহ বিরোধী অভিযানে সেখানে একটি নৃশংস গণহত্যা চালিয়েছে। এতে সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গাদের প্রায় সাত লাখের বেশি সদস্যকে জীবন রক্ষার্থে প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে।
নিহত শিক্ষক স টুন মো একজন প্রবীণ শিক্ষাবিদ ছিলেন।যিনি তার জন্মস্থান থিত নি নাউং গ্রামে দেশের গণতন্ত্রপন্থী সরকার প্রতিষ্ঠিত একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের দায়িত্ব নেয়ার আগে সামরিক সরকার বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন।
সামরিক শাসনের বিরোধী একটি আন্ডারগ্রাউন্ড সংগঠন হলো জাতীয় ঐক্য সরকার। যারা নিজেকে দেশের বৈধ প্রশাসনিক সংস্থা হিসেবে দাবি করে। চলতি বছর দেশের কিছু অংশে একটি অন্তর্বর্তী শিক্ষা ব্যবস্থা হিসাবে স্কুলগুলোর একটি নেটওয়ার্ক খোলা হয়েছে। তারা বিশ্বাস করেছিল নিজেদের রক্ষা করতে এটির প্রতি অনুগত সশস্ত্র মিলিশিয়ারা যথেষ্ট শক্তিশালী।
স টুন মো তার গ্রামের স্কুলে এবং নিকটবর্তী অন্য একটি স্কুলে গণিত পড়াতেন এবং থিট নি নাউং-এর প্রশাসনের সাথে জড়িত ছিলেন, যেখানে তিনি তার পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। তিনি এর আগে ম্যাগওয়েতে একটি বেসরকারি স্কুলে ২০ বছর শিক্ষকতা করেছেন। স্কুলটি ম্যাগওয়ে নামেও পরিচিত।
বৃহস্পতিবার তার মৃত্যুতে দেরীতে একটি বিবৃতিতে এনইউজি-এর শিক্ষা শাখা শোক প্রকাশ করেছে। বিবৃতিতে তাকে এবং অন্যান্য নিহত শিক্ষকদের ‘বিপ্লবী নায়ক’ হিসেবে প্রশংসা করেছে এবং সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে তাদের প্রতিরোধ চালিয়ে যাওয়া শিক্ষক ও ছাত্রদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে।
চলতি মাসে প্রায় ৯০ জন সরকারি সৈন্যের একটি বাহিনী অন্তত বেশ কয়েকটি গ্রাম্য এলাকায় অভিযান চালানোর সময় তার মৃত্যু ঘটে।
একজন গ্রামবাসী ফোনে দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে(এপি) জানিয়েছেন যে তিনি স টুন মো সহ প্রায় দুই ডজন গ্রামবাসীর মধ্যে ছিলেন যারা রবিবার সকাল সাড়ে নয়টায় একটি চিনাবাদাম খেতে একটি কুঁড়েঘরের পিছনে লুকিয়ে ছিলেন। যখন বেসামরিক নাগরিকদের সঙ্গে 80 টিরও বেশি সশস্ত্র সৈন্যের একটি দল এসে পৌঁছায়। আকাশে তাদের সামরিক অস্ত্র দিয়ে গুলি করছিল এবং তারা গাইড হিসেবে বেসামরিক লোকদের নিয়োগ করে অভিযানে অংশ নেয়।
কর্তৃপক্ষের শাস্তি পাওয়ার আশঙ্কা এড়াতে গ্রামবাসী নাম প্রকাশ না করার শর্তে কথা বলেছিলেন। কারণ তারা সৈন্যদের হাতে ধরা পড়েছিল। তাদের ফোন এবং অন্যান্য জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করেছিল তারা। এবং একজন অফিসারের নির্দেশে দল থেকে তিনজনকে আলাদা করেছিল। সে সময় কেবলমাত্র টুন মো স'কে নিয়ে গিয়েছিল।
গ্রামবাসী বলেছিলেন, ‘সে সময় আমাদের মাথা নত ছিল এবং আমরা তাদের দিকে তাকানোর সাহস করিনি। পরে একজন সৈন্য তাকে ডাকল এসো।’ ‘ মোটাসোটা এসো, আমাদের অনুসরণ কর,’ এবং তাকে নিয়ে গেল। সৈন্যরা তার সঙ্গে নম্র আচরণ করেছিল, তাই আমরা ভাবিনি যে এটি ঘটবে’।
