%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD-%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD%EF%BF%BD
ব্রাজিলের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৩
ব্রাজিলের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় রিও ডি জেনিরো ও এসপিরিতো সান্তোর মধ্যবর্তী স্থানে চলতি সপ্তাহের ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
রবিবার (২৪ মার্চ) এসপিরিতো সান্তোসের রাজ্য সরকার জানিয়েছে, শুক্রবার রাত থেকে শুরু হওয়া ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ১৫ জন মারা গেছে এবং প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে চলে গেছে। শনিবার রিও কর্তৃপক্ষ আরও ৮ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে।
আরও পড়ুন: হাইতির ৪০ লাখ মানুষ 'তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার' শিকার : জাতিসংঘ খাদ্য সংস্থা
রাজ্যের রাজধানী ভিটোরিয়া থেকে ৭৪ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত গ্রামাঞ্চলীয় শহর মিমোসো দো সুলে এসপিরিতো সান্তোতে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
নতুন করে ভূমিধসের ঝুঁকির কারণে উভয় রাজ্যে উদ্ধারকারী দলকে শুক্রবার রাতে তাদের কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছিল। পরে শনিবার বিকাল থেকে পুনরায় উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়।
ব্রাজিলের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের মেয়র ও গভর্নররা বৃহস্পতিবার থেকে সপ্তাহান্তে সম্ভাব্য সমস্যার বিষয়ে বাসিন্দাদের সতর্ক করে দিয়েছে। এসপিরিতো সান্তো রাজ্যে ভারী বৃষ্টিপাতের জন্য সরকারের সতর্কতা স্থানীয় সময় মধ্যরাত পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
আরও পড়ুন: ব্রাজিলে ভারী বর্ষণে ৭ জনের মৃত্যু, ১৬ ঘণ্টা পর কাদা থেকে ৪ বছরের শিশু জীবিত উদ্ধার
ব্রাজিলে ভারী বর্ষণে ৭ জনের মৃত্যু, ১৬ ঘণ্টা পর কাদা থেকে ৪ বছরের শিশু জীবিত উদ্ধার
ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরো রাজ্যে ভারী বৃষ্টিপাতে অন্তত ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৬ ঘণ্টারও বেশি সময় পর কাদায় চাপা পড়া ৪ বছরের এক শিশুকে উদ্ধার করা হয়।
রিও থেকে ৬৯ কিলোমিটার উত্তরে পেট্রোপোলিস শহরে কাদা থেকে মেয়েটিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। অঞ্চলটিতে নতুন করে ভূমিধসের ঝুঁকির কারণে শুক্রবার রাতে উদ্ধারকারী দলগুলোকে কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছে।
উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা বলেন, মেয়েটির বাবা ঘরের দেয়াল চাপায় মারা গেছেন। তিনি তার মেয়েকে আগলে রেখেছিলেন বলেই শিশুটি জীবিত রয়েছে। একই স্থানে মারা গেছেন আরও ৩ জন।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার উত্তর উপকূলে ডুবে যাওয়া নৌকা থেকে ৬৯ রোহিঙ্গা শরণার্থী উদ্ধার
মেয়েটির দাদা রবার্তো নেপোলিও সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার ছেলে একজন যোদ্ধা। সে সেখানে তার পুরো সময় ধরে মেয়েকে বাঁচিয়েছে। আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না যে একটি সন্তান হারানোর কষ্ট কেমন। খুব কষ্ট হয়।’
রাজ্যের মেয়র এবং গভর্নর ক্লদিও কাস্ত্রো বৃহস্পতিবার থেকে সম্ভাব্য সতর্কতার বিষয়ে বাসিন্দাদের জানান।
কর্তৃপক্ষ জানায়, বিপন্ন এলাকা হওয়ায় দমকল কর্মীরা ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে পৌঁছাতে হিমশিম খাচ্ছেন। স্নিফিং কুকুরকেও উদ্ধার তৎপরতার অংশ করা হয়েছে। প্রায় ১০০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
