������������������
লোকসভার সদস্যপদ ফিরে পেলেন রাহুল গান্ধী
ভারতের পার্লামেন্ট তথা লোকসভার সদস্যপদ ফিরে পেলেন প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা রাহুল গান্ধী।
দেশটির শীর্ষ আদালত প্রধানমন্ত্রীর উপাধি নিয়ে ‘বিদ্রুপ’ করার অভিযোগে তাকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল। তবে রায় স্থগিত করায় সোমবার (৭ আগেস্ট) তাকে সংসদ সদস্য হিসেবে পুনর্বহাল করেছে লোকসভা।
দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে ভয়ংকর জাতিগত সহিংসতা চলছে। এই সহিংসতা উসকে দেওয়া ও দমনে ব্যর্থ হওয়ায় মোদি সরকার বিরোধীদের কঠোর সমালোচনা মুখে পড়েন।
চলতি সপ্তাহে এই নিয়ে পার্লামেন্টে একটি অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপিত হওয়ার করার কথা রয়েছে। এই মুহূর্তে রাহুলের সংসদ সদস্যপদ ফিরে পাওয়ায় নরেন্দ্র মোদির সরকার আরও কোণঠাসা হয়ে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রাহুল ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী।
এর আগে গত শুক্রবার (৪ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্ট তার সাজা স্থগিত করেছে।
আরও পড়ুন: রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলায় রায় ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টে বহাল
আদালতের এই আদেশের অর্থ হলো আদালতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তার বিরুদ্ধে না গেলে রাহুল আগামী লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন।
নামে ‘মোদি’ উপাধি আছে এমন একজন ব্যক্তি রাহুলের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের নির্বাচনের আগে এক জনসভায় দেওয়া বক্তৃতায় মানহানির অভিযোগে মামলা করেন।
সেই বক্তৃতায় রাহুল কৌতুক করে বলেছিলেন, ‘সব চোরের নামে কেন মোদি উপাধি থাকে?’
রাহুল তার বক্তৃতায় তিনজন মোদির কথা উল্লেখ করেন- একজন হলেন পলাতক ভারতীয় হীরা টাইকুন, দ্বিতীয়জন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) থেকে নিষিদ্ধ ক্রিকেট নির্বাহী এবং তৃতীয়জন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
যে আবেদনকারী মামলাটি করেছেন তিনি গুজরাটে মোদির ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সদস্য।
কিন্তু রাহুলের উল্লেখিত অন্য দুই মোদি বা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার অন্য কোনো সম্পর্ক নেই।
আরও পড়ুন: রাহুল গান্ধীর জামিন মঞ্জুর, সাজা স্থগিত
চলতি বছরের ২৩ মার্চ গুজরাটের একটি আদালত রাহুলকে মানহানির মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন। এর পরের দিনই তাকে সংসদ সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।
কিন্তু গত এপ্রিল মাসে তার আপিলের ভিত্তিতে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। এরপর গত মাসে তিনি দেশের সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন।
ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর প্রপৌত্র ও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে এই কারাদণ্ড ও লোকসভার সদস্যপদ প্রত্যাহারের তীব্র নিন্দা করেছেন মোদি বিরোধীরা।
তারা এটিকে ক্ষমতাসীন সরকারের করা গণতন্ত্রের উপর সর্বশেষ হামলা এবং ভিন্নমতকে দমন করার পদক্ষেপ বলে সমালোচনা করেছেন।
১ দশমিক ৪ বিলিয়ন জনসংখ্যা নিয়ে ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র।