তিনি বলেন, স তুন মোকে থিট নি নাউং থেকে এক কিলোমিটার (প্রায় এক মাইল) উত্তরে তাউং মিন্ট গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরের দিন তাকে সেখানে হত্যা করা হয়।
গ্রামবাসী আরও বলেন, ‘সোমবার সকালে জানতে পারি তাকে হত্যা করা হয়েছে। একজন ভালো শিক্ষককে হারানো খুবই দুঃখজনক যার ওপর আমরা আমাদের সন্তানদের শিক্ষার জন্য নির্ভরশীল ছিলাম।’
তাউং মিন্ট গ্রামের আরেকজন গ্রামবাসী বলেছেন, সৈন্যরা চলে যাওয়ার পর সোমবার বেলা ১১টার দিকে তিনি স তুন মো-এর লাশ দেখতে পান।
তাউং মিন্টের গ্রামবাসী বলেছেন , ‘প্রথমে আমি আমার বন্ধুদের ডেকেছিলাম। তারপরে আমি শরীরের দিকে আরও ঘনিষ্ঠভাবে তাকিয়েছিলাম। আমি অবিলম্বে জানতাম যে এটি শিক্ষক স তুন মো। তিনি গত কয়েক মাসে একজন স্কুল শিক্ষক হিসেবে আমাদের গ্রামে যেতেন। তাই আমি তার মুখ চিনতে পেরেছি।’ যিনি নিজের নিরাপত্তার জন্য নাম প্রকাশ না করতে বলেছিলেন।
তার বন্ধুর তোলা ফটোতে শিক্ষকের শরীর ও মাথা দেখা গেছে। সু চির ছবি সম্বলিত একটি পুরনো প্রচারণার পোস্টারে মৃতদেহের উরু ঢেকে দেওয়া হয়েছে।
গ্রামবাসীদের মতে, তার ডান হাত থেকে বিচ্ছিন্ন আঙ্গুলগুলো তার উরুর মধ্যে রাখা হয়েছিল। একটি তিন আঙুলের স্যালুট হল একটি অঙ্গভঙ্গি যা দেশের আইন অমান্য আন্দোলন দ্বারা গৃহীত হয়েছে।, যা ‘দ্য হাঙ্গার গেমস’ সিরিজ দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছে।
রবিবার সৈন্যদের দ্বারা আংশিকভাবে পুড়িয়ে দেওয়া স্কুলের বাইরের দেওয়ালে একটি অশুভ সতর্কবাণীসহ গ্রাফিতি লেখা রয়েছে: ‘আমরা ফিরে আসব, তুমি (অপরাধী) যারা পালিয়েছিল।’
আরও পড়ুন: সীমান্তে মিয়ানমারের হেলিকপ্টার থেকে ব্যাপক গোলা বর্ষণ
মিয়ানমারে স্কুলে হেলিকপ্টার হামলা, ৭ শিক্ষার্থীসহ নিহত ১৩
চীন সীমান্তে ভারতীয় সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, নিহত ৩
উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য অরুণাচল প্রদেশে চীন সীমান্তের কাছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে সশস্ত্র বাহিনীর অন্তত তিন সদস্য নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার সকালে রাজ্যের আপার সিয়াং জেলার মিগিং গ্রামের কাছে একটি পাহাড়ি এলাকায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে বিধ্বস্ত হওয়ার সময় অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টারটি পাঁচ সেনা সদস্যকে বহন করছিল।
ভারতীয় সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এখন পর্যন্ত নিহত তিনজনের মধ্যে দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তৃতীয় লাশটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।’
আরও পড়ুন: ভারতের উত্তরাখণ্ডে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, নিহত ৭
প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা স্থানীয় মিডিয়াকে জানিয়েছেন, তদন্ত করতে আদালতকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এক মাসে অরুণাচল প্রদেশে এটি দ্বিতীয় সামরিক হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনা। চলতি মাসের শুরুর দিকে একই ধরনের হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় একজন পাইলট প্রাণ হারিয়েছেন।
