অন্যান্য
জীবনে আমার সব পাওয়া হয়ে গেছে: নচিকেতা
গত বছর ‘তোমাকে চাই’ অ্যালবামের ৩০ বছর পূর্তি ঢাকায় উদযাপন করে গেলেন কবীর সুমন। এবার এলেন নচিকেতা চক্রবর্তী।
১৯৯৩ সালে সংগীতাঙ্গনে যাত্রা শুরু হয়েছিল দুই বাংলার জনপ্রিয় এই গায়ক। তিন দশকে বাংলা গানকে নতুন এক দিগন্ত দিয়েছেন তিনি। জীবনের কথাগুলোকে শ্রোতাদের গান হিসেবে দিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) নচিকেতা চক্রবর্তীর সংগীতাঙ্গনে ৩০ বছর উপলক্ষে ঢাকার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ মিলনায়তনে ‘নচিকেতা লাইভ ইন ঢাকা উইথ জয় শাহরিয়ার’ কনসার্টের আয়োজন করা হয়।
কনসার্টের প্রথম ভাগে মঞ্চে উঠেন সংগীতশিল্পী জয় শাহরিয়ার। এরপর মঞ্চ মাতান নচিকেতা। রাত প্রায় সাড়ে ৮টায় মাইক হাতে গান ধরেন তিনি। কণ্ঠে তোলেন ‘অন্তবিহীন পথে চলাই জীবন, জীবনের মানে নয় তো জীবন’। গান চলার ফাঁকে অনুষ্ঠানে মূল উদ্যোক্তা জয় শাহরিয়ারের প্রশংসা করেন নচিকেতা।
আরও পড়ুন: হেমন্তের সন্ধ্যায় কোক স্টুডিওর সুরে মাতল ঢাকা
তিনি বলেন, ‘জয় আমার খুব প্রিয়। ও ঠিক আমার মতন।’
নচিকেতা আরও বলেন, ‘সংগীতের এই যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৩ সালে। একটু আগেই একজন জিজ্ঞাসা করছিল যে আমার চাওয়া-পাওয়া পূর্ণ হয়েছে কি-না? সেই উত্তরে বলছি, জীবনে আমার সব পাওয়া হয়ে গেছে।’
নচিকেতা গাইতে থাকেন একের পর এক গান। যার সুরে বুঁদ হয়ে ছিলেন উপস্থিত দর্শক। গানের ফাঁকে ফাঁকে চলছে কথা। এক সময় সামনে বসে থাকা দর্শকদের ফোনে ভিডিও করা দেখে খানিকটা বিরক্তি প্রকাশ করেন এই শিল্পী।
নচিকেতা বলেন, ‘এই যন্ত্রটা খুবই বিরক্তিকর। একটা লোক গান গাইছে, তা না শুনে ভিডিও করে যাচ্ছে। এখন যা বলছি, সেটাও ভিডিও করছে। আসলে বুঝতেই পারছে না, কী বলছি।’
এই কনসার্টে নচিকেতার সঙ্গে তবলায় ছিলেন প্রজেনজিৎ, গিটারে ছিলেন রূপক এবং কি-বোর্ডে ছিলেন অর্ঘ্য কমল। প্রায় দেড় ঘণ্টা মঞ্চে পাওয়া যায় নচিকেতাকে। গেয়ে শোনান ১৫টি গান। যেগুলো মধ্যে ছিল রাজশ্রী তোমার জন্য, তুমি আসবে বলেই, দেখে যা অনির্বাণ, আমার ইচ্ছে করে, হয়তো তোমার জন্য, বৃদ্ধাশ্রম, একদিন ঝড় থেমে যাবে ইত্যাদি। আর শেষ হয় তার সবচেয়ে জনপ্রিয় গান ‘নীলাঞ্জনা’ দিয়ে।
আরও পড়ুন: গানটি ইলহামের জন্য লেখা আমার চিঠি: তিশা
হেমন্তের সন্ধ্যায় কোক স্টুডিওর সুরে মাতল ঢাকা
আর্মি স্টেডিয়ামে কনসার্টের আয়োজন মানে বাড়তি এক উন্মাদনা থাকে তরুণদের মধ্যে। বলা যায়, এই প্রাঙ্গণে সঙ্গীতের যে কোনো আয়োজন বেশ সফল। ১০ নভেম্বর (শুক্রবার) এখানে বসে কোক স্টুডিও বাংলার দ্বিতীয়বারের আসর। যা প্রথমবারের চেয়ে আরো বেশি আলোচনায় আসে।
