ইউএস-ও-কানাডা
হিউস্টনে ৩ ভাড়াটিয়া খুন, হামলাকারী নিহত
যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টন শহরের এক অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিং থেকে বিতাড়িত হওয়া এক ব্যক্তি অন্য পাঁচ ভাড়াটিয়াকে গুলি করেছে। এতে তিনজন মারা গেছে। তাদের বাহিরে বের করার জন্য রবিবার সকালে ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। পরে পুলিশের গুলিতে হামলাকারীও নিহত হয়েছেন।
রবিবার রাত ১টার দিকে দক্ষিণ-পশ্চিম হিউস্টনের একটি শিল্প-আবাসিকের সংমিশ্রিত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ প্রধান ট্রয় ফিনার বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।
তিনি আরও বলেন, অন্য ভাড়াটিয়ারা যখন ঘর থেকে বের হচ্ছিল তখন বন্দুকধারী সম্ভবত একটি শটগান দিয়ে গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যায় এবং একজনকে হাসপাতালে নেয়া হয়। ফায়ার সার্ভিস আহত দুজনকে উদ্ধার করে। যাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যখন আগুন নেভানোর কাজ করছিল তখন হামলাকারী ফাঁকা গুলি ছুড়তে থাকে। পুলিশ তাকে চিহ্নিত করে গুলি করে হত্যা করার আগ পর্যন্ত এ অবস্থা চলতে থাকে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে সহকর্মীর গুলিতে নিহত ৩
কারও পরিচয় এখনও প্রকাশ করা হয়নি। ফিনার জানিয়েছেন, ফায়ার সার্ভিস বা পুলিশের কেউ আহত হয়নি।
ফিনার বলেন, ‘আমি অনেক ঘটনা দেখেছি, কিন্তু ৩২ বছরে এরকম ঘটনা দেখিনি। এধরনের ঘটনা সময়ে সময়ে ঘটতেই থাকে। সমাজের বাসিন্দারা যেন একত্রে থাকে আমরা তার আর্জি জানাই।’
রবিন আহরেন্স নামের এক প্রতিবেশী হিউস্টন ক্রনিকলকে বলেন, কাজে বের হওয়ার জন্য প্রস্তুতির সময় প্রাথমিকভাবে তিনি মনে করেন যা দেখছেন তা ছিল আতশবাজি।
তিনি আরও বলেন, আমি ভাগ্যবান যে বাইরে যাইনি। লোকটি হয়তো আমাকেও গুলি করত। বন্দুকধারীর কোলন ক্যান্সার ছিল। বাড়িভাড়াও বাকি ছিল। কোনো চাকরি ছিল না। কয়েকদিন আগেই জানতে পারেন তাকে বের করে দেয়া হয়েছে। নিশ্চয়ই গত কয়েকদিনে কঠিন কিছু হয়েছিল যা সে সহ্য করতে পারেনি।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে গোলাগুলিতে নিহত ১, আহত ৫
এফবিআই: ম্যাগাজিন ও অন্যান্য নথির সঙ্গে ‘টপ সিক্রেট’ নথি মিশিয়ে রেখেছিল ট্রাম্প
চলতি বছরের শুরুর দিকে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফ্লোরিডা এস্টেট থেকে উদ্ধার করা ১৫টি বাক্সের মধ্যে ১৪টি শ্রেণীবদ্ধ নথি রয়েছে। যার মধ্যে অনেকগুলো ‘টপ সিক্রেট’ নথি বিভিন্ন সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন ও ব্যক্তিগত চিঠিপত্রের সঙ্গে মিশিয়ে রাখা হয়েছিল। দেশটির বিচার বিভাগের অনুরোধের প্রেক্ষিতে শুক্রবার প্রকাশিত এফবিআই হলফনামা থেকে এ তথ্য জানা যায়।
ট্রাম্পের মার-এ-লাগো এস্টেটে অভিযান চালিয়ে এসব নথি উদ্ধারের দাবি করে আমেরিকার এই গোয়েন্দা সংস্থা।
৩২-পৃষ্ঠার হলফনামা সাক্ষী ও আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে ও ‘চলমান তদন্তের অখণ্ডতা’ রক্ষা করার জন্য ব্যাপকভাবে সংশোধন করা হয়েছে।
