%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%AF
গাজার রাফায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়াল
ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, সোমবার দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহ ও গাজা উপত্যকার আশপাশের এলাকায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ব্যাপক হামলায় নিহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে গেছে। এতে নারী ও শিশু সহ আহত হয়েছেন আরও শতাধিক ফিলিস্তিনি।
বার্তা সংস্থাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার ভোরে রাফাহ এলাকায় প্রায় ৪০টি বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এছাড়া স্থল বাহিনী ব্যাপক গোলাবর্ষণও করেছে ওই এলাকায়।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা সোমবার গাজার দক্ষিণাঞ্চলে 'সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুতে ধারাবাহিক হামলা’ চালিয়েছে। তবে এর বেশিকিছু বলা হয়নি ওই বিবৃতিতে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ১৩ জনের মৃত্যু; রাফাহ অভিযান নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে
গাজাভিত্তিক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় রবিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ১৭৬ জনে এবং আহত হয়েছেন ৬৭ হাজার ৭৮৪ জন।
গাজায় ইসরায়েল-হামাস সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে সেখানকার প্রায় অর্ধেক বাসিন্দা নিরাপত্তার সন্ধানে মিশর সংলগ্ন রাফাহ এলাকায় পালিয়ে গেছে।
সীমান্তবর্তী শহরটি রাফাহ ক্রসিংয়ের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এবং জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর কাছ থেকে খাদ্য ও ওষুধ সহায়তা পেয়ে থাকেন ফিলিস্তিনিরা। বর্তমানে ওই এলাকার খালি কৃষিজমিতে, স্কুলে এবং রাস্তার পাশে তাঁবুতে আশ্রয় নিয়েছেন ফিলিস্তিনের বাস্তুচ্যুত নাগরিকরা।
আরও পড়ুন: রাফাহতে ইসরায়েলি হামলায় আরও ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত
রাফাহতে ইসরায়েলি হামলায় আরও ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত
রাফায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে আরও ২৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় শনিবার(১০ ফেব্রুয়ারি) ভোরে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
তবে স্থলভাগে আক্রমণের আগে দক্ষিণ গাজার শহর থেকে কয়েক হাজার লোককে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করার জন্য সামরিক বাহিনীকে বলেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু না জানিয়ে ঘোষণা দেওয়ায় গাজাবাসীর মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
গাজার ২৩ লাখ মানুষের অর্ধেকেরও বেশি এখন রাফায় গাদাগাদি করে অবস্থান নিয়েছে। ইসরায়েলি উচ্ছেদের নির্দেশে বারবার উচ্ছেদ করায় গাজার দুই-তৃতীয়াংশ এলাকা এখন এই অবস্থায় রয়েছে। এরপর তারা কোথায় যেতে পারবে তা স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত ৩ যুবককে গুলি
মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, বেসামরিক জনগণের জন্য কোনো পরিকল্পনা ছাড়া রাফাহতে হামলা হলে তা বিপর্যয় ডেকে আনবে।
ইসরায়েল প্রায় প্রতিদিনই রাফাহতে বিমান হামলা চালাচ্ছে। যদিও সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে খান ইউনিস শহরে উত্তর দিকের স্থলভাগের যুদ্ধ থেকে বাঁচতে বেসামরিক নাগরিকদের সেখানে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছিল।
শনিবার রাতভর রাফাহ এলাকার বাড়িঘরে তিনটি বিমান হামলায় ২৮ জন নিহত হয়েছেন বলে এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের সাংবাদিকরা জানিয়েছেন। প্রতিটি হামলায় অন্তত তিনটি পরিবারের একাধিক সদস্য নিহত হন। নিহতদের মধ্যে মোট ১০টি শিশু ছিল। সবচেয়ে কনিষ্ঠতম শিশুটির বয়স ছিল মাত্র তিন মাস।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কিদরা জানান, ইসরায়েলি বাহিনী খান ইউনিসের ওই এলাকার সবচেয়ে বড় নাসের হাসপাতালে গুলি চালালে অন্তত একজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়।
