মধ্যপ্রাচ্য
১০ মার্কিন নাগরিক ৪ প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা ইরানের
মানবাধিকার লঙ্ঘন, ইরানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ এবং সহিংসতা ও দাঙ্গা উসকে দেয়ার জন্য ১০ মার্কিন ব্যক্তি এবং চারটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইরান। সোমবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলেছে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের করা মানবাধিকার লঙ্ঘনের পাশাপাশি এই ‘অঞ্চলে বিপজ্জনকক ও সন্ত্রাসবাদী পদক্ষেপ’ মোকাবিলা করতে ইরানের আইনগত কর্তৃপক্ষের দ্বারা এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পরমাণু আলোচনায় গ্যারান্টি বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা মার্কিন ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের (সেন্টকম) কমান্ডার মাইকেল কুরিলা, সেন্টকমের ডেপুটি কমান্ডার গ্রেগরি গিলোট, মার্কিন উপ-সচিব অব দ্য ট্রেজারি ওয়ালি অ্যাডেইমো ও অন্যান্যরা।
এছাড়া নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- ইউনাইটেড অ্যাগেইনস্ট নিউক্লিয়ার ইরান, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা, নবম বিমান বাহিনী এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল গার্ড।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ব্যক্তিদের ভিসা পেতে এবং ইরানে প্রবেশ করা নিষিদ্ধ করবে এবং ইরানের অভ্যন্তরে তাদের সম্পদ এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলো জব্দ করা হবে।
আরও পড়ুন: হিজাব ইস্যু: মাহসা আমিনির মৃত্যুর ঘটনায় ইরানের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের
ইরানে বিক্ষোভ: সমর্থন জানাতে চুল কাটলেন অস্কার বিজয়ীরা
হিজাব ইস্যু: মাহসা আমিনির মৃত্যুর ঘটনায় ইরানের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের
২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনির মৃত্যুর প্রতিক্রিয়ায় বৃহস্পতিবার ইরানের সরকারি কর্মকর্তাদের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কারণ কয়েক সপ্তাহ ধরে চলমান বিক্ষোভ ইরানের কয়েক ডজন শহরে ছড়িয়ে পড়েছে এবং বিগত কয়েক বছরের মধ্যে এটা ইরানের নেতৃত্বের সামনে আসা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে।
মার্কিন ট্রেজারি অফিস অব ফরেন অ্যাসেট কন্ট্রোল ইরানের ইন্টারনেট বন্ধ, বক্তব্য দেয়ায় নিষেধাজ্ঞা এবং বিক্ষোভকারী ও বেসামরিক নাগরিকদের ওপর সহিংসতার কারণে আর্থিক জরিমানা করার জন্য সাতজন উচ্চ পদস্থ নেতার নামের তালিকা করেছে।
নিষেধাজ্ঞার জন্য ইরানের স্বরাষ্ট্র ও যোগাযোগ মন্ত্রী এবং বেশ কয়েকজন আইন প্রয়োগকারী নেতাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
মার্কিন সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন যে নিষেধাজ্ঞাগুলো প্রমাণ করে ‘যুক্তরাষ্ট্র সাহসী নাগরিক এবং ইরানের সাহসী নারীদের পাশে দাঁড়িয়েছে, যারা এই মুহূর্তে তাদের মৌলিক অধিকার সুরক্ষিত করার জন্য বিক্ষোভ করছে।’
মার্কিন ট্রেজারির আন্ডার সেক্রেটারি ব্রায়ান নেলসন নিষেধাজ্ঞাগুলো ঘোষণা করার সময় বলেছিলেন যে ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার ব্যক্তি স্বাধীনতা এবং মর্যাদা নিশ্চিত করার জন্য অত্যাবশ্যক।’
ইরানে চলমান বিক্ষোভের ফলে মার্কিন সমর্থনের ফলে ২০১৫ সালের ঝুলে থাকা মার্কিন-ইরান পারমাণবিক চুক্তি, যা জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন (জেসিপিওএ) পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা আরও দুর্বল হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: হিজাব ইস্যু: ইরানিদের ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ
গত সেপ্টেম্বরে আমিনিকে ইরানের নৈতিকতা পুলিশ আটক করেছিল। পুলিশের দাবি যে আমিনি হিজাব দিয়ে তার চুল সঠিকভাবে ঢেকে রাখে নি। তারা তাকে থানায় নিয়ে যান এবং পুলিশ হেফাজতে ৩ দিন পরে আমিনি মারা যান।
তার মৃত্যুর ফলে ৮০ মিলিয়ন মানুষের দেশটি জুড়ে কয়েক ডজন শহরে বিক্ষোভ শুরু হয়।
২০০৯ সালের সবুজ আন্দোলনের প্রতিবাদে কয়েক লাখ লোক রাস্তায় নেমে আসার পর থেকে এবারের বিক্ষোভই ইরানের নেতাদের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিক্ষোভে তরুণী ও নারীরা রাস্তায় মিছিল করে এবং প্রকাশ্যে তাদের চুল কেটে দেয়।
ইরানের সরকার উত্তাল এই বিক্ষোভ দমনে ভয়াবহ দমন-পীড়ন চালাচ্ছে।
ইরানের রাষ্ট্র-চালিত ও রাষ্ট্র-সংশ্লিষ্ট মিডিয়ার রিপোর্টের ভিত্তিতে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) জানায়, বিক্ষোভের সঙ্গে জড়িত কমপক্ষে ১৯০০ মানুষ গ্রেপ্তার হয়েছে।
অন্যদিকে, ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সর্বশেষ জানিয়েছে, ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিক্ষোভে কমপক্ষে ৪১ জন নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: হিজাব পরা ইসলামে অপরিহার্য নয়: কর্নাটক হাইকোর্ট
অন্যদিকে, ইরান হিউম্যান রাইটস নামে একটি অসলো-ভিত্তিক গ্রুপ অনুমান করেছে বিক্ষোভে অন্তত ১৫৪ জন নিহত হয়েছেন।
আমিনির মৃত্যুর পর সরকার এবং দেশটির নেতাদের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে।
নৈতিকতা পুলিশ এবং ইরানের অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নেতারা এক দফা নিষেধাজ্ঞার শিকার হয়েছিল এবং ২৩ সেপ্টেম্বর, ট্রেজারি বিভাগ ঘোষণা করেছিল যে এটি আমেরিকান প্রযুক্তি সংস্থাগুলিকে ইরানে তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণের অনুমতি দেবে, যেখানে বেশিরভাগ ইন্টারনেট অ্যাক্সেস রয়েছে প্রতিবাদের প্রতিক্রিয়ায় কেটে যায়।
এজেন্সি কর্মকর্তারা বলেছেন যে একটি আপডেট করা সাধারণ লাইসেন্স প্রযুক্তি সংস্থাগুলিকে আরও সোশ্যাল মিডিয়া এবং সহযোগিতা প্ল্যাটফর্ম, ভিডিও কনফারেন্সিং এবং ক্লাউড-ভিত্তিক পরিষেবাগুলি অফার করার অনুমতি দেয়।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিন-পিয়েরে মঙ্গলবার বিকেলে বলেছেন, "আমরা এই সহিংসতার অপরাধীদের উপর আরও মূল্য আরোপ করতে যাচ্ছি।"
আমিনির মৃত্যুর আগে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরো ত্বরান্বিত হয়েছে।
ইরান, চীন, ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং অন্য কোথাও যে সংস্থাগুলি বিডেন প্রশাসন বলেছে যে বিশ্বজুড়ে অনুমোদিত ইরানি তেল শিপিংয়ের সাথে জড়িত তারাও জরিমানা দেখেছে।
আরও পড়ুন: পুলিশের ইউনিফর্মে হিজাব যুক্ত করল নিউজিল্যান্ড
পরমাণু আলোচনায় গ্যারান্টি বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান আবারও বলেছেন যে গ্যারান্টি বিষয়টি ইরানের জন্য ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তিতে ফিরে যাওয়ার আলোচনায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান মার্কিন ন্যাশনাল পাবলিক রেডিও (এনপিআর) এর সঙ্গে এক সাম্প্রতিক সাক্ষাত্কারে এ মন্তব্য করেন।
বৃহস্পতিবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
আমির-আব্দুল্লাহিয়ান এনপিআরকে বলেছেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কারণে সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও ট্রাম্পের মতোই, গত কয়েক মাস ধরে পারমাণবিক আলোচনায় পরোক্ষ অংশগ্রহণের সময়েও ইরানের বিরুদ্ধে মাসে গড়ে এক বা দুটি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি কূটনীতিই সমাধান এবং একটি শক্তিশালী ও দীর্ঘস্থায়ী চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য আমরা আন্তরিক ও অটল।’