এই প্রতিবেদনে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে কীভাবে শীর্ষ গোপনীয় সরকারি নথিগুলো এলামেলো করে রাখা হয়েছিল এবং মার্কিন কর্মকর্তাদের কয়েক মাসব্যাপী অনুরোধ সত্ত্বেও ট্রাম্প সেগুলো হস্তান্তর করতে অস্বীকৃতি জানায়।
এর ফলে ২০২৪ সালে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভিত্তি স্থাপনের আগেই ট্রাম্প সম্ভবত নতুন আইনি বিপদের মুখোমুখি হতে পারেন।
আরও পড়ুন: মার্কিন ক্যাপিটল ভবনে হামলায় দায়ী ট্রাম্প
একজন এফবিআই এজেন্ট হলফনামার প্রথম পৃষ্ঠায় লিখেছেন, ‘সরকার অননুমোদিত জায়গায় শ্রেণীবদ্ধ তথ্যের বেআইনিভাবে স্থানান্তর ও সংরক্ষণ এবং বেআইনিভাবে সেগুলো গোপন করা বা সরকারী রেকর্ড অপসারণের বিষয়ে একটি ফৌজদারি তদন্ত পরিচালনা করা হচ্ছে।’
যদিও ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরে জোর দিয়ে বলে আসছেন, নথিগুলিতে ‘গোপন’ কিছু নেই।
হলফনামায় গত ৮ আগস্ট মার-এ-লাগোতে অভিযানে উদ্ধার হওয়া ১১ সেটের শ্রেণীবদ্ধ রেকর্ডের বিষয়ে নতুন কোনো তথ্য দেয়া হয়নি। বরং এর পরিবর্তে পৃথক ১৫টি বাক্সের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। যা ন্যাশনাল আর্কাইভস অ্যান্ড রেকর্ডস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানুয়ারিতে ট্রাম্পের বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছিল। আর্কাইভস বিষয়টি বিচার বিভাগে পাঠিয়েছে।
হলফনামায় আরও বলা হয়েছে, এই ১৫টি বাক্সে পাওয়া অত্যন্ত সংবেদনশীল উপাদানগুলোর কারণে মার-এ-লাগোতে অনুসন্ধান করা প্রয়োজন ছিল।
হলফনামায় বলা হয়েছে, শ্রেণীবিন্যাস চিহ্ন সহ ১৮৪টি নথির মধ্যে ২৫টি ‘টপ সিক্রেট’ স্তরের।
আর্কাইভের একটি চিঠির বরাত দিয়ে হলফনামায় বলা হয়, এই শ্রেণীবদ্ধ নথিগুলো কিছু সংবাদপত্র, ম্যাগাজিন ও বিবিধ প্রিন্ট-আউট সহ অন্যান্য নথির সঙ্গে মিশিয়ে রাখা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের অভিবাসন নীতি বাতিলে ফের বাইডেনের স্বাক্ষর
ট্রাম্পের অভিশংসন বিচার শুরু ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে
নিউইয়র্কে লেখক সালমান রুশদিকে ছুরিকাঘাত
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের পশ্চিমাঞ্চলে শুক্রবার মঞ্চে লেকচার দেবেন এমন সময় এক ব্যক্তি লেখক সালমান রুশদির ঘাড়ে ও পেটে ছুরিকাঘাত করেছেন।
৭৫ বছর বয়সী রুশদিকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয়েছে এবং তার অস্ত্রোপচার হয়েছে।
লেখকের এজেন্ট অ্যান্ড্রু ওয়াইলি বলেছেন, রুশদি শুক্রবার সন্ধ্যায় ভেন্টিলেটরে ছিলেন। তার লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং একটি বাহুর স্নায়ু বিচ্ছিন্ন হয়েছে। তিনি একটি চোখ হারাতে পারেন।
হামলার সময় লেখকের সাহায্যের জন্য ছুটে যাওয়া চিকিৎসক ডা. মার্টিন হাসকেল বলেছেন, রুশদির ক্ষত ‘গুরুতর তবে আরোগ্যযোগ্য’।
পুলিশ হাদি মাতার (২৪) নামে একজনকে হামলাকারী হিসেবে শনাক্ত করেছে এবং ঘটনাস্থলে থেকে তাকে আটক করেছে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৭
তবে হামলার উদ্দেশ্য স্পষ্ট নয় বলে জানান রাজ্য পুলিশের মেজর ইউজিন স্ট্যানিসজেউস্কি।
নিপীড়নের শিকার লেখকদের আশ্রয় দেয় এমন একটি সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠাতা ইভেন্ট মডারেটর হেনরি রিসও (৭৩) হামলার শিকার হয়েছেন।
