বিজ্ঞান-এবং-উদ্ভাবন
পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী করতে অটোমেটেড ও ডিজিটাইজড করা হবে: পলক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, শেয়ারবাজারের ফটকা কারবারি রোধে এবং বিনিয়োগকারীদের দুশ্চিন্তামুক্ত রাখতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে প্রযুক্তি সহায়তা দেবে আইসিটি বিভাগ।
তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতির জন্য পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী করতে অটোমেটেড ও ডিজিটাইজড করা হবে।
রবিবার রাতে রাজধানীর বারিধারায় ব্রোকারেজ হাউজ ‘আমায়া সিকিউরিটিজ লি.’ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, দেশে অর্থনীতির জন্য পুঁজিবাজারকেও শক্তিশালী করতে হবে। এনহ্যান্সিং ডিজিটাল গর্ভনমেন্ট অ্যান্ড ইকোনোমি (ইডিজিই) প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে গ্রাহক ও বিনিয়োগকারীদের কল্যাণে অটোমেটেড ও ডিজিটাইজড করা হবে।
তিনি আরও বলেন, সেজন্য আইসিটি বিভাগের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। তবে এজন্য ব্রোকারেজ হাউজগুলোকে বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করতে হবে।অনুষ্ঠানে দুদকের সাবেক চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন চপ্পু’র সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আমায়া সিকিউরিটিজ চেয়ারম্যান ও কার সিলেকশন ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসলাম সেরনাবিয়াত, বারভিডার প্রেসিডেন্ট হাবিবুল্লাহ ডন, এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন, ডিএসই ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভূঁইয়া, সিসিবিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুস সালাম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: নারীদের প্রযুক্তি খাতে সম্পৃক্ত করতে না পারলে কাঙ্খিত উন্নয়ন সম্ভব না: পলক
‘ডিজিটাল ডেটা সিকিউরিটি অ্যাক্ট’ হচ্ছে: পলক
‘ডিজিটাল ডেটা সিকিউরিটি অ্যাক্ট’ হচ্ছে: পলক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, দেশের প্রযুক্তিগত তথ্য-উপাত্তের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিজিটাল ডেটা সিকিউরিটি অ্যাক্ট প্রণয়ন হচ্ছে। রবিবার দুপুরে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে বাংলাদেশ টেকনোসিটি লিমিটেড ও ফেলিসিটি আইডিসি ইন্টারনেট ডেটা সেন্টার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
উপাত্ত বিশ্লেষণ ভিত্তিক সল্যুশন দিয়ে তেল সমৃদ্ধ অনেক জাতি থেকে বাংলাদেশ আরও সমৃদ্ধ হবে উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, ইতোমধ্যেই আমরা আমাদের তথ্য-উপাত্তের নিরাপত্তার জন্য ডেটা প্রটেকশন অ্যাক্টের খসড়া প্রণয়ন করেছি। সবার মতামত নিয়েই এই আইন করা হবে। আশা করা যাচ্ছে, এখানে (টেকনোসিটি ও ফেলিসিটি আইডিসি ইন্টারনেট ডেটাসেন্টারে) আরও দুই থেকে আড়াইশ কোটি টাকার অতিরিক্ত বিনিয়োগ আসবে।
হাইটেক পার্ক হবে ডিজিটাল অর্থনীতির চালিকাশক্তি উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ শ্রমনির্ভর অর্থনীতি থেকে ডিজিটাল অর্থনীতির দিকে যাত্রা শুরু করেছে।
তিনি বলেন, আগামী ১০ বছরের মধ্যে এখানে আরও ৫০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে এবং এই সময়ের মধ্যে হাইটেক টাউনশিপে ইকোসিস্টেম গড়ে উঠবে।
বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে ৮২ জন বিনিয়োগকারীকে সুযোগ দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে দুটি ডেভলপমেন্ট কোম্পানি। এরা মোট ৫৭০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। এখানে বিনিয়োগকারীদের উদ্বুদ্ধ করতে কর মওকুফ এবং বিদেশে পণ্য রপ্তানিতে বিশেষ প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নারীদের প্রযুক্তি খাতে সম্পৃক্ত করতে না পারলে কাঙ্খিত উন্নয়ন সম্ভব না: পলক