পেট্রোপোলিসের নিকটবর্তী তেরেসোপোলিসের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভারী বৃষ্টিপাতের পর এখনও একজন নিখোঁজ রয়েছেন।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, রিও রাজ্যে ভারী বৃষ্টিপাত পার্শ্ববর্তী এসপিরিতো সান্তোর দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চীনের উত্তরাঞ্চলে বাস দুর্ঘটনায় নিহত ১৪, আহত ৩৭
আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২১, আহত ৩৮
হাইতির ৪০ লাখ মানুষ 'তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার' শিকার : জাতিসংঘ খাদ্য সংস্থা
হাইতিতে 'তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার' মুখোমুখি হয়েছেন ৪০ লাখ মানুষ এবং তাদের মধ্যে ১০ লাখ দুর্ভিক্ষের মাত্র এক ধাপ দূরে রয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের খাদ্য সংস্থার পরিচালক জিন-মার্টিন বাউয়ার।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ক্যারিবীয় যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটির খাদ্য সংকটের চিত্র তুলে ধরেন জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘সতর্ক সংকেত বেজে উঠছে’ কারণ সাম্প্রতিক সময়ে গ্যাং সহিংসতা বৃদ্ধির ফলে পরিস্থিতিকে খুব খারাপ থেকে আরও খারাপ করে তুলেছে এবং মার্চের প্রথম সপ্তাহেই রাজধানী পোর্ট অ-প্রিন্সে অতিরিক্ত ১৫ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
তিনি বলেন, এক কোটি ১০ লাখ জনসংখ্যার দেশটিতে ইতোমধ্যে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ৩ লাখ ৬০ হাজার মানুষ। জাতিসংঘের হিসাব মতে মোট বাস্তুচ্যুতদের অর্ধেকেই শিশু।
বাউয়ার বলেন, ২০২০ সালে কোভিড মহামারির সময় ৪০ লাখ খাদ্য নিরাপত্তাহীন ও ক্ষুধার্ত হাইতিয়ান ছিল এবং এই সংখ্যা কমেনি, তবে দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে থাকা সংখ্যাটি ১০ লাখে উন্নীত হয়েছে।
বাউয়ার বলেন, পোর্ট-অ-প্রিন্সকে 'একটি বুদ্বুদে' পরিণত করা হয়েছে। যেখানে গ্যাংগুলো রাস্তা নিয়ন্ত্রণ করে, বন্দর ও বিমানবন্দর বন্ধ করে দেয় এবং কেউ ঢুকতে বা বের হতে পারে না।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির পরিচালক বলেন, সংস্থাটি এবং তার অংশীদাররা রাজধানীতে নতুন করে বাস্তুচ্যুত লোকদের জন্য একটি গরম খাবার পরিষেবা শুরু করেছে, দিনে ২ হাজার জনের খাবার দিয়ে শুরু করে এখন তা দিনে প্রায় ১৪ হাজার জনের খাবার রয়েছে।
তবে তিনি বলেন, বন্দরটি পুনরায় চালু করা হলে না করলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ডব্লিউএফপির গুদামের সরবরাহ শেষ হয়ে যাবে।
হাইতি তার খাদ্য সরবরাহের ৫০ শতাংশের জন্য খাদ্য আমদানির উপর নির্ভর করে। বাউয়ার বলেন, ডব্লিউএফপি নিশ্চিত করতে পারে যে পোর্ট-অ-প্রিন্সের পাশাপাশি হাইতির অন্য এলাকায় খাদ্যের দাম বাড়ছে।
তিনি বলেন, জানুয়ারিতে গোলযোগ হয়েছিল এবং দক্ষিণে খাদ্যের দাম ২৫ শতাংশ বেড়েছে, যেখানে রাস্তাঘাট অবরোধ করা হয়েছিল এবং ট্রাকগুরো মৌলিক প্রয়োজনীয়তা নিয়ে পোর্ট-অ-প্রিন্সে যেতে পারেনি। সেখানে রান্নার জন্য প্রাথমিক জ্বালানি প্রোপেনের সংকট ছিল।
আরও পড়ুন: চিলির দাবানলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩১, নিখোঁজ ৩০০
বাউয়ার বলেন, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে গ্যাং সহিংসতার কারণে খাদ্যপণ্যের দাম অন্তত ১০ শতাংশ বেড়েছে।
তিনি বলেন, রাজধানীর বাইরের গ্রামীণ এলাকার অর্থনীতি পোর্ট-অ-প্রিন্সের সংযোগের উপর নির্ভর করে এবং বাণিজ্য ব্যাহত হওয়ার কারণে দেশের অন্যত্র খাদ্যের দামও বেড়েছে।
বাউয়ার বলেন, ডব্লিউএফপির এক জরিপে দেখা গেছে, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে পরিবারের আয় কমে যাচ্ছে, কারণ মানুষ কাজে যেতে পারছে না। তারা ' একটি জায়গায় আশ্রয় নিচ্ছে' এবং অর্থ উপার্জন করছে না।
