%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A7%8D%E0%A6%AA-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%83%E0%A6%A4%E0%A6%BF
‘ধারণার চেয়েও বেশি’: মধ্যযুগে বাংলায় হাবশি শাসন এবং আফ্রিকা-ভারত সংযোগ সম্পর্কে ডা. কেনেথ রবিন্স
বাংলায় হাবশী রাজবংশের চমকপ্রদ ইতিহাস (১৪৮৭ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৪৯৩ খ্রিস্টাব্দ) তুলে ধরে বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক গবেষক, আর্কাইভিস্ট ও কিউরেটর ডা. কেনেথ এক্স রবিন্স বলেছেন, দক্ষিণ এশিয়ার বিশেষ সময়ের ইতিহাস যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ‘বাংলায় ও দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য জায়গায় আফ্রো-দক্ষিণ এশীয় রাজবংশের উল্লেখযোগ্য ও গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় রয়েছে। ধর্ম, বর্ণবাদ, সঙ্গীত ইত্যাদি সম্পর্কিত আকর্ষণীয় গল্প রয়েছে। ইতিহাসবিদদের এই সমস্ত ইতিহাস এক করতে হবে।’
বৃহস্পতিবার এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ-এ দেয়া জাতীয় অধ্যাপক আতোয়ার হোসেন মেমোরিয়াল লেকচার-২০২৩ এ দেয়া বক্তৃতায় ডা. রবিন্স এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘হাবশী শাসক ও তাদের কার্যকলাপ সম্পর্কে বিবিন্ন গল্প প্রচলিত আছে, যেমন- মালিক আন্দিল (সুলতান সাইফুদ্দিন ফিরুজ শাহ) । (আমরা শুধু জানি) তিনি জনগণের প্রতি খুব উদার ছিলেন কিন্তু আসলে তিনি কী করেছিলেন তা আমরা জানি না। তার ছেলে শামসুদ্দিন মোজাফফর শাহ তার স্থলাভিষিক্ত হন এবং তিনি এই বংশের শেষ শাসক। তিনিও একজন দানশীল ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
আফ্রিকানদের বাংলায় মসজিদ নির্মাণ ও তাদের সংস্কৃতিকে এঅঞ্চলে বিস্তারের বিভিন্ন গল্পও আমরা জানি। এই সবই খুব চমকপ্রদ …এগুলো বাংলার ইতিহাসের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি এসময় ভারত মহাসাগরের পাড়ের বাঙালি ও আফ্রিকানদের বিষয়ে লেখা একটি বইয়ের কথা উল্লেখ করেন। যে বইটি তিনি নিজে, কসমস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক নাহার খান এবং লখনৌ ও এর সংস্কৃতি বিষয়ে অভিজ্ঞ ব্রিটিশ স্কলার ড. রোজি লেভেলিন-জোনস এমবিই মিলে সম্পাদনা করেছেন।
বইটিতে বাংলার আফ্রিকান অভিজাত,বাংলার গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র, বিদেশে বাঙালি এবং বাঙালি মুসলমান বংশোদ্ভূত আমেরিকান সঙ্গীতশিল্পী বরদু আলীর মতো সঙ্গীতঙ্গের নামে কয়েকটি অধ্যায় রয়েছে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় অধ্যাপক আতোয়ার হোসেন ট্রাস্ট ফান্ড ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি মফিদুল হক।
আরও পড়ুন: 'ব্রেভহার্ট': বঙ্গবন্ধুকে গ্যালারি কসমসের শৈল্পিক শ্রদ্ধা নিবেদন
থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপনে কক্সবাজারে পর্যটকদের ভিড়
এবারও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত কক্সবাজার। ৩১ ডিসেম্বরকে ঘিরে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকতের শহর কক্সবাজার যেন পর্যটকের মেলায় পরিণত হবে।
বছরের এই দিনটিতে তরুণ-তরুণীরা হইচই আর আনন্দ-উল্লাসে মেতে ওঠে। বাদ যান না শিশু আর প্রবীণরাও।
