শিল্প-সংস্কৃতি
আগা খান স্থাপত্য পুরস্কার জিতেছে বাংলাদেশের ২ প্রকল্প
বাংলাদেশের দুটি প্রকল্প বিশ্বব্যাপী স্থাপত্যের অন্যতম বৃহৎ পুরস্কার ‘আগা খান অ্যাওয়ার্ড ফর আর্কিটেকচার (একেএএ)-২০২২’ জিতেছে। এ বছর বিজয়ী হিসেবে ছয়টি প্রকল্পের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
খন্দকার হাসিবুল কবির ও সুহেলি ফারজানার ঝিনাইদহের ‘আর্বান রিভার স্পেসেস প্রকল্প’ এবং রিজভি হাসান,খাজা ফাতমি ও সাদ বেন মোস্তফার ‘রোহিঙ্গা রিফিউজি রেস্পন্স প্রোগ্রাম’-এর কমিউনিটি স্পেসের নকশা এই পুরস্কার জিতেছে।
উল্লিখিত প্রকল্পগুলো ছাড়াও এবছর ইন্দোনেশিয়া,ইরান, লেবানন ও সেনেগালের চারটি প্রকল্প এই পুরস্কার জয় করেছে। পুরস্কারজয়ী ছয়টি প্রকল্প একেএএ পুরস্কারের ১০ লাখ ডলার ভাগ করে নেবে।
দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি চলছে মাগুরায়
শরৎমানেই শারদীয় দুর্গোৎসবের বার্তা। শারদীয় দুর্গাপূজার আর মাত্র ১৪ দিন বাকি। আশ্বিনে আসছেন দেবী দুর্গা।
আগামী ১ অক্টোবর ষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা শুরু হবে। ০৫ অক্টোবর দশমীর মধ্যদিয়ে শেষ হবে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা। আসন্ন দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে মাগুরায় বিভিন্ন মন্দিরে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন শিল্পীরা।
আরও পড়ুন: পহেলা বৈশাখের মতো দুর্গাপূজাও সবার উৎসব: শিক্ষামন্ত্রী
সরেজমিনে দেখা গেছে , কেউ মাটি আনছেন, কেউবা মূল কাঠামো তৈরি করছেন, কেই আবার তুলি দিয়ে নকশা করতে ব্যস্ত। দেখে মনে হচ্ছে দম ফেলার ফুরসত নেই তাদের।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজায় পূজা মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা বাধ্যতামূলক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
শিল্পীরা বলেন, বাপ দাদার পেশার এখন তিনিই উত্তরসূরী। দুর্গাপূজার দুই মাস আগ থেকেই নাওয়া-খাওয়ার সময় থাকে না। তবে অন্যবারের তুলনায় এবার প্রতিমার অর্ডার অনেক বেশি। কাজের চাপও বেশি। অন্যবার করোনার কারণে কম মন্দিরে পূজা হয়েছে। কিন্তু এবার প্রত্যেকটা মন্দিরে দুর্গাপূজা হচ্ছে যার ফলে কাজের চাপও বেড়েছে।
পাশাপাশি প্রতিমা তৈরির কাজ ৭০ শতাংশ হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিমা তৈরির শিল্পীরা।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে ৪১ মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু
মাগুরা জেলার পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাশুদেব কুন্ডু জানান, এবার জেলার ৩৬টি ইউনিয়নে ১৬২টি পূজা মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
‘আঁরা রোহিঙ্গা’ বিষয়ক আলোকচিত্র প্রদর্শনী শুরু
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর এবং কক্সবাজার আর্ট ক্লাবের যৌথ আয়োজনে কক্সবাজারে আঁরা রোহিঙ্গা বিষয়ের ওপর ১৪ দিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনী শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজার সংস্কৃতিক কেন্দ্র মিলনায়তনে প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন কক্সবাজারের শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন বিষয়ক কমিশনার অতিরিক্ত সচিব শাহ রেজওয়ান হায়াত।
আরও পড়ুন: ‘ব্রেভহার্ট’: বঙ্গবন্ধুর ওপর প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে গ্যালারি কসমস
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, ইউএনএইচসিআর এর বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ জোহানেস ভন ডার ক্ল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কক্সবাজার আর্ট ক্লাবের সভাপতি তানভীর সরওয়ার রানা সূচনা বক্তব্য রাখেন।
প্রদর্শিত আলোকচিত্র বিষয়বস্তু হচ্ছে ‘আঁরা রোহিঙ্গা’। কক্সবাজারে অবস্থিত শরণার্থী শিবিরের ১০ জন মেধাবী রোহিঙ্গা আলোকচিত্রী তাদের সামষ্টিক কর্ম ও কুশলতা এই প্রদর্শনীতে উপস্থাপন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘আমরা রোহিঙ্গা’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী
প্রদর্শনীতে একটি শরণার্থী সম্প্রদায়ের দৈনন্দিন জীবনের দৃশ্যগুলো তুলে ধরে রোহিঙ্গাদের আত্মপরিচয় ঘিরে প্রদর্শনীটি আবর্তিত হয়েছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্মৃতি, তাদের প্রত্যাশা, বিশ্বাস, সৌন্দর্য্য, কর্মযজ্ঞ, সন্তাপ (মানসিক যন্ত্রণা), বেদনা এবং ভালোবাসার সমুজ্জ্বল অনুভূতিসমূহ মেলে ধরে এই যৌথ আয়োজন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সামর্থ্য, সহনশীলতা ও ঘুরে দাঁড়ানোর শক্তিকে শ্রদ্ধা জানায়।
আরও পড়ুন: গ্রিসে বিশেষ প্রদর্শনীতে 'হাসিনা: এ ডটারস টেল'
প্রদর্শনীটি কিউরেট করেছেন আন্তর্জাতিক শিল্পী ডেভিড পালাজন, রোহিঙ্গা আলোকচিত্রী সাহাত জিয়া হিরো, এবং বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের কিউরেটর আমেনা খাতুন। প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে রোহিঙ্গা আলোকচিত্রীদের তোলা ৫০টি ছবি, এবং ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বাস্তুচ্যুত হওয়া বাংলাদেশীদের ১০টি ছবি।
তিন দিনব্যাপী শিশুদের আন্তজার্তিক শিল্প প্রদর্শিনী শুরু
ঢাকা, ২৭ আগস্ট (ইউএনবি)-তিন দিনব্যাপী শিশুদের আন্তজার্তিক শিল্প প্রদর্শিনী ‘পেইন্ট ইওর ড্রিম- ইন্টারন্যাশনাল চিলড্রেন আর্ট ফেস্টিভ্যাল’ শুরু হয়েছে।
ফোকাস বাংলাদেশের বার্ষিক আয়োজন শুক্রবার রাজধানীর উত্তরার বাংলাদেশ ক্লাবে এ আয়োজন শুরু হয়।
প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ইরান, বুলগেরিয়া, রাশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, আজারবাইজান, পাকিস্তান, কানাডা, মালয়েশিয়া, সার্বিয়া সহ ১৩টি দেশের ৩০০ জনের বেশি শিশু শিল্পী অংশগ্রহণ করেছে।
প্রদর্শনীটির উদ্বোধন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শিল্পী বীরেন সোম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- তাসিক আহমেদ, খান মোহাম্মদ বিলাল,ড.রাশেদ সুখন, তাহমিনা শিল্পী, মো.শহীদ হোসেন।
আয়োজক মো. কাওসার হোসেন বলেন, ‘এই ধরনের অনুষ্ঠান শিশুদের মধ্যে সংস্কৃতি, দৃষ্টিভঙ্গি ও মতামত বিনিময়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। কারণ এর মাধ্যমে তারা তাদের স্বপ্নকে রঙ ও সীমাহীন কল্পনার মাধ্যমে প্রকাশ করে।’
আরও পড়ুন:গ্রিসে বিশেষ প্রদর্শনীতে 'হাসিনা: এ ডটারস টেল'
ভাঙ্গায় তারেক মাসুদের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
শনিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার পৌরসদরের নুরপুর গ্রামে তারেক মাসুদ ও বাংলাদেশ ফিল্ম সোসাইটির আয়োজনে গুণী এই নির্মাতার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধায় জানায় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন।
এর আগে তারেক মাসুদের সমাধিতে তার মা নুরুন্নাহার মাসুদ, স্ত্রী ক্যাথিরিন মাসুদসহ ঢাকা চলচ্চিত্র সভা, এশীয় শিল্প ও সংস্কৃতি সভা, বাংলাদেশ শর্ট ফ্লিম ফোরাম, ভাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন সামাজিক সামাজিক সংগঠন শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে এ উপলক্ষে আয়োজিক এক আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন প্রখ্যাত নাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা নাসির উদ্দিন বাচ্চু, জহিরুল ইসলাম কচি, রাশেদ চৌধুরী, জাহিদুর রহিম অঞ্জন, ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজিম উদ্দিন প্রমুখ।
প্রয়াত এ নির্মাতা সস্পর্কে স্মৃতিচারণ করেন তারেক মাসুদের ‘কাগজের ফুল’ চলচ্চিত্রের শিল্প নির্দেশক ঢালী আল মামুন, তারেকের সহধর্মিণী ক্যাথিরিন মাসুদ, শর্ট ফিল্ম সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান, লেখক মফিজ ইমাম মিলন।
কবি চঞ্চল আশরাফের সঞ্চালনায় এ সময় তারেক মাসুদ ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক সাবেক অধ্যক্ষ মোসায়েদ হোসেন ঢালী,বাবুল আশরাফ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সুধীন সরকার মঙ্গল, সাইদ মাসুদ প্রমুখ আরও উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে তারেক মাসুদ এবং বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন নিউজের প্রধান নির্বাহী মিশুক মুনীর মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার জুকা নামক স্থানে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন।
