%E0%A6%86%E0%A6%AB%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE
দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে বাস খাদে পড়ে নিহত ৪৫, বেঁচে গেল ৮ বছরের শিশু
দক্ষিণ আফ্রিকায় বৃহস্পতিবার ইস্টার উৎসবে যাওয়ার পথে পুণ্যার্থীদের বহনকারী একটি বাস পাহাড়ি গিরিপথের একটি সেতু থেকে খাদে পড়ে এবং এতে আগুন ধরে যায়। এ ঘটনায় অন্তত ৪৫ জন নিহত হয়েছেন।
দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় লিম্পোপো প্রদেশের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় বেঁচে যায় শুধু ৮ বছরের একটি শিশু। বর্তমানে সে চিকিৎসা নিচ্ছে। শিশুটি গুরুতর আহত হয়েছে বলে জানান তারা।
লিম্পোপো প্রাদেশিক সরকার জানিয়েছে, বাসটি মামাতলাকালা সেতু থেকে ছিটকে ৫০ মিটার খাদে পড়ে যায় এবং এতে আগুন ধরে।
আরও পড়ুন: ব্রাজিলের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৩
প্রাদেশিক সরকার জানিয়েছে, তল্লাশি অভিযান চলছে। তবে অনেক মৃতদেহ এতটাই পুড়ে গেছে যে তাদের চেনা যাচ্ছে না এবং এখনও অনেক মৃতদেহ গাড়ির ভেতরে আটকা রয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের ধারণা বাসটি পার্শ্ববর্তী দেশ বতসোয়ানা থেকে ইস্টারের জনপ্রিয় তীর্থযাত্রার আয়োজক মোরিয়া শহরে যাচ্ছিল। তারা বলছে যে মনে হচ্ছে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিল এবং নিহতদের মধ্যে একজন তিনি।
দেশটির পরিবহন মন্ত্রী সিন্ডিসিওয়ে চিকুঙ্গা সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে একটি প্রচারণার জন্য লিম্পোপো প্রদেশে ছিলেন এবং দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনের জন্য তার এই কর্মসূচি পরিবর্তন করেছেন বলে দেশটির পরিবহন বিভাগ জানিয়েছে।
তিনি বলেন, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে এবং হতাহতদের পরিবারের প্রতি তার সমবেদনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় নৌকাডুবি: সাগর থেকে ৩ রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার
ব্রাজিলে ভারী বর্ষণে ৭ জনের মৃত্যু, ১৬ ঘণ্টা পর কাদা থেকে ৪ বছরের শিশু জীবিত উদ্ধার
নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে ৩০০ শিক্ষার্থী অপহরণ
নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে একটি বিদ্যালয় থেকে ৩০০ শিক্ষার্থীকে অপহরণ করেছে সশস্ত্র ইসলামিক চরমপন্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) কাদুনা রাজ্যের কুরিগা শহরের প্রত্যন্ত শহরের একটি বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সহিংস হত্যাকাণ্ড, অনাচার ও ছিনতাইপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত ওই রাজ্যে অপহৃত হওয়া শিশুদের মধ্যে অন্তত ১০০ জন ১২ বছর বা তার চেয়ে কমবয়সী।
কুরিগার এ ঘটনাটি উত্তর নাইজেরিয়ায় গত সপ্তাহ থেকে এ পর্যন্ত তৃতীয় গণ-অপহরণের ঘটনা। এর আগে গত সপ্তাহে শনিবারে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য সোকোটোর একটি স্কুল থেকে ১৫ জন শিশুকে অপহরণ করা হয়। তারও আগে উত্তর-পূর্ব বোর্নো রাজ্যে ২০০ জনকে অপহরণ করা হয়।
বার্তাসংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে জানা যায়, কোনো গোষ্ঠী এখনো এই অপহরণের দায় স্বীকার করেনি। তবে ইসলামিক চরমপন্থীরা উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিদ্রোহ চালাচ্ছে। তারা বোর্নোতে অপহরণ চালিয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। আর বিদ্যালয়ে অপহরণের জন্য ওই অঞ্চলে বসতি স্থাপন করা সম্প্রদায়ের সঙ্গে দ্বন্দ্বে লিপ্ত পশুপালকদের দায়ী করেছে স্থানীয়রা।
