%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%AE%E0%A6%BE
টুয়েলভথ ফেইলের মতো অনুপ্রেরণা সৃষ্টিকারী ১০ সিনেমা
বর্তমান সময়ের সব থেকে সাড়া জাগানো ‘টুয়েলভথ ফেইল’ চলচ্চিত্রে মুগ্ধ দর্শকরা খুঁজে পাচ্ছেন থ্রি ইডিয়টের আমেজ। আর তা হবেই বা না কেন! প্রকৌশলী শিক্ষার্থীদের জীবন নিয়ে নির্মিত ছবিটির প্রযোজক হিসেবে থাকায় নির্মাতা বিধু বিনোদ চোপড়া খুব কাছ থেকে দেখেছিলেন রাজকুমার হিরানীর কাজ।
তাই ভিন্ন পটভূমি নিয়ে কাজ করলেও তার পরতে পরতে স্বতঃস্ফূর্তভাবেই যুক্ত হয়েছে উদ্দিষ্ট দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া উপাদানগুলো।
উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন ক্যারিয়ারের প্রত্যাশায় যোগ্যতা নিরূপণের পরীক্ষাগুলোর শিক্ষার্থীরা খুঁজে পাচ্ছেন নিজেদের জীবনের প্রতিচ্ছবি। কিন্তু ভাবাবেগগুলোর পরিধি শুধুমাত্র এই জনগোষ্ঠীতেই সীমাবদ্ধ নয়। পাহাড়সম বাধা থাকলেও যারা নিজেদের লক্ষ্যে অবিচল থাকে এমন প্রতিটি প্রাণের জন্য টুয়েলভথ ফেইল একটি অনুপ্রেরণা।
চলুন, জেনে নেই টুয়েলভথ ফেইলের মতো আরও ১০টি সিনেমার কথা, যেগুলো দেখিয়েছে শত কষ্টের মাঝেও বাধা ডিঙিয়ে স্বপ্নের পথে হাটার গল্প।
যে ১০টি চলচ্চিত্র টুয়েলভথ ফেইলের মতো লক্ষ্যে অবিচল থাকার প্রেরণা জোগাবে
কোডা/ইংরেজি/১৩ আগস্ট, ২০২১
বধির অভিভাবক বা বাবা-মায়ের সন্তানকে সিওডিএ বা কোডা বলা হয়ে থাকে। এমনই এক পরিবারের কাহিনী নিয়ে এই টিনেজ মুভিটি বানিয়েছেন সিয়ান হেডার। এটি মূলত ২০১৪ সালের ফরাসি-বেলজিয়ান ফিল্ম ‘লা ফ্যামিলে বেলিয়া’র ইংরেজি ভাষার রিমেক। অস্কার জয়ী কমেডি ড্রামাটিতে রুবি রসি চরিত্রে অসামান্য অবদান রাখার মধ্যে দিয়ে লাইমলাইটে আসেন অভিনেত্রী এমিলিয়া জোন্স।
আরও পড়ুন: একইদিনে বাংলাদেশের হলেও ‘ডাঙ্কি’?
চলচ্চিত্রে বাবা-মা ও দুই ভাইবোনের পরিবারে রুবি একমাত্র শ্রবণশক্তি সম্পন্ন সদস্য। পুরো পরিবারটি টিকে আছে মাছ ধরার ব্যবসার উপর। বাকি সবাই বধির হওয়াতে এক্ষেত্রে রুবিকেই সবচেয়ে বেশি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হয়। আর এরই মধ্য দিয়ে সে এগোতে থাকে তার বহু দিনের লালিত গায়িকা হওয়ার স্বপ্নকে সত্য করার পথে।
দাসভি/হিন্দি/৭ এপ্রিল, ২০২২
জেলবন্দি রাজনীতিবিদ গঙ্গারাম চৌধুরীকে মূর্খ বলে হেয় করেন ভারপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার জ্যোতি দেশাল। সকল দুর্নীতির ঊর্ধ্বে হওয়া জামিনের কোনো ব্যবস্থা করতে না পারলেও অহংকারী মন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেন শিক্ষিত হয়ে দেখিয়ে দেবেন। অন্যদিকে, এই সুযোগে তার স্ত্রী চক্রান্ত করছে সরকার প্রধান হওয়ার।
এমনই মজার গল্প নিয়ে দাসভি সিনেমার মাধ্যমে পরিচালনা জগতে প্রবেশ করলেন তুষার জালোটা। এখানে সেই অশিক্ষিত রাজনীতিবিদের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অভিষেক বচ্চন। আর তারই হাই স্কুল ডিপ্লোমা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার যাত্রা নিয়ে নির্মিত এই সামাজিক কমেডি ছবিটি। কঠোর পুলিশ অফিসারের ভূমিকায় ছিলেন ইয়ামি। পুলিশ ও বন্দির সম্পর্কটা তিতো দিয়ে শুরু হলেও ক্রমেই তা পরিণত হয় পারস্পরিক শ্রদ্ধায়।
দ্য সুইমার্স/ইংরেজি/১১ নভেম্বর, ২০২২
এটি একটি জীবন-নির্ভর স্পোর্টস ড্রামা যার পরিচালনা করার পাশাপাশি জ্যাক থর্নের সঙ্গে যুগ্মভাবে চিত্রনাট্য লিখেছেন স্যালি এল হোসাইনি। চলচ্চিত্রটির গল্প সাঁতারু হতে চাওয়া দুই টিনেজ বোনকে নিয়ে, যাদের একমাত্র গন্তব্য ২০১৬-এর রিও অলিম্পিক। কিন্তু সিরিয়ার যুদ্ধ-বিধ্বস্ত প্রেক্ষাপট তাদের এই যাত্রাকে পরিণত করে দুঃস্বপ্নে। যন্ত্রণাদায়ক পথে উদ্বাস্তুতে পরিণত হওয়া দুই বোনের একমাত্র অবলম্বন হৃদয় ভরা আশা আর সাঁতারের দক্ষতা।
চলচ্চিত্রের প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করা ন্যাথালি ইসা এবং মানাল ইসা বাস্তব জীবনেই দুই বোন। বিভিন্ন চড়াই উৎড়াইয়ের ঘটনার মাঝে তাদের পরিচয় হয় এক সুইমিং কোচ স্ভেনের সঙ্গে, যে চরিত্রে ছিলেন ম্যাথিয়াস শোয়েগফার।
মুল কাহিনী সুইমিং কেন্দ্রিক হলেও এখানে দৃশ্যায়িত হয়েছে কি করে হাজারও স্বপ্নবাজ মানুষ উন্নত জীবনের খোঁজে তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে কষ্টকর জীবন-যাপনে অভ্যস্ত হয়।
আরও পড়ুন: 'প্যারাসাইট' অভিনেতা লি সান-কিউন মারা গেছেন
