সিনেমা
এবার যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় ‘পরাণ’
সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতে বায়োস্কোপ ফিল্মসের পরিবেশনায় ‘পরাণ’ সিনেমাটি যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় মুক্তি পেতে যাচ্ছে।
ঈদুল আজহায় মুক্তি পায় রায়হান রাফি পরিচালিত পরাণ। লাইভ টেকনোলজিস প্রযোজিত সিনেমাটি মুক্তির এক মাস পেরিয়ে দর্শকের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। যা চলচ্চিত্রে স্থবিরতা কাটিয়ে তুলেছে। দেশের বাইরেও প্রবাসীদের মধ্যেও পরাণ নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে।
বিদেশে সিনেমাটি মুক্তি দেয়া প্রসঙ্গে লাইভ টেকনোলজিসের পরিচালক ইয়াসির আরাফাত বলেন,‘আমরা একটা পরিছন্ন সিনেমা তৈরি করেছি। সিনেমাটি মুক্তির অষ্টম সপ্তাহেও দর্শক আগ্রহ নিয়ে দেখছে। এবার যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা প্রবাসীদের জন্য সিনেমাটি মুক্তি দেয়া হচ্ছে। আশা করছি, সবাই সিনেমাটি ভালোভাবেই উপভোগ করবে।’
আরও পড়ুন: ‘পরাণ’: সত্য কাহিনীর ওপর নির্মিত ত্রিভুজ প্রেমের গল্প
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় পরাণ ছবির পরিবেশক বায়োস্কোপ ফিল্মসের প্রধান নির্বাহী রাজ হামিদ বলেন,‘পরাণ ছবিটি মুক্তির পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার বাঙালিরা ছবিটি দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছে। অবশেষে সবার আগ্রহে সিনেমাটি সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতে মুক্তি দেয়া হবে। ছবিটি নিয়ে আমরা দারুণ আশাবাদী।’
বায়োস্কোপ ফিল্মসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবনা রশিদ বলেন,‘আমরা যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় নিয়মিত বাংলা সিনেমা প্রদর্শন করে আসছি। দেবী সিনেমার পর পরাণ সিনেমা নিয়ে দর্শকের এত আগ্রহ দেখছি। নিয়মিত এমন গল্পের সিনেমা মুক্তি পেলে বাংলা সিনেমার দর্শক বাড়বে। পাশাপাশি সিনেমার বাজারও বড় হবে।’
পরাণ সিনেমার এমন সফলতায় দারুণ খুশি ছবির কলাকুশলীরা। পরাণ ছবিতে অভিনয় করেছেন শরীফুল রাজ, বিদ্যা সিনহা মিম, রাশেদ অপু, ইয়াস রোহান, শিল্পী সরকার, নাসির উদ্দিন খান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: লুঙ্গি পরা দর্শক সামান আলী সরকারকে আমন্ত্রণ জানাল স্টার সিনেপ্লেক্স
‘হাওয়া’য় মেতেছে দর্শক
‘বিউটি সার্কাস’ মুক্তি পাবে ২৩ সেপ্টেম্বর
অনেকদিন ধরেই মুক্তির প্রতিক্ষায় ছিল মাহমুদ দিদার পরিচালিত ‘বিউটি সার্কাস’। অবশেষে তার শেষ হলো। আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাচ্ছে সিনেমাটি। বাংলাদেশ সরকারের অনুদানপ্রাপ্ত (২০১৪-১৫) অনুদান পাওয়া সিনেমাটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ইমপ্রেস টেলিফিল্ম।
মাহমুদ দিদার বলেন, “মুক্তির আগেই ‘বিউটি সার্কাস’ নিয়ে মানুষের প্রত্যাশা ও ভালোবাসা অভাবনীয়। চলচ্চিত্রটি নিয়ে আমাদের দীর্ঘদিনের লড়াই শেষ হতে যাচ্ছে। যেহেতু সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র সে কারণেই সরকারের প্রতি দায়বোধ থেকে আমরা মাননীয় তথ্যমন্ত্রীর হাতে আমার ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ইমপ্রেস টেলিফিল্মের পক্ষ থেকে চলচ্চিত্রটির অফিসিয়াল পোস্টারটি উপহার দেই। আশা করছি আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ধারক এই দারুণ চলচ্চিত্রটি দর্শক উপভোগ করবেন সিনেমা হলে গিয়ে।”