তিনি বলেন, কাওরান বাজারে কোনো জায়গা খালি নেই। বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে বিনিয়োগের এখনই সঠিক সময়। তাই এখনই অল্প বিনিয়োগে স্বল্প খরচে হাইটেক পার্কে ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করা যাবে। হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার কিংবা বিপিও যে ব্যবসাই হোক না কেন আমাদের এখানে যে সুবিধা আছে বাংলাদেশের কোথাও সে সুবিধা পাওয়া যাবে না।প্রতিমন্ত্রী বলেন সাশ্রয়ী, উদ্ভাবনী ও টেকসই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে তরুণদের চাকরিজীবী হওয়ার পরিবর্তে উদ্যোক্তা করতেই সরকারের সব আয়োজন।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই স্টার্টআপ কোম্পানি বাংলাদেশ গঠন করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ৫০০ কোটি টাকা দিয়েছেন। ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ শুরু হয়েছে। হাইটেক পার্কে কেউ আবেদন করলে সেখান থেকেও আমরা তাদেরকে ইক্যুইটি ইনভেস্টমেন্টের সুযোগ দিতে পারি।শেষে তিনি নতুন ডেটা সেন্টার ও নোকিয়া মোবাইল ফোন ফ্যাক্টরি ঘুরে দেখেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের মহাব্যবস্থাপক বিকর্ণ কুমার ঘোষের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায়, ফেলিসিটি আইডিসির সিইও শারফুল আলম, টেকনোসিটির সিইও মোহাম্মদ মোজাহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশের বাংকের জেনারেল ম্যানেজারসহ বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তা ও বিনিয়োগকারীরা।
আরও পড়ুন: বর্তমান বিশ্ব প্রতিযোগিতার নয়, সহযোগিতার: পলক
২০২৫ সালের মধ্যে শতভাগ মানুষকে ইন্টারনেটের আওতায় আনা হবে: পলক
মহাকাশের প্রথম রঙিন ছবি প্রকাশ করেছে নাসা
প্রথমবারের মতো মহাকাশের রঙিন ছবি প্রকাশ করেছে মার্কিন মহাশূন্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা। সোমবার প্রকাশিত এই ছবিটি নাসার ১০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ থেকে তোলা।
ছবিটিতে গ্যালাক্সিতে ভরপুর মহাবিশ্বের সবচেয়ে গভীরতম চেহারা দেখা যায়। এতে প্রচুর নক্ষত্র, সামনের অংশে বিশাল গ্যালাক্সি এবং অস্পষ্ট ও অত্যন্ত দূরবর্তী ছায়াপথগুলো স্পষ্ট দেখা যায়।
হোয়াইট হাউসে আয়োজিত এক আয়োজনে স্পেস টেলিস্কোপ থেকে তোলা ছবিটি প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই ছবিটি দেখে বিস্মিত হয়ে বলেন, ‘মহাবিশ্বের ইতিহাসে ১৩ বিলিয়নেরও বেশি পুরানো আলো দেখা যায়, আমি আবার বলছি ১৩ বিলিয়ন বছর আগের! এটা বিশ্বাস করা কঠিন।’
নাসার অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বিল নেলসন বলেছেন, এটিই এখন পর্যন্ত গ্যালাক্সি ক্লাস্টারের পাওয়া সবচেয়ে স্পষ্ট ও বিস্তারিত ছবি। শত শত দাগ, রেখা, সর্পিল ও সাদা, হলুদ, কমলা এবং লালের ঘূর্ণায়মান চিত্রটি ‘মহাবিশ্বের একটি ক্ষুদ্র অংশ মাত্র’।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানী দিমিতার সাসেলভ বলেন, ‘আমরা আজকে যা দেখেছি, তা হল প্রাথমিক মহাবিশ্ব।’
বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে শক্তিশালী এই স্পেস টেলিস্কোপটি গত বছরের ডিসেম্বরে দক্ষিণ আমেরিকার ফ্রেঞ্চ গায়ানা থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। জানুয়ারিতে পৃথিবী থেকে ১ মিলিয়ন মাইল (১ দশমিক ৬ মিলিয়ন কিলোমিটার) দূরের তার লুকআউট পয়েন্টে এটা পৌঁছে। তারপরে ক্যামেরার লেন্সগুলো সঠিক জায়গায় বসাতে দীর্ঘ প্রক্রিয়া শুরু হয়।
প্রজেক্ট বিজ্ঞানী ক্লাউস পন্টোপিডান ব্রিফিংয়ের সময় বলেন, যেহেতু বিজ্ঞানীরা আরও গভীরে যেতে ওয়েব টেলিস্কোপ ব্যবহার করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
২১ ফুট ওয়েবের সোনার ধাতুবেষ্টিত ফুলের আকৃতির আয়নাটি মহাকাশে পাঠানো সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে সংবেদনশীল ওয়েব টেলিস্কোপ। এটি ১৮টি সেগমেন্ট নিয়ে গঠিত।
নাসার এই অভিযানে ইউরোপীয় ও কানাডিয়ান মহাকাশ সংস্থাগুলোও সহযোগিতা করছে।
আরও পড়ুন: ভারতীয় চন্দ্রযানের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেয়েছে নাসা
৭ ঘণ্টার স্পেসওয়াক শেষ করলেন নাসার দুই নভোচারী
অরিজিনাল ফোন চেনার উপায়: ফোন কেনার আগে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা জরুরি