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানে পাঠানো চুক্তির খসড়াটিতে প্রচুর পরিমাণে অস্পষ্টতা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ইরান ‘একটি চুক্তির বিষয়ে আন্তরিক। তবে এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে আমেরিকান পক্ষের বাস্তবিক ইচ্ছা ও সাহস আছে কিনা তা আমরা জানি না।’
আরও পড়ুন: বিক্ষোভে অন্তত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে: ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বন্দী বিনিময়ের বিষয়ে আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, তেহরান মনে করে যে বিষয়টি পারমাণবিক চুক্তি থেকে আলাদা এবং এটি সম্পূর্ণ মানবিক।
তিনি আরও বলেন, ‘আমেরিকান পক্ষ তাদের প্রস্তুতি প্রকাশ করলে আমরা বন্দী বিনিময় করতে প্রস্তুত।’
উল্রেখ্য, ২০১৫ সালের জুলাই মাসে বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর সঙ্গে ইরান পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষর করে, যা আনুষ্ঠানিকভাবে জয়েন্ট কমপ্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন (জেসিপিওএ) নামে পরিচিত। এসময় দেশটির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা অপসারণের বিনিময়ে তার পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করতে ইরান সম্মত হয়।
এরপর ওয়াশিংটন চুক্তিটি প্রত্যাহার করে এবং তেহরানের ওপর পুনরায় একতরফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। যার ফলে পরবর্তীতে চুক্তির কিছু শর্ত ভঙ্গ করে ইরান।
জেসিপিওএ-চুক্তিতে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে ভিয়েনায় আলোচনা শুরু হয়েছিল। কিন্তু তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে ২০২২ সালের মার্চ মাসে সেটি স্থগিত করা হয়। পাঁচ মাস বিরতির পর অস্ট্রিয়ার রাজধানীতে সর্বশেষ পরমাণু আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
৮ আগস্ট জেসিপিওএ- চুক্তিতে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে খসড়া সিদ্ধান্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন পেশ করে ইইউ। পরে পরোক্ষভাবে ইরান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইইউ’র প্রস্তাবের ওপর এক প্রক্রিয়ায় মতবিনিময় করেছে, যা এখনও পর্যন্ত কোন ইতিবাচক ফলাফল আনতে ব্যর্থ হয়েছে।
আরও পড়ুন: অস্থিরতার মধ্যে ইরাকে জঙ্গি গোষ্ঠীর ওপর ইরানের হামলা
হিজাব ইস্যু: ইরানিদের ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ
অস্থিরতার মধ্যে ইরাকে জঙ্গি গোষ্ঠীর ওপর ইরানের হামলা
ইরানের শক্তিশালী রক্ষীবাহিনী ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) শনিবার প্রতিবেশী ইরাকের উত্তরে অবস্থিত একটি কুর্দি জঙ্গি গোষ্ঠীর ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা (আইআরএনএ) জানিয়েছে, ঘটনাটি পুলিশ হেফাজতে এক তরুণীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হওয়ার এক সপ্তাহ পর ঘটল।
ইরানের নৈতিকতা পুলিশ হেফাজতে মাহসা আমিনির (২২) মৃত্যু হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইরানের প্রদেশগুলোতে ও রাজধানী তেহরান জুড়ে অস্থিরতা শুরু হয়। আমিনির পরিবার ইরানের কুর্দি অঞ্চল থেকে এসেছে।
আইআরএনএ জানিয়েছে, আইআরজিসির স্থল বাহিনী ইরানের পশ্চিম আজারবাইজান প্রদেশের মধ্য থেকে আর্টিলারির মাধ্যমে গোলা ছুড়েছে। হামলার বিষয়ে ইরাকের সীমান্ত জুড়ে অবস্থিত একটি ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। তবে প্রতিবেদনে বিস্তারিত বলা হয়নি।