মোদির সমালোচকরা বলছেন, ২০১৪ সালে মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারতের গণতন্ত্র বাধার মুখে পড়েছে। তারা মোদি সরকারের বিরুদ্ধে হিন্দু জাতীয়তাবাদী এজেন্ডা বাস্তবায়নের অভিযোগ তুলেছেন।
যদিও সরকার এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
সরকারের দাবি, তাদের নীতিগুলো জাত-পাত নির্বিশেষে সব ভারতীয়দের জন্য নেওয়া হয়।
রাহুলের পরিবার থেকে দুইজন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। তার দাদি ইন্দিরা গান্ধী ও বাবা রাজীব গান্ধী দুজনই গুপ্ত হত্যার শিকার হয়েছেন।
আরও পড়ুন: এবার কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করবেন রাহুল গান্ধী
পাকিস্তানে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে নিহত ৩০, আহত ৬০
পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের নবাবশাহ শহরের কাছে একটি ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে কমপক্ষে ৩০ যাত্রী নিহত এবং ৬০ জন আহত হয়েছে। রবিবার (৬ আগস্ট) স্থানীয় কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দুর্ঘটনা এলাকায় দায়িত্বে থাকা রেলের সিনিয়র অফিসার মাহমুদুর রহমান লাখো বলেন, করাচি থেকে রাওয়ালপিন্ডি যাওয়ার পথে নবাবশাহ থেকে সরহারি রেলস্টেশনের কাছে ‘হাজারা এক্সপ্রেস’ এর ১০টি বগি লাইনচ্যুত হয়।
লাখো বলেন, উদ্ধারকারীরা আহত যাত্রীদের নবাবশাহের কাছের পিপলস হাসপাতালে নিয়ে যান।
আরও পড়ুন: ইমরান খানকে উচ্চ-নিরাপত্তা সম্পন্ন কারাগারে স্থানান্তর
রেলের আরেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মহসিন সায়াল জানান, ঘটনাস্থলে মেরামতকারী ট্রেন পাঠানোর কারণে মূল রেললাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
সায়াল বলেন, ট্রেনের যাত্রীদের জন্য বিকল্প যাতায়াত এবং চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করা হবে।
পাকিস্তানে রেলপথে প্রায়ই ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে। ঔপনিবেশিক যুগের এই যোগাযোগ ব্যবস্থা বহুদিন আধুনিকায়ন করা হয়নি এবং এর নিরাপত্তার মানও দুর্বল।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গ্রেপ্তার
ইমরান খান আদালতে দোষী সাব্যস্ত, নিষিদ্ধ হতে পারেন রাজনীতিতে
ইমরান খানকে উচ্চ-নিরাপত্তা সম্পন্ন কারাগারে স্থানান্তর
পাকিস্তানের একটি আদালত দুর্নীতির দায়ে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়ায় শনিবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় তার ভবিষ্যৎ রাজনীতির শেষ হতে পারে বলে অনেকেই ধারণা করছেন।
আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের এপ্রিলে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হলেও দেশের শীর্ষস্থানীয় বিরোধী নেতা হিসেবে ইমরান খান রয়ে যান এবং রাষ্ট্রীয় উপহার বিক্রি করার পর সম্পদ গোপন করেন।
জ্যৈষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা আলী নাসির রিজভী বলেন, সাবেক এই ক্রিকেট তারকাকে পূর্বাঞ্চলীয় শহর লাহোরে তার বাড়ি থেকে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে নিয়ে যাওয়ার জন্য পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। পরে শনিবার তাকে কঠোর অবস্থার জন্য একটি উচ্চ-নিরাপত্তা সম্পন্ন কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গ্রেপ্তার
সমালোচকরা বলছেন, এই রাজনীতিবিদকে কারাগারে পাঠানোর প্রচেষ্টা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং এ বছরের শেষের দিকে অনুষ্ঠিতব্য সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে এ ঘটনায় বিভাজন তীব্রতর হয়েছে।