নাইজেরিয়ায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অপহরণের ঘটনা এবারই প্রথম নয়। এর আগে ২০১৪ সালে ইসলামিক চরমপন্থীরা বোর্নোর চিবোক থেকে দু’শোর বেশি স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করেছিল।
অপহরণের কথা স্মরণ করে এলইএ প্রাইমারি অ্যান্ড সেকেন্ডারি স্কুলের শিক্ষক নুরা আহমেদ এপিকে বলেন, সরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কেবলই শ্রেণিকক্ষে অবস্থান নিচ্ছিল সে সময় মোটরসাইকেলে করে এসে এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষণ করে।
গত বছরে নাইজেরিয়া জুড়ে ৩ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি লোককে অপহরণ করা হয়। এমনকি রাজধানীতে বাড়ি থেকেও কয়েকজনকে অপহরণ করা হয়।
নাইজারের সঙ্গে দীর্ঘ ১ হাজার ৫০০ কিলোমিটার সীমান্তের অনেকটা জুড়ে সাভানা বনভূমি। এই পথে অস্ত্র পাচার করে সেসব অস্ত্র অপহরণের কাজে ব্যবহার করে ইসলামিক চরমপন্থী বিদ্রোহীরা আর অপহৃতদের বনের গভীরে লুকিয়ে রাখে।
দেশটির সামরিক বাহিনীর দাবি, চরমপন্থীরা অপহৃতদের ‘মানব ঢাল’ হিসেবে ব্যবহার করে যে কারণে আকাশপথেও বনে বোমাবর্ষণ করে হামলা চালানো সম্ভব হয় না।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক হাডসন ইনস্টিটিউটের পশ্চিম আফ্রিকার বিশেষজ্ঞ গবেষক জেমস বার্নেট বলেন, এই দলগুলো নতুন নতুন কৌশল ব্যবহার করে আর চাঁদাবাজির মাধ্যমে নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে আরও ছড়িয়ে পড়ছে।
কুরিগা শহর থেকে কাদুনা শহরে যেতে ৮৯ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিতে হয়। এ রাস্তায় এখন এক ডজনেরও বেশি চেকপয়েন্ট এবং সামরিক ট্রাককে নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনের ভিত্তিতে সৈন্যদের শিগগিরই অন্যত্র মোতায়েন করা হতে পারে।
শুক্রবার নাইজেরিয়ার পুলিশ এবং সৈন্যরা নিখোঁজ শিশুদের সন্ধানের জন্য বনের দিকে রওনা করেছে বলে জানায় সামরিক বাহিনী।
কুরিগার বাসিন্দারা কেবল আশা করছেন তাদের সন্তানরা অক্ষত অবস্থায় ফিরে আসবে এবং সামরিক কর্মীদের উপস্থিতিতে তারা এখন যে সুরক্ষা অনুভব করছে তা যেন স্থায়ী হয়।
সুদানে চলমান সংঘাতে ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতা যুদ্ধাপরাধের শামিল হতে পারে: জাতিসংঘের প্রতিবেদন
সুদানে চলমান সংঘাতে শিশুসহ অসংখ্য লোক ধর্ষণ এবং বিভিন্নভাবে যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছে, যা যুদ্ধাপরাধের সমান হতে পারে বলে জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরের নতুন এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে সুদানের রাজধানী খার্তুমে জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ বুরহানের নেতৃত্বাধীন দেশটির সামরিক বাহিনী এবং জেনারেল মোহাম্মদ হামদান দাগালোর নেতৃত্বে র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস নামে পরিচিত আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য সময়টা ভালো নয়: জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফ্রিকার দেশটিতে বিশেষত শহরাঞ্চল এবং গোলযোগপূর্ণ পশ্চিমাঞ্চলীয় দারফুর অঞ্চলেও এই লড়াই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এতে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ১২ হাজার মানুষ নিহত এবং ৮০ লাখেরও বেশি লোক তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