কোক স্টুডিও বাংলার এবারের আসরে দু’টি ভাগে পারফর্ম করেন ১০০ শিল্পী। সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হয় মূল কনসার্ট। তবে দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে দর্শকদের জন্য গেট খুলে দেওয়া হয়। এ সময় উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। যেহেতু এবারের কনসার্ট নিয়ে তরুণদের মধ্যে আগ্রহটা বেশিই ছিল তাই দর্শকদের সংখ্যাটাও ছিল অতিরিক্ত। আর এজন্য বেশ ভোগান্তিও তৈরি হয়।
গানটি ইলহামের জন্য লেখা আমার চিঠি: তিশা
‘আমি জানি না আমার অনুভূতি গুছাইয়া লিখতে পারব কি না। কিন্তু এই গানটা আমাদের জন্য আজীবন একটা বিশেষ কিছু হয়ে থাকবে। প্রফেশনাল এই মিউজিক ভিডিওর কাজে আমাদের ইলহামের প্রথম অ্যাপিয়েরেন্স।’(আমাদের ইলহামের প্রথম কোনো প্রফেশনাল কাজে অ্যাপিয়েরেন্স এই মিউজিক ভিডিওতে।)- কথাগুলো পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী তার সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি গান শেয়ার করে লিখেছেন। যে গানের নাম ‘জোছনার ফুল’।
মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও নুসরাত ইমরোজ তিশার কন্যা ইলহাম নুসরাত ফারুকীকে এই গানের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো কোনো অফিসিয়াল মিউজিক ভিডিতে দেখা গেছে। চরকির অফিসিয়াল পেজে গানটি মুক্তি পেয়েছে ৮ নভেম্বর রাতে।
আরও পড়ুন: আমার একটা প্রশ্ন আছে, অশ্লীল কোনটা?: ইধিকা
গানটি নিয়ে তিশার মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এই গানের প্রতিটা লাইনই আমার অনুভূতির কথা বলেছে। এটা নিয়ে আলাদা করে বর্ণনা দেওয়ার বা বলার কিছু নেই। এই গানের কথাগুলো একটা চিঠি। জোছনার ফুল গানটি ইলহামের জন্য লেখা আমার চিঠি। বৃহৎ অর্থে এটা সব কন্যাদের জন্যই তার মায়ের চিঠি।’
চরকিতে ‘মিনিস্ট্রি অব লাভ’ প্রজেক্টে জনপ্রিয় ১২ জন নির্মাতা ভালোবাসার গল্প নিয়ে ১২টি চরকি অরিজিনাল ফিল্ম বানাচ্ছেন। এই পুরো প্রজেক্টের সার্বিক তত্ত্বাবধানে আছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তিনি নিজে নির্মাণ করেছেন দুটি সিনেমা ‘অটোবায়োগ্রাফি’ ও ‘মনোগামী’।
এরই মধ্যে ‘অটোবায়োগ্রাফি’-এর ফার্স্ট লুক, টিজার মুক্তি পেয়েছে। প্রদর্শিত হয়েছে বুসান ও মুম্বাইয়ের ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে। প্রশংসিত হয়েছে সেখানে। ‘জোছনার ফুল’ গানটি গেয়েছেন ও লিখেছেন শারমিন সুলতানা সুমি। গানের সুর করেছে শারমিন সুলতানা সুমি ও পাভেল আরিন এবং সংগীতায়োজনে ছিলেন পাভেল আরিন।
আরও পড়ুন: কোক স্টুডিও বাংলা ও নচিকেতার কনসার্ট সরাসরি টফিতে
কোক স্টুডিও বাংলা ও নচিকেতার কনসার্ট সরাসরি টফিতে
আগামী ১০ নভেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে দেশের ডিজিটাল বিনোদন প্ল্যাটফর্ম টফির দুইটি কনসার্ট। ওই দিন বিকাল ৩টায় ‘বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়াম’ থেকে এ কনসার্ট সরাসরি সম্প্রচার করবে 'কোক স্টুডিও বাংলা লাইভ ২.০'। এর মাধ্যমে কোক স্টুডিও বাংলার জনপ্রিয় শিল্পীদের মুগ্ধকর পরিবেশনা পৌঁছে যাবে সারা দেশের সংগীত প্রেমীদের কাছে।