পড়ুন: তাজউদ্দীন আহমদ দেশের সবচেয়ে অন্ধকার সময়ে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন: সিআরআই
নিউইয়র্কে প্রথম ইংরেজি মঞ্চ নাটকে তাসনুভা আনান
‘ব্রেভহার্ট’: বঙ্গবন্ধুর ওপর প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে গ্যালারি কসমস
জাতীয় শোক দিবস ২০২২ উপলক্ষে গ্যালারি কসমস শুক্রবার রাজধানীর কসমস সেন্টারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে ‘ব্রেভহার্ট’- শিরোনামে দিনব্যাপী চিত্রশিল্প, আলোকচিত্র ও ভাস্কর্য প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি মফিদুল হক প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে এতে উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও শিল্পী রফিকুন নবী, বীরেন সোম এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ।
প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও যোগ দেবেন গ্যালারি কসমসের পরিচালক তাহমিনা এনায়েত এবং কসমস গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ জামিল খান।
বহুমাত্রিক এই প্রদর্শনীতে সহযোগী হিসেবে থাকছে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান কসমস গ্রুপের জনহিতকর সংস্থা কসমস ফাউন্ডেশন। এ আয়োজনে মিডিয়া ও নলেজ পার্টনার হিসেবে থাকছে ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশ (ইউএনবি) এবং এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ঢাকা ক্যুরিয়ার।
প্রদর্শনীর উদ্বোধনের আগে ১২ জন শিশু শিল্পী ও চিত্রশিল্পীদের একটি দল প্রদর্শনীর স্থানে এক বিশেষ গ্রুপ আর্ট ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করবে এবং জাতির পিতার প্রতি তাদের আন্তরিক শ্রদ্ধা প্রদর্শন করবে।
প্রদর্শনীতে শাহাবুদ্দিন আহমেদ, বীরেন সোম, অলকেশ ঘোষ, নাসির আলী মামুন, আফরোজা জামিল কঙ্কা, ভাস্কর রাশা, শাহাজাহান আহমেদ বিকাশ, আজমীর হোসেন, বিশ্বজিৎ গোস্বামী, আবু কালাম শামসুদ্দিন, দেবদাস মালাকার, দিলীপ কর্মকার, সৌরভ চৌধুরী, আবদুল্লাহ আল বশির, ইকবাল বাহার চৌধুরী, মানিক বনিক, কামরুজ্জোহা, আজমল হোসেন, মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম মজুমদার শাকিল ও মো. রফিকুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট শিল্পীর শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হবে।
দর্শকরা আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত রাজধানীর মালিবাগের কসমস সেন্টারে আয়োজিত এই প্রদর্শনীটি উপভোগ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: গ্যালারি কসমসের আয়োজনে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে প্রথম ভার্চুয়াল প্রদর্শনী শুরু
শনিবার ‘দ্য প্যাশন অব ড্রয়িং-২’ আয়োজন করবে গ্যালারি কসমস
বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক পাচ্ছেন ৫ নারী
এ বছর রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা, সমাজসেবা এবং স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ পাঁচজন বিশিষ্ট নারীকে ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক ২০২২’ দেয়া হবে।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, দেশপ্রেম, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা, সাহসকিতা, ত্যাগ ও অনুপ্রেরণার উৎস বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জন্মদিবসকে সরকার ৮ আগস্ট ‘ক’ শ্রেণির জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। বঙ্গমাতার অবদানকে চিরস্মরণীয় করার লক্ষ্যে প্রতি বছর আটটি ক্ষেত্রে নারীদের অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ‘ক’ শ্রেণীভুক্ত সর্বোচ্চ জাতীয় পদক ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব’ দেয়া হয়। এ বছর সরকার, ‘রাজনীতি’ ক্ষেত্রে সিলেট জেলার সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, ‘অর্থনীতি’ ক্ষেত্রে কুমিল্লা জেলার সেলিমা আহমাদ এমপি, ‘শিক্ষা’ ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপচার্য অধ্যাপক নাসরীন আহমাদ, সমাজসেবা ক্ষেত্রে কিশোরগঞ্জ জেলার মোছা. আছিয়া আলম এবং স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ ক্ষেত্রে গোপালগঞ্জ জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা আশালতা বৈদ্য (যুদ্ধকালীন কমান্ডার) কে ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদকে ভূষিত করা হবে।