লড়াইয়ের শুরু থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের ঘটনাগুলো ওই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। সম্প্রতি সাহায্যদাতা গোষ্ঠী ও অধিকার পর্যবেক্ষকরা অনেকাংশে ঢুকতে পারছেন না, এমন কিছু স্থানের নির্যাতনের নথিতুলে ধরা হয়েছে। একই সঙ্গে গাজা ও ইউক্রেনের মতো জায়গায় যুদ্ধের কারণে এ সংঘাতের প্রভাব অনেকটা ঢাকা পড়ে গেছে বলে এতে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্তত ১১৮ জন ধর্ষণসহ যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন – যার বেশিরভাগই বাড়িতে ও রাস্তায় আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যদের মাধ্যমে সংঘটিত হয়েছে।
জাতিসংঘ বলছে, এক নারীকে একটি ভবনে আটকে রাখা হয় এবং ৩৫ দিন ধরে তাকে বারবার সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়।
উভয় পক্ষের মধ্যেই শিশু সৈনিক নিয়োগ করা হয়েছে বলেও ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে ওই প্রতিবিদেনে।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের দ্রুত, পুঙ্খানুপুঙ্খ ও স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক প্রধান ভোলকার টার্ক বলেন, ‘এসব লঙ্ঘনের কিছু ঘটনা যুদ্ধাপরাধের শামিল।’
এই প্রতিবেদন ৩০০ জনেরও বেশি ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষাৎকারের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। প্রতিবেশী দেশ ইথিওপিয়া ও চাদে অনেক সুদানি পালিয়ে গেছে। সেখান থেকেও কিছুটা সংগ্রহ করা হয়েছে। পাশাপাশি সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলগুলোর ফটোগ্রাফ, ভিডিও ও উপগ্রহ চিত্র বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা করার লক্ষ্য রয়েছে বাংলাদেশের: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
যুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞ অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
গত সপ্তাহে দেশটির উত্তর কোরদোফান রাজ্য থেকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওর বরাত দিয়ে জাতিসংঘ জানিয়েছে, সুদানের সেনাবাহিনীর ইউনিফর্ম পরা ব্যক্তিরা প্রতিদ্বন্দ্বী আধাসামরিক গোষ্ঠীর সদস্যদের বিচ্ছিন্ন মাথা বহন করছে।
টার্ক বলেন, ‘প্রায় এক বছর ধরে সুদান থেকে মৃত্যু, দুর্ভোগ ও হতাশার বিবরণ বেরিয়ে আসছিল। অর্থহীন সংঘাত, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতন অব্যাহত রয়েছে যার কোনো শেষ নেই।’
তিনি বলেন, ‘বন্দুক বন্ধ করতে হবে এবং বেসামরিক নাগরিকদের অবশ্যই রক্ষা করতে হবে।’
শুক্রবার জেনেভায় জাতিসংঘের ব্রিফিংয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কেনিয়ার নাইরোবি থেকে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের আঞ্চলিক মুখপাত্র সাইফ মাগানগো বলেন, '(সুদানে) বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা এখন ৮০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে, যা সবার জন্য উদ্বেগের বিষয় হওয়া উচিত।’
এর আগে ফেব্রুয়ারিতে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস সাংবাদিকদের বলেন, সুদানের সংঘাতের কোনো সামরিক সমাধান নেই। তিনি জোর দিয়ে বলেন, অব্যাহত লড়াই কোনো সমাধান বয়ে আনবে না, ‘তাই আমাদের অবশ্যই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটি বন্ধ করতে হবে।’
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনি ভূমি দখলের বিষয়ে ইসরাইলের শুনানি শুরু জাতিসংঘের শীর্ষ আদালতে
আফ্রিকার বিরোধপূর্ণ আবেই অঞ্চলে সংঘর্ষে আরও ৩৭ জন নিহত
আফ্রিকার দেশ সুদানের তেল সমৃদ্ধ আবেই অঞ্চলে ভূমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সপ্তাহান্তে সংঘর্ষে ৩৭ জন নিহত হয়েছেন।
রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) এই হতাহতের কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