'নচিকেতা লাইভ ইন ঢাকা উইথ জয় শাহরিয়ার' সরাসরি সম্প্রচার করা হবে সন্ধ্যা ৭টা থেকে। ১৯৯৩ সাল থেকে সমসাময়িক বাংলা গানের সঙ্গে নচিকেতার তিন দশকের অসাধারণ পথ চলার উদযাপন উপলক্ষে এই কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে। ঘরে বসেই দেশের যেকোনো প্রান্তের শ্রোতাদের তাদের প্রিয় শিল্পীদের সুর ও ছন্দ উপভোগ করার সুযোগ করে দেয় টফি। কনসার্ট দুটি উপলক্ষে টফির শীর্ষ ১০০০ জন দর্শক পাবেন এক্সক্লুসিভ অ্যাক্সেস কুপন, যা তাদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে টফিতে ক্রিকেট বিশ্বকাপ ম্যাচ উপভোগ করার বিশেষ সুযোগ দেবে।
আরও পড়ুন: সর্বোচ্চ আয়কারী ১০ দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্র
টফির মার্কেটিং ডেপুটি ডিরেক্টর মুহাম্মদ আবুল খায়ের চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘টফিতে আমরা ব্যবহারকারীদের বিনোদনের অভিজ্ঞতা আরও উপভোগ্য করতে কন্টেন্টে বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করি। সেই ধারবাহিকতায় কনসার্ট দুইটি সরাসরি সম্প্রচার করবে টফি। আমরা আশা করি, এই উদ্যোগের মাধ্যমে সারা দেশের দর্শকরা তাদের ঘরে বসেই আকর্ষণীয় লাইভ মিউজিক পারফরম্যান্স উপভোগ করতে পারবেন। বিনোদনের অভিজ্ঞতাকে অনন্য উচ্চতায় উন্নীত করতে আমরা আশাবাদী।’
আরও পড়ুন: কোক স্টুডিও বাংলা কনসার্টে মঞ্চ মাতাবেন যারা
আমার একটা প্রশ্ন আছে, অশ্লীল কোনটা?: ইধিকা
‘প্রিয়তমা’ দিয়ে প্রথমবার ঢালিউডের সিনেমায় অভিনয় করেন কলকাতার অভিনেত্রী ইধিকা পাল। এদেশের দর্শকের মাঝে বেশ প্রশংসাও কুড়িয়েছেন তিনি।
তবে সম্প্রতি ইধিকা পালকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছে বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা ডিপজল।
আরও পড়ুন: রাজনীতির মাঠে সরব মাহি
ইধিকা অশ্লীল পোশাক পরেন বলে গণমাধ্যমে মন্তব্য করেন তিনি।
সম্প্রতি ঢাকা সফরে আসেন ইধিকা। গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি ডিপজলের মন্তব্যের জবাব দেন।
তিনি বলেন, ‘তিনি সিনেমার বড় মাপের মানুষ। তাকে নিয়ে তো নতুন করে বলার নেই। তবে একটা কথা বলি। আমার যতদূর ধারণা, উনি আমাকে বলেছেন যে আমি অশ্লীল পোশাক পরি। তার কাছে আমার একটা প্রশ্ন আছে, অশ্লীল কোনটা?’
ইধিকা পাল আরও বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমার যে কটা কাজ আছে, করা হয়েছে; সেখানে কোথাও অশ্লীলতা আছে বলে আমার মনে হয়নি। শুধু পোশাক-আশাক তো অশ্লীল হয় না, অশ্লীল মনও হয়। সোশ্যাল মিডিয়ার প্ল্যাটফর্মে একটা মেয়ের পোশাক-আশাক নিয়ে মন্তব্য করাটাই অশ্লীল আচরণ, আমারটা নয়।’
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার কিরাম আর্টস ফেস্টিভালে বাংলাদেশের পূজা
সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি: তিশা-ফারুকীর জীবনের প্রতিচ্ছবি?