আর তাই শহরের হোটেল-মোটেল ও পর্যটন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো আলাদা করে প্রস্তুত রয়েছে। ইংরেজি নতুন বছরকে বরণে বিভিন্ন হোটেলে থাকছে ইনডোর আয়োজন। তবে কয়েক বছরের মতো এবারও সমুদ্রসৈকতসহ আউটডোরে কোনো আয়োজন নেই।
ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম আনু জানান, ইংরেজি বছরের শেষ দিন মানে থার্টি ফার্স্ট। দেশের সব পর্যটকদের দৃষ্টি থাকে কক্সবাজারে। কারণ সৈকতে ২০২২ সালের শেষ সূর্যাস্ত উপভোগ এবং বিদায় জানাতে এবং নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে রোমাঞ্চকর অনুভূতি কক্সবাজার থেকে পাওয়া যায়। তাই ইতোমধ্যে কক্সবাজারে পর্যটকরা চলে এসেছে। পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত কক্সবাজারও।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাইরে বড় কোনো অনুষ্ঠান না থাকলেও বিভিন্নভাবে বড় পরিসরে থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন হবে কক্সবাজারে। শেষ সূর্যাস্তকে বিদায় ও রাতে বিভিন্ন হোটেলের ইনডোরে নতুন বছরকে বরণ করতে থাকছে নানা আয়োজন।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল ও গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার জানান, নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে লাখো পর্যটকের সমাগম ঘটতে পারে। সে বিষয়কে কেন্দ্র করে হোটেল-মোটেল ও গেস্টহাউসগুলো আলাদা করে প্রস্তুতি নিয়েছে।
তিনি আরও জানান, নববর্ষের সাজসজ্জাসহ নানা ধরনের কারুকার্য সম্পন্ন করেছে। থার্টি ফাস্ট নাইটকে ঘিরে ২৯ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকরা আসছেন। ৩০ ডিসেম্বর থেকে প্রায় ৭০ ভাগ হোটেলের রুম বুকিং হয়ে গেছে। তবে অন্যান্য বছর থার্টি ফাস্ট নাইটের, অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বরের আগে ২৭ ডিসেম্বরের মধ্যে শতভাগ বুকিং হয়ে যায়। আউটডোরে অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকলে শতভাগ পর্যটক ভরপুর থাকতো।
আবুল কাশেম সিকদার জানান, তারকামানের হোটেলগুলোতে বরাবরের মতোই ফুল বুকিংয়ের প্রত্যাশা রয়েছে। সবকটি তারকা হোটেল থার্টি ফার্স্ট নাইটের বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এসব অনুষ্ঠানের জন্য অগ্রিম টিকিটও বিক্রি শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
ইনানীর তারকা হোটেল রয়েল টিউলিপের এজিএম নাভেদ চৌধুরী বলেন, ১ জানুয়ারি পর্যন্ত আমাদের হোটেল শতভাগ অগ্রিম বুকিং রয়েছে। থার্টি ফার্স্ট নাইট ও নতুন বছর বরণে নানা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। দুইজন তারকা শিল্পী অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করবেন।
একইভাবে তারকামানের হোটেল ওশ্যান প্যারাডাইস, কক্স টুডে, সায়মন বিচ ও লং বিচেও নানা জমকালো আয়োজন থাকবে বলে জানা গেছে। এছাড়া আরও কিছু বড় মানের হোটেলেও নানা অনুষ্ঠান থাকবে।
জেলা প্রশাসন ও পুলিশ জানিয়েছে, নতুন বছর বরণকে কেন্দ্র করে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। একইভাবে জেলা প্রশাসন বিশেষ মনিটরিং সেল গঠন করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকবে।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান বলেন, সরকারিভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এবারও উন্মুক্ত স্থানে থার্টি ফার্স্ট নাইটের কোনো আয়োজন করা যাবে না। তাই কক্সবাজারেও কাউকে উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হয়নি।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার জিল্লুর রহমান জানান, কক্সবাজারে সাড়ে চারশ’ আবাসিক হোটেলে প্রায় দেড় লাখ লোক রাত্রিযাপন করতে পারেন। নিরাপত্তার স্বার্থে প্রতিটি হোটেলে সিসিটিভি ক্যামেরা নিশ্চিত করা হয়েছে।