একই অঞ্চলে ভূমির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধে ৫২ জনের মৃত্যুর এক সপ্তাহ পর এই হতাহতের ঘটনা ঘটল।
দক্ষিণ সুদান ও সুদানের দাবি করা অঞ্চল আবেইয়ের তথ্যমন্ত্রী বলিস কোচ বলেন, রুম-আমির, আলাল ও মিজাক কাউন্টিতে দক্ষিণ সুদানের ওয়াররাপ প্রদেশের সশস্ত্র যুবকদের হামলার মধ্য দিয়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। হামলাকারীরা ইউনিটি প্রদেশের আধ্যাত্মিক নেতা গাই মাচিকের অনুসারী যোদ্ধাদের সমর্থন করেছিল।
কোচ বলেন, লড়াইয়ে শনিবার ১৯ জন নিহত ও ১৮ জন আহত হয়েছে এবং রবিবার চার নারী ও তিন শিশুসহ আরও ১৮ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া এক হাজার গরু নিয়ে গেছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: নাইজেরিয়ায় গির্জার বাদকদলের ২৫ গায়ক অপহরণ
এক বিবৃতিতে কোচ বলেন, 'আবেই বিশেষ প্রশাসনিক এলাকা সন্ত্রাসী হামলা, নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের জঘন্য হত্যা, স্থানীয় বাজার ও আবাসিক এলাকা পুড়িয়ে দেওয়ার তীব্র নিন্দা জানায়।’
এই অঞ্চলে জাতিগত সহিংসতা সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওয়ারাপের টুইক ডিঙ্কার উপজাতি সদস্যরা সীমান্তে অবস্থিত আবেইয়ের আনেত এলাকার এনগোক ডিঙ্কা জনগোষ্ঠীর সঙ্গে ভূমির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দ্বে লিপ্ত রয়েছে।
ভূমিকে এই সংঘাতের প্রধান চালক হিসাবে দেখা হলেও কর্মকর্তারা অভিযোগ করেছেন যে সশস্ত্র টুইক তরুণদের উসকে দিচ্ছে জাতিগত নিউর আধ্যাত্মিক নেতা মাচিক। আধ্যাত্মিক এই নেতার বিরুদ্ধে আগে থেকেই সংঘাত সৃষ্টির অভিযোগ রয়েছে। এক সপ্তাহ আগে ওই হামলায় জাতিসংঘের দুই শান্তিরক্ষীসহ ৫৩ জন নিহত হওয়ার জন্যও তাকে দায়ী করা হয়।
আরও পড়ুন: মধ্য নাইজেরিয়ায় সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় ১৬০ জন নিহত
স্থানীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মাচিক কোনো অন্যায় কাজ করার কথা অস্বীকার করেছেন।
২০০৫ সালে সুদানের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে কয়েক দশক ধরে চলা গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটানোর পর থেকে আবেই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সুদান ও দক্ষিণ সুদানের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। সুদান এবং দক্ষিণ সুদান উভয়ই আবের মালিকানা দাবি করে আসছে। এমনকি ২০১১ সালে সুদান থেকে দক্ষিণ সুদান স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এই অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি অমীমাংসিত রয়েছে।
এই অঞ্চলের সংখ্যাগরিষ্ঠ এনগোক ডিঙ্কা জনগণ দক্ষিণ সুদানের পক্ষে। অন্যদিকে নিজেদের গবাদি পশুর জন্য চারণভূমি খুঁজতে আবেইতে আসা মিসেরিয়া যাযাবররা সুদানের পক্ষে। তবে অঞ্চলটি বর্তমানে দক্ষিণ সুদানের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
আফ্রিকান ইউনিয়নের একটি প্যানেল আবেইয়ের জন্য একটি গণভোটের প্রস্তাব করেছিল তবে কে ভোট দিতে পারে তা নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে।
গত মার্চে দক্ষিণ সুদান আবেইতে সেনা মোতায়েনের পর থেকে আন্তঃসাম্প্রদায়িক ও আন্তঃসীমান্ত সংঘর্ষ বেড়েছে।
আরও পড়ুন: আফ্রিকার বিরোধপূর্ণ তেলসমৃদ্ধ অঞ্চল আবেইতে সংঘর্ষে নিহত ৫২
আফ্রিকার বিরোধপূর্ণ তেলসমৃদ্ধ অঞ্চল আবেইতে সংঘর্ষে নিহত ৫২