প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরির পদত্যাগের প্রভাব সম্পর্কে জানতে চাইলে বাউয়ার বলেন, তিনি রাজনৈতিক গতিশীলতা পড়ার ক্ষেত্রে ভাল নন ‘তবে আমরা অবশ্যই আশা করি যে নিরাপত্তার উন্নতি হবে।’
তিনি বলেন, নিরাপত্তাহীনতা মানুষকে এই মুহূর্তে খুব সাধারণ কাজগুলো করতে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। সন্তানদের স্কুলে নিয়ে যাওয়া, বা সুপারমার্কেটে যাওয়া বা 'অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ' কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
উত্তর হাইতির ক্যাপ হাইতিয়েন থেকে কথা বলার সময় বাউয়ার জোর দিয়ে বলেন, ‘শুধু নিরাপত্তার দিকে নজর দিলে হবে না, আমাদের জোরালো মানবিক সহায়তাও প্রয়োজন।’
কিন্তু এ বছর হাইতির জন্য জাতিসংঘের ৬৭ কোটি ৪০ লাখ ডলারের মানবিক আবেদনের মাত্র ২ দশমিক ৬ শতাংশ অর্থায়ন করা হয়েছে।
একটি ইতিবাচক নোটে, বাউয়ার বলেন, স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে ডব্লিউএফপি কিনতে পারে এমন সরবরাহের জন্য ধন্যবাদ। এটি চলমান কর্মসূচির অংশ হিসাবে সোমবার উত্তর ও দক্ষিণ হাইতি এবং অন্যান্য শান্ত অঞ্চলে প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার স্কুল শিশুকে খাওয়াতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, সহিংসতার কারণে প্রবেশের ঝুঁকি সত্ত্বেও ডব্লিউএফপি হাইতির কিছু দরিদ্র মানুষের কাছে তাদের মোবাইল ফোনে অর্থ পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছে।
জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক মঙ্গলবার বলেছেন, গোষ্ঠীগত সহিংসতার কারণে অনেক স্বাস্থ্য সুবিধা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে।
তিনি বলেন, ন্যাশনাল ব্লাড ট্রান্সফিউশন সেন্টারে রক্তের ঘাটতি রয়ে গেছে এবং প্রতিবেশী ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র থেকে রক্ত আনার চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: চিলির ঘনবসতিপূর্ণ মধ্যাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া দাবানলে অন্তত ৪৬ জনের মৃত্যু
চিলির দাবানলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩১, নিখোঁজ ৩০০
চিলির মধ্যাঞ্চলে কয়েকদিন ধরে চলা দাবানলে মঙ্গলবার মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩১ জনে দাঁড়িয়েছে এবং এখনও ৩০০ জনেরও বেশি নিখোঁজ রয়েছেন।
ভালপারাইসোর দাবানলকে ২০১০ সালে ভূমিকম্পের পর চিলির সবচেয়ে মারাত্মক বিপর্যয় বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিক অঞ্চল পরিদর্শনের সময় বলেন, ২০২৩ প্যান আমেরিকান গেমসের জন্য ব্যবহৃত আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে বিতরণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, সরকার ৯ হাজার ২০০ ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির পানির বিলও মওকুফ করবে।
আরও পড়ুন: চিলির ঘনবসতিপূর্ণ মধ্যাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া দাবানলে অন্তত ৪৬ জনের মৃত্যু
শুক্রবার ভিনা দেল মারের পূর্ব প্রান্তের পাহাড়ি অঞ্চলে দাবানলের সূত্রপাত হয়। শুষ্ক আবহাওয়া ও প্রবল বাতাসে দাবানল দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় কুইলপে ও ভিলা আলেমানা নামের অপর দুটি শহরেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ভিনা দেল মার ফেস্টিভালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে।
চিলির ফরেনসিক মেডিকেল সার্ভিস জানিয়েছে, দাবানল থেকে উদ্ধার করা অনেক মৃতদেহের অবস্থা খারাপ এবং শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে ফরেনসিক কর্মীরা নিখোঁজ স্বজনদের কাছ থেকে জেনেটিক নমুনা সংগ্রহ করবেন।