তিনি জানান, ১ জানুয়ারি থেকে সেন্টমার্টিন জাহাজ চলাচল শুরু হলে সেখানে ও হিমছড়ি, ইনানী ও পাটুয়ারটেক জোনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হবে।
জেলা প্রশাসক মো. শাহীন ইমরান বলেন, কক্সবাজার শুধু দেশের নয় পৃথিবীর একটি আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র। তাই যেকোনো বিশেষ দিন উপলক্ষে কক্সবাজারে পর্যটকের ভিড় থাকে। এবারও পর্যটকরা থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে কক্সবাজারমুখী হবে বলে প্রত্যাশা করছি।
তিনি আরও বলেন, পর্যটকদের সেবার মান বাড়াতে এবং সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। মনিটরিং কমিটি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করবে।
আরও পড়ুন: নিঝুম দ্বীপ ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
বড়দিন উদযাপনে পাহাড়ে খ্রিস্টান পল্লীতে উৎসবের আমেজ
বড়দিন উদযাপনে পাহাড়ে খ্রিস্টান পল্লীতে উৎসবের আমেজ
রবিবার (২৫ ডিসেম্বর) শুভ বড়দিন। পাহাড়ের খ্রিস্টান পল্লীগুলোতে বড়দিন উদযাপনে এখন উৎসবের আমেজ। পাহাড়ি জনপদ রাঙামাটির খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে চলছে নানা আয়োজন। বড়দিন উপলক্ষে গির্জাগুলোকে ফুল দিয়ে আকর্ষণীয় নানা রঙে সাজানো হয়েছে। গির্জায় গির্জায় করা হয়েছে আলোকসজ্জা।
রাঙামাটি জেলাসহ প্রত্যন্ত এলাকায় খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের গ্রামগুলো লাল, নীল বর্ণাঢ্য সাজে সাজানো হয়েছে। এছাড়া ক্রিসমাস ট্রি, ধর্মীয় প্রার্থনা, বাইবেল পাঠ, যিশুর জন্মের সে গোশালাও তৈরি করা হয়েছে।
গির্জাগুলোও সাজানো হয়েছে নানান সাজে। আর ঘরের ওপরে টাঙানো হয়েছে রঙিন কাগজে বানানো তারা চিহ্নিত আলোক সজ্জা। বসতবাড়ির আঙ্গিনায়ও দেখা গেছে নানা রঙের কারুকাজ।
এছাড়া শহরের তবলছড়ি বন্ধু যীশু টিলা গির্জায় দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে এ উৎসবে মেতে উঠেছে বাঙালিরাও। আর বড়দিন উপলক্ষ্যে কেক কেটে রাঙ্গামাটিসহ প্রত্যন্ত এলাকায় উৎসবের সূচনা করবে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা।
গত দুই বছর করোনার কারণে স্বল্প পরিসরে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা বড়দিন পালন করলেও এ বছর করোনার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় এবার স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দুরত্ব মেনে আনন্দঘন পরিবেশে বড়দিন উদযাপন করছে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা। শিশুরা মেতে উঠেছে বড়দিনের আনন্দে।
আরও পড়ুন: রবিবার শুভ বড়দিন
রাঙামাটি শহরে সাতটি খ্রিস্টান পল্লী রয়েছে। এরমধ্যে আসামবস্তি, নতুনবস্তি, বন্ধু যীশুটিলা ও রির্জাভমুখসহ অন্যান্য গ্রামের মানুষ গির্জায় প্রার্থনা করে নানা আয়োজনে প্রভু যীশুর জন্মদিনের উৎসব পালনে ব্যস্ততার মধ্যে দিন অতিবাহিত করছে।