ইন্দোনেশিয়ার কিরাম আর্টস ফেস্টিভালে বাংলাদেশের পূজা
আগামী ৮ নভেম্বর ইন্দোনেশিয়া সরকারের আয়োজনে দেশটির কালিমন্থন প্রদেশে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘কিরাম আর্টস ফেস্টিভাল’।
বাংলাদেশ থেকে সেখানে আমন্ত্রণ পেয়েছেন নৃত্যশিল্পী, নির্দেশক ও তুরঙ্গমীর আর্টিস্টিক ডিরেক্টর পূজা সেনগুপ্ত।
আরও পড়ুন: ১০ নভেম্বর আদর-সায়মা জুটির ‘যন্ত্রণা’ মুক্তি
উৎসবে পূজা সেনগুপ্ত’র একক পরিবেশনায় মঞ্চায়িত হবে তুরঙ্গমীর নতুন প্রযোজনা ‘ম্যাকবেথ’।
তুরঙ্গমীর এই প্রযোজনাটি শিল্পীর ভাবনার আজকের সময়ে শেক্সপিয়রের ম্যাকবেথের প্রাসঙ্গিকতা ও রূপ নিয়ে একটি থিমেটিক পারফরমেন্স আর্ট। যার ভাবনা, নকশা, নৃত্যনির্মাণ ও নির্দেশনা দিয়েছেন পূজা সেনগুপ্ত।
সোমবার (৬ নভেম্বর) উৎসবে যোগ দেওয়ার উদ্দেশ্য রওনা দেন পূজা। এই সফরের পৃষ্ঠপোষকতা করছে ইন্দোনেশিয়া সরকার।
৫ মিনিটের ম্যাকবেথ পরিবেশনার পাশাপাশি পূজা সেনগুপ্ত তার প্রযোজনা নির্মাণের নিজস্ব কৌশলের উপর একটি কর্মশালাও পরিচালনা করবেন, যেখানে অংশগ্রহণ করবেন বিভিন্ন অঙ্গনের আন্তর্জাতিক শিল্পীরা।
উৎসবে বাংলাদেশ ছাড়াও অংশগ্রহণ করছেন-মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, অস্ট্রেলিয়া, হংকং, ইতালি, ঘানা, মেক্সিকো, ভারত, তাইওয়ান, নেদারল্যান্ড, মরক্কো, যুক্তরাজ্য, কম্বোডিয়া, জার্মানি, থাইল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন ও স্বাগতিক ইন্দোনেশিয়ার মূলধারার শিল্পীরা।
আরও পড়ুন: সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি: তিশা-ফারুকীর জীবনের প্রতিচ্ছবি?
রাজনীতির মাঠে সরব মাহি
রাজনীতির মাঠে সরব মাহি
রাজনীতির মাঠে এখন বেশ সরব চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
সোমবার (৬ নভেম্বর) বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধের বিরুদ্ধে এক সমাবেশ আয়োজিত হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জে। সেখানে উপস্থিত হন মাহি।
মাহি সেখানে গণমাধ্যমে বলেন, ‘দেশকে একটি নৈরাজ্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় বিএনপি। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় কয়েক দিন যাবৎ দেখছি। এখানে কোথাও হরতাল-অবরোধের প্রভাব দেখা যায়নি। এখনকার জনগণ আগুন-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ। তারা দেশের উন্নয়ন চায়। আর এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ঠিক রাখতে আবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার প্রয়োজন।’
বিএনপিকে এদেশের মানুষ চায় না উল্লেখ করে মাহি আরও বলেন, ‘আমার ছোট বোনটা যখন বছরের শুরুতেই নতুন বই পায়, দেশের এত উন্নয়ন দেখে, তখন সে এবং তার পরিবার চায়না বিএনপি ক্ষমতায় আসুক। আমার চাঁপাইনবাবগঞ্জবাসী চায়না বিএনপি ক্ষমতায় আসুক। তাই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়তে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নাই। দেশের তরুণেরা শেখ হাসিনার উন্নয়নের মার্কা নৌকাতেই তাদের প্রথম ভোটটি দেবে।’