দ্য ফেবলম্যানস/ইংরেজি/১১ নভেম্বর, ২০২২
যারা চলচ্চিত্র নির্মাণে নিজেদের ক্যারিয়ার গড়তে চান, তাদের কাছে স্টিভেন স্পিলবার্গ সবচেয়ে অনুসরণীয় একজন ব্যক্তিত্ব। পুরোপুরি না হলেও দ্যা ফেবলম্যান্স স্পিলবার্গের আধা-আত্মজীবনীমূলক সিনেমা বলা যেতে পারে, যা নির্মিত হয়েছে তার কৈশোরের বছরগুলোর আলোকে।
টিনেজ ড্রামাটি পরিচালনার পাশাপাশি টনি কুশনারের সঙ্গে রচনা ও প্রযোজনা করেছেন স্পিলবার্গ। চলচ্চিত্রটি একটি আধা-আত্মজীবনীমূলক গল্প যা স্পিলবার্গের কৈশোর এবং একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে প্রথম বছরগুলির উপর ভিত্তি করে।
মুভিতে নাম চরিত্র স্যামি ফেবেলম্যান একজন প্রতিশ্রুতিশীল চলচ্চিত্র নির্মাতা। আর এই দক্ষতা তাকে তার পরিবার ও চারপাশের মানুষদের সম্পর্কে রহস্য উদঘাটনে সাহায্য করে।
বায়োপিকটিতে স্যামির চরিত্রে অভিনয় করেছেন গ্যাব্রিয়েল লাবেল। সহশিল্পী হিসেবে কাজ করেছেন মিশেল উইলিয়ামস, পল ড্যানো, স্যাথ রোজেন এবং জুড হির্শ।
ডেভোশন/ ইংরেজি/২৩ নভেম্বর, ২০২২
এই জীবনীমূলক যুদ্ধের চলচ্চিত্রটি তৈরি হয়েছে যা অ্যাডাম মাকোসের ২০১৫ সালের বই ‘ডেভোশন: অ্যান এপিক স্টোরি অব হিরোইজম, ফ্রেন্ডশিপ এবং স্যাক্রিফাইস’-এর উপর ভিত্তি করে। প্রেক্ষাপটটি ছিল কোরিয়ান যুদ্ধের সময়কাল। জেসি ব্রাউন এবং টম হাডনার ফাইটার পাইলট মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে মিশনে সফল হওয়ায় মার্কিন বিমান বাহিনীর বিখ্যাত উইংম্যান হয়ে ওঠেন। জেসি ব্রাউন ছিলেন প্রথম নিগ্রো বিমানচালক যিনি মার্কিন বিমান বাহিনীর উইঙ্স অফ গোল্ড খেতাব পেয়েছিলেন।
অ্যাকশন ছবিটি পরিচালনা করেছেন জে.ডি. ডিলার্ড এবং লিখেছেন জ্যাক ক্রেন ও জনাথান স্টুয়ার্ট। মুভিতে ব্রাউন চরিত্রে ছিলেন জনাথান মেজর্স এবং হাডনার চরিত্রে গ্লেন পাওয়েল।
চলচ্চিত্রটিতে ব্রাউনের অর্জনের পাশাপাশি গুরুত্ব পেয়েছে তার ও হাডনারের মাঝে বন্ধুত্ব এবং একই সঙ্গে ক্যারিয়ারের ব্যাপারে তাদের বস্তুনিষ্ঠ মতাদর্শগুলো।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে ঢালিউডে মুক্তি পাবে যেসব বাংলা সিনেমা
আলোড়ন সৃষ্টিকারী সিনেমা ‘টুয়েল্ভ্থ ফেইল’ হাজারও সংগ্রামী তরুণের জীবনের গল্প
নির্মাণাধীন তেমন একটা প্রতিশ্রুতিশীল না হলেও ২০২৩-এর ২৭ অক্টোবর মুক্তির পর থেকে অভাবনীয় সাড়া পেতে শুরু করে হিন্দি চলচ্চিত্র টুয়েল্ভ্থ ফেইল। বিধু বিনোদ চোপড়া প্রযোজিত, রচিত ও পরিচালিত এই সিনেমার জনপ্রিয়তা সমালোচক ও দর্শকদের নজরে এখন অন্য সব বলিউড চলচ্চিত্র থেকে এগিয়ে।
এ পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী সিনেমাটির আয় এর নির্মাণ খরচের তিন গুণেরও বেশি। স্বাধীন চলচ্চিত্র হিসেবে প্রতিযোগিতার জন্য ইতোমধ্যে অস্কারেও দেওয়া হয়েছে বায়োগ্রাফি ফিল্মটি। নতুন মুখ নিয়ে কীভাবে সিনেমাটি এত আলোড়ন সৃষ্টি করল, চলুন, জেনে নেওয়া যাক।
টুয়েল্ভ্থ ফেইল-এর কেন্দ্রীয় চরিত্রগুলো
সত্য কাহিনিনির্ভর ছবিটিতে দর্শকদের ভালোবাসার মধ্যমণি ছিল প্রধান চরিত্র মনজ কুমার শর্মা। যেটিকে অসামান্য দক্ষতায় ফুটিয়ে তুলেছেন উদীয়মান অভিনেতা বিক্রান্ত ম্যাসি। তার মাঝেই তরুণ সিনেমাপ্রেমীরা খুঁজে পেয়েছেন জীবিকা ও স্বপ্নের পেছনে ছোটা একজন সংগ্রামী মনজকে। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সাম্প্রদায়িক বৈষম্যের জাঁতাকলে প্রতিশ্রুতিশীল মেধাবী যুবকদের পিষ্ট হওয়াটা মোটেই নতুন কোনো ঘটনা নয়। বরং আটার মিলে মেশিন ঘরে থেকে পড়াশোনা করার দৃশ্য প্রতিনিধিত্ব করেছে নাম না জানা অনেক কিংবদন্তির।
প্রতিটি ব্যাচেলর জীবনে প্রেরণার মূর্ত প্রতীক হচ্ছে গৌরি ভাইয়া চরিত্রটি, উৎকৃষ্টভাবে যার সুবিচার করেছেন আংশুমান পুষ্কার। পৃথিবীতে উৎসাহ দেওয়া যেসব মানুষ কদাচিৎ মেলে, এই গৌরি ভাইয়া হচ্ছে সেই শ্রেণির। নিজের জীবনে অর্জন বলতে কিছু না থাকলেও কোনো এক বিমূর্ত লক্ষ্যকে বুকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকে এরা। শুধু কী তাই, ‘একবার না পারিলে দেখ শতবার’ কালীপ্রসন্ন ঘোষের এই বিখ্যাত লাইনের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এই ‘ছা পোষা’ লোকগুলো। পুরো সিনেমার ট্যাগ লাইন হয়ে আছে এই চরিত্রের ‘রিস্টার্ট’ ফিলোসফি, যা বুলি হয়ে বেড়াচ্ছে টুয়েল্ভ্থ ফেইল ভক্তদের মুখে মুখে।
আরো পড়ুন: ধুম ৪-এ শাহরুখ খান: ঘটনা না কি রটনা?