আরও পড়ুন: ন্যাম সম্মেলন: ফিলিস্তিনিদের সমর্থন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
তিনি বলেন, তীব্র আগুনের কারণে হাসপাতালের ভবনগুলোর মধ্যে চিকিৎসা কর্মীরা আর চলাচল করতে পারছেন না।
তিনি বলেন, হাসপাতালে ৩০০ চিকিৎসাকর্মী, ৪৫০ জন রোগী এবং ১০ হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।
ইসরায়েল বলছে, চার মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধের পর মিশরের সীমান্তবর্তী রাফাহ গাজায় হামাসের শেষ শক্ত ঘাঁটি।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে কয়েক হাজার হামাস সদস্যের সশস্ত্র হামলায় নিহত হয় ১ হাজার ২০০ মানুষ। এসময় আরও ২৫০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায় হামাস। এরপরই হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল।
হামাসের সঙ্গে চলমান যুদ্ধে ইসরায়েলি বিমান ও স্থল অভিযানে প্রায় ২৮ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। গাজার ২৩ লাখ মানুষের প্রায় ৮০ শতাংশ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং অঞ্চলটি খাদ্য ও চিকিৎসা সেবার ঘাটতিসহ মানবিক সংকটে নিমজ্জিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতি কৃতজ্ঞ: ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ১৩ জনের মৃত্যু; রাফাহ অভিযান নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে
গাজা উপত্যকার দক্ষিণ সীমান্তের রাফাহ শহরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে দুজন নারী ও ৫ জন শিশু বলে জানিয়েছে গাজার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার কয়েক ঘণ্টা পরেই রাতভর বিমান হামলা শুরু হয় এবং রাফাহতে এই হামলা আরও বাড়বে বলেও জানান নেতানিয়াহু।
অন্যদিকে দুই ঘনিষ্ঠ মিত্রের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার ইসরায়েল ত্যাগ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
অব্যাহত সামরিক অভিযানের মাধ্যমে ইসরায়েল গাজার ২৩ লাখ জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি মিশর সীমান্তের দিকে স্থানান্তর করেছে। ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড ত্যাগ করতে না পেরে অনেকে অস্থায়ী তাবু গেড়ে বা জাতিসংঘের শরণার্থী শিবিরগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে।
আরও পড়ুন: গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে গাজায় যুদ্ধবিরতি চান অ্যানি লেনক্স
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুদ্ধে নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা ২৭ হাজার ৮৪০ জন ছাড়িয়ে গেছে। এছাড়াও গাজার অধিবাসীদের প্রায় এক-চতুর্থাংশ মানুষ অনাহারে জীবনযাপন করছেন।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় এই যুদ্ধের সূত্রপাত হয়। এই হামলায় ১২০০ ইসরায়েলির মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই বেসামরিক ছিল। আর ২৫০ জনকে জিম্মি করা হয়। হামাস এখনও ১৩০ জনেরও বেশি ইসরায়েলিকে জিম্মি করে রেখেছে যাদের মধ্যে প্রায় ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ইয়েমেনে মার্কিন-ব্রিটিশ বিমান হামলার নিন্দা হামাসের
ইয়েমেনে মার্কিন-ব্রিটিশ বিমান হামলার নিন্দা হামাসের
ইয়েমেনে মার্কিন-ব্রিটিশ বিমান হামলার নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী ইসলামিক প্রতিরোধ আন্দোলন (হামাস)।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) একটি বিবৃতিতে সংগঠটি বলেছে, রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) চালানো মার্কিন-ব্রিটিশের হামলাটি উত্তেজনা বৃদ্ধি করবে। যা এই অঞ্চলকে আরও অস্থিরতার দিকে ঠেলে দেবে।