১ সেপ্টেম্বর রাত ৮টায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উন্মোচিত হয়েছে ‘বিউটি সার্কাস’-এর পোস্টার। ২০১৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি নওগাঁর সাপাহার ও মানিকগঞ্জে সার্কাসের বিশাল যজ্ঞে দুইশত জনের নির্মাণ সঙ্গী নিয়ে প্রায় দুই হাজার গ্রামবাসীর অংশগ্রহণে চিত্রধারণের কাজ করেন নির্মাতা। এর জন্য নির্মাতা বিশাল সার্কাস প্যান্ডেল নির্মাণ ও গ্রাম্যমেলার আয়োজন করেন।
পড়ুন: অ্যামাজন প্রাইমে বাংলাদেশের সিনেমা
২০১৭ সালে নির্মাণ শুরু হলেও চলচ্চিত্রটির ব্যাপ্তি ও নির্মাণের বৃহৎ আয়োজন সম্পন্ন করতে প্রায় পাঁচ বছর সময় লাগে। করোনা মহামাহারির কারণেও পিছিয়েছে বহুল প্রতীক্ষিত চলচ্চিত্রটির মুক্তি। চলচ্চিত্রটির মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন পর দেশের বড়পর্দায় হাজির হচ্ছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। চলচ্চিত্রটির অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ, তৌকির আহমেদ, এবিএম সুমন, শতাব্দী ওয়াদুদ, গাজী রাকায়েত, হুমায়ূন সাধু, মানিসা অর্চি, প্রমুখ।
পড়ুন: দিন- দ্য ডে: ৪ কোটির সিনেমা ১২০ কোটি বলে প্রচার
চলচ্চিত্রটিতে জয়া আহসান সেজেছেন সার্কাসকন্যা ‘বিউটি’রূপে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি বলবো এই কাজটি আমার অভিনয় জীবনের খুব রোমাঞ্চকর কাজের একটি। অভিনয়শিল্প আপনাকে এমন কিছু জায়গায় নিয়ে যায় যেখানে আপনি আগে কোনোদিন যাননি আবার এমন কিছু চরিত্র প্রদর্শন করার সুযোগ করে দেয় যার অভিজ্ঞতাটাও একেবারে নতুন। এমনি একটি ভিন্নধর্মী চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ এসেছিল সার্কাস- প্রদর্শনকারী সেজে তাও আবার এক জম্পেশ সার্কাসের স্টেজে! সার্কাস এর এই পুরো অভিজ্ঞতাটাই আমার জন্য সম্পূর্ণ নতুন ছিল, সামনে থেকে কখনো দেখার সুযোগ হয়নি বলে।’
আরও পড়ুন: বাণিজ্যিক সিনেমায় অনুদান বন্ধের দাবি: চলচ্চিত্র পরিষদের প্রতিবাদ
হলিউডের মোশন গ্রাফিক ডিজাইনার বাংলাদেশের জিসান কামরুল হাসানের গল্প
মো. ইশতিয়াক হোসাইন
মনোমুগ্ধকর বর্ণনা ও নজরকাড়া ভিজ্যুয়াল দিয়ে দর্শকদের বিমোহিত করার জন্যই সিনেমা ও সিরিজ তৈরি করা হয়। আর টিজার ও ট্রেইলারের মাধ্যমে দর্শকেরা এই বিনোদনমূলক কন্টেন্টের প্রথম জমজমাট দেখা পায়। হলিউডে টিজার ও ট্রেইলার তৈরি শিল্পটি উল্লেখযোগ্যভাবে গুরুত্বপূর্ণ। একজন তরুণ বাংলাদেশি, বর্তমানে হলিউডে এই তুলনামূলকভাবে অজানা কিন্তু বৃহৎ শিল্পের একজন গর্বিত সদস্য।
মানসম্মত টিজার ও ট্রেলার তৈরি করে বৈশ্বিক সীমানা পেরিয়ে জিসান কামরুল হাসান নামের একজন বাংলাদেশি তরুণ হলিউডে মোশন গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে কাজ করছেন। সম্প্রতি বেশ জনপ্রিয় কিছু সিনেমা ও সিরিজের টিজার ও ট্রেলারে তার কাজের মাধ্যমে তিনি আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন।
মার্ভেল স্টুডিও’র সাম্প্রতিক গ্রাফিক-ইনটেনসিভ হিট ‘ডক্টর স্ট্রেঞ্জ ইন দ্য মাল্টিভার্স অব ম্যাডনেস’ থেকে ‘লাস্ট নাইট ইন সোহো’ সমালোচকদের দ্বারাও ব্যাপক সমাদৃত হয়েছে।
বাংলাদেশের কুমিল্লার লাকসাম থেকে জিসান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলসের কালভার সিটিতে গিয়ে নিজের লক্ষ্য পূরণে দীর্ঘ-কঠিন পথ পাড়ি দিয়েছেন।