আসল ফোন চেনার উপায় জানা থাকলে যাবতীয় বিড়ম্বনার অবসান ঘটতে পারে ফোনটি কেনার সময়। সর্বশেষ প্রযুক্তির সর্বোচ্চ কনফিগারেশনের সেটটি বাজেটের মধ্যে পেতে হলে ফোন যাচাই বাছাই আবশ্যক। বাজারে হাজারো ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন থেকে পছন্দের হ্যান্ডসেটটি লুফে নিতে বাজার দরের পাশাপাশি তার কারিগরি জ্ঞানও প্রয়োজন। তবে এর মানে এই নয় যে স্মার্টফোনের ব্যাপারে একদম দক্ষ হতে হবে। এই জ্ঞান মুলত যে ফোনটি কেনা হচ্ছে তা আসল না নকল সে বিষয়ে সাবধানতার দিকে নির্দেশ করছে। অনেক সময় অসকতর্কতার কারণে দুর্ভাগ্যজনক ভাবে সবচেয়ে নামকরা কোম্পানির নকল ফোন কিনে প্রতারিত হতে হয়। তাই সঠিক ফোন চেনার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়েই আজকের এই নিবন্ধ।
অফিসিয়াল ও আনঅফিসিয়াল ফোনের মধ্যে পার্থক্য
অরিজিনাল ফোনগুলো ভ্যাট-ট্যাক্স প্রদান করে আইনগতভাবে দেশের বাজারে প্রবেশ করে। সেই সঙ্গে এগুলোর আইএমইআই (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি) নাম্বার সরকারি ডাটাবেসে নিবন্ধিত হয়ে যায়। একই ভাবে দেশের ভেতরে প্রস্তুতকৃত ফোনগুলোর আইএমইআই নাম্বারও দেশের মোবাইল ফোন ডাটাবেসে নিবন্ধিত থাকে। স্বভাবতই এই অফিসিয়াল ফোনগুলোর দাম বেশি হয়ে থাকে।
অন্যদিকে, ভ্যাট-ট্যাক্স না দেয়ার কারণে আমদানিকৃত নকল ফোনগুলোর দাম অপেক্ষাকৃত কম হয়। এই ফোনগুলো অবিকল অফিসিয়াল ফোনের মতোই দেখতে এবং প্রথম দিকে একদম অরিজিনাল ফোনের মতই কাজ করে। কিন্তু পরবর্তীতে ফোন ব্যবহারের সময় বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
আরও পড়ুন: মোবাইল ফোন পানিতে পড়ে গেলে করণীয়
আনঅফিসিয়াল ফোন কেনার ঝুঁকি
ম্যালওয়্যার অ্যাটাক
একটি নকল মোবাইল সেট ব্যবহারে সবচেয়ে বেশি যে বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয় তা হলো- ম্যালওয়্যারের সংক্রমণ। এই ম্যালওয়্যার ফোনটি যে নেটওয়ার্কের সঙ্গে সংযুক্ত হয় সেই নেটওয়ার্ক জুড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে। পাশাপাশি নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য মোবাইল ফোনকেও সংক্রমিত করে ফেলতে পারে।
এই ম্যালওয়্যারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়ানক হলো কী-লগিং। এর মাধ্যমে কোন হ্যাকার যখন ফোনের অ্যাক্সেস পেয়ে যায়, তখন তারা ফোনটিতে ক্ষতিকারক লিঙ্ক পাঠাতে থাকে। ফোন ব্যবহারকারি সেই লিঙ্কে ক্লিক করা মাত্রই ফোনের প্রয়োজনীয় তথ্য এবং ব্যবহারকারির ব্যক্তিগত তথ্য তার অজান্তেই পাচার হয়ে যায়।
র্যানসমওয়্যারের ঝুঁকি
র্যানসমওয়্যার নকল মোবাইল ফোনে খুব সহজেই গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলোকে নষ্ট করে ফেলতে পারে। ফলে ফোন ব্যবহারকারি সেই ফাইলগুলো ব্যবহার করতে পারে না। ম্যালওয়্যারের মত এটিও যে কোন নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকটি ফোনকে সংক্রমিত করতে পারে।
আরও পড়ুন: দেশের বাজারে ১০৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা’র রিয়েলমি ৯ ফোরজি ও সি৩৫
অনিরাপদ অপারেটিং সিস্টেম (ওএস)
নকল মোবাইল ফোনগুলো নির্দিষ্ট সময়ের সঙ্গে আপডেট হয় না। এর ফলে ফোনটি পূর্ণ দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে না। ওএস ডিভাইসের মডেল, সিপিইউ কোর, র্যাম, স্টোরেজ ইত্যাদির উপর ভুল রিপোর্ট তৈরি করে। ধীরে ধীরে ফোনটি ব্যবহারের অনুপযুক্ত হয়ে পড়তে থাকে।
স্বাস্থ্য ঝুঁকি
অরিজিনাল ফোনের নির্মাতারা তাদের ডিভাইসগুলো বাজারে বিক্রি করার আগে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করে থাকেন। উদ্দেশ্য একটাই আর তা হচ্ছে- গ্রাহকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। অ্যাপল, অ্যান্ড্রয়েড-এর মতো নিবন্ধিত কোম্পানিগুলো জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা প্রোটোকল এবং সুরক্ষা মান নিশ্চিত করে থাকে। অধিকাংশ ফোন প্রস্তুতকারক কোম্পানি রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি নির্গমনের সংস্পর্শে এড়ানোকে অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানগুলো সুরক্ষার প্রতিটি স্তর পূরণের জন্য মোবাইল ডিভাইস, চার্জার এবং ব্যাটারির মান নিশ্চিত করে। বিশেষ করে ব্যাটারি পরীক্ষার ক্ষেত্রে এই কোম্পানিগুলো আপসহীন ভাবে অত্যাধুনিক পদ্ধতি অনুসরণ করে৷
আরও পড়ুন: ফোন ফ্যাক্টরি রিসেট করার সঠিক পদ্ধতি