পুলিশ জানায়, রিস মুখে আঘাত পান এবং হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন।
১৯৮৮ সালে প্রকাশিত রুশদির ‘স্যাটানিক ভার্সেস’ উপন্যাসটিকে ধর্ম অবমাননা বলে মনে করেন অনেক মুসলিম। এতে একটি চরিত্রে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে অপমান করা হয়েছে বলে তারা দেখে থাকেন।
ভারতের মুসলিম পরিবারে জন্ম নেয়া রুশদির বিরুদ্ধে প্রায়ই সহিংস বিক্ষোভ হয়েছে।
বইটিকে কেন্দ্র করে দাঙ্গায় অন্তত ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে রুশদির নিজ শহর মুম্বাইতে ১২ জনের মৃত্যু হয়।
১৯৯১ সালে বইটির এক জাপানি অনুবাদককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় এবং একজন ইতালীয় অনুবাদক ছুরিঘাতের শিকার হন। ১৯৯৩ সালে বইটির নরওয়েজিয়ান প্রকাশক তিনবার গুলিবিদ্ধ হন।
বইটি ইরানে নিষিদ্ধ। দেশটির প্রয়াত নেতা গ্র্যান্ড আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনি ১৯৮৯ সালে রুশদির মৃত্যুর ফতোয়া বা আদেশ জারি করেন।
এছাড়া তার মাথার দাম হিসেবে তিন মিলিয়ন (৩০ লাখ) ডলার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।
মাঙ্কিপক্স নিয়ে জনস্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরি অবস্থা ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের
যুক্তরাষ্ট্রে মাঙ্কিপক্স প্রাদুর্ভাবের সাড়াদান জোরদার করতে বৃহস্পতিবার এ নিয়ে জনস্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে দেশটির ফেডারেল সরকার।
মাঙ্কিপক্সের টিকার প্রাপ্যতা নিয়ে বাইডেন প্রশাসনের সমালোচনার মধ্যে এমন ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন স্বাস্থ্য ও মানব সেবা বিভাগ।
যুক্তরাষ্ট্রে সাত হাজার ১০০ জনের বেশি নাগরিক মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে এই ভাইরাসে দেশটিতে কেউ মারা না গেলেও অন্যান্য দেশে কিছু মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
মার্কিন সরকারের এমন ঘোষণা ভাইরাসটি মোকাবিলায় অর্থ ও অন্যান্য সম্পদ বরাদ্দ দেবে।
মার্কিন স্বাস্থ্য ও মানব সেবা বিভাগের প্রধান জেভিয়ের বেসেররা বলেন, ‘আমরা এই ভাইরাস মোকাবিলায় আমাদের সাড়াদান পরবর্তী স্তরে নিতে প্রস্তুত। আমরা প্রতিটি মার্কিন নাগরিককে মাঙ্কিপক্সকে গুরুত্ব সহকারে নেয়ার আহ্বান জানাই।’
নিউইয়র্ক ও সান ফ্রান্সিসকোর মতো বড় বড় শহরের ক্লিনিক অভিযোগ করছে, তারা চাহিদা মেটাতে দুই ডোজ টিকা পর্যাপ্ত পায়নি এবং কয়েকটি হাসপাতালকে প্রথম ডোজের টিকা সরবরাহ নিশ্চিত করতে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া বন্ধ করতে হয়েছে।
তবে হোয়াইট হাউস বলছে, এটি ১১ লাখের বেশি ডোজ টিকার সরবরাহ নিশ্চিত করেছে এবং প্রতি সপ্তাহে দেশীয় ডায়াগনস্টিক সক্ষমতা ৮০ হাজার টেস্ট পর্যন্ত বাড়াতে সহায়তা করেছে।
এই ভাইরাসের কারণে জ্বর, শরীর ব্যথা, ঠাণ্ডা, ক্লান্তি ও শরীরের বিভিন্ন অংশে পিম্পলের মতো বাম্প হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে গোলাগুলিতে নিহত ১, আহত ৫