আইআরএনএ আরও বলেছে যে ইরানের তথাকথিত ‘কোমলেহ’ নামে একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর কিছু সদস্যকে গোয়েন্দা বাহিনী গ্রেপ্তার করেছে। তবে বিশদ বিবরণ দেয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: হিজাব ইস্যু: ইরানিদের ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ
আধা-সরকারি তাসনিম সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ইরানের সামরিক বাহিনীর ঘনিষ্ঠ বলে মনে করা আইআরজিসি এর বিবৃতি উদ্ধৃত করে বলেছে যে সীমান্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অভিযান অব্যাহত থাকবে।
তাসনিম উল্লেখ করেছে, আক্রমণটি ইরাকের উত্তরে কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর ঘাঁটিগুলোকে লক্ষ্য করে এবং স্থানীয় সময় বিকাল ৪টার দিকে করা হয় এবং এতে মারাত্মক ক্ষতি সংঘটিত হয়।
আরও পড়ুন: ইরানে পুলিশি হেফাজতে নারীর মৃত্যু: বিক্ষোভে নিহত বেড়ে ৯
বিক্ষোভে অন্তত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে: ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি
হিজাব ইস্যু: ইরানিদের ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ
ইরানের জনগণের কাছে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করার জন্য নিজেদের সমর্থন বাড়াচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের ডেপুটি সেক্রেটারি ওয়ালি আদেয়েমোর মতে, ইরানিরা মাহসা আমিনির হত্যার নিন্দা জানাতে রাস্তায় নেমেছে।
আল আরাবিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইব্রাহিম রাইসির প্রশাসন দেশে ইন্টারনেট ব্যবহার অবরুদ্ধ করার পর মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট শুক্রবার ইরানিদের জন্য যথাযথ ইন্টারনেট পরিষেবা বাড়ানোর লাইসেন্স জারি করেছে।
আরও পড়ুন: পুলিশের ইউনিফর্মে হিজাব যুক্ত করল নিউজিল্যান্ড
গত সপ্তাহে ‘অনুপযুক্ত হিজাব’ পরিধানের জন্য ২২ বছর বয়সী কুর্দি নারী আমিনিকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয় এবং এরপরেই তিনি কোমায় চলে যান। শুক্রবার তিনি মারা যাওয়ার পর ইরানের রাস্তায় এবং সামাজিক মাধ্যমে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
আল আরাবিয়ার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, তেহরানভিত্তিক বিদেশি কূটনীতিকরা ও ইন্টারনেট পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলো দাবি করছে যে দেশের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে ইন্টারনেট ব্যবহার অবরুদ্ধ বা সীমিত করেছে।
মার্কিন অর্থমন্ত্রীর উপসচিব ওয়ালি আদেয়েমোকে উদ্বৃতি দিয়ে বলা হয়েছে: ‘যেহেতু সাহসী ইরানিরা মাহসা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে, তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের জনগণের কাছে তথ্যের অবাধ প্রবাহের জন্য তার সমর্থনকে বৃদ্ধি করছে।’
তিনি দাবি করেন যে ইরানিদের আবদ্ধ করে রাখার সরকারের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করতে আরও বেশি সশস্ত্র হয়ে উঠতে সহায়তা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
সাম্প্রতিক বিক্ষোভ এবং মাহসা আমিনির মৃত্যুর পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বৃহস্পতিবার ইরানের নৈতিক পুলিশ এবং ছয় ইরানির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
ইরান মানবাধিকার (আইএইচআর) সংস্থা দাবি করেছে যে বিক্ষোভ চলাকালীন ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীর মাধ্যমে কমপক্ষে ৩১ জন নাগরিকের প্রাণ গেছে।
আরও পড়ুন: হিজাব পরা ইসলামে অপরিহার্য নয়: কর্নাটক হাইকোর্ট
কর্ণাটকে হিজাব বিতর্ক: বৃহত্তর বেঞ্চ গঠনের অভিমত আদালতের
সিরিয়ার উপকূলে অভিবাসীবাহী নৌকাডুবে ৩৪ জনের মৃত্যু
