প্রযুক্তির-খবর
আইফোন ১৪: স্যটেলাইট এসওএস ও উন্নত ক্যামেরায় চমক
অ্যাপলের আইফোন ১৪ তে নতুন একটি সেবা যুক্ত করা হয়েছে। যাকে বলা হচ্ছে স্যাটেলাইট সংযোগ। এর মাধ্যমে জরুরি অবস্থায় মোবাইল ডাটা বা ওয়াইফাই কাজ না করলে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে জরুরি সেবা ব্যবহার করা যাবে।
স্যাটেলাইটের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে এবং সেই সংযোগ বজায় রাখার জন্য আইফোনের সর্বশেষ মডেলটি কোন অবস্থায় ধরে রাখতে হবে তার নির্দেশনা দেবে।
নতুন এই সেবাটি দুই বছর বিনামূল্যে ব্যবহার করা যাবে। তবে আপাতত যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় শুরু হবে নভেম্বরে।
অ্যাপলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, স্মার্টফোনে ছবি তোলার সময় একটি বড় সমস্যা হল কম আলো। নতুন আইফোনে ফটোনিক ইঞ্জিন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে ফোনটির প্রধান ক্যামেরা ছবি তোলার সময় আগের চেয়ে ৪৯ শতাংশ বেশি আলো ধারণ করতে পারবে।
আরও পড়ুন: নতুন আইফোনে যে তিনটি পুরানো ফিচার মিলবে না
সিনেটের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আইফোনের নতুন মডেলগুলোতে নতুন এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। সেলফি ক্যামেরাতেও একইভাবে কাজ করবে। প্রধান ক্যামেরার ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্সে থাকছে এফ১/৫ অ্যাপারচার। যার জন্য এই লেন্স দিয়ে অধিক পরিমাণে আলো প্রবেশ করতে পারবে।
অ্যাপলের বার্ষিক পণ্য উন্মোচন অনুষ্ঠান বুধবার অনুষ্ঠিত হয়। বার্ষিক প্রযুক্তি ক্যালেন্ডারে উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে এই ক্যামেরা প্রযুক্তি। এবারের পরিবর্তনের কথা বলতে গেলে বড় পরিবর্তন এই ক্যামেরাতেই।
এ বছর একজন ব্যবহারকারী প্রফেসরে খুব একটা পরিবর্তন না দেখতে পেলেও ছবি তোলার ক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন লক্ষ্য করবেন। বিশেষ করে টেলিফটো ও আল্ট্রাওয়াইড ছবি তোলায় থাকবে বিস্তর পার্থক্য।
অনুষ্ঠানে আইফোন ১৪ ও আইফোন ১৪ প্লাস দেখানো হয়েছে। তবে এবার কোনো ‘মিনি’ ভার্সন থাকছে না। পাশাপাশি এয়ারপডস প্রো’র একটি নতুন ভার্সন ও অ্যাপল ওয়াচের সিরিজ ৮ দেখানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: এবছর নতুন ৫ আইফোন আনবে অ্যাপল
এক নজরে
বড় সেন্সরসহ নতুন প্রযুক্তির ১২ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা।
দ্রুতগতির এফ১/৫ অ্যাপারচার, সাথে সেন্সর-শিফট ওআইএস।
কম আলোয় ৪৯ শতাংশ উন্নত ছবি।
সামনের ক্যামেরায় অটোফোকাস।
ভিডিওর জন্য নতুন অ্যাকশন মোড।
মার্কিন সংস্করণে থাকছে না সিম ট্রে।
ক্র্যাশ ডিটেকশন।
স্যাটেলাইটের মাধ্যমে এমারজেন্সি এওএস সুবিধা।
আরও পড়ুন: অ্যাপল ছেড়ে যাচ্ছেন আইফোনের ডিজাইনার জনি আইভ
১৫ থেকে ২০ হাজার প্রাইস রেঞ্জে অপোর নতুন স্মার্টফোন এ৫৭
সম্প্রতি, দেশের বাজারে অপো এর নতুন স্মার্টফোন অপো এ৫৭ উন্মোচন করেছে। এ সিরিজের নতুন এই ডিভাইসটি ব্র্যান্ডটির স্মার্টফোন লাইন-আপের সর্বাধুনিক ফোন। নতুন এই ফোনটিতে রয়েছে ৩৩ ওয়াট সুপারভুক ফ্ল্যাশ চার্জিং, ডুয়াল স্টেরিও স্পিকার ও ৮জিবি পর্যন্ত র্যাম এক্সপেনশন প্রযুক্তি সহ উপভোগ্য উপায়ে স্মার্টফোন ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন ধরনের ফিচার। অত্যাধুনিক ফিচার ও প্রযুক্তিসমৃদ্ধ অপো এ৫৭ স্মার্টডিভাইসটির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭ হাজার ৯৯০ টাকা। ব্যবহারকারীদের ফোন ব্যবহারের অনন্য অভিজ্ঞতা দিতে নতুন এ ডিভাইসটিতে উন্নতমানের ফিচার ব্যবহার করা হয়েছে।