এরপরেই বলতে হয় প্রিতম পান্ডের কথা, যেটি এমন কিছু বন্ধুকে চিত্রায়িত করেছে যারা না থাকলে গল্পটা হয়ত শূন্যতেই রয়ে যেত। প্রতিটি সফলতার পেছনে এরকম কিছু মানুষের ভূমিকা থাকে। যাদের ভাগ্য সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় এনে দেয়। এদের কারণেই ইউপিএসসি(ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন)-এর ইউ-এর মানে না জানা গেঁয়ো ভূতটিও এক সময় আইপিএস(ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিস) অফিসারে পরিণত হয়। শুধু এই চরিত্রকে চিত্রায়নই নয়, অনন্ত ভি জোশীর ধারা বিবরণীতে জীবন্ত হয়ে ছিল মুভির প্রতিটি মুহূর্ত।
পুরো চিত্রনাট্যে সযত্নে বোনা নকশার মতো প্রতীয়মান হয়েছে শ্রদ্ধা জোশী চরিত্রটি। বাস্তবের শ্রদ্ধাকে যথাযথ মাধুর্য দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন মেধা শঙ্কর। প্রধান সহ-শিল্পীর এই ভূমিকাটি তাকে প্রথমবারের মতো লাইমলাইটে আসতে সাহায্য করেছে। চরিত্রটির সবচেয়ে বড় দিক হলো- এটি জীবনের একটি পরস্পরবিরোধী দাবিকে উপযুক্ত উপসংহার দিয়েছে। তা হলো- প্রিয় মানুষগুলো কখনও অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছার পথে অন্তরায় নয়। বরং উদ্দীষ্ট পথে এগোতে যেয়ে হোঁচট খেলে তাদের কথা ভেবেই আবার উঠে দাঁড়ানোর শক্তি আসে।
সবশেষে ডিএসপি (ডেপুটি সুপারিন্টেন্ডেন্ট অব পুলিশ) দুষ্মন্ত সিংয়ের কথা না বললেই নয়। প্রিয়াংশু চ্যাটার্জি অভিনীত এই চরিত্রটি সেই সব কারিগরদের কথা বলেছে, যারা অবচেতনে জন্ম দিতে পারে যুগান্তকারী নেতৃত্বের। তার ছোট দুটো শব্দ ‘স্টপ চিটিং’-ই যথেষ্ট ছিল- মনজের মাঝে থাকা সমাজ পাল্টানোর বীজকে মহীরুহে রূপদান করার জন্য।
আরো পড়ুন: ২০২৪ সালে ঢালিউডে মুক্তি পাবে যেসব বাংলা সিনেমা
২০২৪ সালের সিনেমায় সম্ভাবনাময় উপস্থিতি
বাংলা সিনেমার এক নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয় ২০২৩ সালে। যার ধারাবাহিকতায় ২০২৪ আরও আড়ম্বরপূর্ণ হবে ঢালিউড ইন্ডাস্ট্রি। সংশ্লিষ্টদের ধারণা অনেকটা এমনই।
শাকিব খানের ৩ সিনেমা, ওয়েব ফিল্মের দৌরাত্ম্য, বিগ বাজেট নিয়ে সিনেমার ঘোষণা- এসবকিছুই ইন্ডাস্ট্রির সম্ভাবনা আরও বাড়িয়ে দিবে।
কিন্তু সব আলোচনার কেন্দ্র করে যেকজন তারকার নাম উঠে আসে সেগুলো নিতান্ত খুব বেশি এমনটা বলা চলে না।
বাংলা সিনেমায় নতুন মুখের উথান নিয়ে সংকট অনেকদিন ধরেই চলছে। ২০২৩ সালে যে এটি খুব বেশি উতরে গেছে তাও নয়। তবে আশার কথা হচ্ছে- ২০২৪ সালে যাদের নিয়ে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে তারা গত বছর বিভিন্ন সময় আলোচনায় ছিলেন।
এবিএম সুমন
বেশ কয়েক বছর ধরে বড়পর্দায় প্রায় নিয়মিত বলা চলে এবিএম সুমনকে। তবে ২০২৩ সালে ‘এমআর নাইন’ দিয়ে তার ক্যারিয়ারের নতুন টার্নিং পয়েন্ট শুরু হয়। আর এর মধ্যে দিয়ে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিষেক হলো তার। তাই ২০২৪ তার জন্য আরও বড় চ্যালেঞ্জের বছর। একইসঙ্গে সম্ভাবনাও রয়েছে তাকে ঘিরে।
এরই মধ্যে মুক্তির তালিকায় সম্প্রতি যোগ হয়েছে ওয়েবফিল্ম ‘বুকিং’। মিজানুর রহমান আরিয়ান পরিচালিত এতে সুমন জুটি বেঁধেছেন পরীমণির সঙ্গে। এছাড়াও দীপঙ্কর দীপন পরিচালিত ‘দিগন্তে ফুলের আগুন’ সিনেমায় দেখা যাবে এই নায়ককে।
সৌম্য জ্যোতি
খুব অল্প সময়ে ছোটপর্দায় নজর কেড়েছেন অভিনেতা সৌম্য জ্যোতি। অভিনয়ের মুন্সিয়ানা দিয়ে দর্শকদের মনে তার জায়গা এরই মধ্যে পাকাপোক্ত। ছোটপর্দা বা ওটিটির পাশাপাশি তার ব্যস্ততা এখন বড়পর্দায়।