এ বছর দ্বিতীয়বারের মতো ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইমরান খান ২০২২ সালের এপ্রিলে সংসদে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে তার বিরুদ্ধে ১৫০টিরও বেশি আইনি মামলা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- বেশ কয়েকটি দুর্নীতি, সন্ত্রাসবাদ এবং মে মাসে মারাত্মক বিক্ষোভে জনগণকে সহিংসতার জন্য প্ররোচিত করার অভিযোগ। সে সময় তার অনুসারীরা সারাদেশে সরকারি ও সামরিক সম্পত্তিতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ রয়েছে।
এই কারাদণ্ডের কারণে নির্বাচনের আগে ইমরান খানকে রাজনীতি থেকে বিরত রাখতে পারে। যেহেতু আইন অনুযায়ী, ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিরা সরকারি পদে থাকতে পারবেন না বা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না।
তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) বলেছে, তারা এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানাবে।
আরও পড়ুন: ইমরান খান আদালতে দোষী সাব্যস্ত, নিষিদ্ধ হতে পারেন রাজনীতিতে
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক পুনরুদ্ধারের গতি বাড়িয়েছে বেইজিং
উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা এগিয়ে নিতে বেইজিং বৃহস্পতিবার থেকে ফাংশান ও মেনটুগু জেলায় বন্যা কবলিত এলাকায় ক্ষতিগ্রস্থ প্রধান সড়কগুলো পুনরুদ্ধারের গতি বাড়িয়েছে।
টাইফুন জনিত প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে প্রতিকূল পরিবেশ থেকে বেরিয়ে আসতে চীনা কর্তৃপক্ষ ব্যাপক উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা শুরু করেছে।
গত কয়েকদিনে বেইজিংয়ে ১৪০ বছর পূর্বে রেকর্ড শুরু হওয়ার পর থেকে সবচেয়ে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ সময় শহরে ১১ জনের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: বন্যাকবলিত এলাকায় অতিরিক্ত ১০০ মিলিয়ন ইউয়ান বরাদ্দ দিল চীন
বেইজিংয়ের কাউন্টিতে মোট ৯৩টি মহাসড়ক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, যার সবকটিই শহরতলিতে অবস্থিত।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বেইজিংয়ের ক্ষতিগ্রস্থ সড়কগুলোর পুনরুদ্ধারের কাজ এখনও ব্যাপক চাপের মুখে রয়েছে। বন্যার পানিতে প্রায় ৮৪০ গ্রামীণ সড়ক ও ৩টি শহুরে সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
যেসব কারণে সড়ক পুনরুদ্ধারের কাজের অগ্রগতি অব্যাহত রয়েছে- জনবল ও বৃহৎ যন্ত্রপাতি যুক্ত করা, নিয়মিত কাজ চালিয়ে যাওয়া এবং বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূলে থাকা।
আরও পড়ুন: চীনে ভয়াবহ বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২১
পুতিনের কট্টর সমালোচক নাভালনির ১৯ বছরের কারাদণ্ড
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কট্টর সমালোচক এবং কারাবন্দি বিরোধী দলীয় নেতা আলেক্সেই নাভালনিকে ১৯ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। স্থানীয় সময় শুক্রবার (৪ আগস্ট) উগ্রবাদী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে তার এই সাজা ঘোষণা করেন একটি রুশ আদালত।
নাভালনি ইতোমধ্যেই বিভিন্ন অভিযোগে ৯ বছরের সাজা ভোগ করছেন।