ক্যাপিটল হিলের অদূরে উত্তর-পূর্ব ওয়াশিংটনে সোমবার রাতে গোলাগুলিতে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন।
মেট্রোপলিটন পুলিশ বিভাগের প্রধান রবার্ট জে.কন্টি সাংবাদিকদের বলেছেন, আজিজ বেটস অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সের বাইরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে গোলাগুলির খবর পাওয়া গেলে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সেখান থেকে আহত পাঁচজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কন্টি আরও বলেন, গোলাগুলির কারণ এখনো জানা জায়নি, তদন্ত চলছে। ভুক্তভোগীরা একে অপরকে চিনত কিনা তাও তদন্ত করা হচ্ছে।
কন্টি বলেছেন, পুলিশ এই ঘটনায় হতাহতের পরিচয় প্রকাশ করেনি। শুধু বলা হয়েছে, নিহতদের সবাই প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ।
তিনি আরও বলেন, আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত কোন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটনে মুদি দোকানে বন্দুক হামলায় নিহত ১
যুক্তরাষ্ট্রে শপিংমলে গোলাগুলিতে নিহত ৩
যুক্তরাষ্ট্রে গর্ভপাতের অধিকারের দাবিতে বিক্ষোভ
গর্ভপাতের অধিকারের দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। দেশটির লস অ্যাঞ্জেলেস,আটলান্টা,ডেট্রয়েট,ওকলাহোমা সিটি, নিউইয়র্ক, জ্যাকসন, ক্যালিফোর্নিয়া ও মিসিসিপিসহ বিভিন্ন শহরে বিক্ষেভকারী সমবেত হয়েছেন।
নিউইয়র্ক শহরে শত শত প্রতিবাদকারী রো মামলাটির রায় পাল্টে দেয়ার বিপক্ষে এবং গর্ভপাতের অধিকারের পক্ষে স্লোগান দেয়।
ক্যালিফোর্নিয়ায় বিক্ষোভকারী কয়েকশ’ নারী ‘আমার শরীর, আমার পছন্দ’ ও ‘আদালত বাতিল করুন’ ইত্যাদি স্লোগান দিয়ে সারা শহরে মিছিল করে।
একদিকে যেমন নারীরা গর্ভপাতের অধিকার আদায়ের দাবি জানাচ্ছেন, অন্যদিকে গর্ভপাত বিরোধীরা এই আইন নিষিদ্ধকরণকে বাস্তবায়ণে নানা পদক্ষেপের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করছে।
কঠোর রাষ্ট্রীয় নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকির কারণে শনিবার অনেকগুলো গর্ভপাত ক্লিনিক তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে।
মিসিসিপির প্ল্যানড প্যারেন্টহুড সাউথইস্টের ডিরেক্টর টাইলার হার্ডেন বলেন, তিনি শুক্র ও শনিবার রাজ্যের একমাত্র গর্ভপাত ক্লিনিকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেয়া লোকদের সঙ্গে কথা বলে স্বান্ত্বনা দিয়ে কাটিয়েছেন।
মিসিসিপিতে নারীর জীবন বিপন্নকারী গর্ভধারণ ও ধর্ষণের কারণে হওয়া গর্ভধারণ ছাড়া সব ধরনের গর্ভপাত নিষিদ্ধ করা হবে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে গর্ভপাতের সাংবিধানিক অধিকারের অবসান
মিসিসিপি হাউসের রিপাবলিকান স্পিকার ফিলিপ গান শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তিনি গর্ভপাতের বিরোধিতা করন।
গান আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি গর্ভধারণের সময় থেকেই জীবন শুরু হয়।’
ইতোমধ্যে আলাবামা রাজ্যে গর্ভপাত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আটলান্টায় ন্যাশনাল রাইট টু লাইফ কনভেনশনে গর্ভপাত বিরোধী গোষ্ঠীর একজন নেতা শনিবার উপস্থিতদের সতর্ক করে বলেন, সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত একইসঙ্গে ‘মহা সম্ভাবনার সময় ও বড় বিপদের সময়’-এর সূচনা করেছে।