অপো এ৫৭ ডিভাইসে রয়েছে আল্ট্রা-লিনিয়ার ডুয়াল স্টেরিও স্পিকার এবং ৩৩ ওয়াট সুপারভুক চার্জিং, যা ব্যবহারকারীকে ফোন ব্যবহারের সেরা বিনোদন অভিজ্ঞতা প্রদান করবে। এ ডিভাইসটি ব্যবহারকারীকে হোম-থিয়েটারের মতো অভিজ্ঞতা প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করবে। এটি বেইজ রেসপন্সকে উন্নত করে এবং মুভি ও গেম খেলার সময় বাড়তি মাত্রা যোগ করতে সর্বোচ্চ ভলিউমের বিষয়টি নিশ্চিত করে। অন্যদিকে, স্টেরিও সাউন্ড ফিল্ড ইমার্সন বৃদ্ধি করে। আল্ট্রা ভলিউম মোড টপ ভলিউমকে ৪৪ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়, যা শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্য বেশ সহায়ক। এ ফিচারগুলো সমন্বিতভাবে ব্যবহারকারীদের দীর্ঘস্থায়ী ও অনন্য বিনোদন অভিজ্ঞতা প্রদান করতে সক্ষম করে তুলবে! ৩৩ ওয়াট সুপারভুক চার্জিং প্রযুক্তির সহায়তায় পাঁচ মিনিট চার্জ দিয়ে ব্যবহারকারীরা তাদের প্রিয়জনদের সাথে ৩ ঘন্টা ১৭ মিনিট কথা বলতে পারবেন।
অন্যদিকে, ১৫ মিনিট চার্জ দিয়ে ব্যবহারকারীরা ৪ ঘন্টা ভিডিও স্ট্রিমিং ও ইউটিউবে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও উপভোগ করতে পারবেন। এ ফোনটি মাত্র ৩০ মিনিটে শূন্য থেকে ৫১ শতাংশ পর্যন্ত চার্জ প্রাপ্ত হয়। ফ্ল্যাশ চার্জিং প্রযুক্তির সহায়তায় এ ডিভাইসটি মাত্র ৭২ মিনিটে পূর্ণ চার্জ প্রাপ্ত হয়!
অপো এ৫৭ ডিভাইসে রয়েছে পাঁচ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার শক্তিশালী ব্যাটারি, যা ৩০ মিনিটের মধ্যে ফোনকে ৫১ শতাংশেরও বেশি চার্জ প্রাপ্ত করে। সম্পূর্ণ চার্জের মাধ্যমে ফোনটি দিয়ে ১৫ ঘণ্টা ইউটিউব স্ট্রিমিং অথবা স্ট্যান্ডবাইতে ১২.৭ দিন পর্যন্ত চার্জ থাকে।
আরও পড়ুন: অপো এফ২১ প্রো: ফ্যাশনপ্রেমীদের জন্য সানসেট অরেঞ্জ রঙের ফ্যান্টাস্টিক ফোন
‘সাইবার সেন্টার ফর এক্সিলেন্স’ উন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ: পলক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, সাইবার জগতে নেতৃত্ব দিতে ‘সাইবার সেন্টার ফর এক্সিলেন্স’উন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ। এরই অংশ হিসেবে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ডিজিটাল সংহতির আরও সুদৃঢ় করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী শুক্রবার যুক্তরাজ্যের নিউপোর্ট ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে বিশ্বনন্দিত কমিউনিটি ইন্টারেস্ট কোম্পানি সাইবার ওয়েলসের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান কর্নেল জন ডেভিস (এমবিই) এবং প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠককালে এ কথা বলেন।
বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাইবার ওয়েলসের বোর্ড অব ডিরেক্টর জেসন ডেভিস, বোর্ড অব ডিরেক্টর ও ইন্টারন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক অ্যাডভাইজার ফাহিম আজহার এবং যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম।
এসময় সাইবার সুরক্ষায় বিশ্বে নেতৃত্বে যেতে প্রস্তুতি নেয়ার কথা উল্লেখ করে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সাইবার ওয়েলসের মতো আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সাথে সাইবার সেন্টার ফর এক্সিলেন্স গড়ে তুলবে। এ সকল উদ্যোগ আমাদের দেশে অনলাইন নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
আরও পড়ুন: সাইবার সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক সূচকে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ: পলক
একা কোনো দেশের পক্ষে ক্রমবর্ধমান সাইবার নিরাপত্তা মোকাবিলা করা সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক যোগাযোগের মাধ্যমে সম্মিলিতভাবে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আইসিটি বিভাগের ‘বিজিডি ই-গভর্নমেন্ট সার্ট’ বাংলাদেশে সাইবার সর্বোত্তম অনুশীলন নিশ্চিত ও বাস্তবায়ন করতে যুক্তরাজ্যের সাইবার ওয়েলসের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করছে।
বৈঠকে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সঙ্গে সাইবার ওয়েলসের আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার লক্ষ্যে সাইবার ক্লাস্টার, সাইবার স্কিল গ্রোথ ওয়ার্কিং গ্রুপ, সাইবার অ্যাক্সিলারেটর উদ্যোগ এবং সাইবার ইনকিউবেশন সেন্টারের আরও উন্নয়নের বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