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে নতুন এক সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন মাহি। কিন্তু প্রযোজকের গণমাধ্যমে এক মন্তব্যের কারণে একদিন শুটিং করে সিনেমাটি থেকে সড়ে যান এই নায়িকা। এমনকি পুরো পারিশ্রমিক ফেরত দিয়ে দেন।
আরও পড়ুন: জামিন পেলেন মাহিয়া মাহির স্বামী রকিব
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জামিন পেলেন মাহিয়া মাহি
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা: অভিনেত্রী মাহিয়া মাহিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে
ঢাকায় ৪ দিনের খেয়াল কর্মশালায় কবীর সুমন
গত বছর ‘তোমাকে চাই’র ৩০ বছর উদযাপন উপলক্ষে ঢাকায় এসেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত গায়ক কবীর সুমন। বছর পার হতেই আবারও ঢাকায় পাওয়া যাবে দুই বাংলার এই জনপ্রিয় তারকাকে।
কবীর সুমন এই খবর নিজেই দিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
সেখান থেকে জানা যায় রবিবার (৫ নভেম্বর) ঢাকায় আসবেন কবীর সুমন। চারদিনের এই সফরের উদ্দেশ্য বাংলা খেয়াল কর্মশালা।
ফেসবুক পেজে কবীর সুমন লিখেছেন, ‘চার দিনের বাংলা খেয়াল কর্মশালার জন্য আজ ঢাকা যাচ্ছি।’
পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি বাংলাদেশেও কবীর সুমনের জনপ্রিয়তাও আকাশচুম্বি। এদেশের অজস্র শ্রোতা নিজেদের ভালোবাসার একজন করে নিয়েছেন কবীর সুমনকে। যিনি মানুষের কথা বলেন। তাই সীমানা পেরিয়ে এই বাংলায় তিনি যতবার এসেছেন ভক্তদের আসমুদ্রহিমাচল ভালোবাসা পেয়েছেন। এই কৃতজ্ঞতা সুমন নিজেও তার বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে প্রকাশ করেছেন।
তাই হয়তো নিজের সবচেয়ে জনপ্রিয় এলবাম ‘তোমাকে চাই’ এর ৩০ বছরপূর্তির উদযাপনের জন্য বেছে নিয়েছেন ঢাকাকে।
গত বছর রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন অব বাংলাদেশ মিলনায়তনে ‘গানওয়ালা’ বহু বছর পর বাংলাদেশের ভক্তদের মুগ্ধ করলেন।
‘গানওয়ালা’র সুর জানিয়ে দিল তিনি এখনও এই বাংলার সঙ্গে তার আত্মাজুড়ে আছে।
সুমনের এই কর্মশালা বা এই চারদিনের পরিকল্পনা নিয়ে এখনও জানা যায়নি। তবে শিগগিরই পাঠকদের জন্য সেই খবরও প্রকাশ করা হবে।
ওই ছেলে হিমুকে রেখে কবে পালিয়ে যেত: হিমুর প্রেমিক প্রসঙ্গে মিহির
সম্প্রতি মারা গিয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী হুমায়রা হিমু। তার মৃত্যুকে ঘিরে তৈরি হয়েছে অনেক রহস্য। এরই মধ্যে তার প্রেমিক জিয়াউদ্দিন রাফিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এবার এই তারকার মৃত্যু নিয়ে কথা বললেন তার মেকআপ আর্টিস্ট মিহির।
রবিবার (৫ নভেম্বর) সকালে আলোচিত মিহির নিজের ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে আসেন। ১৫ মিনিটের সেই লাইভে নিজের অবস্থান সম্পর্কে জানান।
মিহির বলেন, ‘ফেসবুকে আমাকে নিয়ে ঝড় তুলছে কিছু মানুষ। আমি হেন, আমি তেন, আমি ড্রাগ ডিলার। তারপর পুলিশ আমাকে রিমান্ডে নেয় না কেন?’