সংস্থাটির শিক্ষা ও গবেষণার পরিচালক র্যান্ডাল ও'ব্যানন, কর্মীদের তাদের বিজয় উদযাপন করতে উৎসাহিত করেছেন।
ওকলাহোমা সিটিতে বিক্ষোভকারীদের উপস্থিতি কম ছিল। সেখানে প্রায় ১৫ জন বিক্ষোভকারী ক্যাপিটলের বাইরে সমাবেশ করে।
ওকলাহোমা হল ১১টি রাজ্যের মধ্যে একটি, যেখানে গর্ভপাতের পক্ষে কোনো প্রস্তাবকারী নেই। গত মে মাসে এখানে দেশের কঠোরতম গর্ভপাত আইন পাস হয়।
অ্যাক্টোপিক গর্ভাবস্থার জন্য দুটি গর্ভপাত করা মেরি অ্যাডামস নামের ৪৫ বছর বয়সী এক নারী বলেন,‘আমি গত ২৪ ঘন্টায় যে মানসিক অবস্থার মধ্যে আছি, তা বোঝাতে পারব না... এটা বিরক্তিকর ও অসহ্য। আমি এই মুহূর্তে যা অনুভব করছি, তা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন’।
তিনি এই বিষয়টিকে ‘নারীর একান্ত ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত’ বলে অভিহিত করেছেন।
অ্যাডামস বলেন,‘যুক্তরাষ্ট্রের অর্ধেক জনসংখ্যা তাদের একটি মৌলিক অধিকার হারিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন,‘আমাদের কথা বলতে হবে এবং সর্বশক্তিতে কথা বলতে হবে।’
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে ভূমিকম্প: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১৫০
এর আগে শুক্রবার ‘রো বনাম ওয়েড’ রায় বাতিল করার মাধ্যমে দেশটির নারীদের গর্ভপাতের সাংবিধানিক অধিকারের অবসান ঘটায় মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট।
১৯৭৩ সালের ঐতিহাসিক রো বনাম ওয়েড মামলায় সাত-দুই ভোটের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্ট এক ঐতিহাসিক রায় দিয়েছিল। রায়ে বলা হয়,একজন মহিলার গর্ভপাতের অধিকার মার্কিন সংবিধান দ্বারা সুরক্ষিত। ওই রায় যুক্তরাষ্ট্রের নারীদের গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসে গর্ভপাতের নিরঙ্কুশ অধিকার দিয়েছে। তবে দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ এবং তৃতীয় ত্রৈমাসিকে গর্ভপাত নিষিদ্ধ করেছে।
কিন্তু তার পর থেকে গত কয়েক দশকে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে গর্ভপাতবিরোধী রায় দেয়ার ঘটনা বেড়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট ডবস বনাম জ্যাকসন নারী স্বাস্থ্য সংস্থা মামলা বিবেচনা করতে গিয়ে নতুন রায়টি দিয়েছে। ওই মামলায় ১৫ সপ্তাহ পরে গর্ভপাতের ওপর মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যের নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: কোভিড টিকার কারণে ২০২১ সালে ২০ মিলিয়ন মৃত্যু এড়ানো গেছে
যুক্তরাষ্ট্রে গর্ভপাতের সাংবিধানিক অধিকারের অবসান
‘রো বনাম ওয়েড’ রায় বাতিল হওয়ার প্রেক্ষিতে গর্ভপাতের সাংবিধানিক অধিকারের অবসান ঘটালো মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার এই আলোচিত রায় ঘোষণার পর ইতোমধ্যে দেশটির আলাবামা, টেক্সাস ও ওয়েস্ট ভার্জিনিয়াসহ বেশ কয়েকটি রাজ্যের অনেকগুলো গর্ভপাত ক্লিনিক বন্ধ করা হয়েছে।
মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট এক রায়ে বলেছে, ‘গর্ভপাত করা মার্কিন নারীদের সাংবিধানিক অধিকার নয়।’