অন্যদিকে, নকল মোবাইল, চার্জার এবং ব্যাটারিগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যায় না। ফলশ্রুতিতে এক্ষেত্রে সম্পূর্ণ বাইরে থেকে যায় গ্রাহকদের নিরাপত্তার বিষয়টি। বিভিন্ন গণযোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাটারি বিস্ফোরণের ঘটনা একদমি নতুন নয়। শরীরের খুব কাছাকাছি থাকায় নিমেষে টাইম বম-এ পরিণত হওয়া এই বস্তুটি গ্রাহকদের ভয়াবহ ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়ায়। নিম্নমানের ব্যাটারি মানেই এর ভেতরে থাকা রাসায়নিক উপাদানগুলোর বিক্রিয়ার ক্ষতিকর প্রভাব, যা চূড়ান্ত পর্যায়ে অঙ্গহানীর দিকে নিয়ে যায়।
ত্রুটিপূর্ণ নেটওয়ার্ক
আনঅফিসিয়াল ফোনের গ্রাহকদের একটি সাধারণ অভিযোগ হচ্ছে- নেটওয়ার্কের ব্যাঘাত ঘটা। যেমন- কল করার সময় ব্যাকগ্রাউন্ডে শব্দ শোনা। নকল ফোনগুলো স্বাভাবিকভাবেই কল গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়। এমনকি কিছু কিছু স্থানে নেটওয়ার্ক বারও দেখা যায় না।
এছাড়া নকল ডিভাইসগুলোর নেটওয়ার্ক-এর গতি কম থাকে, যা গ্রাহকদেরকে চরম হতাশাজনক অভিজ্ঞতা দেয়। বেশিরভাগ লোকেশনে নকল ফোনের সিগন্যাল এবং কল ব্যর্থতার প্রবণতা বেশি থাকে। বাধ্য হয়ে ফোন কেনার অল্প সময়ের মধ্যে তারা ফোনটি প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়। অন্যদিকে, একটি জেনুইন ফোনে কোনো সমস্যা ছাড়াই সহজেই কল করা এবং গ্রহণ করা যায়।
আরও পড়ুন:
পরিবেশগত ঝুঁকি
নকল ডিভাইস, চার্জার এবং ব্যাটারি নিম্নমানের উপাদান দিয়ে তৈরি থাকে। এতে থাকা রাসায়নিক উপাদান শুধু মানুষের জন্যই ক্ষতিকর নয়, বরং পরিবেশেরও ক্ষতি করতে পারে। এই ধরনের ডিভাইস তৈরিতে ব্যবহৃত সস্তা এবং নিম্নমানের ধাতু ও রাসায়নিক উপাদানগুলো ল্যাবে পরীক্ষিত থাকে না। স্বভাবতই, এই ফোনগুলো হয় ত্রুটিযুক্ত এবং এতে ব্যবহারকারীদের সঙ্গে সঙ্গে তাদের আশেপাশের সম্পত্তির ক্ষতি করার সম্ভাবনা থাকে।
আনঅফিসিয়াল ফোনে থাকা পারদ এবং সীসা পরিবেশের ঝুঁকির কারণ হতে পারে। এগুলো থেকে রাসায়নিক পদার্থ যেমন তামা, ক্যাডমিয়াম, লিথিয়াম, জিঙ্ক এবং আর্সেনিক বাস্তুতন্ত্রকে ব্যাহত করতে পারে।
আরও পড়ুন: হোমিকরসিন: বাংলাদেশি বিজ্ঞানীদের আবিষ্কৃত নতুন অ্যান্টিবায়োটিক
কিভাবে অফিসিয়াল ফোন যাচাই করবেন?
বিটিআরসি আইএমইআই নাম্বারের মাধ্যমে অফিসিয়াল ফোন যাচাই
অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ক্ষেত্রে
প্রতিটি অফিসিয়াল স্মার্টফোনে ১৫-সংখ্যার একটি আইএমইআই নাম্বার থাকে। এটি প্রতিটি ফোনের জন্যই আলাদা হয়, যা ডিভাইসের প্যাকেজিং-এও উল্লেখ থাকে। একটি আনঅফিসিয়াল ফোন থেকে একটি অফিসিয়াল ফোন চেনার জন্য এই কোডটিই যথেষ্ট।
অর্থাৎ প্রকৃত ফোন যাচাই করতে সর্বপ্রথম এই ১৫-সংখ্যার আইএমইআই কোডটি খুঁজে বের করতে হবে। এই অনুসন্ধানটি দুটি উপায়ে চালানো যেতে পারে:
প্রথমটি হলো→ *#০৬# ডায়াল করলে সাথে সাথেই ১৫-সংখ্যার আইএমইআই নাম্বারটি মোবাইল স্ক্রিনে ভেসে উঠবে।
আরও পড়ুন: আপনার স্মার্টফোন দিয়ে আয় করার সেরা কিছু উপায়!
আরেকটি অনুসন্ধান পদ্ধতি হলো ফোনের সেটিংস-এর মাধ্যমে। সেটিংস থেকে খুঁজে বের করতে হবে অ্যাবাউট ডিভাইস। এখানে ক্লিক করলে দ্বিতীয় স্ক্রিন থেকে বাছাই করতে হবে স্ট্যাটাস। অতঃপর মোবাইল স্ক্রিনে কাঙ্ক্ষিত আইএমইআই নাম্বারটি প্রদর্শন করবে।
এবার কম্পিউটার বা মোবাইল থেকে যে কোন ব্রাউজার (যেমন গুগল ক্রোম) থেকে imei.info ওয়েবসাইটে যেতে হবে। এরপর দৃশ্যমান ডায়ালগ বক্সে সেই ১৫-সংখ্যার আইএমইআই নাম্বারটি লিখে চেক-এ ক্লিক করতে হবে। সঙ্গে সঙ্গেই ফোনের সমস্ত তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রদর্শিত হবে।
এই অংশে যদি ফোনের স্ক্রিনে ফোনের তথ্য না দেখিয়ে ভিন্ন কিছু দেখায়, তাহলে বুঝতে হবে এটি একটি নকল ফোন।
আরও পড়ুন: অভয় অ্যাপ: কিশোরীদের নিরাপত্তায় নতুন মাত্রা
আইফোনের ক্ষেত্রে
প্রথমে সিম কার্ড স্লটে ফোনের সিরিয়াল নাম্বার পরীক্ষা করতে হবে। অথবা সেটিংস থেকে জেনারেল তারপর অ্যাবাউট-এ যেয়েও পাওয়া যাবে সিরিয়াল নাম্বার।
এবার মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে checkcoverage.apple.com ওয়েবসাইটে যেতে হবে। তারপর সেখানে দেখানো ডায়লগ বক্সে সিরিয়াল নাম্বারটি লিখে চেক-এ ক্লিক করতে হবে।
