এশিয়া
শ্রীলঙ্কায় বন্যা ও ভূমিধসে ২১ হাজারের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত
শ্রীলঙ্কায় গত ৪৮ ঘণ্টায় বন্যা ও ভূমিধসে পাঁচ হাজারের বেশি পরিবারের ২১ হাজার ৮৮৮ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসময় দুজন প্রাণ হারিয়েছেন। শনিবার দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র (ডিএমসি) এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ডিএমসি জানিয়েছে, ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে দেশটির ১১১টি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।এছাড়া নিরাপত্তার জন্য ২৬৪ জনকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলির মধ্যে রয়েছে- হাম্বানটোটা, গলে, ত্রিনকোমালি, কিলিনোচ্চি, গাম্পাহা, কলম্বো, পুট্টালাম ও ক্যান্ডি।
ডিএমসি আরও জানিয়েছে, আগামী দিনগুলোতে দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: হংকংয়ে রেকর্ড ৪৯.৯ মিলিয়ন ডলারে গোলাপী হীরা বিক্রি
জাপানের ওপর দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়লো উ. কোরিয়া
থাইল্যান্ডে দিবাযত্ন কেন্দ্রে হামলা, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৬
পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত কবি কৃষ্ণ ধর আর নেই
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত কবি, সাংবাদিক ও লেখক কৃষ্ণ ধর আর নেই। বুধবার (১২ অক্টোবর) স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কলকাতার একটি হাসপাতালে তিনি মারা যান।
মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর (১৯২৮-২০২২)। তিনি দুই মেয়ে ও তিন নাতিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
কৃষ্ণ ধরের জন্ম ১৯২৮ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি ব্রিটিশ শাসিত ভারতের অধুনা বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার কিশোরগঞ্জের কমলপুর গ্রামে। তিনি কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর এইচ ই হাই স্কুল থেকে ১৯৪৩ সালে ম্যাট্রিক, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ফেনী কলেজ থেকে ১৯৪৫ সালে আইএ পাশ করে কলকাতায় চলে যান। স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে অর্থশাস্ত্রে স্নাতক হন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৪৯ সালে বাংলা সাহিত্যে এমএ পাশ করেন।
আরও পড়ুন: দেশে ক্যান্সার রোগী ১৫ লাখ, প্রতিবছর মারা যান দেড় লাখ
লেখাপড়া শেষ করে কলকাতার দেশবন্ধু গার্লস কলেজে অধ্যাপনা দিয়ে তার কর্মজীবন শুরু হয়। ১৯৫২ সালে কলকাতা থেকে প্রকাশিত বাংলা দৈনিক ‘যুগান্তর’ পত্রিকার সহকারী-সম্পাদক হন। পরে তিনি সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ১৯৯০ সাল থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি দৈনিক বসুমতীর সম্পাদক ছিলেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তিনি সাংবাদিকতা বিষয়ে অধ্যাপনা করেছেন।
তিনি ছিলেন একজন সাহিত্যপ্রেমী মানুষ। সাহিত্যকর্মে তার বিচরণ ছিল অতুলনীয়। বাংলা সাহিত্য নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তরে পড়াশোনার সময়ই লেখালেখির হাতেখড়ি হয় তাঁর। এমএ পাশের আগেই ১৯৪৮ সালে তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘অঙ্গীকার’ প্রকাশিত হয়। তারপর অধ্যাপনা ও সাংবাদিকতার সঙ্গে সমানভাবে সাহিত্যচর্চা করেছেন। কবিতার পাশাপাশি কাব্যনাটক, ভ্রমণকাহিনী, সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা, নিজের ধারণা রচনাসম্ভারে ঠাঁই হয়। বিশ শতাব্দীর পাঁচ ও ছয়ের দশকের একজন বিশিষ্ট বাঙালি কবি-সাহিত্যিক ও সাংবাদিক ছিলেন কৃষ্ণ ধর।