বড়দিন উদযাপনে পাহাড়ের খ্রিস্টান পল্লী গুলোতেও চলছে উৎসবের আমেজ। রাঙামাটিসহ কাপ্তাই চন্দ্রঘোনা, বাঘাইছড়ি সাজেক ইউনিয়ন ও বিলাইছড়ির পাংখোয়া পাড়ায় খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী পাংখোয়া ও খিয়াং সম্প্রদায়ের মানুষ বড় দিন উদযাপন করতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। আবার কেউ কেউ এলাকায় আয়োজন করেছে প্রীতিভোজের।
অন্যদিকে, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বড়দিন উপলক্ষে রাঙামাটি আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে প্রশাসন।
খ্রিস্টান পল্লীগুলোর আশে-পাশে পুলিশের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
রাঙামাটি ক্যাথলিক চার্চপাল পুরোহিত ফাদার মাইকেল রয় জানান, ‘ঈশ্বরের আশীর্বাদ রূপে যীশু এসেছিলেন মানবতার কল্যাণে মানবজাতিকে অন্ধকার থেকে আলোর পথ দেখাতে। পাহাড়ে শান্তির বার্তা নিয়ে আসবে প্রভু যীশুর জন্মদিন। করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে উৎসাহ-উদ্দীপনা ও যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় জেলা শহরসহ রাঙ্গামাটির বিভিন্ন গির্জায় বড়দিন উদযাপিত হবে। এ উৎসবের মধ্যে মিশে যাবে সকল হিংসা, সংঘাত। সৃষ্টি হবে সম্প্রীতি মেলবন্ধন।
দেশের উন্নয়ন, সমৃদ্ধির পাশাপাশি পাহাড়ের শান্ত পরিস্থিতি ও করোনার পরিস্থিতিতে সকল মানুষ যাতে সুস্থ ও শান্তিতে বসবাস করতে পারে প্রভু যীশুর জন্মদিনে এমনটাই প্রার্থনা করছে সকলে।’
আরও পড়ুন: বড়দিন উদযাপন উপলক্ষে বরিশালের ১শ গীর্জায় কঠোর নিরাপত্তা
গাজীপুরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বড়দিন উদযাপিত
রবিবার শুভ বড়দিন
যীশু খ্রিস্টের জন্মকে স্মরণ করতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো রবিবার দেশের খ্রিস্টান সম্প্রদায় বড়দিন উদযাপন করবে।
খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় উৎসবটি হলো যীশু খ্রিস্টের পুনর্জন্ম উদযাপন, একটি নতুন সূচনা, ক্ষমা ও শান্তি এবং ঈশ্বর ও মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করা।
রঙিন বাতি দিয়ে ক্রিসমাস ট্রি সাজানো, বিশেষ প্রার্থনা, শিশুদের মধ্যে উপহার বিতরণ এবং আনন্দ বার্তা আদান-প্রদান এ উৎসবের প্রধান বৈশিষ্ট্য।
সারা দেশের গীর্জাগুলোতে প্রার্থনা সেশনের আগে ও পরে ক্রিসমাস ক্যারোল ও স্তোত্র গাওয়া হবে।
শনিবার বড়দিন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তার বার্তায় বলেছেন, ‘খ্রিস্টান সম্প্রদায়সহ সবার জন্য বড়দিন বয়ে আনুক অনন্ত আনন্দ ও কল্যাণ। সকলের জীবন সুখ ও সমৃদ্ধিতে ভরে উঠুক।’
আরও পড়ুন: বড়দিন উদযাপন উপলক্ষে বরিশালের ১শ গীর্জায় কঠোর নিরাপত্তা
প্রধানমন্ত্রী এ উপলক্ষে খ্রিস্টান সম্প্রদায়সহ সকল নাগরিকের শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন এবং একটি সমৃদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক ও শান্তিপূর্ণ জাতি গঠনে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার আহ্বান জানান।
এ উপলক্ষে রবিবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি এক সংবর্ধনার আয়োজন করবেন।
সচিব, সামরিক সচিব এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, ধর্মীয় নেতা ও পেশাজীবীরা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
পরে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ অতিথিদের সঙ্গে এক চা পার্টিতে যোগ দেবেন।
বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার এবং বিভিন্ন বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও রেডিও স্টেশন দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বড়দিন উদযাপিত
বড়দিন: বেনাপোল-পেট্রাপোল দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
শত দেশের হাজার চলচ্চিত্র নিয়ে ৩য় সিনেমাকিং চলচ্চিত্র উৎসব ফেব্রুয়ারিতে
দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম মর্যাদাবান সিনেমাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের (সিআইএফএফ) ৩য় অধিবেশন ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার সিআইএফএফ প্রতিষ্ঠাতা ও উৎসব পরিচালক মনজুরুল ইসলাম মেঘ এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, উৎসবটি হওয়ার কথা ছিলো ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে, পরবর্তীতে সময় পরিবর্তন করা হয়।
মনজুরুল ইসলাম মেঘ বলেন, ৩য় সিনেমাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে শতদেশের হাজার চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতা করছে, ১০০০ চলচ্চিত্রের প্রযোজক ও পরিচালককে ইতোমধ্যেই আমরা ইমেইলের মাধ্যমে সিলেকশনের বিষয়ে নিশ্চিত করেছি।
মেঘ আরও জানান, বিভিন্ন দেশের ডেলিগেটরা এইবার অংশগ্রহণ করবে, সেইভাবেই আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। পৃথিবীর বড় বড় উৎসবের পুরস্কারপ্রাপ্ত সিনেমাগুলো আমাদের উৎসবে জমা পড়েছে, আমরা সে সব চলচ্চিত্র সেন্সর করে বাংলাদেশের দর্শকদের দেখাতে চাই। এই অধিবেশনের আয়োজনটা বড়, এর আগে এশিয়া মহাদেশের কোন চলচ্চিত্র উৎসবে হাজার চলচ্চিত্র সিলেকশন হয়নি। আমরা এই রেকর্ড গড়তে চাই। তাই সুন্দর আয়োজনের জন্য আমাদের কিছু বাড়তি সময় প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, ২য় সিনেমাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ১২১টি দেশ অংশগ্রহণ করেছিলো। সিআইএফএফ অধিবেশন দক্ষিণ এশিয়ায় অনুষ্ঠিত উৎসগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেশ অংশগ্রহণ করা চলচ্চিত্র উৎসবের রেকর্ড গড়ে এবং বাংলাদেশে সর্বকালে সবচেয়ে বেশি দেশের অংশগ্রহণে আন্তর্জাতিক উৎসবের খেতাবপ্রাপ্ত হয়।
আরও পড়ুন: কসমস ফাউন্ডেশনের প্রদর্শনীতে আলেকজান্দ্রু পোটেকা ও নিপার শিল্পকর্ম
উৎসব পরিচালক মনজুরুল ইসলাম মেঘ জানিয়েছেন, দেশের সবচেয়ে বড় মেগাপ্রজেক্ট বাস্তবায়ন করায় ৩য় সিনেমাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব উৎসর্গ করা হবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে। এই উৎসবের মাধ্যমে শতাধিক দেশের চলচ্চিত্র নির্মাতা, প্রযোজক, অভিনেতা-অভিনেত্রী, কলাকুশলীদের কাছে পদ্মা সেতু তুলে ধরা হবে। এইবার উৎসবের থিম সাজানো হয়েছে পদ্মা সেতু।
উৎসব পরিচালক জানান, ২য় সিনেমাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে চারটি আন্তর্জাতিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। এইবারের উৎসবে আন্তর্জাতিক সেমিনারের পাশাপাশি, মাস্টারক্লাস, ওপেন ফোরাম অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়াও আগামী মার্চ মাস থেকে নিয়মিত প্রত্যেক মাসে আট বিভাগে আটটি বিভাগীয় চলচ্চিত্র উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের নির্মাতাদের চলচ্চিত্র নিয়ে স্পেশাল উৎসব।