এই অংশে হ্যান্ডসেট নকল হলে স্ক্রিনে ‘অবৈধ সিরিয়াল নম্বর’ বার্তা প্রদর্শন করবে। আর যদি তা না করে তাহলে বুঝতে হবে মোবাইল ফোনটি আসল।
আরও পড়ুন: পুরনো স্মার্টফোনের আয়ু বাড়ানোর ৫টি টিপস
এসএমএস-এর মাধ্যমে অফিসিয়াল ফোন যাচাই
মোবাইলের ম্যাসেজ অপশনে যেয়ে টাইপ করতে হবে KYD, তারপর একটি স্পেস; অতঃপর ১৫-সংখ্যার আইএমইআই নম্বার। অর্থাৎ ম্যাসেজটি এরকম হবে- "KYD 1234567890ABCDE"।
তারপর ম্যাসেজটি পাঠিয়ে দিতে হবে ১৬০০২ নাম্বারে। এর সঙ্গে সঙ্গেই একটি উত্তর আসবে আর এই উত্তরটিই নিশ্চিত করবে যে মোবাইল ফোনটি অফিসিয়াল নাকি আনঅফিসিয়াল।
শেষাংশ
শুধু সঠিক স্মার্টফোনটি কেনাই নয়; অরিজিনাল ফোন চেনার উপায় জানা মানে সেটির দীর্ঘস্থায়ী ও যথাযথ ব্যবহার। ঘন ঘন সেট বদলানোর পাশাপাশি বারবার ফোন মেরামতের ঝামেলা থেকেও রেহাই মিলবে, যদি ফোন নির্বাচনে সুদূরপ্রসারী দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় দেয়া যায়। দৈনন্দিন জীবনের এই অবিচ্ছেদ্য বস্তুটি থেকে কাঙ্ক্ষিত সুবিধা পাওয়ার একমাত্র উপায় হলো এর নিঁখুত নির্বাচন। অন্যথায়, সাময়িক ভুল সিদ্ধান্তে সময় ও অর্থ দুটোই অপচয়ের মাধ্যমে এই দরকারি জিনিসটি উল্টো চরম বিপত্তির কারণ হয়ে দাড়াবে।
আরও পড়ুন: মোবাইলের আনলিমিটেড ডাটা প্যাকেজ চালু
মাইক্রোসফটের উদ্ভাবন কার্যক্রম পরিদর্শন প্রতিমন্ত্রী পলকের
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকোতে বিশ্বপ্রযুক্তির টেক জায়ান্ট মাইক্রোসফটের কার্যক্রম পরিদর্শন ও মাইক্রোসফট টিমের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন।
এসময় তিনি মাইক্রোসফটের হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার ও বিস্ময়কর উদ্ভাবনগুলো প্রত্যক্ষ করেন।
সেপ্টেম্বরের মধ্যে থ্রি হুইলার গাড়ি আনছে রানার: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানিয়েছেন, আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে থ্রি হুইলার গাড়ি বাজারে আনতে যাচ্ছে মোটরসাইকেল শিল্পে দেশের প্রথম মোটরসাইকেল উৎপাদনকারী ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান রানার। এরপর এই ইঞ্জিন চালিত গাড়ির বদলে আসবে প্রতিষ্ঠানটির বিদ্যুত চালিত থ্রি হুইলার। তখন আর বাংলাদেশকে বিদেশ থেকে সিএনজি আমদানি করতে হবে না।
এরপর ধাপে ধাপে আসবে সাশ্রয়ী মূল্যের টেকসই বিদ্যুতচালিত দুই চাকা ও চার চাকার গাড়ি। এভাবেই রানার বাংলাদেশের টেসলা হয়ে উঠবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহের ভালুকায় অবস্থিত মোটরসাইকেল উৎপাদনকারী ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান রানার অটোমোবাইল কারখানা পরিদর্শন শেষে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
পলক বলেন, রানার অটোমোবাইল কারখানাকে গবেষণা ও উন্নয়নে সহায়তা করবে আইসিটি বিভাগের এটুআই এর ‘আই ল্যাব’। সরকারের নীতিগত সহায়তাতেই রানার দেশে তৈরি মোটর গাড়ি রপ্তানিও করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পলক বলেন, সরকারের ধারাবাহিকতা থাকলে এভাবেই ২০৪১ সাল নাগাদ জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার পর বাংলাদেশে বিশ্বে অন্যতম সম্ভাবনাময়ী দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে।
আরও পড়ুন: মেড ইন বাংলাদেশ বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার ইকো ট্যাক্সি বাঘ নামছে দেশের রাস্তায়
তিনি আরও বলেন, দেশে তৈরি ইলেকট্রিক গাড়িগুলো যেনো সহজেই নিবন্ধন পায় সেজন্য তিনি শিগগিরই বিষয়টি নিয়ে সড়ক ও যোগাযোগমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন। আমরা এখন ইলেকট্রিক ভেহিকেল বাতিল করতে পারবো না।
তিনি বলেন সস্তা, খারাপ গুনগত মানের গাড়ি বিদেশ থেকে আমদানি না করে দেশেই সাশ্রয়ী ও গুণগত মানের ইলেকট্রিক ভেহিকেল নিবন্ধন দিলে এতে সরকারের রাজস্ব বাড়বে এবং যোযোগাযোগ খাতে শৃঙ্খলার মধ্যে আসবে।
জুনাইদ আহমেদ পলক বিগত ১৩ বছরে দেশে ‘ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ’ সৃষ্টি হওয়ায় এখন রানারের মতো প্রতিষ্ঠান মাত্র দুইজন বিদেশি ছাড়া ১৯৯৮ জন দেশের তরুণ প্রকৌশলী ও কর্মকর্তা নিয়ে সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে সক্ষম হচ্ছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। প্রতিমন্ত্রী বৈদ্যুতিক গাড়ির প্রথম ভার্সন কারখানায় গিয়ে তা দেখে সাংবাদিকদের সামনে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মুনিরা সুলতানা ও এটুআই এর পলিসি এডভাইজার আনীর চৌধুরী।