এটিও স্মরণ করা যেতে পারে যে ভারতের প্রথম সামরিক প্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত, তার স্ত্রী এবং ১২ জন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য ২০২১ সালের ডিসেম্বরে দক্ষিণ ভারতে একই রকম হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।
৬৩ বছর বয়সী চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তামিলনাড়ুর ডিফেন্স সার্ভিসেস স্টাফ কলেজে একটি বক্তব্য দিতে যাচ্ছিলেন। যখন এমআই-১৭ ভি৫ হেলিকপ্টারটি একটি পাহাড়ি এলাকায় অবতরণের ঠিক আগে দুর্ভাগ্যজনকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে বিস্ফোরিত হয়ে আগুনে ধরে যায়।
আরও পড়ুন: নবাবগঞ্জে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত: পাইলটের মৃত্যু
হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত: ভারতের সেনা সর্বাধিনায়কসহ ১৩ জন নিহত
ইমরান খানকে অযোগ্য ঘোষণা করল পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন
পাকিস্তানের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে অযোগ্য ঘোষণা করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন।
একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে দেশে দীর্ঘস্থায়ী রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও গভীর করার পদক্ষেপে জড়িত ও সম্পদ গোপন করার অভিযোগ তোলা হয়েছে।
ইমরান খানের মুখপাত্র ফাওয়াদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেছেন যে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন রাজধানী ইসলামাবাদে বহু প্রতীক্ষিত রায় ঘোষণা করেছে। চৌধুরী এই পদক্ষেপের নিন্দা করেন।
আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, নির্বাচন কমিশনের রায়ে খান জাতীয় পরিষদে তার আসন হারাবেন।
সংসদ অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার কয়েক মাস পর সর্বশেষ সিদ্ধান্তটি আসলো।
আরও পড়ুন: ইমরান খানের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে পাকিস্তান সরকার
ইমরান খানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ পুলিশের
নির্বাচন দিতে সরকারকে ৬ দিনের আল্টিমেটাম ইমরান খানের
পুলিৎজার পুরস্কারজয়ী কাশ্মীরি সাংবাদিককে যুক্তরাষ্ট্রে যেতে বাধা
পুলিৎজার পুরস্কারজয়ী কাশ্মীরি ফটোসাংবাদিক বুধবার অভিযোগ করে বলেছেন, বৈধ ভিসা এবং টিকিট থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় অভিবাসন কর্তৃপক্ষ তাকে পুরস্কার গ্রহণের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যেতে বাধা দিয়েছে৷
সানা ইরশাদ মাট্টু নামে ওই সাংবাদিক জানান, সোমবার পুলিৎজার পুরস্কার গ্রহণের জন্য নিউইয়র্কে যাওয়ার কথা ছিল তার, কিন্তু নয়াদিল্লির বিমানবন্দরে কর্মকর্তারা তাকে যেতে বাধা দেন।
মাট্টু বলেন, তাকে কোনো কারণ ছাড়াই বাধা দেয়া হয়েছে এবং তার টিকিট বাতিল করা হয়।