আলোচনায় ব্যবসায়ী, শিক্ষাবিদ এবং আইন প্রয়োগকারীদের নিয়ে সাইবার প্রতিরক্ষার সবক্ষেত্রে সহযোগিতার সুযোগ অন্বেষণের বিভিন্ন বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল।
আরও পড়ুন: ‘ডিজিটাল ডেটা সিকিউরিটি অ্যাক্ট’ হচ্ছে: পলক
এছাড়াও বৈঠকে ২০২১ সালের শুরুর দিকে (করোনাকালীন) সাইবার ওয়েলসের সাথে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের ‘বিজিডি ই-গভর্নমেন্ট সার্ট’ এর মধ্যে সম্পাদিত ভার্চুয়াল চুক্তিকে আরও একধাপ এগিয়ে নিতে দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্বের বিষয়ে আলোচনাকালে গুরুত্ব দেয়া হয়।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী একটি সুদৃঢ় ডিজিটাল অর্থনীতি গড়ে তুলতে সাইবার দক্ষতায় বিনিয়োগ এবং সাইবার ওয়েলসের সাথে শক্তিশালী সাইবার বাণিজ্য সম্পর্ক গড়ে তুলতে আরও নিবিড়ভাবে বাংলাদেশ ও সাইবার ওয়েলস একসাথে কাজ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অপরদিকে সাইবার সহযোগিতার বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে সাইবার ওয়েলসের সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান জন ডেভিস (এমবিই) বলেন, ‘ইতোমধ্যেই আমরা বাংলাদেশের আইসিটি এবং টেলিকম ইঞ্জিনিয়ারদের মধ্যে ঈর্ষণীয় প্রতিভার স্বাক্ষর পেয়েছি। সাইবার ওয়েলস এমন একটি দেশে সাইবার সক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করার জন্য ন্যূনতম ভূমিকা পালন করতে পেরে গর্বিত। এর মাধ্যমে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও দীর্ঘস্থায়ী ও গভীর হবে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবিড় তত্ত্বাবধানে রয়েছে ওয়েলসে সাইবার কোম্পানিগুলো। যুক্তরাজ্যের জাতীয় সাইবার প্রোগ্রামের কেন্দ্রে রয়েছে সাইবার ওয়েলস। ফলে আমরা সাইবার সুরক্ষায় একটি ইকোসিস্টেম হিসাবে সর্বোত্তম অনুশীলন ভাগ করে নেয়ার এবং সহযোগিতা করার চেষ্টা করি৷ এক্ষেত্রে আরও বড় পরিসরের বাংলাদেশের প্রকল্পগুলোতে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য আমরা সার্বিকভাবে প্রস্তুত।
হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বলেন, এটা আনন্দের বিষয় যে বাংলাদেশ ই-গভ কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিমের (বিজিডি ই-গভর্নমেন্ট সার্ট) মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরের পর থেকে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য বন্ধুত্বের ৫০ বছর উপলক্ষে বাংলাদেশের সার্ট এবং সাইবার ওয়েলস যৌথভাবে সাইবার ট্রেড এবং বিনিয়োগ আলোচনা এগিয়ে নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুরে স্মার্ট বাংলাদেশের কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
২০২৩ সালের মধ্যে দেশের সব জায়গা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের আওতায় আসবে: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, উন্নত বাংলাদেশ নির্মাণে দক্ষ মানবসম্পদ জরুরি। এছাড়া ২০২৩ সালের মধ্যে দেশের এমন কোন জায়গা থাকবে না যেখানে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ থাকবে না।
বৃহস্পতিবার নেত্রকোণা পাবলিক হলে বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোস্যাইটি নেত্রকোণা জেলা ইউনিট আয়োজিত ‘আকস্মিক বন্যা ২০২২’- এর ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে জরুরি খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এক সময় টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সংযোগ পর্যাপ্ত ছিল না। আমরা সে বিষয়টি সমাধান করেছি। এছাড়া নতুন প্রজন্মকে ডিজিটাল দক্ষতা দিতে না পারলে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণ ত্বরান্বিত করা সম্ভব হবে না।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালের মধ্যে দেশের শতভাগ এলাকায় উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছে যাবে: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