জাতিসংঘ এক বিবৃতিতে সমবেদনা জানিয়েছে এবং সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে। এদিকে, এক্স (সাবেক টুইট) বার্তায় বোরিক বিপর্যয়ের পর 'গুরুত্বপূর্ণ সহায়তার' জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: গ্রিসে দাবানলে ১৮ জনের লাশ উদ্ধার
কেনিয়ার রাজধানীতে গ্যাস বিস্ফোরণে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৩, আহত ২৭১ জন
চিলির ঘনবসতিপূর্ণ মধ্যাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া দাবানলে অন্তত ৪৬ জনের মৃত্যু
চিলির প্রেসিডেন্ট শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বলেছেন, চিলির মধ্যাঞ্চলের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ভয়াবহ দাবানলে অন্তত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া সরকারি কর্মকর্তারা জানান, অন্তত ১ হাজার ১০০ বাড়ি ধ্বংস হয়েছে।
জাতীয়ভাবে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে দেশটির প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিক সতর্ক করে বলেন, ভালপারাইসো অঞ্চলে চারটি বড় ধরনের দাবানল ছড়িয়ে পড়ায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তাছাড়া দমকলকর্মীদের সেসব এলাকায় যেতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট বোরিক চিলির জনগণকে উদ্ধারকর্মীদের সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: গ্রিসে দাবানলে ১৮ জনের লাশ উদ্ধার
তিনি বলেন, ‘যদি আপনাকে খালি করতে বলা হয় তবে তা করতে দ্বিধা করবেন না। দাবানল দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে এবং জলবায়ু পরিস্থিতির কারণে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ছে। এলাকাগুলোয় উচ্চ তাপমাত্রা, শক্তিশালী বাতাস ও কম আর্দ্রতা বিরাজ করছে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যারোলিনা তোহা শনিবার বলেন, দেশের মধ্য ও দক্ষিণে ৯২টি দাবানল জ্বলছে, এই সপ্তাহে ওইসবগুলোতে তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেশি ছিল।
দাবানলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভালপারাইসো অঞ্চলের, যেখানে কর্তৃপক্ষ হাজার হাজার মানুষকে তাদের বাড়িঘর খালি করার আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: মাউই দাবানল: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০১
মাউই দ্বীপে দাবানলে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞে শোক প্রকাশ করে বাইডেনের কাছে প্রধানমন্ত্রীর চিঠি
বলিভিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৭
বলিভিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ৭ জন নিহত ও ৩ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) পশ্চিমাঞ্চলীয় অরুরো বিভাগের চাল্লাপাতা শহরের কাছে দু’টি গণপরিবহন (বাস ও ভ্যান) মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা বলেছে, নিহতদের মধ্যে ৬ জন ভ্যানে ছিলেন, অন্যজন বাসের যাত্রী। ভ্যানটি সড়কের বিপরীত পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তারিজা থেকে লা পাজগামী বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও স্থানীয় টেলিভিশনে প্রচার করা ছবিতে দেখা যায়, ধাক্কায় যাত্রীবাহী ভ্যানটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে এবং বাসের সামনের অংশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দুর্ঘটনার কারণ জানার জন্য তদন্ত চালাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন।
আরও পড়ুন: খুলনায় সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনায় স্ত্রী-স্বামী নিহত