রানার অটোমোবাইলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান হাফিজ ও ফারহানা আহমেদ মনি।
আরও পড়ুন: মঙ্গলগ্রহের জন্য রোবট তৈরিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অপার সম্ভাবনা
এটুআই নিয়ে দুটি প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন
ডিজিটাল বাংলাদেশের ১৩ বছরের পথচলায় নাগরিকবান্ধব সেবার ডিজিটাল রূপান্তর ও বিভিন্ন পর্যায়ে উদ্ভাবন চর্চার প্রসারে এটুআই-এর নানা উদ্ভাবনের গল্প ও এর প্রভাব নিয়ে ‘আমার ডিজিটাল বাংলাদেশ: উদ্ভাবনে এটুআই’ এবং ‘কফি টেবিল বুক-দি এটুআই জার্নি’-শীর্ষক দুটি প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।
বুধবার একুশে বইমেলায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গনে প্রকাশনা দুটির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে অনলাইনে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ ও অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি উপাধ্যক্ষ ড. মো. আবদুস শহীদ, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চেয়ারম্যান সাজ্জাদুল হাসান, সাবেক তথ্যসচিব জনাব কামরুন নাহার ও বাংলা একাডেমি মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।
ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে এটুআই-এর নেয়া সফল উদ্যোগগুলোকে ঘিরে কফি টেবিল বুক-দি এটুআই জার্নি তৈরি করা হয়েছে। একই সাথে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) এবং এটুআই-এর উদ্যোগে প্রকাশিত ‘আমার ডিজিটাল বাংলাদেশ: উদ্ভাবনে এটুআই’ শীর্ষক সংকলনে সারাদেশের ডিজিটাল বাংলাদেশের উদ্ভাবনীর সেবার বিভিন্ন গল্পকে ঘিরে ৫০টি প্রতিবেদন (বাংলা ও ইংরেজি) তুলে আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে এক দশকে স্টার্টআপ খাতে সাড়ে ৭’শ মিলিয়ন ডলারের বেশি বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে: আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে নাগরিকবান্ধব সেবা প্রদানে শুরু থেকে কাজ করে আসা এটুআই-এর ভূমিকা ও অর্জন, এর বিভিন্ন উদ্ভাবনী উদ্যোগ গ্রহণ (যেমন: জাতীয় তথ্য বাতায়ন, ই-নথি, ডিজিটাল সেন্টার, মাইগভ, ৩৩৩, একশপ, একপে, ই-নামজারি, ফোরআইআর, জেলা ব্র্যান্ডিং, মুক্তপাঠ, শিক্ষক বাতায়ন, কিশোর বাতায়ন, ইনোভেশন ল্যাবের উদ্যোগসমূহ ইত্যাদি) এবং বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া সচিত্র ও দৃষ্টিনন্দন উপস্থাপনার মাধ্যমে কফি টেবিল বুক-দি এটুআই জার্নি শীর্ষক প্রকাশনাটি প্রস্তুত করা হয়েছে।
অন্যদিকে, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং এটুআই-এর মধ্যকার সমঝোতা স্মারকের আওতায় বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)-এর স্থানীয় সাংবাদিক (জেলা প্রতিনিধি ও ব্যুরো চিফ)-এর মাধ্যমে প্রান্তিক জনগণের ডিজিটাল সেবার বিভিন্ন সফলতার চিত্র তুলে আনা হয়েছে। হাতের নাগালে নাগরিক সেবা পৌঁছে দিতে এটুআই-এর উদ্যোগে বাস্তবায়িত বিভিন্ন সেবা ও সার্ভিস নিয়ে বাসস কর্তৃক প্রকাশিত ৫০টি বিশেষ সরেজমিন প্রতিবেদনসমূহের নিয়ে বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় ‘আমার ডিজিটাল বাংলাদেশ: উদ্ভাবনে এটুআই’-শীর্ষক সংকলন প্রস্তুত করা হয়েছে। বিশেষ এই প্রতিবেদনগুলোতে স্থানীয় জনগণ কীভাবে উপকৃত হচ্ছেন, কী ভাবছেন, তাদের জীবনমানে কী ধরনের পরিবর্তন এনেছে, সার্ভিসগুলো ভবিষ্যতে কীভাবে আরও জনবান্ধব করা যায় সেসব বিষয়গুলো সাংবাদিকগণ তাদের প্রতিবেদনে তুলে আনার চেষ্টা করেছেন।
প্রকাশনা দুটি পলিসি মেকার, উদ্যোক্তা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, গবেষকসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নীতিনির্ধারণের ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এছাড়া এর মাধ্যমে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ এটুআই এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারের নাগরিকবান্ধব সেবার ডিজিটাল রূপান্তর ও প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ সম্পর্কে পরিপূর্ণভাবে জানতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ভোজ্যতেলের আমদানির ওপর ভ্যাট কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি
বৈশ্বিক বাজারে জিটি ২ সিরিজ নিয়ে আসছে রিয়েলমি, উন্মোচিত হলো ডিজাইন
আগামী বছরের ৪ জানুয়ারি তরুণদের পছন্দের ব্র্যান্ড রিয়েলমি বৈশ্বিক বাজারে নিয়ে আসছে সবচেয়ে প্রিমিয়াম ফ্ল্যাগশিপ - রিয়েলমি জিটি ২ সিরিজ। এই লক্ষ্যে সম্প্রতি রিয়েলমি জিটি ২ সিরিজের নকশা বা ডিজাইন উন্মোচন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
রিয়েলমি’র সকল পণ্যের ক্ষেত্রে পারফরমেন্স ও ডিজাইন এই দুটি বিষয় সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পায়। রিয়েলমি জিটি ২ সিরিজ ২০২২ সালের প্রথম স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ১ চিপসেটযুক্ত ডিভাইস হতে যাচ্ছে। ব্যবহারকারীদের অত্যাধুনিক উদ্ভাবনীর অভিজ্ঞতা প্রদানে জিটি ২ সিরিজে বিশ্বে প্রথমবারের মতো তিনটি জিনিস সংযুক্ত করেছে রিয়েলমি - বায়ো-পলিমার দিয়ে তৈরি ব্যাক কভার, ১৫০° আল্ট্রা-ওয়াইড ক্যামেরা এবং রিয়েলমি’র ইনোভেশন ফরওয়ার্ড কমিউনিকেশন।
আরও পড়ুন: সাসটেইনিবিলিটি অর্জনে নিজেদের নানা পদক্ষেপ প্রকাশ করলো অপো
অন্যদিকে, নাওতো ফুকাসাওয়া’র সঙ্গে ডিজাইনকৃত ও দীর্ঘ স্থায়ীত্বের অনুপ্রেরণায় তৈরি রিয়েলমি জিটি ২ সিরিজ বিশ্বের প্রথম বায়ো-ভিত্তিক পলিমার ডিজাইনের স্মার্টফোন। মূল ডিজাইনের অনুপ্রেরণা হিসেবে ‘দ্য ফিউচার ইন পেপার’ কে নেয়া হয়েছে। একটি টেকসই পণ্য তৈরির লক্ষ্যে রিয়েলমি ডিজাইন স্টুডিও আবারও নাওতো ফুকাসাওয়ার সঙ্গে অংশীদারিত্ব করেছে। প্রযুক্তি এবং প্রকৃতির উপাদানগুলোকে একত্রিত করে টেকসই একটি ডিজাইন তৈরি করার উদ্দ্যেশে নাওতো ফুকাসাওয়া রিয়েলমি জিটি ২ সিরিজে কাগজের টেক্সচার/উপাদান ব্যবহার করেছে।
জিটি ২ সিরিজ থেকে জিটি ২ প্রো বাজারে আনার মাধ্যমে রিয়েলমি আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে এবং এর অসাধারণ স্পেসিফিকেশন ও ফিচার বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতায় নতুন মাত্রা যোগ করবে।
উল্লেখ্য, রিয়েলমি আগামী তিন বছরের মধ্যে তরুণ ব্যবহারকারীদের কাছে ১০ কোটি ৫জি ফোন সরবরাহের লক্ষ্যে ৫জি পণ্যের এক বিস্তৃত পোর্টফলিও তৈরিতে কাজ করছে। এ স্মার্টফোন ব্র্যান্ডটি তাদের উন্নত ‘১+৫+টি’ কৌশলের সঙ্গে এআইওটি ২.০ বিকাশের পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। এর ফলে সাশ্রয়ী মূল্যের ৫জি ফোন ছাড়াও রিয়েলমি তরুণ প্রজন্মের ক্রেতাদের জন্য আরও অনেক এআইওটি পণ্য বাজারে নিয়ে আসবে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের দ্রুততম চার্জিং প্রযুক্তি উন্মোচন করবে রিয়েলমি
ফোর্বসের ‘থার্টি আন্ডার থার্টি’তে বাংলাদেশের প্রকৌশলী বাশিমা
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাময়িকী ফোর্বসের এবারের ‘থার্টি আন্ডার থার্টি’তে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশের প্রকৌশলী বাশিমা ইসলাম। বুধবার এ তালিকা প্রকাশ করেছে ফোর্বস।
প্রতিবছর ‘থার্টি আন্ডার থার্টি’র অন্তর্ভূক্ত ২০টি ক্যাটাগরিতে ৩০ জন করে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ করে ব্যবসাভিত্তিক বিখ্যাত ম্যাগাজিন ফোর্বস। এই তালিকায় স্থান পাওয়া প্রত্যেকের বয়স ৩০ বছরের নিচে। বিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে স্থান পাওয়া ৩০ জনের মধ্যে বাশিমা ইসলাম অন্যতম।
ফোর্বস বাশিমার ছোট একটি প্রোফাইল প্রকাশ করেছে। এতে লেখা হয়েছে, বাশিমা ইসলাম বোস্টনের ওয়েস্টার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেবেন। তিনি ব্যাটারি ছাড়া ইন্টারনেট ব্যবহারযোগ্য ডিভাইস তৈরিতে কাজ করছেন। এছাড়া সৌর শক্তি এবং রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে চালিত ডিভাইস তৈরিতে কাজ করছেন তিনি। সেইসঙ্গে আশেপাশে গাড়ি থাকলে পথচারীদের সতর্ক করার জন্য পরিধানযোগ্য একটি অ্যাকোস্টিক সেন্সিং তৈরির কাজের সঙ্গেও যুক্ত আছেন তিনি।
বাশিমা ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ক্যারোলাইনা থেকে পিএইচডি ডিগ্রি নিয়েছেন। দেশে তিনি পড়াশোনা করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ থেকে।