এতে সংগঠনটি আরও বলেছে, ‘আমরা ইয়েমেন প্রজাতন্ত্রে মার্কিন-ব্রিটিশ বিমান হামলার তীব্র নিন্দা জানাই এবং এটিকে একটি আরব দেশের সার্বভৌমত্বের উপর একটি নির্লজ্জ আক্রমণ বলে মনে করি।’
হামাস বলেছে, ‘এই বিমান হামলাটি উত্তেজনা বৃদ্ধি করবে এবং এই অঞ্চলকে আরও অস্থিরতা ও অস্থিতিশীলতার দিকে টেনে নিয়ে যাবে, যার পরিণতির জন্য ওয়াশিংটন ও ইসরায়েল সম্পূর্ণ দায়ী।’
ইয়েমেনের হুথি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় শনিবার মার্কিন ও ব্রিটিশ বাহিনী যৌথ হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন পেন্টাগন।
ইয়েমেনের হুথি গোষ্ঠী রবিবার সকালে বলেছে, রাজধানী সানাসহ উত্তর ইয়েমেনের হুতি নিয়ন্ত্রিত ছয়টি প্রদেশে রাতভর যুক্তরাষ্ট্র-ব্রিটিশ বিমান হামলার প্রতিশোধমূলক হামলা চালাবে তারা।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েল-হামাস সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে হুথিরা লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরে ইসরায়েল অভিমুখী বাণিজ্যিক জাহাজ ও মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজে ৪০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
হুতিরা বলেছে, তাদের লক্ষ্য হলো- গাজায় হামলা ও অবরোধ বন্ধে ইসরাইলের ওপর চাপ সৃষ্টি করা।
ইরানে কাসেম সোলাইমানির স্মরণসভায় বোমা হামলায় নিহত ১০৩
২০২০ সালে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত ইরানি জেনারেল কাশেম সোলাইমানের স্মরণে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১০৩ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ১৪১ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ তথ্য জানায়।
গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধ নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপক উত্তেজনার মধ্যেই বিস্ফোরনের ঘটনা ঘটল। একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এই বিস্ফোরণকে 'সন্ত্রাসী' হামলা বলে অভিহিত করেছেন।তবে কারা এ হামলার পেছনে রয়েছেন সে বিষয়ে তিনি কিছুই বলেননি। তাৎক্ষণিকভাবে কোনো গোষ্ঠী এ হামলার দায় স্বীকার করেনি।
দেশটির জরুরি বিভাগের মুখপাত্র বাবাক ইয়েকতাপারস্তকে উদ্ধৃত করে হতাহতের এ সংখ্যা প্রকাশ করেছে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক 'ঠিক দিকেই এগোচ্ছে': ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিপ্লবী গার্ডের কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানি হত্যার চতুর্থ বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ হামলা চালানো হয়। যিনি ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ইরাকে মার্কিন ড্রোন হামলায় মারা যান। রাজধানী তেহরান থেকে প্রায় ৮২০ কিলোমিটার (৫১০ মাইল) দক্ষিণ-পূর্বে কেরমানে তার সমাধিস্থলের কাছে বিস্ফোরণটি ঘটে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হামলার পর পালিয়ে যাওয়ার সময় কয়েকজন আহত হয়েছ।
একটি ফুটেজে দেখা গেছে, প্রথম বিস্ফোরণের প্রায় ১৫ মিনিট পর দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি ঘটে। সাধারণত জরুরি অবস্থার সেবাদানকারী কর্মীদের লক্ষ্য করে এবং হতাহতের সংখ্যা বাড়াতেই দ্বিতীয়বার বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা।
রাষ্ট্রীয় টিভি ফুটেজে লোকজনকে চিৎকার করতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: শান্তিতে নোবেল পেলেন ইরানের সমাজকর্মী নার্গেস মোহাম্মদি
কেরমানের ডেপুটি গভর্নর রহমান জালালি এই হামলাকে 'সন্ত্রাসী' আখ্যায়িত করেছেন।
ইরানের একাধিক শত্রু রয়েছে যারা এই হামলার পেছনে থাকতে পারে। এরমধ্যে নির্বাসিত গোষ্ঠী, জঙ্গি সংগঠন ও রাষ্ট্রীয় ভূমিকা রয়েছে। ইরান হামাসের পাশাপাশি লেবাননের শিয়া মিলিশিয়া হিজবুল্লাহ এবং ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের সমর্থন করেছে।