দেশের একটি শীর্ষ জাতীয় দৈনিকের সঙ্গে তার সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাত্কার প্রকাশের পর জিসানের নাম বিনোদন অঙ্গনে ব্যাপক আলোচিত হচ্ছে এবং নেটিজেনরাও হলিউডে জিসানের যাত্রা সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
হলিউড থেকে ইউএনবির সঙ্গে একান্ত আলাপকালে জিসান বলেন, ‘আসলে ২০০২ সালে খুব অল্প বয়সে আমার যাত্রা শুরু হয়েছিল। যখন আমি জনপ্রিয় ও বিখ্যাত ফিল্ম ‘লর্ড অব দ্য রিংস’-এর জাঁকজমকপূর্ণ ভিজ্যুয়াল দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। আমি মোশন গ্রাফিক্স সম্পর্কে আশ্চর্য হয়েছিলাম এবং তখনই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে আমি এটা শিখব।’
২০০২ সালে স্বপ্ন দেখলেও জিসান ২০০৭ সালে তার প্রথম ব্যক্তিগত কম্পিউটার পেয়েছিলেন। এরপর ২০০৮ তিনি সালে ঢাকায় চলে আসেন এবং ইউটিউব দেখে নিজে থেকে ফটোশপ প্রাকটিস শুরু করেন। থ্রিডি অ্যানিমেশন ও মোশন গ্রাফিক্সের প্রতি তার আগ্রহ এবং আগে থেকে চর্চার জন্য তিনি ঢাকার আহসানুল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এইউএসটি) থেকে সিএসইতে স্নাতক পড়ার সুযোগ পান।
তিনি বলেন, ‘আমি সেই সময়ে গ্রাফিক ডিজাইন ও ফটোগ্রাফি থেকে অর্থ উপার্জন শুরু করেছি, এসময় আমি প্রথম মোশন ডিজাইনার হিসেবে কাজ করার প্রস্তাব পাই। ২০১২ সালে একদিন আমার মেসের এক রুমমেটের এক সিনিয়র আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং জিজ্ঞাসা করেন যে আমি গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে তার ব্যবসার জন্য কাজ করতে আগ্রহী কিনা।’
জিসান স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘২০১৩ সালে আমি আমার ক্যামেরা কিনি এবং ফ্রিল্যান্সার হিসেবে ফটোগ্রাফি শুরু করি। আমার জীবনের এই পর্যায়ে এসে আমি চলচ্চিত্র নির্মাতা হওয়ার স্বপ্ন দেখি। সেসময় আমি কিছু শর্ট ফিল্ম বানাই, ওয়েডিং ফটোগ্রাফি করতাম, একঝাঁক সৃজনশীল ও প্রতিভাবান বন্ধুদের সঙ্গে মিশতাম আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় ‘ছবির হাট’-এ নিয়মিত ও ঘন ঘন যেতাম।’
২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে জিসান বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে চলে যান এবং কাজী শামসুল হক নামের একজন প্রবাসী সাংবাদিকের সহায়তায় একটি পত্রিকায় গ্রাফিক ডিজাইনার হিসেবে কাজ শুরু করেন।
জিসান ইউএনবিকে বলেন, ‘আমি জানতাম না, আমার আসল সংগ্রাম মাত্র শুরু হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি ২০১৭ সালে লস অ্যাঞ্জেলসে চলে আসি। প্রথম বছর আমাকে খুব হিসেব করে চলতে হয়েছিল। একটা বড় ও সম্পূর্ণ নতুন শহর, বেশ ব্যয়বহুল পরিবেশ এবং বিভিন্ন ধরনের কয়েক হাজার সমস্যা। তবু আমি টিকে ছিলাম, কিন্তু তারপরে কোভিড-১৯ আঘাত হানে এবং আমি বুঝতে পারি যে সবকিছু একপাশে রেখে আমাকে আমার লক্ষ্যে সফল হওয়ার চূড়ান্ত চেষ্টাটা করতে হবে।’
জিসান ইউএনবিকে বলেন, ‘এটি আমার জন্য ‘হয় এখন নাহলে আর কখনোই না’ পরিস্থিতি ছিল। তাই আমি আমার সবকিছু দিয়ে এই কাজটা শুরু করি। আমি আমার চাকরি ছেড়ে দেই, ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখে মোশন গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে শুরু করি, আর্টিকেল ও বই পড়ি, সিনেমার মূল্যায়ন দেখি এবং নতুন সফ্টওয়্যার যেমন আফটার ইফেক্টস, ফোর ডি সিনেমা, হাউডিনি ও নিউকে শিখতে শুরু করি। ২০২০ সালের মার্চ থেকে ওই বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন ১৫-১৮ ঘণ্টা এই রুটিনটা অব্যাহত ছিল। একজন নবাগত হিসেবে এটা আমার জন্য অকল্পনীয়ভাবে কঠিন ছিল, কিন্তু আমি আমার জীবনের অনেক রাতের ঘুম ও অন্যান্য বিলাসিতাকে ত্যাগ করার মধ্য দিয়ে এটা করেছি।’