২০২৩ সালে সেই সম্ভাবনার বীজ তিনি বুনেছেন ‘দুঃসাহসী খোকা’ দিয়ে। এতে তিনি বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেন। যদিও এর আগেই বড়পর্দায় তার অভিষেক হয়। কিন্তু এই সিনেমা দিয়ে প্রথমবার সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রে দেখা যায় সৌম্যকে।
২০২৪ এ সৌম্যর দুটি সিনেমার এখন পর্যন্ত মুক্তির তালিকায় রয়েছে। সেগুলো ‘নকশী কাঁথার জমিন’ ও ‘দাওয়াল’। এর মধ্যে আকরাম খান পরিচালিত ‘নকশী কাঁথার জমিন’ সিনেমাটি বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সুনাম কুড়িয়েছে।
অন্যদিকে পিকলু চৌধুরী পরিচালিত ‘দাওয়াল’ সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার কথা চলতি মাসেই। আর এতেও বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন সৌম্য।
মন্দিরা চক্রবর্তী
ঢালিউডে নায়িকাদের বর্তমান অবস্থা অতিথি পাখির মতো। দুই-একজন ছাড়া সারা বছর সিনেমা নিয়ে ব্যস্ততা তাদের খানিকটা কম। এর মধ্যে নতুন কয়েকজন নায়িকা এলেও তাদের নিয়ে আলোচনাটা একটি গন্ডিতেই থেকে যায়।
তাদের মধ্যে যে নামগুলো কানে প্রায় আসে তাদের একজন মন্দিরা চক্রবর্তী। গত বছর গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘কাজলরেখা’র মধ্যে দিয়ে অভিষেক হয় তার। এ বছর সেটি মুক্তি পাবে। তবে এর আগেই আরিফিন শুভর সঙ্গে ‘নীলচক্র’ সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়ে নতুন আলোচনায় এলেন তিনি। দুটি সিনেমাই মুক্তি পাবে ২০২৪ সালে। তবে দেখার বিষয় এই সম্ভাবনা তাকে শেষ পর্যন্ত কোথায় নিয়ে যায়।
সাদিয়া নাবিলা
‘ব্ল্যাক ওয়ার’ সিনেমায় নারী পুলিশ কর্মকর্তা ইরা চরিত্রে অভিনয় করে ২০২৩ সালে বেশ সাড়া জাগিয়েছেন সাদিয়া নাবিলা। যদিও বড়পর্দায় তার অভিষেক আরো আগে। তবে অ্যাকশনধর্মী এই সিনেমায় সাবলীল অভিনয়ের মাধ্যমে নিজের মেধা ও মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন তিনি।
জানা যায়, ২০২৪ সালেও নতুন সিনেমা নিয়ে হাজির হবেন এই নায়িকা। যদিও সেটি এখনও অঘোষিত। তবে ঢালিউডে তার যে জনপ্রিয়তা তৈরি ২০২৪ এ নতুন এক সম্ভাবনা রয়েছে তাকে ঘিরে।
সায়মা স্মৃতি
২০২৩ সালে আরিফুর জামান আরিফ পরিচালিত ‘যন্ত্রণা’ সিনেমা দিয়ে বড়পর্দায় অভিষেক হয় সায়মা স্মৃতির। প্রথম সিনেমা দিয়েই নজর কেড়েছেন তিনি। এরপর ব্যস্ততাটা সিনেমাটি নিয়েই। শুধু তাই নয় ২০২৪ সালে এরইমধ্যে নায়িকার একাধিক সিনেমা রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায় সেগুলো হলো ‘জল কিরণ’, ‘জলরং’ এবং ‘সংযোগ’।
ধুম ৪-এ শাহরুখ খান: ঘটনা না কি রটনা?
বলিউড ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে বড় মুভি ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা মুভি সিরিজটির নাম ‘ধুম’। এরই নতুন কিস্তি তথা ধুম ৪ নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরেই চলছে হৈচৈ।
প্রধান ভূমিকায় কারা ফিরছেন আর নতুন কারা আসছেন তা নিয়ে হাজারও জল্পনা-কল্পনা ভক্তদের মাঝে। সেগুলোর মধ্যে সম্প্রতি ধুম ৪-এ এসআরকে (শাহরুখ খান) এর অভিনয়ের বিষয়টি বিতর্কের ঝড় তুলেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে।
চলুন, খবরটির সত্যতা যাচাই করে নেওয়া যাক।
ধুম: এক সফল ফ্র্যাঞ্চাইজির উপাখ্যান
সহকারী পুলিশ কমিশনার জয় দীক্ষিত এবং তার সহযোগী আলি আকবর ফতেহ খান বিশ্বের সবচেয়ে ধূর্ত চোরকে ধরাশায়ী করতে জড়িয়ে পড়তে থাকে বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে। এমনই পটভূমি নিয়ে ধুম চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বলিউডের ‘বাডি কপ’ জনরাকে এক নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছেন নির্মাতা আদিত্য চোপড়া।
আরও পড়ুন: একইদিনে বাংলাদেশের হলেও ‘ডাঙ্কি’?