সুদান ও দক্ষিণ সুদানের মধ্যে বিরোধপূর্ণ তেলসমৃদ্ধ আবেই অঞ্চলের গ্রামবাসীদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলায় জাতিসংঘের এক শান্তিরক্ষীসহ ৫২ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন অন্তত আরও ৬৪ জন।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের আঞ্চলিক কার্যালয় ও আবেইর একজন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে দেওয়া এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে আবেই তথ্যমন্ত্রী বুলিস কোচ বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় চালানো হামলার কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। তবে এটি ভূমির নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে ঘটেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদান থেকে জেদ্দায় পৌঁছেছেন আরও ১৭৬ বাংলাদেশি
এই অঞ্চলে মারাত্মক জাতিগত সহিংসতা সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে প্রতিবেশী ওয়ারাপ রাজ্যের টুইক ডিঙ্কা উপজাতি সদস্যরা সীমান্তের অঞ্চল নিয়ে আবেইয়ের এনগোক ডিঙ্কার সঙ্গে ভূমি বিরোধে লিপ্ত।
কোচ বলেন, শনিবারের সহিংসতায় হামলাকারী নুয়ের উপজাতির সশস্ত্র যুবকরা গত বছর বন্যার কারণে ওয়াররাপ রাজ্যে চলে এসেছিল।
এক বিবৃতিতে আবেইতে মোতায়েন জাতিসংঘের অন্তর্বর্তীকালীন শান্তিরক্ষা বাহিনী (ইউএনআইএসএফএ) সংহিংসতায় এক শান্তিরক্ষী নিহতের ঘটনা সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছে।
নিইনকুয়াক, মাজবং এবং খাদিয়ান অঞ্চলে আন্তঃসাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইউএনআইএফএসএ। সংঘর্ষের ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটেছিল এবং বেসামরিক লোকজনকে ইউএনআইএসএফএ ঘাঁটিতে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল বলেও জানায় জাতিসংঘের এই শান্তিরক্ষী মিশন।
বিবৃতিতে বলা হয়,‘আগোকের ইউএনআইএসএফএ ঘাঁটিতে একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামলা চালিয়েছে। মিশন হামলাটি প্রতিহত করলেও দুঃখজনকভাবে ঘানার এক শান্তিরক্ষী নিহত হয়।’
আরও পড়ুন: দক্ষিণ সুদানে অপহৃত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী উদ্ধার
২০০৫ সালে সুদানের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে কয়েক দশক ধরে চলা গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটানোর পর থেকে আবেই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সুদান ও দক্ষিণ সুদানের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। সুদান এবং দক্ষিণ সুদান উভয়ই আবের মালিকানা দাবি করে আসছে। এমনকি ২০১১ সালে সুদান থেকে দক্ষিণ সুদান স্বাধীন হওয়ার পর থেকে এই অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি অমীমাংসিত রয়েছে।
এই অঞ্চলের সংখ্যাগরিষ্ঠ এনগোক ডিঙ্কা জনগণ দক্ষিণ সুদানের পক্ষে। অন্যদিকে নিজেদের গবাদি পশুর জন্য চারণভূমি খুঁজতে আবেইতে আসা মিসেরিয়া যাযাবররা সুদানের পক্ষে। তবে অঞ্চলটি বর্তমানে দক্ষিণ সুদানের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
আফ্রিকান ইউনিয়নের একটি প্যানেল আবেইয়ের জন্য একটি গণভোটের প্রস্তাব করেছিল তবে কে ভোট দিতে পারে তা নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে।
গত মার্চে দক্ষিণ সুদান আবেইতে সেনা মোতায়েনের পর থেকে আন্তঃসাম্প্রদায়িক ও আন্তঃসীমান্ত সংঘর্ষ বেড়েছে।
আরও পড়ুন: সুদানের খার্তুমের বাজারে ড্রোন হামলায় ৪০ জন নিহত
মধ্য নাইজেরিয়ায় সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় ১৬০ জন নিহত
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) জানিয়েছে, মধ্য নাইজেরিয়ার একটি গ্রামে সশস্ত্র গোষ্ঠীর দফায় দফায় হামলায় কমপক্ষে ১৬০ জন নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় বোক্কোস অঞ্চলের একটি গ্রাম মুশুতে পশু পালক ও কৃষকদের মধ্যে সংঘর্ষে ১৬ জনের মৃত্যুর মধ্যদিয়ে এই ঘটনার সূত্রপাত হয়।