অন্যদিকে, নাভালনি তার বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং ক্রেমলিনের বিরুদ্ধে তাকে আজীবন কারাগারে রাখার জন্য অভিযুক্ত করেছেন।
নাভালনির দুর্নীতিবিরোধী ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম এবং তার ঘনিষ্ট সহযোগীদের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
পঞ্চমবারের মতো ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেন তিনি। এর ফলে তৃতীয় দফায় তার কারাবাস আরও দীর্ঘ হলো।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইনফর্মেশন টেলিগ্রাফ এজেন্সি অব রাশিয়া (ইতার-তাস) জানায়, নাভালনি জালিয়াতি ও আদালত অবমাননার অভিযোগে বর্তমানে সাজা খাটছেন। চলমান সাজার সঙ্গে আরও ১৯ বছরের কারাদণ্ড যোগ করেছেন বিচারক।
আরও পড়ুন: বিষ প্রয়োগে অসুস্থ রুশ নেতা নাভালনিকে চিকিৎসার জন্য জার্মানি প্রেরণ
নাভালনির মুখপাত্র কিরা ইয়ারমিশ দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) বলেছেন, তারা আগে থেকেই এই ধরনের রায় দেওয়ার বিষয়টি অনুমান করেছিলেন।
এমনকি নাভালনিও তাকে জানিয়েছিলেন, দীর্ঘ কারাদণ্ড হবে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন।
প্রসিকিউশন তার ২০ বছরের কারাদণ্ডের দাবি করেছিল।
প্যারোল লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালে তাকে আড়াই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
মস্কোর পূর্বাঞ্চলের পেনাল কলোনিতে রুদ্ধদ্বার কারাগারে তার বিচার এবং সাজা ঘোষণা করা হয়েছে।
মামলার শুনানি ও সাজা ঘোষণা করতে বিচারক ১০ মিনিটেরও কম সময় নিয়েছে। অথচ এ ধরনের মামলার রায় ঘোষণায় রাশিয়ায় সাধারণত কয়েক ঘণ্টা, এমনকি সারাদিন কেটে যায়।
পৃথক কক্ষে থাকা সাংবাদিকদের কাছে শুনানিটি সম্প্রচার করা হয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় তার সাজা নিয়ে দলের দেওয়া পোস্টে নাভালনি মন্তব্য করেছেন।
সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘সংখ্যা কোনো ব্যাপার নয়।’
আরও পড়ুন: পাকিস্তান-রাশিয়া নয়া সম্পর্ক: এক দেশভিত্তিক সম্পর্ক আর নয়
তিনি লিখেছেন, আমি বুঝতে পারছি অন্যান্য রাজনৈতিক বন্দির মতো আমিও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছি। আজীবন অথবা এই সরকারের শাসনকাল পর্যন্ত আমাকে সাজা খাটতে হবে।
নাভালনি তার সমর্থকদের ‘মনোবল না হারানোর’ আহ্বান জানিয়েছেন।’
রায় ঘোষণার বিষয়টি এপিকে নিশ্চিত করেছেন নাভালনির মুখপাত্র ইয়ারমিশ।
তিনি আরও জানান, এ ছাড়াও নাভালনিকে ৫ লাখ রুবল (প্রায় ৫ হাজার ২০০ ডলার) জরিমানা করেছেন আদালত।
তিনি বলেন, কঠোর সাজা সত্ত্বেও নাভালনি আশাবাদী এবং ‘তিনি যা করছেন সে ব্যাপারে পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী।’
নাভালনির নতুন সাজাকে ‘একটি অন্যায় বিচারের অন্যায় উপসংহার’ বলে নিন্দা করেছে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট। একই সঙ্গে অবিলম্বে তার মুক্তির আহ্বান জানিয়েছে।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলেছে, ‘কয়েক বছর ধরেই নাভালনির মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করছে ক্রেমলিন। সর্বশেষ এই গোপন বিচার করে এবং কথিত প্রমাণের ভিত্তিতে তার আইনজীবীদের প্রবেশাধিকার সীমিত করে রুশ কর্তৃপক্ষ আবারও তাদের মামলার ভিত্তিহীনতা প্রমাণ করেছে। এর মাধ্যমে যারা সরকারের সমালোচনা করার সাহস করে তাদের জন্য দেশটিতে থাকা আইনের শাসনের অভাবকেও ফুটিয়ে তুলেছে।’
আরও পড়ুন: রাশিয়ার থ্রিডি-প্রিন্টেড রকেট উৎক্ষেপণের পরপরই ব্যর্থ!