আরও পড়ুন: নেটফ্লিক্সের পর্দায় বলিউডে বাঁধনের প্রথম ঝলক
নেটফ্লিক্সের জন্য চিত্রনাট্য লিখছেন মেঘ
নেটফ্লিক্সের পর্দায় বলিউডে বাঁধনের প্রথম ঝলক
‘রেহেনা মরিয়ম নূর’-এর ব্যাপক সফলতার পর আজমেরি হক বাঁধনের আরও একটি চমক ছিল বলিউডের সিনেমায় অভিনয়। সেটি নিয়ে অনেক জল্পনার মধ্য দিয়ে গিয়েছিল সময়টা। মুম্বাইয়ে শুটিং শেষে সেই অভিজ্ঞতার কিছুটা জানিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী।
‘খুফিয়া’ শিরোনামে সিনেমাটির পরিচালক বিশাল ভরদ্বাজ। সোমবার (২৯ আগস্ট) রিলিজ হলো ‘খুফিয়া’র টিজার।
আরও পড়ুন: নেটফ্লিক্সের জন্য চিত্রনাট্য লিখছেন মেঘ
টিজারটি রিলিজ করেছে নেটফ্লিক্স। যেখানে এক ঝলক দেখা গেল বাঁধনকে। শাড়ি পরে রহস্যজনক এক লুকে দেখা দিয়েছেন তিনি। টিজারের শুরুতে দেখা গেছে সিনেমাটির মূল চরিত্রে অভিনয় করা বলিউড তারকা টাবুকে। এছাড়াও ছিলেন আলী ফজল, আশিষ বিদ্যার্থী।
একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে ‘খুফিয়া’। যার চিত্রনাট্য তৈরি হয়েছে লেখন অমর ভুশান-এর ‘এস্কেপ টু নো হোয়ার’ থেকে।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ বিরতির পর আজমেরি হক বাঁধন ফিরেছিলেন ‘রেহেনা মরিয়ম নূর’ দিয়ে। এরপরই ক্যারিয়ারের সবচেয়ে সুসময় শুরু হলো তার। এই আলোচনা শেষ না হতেই মুক্তি পায় কলকাতার প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি।’ যেটির পরিচালক ছিলেন সৃজিত মুখার্জি। এরপরই বাঁধনের বলিউড যাত্রা।
আরও পড়ুন: মাধবন ও সুর্ভিন চাওলা অভিনীত নেটফ্লিক্স ওয়েব সিরিজ ‘ডিকাপল্ড’
রেড নোটিশ: নেটফ্লিক্সের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল মুভি
সমঝোতার ভিত্তিতে ‘হাওয়া’র বিরুদ্ধে মামলা নিষ্পত্তির উদ্যোগ
২০১২ সালের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ‘হাওয়া’ চলচ্চিত্রের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহারের উদ্যোগ নিচ্ছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
রবিবার মন্ত্রণালয়টির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হাওয়া টিম স্বীকার করে যে তারা আইনের বিধান সম্পর্কে অবগত ছিল না । তাই সিনেমার পরিচালকের আপোষ নিষ্পত্তি করার আবেদনের প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয়ের অধীনে বন্যপ্রাণী অপরাধ প্রতিরোধ ইউনিটের করা মামলাটি প্রত্যাহারের পদক্ষেপ নেয়া হবে।
রবিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য হাওয়া’র পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমনের আপিল গ্রহণ করেন।
যেহেতু মামলাটি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন, ২০১২ এর ধারা ৪৩ এবং সিআরপিসি’র ২৪৮ ধারা অনুযায়ী জটিলতাপূর্ণ, আপিল জমা দেয়া হয়েছিল।
আদালত আপিলের শুনানি করে এ বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
২৯ জুলাই মুক্তি পাওয়া সিনেমাটি দেখে গত ১৭ আগস্ট বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের চার কর্মকর্তা মামলাটি করেন।
২২ আগস্ট, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের জন্য হাওয়া চলচ্চিত্রের প্রদর্শন নিষিদ্ধ করার জন্য একটি আইনি নোটিশ দেয়া হয়।
নোটিশে সিনেমাটির লাইসেন্স প্রত্যাহার এবং শুধু স্থানীয়ভাবে নয়, বিশ্বব্যাপী এর প্রদর্শন নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়েছে।