এই রায়ের ফলে এখন দেশটিতে কয়েক কোটি প্রজননক্ষম নারী গর্ভপাতের সাংবিধানিক অধিকার হারাবেন। এতে গর্ভপাতবিরোধী অঙ্গরাজ্যগুলো চাইলে তা নিষিদ্ধ করতে পারবে।
ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার একমাত্র গর্ভপাত ক্লিনিকের নির্বাহী পরিচালক কেটি কুইনোনেজ বলেন, ‘রায় শোনার পর বহু রোগী কান্নায় ভেঙে পড়েন,এমনকি তারা কথা পর্যন্ত বলতে পারছিল না।’
আরও পড়ুন: নরওয়েতে বন্দুকধারীর গুলিতে ২ জন নিহত, আহত এক ডজনের বেশি
তিনি আরও জানান, তার কর্মীরা কয়েক ডজন রোগীর অ্যাপয়েন্টমেন্ট বাতিল করেছেন।
কেটি কুইনোনেজ বলেন, ‘কিছু রোগী হতবাক হয়ে গিয়েছে। কী করতে বা বলতে হবে, তা তারা বুঝতে পারছেন না।’
যুক্তরাষ্ট্রের ৯টি রাজ্যে অবিলম্বে গর্ভপাত বন্ধ করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট রো রায় বাতিল করার পর মার্কিনিদের মধ্যে ক্রোধ, আনন্দ, ভয় ও বিভ্রান্তির মতো মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গর্ভপাত অধিকার সমর্থকরা এটিকে ইতিহাসের একটি অন্ধকার দিন বলে অভিহিত করেছে। অন্যদিকে,গর্ভপাত বিরোধীরা এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে।
ইউএস হাউসের সংখ্যাগরিষ্ঠ হুইপ ও সাউথ ক্যারোলিনার ডেমোক্র্যাটিক প্রতিনিধি জিম ক্লাইবার্ন বলেছেন, ‘এই দেশ রক্ষণশীলতার দিকে ঝুঁকছে, নাগরিকদের মানবাধিকার কেড়ে নেয়া হচ্ছে।’
ইতোমধ্যে দেশটির বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ চলছে এই রায়ের বিরোধিতায়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই রায়কে ‘একটি দুঃখজনক ত্রুটি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। বাইডেন রায়ের সমালোচনা করে অঙ্গরাজ্যগুলোকে গর্ভপাতের অনুমোদন দিয়ে আইন করার আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: স্পেনের ছিটমহল মেলিলায় প্রবেশের চেষ্টাকালে নিহত ১৮
গর্ভপাতবিরোধীরা একে বিপুলভাবে স্বাগত জানিয়েছে। অন্যদিকে পছন্দের স্বাধীনতার পক্ষের আন্দোলনকর্মীরা এ রায়ের নিন্দা করেছেন।
রায়ের পর গ্যারেট বেস নামক একজন গর্ভপাতবিরোধী বলেন ‘গর্ভবতী মা ও শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমরা তৃণমূলে থাকা আমেরিকানদের সঙ্গে কাজ করব। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার ফল এই রায় ঘোষিত হলো, আমি এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই।’
অন্যদিকে ব্যক্তিস্বাধীনতার সমর্থকরা আদালতের এই সিদ্ধান্তটিকে ‘অবৈধ’ এমনকি ‘ফ্যাসিবাদ’ এর একটি রূপ বলে নিন্দা করেছেন।
১৯৭৩ সালের ঐতিহাসিক রো বনাম ওয়েড মামলায় সাত-দুই ভোটের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্ট এক ঐতিহাসিক রায় দিয়েছিল। রায়ে বলা হয়,একজন মহিলার গর্ভপাতের অধিকার মার্কিন সংবিধান দ্বারা সুরক্ষিত। ওই রায় যুক্তরাষ্ট্রের নারীদের গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসে গর্ভপাতের নিরঙ্কুশ অধিকার দিয়েছে। তবে দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ এবং তৃতীয় ত্রৈমাসিকে গর্ভপাত নিষিদ্ধ করেছে।