সানা আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সে কাজ করেন। ভারতে কোভিড-১৯ সংকটের সময় কভারেজের জন্য ফিচার ফটোগ্রাফিতে ২০২২ পুলিৎজার পুরস্কার জিতেন তিনি।
মাট্টু বলেন, অভিবাসন কর্মকর্তা তার বোর্ডিং পাস ফেরত দিয়েছেন কিন্তু তিনি বারবার জিজ্ঞেস করলেও কোন উত্তর দেননি। এরপর তাকে তার লাগেজ সংগ্রহের জন্য এয়ারলাইন কাউন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়।
কাশ্মীরি এই সাংবাদিক বলেন, কেন তাকে ভ্রমণে বাধা দেয়া হয়েছে তার কোনও ধারণা নেই। এটা কি আমার কাজের কথা? এটা কি অন্য কিছু? আমাকে বলা উচিত। সমস্যা হল আমি জানি না সমস্যাটা কি।’
ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে ২০২০ সালে প্যারিসে একটি বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে যাওয়ার পথে তাকে বিমানবন্দরে আটকে দেয়া হয়।
সানা ২০১৮ সাল থেকে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের জীবন চিত্রিত করে ফ্রিল্যান্স ফটোসাংবাদিক হিসাবে কাজ করছেন। এই অঞ্চলের বিদ্রোহীরা স্বাধীনতা বা প্রতিবেশি দেশ পাকিস্তানের সাথে একীভূত হওয়ার জন্য লড়াই করছে।
২৪ বছর পর গান্ধী পরিবারের বাইরে কংগ্রেস সভাপতি হলেন মল্লিকার্জুন খাড়গে
ভারতের প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ২৪ বছরে প্রথম গান্ধী পরিবারের বাইরের কোনো সভাপতি পেয়েছে। বুধবার দলটি ৮০ বছর বয়সী মল্লিকার্জুন খাড়গেকে নির্বাচিত করেছে।
গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে বিবেচিত খারগে তুলনামূলক তরুণ শশী থারুরকে বড় ব্যবধানে পরাজিত করেছেন। থারুর হচ্ছেন জাতিসংঘের প্রাক্তন কূটনীতিক।
দিল্লিতে সংবাদমাধ্যমকে দলটির একজন মুখপাত্র জানান, ‘সোমবার অনুষ্ঠিত দলের অভ্যন্তরীণ নির্বাচনে ৯ হাজারের বেশি ভোটের মধ্যে খড়গে প্রায় আট হাজার ভোট পেয়েছেন।’
শিগগিরই অন্তর্বর্তী কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর কাছ থেকে দলের নেতৃত্বভার নিবেন খড়গে।।
স্থানীয় সময় দুপুর ২টায় ফল ঘোষণার পর সাবেক কংগ্রেস প্রধান রাহুল গান্ধী খড়গেকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, ‘কংগ্রেস সভাপতিই হচ্ছেন সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ।’
আরও পড়ুন: সোনিয়া গান্ধী আবার করোনায় আক্রান্ত
আগের দিন থারুর দলের অভ্যন্তরীণ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ‘অত্যন্ত গুরুতর অনিয়মের’ অভিযোগ করেন।
সভাপতি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সোমবার অনুষ্ঠিত হয়। সকল ভারতীয় রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব করে এমন যোগ্য ৯ হাজার ৯১৫ জন কংগ্রেস প্রতিনিধির মধ্যে ৯৬ শতাংশ ভোট দিয়েছেন।
৮০ বছর বয়সী খাড়গের ৫০ বছরের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা রয়েছে। অন্যদিকে ৬৬ বছর বয়সী থারুর জাতিসংঘে প্রায় ৩০ বছর দায়িত্ব পালনের পর ২০০৯ সালে পুরানো এই দলটিতে যোগ দিয়েছেন।