সোমবার বোক্কোস রাজ্যের স্থানীয় সরকারের প্রধান কাসাহ এএফপিকে জানিয়েছে, কমপক্ষে ১১৩ জন নিহত হয়েছে এবং ৩০০ জনেরও বেশি আহত মানুষকে বোক্কোস, জোস ও বারকিন লাদিতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
স্থানীয় রেড ক্রসের একটি অস্থায়ী টোল বোক্কোস অঞ্চলের ১৮টি গ্রামে ১০৮ জন মৃত্যুর খবর দিয়েছে।
রাজ্য সংসদের সদস্য ডিকসন চোলম জানিয়েছেন, বারকিন লাডি এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রামে কমপক্ষে ৫০ জন মারা গেছেন বলে জানা গেছে।
সশস্ত্র হামলা নাইজেরিয়ার উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে একটি বড় সুরক্ষা হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে, যার ফলে মৃত্যু ও অপহরণ ঘটছে।
আরও পড়ুন: নাইজেরিয়ায় গির্জায় হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহতের আশঙ্কা
নাইজেরিয়ায় ৪৩ কৃষককে গলা কেটে হত্যা করল জঙ্গিরা
নাইজেরিয়ায় জঙ্গি হামলায় নিরাপত্তাবাহিনীর ১৪ সদস্য নিহত
মিশরে বাস দুর্ঘটনায় ৩২ জনের মৃত্যু
মিশরের রাজধানী কায়রো এবং ভূমধ্যসাগরীয় শহর আলেকজান্দ্রিয়ার সংযোগকারী মহাসড়কে বাস দুর্ঘটনায় অন্তত ৩২ জন নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় শনিবার(২৮ অক্টোবর) সকালে সড়কে একটি যাত্রীবাহী বাস পার্ক করা একটি গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা দিলে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন লেগে অন্তত ৬৩ জন আহত হয়েছেন।
কায়রো-আলেকজান্দ্রিয়া মরুভূমি সড়কে দুর্ঘটনাস্থলথেকে আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বাসটি কায়রো যাওয়ার পথে পার্ক করা একটি গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে অন্য গাড়িগুলোও বাসটির সঙ্গে ধাক্কা লাগলে কয়েকটিতে আগুন ধরে যায়।
আরও পড়ুন: মিশরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৭
অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ফুটেজে দেখা গেছে, রাস্তার পাশে অনেক পুড়তে থাক গাড়ির আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন দমকল কর্মীরা। একটি ফুটেজে অনেক যানবাহনে আগুন লেগেছে এবং সেখান থেকে ঘন ধোঁয়া বের হতে দেখা গেছে।
দেশটির রাষ্ট্রীয় দৈনিক আল-আহরাম জানিয়েছে, কায়রো থেকে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার উত্তরে নুবারিয়া শহরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মিশরের আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ একদিন আগেই মহাসড়কে ঘন কুয়াশার বিষয়ে সতর্ক করেছিল বলে স্থানীয় প্রতিবেদনে বলা হয়।
মিশরের পরিবহন নিরাপত্তা রেকর্ড দুর্বলতার কারণে মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। বেশিরভাগ দুর্ঘটনা এবং সংঘর্ষের কারণ হলো দ্রুত গতি, খারাপ রাস্তা বা ট্র্যাফিক আইনের দুর্বল প্রয়োগ অন্যতম।
আরও পড়ুন: মিশরের নীল ডেল্টায় খালে বাস পড়ে ২১ জনের মৃত্যু
নাইজেরিয়ায় গির্জার বাদকদলের ২৫ গায়ক অপহরণ
নাইজেরিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমের রাজ্য ওন্ডোর একটি গির্জার বাদকদলের ২৫ গায়ককে অপহরণ করেছে সশস্ত্র বন্দুকধারীরা।
রবিবার (১ অক্টোবর) স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার ওন্ডোর স্থানীয় সরকারি এলাকা ওসের একটি গির্জায় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার অনুষ্ঠান চলাকালীন বন্দুকধারীরা গির্জার বাদকদলের কমপক্ষে ২৫ সদস্যকে অপহরণ করে।
আরও পড়ুন: নেদারল্যান্ডসের রটারডামে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৩