তাঁর উল্লেখযোগ্য কবিতা ও কাব্যনাটক - 'অঙ্গীকার' (১৯৪৮), ‘প্রথম ধরেছে কলি' (১৯৫৬), 'এ জন্মের নায়ক' (১৯৬১), 'এক রাত্রির জন্য' (১৯৬৭)
সাহিত্য বিষয়ক গ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- 'আধুনিক কবিতার উৎস' (১৯৬১), 'সাহিত্যের সাজঘর' (২০১৫)।
এছাড়া ভ্রমণকাহিনী নিয়ে তাঁর অন্যতম লেখা বই- 'মস্কো থেকে দেখা' (১৯৭৪), 'অন্য দেশ অন্য নগর' (১৯৮১)।
ইতিহাস নিয়ে লেখালেখিতেও তিনি পিছিয়ে ছিলেন না। ইতিহাস নির্ভর তাঁর উল্লেখযোগ্য লেখা বই -'মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ' (১৯৭১), 'ভারতের মুক্তি সংগ্রামে বাঙালি' (১৯৯৭), 'কলকাতার তিন শতক' (১৯৮৯)।
সাংবাদিকতার অঙ্গনেও তিনি ছিলেন অগ্রপথিক। সাংবাদিকতার ওপর লিখেছেন বই। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো - 'সাংবাদিকতার দর্শন: আদর্শ ও বিচ্যুতি' (২০০৩)।
জীবনের নানা কর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি পেয়েছেন পুরস্কার, সম্মাননা। সাহিত্যচর্চার জন্য কবি কৃষ্ণ ধর বিভিন্ন সময়ে পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। ২০০৪ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার কবিকে নজরুল পুরস্কার প্রদান করে। আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘আট দশক সাতকাহন’ এর জন্য মোজাফফর আহমেদ স্মৃতি পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: দেশে প্রতিবছর স্তন ক্যান্সারে মারা যান ৭ হাজার নারী
দাফনের পর গোলাপি ফিরে বললেন তিনি মারা যাননি
হংকংয়ে রেকর্ড ৪৯.৯ মিলিয়ন ডলারে গোলাপী হীরা বিক্রি
হংকংয়ে নিলামে একটি গোলাপী হীরা ৪৯ দশমিক ৯ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়েছে। শুক্রবার বিক্রি হওয়া হীরার প্রতি ক্যারেটের সর্বোচ্চ দামের জন্য বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে।
নিলামকারী প্রতিষ্ঠান সোথেবির হংকং ১১ দশমিক ১৫-ক্যারেটের উইলিয়ামসন পিঙ্ক স্টার নামের হীরাটিকে নিলামে তোলে। যা ৩৯২ মিলিয়ন হংকং ডলারে (৪৯ দশমিক ৯ মিলিয়ন ডলারে) বিক্রি হয়েছে।
দুটি কিংবদন্তি গোলাপী হীরা থেকে এর নাম উইলিয়ামসন পিঙ্ক স্টার রাখা হয়েছে। প্রথমটি হল ২৩ দশমিক ৬০-ক্যারেট উইলিয়ামসন হীরা যা ১৯৪৭ সালে প্রয়াত রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথকে বিয়ের উপহার হিসেবে উপহার দেয়া হয়েছিল এবং দ্বিতীয়টি ৫০ দশমিক ৬০-ক্যারেটের পিঙ্ক স্টার হীরা, যা ২০১৭ সালে নিলামে রেকর্ড ৭১ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়েছিল।
উইলিয়ামসন পিঙ্ক স্টার নিলামে উপস্থিত হওয়া দ্বিতীয় বৃহত্তম গোলাপী হীরা। রঙিন হীরাগুলোর মধ্যে গোলাপী হীরা সবচেয়ে বিরল ও মূল্যবান।
ডায়মন্ডসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক টোবিয়াস কোরমিন্ড (৭৭) জানান, এটি একটি অভূতপূর্ব ফলাফল, দুর্বল অর্থনীতির মধ্যেও শীর্ষ হীরার এত বেশি দামে বিক্রি হওয়াটা এর দুস্প্রাপ্যতা প্রমাণ করে।’
তিনি আরও জানান,‘বিশ্বের কিছু উচ্চ মানের হীরার দাম গত ১০ বছরে দ্বিগুণ হয়েছে।’
ভারতের নাসিকে বাসে আগুন লেগে ১১ জনের মৃত্যু
ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রে একটি ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষের পর একটি বাসে আগুন লেগে ১১ জন নিহত এবং ৩৮ জন আহত হয়েছে। শনিবার ভোর সোয়া ৫টার দিকে রাজ্যের নাসিক জেলার ঔরঙ্গাবাদ সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নাসিক পুলিশের ডেপুটি কমিশনার অমল তাম্বে স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন,‘নিহতদের বেশিরভাগই বাসের যাত্রী। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।’