মন্ত্রী হাওরে বন্যাকবলিতদের জন্য গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরে বলেন, হাওরের সাম্প্রতিক বন্যাকবলিতদের জন্য আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করেছি। আমাদের পক্ষ থেকে মদন, মোহসগঞ্জ, খালিয়াজুরী ও সুনামগঞ্জের শাল্লায় খাদ্য সহায়তা টিন ও নগদ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি বন্যার্তদের জন্য রেডক্রিসেন্টের ভূমিকার প্রশংসা করেন। মন্ত্রী এ জন্য রেডক্রিসেন্ট স্থানীয় ইউনিটকে সাধুবাদ জানান।
মন্ত্রী আরও বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের জীবনযাত্রা পাল্টে গেছে। যে গ্রামে একদিন হাইস্কুল পড়তে পারিনি সে গ্রাম থেকে আজ শত শত শিক্ষার্থী স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করছে। এছাড়া হাওরে এখন আউট সোর্সিং ইন্ডাস্ট্রি প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। নেত্রকোণার পাশে ধর্মপাশা উপজেলার আহমেদপুর গ্রাম থেকে এখন ৬০ জন প্রোগ্রামার সফটওয়্যার তৈরির কাজ করছে।
আরও পড়ুন: ডাকঘরকে ডিজিটাল করতেই হবে: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
এর আগে মন্ত্রী ঢাকা থেকে নেত্রকোণা আসার পথে ময়মনসিংহ টেলিফোন এক্সচেঞ্জ পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, বেসরকারি আইএসপি’র চাইতেও কমমূল্যে আমরা ইন্টারনেট সেবা দেয়ার চেষ্টা করছি, যেন গ্রাহকরা সহজেই বিটিসিএল’র জিপন সার্ভিস সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন। যে কারও সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে সবচেয়ে সাশ্রয়ী মূল্যে সংযোগ-সেবা দেয়ার সক্ষমতা আমাদের আছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী প্রতিটি অফিসের সক্ষমতা অনুযায়ী সংযোগ দেয়ার নির্দেশ দেন সংশ্লিষ্টদের।
অনুষ্ঠানে রেডক্রিসেন্ট জেলা ভাইস প্রেসিডেন্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা ওসমান গণি তালুকদার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. মনির হোসেন, অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার ফকরুজ্জামান প্রমূখ বক্তৃতা করেন।
আরও পড়ুন: 'নগদ' এর সাফল্যে একটি মহল বরাবরই নাখোশ: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
টেলিটকের ইন্টারনেট ডাটার মেয়াদের সীমাবদ্ধতা থাকবে না: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
জাপানে ছোট দোকানগুলোতে ব্যবহার করা হচ্ছে বুদ্ধিমান রোবট
জাপানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকানগুলোতে জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে পণ্য সাজিয়ে রাখার জন্য রোবট ব্যবহার করা হয়েছে।
টোকিও শহরে অবস্থিত ফ্যামিলিমার্ট দোকানের তাপানুকূল তাকগুলোর সামনে-পেছনে চলাচল করতে টিএক্স স্কারা নামের এক রোবটকে দেখা যায়।
রোবটটির মূল কাজ হচ্ছে জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে পানীয় তাকে সাজিয়ে রাখা। সহজভাবে বললে, একটি দোকানে কোন পানীয় বেশি চলছে তা সামনের দিকে রাখা। পাশাপাশি তাকের ফাঁকা স্থান পানীয় দিয়ে পুনরায় পূরণ করা।
টিএক্স স্কারার রয়েছে ক্লিপবিশিষ্ট বিশেষায়িত যান্ত্রিক হাত। সাজিয়ে রাখার বিষয়টি যথাযথ করতে রোবটটিতে ব্যবহার করা হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। একটি তাকের সামনে বা পাশের ফাঁকা যায় নড়াচড়া করে ক্যামেরার সাহায্যে রোবটটি পরখ করে নেয় কোন স্থানটি খালি এবং কোন পানীয় শেষের দিকে। এরপর যান্ত্রিক হাতের সাথে যুক্ত ক্লিপ ব্যবহার করে বোতল বা ক্যান ধরে ওই খালি স্থানে রেখে দেয়।
টিএক্স স্কারা জাপানের ‘কনবিনি’তে প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কনবিনি হচ্ছে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা জলখাবার, পানীয় ও উপহার সামগ্রীর দোকান। যেগুলো মোটামুটি ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকে, আছে তিন হাজার ধরনের পণ্য। তবে এসব দোকানে রয়েছে তুলনামূলক কম কর্মচারী।
আরও পড়ুন: জাহাজ পরিষ্কার করবে রোবট!