এছাড়া বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের সদস্য, আইনজীবী ও পরিবেশবিদদের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সেন্সর বোর্ড পুনর্গঠন করা উচিত বলেও জানানো হয়েছে।
উপরন্তু, ভবিষ্যতে কোন সিনেমাকে সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র দেয়ার আগে, এটি নিশ্চিত করতে হবে যে চলচ্চিত্রটি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও সুরক্ষা আইন-২০১২-এর কোনও ধারা লঙ্ঘন করে না।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিনেমায় ট্রলারে শালিক পাখিকে খাঁচায় বন্দি অবস্থায় দেখা যায়। এক পর্যায়ে পাখিটিকে মেরে খেয়ে ফেলা হয়।
এছাড়া সিনেমাটিতে বেশ কিছু দৃশ্য রয়েছে যা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও সুরক্ষা আইন, ২০১২ এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
এর ফলে মানুষ পাখি শিকার, খাঁচায় বন্দি ও নিধনে উৎসাহিত হবে।
এই দৃশ্য প্রচারের জন্য বন বিভাগ থেকে কোন অনুমতি নেয়া হয়নি, বিজ্ঞপ্তিতে যোগ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হাওয়ার প্রদর্শনী বন্ধে আইনি নোটিশ
‘হাওয়া’য় মেতেছে দর্শক
‘দিন: দ্য ডে’ এর বাজেট নিয়ে বিতর্ক, যা বললেন অনন্ত জলিল
কোরবানি ঈদে মুক্তি পাওয়া অনন্ত জলিল অভিনীত 'দিন: দ্য ডে' নিয়ে বিতর্কের জল সিনেমার বাজেট নিয়ে মিথ্যাচারে এসেছে পৌঁছেছে। কিছুদিন আগেই বাংলাদেশ-ইরানের যৌথ প্রয়োজনায় সিনেমাটির পরিচালক ও মূল প্রযোজক মুর্তজা অতাশ জমজম ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি সামনে আনেন।
জানা যায়, সিনেমার বাজেট শত কোটি নয়। ব্যয় হয়েছে প্রায় ৪ কোটি টাকা। এছাড়াও মুর্তজা শর্ত নিয়ে বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনেন। তবে তা সবই অস্বীকার করেছেন অনন্ত জলিল। এই চিত্রনায়ক ও প্রযোজক বিষয়টি নিয়ে তার ফেসবুক পেজে বিস্তারিত জানান।
এবার অনন্ত জলিল দিলেন ভিডিও বার্তা। যেটি শনিবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে পোস্ট করেন।
ভিডিও বার্তায় অনন্ত জলিল বলেন, ‘সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০১৯ সালে। শেষ হয় ২০২০ সালের মধ্যে। আপনারা আমার ইন্টারভিউগুলো দেখতে পারেন। টেলিভিশন, নিউজ পেপার, সোশ্যাল মিডিয়াতেও মুভিটির রিলিজের আগমুহূর্ত পর্যন্ত ও রিলিজের পরে ইন্টারভিউতে দেখাতে পারবেন যে, আমি বলেছি-এ মুভিটির ইনভেস্টার শুধুই আমি? আমি সবসময় বলে এসেছি, শুধুমাত্র বাংলাদেশের শুটিংয়ের ইনভেস্টার আমি।’
তিনি বলেন, ২০২১ সালে ২৭ ফেব্রুয়ারি লা-মেরিডিয়ান হোটেলে ‘দিন: দ্য ডে’ ও ‘নেত্রী দ্য লিডার’ মুভির একটি অনুষ্ঠান হয়। সেই অনুষ্ঠানে মিস্টার মুর্তজা, ইরানের অভিনেত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। সেসময় মুর্তজা আমাকে বলেন, শুটিংয়ের জন্য তিনি যে বাজেট নির্ধারণ করেছিলেন, তার চেয়ে অনেক বেশি অর্থ শুটিংয়ে খরচ করেন। মুর্তজার বলা অ্যামাউন্টটাই অনুষ্ঠানে আমি বলি। আমার ইন্টারভিউগুলোতেও একই কথা বলি। তিনি মুভির যে বাজেটের কথা বলেছিলেন।’
পড়ুন: দিন- দ্য ডে: ৪ কোটির সিনেমা ১২০ কোটি বলে প্রচার
অনন্ত জলিল আরও বলেন, ‘মুর্তজা তুলে ধরেছেন, আমার ৪-৫ লাখ ডলার তাকে শুটিং খরচের জন্য দেয়ার কথা। অ্যাগ্রিমেন্ট অনুযায়ী সম্পূর্ণ টাকা দেইনি। আপনাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, অ্যাগ্রিমেন্ট অনুযায়ী বাংলাদেশের শুটিংয়ে সমস্ত খরচ আমার দেয়ার কথা। সে অনুযায়ী বাংলাদেশের শুটিংয়ের সমস্ত খরচ আমি বহন করি। সেখানে এক কোটি টাকা লাগলো বা চার কোটি টাকা লাগলো সেটা তো মুর্তজার দেখার বিষয় না।’