উল্লেখ্য, বাংলা চলচ্চিত্র সারাবিশ্বে পরিচিত করতে এবং বিভিন্নি দেশের সংস্কৃতির সঙ্গে বাংলাদেশের দর্শকদের পরিচয় করিয়ে দিতে ২০১৮ সালে যাত্রা শুরু করে ২০২০ সালে থেকে নিয়মিতো এই উৎসবের আয়োজন করে আসছে ঢাকা ফেস্টিভাল।
১ম সিনেমাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০২০ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে উৎসর্গ করা হয়েছিলো।
২য় সিনেমাকিং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০২১ এ বিশ্বের ১২১ টি দেশ অংশগ্রহণ করেছিলো, উৎসর্গ করা হয়েছে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধাদের’।
আরও পড়ুন: আলোকচিত্র প্রদর্শনী 'প্রত্যাশা: অভিবাসীদের আশা' শুরু মঙ্গলবার
ঢাকায় ১৯তম এশিয়ান আর্ট বিয়েনালের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর
কসমস ফাউন্ডেশনের প্রদর্শনীতে আলেকজান্দ্রু পোটেকা ও নিপার শিল্পকর্ম
রোমানিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছরপূর্তি এবং রোমানিয়ার ১০৪তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে কসমস ফাউন্ডেশন এক বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে।
সোমবার রাতে রাজধানীতে বাংলাদেশে রোমানিয়ার অনারারি কনসাল এবং ইউএনবি ও ঢাকা কুরিয়ার-এর প্রধান সম্পাদক এবং কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতউল্লাহ খানের বারিধারার বাসভবনের গার্ডেন গ্যালারিতে বিশেষ এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।
এনায়েতউল্লাহ খান এবং ভারত, নেপাল ও বাংলাদেশে রোমানিয়ার রাষ্ট্রদূত ড্যানিয়েলা সেজোনভ টেনের আয়োজিত এই প্রদর্শনীতে রোমানিয়ার শিল্পী-ভাস্কর আলেকজান্দ্রু পোটেকা পরিদর্শন করা সাতটি অনন্য শিল্পকর্ম এবং প্রখ্যাত বাংলাদেশি শিল্পী মাকসুদা ইকবাল নিপার দশটি চিত্রকর্ম প্রদর্শন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক ও ব্যবসায়ী নেতারাসহ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা যোগ দেন।
ইভেন্টটি সম্পর্কে এনায়েতউল্লাহ খান বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, কারণ আমরা আমাদের বন্ধুত্বের ৫০ বছর উদযাপন করছি। রোমানিয়ার সঙ্গে আমাদের অংশীদারিত্ব উদযাপন করছি। শিল্পীরা একটি মহান জাতি, চিত্রশিল্পীরাও একটি মহান জাতি এবং এটি আমাদের।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে শিল্পকর্ম প্রদর্শনীতে মুগ্ধ বৃটেন ও তুরস্কের রাষ্ট্রদূত
আলোকচিত্র প্রদর্শনী 'প্রত্যাশা: অভিবাসীদের আশা' শুরু মঙ্গলবার
টেকসই পুনর্মিলন, নিরাপদ অভিবাসন এবং অভিবাসন শাসন সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এবং জনসাধারণকে বোঝানোর জন্য ‘প্রত্যাশা: অভিবাসীদের জন্য আশা’ শীর্ষক একটি ফটো প্রদর্শনীর আয়োজন করবে ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) ।
নিরাপদ অভিবাসন, টেকসই পুনঃএকত্রীকরণ, এবং অভিবাসন শাসনের বিষয়গুলো সম্পর্কে মানুষকে জানানো এবং সচেতন করার জন্য গল্প বলা একটি কার্যকর হাতিয়ার।
আরও পড়ুন: আগা খান স্থাপত্য পুরস্কার জিতেছে বাংলাদেশের ২ প্রকল্প
এই প্রদর্শনীটি অভিবাসন-সম্পর্কিত বিভিন্ন গল্পকে একত্রিত করবে যা আমাদের জটিল অভিজ্ঞতা বুঝতে এবং বাংলাদেশে অভিবাসনের কিছু সুযোগ ও চ্যালেঞ্জকে প্রাসঙ্গিক করতে সাহায্য করবে।
সোমবার আইওএম বলেছে, এটি অভিবাসন এবং এর জটিলতাগুলো বুঝতেও সাহায্য করবে।
এছাড়াও, গল্পগুলো প্রত্যাশা প্রকল্পের অধীনে প্রত্যাবর্তনকারী অভিবাসীদের নিরাপদ অভিবাসন এবং টেকসই পুনঃএকত্রিতকরণের কাজের প্রভাব এবং ফলাফল উপস্থাপন করবে।