৪৭ বছর বয়সী নাভালনি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের চরম শত্রু। কারণ তিনি সরকারি বিভিন্ন দুর্নীতির কথা প্রকাশ করেছেন এবং ক্রেমলিন বিরোধী বিশাল বিক্ষোভের আয়োজন করেছেন।
২০২১ সালের জানুয়ারিতে জার্মানিতে নার্ভ এজেন্ট বিষক্রিয়া থেকে সুস্থ হয়ে মস্কোতে ফিরে আসার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২০২১ সালে রুশ কর্তৃপক্ষ নাভালনির দুর্নীতিবিরোধী ফাউন্ডেশন এবং রাশিয়াজুড়ে এর অফিসগুলোর বিশাল নেটওয়ার্ককে চরমপন্থী সংগঠন হিসেবে বেআইনি ঘোষণা করে তার বিচার শুরু করেন।
নাভালনির মিত্ররা বলেছে, চরমপন্থার অভিযোগগুলো ২০১১ সালে তৈরি হওয়ার পর থেকে দুর্নীতিবিরোধী ফাউন্ডেশনের সমস্ত কার্যকলাপকে বিতর্কিত করার চেষ্টা।
জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক বলেছেন, নাভালনির নতুন সাজা ‘রাশিয়ায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিচারিক হয়রানি এবং আদালতের আজ্ঞাবহ রায়ের বিষয়ে নতুন করে গুরুতর উদ্বেগ জাগিয়েছে’।
এ ছাড়াও তিনি নাভালনির মুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান গ্রেপ্তার
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় শহর লাহোরে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ নিয়ে চলতি বছরে দ্বিতীয়বারের মতো বিরোধীদলীয় নেতাকে গ্রেপ্তার করা হলো।
এর আগে শনিবার, একটি আদালত তাকে একটি সম্পদ গোপন করার মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে কারাদণ্ড দেয়। একই সঙ্গে তাকে রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ করা হতে পারে।
আরও পড়ুন: জিন্নাহ হাউস হামলা মামলা: ইমরানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব
ইসলামাবাদের আদালত ইমরান খানকে দোষী সাব্যস্ত করার পর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এর পরই লাহোরের পুলিশ তাকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানের রাজধানীতে নিয়ে যেতে পদক্ষেপ নেয়।
এবার আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ক্ষমতায় ফেরার জন্য খানের প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য এটি একটি নতুন চ্যালেঞ্জ।
ইমরান খান ২০২২ সালের এপ্রিলে সংসদে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে তার বিরুদ্ধে ১৫০টিরও বেশি আইনি মামলা দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে বেশ কয়েকটি দুর্নীতি, সন্ত্রাসবাদ এবং মে মাসে মারাত্মক বিক্ষোভে জনগণকে সহিংসতার জন্য প্ররোচিত করার অভিযোগ। সেসময় তার অনুসারীরা সারাদেশে সরকারি ও সামরিক সম্পত্তিতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: ইমরান খান আদালতে দোষী সাব্যস্ত, নিষিদ্ধ হতে পারেন রাজনীতিতে
ইমরান খান আদালতে দোষী সাব্যস্ত, নিষিদ্ধ হতে পারেন রাজনীতিতে
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির চেয়ারম্যান ইমরান খানকে দোষী সাব্যস্ত করে করেছে দেশটির একটি আদালত।
শনিবার (৫ আগস্ট) পাকিস্তানের একটি আদালত সম্পদ গোপনের মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। ফলে তিনি রাজনীতিতে অযোগ্য ঘোষিত হতে পারেন। এটি ইমরান খানের পুনরায় ক্ষমতায় ফেরার জন্য আরেকটি একটি নতুন চ্যালেঞ্জ।
আরও পড়ুন: ইমরান খানের নাম নো-ফ্লাই লিস্টে যোগ করা হয়েছে: পাকিস্তানের গণমাধ্যম