সোলাইমানি ছিলেন ইরানের আঞ্চলিক সামরিক কার্যক্রমের স্থপতি এবং ইরানের ধর্মতন্ত্রের সমর্থকদের মধ্যে জাতীয় আইকন হিসেবে প্রশংসিত হন। তিনি সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদের সরকারকে সুরক্ষিত রাখতেও সহায়তা করেছিলেন। ২০১১ সালের আরব বসন্তের পর তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে এটি আঞ্চলিক যুদ্ধে পরিণত হয়েছিল যা আজও চলছে।
২০২০ সালে তার শেষকৃত্যের সময় পদদলিত হয়ে কমপক্ষে ৫৬ জন নিহত এবং ২০০ জনেরও বেশি আহত হন।
আরও পড়ুন: ব্রিকস জোটে যোগ দিতে যাচ্ছে ইরান, সৌদি আরব ও মিশরসহ ৬ দেশ
মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যা প্রতিরোধে রাষ্ট্রসমূহ বাধ্য: জাতিসংঘ কমিটি
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গাজা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটিতে বিলম্বের মধ্যে ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ও অমানবিক বক্তব্যের বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছে জাতিগত বৈষম্য দূরীকরণ বিষয়ক জাতিসংঘ কমিটি।
বৃহস্পতিবার(২১ ডিসেম্বর) 'আর্লি ওয়ার্নিং অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অ্যাকশন প্রসিডিউর'-এর আওতায় গৃহীত এক সিদ্ধান্তে কমিটি বলেছে, সাত দিনের 'বিরতির' পর চলতি বছরের ১ ডিসেম্বর অধিকৃত গাজা উপত্যকায় নৃশংস শত্রুতা পুনরায় শুরু হওয়ায় তারা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
অধিকৃত গাজা উপত্যকা জুড়ে আকাশ, স্থল ও সমুদ্র থেকে তীব্র, নৃশংস এবং নির্বিচারে ইসরায়েলি বোমাবর্ষণ এবং অধিকৃত গাজা উপত্যকার দক্ষিণে ইসরায়েলি সামরিক স্থল অভিযানের সম্প্রসারণে এটি গভীরভাবে মর্মাহত করে। ইসরায়েলি এই সামরিক অভিযানের ফলে প্রায় ২০ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
এতে বলা হয়, অধিকৃত গাজা উপত্যকায় বিপর্যয়কর মানবিক সংকট মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যা প্রতিরোধে ইসরায়েল ও অন্যান্য রাষ্ট্রপক্ষের বাধ্যবাধকতা সম্পর্কে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: যুদ্ধবিরতির পর গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ১৭৫
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলের জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা, সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ ও সরকারি কর্মকর্তারেদ বর্ণবাদী বিদ্বেষমূলক বক্তব্য, সহিংসতা ও গণহত্যার উসকানি এবং ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে অমানবিক বক্তব্যের বিষয়েও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংস্থাটি।
কমিটি গত কয়েক সপ্তাহে অধিকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ইসরায়েলি বাহিনী কর্তৃক প্রাণঘাতী অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার বৃদ্ধি, বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতা, নির্বিচারে গ্রেপ্তার এবং ফিলিস্তিনিদের আটকসহ মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতির বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: গাজায় মানবিক যুদ্ধ বিরতির জাতিসংঘের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো
একই সঙ্গে কমিটি অধিকৃত গাজা উপত্যকায় তাৎক্ষণিক ও টেকসই যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে।
এতে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রসিকিউটর এবং পূর্ব জেরুজালেম ও ইসরায়েলসহ অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের স্বাধীন আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশনের সঙ্গে তাদের তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হয়।