মঙ্গলবার বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ছবির প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
এছাড়াও, ইভেন্ট চলাকালীন পট গান, গানের পরিবেশনা, শর্ট ফিল্ম এবং কুইজ সমন্বিত একটি ইনফোটেইনমেন্ট শো অনুষ্ঠিত হবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে ‘বাংলাদেশ: সাসটেইনেবল রিইন্টিগ্রেশন অ্যান্ড ইম্প্রুভড মাইগ্রেশন গভর্ন্যান্স (প্রোতাশা) প্রকল্পের আওতায় এই আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।
আইএমও ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনায় এবং ব্র্যাকের সঙ্গে অংশীদারিত্বে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে আসছে।
আরও পড়ুন: সাংস্কৃতিক চীন: কাল ও দেশের সীমা পেরিয়ে চীনা চায়ের সুবাস
টাকা কীভাবে এলো? মানব সভ্যতায় টাকার ইতিহাস
৫ নারীর হাতে বেগম রোকেয়া পদক তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
সমাজ, নারী শিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়নে অসামান্য অবদানের জন্য পাঁচ নারীর হাতে বেগম রোকেয়া পদক ২০২২ তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের ১৪২তম জন্ম ও ৯০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে পদক বিতরণ করেন শেখ হাসিনা।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় বেগম রোকেয়া দিবস ২০২২ উদযাপন এবং বেগম রোকেয়া পদক ২০২২ বিতরণের জন্য এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: ৫ বিশিষ্ট নারী পাচ্ছেন বেগম রোকেয়া পদক-২০২২
নারী শিক্ষায় অবদানের জন্য ফরিদপুরের রহিমা খাতুন, নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় অবদানের জন্য চট্টগ্রামের অধ্যাপক কামরুন নাহার বেগম (অ্যাডভোকেট), নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিশেষ অবদানের জন্য খুলনার ফরিদা ইয়াসমিন, নারী শিক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য এ পুরস্কার পেয়েছেন। সাহিত্য ও সংস্কৃতির মাধ্যমে নারীদের আলোকিতকরণে অবদানের জন্য নড়াইলের ড. আফরোজা পারভীন এবং গ্রামীণ উন্নয়নে অবদানের জন্য ঝিনাইদহের নাসিমা বেগম।
অনুষ্ঠানে পুরস্কার প্রাপকদের পক্ষ থেকে ড. আফরোজা তার অনুভূতির কথা জানান।
প্রাপকদের প্রত্যেককে একটি স্বর্ণপদক, চার লাখ টাকার চেক এবং একটি প্রশংসাপত্র দেয়া হয়।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল।
আরও পড়ুন: বেগম রোকেয়া পদক বিতরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী
বেগম রোকেয়া পদক ২০১৮ পেলেন পাঁচ নারী
ঢাকায় ১৯তম এশিয়ান আর্ট বিয়েনালের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এশিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদী আন্তর্জাতিক আর্ট বিয়েনাল ইভেন্ট ‘এশিয়ান আর্ট বিয়েনাল’-এর ১৯তম আসরের উদ্বোধন করেছেন।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে (বিএসএ)আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।
আজ থেকে আগামী ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনী চলবে।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ১৯তম এশিয়ান আর্ট বিয়েনাল বাংলাদেশ ২০২২-এ ১৪৯ জন বাংলাদেশি শিল্পীসহ ১১৪টি দেশের ৪৯৩ জন শিল্পীর তৈরি ৬৪৯টি শিল্পকর্ম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