কলম্বিয়ায় ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪
কলম্বিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে ভূমিধসে শনিবার নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪ জনে দাঁড়িয়েছে।
শুক্রবার কুইবদো ও মেডেলিন শহরের সংযোগকারী পার্বত্য এলাকার একটি ব্যস্ত পৌর সড়কে ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।
ন্যাশনাল ডিজাস্টার রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ইউনিট প্রাথমিকভাবে বিবৃতিতে জানিয়েছে, অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছেন। সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, অন্তত আহত ৩৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চোকো গভর্নরের কার্যালয় থেকে নতুন মৃত্যুর সংখ্যা জানানো হয়েছে, যেখানে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান সমন্বয়ের জন্য একটি সমন্বিত কমান্ড পোস্ট তৈরি করা হয়েছে। বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, ১৭টি লাশ শনাক্ত করা হয়েছে এবং কর্মকর্তারা আরও ১৭ জনকে শনাক্ত করার চেষ্টা করছেন।
প্রসিকিউটর অফিস নিহতের সংখ্যা নিশ্চিত করেছে।
আরও পড়ুন: ভারতের শিমলায় ভূমিধসে ২১ জনের মৃত্যু: মুখ্যমন্ত্রী সুখু
এর আগে কলম্বিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট ফ্রান্সিয়া মার্কেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, ভূমিধসে আটকা পড়াদের খোঁজে তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে।
হতাহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশু রয়েছে বলে তিনি জানান। তবে তিনি কোনো সংখ্যা উল্লেখ করেননি।
কী কারণে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে তা নির্দিষ্ট করে জানায়নি রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ইউনিট। তবে শুক্রবার রাতে প্রতিরক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, ওই এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে। যার ফলে উদ্ধার কাজ পরিচালনা কঠিন হয়ে পড়েছে।
প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো শুক্রবার এক্সে বলেন, তার সরকার এই 'ভয়াবহ ট্র্যাজেডিতে' প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দেবে।
আরও পড়ুন: ভারতের উত্তরাখণ্ডে ভূমিধসে ৫ তীর্থযাত্রী নিহত
ভারতে ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৭
ব্রাজিলের আমাজনে পানির তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় শতাধিক ডলফিনের মৃত্যু
পানির তাপমাত্রা অত্যাধিক বেড়ে যাওয়ায় ব্রাজিলের আমাজন রেইন ফরেস্টে গত সপ্তাহে ১০০ টিরও বেশি ডলফিন মারা গেছে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে, পানির তাপমাত্রা এই পর্যায়ে থাকলে শিগগিরই আরও অনেক ডলফিন মারা যেতে পারে।
ব্রাজিলের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন মন্ত্রণালয়ের একটি গবেষণা দল মামিরুয়া ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, তেফে হ্রদের আশেপাশের অঞ্চলে সোমবার আরও দুটি মৃত ডলফিন পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: হাওয়াইয়ের স্পিনার ডলফিনের সাথে সাঁতার কাটা নিষিদ্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র
ইনস্টিটিউটের দেওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, শকুনেরা সৈকতে ডলফিনের মৃতদেহ তুলে নিচ্ছে। হাজার হাজার মাছও মারা গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, হ্রদগুলোর পানির উচ্চ তাপমাত্রা এই অঞ্চলের সবচেয়ে বেশি প্রাণির মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণ।