সিরিয়ার উপকূলে অভিবাসীবাহী নৌকাডুবে ৩৪ জন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সিরিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক ঘোষণায় এ তথ্য জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, লেবানন থেকে অভিবাসীদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবির ঘটনায় কমপক্ষে ৩৪ জন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। জাহাজটিতে থাকা বিশ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং বর্তমানে তারা উপকূলীয় শহর টার্তুসে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: লিবিয়া থেকে ইতালি আসার পথে নিহত ৭ অভিবাসীর পরিচয় শনাক্ত
মন্ত্রণালয় জানায়, নিখোঁজদের সন্ধানে এখনও উদ্ধার অভিযান চলছে।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে সিনহুয়া জানায়, নৌকাটিতে লেবানিজ, সিরিয়ান ও অন্যান্য দেশের ১২০-১৫০ জন অভিবাসী ছিল। তারা সাইপ্রাসের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বাহামাস উপকূলে অভিবাসী বহনকারী নৌকা ডুবে ১৭ জনের মৃত্যু
ইতালি যাওয়ার পথে ৭ অভিবাসীর মৃত্যু, উদ্ধার ২৮০
বিক্ষোভে অন্তত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে: ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি
ইরানে পুলিশি হেফাজতে ২২ বছর বয়সী এক নারীর মৃত্যুর ঘটনায় দেশজুড়ে বিক্ষোভে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দুই ডজনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন। তবে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত কোনো তথ্য দেয়া হয়নি।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনটির একজন সঞ্চালক গণবিক্ষোভে মৃত্যুর সংখ্যা ২৬ জনের মতো হতে পারে বলে উল্লেখ করলেও বিস্তারিত কিছু বলেননি।
ওই সঞ্চালক বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত ঘটনাস্থলে ২৬ জন সাধারণ মানুষ ও পুলিশ প্রাণ হারিয়েছেন। পরে এর আনুষ্ঠানিক পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হবে।’
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর অভিযানে ২ ফিলিস্তিনি নিহত
দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস বৃহস্পতিবারের একটি তথ্য অনুযায়ী, সপ্তাহান্তে সহিংসতা শুরু হওয়ার পর থেকে ইরানি নিরাপত্তা বাহিনী এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছেন।
ইরানে বিক্ষোভের সূচনা হয়েছিল মাহসা আমিনির মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে। দেশটির নৈতিক পুলিশ পোশাক রীতি ভঙ্গের অভিযোগে তাকে আটক করেছিল।
দেশটির পুলিশ বলছে, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন এবং তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়নি, তবে তার পরিবার এই বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছে।
ইরানের রাষ্ট্র-চালিত গণমাধ্যম চলতি সপ্তাহে রাজধানী তেহরান সহ কমপক্ষে ১৩টি শহরে কয়েকশ লোকের বিক্ষোভের খবর দিয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ইরানি কর্তৃপক্ষ ইন্টারনেটে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে এবং হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রামে ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছে।
তেহরান এবং অন্যান্য কয়েকটি শহরের বাসিন্দারা শুক্রবার জুমার নামাজের পরে পাল্টা প্রতিবাদ সমাবেশ করার পরিকল্পনা করেছিল।
আরও পড়ুন: ইসরাইলি হামলায় সিরিয়ার বিমানবন্দরের রানওয়ে ক্ষতিগ্রস্ত
ফিলিস্তিনি ‘হামলাকারীদের’ গুলিতে ইসরায়েলি নাগরিকের মৃত্যু
ইসরাইলি হামলায় সিরিয়ার বিমানবন্দরের রানওয়ে ক্ষতিগ্রস্ত