রোবট কেন প্রয়োজন হতে পারে পানীয় অংশের জন্য তা দোকানগুলো ঘুরে দেখলেই সহজে বুঝতে পারবে যে কেউ। পানীয় অংশ পুরোটাই তাপানুকূল। ফলে একজন মানুষের পক্ষে বারবার সেখানে যেয়ে প্রয়োজনমাফিক পণ্য সাজিয়ে রাখা কষ্টকর। তাছাড়া দোকানের অর্থ পরিশোধের জায়গা থেকে তা বেশ দূরেই হয়ে থাকে। তাই সহজ সমাধান যান্ত্রিক কিছু। এই চরিত্রে টিএক্স বেশ ভালোই খাপ খাইয়ে নিচ্ছে।
তবে রোবটটির মূল্য কত হতে পারে তা এখনও প্রকাশ করা হয়নি। একটি রোবট দিনে এক হাজার বোতল ও ক্যান সাজিয়ে রাখতে পারে। টিএক্স স্কারার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টোকিও ভিত্তিক টেলেক্সিস্টেন্স জানিয়েছে, ফাঁকা স্থান পূরণ ও জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে সাজিয়ে রাখতে রোবটিতে যে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করা হয়েছে তার নাম গরডন।
টেলেক্সিস্টেন্সের প্রধান নির্বাহী জিন তোমিওকা বলেন, ‘আমরা মানুষের দ্বারা করা সমস্ত পুনরাবৃত্তিমূলক ও বিরক্তিকর কাজগুলোকে স্বয়ংক্রিয় করতে চাই। সেই দিকেই আমরা যাচ্ছি। আর সেটা করার সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে রোবট ব্যবহার করা।’
জাপানে ফ্যামিলিমার্ট দোকান রয়েছে ১৬ হাজারটি। যার মধ্যে ৩০০ দোকানে টিএক্স স্কারা রোবট রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের উৎসাহের মধ্যে কুমিল্লায় চলছে ‘রোবট তৈরি’ প্রশিক্ষণ
মঙ্গলগ্রহের জন্য রোবট তৈরিতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অপার সম্ভাবনা
তথ্য হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ তুলে এফটিসি’র মামলা
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি) তথ্য হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে আইডাহোভিত্তিক কোম্পানি কোচাভা ইনকরপোরেটেডের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
সোমবার করা এই মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, চক্রটি কয়েক লাখ মুঠোফোন থেকে সংবেদনশীল ভৌগোলিক অবস্থানসহ নানা তথ্য হাতিয়ে নিয়ে তা বিক্রি করেছে। অবস্থানগত এই তথ্য ব্যবহার করে একজন মুঠোফোন ব্যবহারকারীর প্রজনন স্বাস্থ্য ক্লিনিক, গৃহহীনদের আশ্রয়স্থল এবং উপাসনালয় কোথায় গিয়েছেন তা দেখা হয়েছে।
মামলায় ব্যক্তিগত গোপনীয়তার বিষয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়। যেখানে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ভিত্তিতে গর্ভপাত করতে চান এমন একজন ব্যক্তির ব্যক্তিগত গোপনীয়তার বিষয়টি আলোচিত হয়।