দুর্ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: ভারতের উত্তরাখণ্ডে বরযাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ২৫
স্থানীয় টিভি চ্যানেলগুলো জানিয়েছে, বাসের কিছু যাত্রী আগুনে পুড়ে মারা গেছেন এবং অন্যরা সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ৫ লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন।
ভারতে প্রায়ই সড়ক দুর্ঘটনায় বিপুল প্রাণহানি ঘটে। দেশটিতে প্রতি চার মিনিটে একটি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। সে হিসেবে দেশটিতে প্রতি বছর ১০ লাখেরও বেশি মানুষ সড়কে প্রাণ হারায়। দুর্ঘটনার জন্য প্রায়শই ভাঙাচোরো রাস্তা, বেপরোয়া গাড়ি চালানো এবং ট্রাফিক আইন না মেনে চলাকে দায়ী করা হয়।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারত সরকার কঠোর ট্র্যাফিক আইন প্রয়োগ করতে ব্যর্থ হওয়ায় দুর্ঘটনার হার বাড়ছে।
আরও পড়ুন: থাইল্যান্ডে দিবাযত্ন কেন্দ্রে হামলা, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৬
থাইল্যান্ডে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রে বন্দুকধারীর গুলি, নিহত ৩০
থাইল্যান্ডে দিবাযত্ন কেন্দ্রে হামলা, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৬
থাইল্যান্ডের একটি দিবাযত্ন কেন্দ্রে সাবেক এক পুলিশ অফিসারের হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৬ জনে দাঁড়িয়েছে। দেশটির ইতিহাসে মারাত্মক তাণ্ডব চালানো এই ঘটনায় প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের গুলি করে হত্যা করা হয়। পালিয়ে যাওয়ার সময় ওই পুলিশ কর্মকর্তার গুলিতে আরও অনেকেই নিহত হয়।
এ বছরের শুরুর দিকে হামলাকারীকে বরখাস্ত করা হয় এবং তিনি নিজ ঘরে সন্তান ও স্ত্রীকে হত্যা করার পর আত্মহত্যা করেন।
থাই পাবলিক ব্রডকাস্টিং সার্ভিসকে (থাই পিবিএস) এক শিক্ষক বলেন, হামলাকারী গাড়ি থেকে নেমে এসে বাইরে দুপুরের খাবার খাওয়া একজনকে গুলি করে। এরপর আরও গুলি চালায়। পুনরায় গুলি চালানোর জন্য যে বিরতি নিয়েছিল হামলাকারী, সে সময়ের মধ্যে শিক্ষক পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।
নাম না জানিয়ে রুদ্ধশ্বাস অবস্থায় এই নারী বলেন, ‘আমি দৌড়ে ফিরে যেয়ে দেখি শিশুরা ঘুমিয়ে আছে। শিশুদের বয়স দুই-তিন বছর হবে।’
অন্য একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, দিবাযত্ন কেন্দ্রের কর্মীরা দরজা বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু বন্দুকধারী দরজায় গুলি চালাতে থাকে।
আরও পড়ুন: থাইল্যান্ডে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রে বন্দুকধারীর গুলি, নিহত ৩০
নাম না জানানো এই প্রত্যক্ষদর্শী থাইল্যান্ডের কম চাদ লুয়েক টেলিভিশনকে বলেন, ‘যে শিক্ষিকা মারা গেছেন, তার কোলে একটি শিশু ছিল। আমি ভাবিনি যে সে শিশুদের হত্যা করবে! তবে সে দরজায় গুলি করে এবং ঠিক সেদিক থেকেই গুলি চালায়।’
পুলিশের মুখপাত্র আর্চায়ন ক্রাইথং বলেন, অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। যাদের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা গুরুতর।
দেশটির অন্যতম দরিদ্র অঞ্চল থাইল্যান্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ নংবুয়া লাম্পুর গ্রামীণ শহর উথাই সাওয়ানে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
পুলিশ হামলাকারীকে সাবেক পুলিশ অফিসার পানিয়া কামরাপ (৩৪) হিসেবে শনাক্ত করে। পুলিশের মেজর জেনারেল পাইসাল লুয়েসমবুন পিপিটিভিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, মাদকের অভিযোগের কারণে তাকে এ বছরের শুরুতে বাহিনী (পুলিশ) থেকে বরখাস্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: কাবুলে শিক্ষাকেন্দ্রে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত ১৯: তালেবান