বক্স অফিস আয়ের দিক থেকে এটি তৃতীয় বৃহত্তম বলিউড ফিল্ম ফ্র্যাঞ্চাইজি। এখন পর্যন্ত ট্রিলজিটির প্রতিটিতেই খলনায়কের চরিত্রগুলো জনপ্রিয়তায় ছাড়িয়ে গেছে নায়কদেরকে। কখনো ব্যাংক ডাকাতি কখনো বা অমূল্য শিল্পকর্ম চুরি; এমনই অন্ধকার জগতকে জড়িয়ে দেখানো হয়েছে নতুন নতুন গল্প।
সবগুলোতে অভিষেক বচ্চন এবং উদয় চোপড়া যথাক্রমে জয় ও আলি আকবরের ভূমিকায় অপরিবর্তিত ছিলেন। কিন্তু চোরের চরিত্রগুলোতে প্রতিবারই অংশ নিয়েছেন ভিন্ন ভিন্ন খ্যাতিমান তারকারা।
প্রথম ছবিতে জন আব্রাহামের সঙ্গে সহ-খলনায়িকা হিসেবে ছিলেন এশা দেওল। দ্বিতীয়টিতে ছিলেন ঋত্মিক রোশান ও ঐশ্বরিয়া রাই। আর সর্বশেষটাতে ছিলেন শুধু আমির খান।
প্রথম দুই কিস্তির পরিচালক ছিলেন সঞ্জয় গাধবি, যেগুলো মুক্তি পেয়েছিল ২০০৪ ও ২০০৬-এ। তবে সর্বশেষেরটিতে পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছিলেন ধুমের সবগুলো কিস্তির চিত্রনাট্যকার ভিজয় কৃষ্ণ আচার্য। ধুম নিয়ে যশ রাজ ফিল্মসের তৃতীয় প্রজেক্টটি প্রেক্ষাগৃহে এসেছিল ২০১৩ সালে।
আরও পড়ুন: বিনা কর্তনে চলছে ‘অ্যানিমেল’, আটকে আছে ‘কাঠগোলাপ’
বড়পর্দায় রবীন্দ্রনাথের ‘হৈমন্তী'
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোটগল্প ‘হৈমন্তী’ অবলম্বনে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘হৈমন্তীর ইতিকথা’ নির্মাণ করলেন মির্জা সাখাওয়াৎ হোসেন।
‘হৈমন্তী’ রবীন্দ্রনাথের একটি বিখ্যাত ছোটগল্প। এতে বিধৃত হয়েছে আবহমান কালের বাঙালি সমাজের নীরব নিষ্ঠুর এক কাহিনী। এক গৃহবধুর আত্মবিসর্জনের গল্প।
তবে গল্পের অঙ্গে অঙ্গে রয়েছে প্রাণবন্ত একজুটির রোমাঞ্চ ও ভালোবাসার স্পর্শ। পরিচালক যা চিত্রিত করেছেন সেল্যুলয়েডের পাতায় কাব্যিক চিত্রায়নে।
এই চলচ্চিত্রের নাম ভূমিকা রূপায়ন করেছেন নবাগত চিত্রনায়িকা ঐশিকা ঐশি।
আরও পড়ুন: বিদেশের মাটিতে মেয়ের সঙ্গে গাইলেন সামিনা চৌধুরী
অন্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন- সাইফ খান, ঝুনা চৌধুরী, রাশেদা চৌধুরী, খলিলুর রহমান কাদেরী, মির্জা সাখাওয়াৎ হোসেন, মুনা আক্তার, অরূপ কুন্ডু, মো. আব্দুর রাজ্জাক, মোহাম্মদ আবদুল হামিদ, আনিছুর রহমান, সিনথিয়া লিজা ও শিশুশিল্পী সিমন্তিনী চৌধুরীসহ প্রমুখ।
এই চলচ্চিত্রে চিত্রায়ন করা হয়েছে বেশ কয়েকটি রবীন্দ্রসংগীত।
কণ্ঠ দিয়েছেন প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী ড. অণিমা রায়, মামুন জাহিদ, শিমু দে ও জয়ন্ত আচার্য্য। সংগীতায়ন করেছেন দীনবন্ধু দাশ।
‘হৈমন্তীর ইতিকথা’ চলচ্চিত্রটির পোস্ট প্রোডাক্টশনের কাজও সমাপ্ত হয়েছে। এখন আয়োজন চলছে সেন্সরের জন্য জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া।
আরও পড়ুন: 'প্যারাসাইট' অভিনেতা লি সান-কিউন মারা গেছেন
শেখ মণিকে নিয়ে টেলিছবি ‘বিন্দু থেকে বৃত্তে’
২০২৪ সালে ঢালিউডে মুক্তি পাবে যেসব বাংলা সিনেমা
করোনা মহামারির পর অনেক চড়াই-উৎরাইয়ের সুদিন ফিরেছে ঢালিউড মুভি ইন্ডাস্ট্রিতে। তারই স্পষ্ট প্রমাণ রেখে সমূহ সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে ২০২৩ সাল। সিনেমা হলগুলো যেমন পরিণত হচ্ছে লোকারণে, তেমনি চলচ্চিত্রের দৃশ্যায়নেও ছাপ থাকছে আধুনিকতার। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালে মুক্তির অপেক্ষায় থাকা বাংলা সিনেমাগুলো আমুল পাল্টে দিতে পারে বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের ধারা। সেগুলোর মধ্যে বহু প্রত্যাশিত যে ছবিগুলো মুক্তির সম্ভাব্য সময় পেয়েছে, চলুন সেগুলোর সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
যে ঢালিউড সিনেমাগুলো ২০২৪ সালে মুক্তির অপেক্ষায়
শেষ বাজি
মুক্তির তারিখ পাওয়া ছবিগুলোর মধ্যে প্রথমেই রয়েছে মেহেদী হাসান পরিচালিত এই থ্রিলার ঘরানার সিনেমাটি। মানুষের জীবনে জুয়া খেলার ক্ষতিকর প্রভাবকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে ছবির কাহিনী।
শেষ বাজি’তে প্রধান ভূমিকায় আছেন চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক এবং তার বিপরীতে রয়েছেন শিরিন শিলা। এছাড়াও বিভিন্ন চরিত্রে দেখা যাবে মাহমুদুল হাসান মিঠু, রাশেদ মামুন অপু, এবং সাবেরী আলমকে।
রিকুয়্যাল রিয়েল এস্টেটের ব্যানারে সৈয়দ মোহাম্মদ সোহেল প্রযোজিত মুভিটি সেন্সর বোর্ড থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে ২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর। এরই মধ্যে সাইমনের নতুন লুক নিয়ে একটি পোস্টার প্রকাশ পেয়েছে। চলচ্চিত্রটি দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ২০২৪ এর ১৯ জানুয়ারি।
আরও পড়ুন: নতুন বছরে সাইমনের ‘শেষ বাজি’
দরদ