ফ্লেচার স্কুল অব ল অ্যান্ড ডিপ্লোম্যাসি থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করা থারুর ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকাকালীন ভারতের কনিষ্ঠ পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আরও পড়ুন: ২৪ বছর পর গান্ধী পরিবারের বাইরে সভাপতি পেতে যাচ্ছে ভারতীয় কংগ্রেস
২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জাতীয়তাবাদী বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে কংগ্রেসে পতন দেখা যায়৷ কংগ্রেস বর্তমানে ভারতের হাতেগোনা কয়েকটি রাজ্যে ক্ষমতা ধরে রাখতে পেরেছে।
প্রায়শই দলের খারাপ অবস্থার জন্য দায়ী করায় সোনিয়ার ছেলে রাহুল ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের দৌড়ে দলের লাগাম হাতে নিতে অস্বীকার করেন।
আরও পড়ুন: রাহুল গান্ধীকে আটকের পর ছেড়ে দিল দিল্লি পুলিশ
২৪ বছর পর গান্ধী পরিবারের বাইরে সভাপতি পেতে যাচ্ছে ভারতীয় কংগ্রেস
ভারতের প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস প্রায় ২৪ বছর পর বুধবার গান্ধী পরিবারের বাইরে একজন সভাপতি ঘোষণা দিতে যাচ্ছে।
সভাপতি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সোমবার অনুষ্ঠিত হয়। সকল ভারতীয় রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব করে এমন যোগ্য ৯ হাজার ৯১৫ জন কংগ্রেস প্রতিনিধির মধ্যে ৯৬ শতাংশ ভোট দিয়েছেন।
দলের শীর্ষ পদের জন্য দুই প্রতিযোগীর মধ্যে অন্তর্বর্তী কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর ঘনিষ্ঠ বিবেচিত মল্লিকার্জুন খারগে শশী থারুরের বিপরীতে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
যেখানে ৮০ বছর বয়সী খারগের ৫০ বছরের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা রয়েছে। অন্যদিকে ৬৬ বছর বয়সী থারুর জাতিসংঘে প্রায় ৩০ বছর দায়িত্ব পালনের পর ২০০৯ সালে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টিতে যোগ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারে অধ্যাপক আনোয়ারুল করিমের বইয়ের উদ্বোধন
মহাত্মা গান্ধীর মূল্যবোধ সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জাতিসংঘ প্রধানের
কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করলেন গোলাম নবি আজাদ
ভারতের উত্তরাখণ্ডে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, নিহত ৭
ভারতের উত্তরাখণ্ডে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে সাতজন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে রাজ্যের রাজধানী দেরাদুন থেকে প্রায় ১৮০ কিলোমিটার দূরে রুদ্রপ্রয়াগ জেলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা স্থানীয় মিডিয়াকে জানিয়েছেন, ‘উত্তরাঞ্চলীয় ছয়জন তীর্থযাত্রী এবং একজন পাইলট বহনকারী হেলিকপ্টারটি উড্ডয়নের কয়েক মিনিট পরেই কেদারনাথের পবিত্র মন্দিরের কাছে বিধ্বস্ত হয় এবং আগুনে বিধ্বস্ত হয়ে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘চপারটিতে থাকা সাতজনের সবাই দুর্ঘটনায় মারা গেছে। দুর্ঘটনাস্থল থেকে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কংগ্রেসে নেতৃত্বের পরিবর্তন আসছে না