ওন্ডোর পুলিশের মুখপাত্র ওলুফুনমিলায়ও ওদুনলামি-ওমিসান্যা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অপহৃতদের উদ্ধার এবং অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে ওই এলাকায় পুলিশের অপহরণ বিরোধী বিভাগ এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিভাগের সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে মিলে কয়েকজন অপহৃতকে উদ্ধারে আমরা অনেকটাই এগিয়েছি।
তবে এ ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমকে বিস্তারিত জানাননি তিনি।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে অপহরণের ৭ ঘণ্টা পর ঢাবি শিক্ষার্থী উদ্ধার
তেজগাঁওয়ে বন্দুকধারীর গুলিতে আহত আইনজীবী ভুবনের মৃত্যু
চলতি বছর ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে ২৫০০ অভিবাসনপ্রতাশী নিহত বা নিখোঁজ
চলতি বছর ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে ঢোকার চেষ্টা করার সময় ২৫০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছে বা নিখোঁজ হয়েছে। এ সময় প্রায় ১ লাখ ৮৬ হাজার মানুষ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে অনুপ্রবেশ করেছেন।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় গণমাধ্যম এএনআই কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানিয়েছে, নিউইয়র্কে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) অফিসের পরিচালক রুভেন মেনিকদিওয়েলা তার রিপোর্টে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে বলেছেন, ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়া ১ লাখ ৮৬ হাজার মানুষের মধ্যে ৮৩ শতাংশ, যা প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার মানুষ ইতালিতে অনুপ্রবেশ করেছে।
তিনি বলেছেন, এ ছাড়া গ্রিস, স্পেন, সাইপ্রাস ও মাল্টাসহ আরও কিছু দেশেও লোকেরা অনুপ্রবেশ করেছে।
রুভেন মেনিকদিওয়েলা তার রিপোর্টে নিরাপত্তা পরিষদকে জানিয়েছেন, বিপজ্জনক সমুদ্র পারাপারে মারা যাওয়া বা নিখোঁজ হওয়া মানুষের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় এ বছর বেড়েছে।
তিনি বলেন, ‘২০২৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়া ২৫০০ জনেরও বেশি মানুষ মৃত বা নিখোঁজ হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে।’
২০২২ সালের একই সময়ে মারা যাওয়া বা নিখোঁজ হওয়া মানুষের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৬৮০ জন।
মেনিকদিওয়েলা আরও বলেছেন, জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা অভিবাসপ্রত্যাশী মানুষদের সমুদ্রে বা স্থল পথে ইউরোপে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকে সমান বিপজ্জনক বলে মনে করে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিনি কাউন্সিলকে ব্যাখ্যা করেন যে কীভাবে ভূমধ্যসাগর পার হওয়ার জন্য অভিবাসনপ্রতাশীরা সাব-সাহারান আফ্রিকান দেশগুলো থেকে ঝুঁকিপূর্ণ পথ পাড়ি দিয়ে তিউনিসিয়ান ও লিবিয়ান উপকূলে পৌঁছান।
এই স্থল যাত্রাকে তিনি ‘বিশ্বের অন্যতম বিপজ্জনক’ যাত্রা হিসেবে অভিহিত করেছেন।
আরও পড়ুন: দেশে ফিরলেন ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার ৩০ বাংলাদেশি
তিনি আরও বলেন, স্থলপথে জনশূন্য প্রান্তরেও বহু মানুষ প্রাণ হারায়।
ইউএনএইচসিআর কর্মকর্তার মতে, অভিবাসনপ্রত্যাশী ও উদ্বাস্তুরা ‘প্রতি পদে মৃত্যু এবং চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঝুঁকিতে রয়েছে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই বছর ১ লাখ ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ তিউনিসিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেছিল, যা গত বছরের তুলনায় ২৬০ শতাংশ বেড়েছে।