আরও পড়ুন: মায়ের পাশে সমাহিত হবেন হিমু
তিনি বলেন, ‘আপনারা যে এটা লিখেছেন আপনারা কি জানেন আমি এই তিন দিন কোথায় ছিলাম? আমি হিমুকে বাসা থেকে হাসপাতালে নিয়ে গেছি, যখন ডাক্তার ঘোষণা দিয়েছে যে হিমু মৃত, সঙ্গে সঙ্গে হিমুর বয়ফ্রেন্ড দুটি মোবাইল নিয়ে পালিয়ে গেছে। তারপর হিমুর খালারা আসছে, আমরা থানায় গিয়েছি, স্টেটমেন্ট দিয়েছি। তখন থেকে আমি কালকে (শনিবার) পর্যন্ত থানায় বসা ছিলাম। শনিবার সকালে ওসি আমাকে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে পুরান ঢাকা পাঠাইছেন। ওখানে গিয়ে আমি ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে সাক্ষী দিই। তারপর ম্যাজিস্ট্রেট আমাকে বলেছেন যে ঠিক আছে আপনি এখন যেতে পারেন। এসআই সাব্বির ভাই বলল আপনার আর কোনো কাজ নেই আপনি যেতে পারেন। এই তিন দিন ধরে আমাকে থানায় বসিয়ে রাখা হয়েছে, নজরবন্দিতে রাখা হয়েছে। আমার ফোন টেপ করা হয়েছে। আমাকে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করা হয়েছে। হাজার হাজার প্রশ্ন করা হয়েছে।’
প্রয়াত অভিনেত্রী তাজিন আহমেদের কথা উল্লেখ্য করে মিহিরি বলেন, ‘তাজিন আপা মরছে আমি ছিলাম, হিমু মরছে আমি ছিলাম এ বিষয়টি আপনাদের ভাবিয়ে তুলছে। এই পাঁচ বছরের ব্যবধানে দু’জন মানুষ মরছে আমি ছিলাম। এরা আমার নিকট আত্মীয় ছিল, ফ্যামিলি মেম্বারের মতো।’
তিনি বলেন, ‘তাজিন আপা আমাকে বলত মুন্নার সঙ্গে আমার যখন বিয়ে হইছে তোর মতন ছেলে হইত আমার। তাজিন আপা আমাকে নিজের ছেলের মতো সম্বোধন করত। তাজিন আপার বাসায় ছিলাম বলে আমি আপাকে নিয়ে হাসপাতালে গেছি। চিকিৎসা করাইছি। চিকিৎসা করতে গিয়ে উনি তিন-চার ঘণ্টা, পাঁচ ঘণ্টা পরে মারা গেছেন। আর না হলে তো তাজিন আপা স্ট্রোক করে বাসায় মরে পড়ে থাকত। সাতদিন ধরে দরজা বন্ধ থাকত পরে লাশ বের করতে হইত। আপনারা খবর পাইতেন। আমি ছিলাম বলে এরকম কিছু হয়নি। এটা কেউ বলে না যে, তুই ছিলি বলে আমরা তাজিন আপারে ফ্রেশ তরতাজা দাফন করতে পারছি।’
হিমুর প্রেমিকের প্রসঙ্গ টেনে মিহির বলেন, ‘আমি না থাকলে হিমুর বয়ফ্রেন্ড তাকে ঘরের ভেতর ঝুলাইয়া রাইখা দরজা বন্ধ কইরা পালাইয়া যাইত। এটা কি হতো না? এটা তো কেউ বলেন না যে, তুই ছিলি বলে হিমুকে আমরা বের করে আনতে পারছি বা ওকে ধরতে পারছে পুলিশ। হিমুর বয়ফ্রেন্ড ইন্ডিয়ান। না হলে তো ওই ছেলে হিমুকে রেখে কবে পালাইয়া যাইত। ঠান্ডা মাথায় পলাইয়া যাইত। আমি ভালো করছি এটা কেউ বলে না। সব খারাপ করছি, আমি রাবন। আমাকে পারলে ফাঁসি দিয়ে দেন। আপনারা একটা মানুষ আছেন, কেউ আছেন যে আমার পাশে দাঁড়াবেন। আমার খোঁজ নিয়েছেন। আমি কেমনে আছি, আমার মানসিক যন্ত্রণা হচ্ছে। আমি মানুষ না। আমার কষ্ট হচ্ছে না হিমু আমার বোনের মতো, মরে গেছে, আমার কি ভেতরে সুখ লাগতেছে, আমার ভালো লাগতেছে। আমাকে নিয়ে বাজে কথা বলার জন্য সকলে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন।’
আরও পড়ুন: সিনেমা নির্মাণের অনুপ্রেরণা পাচ্ছি না: অমিতাভ রেজা