ইমরান খান ২০২২ সালের এপ্রিলে সংসদে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে ১৫০টিরও বেশি আইনি মামলা দেওয়া হয়েছে তার বিরুদ্ধে। এরমধ্যে রয়েছে বেশ কয়েকটি দুর্নীতি, সন্ত্রাসবাদ ও মে মাসে মারাত্মক বিক্ষোভে জনগণকে সহিংসতার জন্য প্ররোচিত করার অভিযোগ। সেসময় তার অনুসারীরা সারাদেশে সরকারি ও সামরিক সম্পত্তিতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: জিন্নাহ হাউস হামলা মামলা: ইমরানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব
বন্যাকবলিত এলাকায় অতিরিক্ত ১০০ মিলিয়ন ইউয়ান বরাদ্দ দিল চীন
চীনের বন্যাকবলিত তিয়ানজিন ও হেবেই প্রদেশে অতিরিক্ত ১০ ০ মিলিয়ন ইউয়ান (প্রায় ১৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) বিনিয়োগ করেছে চীন সরকার।
শুক্রবার দেশটির শীর্ষ অর্থনৈতিক পরিকল্পনাবিদ জানিয়েছেন চীন তার কেন্দ্রীয় বাজেট থেকে এই বরাদ্দ দিয়েছে।
জাতীয় উন্নয়ন ও সংস্কার কমিশন জানিয়েছে, জরুরি পুনরুদ্ধার এবং অবকাঠামো এবং প্রয়োজনীয় জনসেবা সুবিধার পুনর্গঠনে এই তহবিল ব্যবহার করা হবে।
আরও পড়ুন: চীনে ভয়াবহ বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২১
বুধবার দেশটির কর্তৃপক্ষ বেইজিং ও হেবেইতে দুর্যোগ পরবর্তী পুনরুদ্ধার ও সংস্কার প্রচেষ্টায় সহায়তার জন্য কেন্দ্রীয় বাজেট থেকে জরুরিভাবে ১০০ মিলিয়ন ইউয়ান বরাদ্দ করেছিল।
কর্তৃপক্ষ জানান, শুক্রবারের হেবেইতে মোট ১০০ মিলিয়ন ইউয়ান ও বেইজিং এবং তিয়ানজিনকে ৫০ মিলিয়ন ইউয়ান তহবিল বিতরণ করা হয়েছে। এটি বিশেষত দুর্যোগ পরবর্তী পুনরুদ্ধার এবং সংস্কারের জন্য বিতরণ করা হয়েছে।
টাইফুনজনিত প্রবল বৃষ্টিপাতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ব্যাপক উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা শুরু করেছে চীনা কর্তৃপক্ষ। বেইজিংয়ে গত কয়েক দিনে ১৪০ বছর আগে রেকর্ড ভেঙে সবচেয়ে ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে, এতে শহরটিতে ১১ জন মারা গেছেন।
শুক্রবার অর্থ মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় বেইজিংয়ের তিয়ানজিন এবং হেবেইয়ের দুর্যোগ পরবর্তী পুনরুদ্ধারের জন্য ৪৫০ মিলিয়ন ইউয়ান বরাদ্দ করার ঘোষণা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: চীনে বন্যায় নিহত ২০, নিখোঁজ ২৭
হিমাচলে দেড় মাসের টানা বৃষ্টিতে ১৯৯ জনের মৃত্যু, ৩১ জন নিখোঁজ
ভারতের হিমাচল প্রদেশে বর্ষা শুরু হওয়ার পর থেকে গত ৪১ দিনে বৃষ্টি, আকস্মিক বন্যা, ভূমিধস ও সড়ক দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ১৯৯ জন মানুষ মারা গেছেন এবং ৩১ জন নিখোঁজ হয়েছেন।
শুক্রবার (৪ আগস্ট) ভারতের গণমাধ্যম এএনআইয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজ্যটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, নিহত ১৯৯ জনের মধ্যে ৫৭ জন ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যার কারণে এবং ১৪২ জন বর্ষাকালে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।
রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘এখন পর্যন্ত বর্ষায় বিভিন্ন কারণে ১৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে ভূমিধস ও আকস্মিক বন্যায় ৫৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং সড়ক দুর্ঘটনা বা অন্যান্য কারণে ১৪২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এ ছাড়াও হিমাচল প্রদেশে ৩১ জন নিখোঁজ এবং ২২৯ জন আহত হয়েছে।’
রাজ্য সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মুখ্য সচিব অনিল খাচি বলেছেন, রাজ্যে বৃষ্টি ও বন্যায় প্রতিদিনই প্রাণহানি বাড়ছে।