চুক্তিপত্র অনুযায়ী সব খরচ দিয়েছেন দাবি করে অনন্ত জলিল বলেন, ‘বাংলাদেশের শুটিং খরচ ছাড়া বিদেশের কোনো শুটিং খরচই আমার দেয়ার কথা না। আমাদের ট্রাভেলিং কস্ট ছাড়া, এয়ার টিকিট ছাড়া সেখানে আমি তাকে ডলার দেব এটার প্রশ্ন উঠবেই বা কেন? তাহলে মুর্তজা এতগুলো দেশে যে শুটিং করলো, তাতে তো তার কোনো টাকাই খরচ হয়নি। তিনি যে অ্যামাউন্ট বলেছেন, আমার দেয়ার কথা সেটাই। তাহলে তিনি কীভাবে বলেন তার পোস্টে যে, আমি তাকে অ্যাগ্রিমেন্ট (চুক্তি) অনুযায়ী টাকা দেইনি। আপনারা তো ফলাও করে প্রচার করছেন মুভির বাজেট চার কোটি। তাহলে তো মুর্তজার শুটিংয়ে কোনো টাকাই খরচ করেননি’
অনন্ত জলিল আরও বলেন, ‘ইরানে মুভি রিলিজে সময় ডলবি সার্টিফিকেট প্রয়োজন হয় না। তাদের পোস্ট প্রোডাকশন এমনিতেই বেশ উন্নত। মুভি রিলিজের আগ পর্যন্ত আমার ও মুর্তজার সঙ্গে কখনই কোনো খারাপ সম্পর্ক ছিল না। আমি আশা করি, আগামীতেও থাকবে না। যাদের স্বার্থের জন্য তিনি এটা করেছেন, তাদের মুখোশ একদিন ঠিকই মিস্টার মুর্তজা প্রকাশ করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।’
পড়ুন: অনন্ত জলিলের বিরুদ্ধে মামলা করবেন ‘দিন: দ্য ডে’র পরিচালক
দিন- দ্য ডে: ৪ কোটির সিনেমা ১২০ কোটি বলে প্রচার
কোরবানি ঈদে মুক্তি পাওয়া ‘দিন- দ্য ডে’ সিনেমাটির বাজেট ১২০ কোটি টাকা বলে জানিয়েছিলেন চিত্রনায়ক ও প্রযোজক অনন্ত জলিল। সিনেমাটি নিয়ে আলোচনার অন্যতম কারণ ছিল শত কোটি বাজেট। কিন্তু পুরোটাই মিথ্যাচার বলে অবশেষে জানা গেল।
‘দিন- দ্য ডে’র পরিচালক ও প্রযোজক মুর্তজা অতশা জমজম ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টের মাধ্যমে সিনেমাটির চুক্তিপত্র প্রকাশ করেন। যেখানে দেখা যায় সিনেমাটির প্রকৃত বাজেট পাঁচ লাখ মার্কিন ডলার। ২০১৮ সালে হওয়া চুক্তি অনুসারে সিনেমাটির বাজেট বাংলাদেশি মুদ্রায় চার কোটি টাকার বেশি।
মুর্তজা অতশা জমজম পোস্টে বাংলায় লিখেন, ২০১৮ সালে ‘দিন দ্য ডে’ নিয়ে অনন্ত জলিলের সঙ্গে চুক্তিটি সম্পন্ন হয়। চুক্তি অনুযায়ী কথা ছিল অনন্ত জলিল পুরো টাকাটাই বিনিয়োগ করবেন। বিনিয়োগকারী হিসেবে তিনি ছবির লভ্যাংশের ৮৫ শতাংশ নিবেন এবং প্রযোজক হিসেবে আমি ১৫ শতাংশ পাবো।
তিনি আরও লিখেন, চলচ্চিত্রের চুক্তিপত্রে স্পষ্টভাবে উল্লেখ ছিল যে অনন্ত জলিলের অর্থায়নে সিনেমাটি তৈরি হবে (কারণ এই ধারার চলচ্চিত্র ইরানের জনগণের পছন্দের না)। সেই সঙ্গে চুক্তিপত্রে স্পষ্টত তার নামটি এই চলচ্চিত্রের বিনিয়োগকারী ও অভিনেতা হিসেবে এবং আমার নামটি প্রযোজক ও পরিচালক হিসেবে নিবন্ধিত হয়েছে।
সিনেমার বাজেট নিয়ে মুর্তজা জানান, চলচ্চিত্রটির চুক্তি ও বাজেটের পরিমাণ পাঁচ লাখ মার্কিন ডলার ছিল। অর্থাৎ আমরা ইরানি টিম কাজ করব এবং অনন্ত জলিল টাকা খরচ করবেন। চলচ্চিত্রের লভ্যাংশের ৮৫ শতাংশ বিনিয়োগকারীকে এবং ১৫ শতাংশ প্রযোজক হিসেবে আমাকে দেয়া হবে। সিনেমার বাজেট ঘোষণায় উনার দাবির পরিমাণ স্পষ্টভাবে লেখা আছে। তিনি ‘ডে’ সিনেমার নির্মাণ ব্যয় দশ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রচার করেছেন। যদিও তিনি এখন পর্যন্ত খরচের গুরুত্বপূর্ণ অংশ পাঁচ লাখ মার্কিন ডলার পুরোটা পরিশোধ করেননি। যেখানে কি-না দশ মিলিয়ন ডলারের দাবি, মূল বাজেটের প্রায় ত্রিশ গুণ বেশি দাবি!