এক ফেসবুক পোস্টে থাই পুলিশ প্রধান জেনারেল ডুমরংসাক কিত্তিপ্রপাস বলেন, পুলিশের সার্জেন্ট হিসেবে কর্তব্য পালন করা এই ব্যক্তির শুক্রবার আদালতে মেথামফেটামিন জড়িত মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। এবং অনুমান করা হচ্ছে, যেহেতু দিবাযত্ন কেন্দ্রটি তার বাড়ির কাছে তাই তিনি এটি বেছে নিয়েছেন।
এর আগে ডুমরংসাক সাংবাদিকদের বলেছেন যে ব্যবহৃত প্রধান অস্ত্রটি ছিল একটি ৯ এমএম পিস্তল এবং এটি সে নিজেই কিনেছিল। পয়সাল জানান, তার কাছে একটি শটগান ও একটি ছুরিও ছিল।
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রয়ুথ চ্যান-ওচা সাংবাদিকদের বলেন, সাবেক কর্মকর্তার ব্যক্তিগত সমস্যা ছিল বলে প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গেছে। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর ঘটনাস্থল পরিদর্শনের কথা আছে।
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনা ঘটা ঠিক হয়নি। আমি নিহত ও তাদের স্বজনদের প্রতি গভীর শোক বোধ করছি।’
পুলিশ নিহতের সংখ্যার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ দেয়নি। তবে তারা বলেছে যে দিবাযত্ন কেন্দ্রে অন্তত ২২ শিশু ও দুইজন প্রাপ্তবয়স্ক নিহত হয়েছে। অন্যত্র আরও অন্তত দুই শিশু নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: মেক্সিকোর দক্ষিণে সিটি হলে মাদক চক্রের হামলায় ২০ জন নিহত
থাই টিবিএস টেলিভিশন অনুসারে, হামলায় নিহতদের পরিবারের কয়েকজন সদস্য রাত পর্যন্ত হামলার ঘটনাস্থলেই ছিলেন। মানসিক স্বাস্থ্যকর্মীরা তাদের সাথেই বসে ছিলেন, তাদেরকে শান্ত করার চেষ্টা করছিলেন।
থাইল্যান্ডে আগ্নেয়াস্ত্র সংক্রান্ত মৃত্যুর হার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলের তুলনায় বেশ কম। তবে জাপান ও সিঙ্গাপুরের তুলনায় বেশি, যেখানে কঠোর বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইন রয়েছে। ২০১৯ সালে আগ্নেয়াস্ত্র সংক্রান্ত মৃত্যুর হার প্রতি এক লাখে প্রায় ৪টি ছিল, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি এক লাখে জনে প্রায় ১১টি এবং ব্রাজিলে প্রতি এক লাখে জনে প্রায় ২৩টি৷
আরও পড়ুন: থাইল্যান্ডে মিউজিক পাবে আগুন, নিহত অন্তত ১৩
থাইল্যান্ডে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রে বন্দুকধারীর গুলি, নিহত ৩০
থাইল্যান্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বৃহস্পতিবার একটি শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রে বন্দুকধারীর গুলিতে ৩০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশের মেজর জেনারেল আচায়ন ক্রাইথং বলেন, নোং বুয়া লাম্পু শহরের কেন্দ্রে বিকালে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
তিনি বলেন, হামলাকারী ৩০ জনকে হত্যা করেছে। তিনি আর বিস্তারিত কিছু জানান নি।
আঞ্চলিক পাবলিক অ্যাফেয়ার্স অফিসের একজন মুখপাত্র বলেছেন, এখন পর্যন্ত ২৬ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৩ জন শিশু, দু’জন শিক্ষক এবং একজন পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছেন।
থাই গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, হামলায় বন্দুকধারী ছুরি ব্যবহার করে। পরে ভবন থেকে পালিয়ে যায়।
ছবিতে সাদা চাদরে ঢাকা কেন্দ্রের মেঝেতে কমপক্ষে দুটি লাশ দেখা গেছে।
বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম আততায়ীকে একজন সাবেক পুলিশ অফিসার হিসাবে চিহ্নিত করেছে, তবে তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা যায়নি।