আরও পড়ুন: পাট থেকে স্যানিটারি প্যাড বানিয়ে পুরস্কার জিতলেন বিজ্ঞানী ফারহানা
বিশ্বের শীর্ষ বিজ্ঞানীদের তালিকায় মেহেরপুরের আব্দুর রশিদ
বিনা ও বিনা’র বিজ্ঞানীর আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ
বাংলাদেশে জিটি সিরিজের সেরা ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন আনছে রিয়েলমি
তরুণদের পছন্দের স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি সব সময়ই তরুণ ব্যবহারকারীদের জন্য সেরা স্মার্টফোন নিয়ে আসতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে ব্র্যান্ডটি সম্প্রতি তাদের ফ্ল্যাগশিপ সিরিজ থেকে স্থানীয় বাজারে জিটি মাস্টার এডিশন উন্মোচন করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় ব্র্যান্ডটি এখন তাদের জনপ্রিয় জিটি সিরিজ থেকে আরেকটি স্মার্টফোন উন্মোচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই ফোনটি তাদের এ সিরিজের সর্বশেষ ও সেরা ফোন।
এর পাশাপাশি অন্যান্য সিরিজের স্মার্টফোন ও বিশ্বব্যাপী উন্মোচিত হওয়া সর্বশেষ এওআইটি পণ্য বাজারে আনতেও প্রস্তুতি নিচ্ছে ব্র্যান্ডটি। নভেম্বরে ব্যবহারকারীদের জন্য রিয়েলমি’র অনেক চমক অপেক্ষা করছে বলেও জানা গেছে।
সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, কিছুদিন আগেই বাজারে আসা রিয়েলমি জিটি মাস্টার এডিশন ইতোমধ্যে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। দেশের জনপ্রিয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজে মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই এই ফোনের সবগুলো ইউনিট বিক্রি হয়ে গেছে। জিটি সিরিজের ফোনের প্রতি ক্রেতাদের বিপুল উৎসাহ দেখে রিয়েলমি তাদের ফ্ল্যাগশিপ সিরিজ থেকে আরেকটি স্টাইলিশ ও উন্নতমানের ফোন বাজারে আনার সিদ্ধান্ত নেয়।
দেশের প্রথম ফ্ল্যাগশিপ স্ন্যাপড্রাগন ৭৭৮জি ফাইভজি প্রসেসর সমৃদ্ধ ফোন রিয়েলমি জিটি মাস্টার এডিশনে রয়েছে ইন্ডাস্ট্রির প্রথম ৬৪ মেগাপিক্সেল স্ট্রিট ফটোগ্রাফি ক্যামেরা সেটআপ। এছাড়া এ ফোনে রয়েছে ১২০ হার্টজ স্ক্রিন রিফ্রেশ রেট, ৮ জিবি র্যাম এবং ১২৮ জিবি স্টোরেজ। চমৎকার স্টাইলিশ এ ফোনটি ডিজাইন করেছেন বিখ্যাত ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইনার নাওতো ফুকাসাওয়া। রিয়েলমি’র জিটি সিরিজের নতুন ফোন এর ফিচারগুলোও আরও উন্নত ও স্টাইলিশ হবে।
আরও পড়ুন: দারাজে নতুন রেকর্ড করল রিয়েলমি `জিটি মাস্টার এডিশন’
নতুন ফোন বাজারে আনার মধ্য দিয়ে রিয়েলমি প্রযুক্তিগত দিক থেকে আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে। কিছুদিন পূর্বেই ব্র্যন্ডটি দেশের বাজারে তাদের প্রথম ল্যাপটপ ‘রিয়েলমি বুক’ এনেছে। সামনের দিনগুলোতে রিয়েলমি ব্যবহারকারীদের জন্য আরও লাইফস্টাইল পণ্য ও স্মার্ট ডিভাইস আনবে। এই কৌশলের অধীনে রিয়েলমি সামনের দিনগুলিতে ব্যবহারকারীদের জন্য আরও সমৃদ্ধ পণ্য নিয়ে আসবে।
রিয়েলমি আগামী তিন বছরের মধ্যে তরুণ ব্যবহারকারীদের কাছে ১০ কোটি ফাইভ জি ফোন সরবরাহের লক্ষ্যে ফাইভ জি পণ্যের এক বিস্তৃত পোর্টফলিও তৈরিতে কাজ করছে। তারই অংশ হিসেবে রিয়েলমি নতুন আরেকটি ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন বাজারে আনার জন্যও প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ স্মার্টফোন ব্র্যান্ডটি তাদের উন্নত ‘১+৫+টি’ কৌশলের সাথে এআইওটি ২.০ বিকাশের পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। এর ফলে সাশ্রয়ী মূল্যের ফাইভ জি ফোন ছাড়াও রিয়েলমি তরুণ প্রজন্মের ক্রেতাদের জন্য আরও অনেক এআইওটি পণ্য বাজারে নিয়ে আসবে।
ক্যানালিসের তথ্য মতে, ২০২১ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে বাংলাদেশের শীর্ষ স্মার্টফোন নির্মাতা ব্র্যান্ড হয়েছে রিয়েলমি। তাছাড়া কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চ অনুসারে, সম্প্রতি বিশ্বব্যাপী শীর্ষ ছয় স্মার্টফোন বিক্রেতার তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে এই ব্র্যান্ডটি।
আরও পড়ুন: বাজারে এল রিয়েলমির ফ্ল্যাগশিপ কিলার জিটি মাস্টার এডিশন
বিশ্বব্যাপী ৫জি পণ্য সরবরাহে প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রেখেছে রিয়েলমি