এমন পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় অনন্ত জলিল গণমাধ্যমে বলেন, ‘আমি পরিচালকের সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত জানাব। কিন্তু তিনি তো বাংলা লিখতে পারেন না। তাই বোঝা যাচ্ছে, বাংলাদেশ থেকে কেউ এটি পরিচালনা করছেন।’
আরও পড়ুন:অনন্ত জলিলের বিরুদ্ধে মামলা করবেন ‘দিন: দ্য ডে’র পরিচালক
অনন্ত জলিলের ছবি ‘দিন-দ্য ডে’র ট্রেইলার প্রকাশ
হাওয়ার প্রদর্শনী বন্ধে আইনি নোটিশ
বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে হাওয়া সিনেমার প্রদর্শনী বন্ধে আইনি নোটিশ দেয়া হয়েছে।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং তথ্য সচিব মো. মকবুল হোসেন ও সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মুহ. সাইফুল্লাহ বরাবর এ নোটিশ পাঠিয়েছেন।
নোটিশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে হাওয়া সিনেমাটির ছাড়পত্র বাতিল করে বাংলাদেশে এবং বাংলাদেশের বাইরে প্রচার, সম্প্রচার ও প্রদর্শন সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পাশাপাশি সেন্সরবোর্ড পুনঃগঠন করে বন্যপ্রাণি অপরাধ দমন ইউনিটের সদস্য, আইনজীবী ও পরিবেশবিদদের সেন্সর বোর্ডের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে ভবিষ্যতে কোনো সিনেমার ছাড়পত্র দেয়ার আগে চলচ্চিত্রটিতে যেন ভায়োলেন্স পূর্ণ খুনের দৃশ্য, গালি এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ এর কোনো ধারার লঙ্ঘন না হয় সে ব্যাপারে বিশেষভাবে দৃষ্টি রাখতে বলা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়েছে, সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পেয়ে গত ২৯ জুলাই দেশের প্রেক্ষাগৃহগুলোতে মুক্তি পাওয়া মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত ‘হাওয়া’ সিনেমায় ট্রলারে থাকা একটি খাঁচায় শালিক পাখি বন্দি অবস্থায় দেখা যায়। এক পর্যায়ে সেটিকে হত্যা করে খাওয়ার দৃশ্য দেখানো হয়েছে।
'হাওয়া’ সিনেমার কয়েকটি দৃশ্য রয়েছে যা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন, ২০১২-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করেছে। বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত এ ধরনের অপরাধের ফলে সাধারণ মানুষ পাখি শিকার, খাঁচায় পোষা ও হত্যা করে খাওয়ায় উৎসাহিত হবে। এই দৃশ্য ধারণের জন্য বনবিভাগের কোনো অনুমতিও নেয়া হয়নি। বন্যপ্রাণী হত্যা এবং খাওয়ার দৃশ্য দেখে মানুষ মনে করতে পারেন যে, এটা করা যায়। তারা এগুলো দেখে উৎসাহিত হতে পারেন। সিনেমা নাটকে ধূমপানের দৃশ্যে যেমন লেখা থাকে যে, এটা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, কিন্তু ‘হাওয়া’ সিনেমার ওই অংশে এই ধরনের কোনো বার্তা ছিল না।
আরও পড়ুন:‘হাওয়া’ এপিঠ ওপিঠে এরফান মৃধা শিবলু
এছাড়া ‘হাওয়া’ সিনেমায় বেশ কয়েকটি খুনের দৃশ্য রয়েছে যা অতি ভয়ঙ্কর তথা ভায়লেন্স পূর্ণ। এছাড়া পুরো সিনেমায় নারী চরিত্রকে নেতিবাচক হিসেবে তুলে ধরার পাশাপাশি অসংখ্য গালি ব্যবহার করা হয়েছে। যা পরিবারের সদস্যরা বিশেষ করে অপ্রাপ্ত বয়স্কদের দেখা মোটেও উচিত নয়। এহেন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শিশু-কিশোররা, তরুণ-তরুণীরা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হতে পারে। যা সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। অথচ ‘হাওয়া’ সিনেমার কোথাও অপ্রাপ্ত বয়স্কদের দেখা নিষেধ এই কথাটিও উল্লেখ নেই। এই ধরনের চলচ্চিত্র শুধু বাংলাদেশেই নয় বর্হিবিশ্বেও প্রচার, সম্প্রচার ও প্রদর্শন হলে বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণার জন্ম দেবে।