পড়ুন: গাম্বিয়ায় ৬৬ শিশুর মৃত্যু, ভারতের তৈরি সিরাপ নিয়ে ডব্লিউএইচও’র সতর্কবার্তা
ইউক্রেনের ৪ অঞ্চল রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত, স্বাক্ষর করলেন পুতিন
ভারতের উত্তরাখণ্ডে বরযাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ২৫
কলকাতার কারিগরদের রঙ, ছাঁচে দুর্গাপূজার প্রতিমা
বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎসব দুর্গাপূজা উদযাপনে হাজার হাজার মানুষ ‘সিটি অব জয়’ খ্যাত কলকাতার রাস্তায় জড়ো হয়েছে। এ যেন উচ্ছ্বসিত আত্মার ভেসে বেড়ানো!
শনিবার থেকে শুরু হওয়া পাঁচদিনের উৎসবটি হিন্দু দেবী দুর্গার কাছে প্রার্থনা, ভোজ, আনন্দ, সঙ্গীত, নৃত্য ও মন্দের কাছে ভালোর জয়সূচক নাটকের মধ্যদিয়ে উদযাপন করা হয়। বাঙালি হিন্দু সম্পদায়ের মানুষ পূজা অর্পণের জন্য জমকালো আলোকসজ্জা ও অলঙ্কৃত কমিউনিটি সেটারগুলোতে দুর্গা ও অন্যান্য দেবদেবীর মূর্তি পরিদর্শন করে।
মহামারির দুই বছর এবং কলকাতার এই উৎসবকে ইউনেস্কোর ‘মানবতার অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য’ এর অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার পর ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বড় সমাবেশে দুর্গাপূজা উদযাপিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: শনিবার মহা ষষ্ঠীর মধ্যদিয়ে শুরু হচ্ছে শারদীয় দুর্গাপূজা
ভারতের উত্তরাখণ্ডে বরযাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ২৫
ভারতের পার্বত্য রাজ্য উত্তরাখণ্ডে বরযাত্রীবাহী একটি বাস খাদে পড়ে অন্তত ২৫ জন নিহত ও ২১ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার গভীর রাতে উত্তরাখণ্ডের পাউরি গাড়োয়াল জেলার সিমদি গ্রামের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বাসে প্রায় ৫০ জনের মতো লোক একটি বিয়ে থেকে বাড়ি ফিরছিলেন।
বুধবার সকালে রাজ্যের পুলিশ প্রধান অশোক কুমার স্থানীয় গণমাধ্যম বলেন, ‘পাউরি গাড়োয়ালে বাস দুর্ঘটনায় প্রায় ২৫ জনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। পুলিশ এবং রাজ্য বিপর্যয় ত্রাণ বাহিনী আহত ২১ জনকে উদ্ধার করে কাছাকাছি একটি হাসপাতালে ভর্তি করেছে।’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইট করে ‘হৃদয়বিদারক’ এই দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় টুইটে বলেন, ‘উত্তরাখণ্ডের পাউরিতে বাস দুর্ঘটনাটি হৃদয়বিদারক। এই মর্মান্তিক ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি শোক জানাচ্ছি। আমি আশা করি যারা আহত হয়েছেন তারা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। উদ্ধার অভিযান চলছে।’
দুর্ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ প্রধান।
পড়ুন: ভারতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২৭
ভারতে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৮, আহত ২৫
জাপানের ওপর দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়লো উ. কোরিয়া
উত্তর কোরিয়া পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো জাপানের ওপর দিয়ে একটি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে।
মঙ্গলবার পারমাণবিক সক্ষমতার অস্ত্র উৎক্ষেপণের সময় জাপানকে নোটিশ দিয়ে ট্রেন স্থগিত করতে বাধ্য করেছে উত্তর কোরিয়া। ক্ষেপণাস্ত্রটি মার্কিন অঞ্চল গুয়াম এমনকি তার বাইরেও পৌঁছাতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চলতি বছর উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে উত্তেজক অস্ত্রের প্রদর্শনী। কারণ দেশটি একটি পূর্ণাঙ্গ পারমাণবিক অস্ত্র ভাণ্ডার তৈরি করতে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাচ্ছে এবং এই উৎক্ষেপণের মাধ্যমে মার্কিন ভূমি ও এর মিত্রদের কার্যকরভাবে ছাড় না দেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে।