তিনি বলেন, যেখানে ৪৫ হাজারেরও বেশি মানুষ লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করে।
এ ছাড়া ইউএনএইচসিআর-এর উত্থাপিত পরিসংখ্যানগুলো আন্তর্জাতিক অভিবাসন অফিসের (আইওএম) পরিচালক পার লিলজার্টের তথ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।
লিলজার্ট নিরাপত্তা পরিষদকে বলেছেন, আইওএম এর সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১ লাখ ৮৭ হাজারেরও বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দুঃখজনকভাবে এ সময়ের মধ্যে আইওএম ২ হাজার ৭৭৮ জনের মৃত্যুর তথ্য পেয়েছে। যার মধ্যে ২ হাজার ৯৩ জনের মৃত্যু হয়েছে কেন্দ্রীয় ভূমধ্যসাগরীয় পথে।
তিনি বলেন, এত বিপজ্জনক হওয়া সত্ত্বেও ২০২৩ সালে এই রুট ধরে গ্রিসে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আগমনের সংখ্যা ৩০০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। তবে, স্পেনে এ সংখ্যা স্থির রয়েছে।
আইওএম জানায়, ইতালিতে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আগমন বেড়েছে।
২০২৩ সালে ১ লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ ইতালিতে এসেছে। যেখানে ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল ৭০ হাজার।
আরও পড়ুন: দেশে ফিরেছেন ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার হওয়া ১৩ বাংলাদেশি
বাংলাদেশিসহ ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ৪৩
বেনিনে পেট্রোল গুদামে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৩৫
বেনিনের স্বরাষ্ট্র ও জননিরাপত্তা মন্ত্রণালয় বলেছে, বেনিনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় ওউইমে বিভাগের একটি পেট্রোল গুদামে শনিবার অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ৩৫ জন নিহত এবং ১০ জনেরও বেশি গুরুতর আহত হয়েছেন।
মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, নাইজেরিয়া সীমান্তের নিকটবর্তী একটি শহরে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টার দিকে একটি গাড়ি থেকে পেট্রোলের ব্যাগ নামানোর সময় আগুনের সূত্রপাত হয়।
আরও পড়ুন: মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড: সর্বস্ব হারিয়ে হাহাকার ব্যবসায়ীদের
বিবৃতিটিতে আরও বলা হয়, আগুন জায়গাটিকে গ্রাস করে, যার ফলে প্রাথমিকভাবে এক শিশুসহ ৩৫ জনের মৃত্যু হয় এবং এক ডজনেরও বেশি গুরুতর আহতকে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়, পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য বস্তুগত ক্ষয়ক্ষতি হয়।
পরিস্থিতি সামাল দিতে তাৎক্ষণিকভাবে ফায়ার ব্রিগেড, পুলিশ ও মেডিকেল টিম মোতায়েন করা হয়। পাবলিক প্রসিকিউটরের কার্যালয় দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের জন্য একটি সম্পূর্ণ তদন্ত শুরু করেছে।
বেনিনে চোরাচালান করা পেট্রোল তার পূর্বাঞ্চলীয় প্রতিবেশি নাইজেরিয়া থেকে আসে। দেশটি মূলত প্রধান তেল উৎপাদনকারী দেশ, যেখানে জ্বালানি বেশ সস্তা।
বেনিনের শহর এবং আশেপাশের রাস্তায় বিক্রি হওয়া হাজার হাজার লিটার পেট্রোল সাধারণত বেনিন-নাইজেরিয়া সীমান্তে অবস্থিত স্টেশনগুলো থেকে আসে।
এই বাণিজ্যে প্রচুর মুনাফা তৈরি হয়। তবে অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে সংরক্ষণ করার কারণে বড় ঝুঁকিও রয়েছে। ফলস্বরূপ, প্রায়শই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি
কৃষি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে দুই শতাধিক দোকান পুড়ে গেছে: ডিএনসিসি সিইও