কিন্তু তার পর থেকে গত কয়েক দশকে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে গর্ভপাতবিরোধী রায় দেয়ার ঘটনা বেড়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট ডবস বনাম জ্যাকসন নারী স্বাস্থ্য সংস্থা মামলা বিবেচনা করতে গিয়ে নতুন রায়টি দিয়েছে। ওই মামলায় ১৫ সপ্তাহ পরে গর্ভপাতের ওপর মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যের নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল।
রক্ষণশীল বিচারকদের সংখ্যাগরিষ্ঠ শীর্ষ আদালত অঙ্গরাজ্যের পক্ষে রায় দিয়েছে। এতে কার্যত গর্ভপাতের সাংবিধানিক অধিকার বাতিল হয়ে গেল।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে ভূমিকম্প: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১৫০
যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামায় বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ১, আহত ২
যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামার শহরতলির এক গির্জায় বন্দুকধারীর গুলিতে একজন নিহত ও দুজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এক সন্দেহভাজনকে হেফাজতে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ।
এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ ক্যাপ্টেন শেন ওয়্যার বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বার্মিংহাম শহরতলির ভেস্তাভিয়া হিলসের সেন্ট স্টিফেনস এপিস্কোপাল গির্জায় এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে সন্ধ্যা প্রায় সাড়ে ৬টায় কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে সহকর্মীর গুলিতে নিহত ৩
তিনি বলেন, গুলিতে একজন নিহত ও দুজন আহত হয়েছেন এবং তাদের দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া একজন সন্দেহভাজনকে হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
তবে সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তি বা ভুক্তভোগীদের পরিচয় প্রকাশ করতে অস্বীকার করেন ওয়্যার।
যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে সহকর্মীর গুলিতে নিহত ৩
যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে একটি কারখানায় সহকর্মীর গুলিতে তিনজন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার মেরিল্যান্ডের স্মিথসবুর্গের কলম্বিয়া মেশিন কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
ওয়াশিংটন কাউন্টি শেরিফ ডগ মুলেনডোর বলেছেন, কারখানায় তিনজনকে নিহত ও একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় পাওয়া যায়। ভুক্তভোগী ও সন্দেহভাজন ব্যক্তি-সবাই ওই কারখানার কর্মচারী।
এদিকে কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগে গাড়িতে করে পালিয়ে যায় সন্দেহভাজন ব্যক্তি। তবে মেরিল্যান্ড রাজ্য পুলিশ তাকে ধাওয়া করে। এ সময় তাদের মাঝে গুলি বিনিময়ের ঘটনায় সন্দেহভাজন ও এক পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে হাসপাতালে বন্দুক হামলা, বন্দুকধারীসহ নিহত ৫
মেরিল্যান্ড রাজ্য পুলিশের লেফটেন্যান্ট কর্নেল বিল ডফলেমায়ার বলেছেন, আহত পুলিশ কর্মকর্তা ভালো আছেন এবং সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে বৃহস্পতিবার রাত থেকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