মিহির বলেন, ‘হিমু মরছে আমি ছিলাম। এখন আমি করছি না ওই ছেলে করছে সেটা তো ওই ছেলে নিজেই স্বীকার করছে। তারপরও কেন আপনাদের ভেতর এত দ্বিধাদ্বন্দ্ব যে মিহির ছিল। মিহির ছিল বলেই তো ফ্রেশ হিমুরে বের করে হাসপাতালে নিয়ে আসছে। আমি উপকার করছি এই জন্য আমাকে সকলে মিলে ফাঁসি দিয়ে দেন। আমার কেউ নেই তো, কোনো বড় লেভের মানুষ নেই যে আমাকে সাপোর্ট দেবে, ব্যাকআপ দেবে। আমি মনে করতাম মিডিয়া আমার ফ্যামিলি, আমি কাজ করি, সবাই আমার পরিবার, আমি যখন যেখানে কাজ পাই তাদের জন্য মন থেকে কাজ করি। এমনকি অতিরিক্ত কাজও করে দেই। তাদের যে কাজ আমার করার না এগুলোও আমি করি শুটিংয়ের সেটে। আমি সেটে সবাইকে আপন করার চেষ্টা করি। সবাইকে ভালো করে সার্ভিস দেই। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি এত বছরের সার্ভিসে। আমার ভুলটা কোথায় একজন বের হন, একজন গাইড করেন আমাকে। তা না খালি আমাকে নিয়ে বড় বড় কথা আর বদনাম করবেন, করেন। আমি যদি কোনো ধরনের খারাপ কাজ করতাম তাহলে ভয়ে পালাইয়া যাইতাম। আমার ভেতরে ভয় লাগে না। আমার ভেতরে ঘেন্না লাগছে, ভেতরে কষ্ট হচ্ছে। আপনাদের জন্য মায়া হচ্ছে যে, আপনারা এতটা নেগেটিভ যে আপনারা মানুষকে নিয়ে ভাবতে পারেন না। মানুষের সাহায্য করতে পারেন না।’
আরও পড়ুন: সর্বোচ্চ আয়কারী ১০ দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্র
সিনেমা নির্মাণের অনুপ্রেরণা পাচ্ছি না: অমিতাভ রেজা
নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরীর নতুন কাজ মানেই আলোচনা। যদিও ওয়েব সিরিজ ‘বোধ’ এর সেই আলোচনা নেই অনেকদিন। অন্যদিকে নতুন সিনেমা নির্মাণের কোনো খবর নেই এই নির্মাতার।
নতুন সিনেমা নিয়ে পরিকল্পনা জানতে চাইলে অমিতাভ রেজা ইউএনবিকে বলেন, ‘আসলে সিনেমা বানানো তো সবচেয়ে আনন্দের কাজ। কিন্তু দর্শকদের রুচি ও মনন যেদিকে যাচ্ছে এতে সিনেমা নির্মাণের অনুপ্রেরণা পাচ্ছি না। তবে ওটিটিতে কাজ করছি। গল্প নিয়ে এখন কাজ চলছে। সামনে হয়তো কিছু জানাতে পারব।’
এদিকে সম্প্রতি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২২ এর ঘোষণা এসেছে। এরই মধ্যে সবারই জানা কারা রয়েছেন এবারের সেরাদের তালিকায়। পুরস্কারের সবগুলো বিভাগের মতো সিনেমার টেকনিক্যাল দিকগুলোতে এবারের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের বিচারটা আরও গুরুত্ব পাওয়ার প্রয়োজন ছিল বলে মনে করছেন অমিতাভ রেজা।
তিনি বলেন, ‘সিনেমার সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। একটি বিষয় আমার অবাক লাগে এবার যেভাবে শিল্প নির্দেশনা বা চিত্রগ্রাহক বিভাগগুলোতে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে সেভাবে টেকনিক্যাল জায়গায় বিচারটা ঠিকমতো হয়নি আমার মনে হয়। কিছুদিন আগেই এফডিসির এক পুরস্কার অনুষ্ঠানের আমি জুড়ি ছিলাম। সেখানে সবগুলো সিনেমাই আমার দেখা হয়েছে। সেই জায়গা থেকে বলছি।’
এ ছাড়াও জয়া আহসানের সেরা অভিনেত্রী হওয়া নিয়ে অমিতাভ বলেন, ‘জয়া আহসান একজন দারুণ অভিনেতা। কিন্তু বিউটি সার্কাসে তিনি শতভাগ দিয়ে অভিনয় করতে পেরেছেন বলে আমার মনে হয় না। কারণ দুই থেকে তিন বছর ধরে সিনেমাটি নির্মাণ করা হয়েছে। একজন অভিনেতার জন্য এতদিন ধারাবাহিকতা ধরে রাখা কঠিন। তিনি যে অভিনয় খারাপ করেছেন সেটি একদমই নয়। আমি বলছি তার আরও ভালো করার সুযোগ ছিল।’