সুপারস্টার শাকিব খানের নতুন বছরের চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে এটিই এ পর্যন্ত মুক্তির সুস্পষ্ট তারিখ পেয়েছে। ২০২৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারিতে বাংলার পাশাপাশি একই সঙ্গে সিনেমাটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে হিন্দি, তামিল, তেলেগু, কন্নড় ও মালায়ালাম ভাষায়। বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো ছবি ৬টি ভাষায় প্রকাশ পাচ্ছে।
দরদ নির্মিত হয়েছে ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো মুম্বাইয়ের ওয়ান ওয়ার্ল্ড মুভিজ, কলকাতার এসকে মুভিজ, এবং বাংলাদেশের অ্যাকশন কাট এন্টারটেইনমেন্ট, ও কিবরিয়া ফিল্মস।
অনন্য মামুন পরিচালিত এই চলচ্চিত্রে শাকিবের প্রধান সহ-অভিনয়শিল্পী হিসেবে রয়েছেন দক্ষিণ ভারতের সোনাল চৌহান। এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছেন ভারতের পায়েল সরকার, বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী ও রাহুল দেব। বাংলাদেশিদের মধ্যে থাকছেন এলিনা শাম্মী, ইমতু রাতিশ, এবং অতিথি শিল্পী হিসেবে মিস বাংলাদেশ জেসিয়া ইসলাম।
দরদের হিন্দি ভার্সনের লিরিকগুলো লিখছেন সিনেমাটির সঙ্গীত পরিচালক আরাফাত মেহমুদ। বাংলা ভার্সনের লিরিকগুলোর দায়িত্বে ছিলেন সোমেশ্বর অলি, এসকে দ্বীপ এবং জাহিদ আকবর।
আরও পড়ুন: শেখ মণিকে নিয়ে টেলিছবি ‘বিন্দু থেকে বৃত্তে’
কাজলরেখা
জীবন ঘনিষ্ঠ এই চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য ও সংলাপ বিন্যাসের পাশাপাশি পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেছেন প্রখ্যাত নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম।
মুভির পটভূমিতে রয়েছে ময়মনসিংহের প্রাচীন পালাগানের সংকলন 'মৈমনসিংহ গীতিকা'। সে সময় মাত্র ৯ বছর বয়স হলেই সামাজিক প্রথা অনুসারে মেয়েদের বসতে হতো বিয়ের পীড়িতে। এমনি সমাজের মানুষ হয়েও নাটকীয়ভাবে নতুন দিকে মোড় নেয় কাজলরেখার জীবন। আর এভাবেই অগ্রসর হতে থাকে চলচ্চিত্রের কাহিনী।
এই ছবির মাধ্যমে প্রথমবারের মত জুটি বাধছেন শরিফুল রাজ ও মন্দিরা চক্রবর্তী। এছাড়া বিভিন্ন ভূমিকায় অভিনয় করবেন আজাদ আবুল কালাম, ইরেশ যাকের, রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা, খায়রুল বাশার, সাদিয়া আয়মান, ও ঝুনা চৌধুরী।
ছবিটিতে প্রায় ৪০টি গান রয়েছে যেগুলো পরিচালনা করেছেন জনপ্রিয় সুরকার ইমন চৌধুরী। এটি ২০১৯-২০ অর্থবছরে সরকারি অনুদানে নির্মিত মুভিটি প্রেক্ষাগৃহে আসবে ২০২৪-এর ৯ ফেব্রুয়ারি।
আরও পড়ুন: সিনেমা ২০২৩: আলাচনায় শুধু ঈদের সিনেমা
অপারেশন জ্যাকপট
৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সফল গেরিলা অভিযানের নাম অপারেশন জ্যাকপট। আর এরই বীরত্বগাঁথা নিয়ে একই শিরোনামে চলচ্চিত্র নির্মিত হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে অর্থায়নে। ২১ কোটি টাকা বাজেটের ছবিটি পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন ঢালিউড চলচ্চিত্র নির্মাতা দেলোয়ার জাহান ঝন্টু এবং কলকাতার ‘পাগলু’ খ্যাত পরিচালক রাজিব কুমার।
তারকা বহুল ছবিটির প্রধান চরিত্রে থাকবেন অনন্ত জলিল। অন্যান গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে থাকবেন রিয়াজ আহমেদ, নিরব হোসেন, সাইমন সাদিক, আব্দুন নূর সজল, মামনুন হাসান ইমন, জিয়াউল রোশান এবং জয় চৌধুরী। নারী শিল্পীদের প্রায় সবাই ওপার বাংলার, যেখানে দেখা যাবে স্বস্তিকা ব্যানার্জি ও সায়ন্তিকা ব্যানার্জির মত অভিনেত্রীদের।
স্বপন চৌধুরী প্রযোজিত মুভিটি এখন পর্যন্ত ২০২৪-এর বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে মুক্তি দেয়ার কথা চলছে।
আরও পড়ুন: ওটিটির পর্দায় ফ্রিতে ‘অন্তর্জাল’
সিনেমা ২০২৩: আলাচনায় শুধু ঈদের সিনেমা
ঢালিউড ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা খানিকটা হলেও বদলে গেছে। যদিও সেটি কেবলই ঈদকে কেন্দ্র করে। তবে ২০২৩ সালে এসে সিনেমার সংখ্যা বেড়েছে। সেই সংখ্যাটা প্রায় ৫০। কিন্তু ঈদ ছাড়া অন্য সময় যেসব সিনেমা মুক্তি পেয়েছে সেগুলো তেমন আলোচিত হয়নি বলা যায়। আর এটিই যেন ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে বড় সংকট।
২০২৩ সালে অর্ধশত সিনেমা মুক্তি পেলেও ব্যবসায়িক সাফল্য ও আলোচনায় থাকা সিনেমার সংখ্যা হাতে গোনা কয়েকটি। সেই তালিকায় রয়েছে ‘প্রিয়তমা’, ‘সুড়ঙ্গ’, ‘প্রহিলেকা’, ‘১৯৭১: সেই সব দিন’। তবে এর বাইরেও স্বল্প সময়ের জন্য আলোচনায় ছিল ‘এমআরনাইন’, ‘অন্তর্জাল’, ‘কিল হিম’, ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’সহ কয়েকটি সিনেমা।
এ বছর দেশের সিনেমার সঙ্গে আলোচনায় ছিল বাংলাদেশে মুক্তি পাওয়া হিন্দি সিনেমাগুলো। আর এটি ছিল সিনেমা নিয়ে আলোচনাগুলোর মধ্যে অন্যতম। এর আগেও এ দেশে হিন্দি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। তবে সমসাময়িক বা একইদিনে মুক্তির ঘটনা এবারই প্রথম। যার শুরু হয় শাহরুখ খানের ‘পাঠান’ এর মধ্য দিয়ে। এরপরই বড় ধামাকা নিয়ে আসে ‘জাওয়ান’। পুরো বিশ্বের সঙ্গে একই দিনে মুক্তি দিয়ে নতুন ইতিহাস তৈরি হয় বাংলাদেশে।