স্যাটেলাইট থেকে তোলা একটি ছবিতে দেখা গেছে, ইসরাইলি বিমান হামলায় সিরিয়ার আলেপ্পো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামরিক বাহিনীর অংশের একটি রানওয়ে ও এর পার্শ্ববর্তী স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বুধবার রাতে রাজধানী দামেস্কের প্রধান বিমানবন্দর আলেপ্পো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সেসব রানওয়েতে ইসরাইল হামলা চালায় যেগুলো দিয়ে মাত্র মাসখানেক আগেও ইরানের অস্ত্রের চালান এসেছে।
শুক্রবার দ্য এসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) ছবিটি বিশ্লেষণ করেছে।
প্লানেট ল্যাব পিবিসির বৃহস্পতিবারের নেয়া ছবিতে দেখা যায়, বিমানবন্দরের পশ্চিমাংশের একমাত্র রানওয়ের হামলার জায়গার চারদিকে অনেকগুলো গাড়ি ঘিরে রেখেছে। হামলায় রানওয়েতে গর্ত তৈরি হয়েছে এবং আগুন জ্বলছে।
আরেকটি হামলায় রানওয়ের দক্ষিণে বিমানবন্দরটির সামরিক অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এবং সড়কের পিচ ও আরেকটি কাঠামো নষ্ট হয়েছে।
সিরিয়া মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশগুলো মতো বিমানবন্দরে দুটি রানওয়ে ব্যবহার করে যার একটি দিয়ে বেসামরিক ও অন্যটি সামরিক বাহিনীর জন্য। হামলায় ফ্লাইট বিঘ্নিত হয়েছে।
পড়ুন: সিরিয়ায় বিমান হামলায় ২৯ তুর্কি সেনা নিহত
সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় গত বৃহস্পতিবার হামলায় ক্ষয়ক্ষতির বিবরণে বলেন, ‘হামলায় সামরিক বাহিনীর জায়গা ও যন্ত্রাংশ সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে গেছে।’
বিদ্রোহীদের যুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস অভিযোগ করছে যে ইরানের একটি মিসাইলের চালানকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। লেবাননের হিজবুল্লাহর ঘটিষ্ঠ সহযোগী ইরান। যারা সিরিয়ায় বাশার আল আসাদকে ক্ষমতায় রাখতে ২০১১ সালে দেশব্যাপী চরম বিদ্রোহের সময় থেকে তার পক্ষে যুদ্ধ করছে।
অন্যদিকে, শুক্রবার এপির পক্ষ থেকে ইরান ও সিরিয়ার আন্তর্জাতিক মিশনে যেগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
সিরিয়ায় ইরানের সঙ্গে ইসরাইল ছায়া যুদ্ধে লিপ্ত থেকে অনেক হামলা চালিয়েছে। তবে বুধবারের হামলার দায় এখন পর্যন্ত সরাসরি স্বীকার করেনি তারা।
সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই হামলার জন্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে নিন্দা জানানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, ইসরাইল এই হামলার জন্য দায়ী ‘দামেস্ক ও আলেপ্পোর বিমান বন্দরে বার বার হামলা চালিয়ে সাধারণ মানুষের জীবন ও চলাফেরার স্বাধীনতাকে হুমকির মধ্যে ফেলছে।’
আরও পড়ুন: সিরিয়ায় মার্কিন বিশেষ বাহিনীর অভিযানে নিহত ১৩
সিরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২২
ফিলিস্তিনি ‘হামলাকারীদের’ গুলিতে ইসরায়েলি নাগরিকের মৃত্যু
ফিলিস্তিনের অজ্ঞাত হামলাকারীদের গুলিতে অধিকৃত পশ্চিম তীরে এক ইসরাইলি নাগরিকের মৃত্যু হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তি পেশায় একজন প্রহরী ছিলেন।
শনিবার ভোরে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী বলেছে, সাম্প্রতিক এই হামলায় গত দুই মাস ধরে চলা ইসরাইলি-ফিলিস্তিনি উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
তারা আরও জানায়, গভীর রাতে হামলাকারীরা এরিয়েল এলাকায় প্রবেশ করে এবং ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার আগে তারা গার্ডকে গুলি করে।
সেনাবাহিনী পশ্চিম তীরে সন্দেহভাজন হামলাকারীদের ধরতে অভিযান শুরু করার কথা জানিয়েছে।
গত দুই মাসে ইসরাইল–ফিলিস্তিন সংঘর্ষে ১৪ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে।
অন্যদিকে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, শনিবার ভোরে ইসরাইলি বাহিনী কলকিল্যা শহরের কাছে আজউন গ্রামে ২৭ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনি নাগরিককে গুলি করে হত্যা করেছে।