আরও পড়ুন: চীনে ভয়াবহ বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২১
তিনি বলেন, বৃষ্টির কারণে অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও দিন দিন বাড়ছে।
তথ্য অনুযায়ী, এ সময়ে অবকাঠামোর আনুমানিক ক্ষতি দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৫৬৩ দশমিক ৫৮ কোটি টাকা।
বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় রাজ্যে ৭৭৪টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ৭ হাজার ৩১৭টি বাড়ি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২৫৪টি দোকান ও ২ হাজার ৩৩৭টি গোয়ালঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, এ সময় রাজ্যে ৭৯টি ভূমিধস এবং ৫৩টি আকস্মিক বন্যা হয়েছে। রাজ্যে প্রায় ৩০০টি রাস্তা বন্ধ রয়েছে। ২৭৪টি বিদ্যুৎ ও ৪২টি পানি সরবরাহ প্রকল্প ব্যাহত হয়েছে।
রাজ্যের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার আগামী দুই দিনের জন্য সতর্কতা জারি করেছে।
অন্যদিকে, সোলান জেলার কালকা-সিমলা চার লেন জাতীয় মহাসড়ক-৫ ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সিমলার পর্যটন শিল্প হুমকির মুখে পড়েছে। এই বিপর্যয় রাজ্যের রাজধানীর ব্যবসার ভবিষ্যত নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
হিমাচল প্রদেশ ট্যুরিজম স্টেকহোল্ডারস অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মহিন্দর শেঠ বুধবার বলেছেন, সাম্প্রতিক বৃষ্টি ও বন্যা শেষে আগামী সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে পর্যটকদের ভ্রমণ শুরুর আশা ছিল। তবে মহাসড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের ভয়ে পর্যটকরা ভ্রমণ বন্ধ রেখেছেন।
আরও পড়ুন: চীনে বন্যায় নিহত ২০, নিখোঁজ ২৭
চীনে বন্যায় ১১ জন নিহত, ২৭ জন নিখোঁজ
দ. কোরিয়ায় ফুটপাতে গাড়ি চাপা ও ছুরিকাঘাতে ১৩ পথচারী আহত
দক্ষিণ কোরিয়ার সেওংনাম শহরে এক ব্যক্তি গাড়ি চাপা দিয়ে এবং ছুরিকাঘাত করে কমপক্ষে ১৩ জনকে আহত করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) শহরের একটি পাতাল রেল স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।
দক্ষিণ গিয়াংগি প্রাদেশিক পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তা ইউন সুং-হিউন বলেছেন, গাড়ি চাপায় কমপক্ষে ৯ জন এবং ছুরিকাঘাতে আরও চার জন আহত হয়েছেন।
পুলিশ জানায়, ওই ব্যক্তির গাড়ি প্রথমে ফুটপাথে ধাক্কা খেলে তিনি গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। এরপর নিকটস্থ পাতাল রেলস্টেশনে লোকজনকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করতে থাকেন। এ সময় অন্তত ১৩ জন আহত হন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রোহিঙ্গাদের জন্য ৩ মিলিয়ন ডলার মানবিক সহায়তা দেবে দ.কোরিয়া
তবে আহতদের অবস্থা গুরুতর কি না- তা নিশ্চিত করেনি পুলিশ।
ঘটনাস্থল থেকে আটক অজ্ঞাতনামা সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
দেশটির ন্যাশনাল পুলিশ এজেন্সি জানিয়েছে, তারা আঞ্চলিক পুলিশ প্রধানদের সঙ্গে একটি অনলাইন সভা করবে। সেখানে ছুরিকাঘাত এবং অন্যান্য আক্রমণ মোকাবিলা করার উপায় নিয়ে আলোচনা করবেন।
পুলিশ জানিয়েছে, গত মাসে রাজধানী সিউলের একটি রাস্তায় এক ব্যক্তি অন্তত চার পথচারীকে ছুরিকাঘাত করে। এদের মধ্যে একজন নিহত হয়।
আরও পড়ুন: দ. কোরিয়ার সমুদ্রতীরবর্তী শহরে দাবানল, পালিয়েছে শত শত মানুষ
দুর্নীতির অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রেসিডেন্ট লিকে বিশেষ ক্ষমা ঘোষণা দ. কোরিয়ার