প্রধান আর্ট ইভেন্টে অংশগ্রহণকারী দেশি ও বিদেশি শিল্পীদের সৃষ্ট দ্বি-মাত্রিক ও ত্রিমাত্রিক শিল্পকর্ম; যেমন- পেইন্টিং, প্রিন্ট, ফটোগ্রাফ, ভাস্কর্য, পারফরম্যান্স আর্ট এবং ইনস্টলেশন ও নিউমিডিয়া আর্ট প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে ১৫তম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব উদ্বোধন
১৯তম এই সংস্করণে দেশি ও বিদেশি শিল্পী, শিল্প সমালোচক, জুরি ও পর্যবেক্ষকদের অংশগ্রহণে 'হোম অ্যান্ড ডিসপ্লেসমেন্ট'- শীর্ষক দুই দিনের আন্তর্জাতিক সেমিনার রয়েছে।
শুক্রবার ও শনিবার জাতীয় আর্ট গ্যালারি মিলনায়তন এবং বিএসএ-এর জাতীয় নাট্য ভবনের সেমিনার কক্ষে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
বিএসএ-তে প্রধান প্রদর্শনী ছাড়াও, জাতীয় জাদুঘর শিল্প অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে তার সংগ্রহ থেকে বাংলাদেশি শিল্পীদের ৪২টি শিল্পকর্ম প্রদর্শন করবে।
এই ১৯ তম এশিয়ান আর্ট বিয়েনাল বাংলাদেশ ২০২২ দেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উৎসর্গ করা হয়েছে। যিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্বপ্নদ্রষ্টা ও প্রতিষ্ঠাতা। শিল্পকলা একাডেমি প্রতিবছর এশিয়ান আর্ট বিয়েনালের আয়োজন করে আসছে।
এবারে ছয়জন শিল্পীকে সম্মানসূচক পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে এবং তিনজনকে গ্র্যান্ড অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়েছে।
জুরি বোর্ডের সভাপতি শিল্পী রফিকুন নবী পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন।
লা গ্যালারিতে অভিজিৎ চৌধুরীর একক চিত্র প্রদর্শনী
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘উদ্যমী আমি-ভেনচার মায়েস্ট্রাস’ কর্মসূচি আয়োজিত
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
কে এম খালিদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক সচিব মো. আবুল মনসুর, জুরি বোর্ডের সদস্য ও বিশিষ্ট পোলিশ শিল্প সমালোচক জারোস্লো সুচান, বিএসএ মহাপরিচালক এবং ১৯তম এশিয়ান আর্ট বিয়েনাল বাংলাদেশ ২০২২-এর প্রধান সমন্বয়কারী লিয়াকত আলী লাকী প্রমুখ।
লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার বিরুদ্ধে জোন্টা ক্লাবের ১৬ দিনের প্রচারণা শুরু
নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা নির্মূলের জন্য আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত পরিষেবা সংস্থা জোন্টা ইন্টারন্যাশনাল শুক্রবার লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার বিরুদ্ধে তার ‘১৬ দিনের প্রচারণা’ কর্মসূচি শুরু করেছে।
২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই প্রচারাভিযানটি ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস পর্যন্ত চলবে। সমাজে নারী ও মেয়েদের বিরুদ্ধে সহিংসতা নির্মূল এবং নারীর অধিকারের অগ্রগতির বিষয়ে বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠান ও কর্মসূচি আয়োজন করবে।
ঢাকা ও চট্টগ্রামের ছয়টি জোন্টা ক্লাব শুক্রবার বিকালে রাজধানীর গুলশান সোসাইটি লেক পার্কে প্রচারণা কর্মসূচির সূচনা করার জন্য একটি র্যালির আয়োজন করে, যেখানে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার বিরুদ্ধে তাদের ঐক্য উদযাপনের জন্য বিশিষ্ট জোন্টায়ানরা যোগ দিয়েছিলেন।