হিন্দি সিনেমা নিয়ে শেষ আলোচনা ছিল ‘অ্যানিমেল’ ও ‘ডানকি’। সবগুলো সিনেমা মাল্টিপ্লেক্সে ব্যবসা করতে পারলেও সিঙ্গেল স্ক্রিনে তেমন সুবিধা করতে পারেনি।
এবার আসি ২০২৩ এ আলোচিত সিনেমাগুলো নিয়ে।সিনেমার সঙ্গে ব্যবসা যেহেতু দীর্ঘদিনের বাস্তবতা তাই একে এড়িয়ে চলার সুযোগ বিশ্বের কোনো ইন্ডাস্ট্রিরই নেই। সেই হিসাব কষে ২০২৩ এ সফলতা পেয়েছে ‘প্রিয়তমা’ ও ‘সুড়ঙ্গ’। শুধু দেশে নয় পশ্চিমা দেশগুলোতেও এ দুটি সিনেমার ব্যবসা আশানুরূপ।
‘প্রিয়তাম’ দিয়ে প্রথমবার বড়পর্দায় অভিষেক হলো নির্মাতা হিমেল আশরাফের। একসময় ছোটপর্দায় নিয়মিত নাটক বানালেও পরে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। মাঝে শাকিব খান যুক্তরাষ্ট্রে থাকাকালীন হিমেল আশরাফের সঙ্গে প্রায়ই ছবি দেখা যেত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সেই যোগসূত্রে একসময় হিমেলের প্রথম সিনেমার নায়ক হলেন শাকিব। আর এটিই হয়তো নির্মাতার সফলতা।
কারণ ‘প্রিয়তমা’ সিনেমাটি যে কাঁচা হাতে বানানো কাজ সেটি সাধারণ দর্শকের কাছে সহজেও ধরা পড়ে। গল্পের প্লট অনেক বড় হলেও ঠিক যেন অভিজ্ঞতার কাছে পর্দায় গল্পের মালাটা ঠিকমতো গাঁথতে পারেননি এই পরিচালক। যদিও শাকিব খানের কারণে এই যাত্রায় উতরে গেছেন তিনি। ‘প্রিয়তমা’য় শাকিব খানের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন কলকাতার অভিনেত্রী ইধিকা পাল।
তার অভিনয় আর মিষ্টি হাসি নজর কেড়েছে বাংলাদেশের দর্শকদের। আর গুঞ্জন চলছে বাংলাদেশের আরও একটি সিনেমায় দেখা যাবে তাকে।
অন্যদিকে ‘সুড়ঙ্গ’ দিয়ে প্রথমবার বড়পর্দায় এলেন আফরান নিশো। ‘পরান’ এরপর ‘সুড়ঙ্গ’ দিয়ে আবারও আলোচনা তৈরি করেন রায়হান রাফি। সিনেমাটি আলোচনার কারণ মূলত তারা দুজনই। এরসঙ্গে সিনেমাটির প্রচার কৌশল আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছে ব্যবসার ক্ষেত্রে।
কারণ শাকিব খানের সিনেমার সঙ্গে সিনেমা মু্ক্তি দিয়ে ব্যবসা করা চারটিখানি কথা নয়। কয়েক বছর আগে পর্যন্ত ঈদের সিনেমা মানে শাকিব খান। একই ঈদে একাধিক সিনেমা মুক্তি পেত তার। সেই অবস্থার পরিবর্তনটাও ইন্ডাস্ট্রির জন্য ইতিবাচক।
পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী আবারও বড়পর্দায় ফিরলেন ‘প্রহেলিকা’ নিয়ে। আর সঙ্গে অনেকদিন পর নিয়ে এলেন মাহফুজ আহমেদকে। দীর্ঘদিন পর্দার বাইরে থেকে বড়পর্দা দিয়ে এমন কামব্যাক তার ভক্তদের জন্য ছিল নতুন চমক। এখানে জুটি বাঁধেন শবনম বুবলির সঙ্গে। সিনেমাটি ব্যবসায়িক জায়গা থেকে খুব একটা সফলতার মুখ না দেখলেও ছিল প্রশংসিত।
ঈদ ছাড়া যদিও এখন সিনেমা হিট হয় না বলা চলে। এরমধ্যে ‘১৯৭১: সেই সব দিন’ ভিন্ন এক উদাহরণ তৈরি করেছে। তার ওপর মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সিনেমা। সারা বছর সিনেমা নিয়ে নানান আলোচনার ভিড়ে ‘১৯৭১: সেই সব দিন’ নিজ গুণেই এগিয়ে গেছে।
ইনামুল হকের উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমাটি নির্মাণ করেছে হৃদি হক। আর এরমধ্য দিয়ে বড়পর্দায় পরিচালক হিসেবে অভিষেক হয় হৃদির। অভিনয়ে ছিলেন তারিন জাহান, ফেরদৌস আহমেদ, সজল নূর, লিটু আনাম, সানজিদা প্রীতি, হৃদি হক, মামুনুর রশীদ, আবুল হায়াত, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ।
ঢাকাই সিনেমা ইন্ডস্ট্রির বর্তমান অবস্থা নিয়ে সংশ্লিষ্ট অনেকে আশার কথা বললেও অনেকেই বলছে ব্যর্থতার কথা। কারণ একটি সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি টিকে থাকতে বছরের বেশ কয়েকটি ব্যবসা সফল সিনেমার প্রয়োজন। তবে এমন অবস্থা সামনে তৈরি হয়ে যাবে বলেও আশা করা যাচ্ছে।
'প্যারাসাইট' অভিনেতা লি সান-কিউন মারা গেছেন
অস্কারজয়ী চলচ্চিত্র 'প্যারাসাইটের' অভিনেতা লি সান-কিউন মারা গেছেন বলে বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার জরুরি বিভাগ।
জরুরি বিভাগ বলেছে, বুধবার সিউলের একটি পার্কে গাড়িতে লিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
সিউলের একটি অজ্ঞাত স্থানে অচেতন অবস্থায় লিকে পাওয়া যায় বলে পুলিশ এর আগে জানায়।।
ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সিসহ দক্ষিণ কোরিয়ার গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বুধবার সুইসাইড নোটের অনুরূপ একটি বার্তা লিখে লি বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানোর পর পুলিশ তাকে খুঁজছে।
অস্কারজয়ী চলচ্চিত্র 'প্যারাসাইটের' অভিনেতা লি সান-কিউনকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার পুলিশ।