এফটিসির কাছ থেকে তথ্য হাতিয়ে নেয়ার বিষয় এটিই প্রথম নয়। তবে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন স্বাস্থ্য বিষয়ক, বিশেষ করে প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে এই প্রথম।
আরও পড়ুন: চুরি হওয়া বা হারিয়ে যাওয়া স্মার্টফোন খুঁজে পাওয়ার উপায়
গোপনীয়তা বিষয়ক ওকালতি সংস্থা সেন্টার ফর ডিজিটাল ডেমোক্রেসির নির্বাহী পরিচালক জেফ চেস্টার বলেন, সম্ভবত এটি বেশ বড় একটি ঘটনা। এফটিসির এই মামলাকে তিনি বড় ধরনের পদক্ষেপ হিসেবেই দেখছেন।
সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের পর তথ্য হাতিয়ে নেয়ার এই বিষয়টি কংগ্রেস ও নিয়ন্ত্রক সংস্থাদের কাছে পরবর্তী তদন্তের আওতায় আসে। আইন প্রণেতারা বড় বড় প্রযুক্তি কোম্পানি ও তথ্যফাঁস সংক্রান্ত ছোট সংস্থাদের কাছে তারা কী ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে তা জানতে চেয়েছে। বিশেষ করে মুঠোফোন থেকে ভৌগোলিক অবস্থানের তথ্য ব্যবহার করে গর্ভপাতের বিষয়ে নজর রাখা হচ্ছে কি-না তাতে গুরুত্ব দেয়া হয়।
এফটিসি এ মাসে ঘোষণা দেয়, তারা প্রযুক্তি ও অন্যান্য কোম্পানিগুলোর বাণিজ্যিক নজরদারি এবং তথ্য নিরাপত্তায় ক্ষতিকর দিকগুলো সড়িয়ে নিতে খসড়া নীতির বিষয়ে আলোচনা করছে।
আরও পড়ুন: ব্যবহারকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিতে কাজ করছে লাইকি
'নগদ' এর সাফল্যে একটি মহল বরাবরই নাখোশ: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ডাক বিভাগের মোবাইল আর্থিক সেবা নগদ এর সাফল্যে একটি মহল বরাবরই নাখোশ। নগদ সম্পর্কে বিশেষ মহলের ‘অপতৎপরতার বিষয়ে’ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এ কথা বলেছেন।
রবিবার সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘২০১৯ সালের ২৬ মার্চ থেকেই একটা বিষয় লক্ষ্য করে আসছি, ডাক বিভাগের মোবাইল আর্থিক সেবা নগদ এর সাফল্যে একটি মহল বরাবরই নাখোশ। যেখানে নগদ এর কারণে দেশের মোবাইল আর্থিক সেবার মান বেড়েছে এবং খরচ গত এক দশকে সর্বনিম্ন পর্যায়ে সেখানে কার স্বার্থে আঘাত লাগছে সেটি অনুমেয়? যেখানে নগদ এর কারণে দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের কোটি কোটি মানুষ অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তিতে আসতে পারলো, যার ফলশ্রুতিতে আজ দেশের শিশু-মহিলা-বয়স্ক- বিধবাসহ নিম্ন আয়ের মানুষেরা ঘরে বসে সমস্ত সরকারি ভাতা পাচ্ছে ডিজিটালি, ১০০ ভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে, তাহলে এতে কার ক্ষতি হলো?