নোটিশে আরও বলা হয়, ‘হাওয়া’ সিনেমাটিতে ভায়লেন্স পূর্ণ খুনের দৃশ্য, গালি এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ এর ধারা ৩৮(১), ৩৮(২), ৪০ ও ৪৬ ধারা লঙ্ঘন হলেও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড এর সদস্যরা পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমনকে হাওয়া সিনেমার বিতর্কিত দৃশ্যগুলো কর্তন বা আইন লঙ্ঘনের চিত্র সংস্কার করতে না বলে, বরং হাওয়া সিনেমাটিকে দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে ছাড়পত্র দিয়ে বাংলাদেশের প্রচলিত আইন লঙ্ঘনে এবং সমাজে নেতিবাচক প্রভাব তৈরিতে উৎসাহ দিয়ে সমঅপরাধ সংঘটিত করেছেন।
উল্লেখ্য, এরইমধ্যে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের চার কর্মকর্তা ‘হাওয়া’ সিনেমাটি দেখে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ এর ধারা ৩৮(১), ৩৮(২), ৪০ ও ৪৬ ধারা লঙ্ঘনের সত্যতা পেয়ে ১৭ আগস্ট আদালতে মামলা করেছেন।
আরও পড়ুন:‘হাওয়া’য় মেতেছে দর্শক
মুক্তির আগেই আলোচনায় ‘হাওয়া’
রাজ-পরীর ঘরে এলো পুত্র সন্তান
তারকা দম্পতি পরীমনি ও শরিফুল রাজের সংসারে এলো নতুন অতিথি। বুধবার বিকালে রাজধানীর এক বেসরকারি হাসপাতালে পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন পরী। মা ও ছেলে দুজনই সুস্থ আছেন।
সন্তান আগমনের খবরটি গণমাধ্যমে জানিয়ে শরিফুল রাজ বলেন, ‘এই আনন্দ তো বলে প্রকাশ করার মতো না। সব কিছু ঠিকমতো সম্পন্ন হয়েছে। আমার স্ত্রী ও সন্তানের জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।’
আরও পড়ুন: ফোর্বসে এশিয়ার ১০০ ডিজিটাল তারকার তালিকায় পরীমনি
গর্ভাবস্থায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনাগত সন্তানকে নিয়ে পরীর উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। তাই ভক্তরাও অপেক্ষায় ছিলেন প্রিয় তারকার কোলজুড়ে কবে আসবে নতুন অতিথি। পরী সন্তানের নামও ঠিক করে রেখেছিলেন। কন্যা সন্তান হলে ‘রাণী’ আর পুত্র সন্তান হলে ‘রাজ্য’।
উল্লেখ্য, অন্তঃসত্বা হওয়ার খবর থেকে শরিফুল রাজ ও পরীমনির সম্পর্কের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এরপর জানা যায় গিয়াস উদ্দিন সেলিম নির্মিত চলচ্চিত্র ‘গুণিন’-এর শুটিংয়ে রাজ ও পরী পরিচয় ও প্রেম। অতঃপর ২০২০ সালের ১৭ অক্টোবর পারাবারিকভাবে বিয়ে করেন তারা।
চুড়ি-ফিতা বিক্রেতা মৌসুমী!
অনেকদিন পর আবারও পুরোনো আমেজে ফিরছে ঢালিউড। একের পর এক সিনেমা রয়েছে মুক্তির তালিকায়। আর দর্শকরাও এখন হলমুখী। এরমধ্যে ‘ভাঙন’ শিরোনামে নতুন সিনেমা নিয়ে প্রেক্ষাগৃহে ফিরছেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী।
২০২০-২১ অর্থবছরে সরকারি অনুদানের সিনেমা ‘ভাঙন’ নির্মাণ করেছেন মির্জা সাখাওয়াৎ হোসেন। শিগগিরই সেন্সরবোর্ডে জমা পড়বে। জীবন ঘনিষ্ঠ সাহিত্যনির্ভর ‘ভাঙন’ নির্মিত হয়েছে ‘মোহন গায়েনের বাঁশি’ নামক একটি ছোটগল্প অবলম্বনে। এতে উঠে আসবে এক পুরোনো রেলওয়ে স্টেশনকে কেন্দ্র করে হকার, বংশীবাদক, চুড়িওয়ালী, ভিখেরি, পকেটমার, দালাল, মাদকসেবীসহ কতিপয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মানুষের যাপিত জীবনের কথা।
পড়ুন: ফিল্মমেকিংয়ের চেয়ে বড় কোনো অপরাধ তো আর নাই: ফারুকী