ক্ষেপণাস্ত্রটির আনুমানিক সাড়ে চার হাজার কিলোমিটার (২৮০০ মাইল) উড্ডয়নের ক্ষমতাসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্রটি উত্তর কোরিয়ার অন্য কোনও ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে দীর্ঘতম পাল্লার। যদিও এর আগে উত্তর কোরিয়া প্রতিবেশী দেশগুলোকে পিছনে ফেলে কার্যকর দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে।
জাপানের ওপর দিয়ে উত্তর কোরিয়ার ‘দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র’ উৎক্ষেপণের সিদ্ধান্তকে ‘বিপজ্জনক এবং বেপরোয়া সিদ্ধান্ত’ হিসাবে বর্ণনা করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
দেশটির ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র অ্যাড্রিয়েন ওয়াটসন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র তার নিষিদ্ধ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং গণবিধ্বংসী কর্মসূচি, মিত্র ও জাতিসংঘের অংশীদারদের সঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার জন্য (উত্তর কোরিয়ার) ক্ষমতা সীমিত করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।’
বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, এর আগে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল বলেছিলেন যে ক্ষেপণাস্ত্রটির একটি মধ্যবর্তী পাল্লা রয়েছে। অন্যদিকে জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াসুকাজু হামাদা বলেছিলেন যে এটি একটি মধ্যবর্তী পাল্লা বা তার বেশি বলে মনে করা হচ্ছে। যদি মঙ্গলবারের উৎক্ষেপণ একটি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র জড়িত থাকে, তবে এটি মার্কিন ভূমিকে লক্ষ্য করে একটি অস্ত্রের পরীক্ষা হতে পারে।
২০১৭ সালের পর প্রথম ‘জে-অ্যালার্ট’-এ জাপানি কর্তৃপক্ষ উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে সরে যেতে সতর্ক করেছিল, যখন উত্তর কোরিয়া দ্রুতগতিসম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছিল। সে সময় উত্তর কোরিয়া কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে জাপানের ওপর দিয়ে দুই বার মধ্যম পাল্লার হোয়াসং-১২ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল।
মঙ্গলবার উৎক্ষেপণ করা উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রশান্ত মহাসাগরে পতিত হয়েছে। তাই সরকার পরবর্তী নোটিশ জারি না করা পর্যন্ত হোক্কাইডো এবং আওমোরি অঞ্চলে ট্রেন চলাচল স্থগিত করা হয়েছিল। সাপ্পোরো শহরে জাপানের উত্তরতম প্রধান দ্বীপ হোক্কাইডোর প্রিফেকচারাল রাজধানী, সাবওয়েগুলোও অস্থায়ীভাবে স্থগিত করা হয়েছিল, স্টেশনগুলো সকালের যাত্রীদের দ্বারা পরিপূর্ণ ছিল।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা সাংবাদিকদের বলেন, সর্বশেষ উৎক্ষেপণ একটি বেপরোয়া কাজ এবং আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার অন্তর্দেশীয় উত্তর থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোঁড়া হয়েছিল। এটি সতর্ক করে দিয়েছে যে উত্তরের বারবার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ তার আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতাকে আরও বাড়াবে এবং সিউল ও ওয়াশিংটনকে তাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা জোরদার করতে প্ররোচিত করবে।
ইউন বলেন যে উত্তর কোরিয়ার ‘বেপরোয়া পারমাণবিক উস্কানি’ দক্ষিণ এবং বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কঠোর প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হবে।