তিনি আরও বলেন, এটি স্পষ্ট করে বলা দরকার যে নগদ এর জন্য ডাক বিভাগের কোন ক্ষতি হয়নি বা হবেও না। ডাক বিভাগের সেবা হিসেবে নগদ তার জাতীয় দায়িত্ব পালন করছে। অনুগ্রহ করে অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না বা গুজবে কান দেবেন না। এছাড়া নগদ এর প্রতিটি পদক্ষেপ রাষ্ট্রের সমস্ত আইন এবং নিয়ম মেনেই পরিচালিত হচ্ছে, এতে কোন অনিয়মের স্থান নেই, তাই নিজ স্বার্থে কেউ জল ঘোলা করার চেষ্টা করবেন না।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালের মধ্যে দেশের শতভাগ এলাকায় উচ্চগতির ইন্টারনেট পৌঁছে যাবে: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
২০২৩ সালেই প্রতিটি জনপদে সর্বোচ্চ গতির ইন্টারনেট পৌঁছে যাবে: টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
ক্ষেপণাস্ত্র কোম্পানির তথ্যচুরি খতিয়ে দেখছে ন্যাটো
উচ্চ পর্যায়ের গোপনীয় সামরিক কিছু নথি একটি হ্যাকার চক্র হ্যাক করে হাতিয়ে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে। দলটি ওই নথিগুলোর তথ্য বিক্রির বিজ্ঞাপনও দিয়েছে। পুরো বিষয়টির প্রভাব কী হতে পারে তা উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট (ন্যাটো) খতিয়ে দেখছে।
নথিগুলোর মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধে ন্যাটো মিত্রদের মাধ্যমে ব্যবহৃত অস্ত্রের নীলনকশাও রয়েছে।
অপরাধী হ্যাকাররা নথিগুলো বিক্রি করছে, একটি প্রধান ইউরোপীয় অস্ত্র প্রস্তুতকারকের সাথে যুক্ত ডেটা চুরি করার পরে।
ইউরোপীয় এক অস্ত্র প্রস্তুতকারী কোম্পানি এমবিডিএ মিসাইল সিস্টেমের গুরুত্বপূর্ণ একটি লিংক হাতিয়ে নেয়ার পর থেকেই নথিগুলো বিক্রি শুরু করেছে উক্ত হ্যাকার চক্র।
এমবিডিএ স্বীকার করেছে যে, ওই লিংকে নথিগুলো ছিল। তবে গোপনীয় কোনো নথিই তাদের সাথে সম্পর্ক যুক্ত নয়।
কোম্পানিটির সদরদপ্তর ফ্রান্সে অবস্থিত। তারা জানায়, এই তথ্যচুরির ঘটনা একটি তথ্য সংরক্ষণ করার এক্সটার্নাল হার্ড ড্রাইভ থেকে হয়েছে। তারা আরও বলেন, কোম্পনিটি ইতালিতে অবস্থিত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করছিল। যেখানে ঘটনাটি ঘটে।
এটি বোঝা যাচ্ছে তদন্তের বিষয়টি ঘটছে এমবিডিএর সরবরাহকারীদেরকে ঘিরে।
আরও পড়ুন: ন্যাটো: আমেরিকার নেতৃত্বে এ সামরিক জোট কি এখনো প্রয়োজন?
এক বিবৃতিতে ন্যাটোর একজন মুখপাত্র বলেন, এমবিডিএ থেকে চুরি যাওয়া তথ্যের অভিযোগ নিয়ে আমরা খতিয়ে দেখছি। ন্যাটোর কোনো নেটওয়ার্কে কোনোধরনের প্রবেশের ইঙ্গিত আমরা এখনও পাইনি।
রুশ ও ইংরেজি নানা ফোরাম থেকে অপরাধী চক্র তাদের কাজ চালাচ্ছে। ১৫ বিটকয়েনের বিনিময়ে ৮০ গিগাবাইট সমপরিমাণ তথ্য বিক্রির বিজ্ঞাপন দেখাচ্ছে তারা। যার মূল্য দাঁড়ায় প্রায় দুই লাখ ৭৩ হাজার ব্রিটিশ পাউন্ড। তারা এও দাবি করছে, ইতোমধ্যে একজন তাদের থেকে তথ্য কিনেছে।
বিবিসি ৫০ মেগাবাইটের বিনামূল্যের নমুনা তথ্য দেখেছে। যার নাম দেয়া ছিল, ‘ন্যাটো কনফিডেনিশিয়াল’, ‘ন্যাটো রেস্ট্রিকটেড’ ও ‘আনক্লাসিফাইড কন্ট্রোলড ইনফরমেশন’। পাশাপাশি হ্যাকার চক্রটি মেইলের মাধ্যমে ‘ন্যাটো সিক্রেট’ নামে তথ্য সরবরাহ করেছে।
আরও পড়ুন: ন্যাটো সম্মেলনে বিশ্বকাপ জয় উদযাপন ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্টের
জ্যাক ডরসিকে আদালতের তলবের জন্য ইলন মাস্কের রিট
টুইটারের সহপ্রতিষ্ঠাতা জ্যাক ডরসিকে আদালতের তলবের জন্য আইনি লড়াইয়ে নেমেছেন ইলন মাস্ক।
সংবাদ সংস্থা বিবিসি জানিয়েছে, চার হাজার ৪০০ কোটি মার্কিন ডলারের বিনিময়ে টুইটার কিনে নেয়ার যে চুক্তি হয়েছিল তা বাতিলের আইনি পদক্ষেপ এটি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি ভুয়া অ্যাকাউন্টের সংখ্যার তথ্য দিতে ব্যর্থ হলে মাস্ক এই সিদ্ধান্ত নেন।
কিন্তু টুইটার উল্টো আগেই মাস্ককে যোগাযোগমাধ্যমটি কেনার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে মামলা করেছে।