জাতিসংঘের অন্তত ১৩৬ জন কর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় অত্যন্ত উদ্বিগ্ন কমিটি। ইসরায়েলকে হামাস ও অন্যান্য ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীর দ্বারা সংঘটিত আন্তর্জাতিক মানবিক আইন এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের উল্লেখযোগ্য লঙ্ঘন নথিভুক্ত করতে বলেছে সংস্থাটি। এছাড়া জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের অফিসে প্রবেশাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের এই কমিটি।
কমিটি যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের পাশাপাশি চলমান সশস্ত্র সংঘাতের অন্যান্য আন্তর্জাতিক অপরাধের জন্য দায়ী সকলকে দ্রুত বিচারের আওতায় আনার বিষয়টি নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রপক্ষগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজা ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ২০ হাজার ছুঁইছুঁই
গাজায় 'অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধের' আহ্বান ইইউ'র
অবিলম্বে গাজায় যুদ্ধ বন্ধ এবং মানবিক করিডোর প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। সীমান্ত ক্রসিংয়ে সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং একটি ডেডিকেটেড সামুদ্রিক রুটের মাধ্যমে এই করিডোর প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানানো হয় যাতে মানবিক সহায়তা নিরাপদে গাজার জনগণের কাছে পৌঁছাতে পারে।
রবিবার (১২ নভেম্বর) ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ জোসেপ বোরেল ফন্টেলেস এই আহ্বান জানান। তিনি বলেছেন, 'গাজায় গভীর মানবিক সংকট নিয়ে ইইউ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’
তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং এর সদস্য রাষ্ট্রগুলো আন্তর্জাতিক অংশীদার, জাতিসংঘ ও অন্যান্য সংস্থার পাশাপাশি এ অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাবে। যাতে টেকসই সহায়তা প্রদান এবং খাদ্য, পানি, চিকিৎসা সেবা, জ্বালানি ও আশ্রয়ের সুযোগ সহজতর হয়।
আরও পড়ুন: বিমানে করে গাজার হাসপাতালে চিকিৎসা সহায়তা পৌঁছে দিয়েছে জর্ডান
২৬ অক্টোবরের ইউরোপীয় কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, ইইউ আন্তর্জাতিক আইন এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইনানুযায়ী নিজেকে রক্ষা করার ইসরায়েলের অধিকারের উপর পুনরায় জোর দেয়। গাজায় যুদ্ধ বিরতি সহ মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আহ্বানও জানান ইউরোপীয় ইউনিয়ন। যাতে, দ্রুত, নিরাপদ এবং বাধাহীন মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে আমরা প্যারিসে অনুষ্ঠিত ৯ নভেম্বরের মানবিক সম্মেলনের ফলাফলকে স্বাগত জানাই।
সব জিম্মিকে অবিলম্বে ও নিঃশর্তমুক্ত করার জন্য হামাসের প্রতি আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছে ইইউ। আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটিকে (আইসিআরসি) জিম্মিদের প্রবেশাধিকার দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: গাজার পরিস্থিতি 'মুক্ত পৃথিবীর' নেতাদের সহায়তায় জাতিগত নির্মূলের ক্লাসিক উদাহরণ
জর্ডান-সিরিয়া অঞ্চলে ৫.২ মাত্রার ভূমিকম্প
জিএফজেড জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস বলেছে, বৃহস্পতিবার জিএমটি (গ্রিনিচ মান সময়) সময় ০২৩২ এ জর্ডান-সিরিয়া অঞ্চলে ৫ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে।
১০ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল প্রাথমিকভাবে ৩৬ দশমিক ৫৩ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৩৬ দশমিক ৩০ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে ছিল বলে নির্ধারণ করা হয়।
আরও পড়ুন: নেপালের রাজধানীর নিকটবর্তী জেলায় ৩টি ভূমিকম্প
নেপালের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত ১২৮
সম্ভাব্য ব্যাপক অনুপ্রবেশের আগে গাজায় স্থল অভিযান ইসরায়েলি সেনাদের