দক্ষিণ কোরিয়ান এবং জাপান ধারণা করছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় সাড়ে চার হাজার থেকে চার হাজার ৬শ’ কিলোমিটার সর্বোচ্চ ৯৭০ থেকে ১০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত উড়ে যায়।
হামাদা বলেছে যে এটি উত্তর জাপানি উপকূল থেকে প্রায় তিন হাজার ২০০ কিলোমিটার (এক হাজার ৯৯০ মাইল) দূরে প্রশান্ত মহাসাগরে অবতরণ করেছে। এ সময় জাপানি বিমান এবং জাহাজের কোনও ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার ছোঁড়া অন্য যে কোনো অস্ত্রের চেয়ে ক্ষেপণাস্ত্রটি অনেক বেশি দূরে উড়েছে। মঙ্গলবার উৎক্ষেপণের আগে, ২০১৭ সালে হোয়সং-১২-এর ৩৭০০-কিলোমিটার (২৩০০ মাইল) দীর্ঘ ফ্লাইটটি ছিল উত্তর কোরিয়ার দীর্ঘতম। এটি পূর্বে খাড়া কোণে আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে যাতে তারা অল্প দূরত্বে উড়ে যায়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলছে, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান তার দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানি মিত্রদের সঙ্গে তাদের উপযুক্ত এবং শক্তিশালী প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে পরামর্শ করেছেন। দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান উভয়ই পৃথকভাবে তাদের নিজস্ব জরুরি জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক আহ্বান করেছে।
ক্ষেপণাস্ত্রের উড়ে যাওয়ার পাল্লায় দেখা যায় যে এটি মার্কিন প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল গুয়ামে আঘাত হানতে যথেষ্ট সক্ষমতা রয়েছে। যেখানে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি রয়েছে যা উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে অতীতের উত্তেজনার শক্তি প্রদর্শনে কোরীয় উপদ্বীপে উন্নত যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছিল।
২০১৭ সালে উত্তর কোরিয়া তৎকালীন ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান শত্রুতার মধ্যে গুয়ামের কাছে হোয়াসং-১২ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ‘একটি এনভেলপিং ফায়ার’ করার হুমকি দিয়েছিল।
ভারতে ফাইভজি মোবাইল ইন্টারনেটের উদ্বোধন মোদির
ভারতে ফাইভজি মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবার উদ্বোধন করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশটির টেলিকম ইতিহাসে এটি একটি বড় মাইলফলক।
শনিবার নয়াদিল্লির ইন্ডিয়া মোবাইল কংগ্রেস ২০২২-এর ৬ষ্ঠ সংস্করণে ফাইভজি পরিষেবা উদ্বোধন করেন মোদি।
এসময় বলা হয়, এই মাসের শেষের দিকে ভারতের দিল্লি, মুম্বাই, কলকাতা ও হায়দ্রাবাদের মতো ১৩টি নির্বাচিত শহরে ফাইভজি চালু করা হবে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য শহরগুলোতে এর পরিষেবা বাড়ানো হবে।
যানবাহন, রোবোটিক সার্জারি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো প্রযুক্তির জন্য দ্রুতগতির মোবাইল ইন্টারনেটের পঞ্চম প্রজন্ম বা ফাইভজি ব্যবহার করা হয়।
ফাইভজি শুধুমাত্র উচ্চগতিসম্পন্ন মোবাইল ইন্টারনেটের যুগের সূচনা করে না, ভারতের এক ট্রিলিয়ন ডলারের উচ্চাভিলাষী অর্থনীতির পরিকল্পনার ক্ষেত্রেও এটি গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: 'জেএমবি'র সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে ভারতে নিষিদ্ধ হলো পিএফআই
বাংলাদেশ ব্যাংক এখনও ভারতীয় রুপিকে বৈদেশিক বাণিজ্যে অনুমতি দেয়নি
‘রুপি বা টাকা ব্যবহার করুন’: বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসার ক্ষেত্রে ডলারে লেনদেন থেকে বিরত থাকার আহ্বান ভারতের