আরও পড়ুন: আল-আকসা মসজিদে ফের সংঘর্ষ, ৯ ফিলিস্তিনি আহত
গাজার ক্ষমতাসীন হামাস এই হামলার প্রশংসা করলেও এর দায় স্বীকার করেনি।
হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম বলেছেন, ‘পুরো পশ্চিম তীরে বিপ্লব চলছে,এই অভিযানে তা প্রমাণ হয়।’
ইসরাইল অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদ চত্বরে ফের পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে ফিলিস্তিনিদের। এতে অন্তত আহত হয়েছেন ৪২ জন ফিলিস্তিনি।
মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র মাস রমজানের শেষ জুমার নামাজ চলার সময় এই সংঘাত হয়েছে বলে জানা গেছে।
ইসরাইলের আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শুক্রবারের জুমার নামাজ শুরুর বেশ কিছুক্ষণ আগে থেকেই আল আকসা চত্বরে জড়ো হতে থাকেন মুসল্লিরা। এ সময় আকস্মিকভাবে সেই জনসমাগম থেকে কয়েকজন ইসরায়েল বিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন। পরিস্থিতি শান্ত করতে চত্বরে পুলিশ ঢুকলে উত্তেজনা আরও বাড়ে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দিকে পাথর ও পটকা ছোড়া শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় তারা আল আকসা মসজিদের নিকটবর্তী ইহুদিদের পবিত্র তীর্থস্থান ওয়েস্টার্ন ওয়ালের দিকেও পাথর-পটকা ছুড়তে থাকেন তারা।
আরও পড়ুন: আল-আকসায় ইসরায়েলি পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, ১৫০ ফিলিস্তিনি আহত
বিক্ষোভকারীদের হটাতে টিয়ারগ্যাস, লাঠি ও রবার বুলেট ব্যবহার করে পুলিশ। এতে ৪০ জনের বেশি আহত হয়। এদের মধ্যে ২২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট শাখা।
পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধের জবাব দেয়নি, তবে একটি বিবৃতিতে বলেছে যে তারা তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর অভিযানে ২ ফিলিস্তিনি নিহত
পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর ‘অভিযান’ ও বন্দুকযুদ্ধে দুজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন-১৭ বছর বয়সী সানাদ আবু আতিয়েহ এবং ২৩ বছর বয়সী ইয়াজিদ আল-সাদি।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোরে ইসরায়েলি বাহিনী অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শরণার্থী শিবিরে অভিযান চালায়। এ সময় শুরু হওয়া বন্দুক যুদ্ধে দুই ফিলিস্তিনি নিহত এবং কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়।
এদিকে পৃথক আরেক ঘটনায় এক ফিলিস্তিনিকে পশ্চিম তীরে একটি বাসে ২৮ বছর বয়সী এক ইসরায়েলি ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাত করার অভিযোগে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন ‘টার্নিং পয়েন্টে’: জেলেনস্কি
উল্লেখ্য, জেনিন শরণার্থী শিবিরের কাছের একটি গ্রামের এক ফিলিস্তিনি নাগরিক পাঁচ ইসরায়েলিকে গুলি করে হত্যা এবং এর জেরে শুরু হওয়া সংঘাতে ১১ ইসরায়েলির মৃত্যুর দুদিন পরে এই অভিযান চালানো হয়।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তার করতে জেনিনে প্রবেশ করলে সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। এ সময় একজন সেনা আহত হয়েছেন। তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বুধবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটের সঙ্গে কথা বলেছেন। এ সময় বাইডেন সাম্প্রতিক হামলায় ইসরায়েলের ১১ নাগরিকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: অনাস্থা ভোটের আগেই ইমরানের পক্ষ ছাড়ছে মিত্ররা
ইসরায়েলে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত ৫