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইটারে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এক টুইটে জানায়, ‘উত্তরাখণ্ডে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় আমরা মর্মাহত। দুর্ঘটনায় শোকাহতদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইলো।’
দুর্ঘটনার কারণ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি।
কর্মকর্তারা বলেছেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে খারাপ আবহাওয়ার কারণে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।’
আরও পড়ুন: তাইওয়ান সমস্যার সমাধান চীনাদেরই করতে হবে: ২০তম সিপিসি সম্মেলনে শি জিনপিং
চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সম্মেলন শুরু: শি জিনপিং ৩য় মেয়াদেও দায়িত্ব পাচ্ছেন
চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কংগ্রেসে নেতৃত্বের পরিবর্তন আসছে না
চীনের চলমান কমিউনিস্ট পার্টির কংগ্রেসের এবাবের মূল বিষয় হলো নেতৃত্বের পরিবর্তন না করে পূর্ব নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা।
ররিবার (১৬ অক্টোবর) শুরু হওয়া সপ্তাহব্যাপী কংগ্রেসটি শি জিনপিংকে নেতা হিসাবে পুনরায় নিযুক্ত করবে। আগামী পাঁচ বছরের জন্য তার নীতির প্রতি প্রতিশ্রুতি পুনর্নিশ্চিত করবে। আশা করা হচ্ছে এর মধ্য দিয়ে সম্ভবত চীনের আধুনিক ইতিহাসের অন্যতম শক্তিশালী নেতা হিসাবে তার মর্যাদা আরও উন্নত করবে।
এখন পর্যন্ত কী হয়েছে এবং কী হতে চলেছে তার এক নজর যা জানা যায়:
নেতৃত্বের স্থিতিবস্থাএবারের কংগ্রেসে দলটির মধ্যে কোন রকম পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। আর শি জিং পিকে এই নেতৃত্বর আসনে বসানো হয়েছিল গত ১০ বছর আগে। যদিও তখন পর্যন্ত এটি স্পষ্ট ছিল না।
তখন থেকে চীনকে আভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিকভাবে নতুন করে সাজিয়েছেন শি। সামরিক বাহিনী বিতর্কিত অঞ্চলের দাবি করেছে। চীনা কূটনীতিকরা আরও দৃঢ় হয়ে বলেছে যে চীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যদের দ্বারা নিগৃহীত হবে না।
ক্ষমতারোহনের পর শি অর্থনীতি ও সমাজের ওপর শক্তিশালী রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে এনেছেন। অপরদিকে ভিন্নমতকে দমনে সেন্সরশিপ ও গ্রেপ্তারের হার বাড়ান। একইসঙ্গে দুর্নীতির বিরুদ্ধে নজিরবিহীন ক্র্যাকডাউনে কিছু রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীসহ শত শত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছে।
আরও পড়ুন: চীন তিস্তা খনন করতে পারলে এ অঞ্চলের মানুষের জীবন বদলে যাবে: রাষ্ট্রদূতরবিবার উদ্বোধনী অধিবেশনে শি এক ঘণ্টা এবং ৪৫ মিনিটের দলীয় প্রতিবেদনের বক্তব্যে সবার জন্য বার্তা দেন। যেখানে তিনি জাতির ‘পুনরুজ্জীবন’ বলে অভিহিত করার দিকে দলের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
একাদশকে উন্নীতশি ইতোমধ্যে প্রতিযোগীদের দূরে সরিয়ে দিয়েছেন এবং ক্ষমতা দৃঢ় করেছে। প্রশ্ন হলো তিনি আরও বেশি ক্ষমতা লাভ করবেন কিনা-এবং সেটি কীভাবে?