গত সপ্তাহ থেকে টেফে লেক অঞ্চলে তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০২ ডিগ্রি ফারেনহাইট) অতিক্রম করেছে।
ব্রাজিল সরকারের চিকো মেন্ডেস ইনস্টিটিউট ফর বায়োডাইভার্সিটি কনজারভেশন গত সপ্তাহে জানিয়েছে, তারা পশুচিকিত্সক ও জলজ স্তন্যপায়ী বিশেষজ্ঞদের একটি দল পাঠিয়েছে।
মামিরাউয়া ইন্সটিটিউটের গবেষক মরিয়ম মারমন্টেল বলেন, টেফে লেকে প্রায় ১ হাজার ৪০০ ডলফিন ছিল।
মারমন্টেল বলেন, ইতোমধ্যে এক সপ্তাহে আমরা ১২০টি প্রাণী হারিয়েছি, যা মোট সংখ্যার ৫-১০ শতাংশ।
খরার কারণে শুক্রবার আমাজোনাসের গভর্নর উইলসন লিমা জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন।
নিকসন মারেইরা ৬০ হাজার বাসিন্দার শহর টেফের মেয়র।
তিনি বলেন, নদীশুষ্ক হওয়ায় তার সরকার কিছু বিচ্ছিন্ন সম্প্রদায়ের কাছে সরাসরি খাদ্য সরবরাহ করতে পারছে না।
মামিরুয়া ইনস্টিটিউটের জিওস্প্যাটিয়াল কোঅর্ডিনেটর আয়ান ফ্লিশম্যান বলেন, আমাজন অঞ্চলের নদীতীরবর্তী জনগোষ্ঠীর ওপর খরার বড় প্রভাব পড়েছে।
তিনি বলেন, অনেক সম্প্রদায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে, ভালো মানের পানি পাচ্ছে না, নদীতে নৌকা চালাতে পারছে না। অথচ তাদের যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম নদী।
ফ্লিশম্যান বলেন, পানির তাপমাত্রা শুক্রবার ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৮৯ ফারেনহাইট) থেকে বেড়ে রবিবার প্রায় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০০ ফারেনহাইট) হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তারা এখনও ডলফিনের মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান করছেন। তবে পানির উচ্চ তাপমাত্রা প্রধান কারণ বলেই তাদের সন্দেহ।
আরও পড়ুন: হালদা নদীতে দুইদিনে আরও ২টি ডলফিনের মৃত্যু
বরগুনায় সৈকতে ভেসে এলো মৃত ডলফিন
জলবায়ু সংরক্ষণ নীতি পুনরুদ্ধারের ঘোষণা ব্রাজিলের
২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তি (কপ২১) অনুযায়ী ক্ষতিকর গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমানোর প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে ব্রাজিল। যদিও দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট জেইর বলসোনারোর শাসনামলে এই প্রতিশ্রুতি দুর্বল হয়ে পড়েছিল।
বৃহস্পতিবার দেশটির ১৮টি সরকারি মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে গঠিত একটি যৌথ সংস্থা ‘জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত কমিটি’- এই ঘোষণা দিয়েছে।
ব্রাসিলিয়ায় কমিটির বৈঠকে ভাইস প্রেসিডেন্ট জেরাল্ডো অ্যালকমিন বলেন, ‘এই চ্যালেঞ্জিং মুহুর্তে পৃথিবীকে সাহায্য করার ক্ষেত্রে ব্রাজিল একটি প্রধান ক্রীড়ানক।’
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত জাতিসংঘের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনে আমাদের পরিবর্তিত সিদ্ধান্তটি আনুষ্ঠানিকভাবে পাঠানো হবে। এটি একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা যা জলবায়ু পরিবর্তনের উপর বৈশ্বিক পদক্ষেপকে এগিয়ে নিতে কাজ করে।
এটি প্যারিস চুক্তি অনুসারে প্রতিটি দেশের জাতীয়ভাবে নির্ধারিত দায় বা জাতীয় নির্গমন হ্রাস করার প্রতিশ্রুতির ব্যাপারে নজরদারি করে।
উগ্র ডানপন্থী প্রেসিডেন্ট বোলসোনারোর আমলে ব্রাজিল দেশ হিসেবে তার গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণের লক্ষ্যমাত্রা থেকে দুবার পিছিয়ে পড়ে।
অনেকগুলো পরিবেশ ও সামাজিক গোষ্ঠীর একটি নেটওয়ার্ক ক্লাইমেট অবজারভেটরি’র অনুমান অনুসারে, সাম্প্রতিক সবচেয়ে বড় বিপর্যয় ঘটেছে ২০২১ সালে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে ব্রাজিল তার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭৩ মিলিয়ন মেট্রিক টন বেশি কার্বন নিঃসরণ নির্গমন। প্যারিস চুক্তির অধীনে ব্রাজিলের কার্বন নিঃসরণের লক্ষ্যমাত্রা হলো ১ দশমিক ২ বিলিয়ন মেট্রিক টন।