গাজায় দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বিধ্বংসী বিমান হামলার পর স্থলভাগে প্রত্যাশিত ব্যাপক আক্রমণের আগে ‘যুদ্ধক্ষেত্র প্রস্তুত করতে’ ইসরায়েলি সৈন্য ও ট্যাংকগুলো বৃহস্পতিবার রাতে গাজার উত্তরাঞ্চলে হামাসের বিরুদ্ধে একটি স্বল্পমাত্রার অভিযান শুরু করেছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
গাজা উপত্যকায় জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে বলে জাতিসংঘ সতর্ক করার পর এই অভিযান চালানো হয়। এতে তারা গাজা উপত্যকায় ত্রাণ কার্যক্রম ব্যাপক হারে কমিয়ে দিতে বাধ্য হয়।
চলতি মাসের শুরুতে (৭ অক্টোবর) দক্ষিণ ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি এলাকায় হামাসের হামলার পর গাজাকে সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরায়েল।
গাজার হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সরঞ্জাম কমে যাওয়ার কারণে আহতদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসাকর্মীরা। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। শ্রমিকরা শহরের ধ্বংসস্তুপের নিচ থেকে বের করে আনছে শিশুসহ নিহত ও আহত অনেক বেসামরিক নাগরিকদের।
আরও পড়ুন: গাজার বাসিন্দাদের স্থানান্তর অত্যন্ত বিপজ্জনক: জাতিসংঘ মহাসচিব
হামাস শাসিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বুধবার জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৫০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যা আগের দিন নিহত ৭০৪ জনের চেয়ে বেশি। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) স্বাধীনভাবে মৃতের সংখ্যা যাচাই করতে পারেনি এবং বেসামরিক ও যোদ্ধাদের আলাদা করে হিসাব করে না মন্ত্রণালয়।
হামাসের বিরুদ্ধে বেসামরিক নাগরিকদের ব্যবহারের অভিযোগ তুলে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, তাদের হামলায় হামাসের সদস্য নিহত হয়েছে এবং হামাসের সামরিক স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে। সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে গাজার হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলে অবিরত রকেট হামলা চালিয়ে আসছে।
সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, রাতভর অভিযানের সময় সৈন্যরা হামাসের যোদ্ধা, সামরিক অবকাঠামো এবং ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের অবস্থানে হামলা চালিয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
কয়েক দশক ধরে চলা ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের মধ্যে গাজায় মৃতের সংখ্যা নজিরবিহীন হয়েছে। ২০০৭ সাল থেকে গাজা শাসন করা এবং ইসরায়েলের সঙ্গে আগের চারটি যুদ্ধে টিকে থাকা হামাসকে নির্মূল করার লক্ষ্যে ইসরায়েল যদি প্রত্যাশিত স্থল আক্রমণ শুরু করে, তাহলে আরও বড় সংখ্যায় প্রাণহানি ঘটতে পারে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুদ্ধে সাড়ে ৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এই সংখ্যার মধ্যে গত সপ্তাহে একটি হাসপাতালে বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজার দক্ষিণাঞ্চলে শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ৪০ ফিলিস্তিনি
ইসরায়েলি সরকারের মতে, এই লড়াইয়ে ইসরায়েলে ১ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই হামাসের প্রথম হামলায় নিহত বেসামরিক নাগরিক। হামাস গাজায় প্রায় ২২২ জন ইসরায়েলিকে জিম্মি করে রেখেছে।
ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জ্বালানি সরবরাহ হ্রাসের বিষয়ে সতর্ক করেছে যে মানবিক সংকট দ্রুত আরও তীব্র আকার ধারণ করতে পারে।
গাজার জনগণ খাদ্য, পানি ও ওষুধও সংকটে ভুগছে। গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার মধ্যে প্রায় ১৪ লাখ মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে, যাদের প্রায় অর্ধেকই জাতিসংঘের আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ইসরায়েল মিশর থেকে অল্প সংখ্যক ট্রাকে সাহায্য নিয়ে প্রবেশ করতে দিয়েছে, কিন্তু জেনারেটরের জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরিয়া-অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের হামলা, গাজায় পৌঁছেছে ত্রাণের দ্বিতীয় বহর