কার্যত, তিনি সামরিক, বৈদেশিক নীতি, অর্থনীতি এবং অন্যান্য বেশিরভাগ বিষয়ে একই সঙ্গে দলীয় কার্যনির্বাহীতে নিজেকে প্রধানের দায়িত্বে রেখেছেন।
প্রতীকীভাবে, ‘শি জিনপিং চিন্তাধারা’ নামে পরিচিত তার মতাদর্শ ২০১৭ সালের পূর্ববর্তী কংগ্রেসে পার্টি কংগ্রেসে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।
সংবিধানের আরেকটি সংশোধনী এই সপ্তাহের কংগ্রেসের আলোচ্যসূচিতে রয়েছে। সেবিষয়ে বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করা না হলেও বিশ্লেষকরা বলছেন এটি দলে তার মর্যাদা আরও বাড়াতে পারে।
নতুন নেতৃত্বকংগ্রেসের সমাপনীর পরের দিন পার্টির পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য তার শীর্ষ নেতৃত্বের উন্মোচন করার রেওয়াজ রয়েছে। পলিটব্যুরো স্ট্যান্ডিং কমিটির নামযুক্ত ছোট দলটি প্রথমবারের মতো যখন তারা মঞ্চে হেঁটে আসে তখন তা চিহ্নিত হয়।তৃতীয়বারের মতো পাঁচ বছরের মেয়াদ পেয়ে শি শীর্ষে থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এটি দলের নেতাদের দুই মেয়াদের পরে পদত্যাগ করার জন্য একটি অলিখিত চুক্তির সাথে বিলীন হবে।
স্থায়ী কমিটিতে বর্তমানে আরো সাতজন সদস্য রয়েছেন। তারা শির ভবিষ্যত এবং নীতির দিকনির্দেশনা দিতে পারে।তিনি অনুগতদের দিয়ে কমিটি স্তূপাকার করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে চীনের অর্থনৈতিক মন্দা তাকে রাষ্ট্র-চালিত অর্থনীতির প্রতি তার উৎসাহ কমাতে এবং আরও বাজার-ভিত্তিক পদ্ধতির সমর্থকদের অন্তর্ভুক্ত করতে বাধ্য করবে কিনা।
২০১৭ সালে বর্তমান স্থায়ী কমিটির জন্য কোনও সুস্পষ্ট উত্তরসূরি বাছাই করা হয়নি। যা ইঙ্গিত দেয় যে শি তৃতীয় মেয়াদের জন্য ইঙ্গিত দেয়। আবার এটি করা তার আরও দীর্ঘ থাকার পরিকল্পনা করার পরামর্শ দেবে।সপ্তাহ শেষের জন্য অপেক্ষা করুন
এই সপ্তাহের বেশিরভাগ অধিবেশন রুদ্ধদ্বার হওয়ায় সপ্তাহ না গড়ানো পর্যন্ত এর কিছুই জানার সম্ভাবনা নেই। সংবিধানের যেকোনো সংশোধনী সাধারণত শনিবারের সমাপনী অধিবেশনে ঘোষণা করা হবে এবং রবিবার নতুন নেতৃত্ব বাছাই হবে।কোভিড শূন্য নীতি
আরও পড়ুন: ‘কিছু ভুল বোঝাবুঝি বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে’মহামারির বিধিনিষেধ অনেক চীনাদের ক্লান্তির কারণ যা জীবন এবং অর্থনীতিকে ব্যাহত করেছে। আরও তাৎক্ষণিক প্রশ্ন হলো পার্টি কংগ্রেসের পরে কোনও শিথিলতা আছে কি না। উত্তর সম্ভবত অবিলম্বে নয় এবং পরিবর্তনগুলো যখন আসে তখন সম্ভবত ধীরে ধীরে হবে।
কমিউনিস্ট পার্টি সর্বদা কংগ্রেসের চারপাশে একটি ইতিবাচক আলোতে দেশকে চিত্রিত করতে এবং কোনও সামাজিক বিঘ্ন এড়াতে আগ্রহী। এর মধ্যে বড় একটি হলো কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব।
তবে কংগ্রেসের পরেও ভ্রমণ এবং অন্যান্য নিষেধাজ্ঞাগুলো শিথিল করা হলে কোভিড-১৯ কতটা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়বে তা অনিশ্চিত থাকবে। তাই দলীয় কর্মকর্তারা এটিকে স্বাভাবিক করার বিষয়ে সতর্ক থাকবেন।
এছাড়াও সবসময় চিন্তা করার জন্য আরেকটি বড় ঘটনা আছে। পার্টি কংগ্রেসের ফলোআপ হিসেবে চীনের আইনসভা সম্ভাব্য আগামী বছরের মার্চে মাসে মিলিত হবে। অনেক চাইনিজ অন্তত সেটি পার না হওয়া পর্যন্ত কোনো কাজের প্রস্তুতি নিচ্ছে না।
আরও পড়ুন: চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সম্মেলন শুরু: শি জিনপিং ৩য় মেয়াদেও দায়িত্ব পাচ্ছেন