আরও পড়ুন:৪৪ বিলিয়ন ডলারে টুইটার কিনে নিচ্ছেন ইলন মাস্ক
নিজেদের মধ্যে মীমাংসা করতে না পারলে এ বছরের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের ডেলাওয়ারে অবস্থিত এক আদালতে শুনানি শুরু হবে।
টুইটার আশা করছে, চুক্তিবদ্ধ শেয়ার প্রতি ৫৪ দশমিক ২০ ডলারের পক্ষেই বিচারক রায় দিবেন।
টুইটার জানিয়েছে, দৈনিক সক্রিয় অ্যাকাউন্টগুলোর মধ্যে পাঁচ শতাংশেরও কম হল বট অ্যাকাউন্ট। যা মূলত ভুয়া অ্যাকাউন্ট, প্রোগ্রামের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে।
আরও পড়ুন:টুইটার বোর্ডে থাকছেন না ইলন মাস্ক
ইলন মাস্ক সম্পর্কে কিছু বিস্ময়কর তথ্য
সাইবার সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক সূচকে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ: পলক
বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে সাইবার সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক সূচকে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। এছাড়া দেশের সাইবার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আইসিটি বিভাগের বিজিডি ই-গভ সার্ট কাজ করছে পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সাইবার হামালার সম্ভাব্য ঝুঁকি ও রক্ষার বিষয়ে অবহিত করছে।
সোমবার প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল মিলনায়তনে আইসিটি বিভাগের ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সি’র উদ্যোগে ‘বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে জাতীয় পর্যায়ে উদীয়মান (ইমার্জিং) সাইবার হুমকির’ বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত একা কোনো দেশের পক্ষে মোকাবিলা করা সম্ভব নয় বরং আন্তঃদেশীয় যোগাযোগের মাধ্যমে সম্মিলিতভাবে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।
কিন্তু হ্যাকারদের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে ব্যাংকিং ও সরকারি-বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ বিদ্যুৎ সরবরাহ ও সঞ্চালন লাইনগুলো ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন:নারীদের সাইবার সুরক্ষায় ডিজিটাল লিটারেসি বিষয়ে প্রাথমিক ধারণা দিতে হবে: পলক
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাইবার স্পেসকে নিরাপদ রাখতে মূলত চারটি পূর্ব শর্ত নিশ্চিত করতে হবে। ব্যক্তিগত পর্যায়ে সচেতনতা তৈরি, পারিবারিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা প্রদান, প্রযুক্তিগত সক্ষমতা এবং আইনের কঠোর প্রয়োগ। এছাড়া ওপেনসোর্স ইন্টিলিজেন্স বা ওএসআইএনটির পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে সাম্প্রতিক সময়ে স্টেট স্পন্সর হ্যাকারদের তৎপরতা বেড়েছে। সে জন্য তিনি সবাইকে সতর্ক ও প্রযুক্তি দক্ষতা অর্জনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি আরও বলেন, গোপনে দেশের মোবাইল অপারেটরগুলো সাইবার হামলার শিকার হচ্ছে। আর্থিক ও পাওয়ার সেক্টর ছাড়াও এবার দেশের মোবাইল অপারেটরদের ওপর দৃষ্টি পড়েছে সংঘবদ্ধ হ্যাকারদের। ইতোমধ্যেই একাধিক মোবাইল অপারেটর ইনফেক্টেড। অপারেটরগুলোর ডেটাবেজ, সার্ভার ও পরিকাঠামো ইতোমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছে।
এজন্য দ্রুত আইটি অডিট করার আহ্বান জানিয়ে ডিএসএ-তে একটি সফটওয়্যার টেস্টিং ল্যাব থেকে সংশ্লিষ্টদের নিরীক্ষা করিয়ে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র, ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক মো. খায়রুল আমিন এবং বিডিজিডি ই-গভ সার্ট পরিচালক তারেক মোসাদ্দেক বরকতউল্লাহ।
আরও পড়ুন:পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী করতে অটোমেটেড ও ডিজিটাইজড করা হবে: পলক
‘ডিজিটাল ডেটা সিকিউরিটি অ্যাক্ট’ হচ্ছে: পলক