সিরিয়া-অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের হামলা, গাজায় পৌঁছেছে ত্রাণের দ্বিতীয় বহর
ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের জন্য নির্ধারিত দ্বিতীয় ত্রাণবাহী ট্রাকের বহর রবিবার গাজায় পৌঁছেছে। অন্যদিকে সিরিয়া ও অধিকৃত পশ্চিম তীরের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা বাড়িয়েছে ইসরায়েল। লেবাননের হিজবুল্লাহ সশস্ত্র গোষ্ঠীকে সতর্ক করে দিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন বলেছেন, যদি তারা নিজেদের যুদ্ধ শুরু করে, তাহলে ‘আমরা তাকে এমন এক বাহিনী দিয়ে পঙ্গু করে দেব, যা তারা কখনো কল্পনাও করতে পারে না।’
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি সম্প্রদায়ের ওপর হামাসের ভয়াবহ আক্রমণের পর কয়েক দিন ধরেই গাজায় স্থল আক্রমণ শুরু করার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে ইসরায়েল। গাজা সীমান্তে ট্যাঙ্ক ও সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে, কমান্ড অতিক্রম করার অপেক্ষায়।
ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, যুদ্ধের পরবর্তী পর্যায়ে সৈন্যদের ঝুঁকি কমাতে গাজার লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা বাড়িয়েছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলো গাজা, সিরিয়ার দুটি বিমানবন্দর এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরের একটি মসজিদে হামলা চালানোর পর যুদ্ধের আশঙ্কা বেড়ে যায়।
যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল হিজবুল্লাহর সশস্ত্র যোদ্ধাদের সঙ্গে গুলি বিনিময় করেছে এবং পশ্চিম তীরে উত্তেজনা বাড়ছে। ইসরায়েলি বাহিনী শরণার্থী শিবিরে সশস্ত্র যোদ্ধাদের সঙ্গে লড়াই করেছে এবং সম্প্রতি দুটি বিমান হামলা চালিয়েছে।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু উত্তর ইসরায়েলের সৈন্যদের উদ্দেশে বলেছেন, হিজবুল্লাহ যদি যুদ্ধ শুরু করে, ‘তাহলে তারা জীবনের একটি ভুল করবে। আমরা এটিকে এমন একটি শক্তি দিয়ে পঙ্গু করে দেব যা তারা কল্পনাও করতে পারে না, এবং লেবানন রাষ্ট্রের পরিণতি হবে বিধ্বস্ত।’
আরও পড়ুন: ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধে মার্কিনিরা হামলার শিকার হলে জবাব দিতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র: ব্লিঙ্কেন-অস্টিনের হুঁশিয়ারি
অন্যদিকে হামাস জানিয়েছে, তারা গাজার দক্ষিণাঞ্চলে খান ইউনিসের কাছে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করেছে এবং একটি ট্যাংক ও দুটি বুলডোজার ধ্বংস করেছে।
গত রবিবার রাতে হাগারি ঘোষণা করেন, ৭ অক্টোবরের হামলায় অপহৃত ২০০ জনেরও বেশি জিম্মিকে উদ্ধারের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে গাজার অভ্যন্তরে একটি ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে এক সৈন্য নিহত ও আরও তিনজন আহত হয়েছেন।
দুই সপ্তাহ আগে ইসরায়েল সম্পূর্ণ অবরোধ আরোপ করার পর শনিবার ২০টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রাথমিক চিকিৎসা চালান নিয়ে গাজায় প্রবেশ করেছে।
রবিবার রাতে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে তারা গাজায় দ্বিতীয় দফায় সহায়তার অনুমতি দিয়েছে।
ফিলিস্তিনের বেসামরিক বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা সংস্থা সিওজিএটি জানিয়েছে, এই সহায়তার মধ্যে পানি, খাদ্য ও চিকিৎসা সরঞ্জামাদি রয়েছে এবং গাজায় আনার আগে ইসরায়েল সবকিছু পরিদর্শন করেছে।
ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা ১৪টি ট্রাক আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
তবে, ইসরায়েল গাজায় কোনো ধরনের জ্বালানি প্রবেশ করতে দেয়নি।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনিদের মৃত্যুতে সংসদে শোকপ্রস্তাব গৃহীত