আরও পড়ুন: বিনা কর্তনে চলছে ‘অ্যানিমেল’, আটকে আছে ‘কাঠগোলাপ’
পুলিশ কর্মকর্তারা বুধবার সিউলের একটি অজ্ঞাত স্থানে অচেতন লিকে খুঁজে পান এমনটা জানালেও বিস্তারিত কিছু জানায়নি।
লি ‘প্যারাসাইট’ সিনেমায় তার ভূমিকার জন্য সর্বাধিক পরিচিত, যেখানে তিনি একটি ধনী পরিবারের প্রধানের চরিত্রে অভিনয় করেন। ২০২১ সালে তিনি সিনেমটিতে তার ভূমিকার জন্য স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরষ্কার পান।
গত বছর সাই-ফাই থ্রিলার 'ডক্টর ব্রেইনে' অভিনয়ের জন্য তিনি আন্তর্জাতিক এমি অ্যাওয়ার্ডসে সেরা অভিনেতার জন্য মনোনীত হয়েছিলেন।
তিনি জনপ্রিয় ড্রামা সিরিজ ‘কফি প্রিন্স (২০০৭)’ এ তার ভূমিকার জন্য সুপরিচিত হন এবং মেডিকেল ড্রামা ‘বিহাইন্ড দ্য হোয়াইট টাওয়ার’ এর মাধ্যমে মূলধারার জনপ্রিয়তা অর্জন করেন এরপর অভিনয় করেন ‘পাস্তা (২০১০)’ ও ‘মাই মিস্টার (২০১৮)’ এ।
আরও পড়ুন: বিনা কর্তনে দেশের ৪৮ প্রেক্ষাগৃহে 'অ্যানিমেল'
ক্ষমা চাইতে হবে না, শুধু ইতিহাসটা জেনে নিন: এ আর রহমানের উদ্দেশে কবীর সুমন
শেখ মণিকে নিয়ে টেলিছবি ‘বিন্দু থেকে বৃত্তে’
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের পরিবারের অন্যতম সদস্য শেখ ফজলুল হক মণি। মুজিব বাহিনীর প্রধান, দৈনিক বাংলার বাণীর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশক এবং বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন শহীদ শেখ ফজলুল হক মণি।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাত্রিতে ঘাতকের বুলেটে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তাকেও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
এবারই প্রথম শেখ ফজলুল হক মণিকে নিয়ে নির্মিত হতে যাচ্ছে ৫০ মিনিটের একটি টেলিছবি। এর নাম ‘বিন্দু থেকে বৃত্তে’। কবি ও গীতিকার সহিদ রাহমানের ‘মহামানবের দেশে’ উপন্যাস অবলম্বনে ও ফ্রেম ফ্যাক্টরির প্রযোজনায় নির্মিত এই টেলিছবির কাহিনি,গল্প ও চিত্রনাট্য করেছেন সহিদ রাহমান। এটি নির্মাণ করবেন শাহ নেওয়াজ রিপন।
শেখ ফজলুল হক মণির চরিত্রে অভিনয় করবেন অভিনেতা রওনক হাসান। আরও অভিনয় করবেন তানজিকা আমিন, ডলি জহুর, আরমান পারভেজ মুরাদ, পংকজ মজুমদার, নূর আলম নয়ন প্রমুখ। অচিরেই টেলিছবিটির শুটিং শুরু হবে। আগামী বছর একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে এটি প্রচার হবে বলে জানিয়েছে প্রযোজনা সংস্থা।
ওটিটির পর্দায় ফ্রিতে ‘অন্তর্জাল’
দেশের সবচেয়ে বড় ডিজিটাল বিনোদনের প্ল্যাটফর্ম টফিতে 'অন্তর্জাল' এর বিশেষ অনলাইন প্রিমিয়ার হতে যাচ্ছে। ‘অন্তর্জাল’ বাংলাদেশের প্রথম সাইবার-থ্রিলার চলচ্চিত্র। আগামী ২১ ডিসেম্বর টফিতে সিনেমাটি উন্মুক্ত করা হবে।
সারা দেশের দর্শকেরা অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস ডিভাইসের পাশাপাশি অ্যান্ড্রয়েড টিভিতে যেকোনো নেটওয়ার্ক থেকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পুরো সিনেমাটি এক্সক্লুসিভলি দেখতে পারবেন।
সিনেমাটি সারা দেশের টফি ব্যবহারকারীদের বিজয় দিবসের বিশেষ উপহার। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিদেশি অপশক্তির ষড়যন্ত্র, সাইবার হামলা আর সেটাকে মোকাবিলায় দেশের কয়েকজন তরুণের দুঃসাহসিক লড়াইয়ের গল্প দেখা যাবে 'অন্তর্জাল' সিনেমায়। যে লড়াইয়ে তারা ইন্টারনেটের মাধ্যমে অদৃশ্য শক্তির তৈরি বিভিন্ন সামাজিক সংকটের সমাধান করেন।
আরও পড়ুন: ঈদুল ফিতরে আসছে দেশের প্রথম সাইবার থ্রিলার ‘অন্তর্জাল’
সর্বোপরি, অপশক্তির হুমকি থেকে প্রিয় দেশকে উদ্ধার করতে তাদের দৃঢ়তা ও সংকল্পকে ফুটিয়ে তুলা হয়েছে এই সিনেমাতে। সিনেমার গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন সিয়াম, মিম, সুনেরাহ।
এই সিনেমার বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন এবিএম সুমন, রওনক হাসান, কিটো ভাই প্রমুখ। ছবিটি পরিচালনা করেছেন দীপঙ্কর দীপন।
এই বছরের ২২ সেপ্টেম্বর স্থানীয় প্রেক্ষাগৃহে ‘অন্তর্জাল’ প্রথম মুক্তি পায়।
টফি’র মার্কেটিং ডেপুটি ডিরেক্টর মুহম্মদ আবুল খায়ের চৌধুরী বলেন, ‘টফিতে আমরা দর্শকদের নতুন ও উদ্ভাবনী ডিজিটাল সেবা প্রদানের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। দেশের অন্যতম অনলাইন বিনোদনের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বিজয় দিবসের ঠিক পরেই টফিতে দেশের প্রথম সাইবার-থ্রিলার চলচ্চিত্রটি মুক্তি দিতে পেরে আমরা আনন্দিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আশাবাদী, সকল বয়সের দর্শকেরা ‘অন্তর্জাল’ সিনেমাটি পছন্দ করবেন। আধুনিক প্রযুক্তিগত থিম ও স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মানের রূপকল্পের সঙ্গেও এই সিনেমার গল্পটি প্রাসঙ্গিক।’
আরও পড়ুন: ৩ বছর পর দেশে শাবনূর, ‘মাতাল হাওয়ায়’ থাকছেন তিনি