একটি জলবায়ু নীতি-কেন্দ্রিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক তালানোয়া ইনস্টিটিউট শুক্রবার তার নিজস্ব বিশ্লেষণ প্রকাশ করে বলেছেন, পুনরুদ্ধারকে নিছক একটি প্রাথমিক পদক্ষেপ বলে দেখা হচ্ছে। এরজন্য আরও সাহসী প্রতিশ্রুতি প্রয়োজন।
ইনস্টিটিউট বলেছে, চিরাচরিত নিয়মে বদ্ধ ঘরে বসে সিদ্ধান্ত না নিয়ে নির্গমন টার্গেট প্রক্রিয়াটি পুরো সমাজের সামনে উন্মুক্ত করা উচিত। এটি শুধুমাত্র ব্রাজিলের ২০১৫ সালের নেওয়া প্রতিশ্রুতি পুনর্বহাল করবে না, আরও উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য নির্ধারণ করতেও সক্ষম করবে।
ওয়ার্ল্ড রিসোর্সেস ইনস্টিটিউটের পরিচালিত একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ক্লাইমেট ওয়াচ অনুসারে, ব্রাজিল বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনকারী, যা বিশ্বব্যাপী নির্গমনের প্রায় ৩ শতাংশের জন্য দায়ী।
এই নির্গমনের প্রায় অর্ধেক আমাজন রেইনফরেস্টের গাছ ধ্বংসের কারণে ঘটে, যা বলসোনারোর প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ১৫ বছরে সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছেছিল।
সাবেক এই প্রেসিডেন্ট কৃষি ও ব্যবসা সম্প্রসারণের পক্ষে ছিলেন। তিনি আমাজন রেইনফরেস্ট সংরক্ষণের প্রচেষ্টাকে উপেক্ষা করেন এবং ব্রাজিলের পরিবেশ সংস্থাগুলোকে ভেঙে দিয়েছিলেন।
বর্তমান প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা সাবেক প্রেসিডেন্ট বোলসোনারোর সম্পূর্ণ উল্টো পথে হাঁটছেন।
তিনি জানুয়ারি থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত সময়ের মধ্যে বন উজাড় ৪৮ শতাংশ হ্রাস করেছেন।
ব্রাজিলের আমাজন রেইন ফরেস্টে ছোট উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত, ১৪ আরোহীর সবাই নিহত
ব্রাজিলের আমাজন রেইন ফরেস্টে শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) একটি ছোট যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে ১৪ আরোহীর সবাই নিহত হয়েছেন। আমাজোনাস রাজ্যের গভর্নর উইলসন লিমা বিষয়টি সম্পর্কে জানিয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (পূর্বে টুইটার) লিমা বলেন, ‘শনিবার বার্সেলোসে উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের শিকার ১২ জন যাত্রী ও ২ ক্রু সদস্যের মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে দুঃখপ্রকাশ করছি।’
স্থানীয় গণমাধ্যমে বলা হয়, এমব্রায়ার পিটি-এসওজি উড়োজাহাজটি আমাজোনাস রাজ্যের রাজধানী এবং আমাজনের বৃহত্তম শহর মানাউস থেকে উড্ডয়ন করেছিল এবং ভারী বৃষ্টির মধ্যে অবতরণের চেষ্টা করার সময় এটি বিধ্বস্ত হয়।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত, ৯ জনের লাশ উদ্ধার
এতে আরও বলা হয়, যাত্রীরা ব্রাজিলের পর্যটক ছিলেন, যারা মাছ ধরতে যাচ্ছিলেন।
গ্লোবো টেলিভিশন নেটওয়ার্কের পোস্ট করা ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, বিমানটি কাদা ময়লার ওপর পড়ে আছে এবং বিমানের সামনের অংশ সবুজ পাতায় ঢেকে আছে। কয়েক ডজন লোককে ছাতা হাতে পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
বিমান বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, ব্রাজিলের বিমান বাহিনী তথ্য সংগ্রহ এবং দুর্ঘটনার তদন্তের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে এমন কোনো প্রমাণ সংরক্ষণের জন্য মানাউস থেকে একটি দল প্রেরণ করেছে।
আরও পড়ুন: পোখরায় যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত: ৭২ জন যাত্রীর মধ্যে নিহত ৬৮