সন্দেহভাজন একজন ৪২ বছর বয়সী ব্যক্তি বলে জানিয়েছেন মুলেনডোর। তবে তার নাম প্রকাশে অস্বীকার করেন তিনি। তবে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ প্রস্তুত করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে মাঝারি রকেট সিস্টেম পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র: বাইডেন
এ ঘটনায় নিহতদের শনাক্ত করেছে শেরিফ। তারা হলেন- মার্ক অ্যালান ফ্রে (৫০), চার্লস এডওয়ার্ড মিনিক জুনিয়র (৩১) ও জোশুয়া রবার্ট ওয়ালেস (৩০)। এছাড়া ব্র্যান্ডন চেজ মাইকেল নামে ৪২ বছর বয়সী আরেকজন আহত হয়েছেন।
মুলেনডোর বলেছেন, সন্দেহভাজন একটি আধা-স্বয়ংক্রিয় হ্যান্ডগান ব্যবহার করেছেন এবং এটি গুলি বিনিময়ের ঘটনার পর উদ্ধার করা হয়।
মালিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বহরে হামলায় নিহত ১, আহত ৩
উত্তর মালিতে জাতিসংঘের একটি শান্তিরক্ষী বহরে সন্ত্রাসীদের হামলায় জর্ডানের এক শান্তিরক্ষী নিহত এবং অন্তত তিনজন জর্দানিয়ান শান্তিরক্ষী আহত হয়েছে।
বুধবার জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেছেন, বহরের শান্তিরক্ষীরা প্রায় এক ঘণ্টা ধরে হামলাকারীদের সঙ্গে নিরবিচ্ছিন্ন গোলাগুলি করেছে।
ডুজারিক বলেছেন, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি শান্তিরক্ষীদের পরিবার এবং সরকার ও জর্ডানের জনগণের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
ডুজারিক বলেছেন, মালিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের তথ্যমতে মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে উত্তর কিদাল অঞ্চলে এটি পঞ্চমবার হামলা।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ হামলার নিন্দা জানিয়ে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে মালির কর্তৃপক্ষকে তদন্ত করে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানায়।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে হাসপাতালে বন্দুক হামলা, বন্দুকধারীসহ নিহত ৫
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, কাউন্সিল শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলাকে আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে পরিগণিত করতে পারে।
মালি ২০১২ সাল থেকে একটি ইসলামিক চরমপন্থী বিদ্রোহগোষ্ঠীকে নিয়ন্ত্রণে লড়াই করেছে। ফরাসি নেতৃত্বাধীন সামরিক অভিযানের সাহায্যে মালির উত্তরাঞ্চলীয় শহরগুলো থেকে চরমপন্থী বিদ্রোহীদের বিতারিত করা হয়। কিন্তু তারা পুনরায় সংগঠিত হয় এবং তারপর থেকেই মালিয়ান সেনাবাহিনী ও তার সহযোগীদের ওপর হামলা চালিয়ে আসছে বিদ্রোহীরা।
জাতিসংঘ বলেছে, ২০১৩ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত ২৫০ জনেরও বেশি শান্তিরক্ষী এবং কর্মী মারা গেছে। এর ফলে মালি জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের জন্য অন্যতম বিপজ্জনক দেশে পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন: লভিভের পশ্চিমাংশে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, আহত ৫
হামলার আগে স্কুলের দরজায় তালা দেয়া হয়নি: টেক্সাস পুলিশ