প্রতিমন্ত্রী শনিবার ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমির সম্মেলন কক্ষে ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন’ ও ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক’ প্রদানের বিস্তারিত গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় পরিবেশ পদক ২০২১ পাচ্ছেন দুই ব্যক্তি ও ২ প্রতিষ্ঠান
প্রতিমন্ত্রী এসময় সাংবাদিকদের জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৮ আগস্ট সকাল ১০টায় গণভবন থেকে অনলাইনে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন’ ও ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করবেন। ঢাকায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এবং অনলাইনে আরও সংযুক্ত থাকবে জেলা প্রশাসক গোপালগঞ্জ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব নিজ জীবনের কঠিন দুঃসময়েও অসহায় মানুষের আর্থিক সহায়তা করেছেন এবং তাদের পাশে দাঁড়িয়ে সাহস যুগিয়েছেন। বঙ্গমাতার এই মহানুভবতাকে স্মরণ করে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় বঙ্গমাতার জন্মদিনে অস্বচ্ছল নারীদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে সেলাই মেশিন ও আর্থিক অনুদান দিয়ে আসছে। এবারও সাম্প্রতিক বন্যাকবলিত পাঁচটি জেলাসহ সারাদেশে অস্বচ্ছল ও অসহায় নারীদের প্রায় পাঁচ হাজার সেলাই মেশিন এবং পঞ্চাশ লাখ টাকা দেয়া হচ্ছে যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একই দিনে একই সময়ে এ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করবেন। এদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গমাতার ওপর তাঁর রচিত ‘শেখ ফজিলাতুন নেছা আমার মা’ শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করবেন।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন অন্যান্য কর্মজীবী মহিলা হোস্টেলগুলো বিভিন্ন মহীয়সী নারীর নামে নামকরণ করা হয়েছে। ঢাকার মিরপুরে নওয়াব ফয়জুন্নেছা কর্মজীবী মহিলা হোস্টেল এবং খিলগাঁও বেগম রোকেয়া কর্মজীবী মহিলা হোস্টেল রয়েছে। বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব সংকটে, সংগ্রামে ও যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশে নারী অধিকার, নারীর ক্ষমতায়ন, নারী পুনর্বাসন কার্যক্রমে অসামান্য অবদান রেখেছেন। এ বিবেচনায় বিদ্যমান নীলক্ষেতে কর্মজীবী মহিলা হোস্টেলটি ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব’ এর নামে নামকরণ করা হয়েছে। ঢাকায় কর্মজীবী নারীর আবাসনের ব্যাপক চাহিদা থাকায় ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব’ হোস্টেল কমপ্লেক্সে একটি নতুন ১০তলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। নির্মিত ভবনে সার্বক্ষণিক ইন্টারনেট, জীম, বিউটি পার্লার, ইনডোর গেম, সিসি ক্যামেরা, ইলেকট্রনিক এক্সেস কন্ট্রোল ডিভাইস, এলইডি মনিটর, সুপরিসর তিনটি লিফট, জরুরী বহিগর্মনসহ অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নবনির্মিত দশতলা ভবন নির্মাণের ফলে আরও ২৫৪ জন কর্মজীবী নারীকে আবাসন সুবিধা দেয়া সম্ভব হবে। এ কমপ্লেক্সে ৫০৩টি আসন বিশিষ্ট আরও দুটি ভবন রয়েছে। এখন বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব কর্মজীবী মহিলা হোস্টেলের মোট আসন সংখ্যা হবে ৭৪৮টি। যার ফলে আরও বেশি সংখ্যক কর্মজীবী নারীদের নিরাপদ আবাসন নিশ্চিত হবে।
আরও পড়ুন: রোকেয়া পদক পেলেন ৫ বিশিষ্ট নারী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গমাতার জন্মদিন ৮ আগস্টে নীলক্ষেতে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব কর্মজীবী মহিলা হোস্টেলের নবনির্মিত দশতলা সম্প্রসারিত ভবনের উদ্বোধন করবেন। যা দেশের কর্মজীবী নারীদের জন্য বড় প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
সংবাদ সম্মেলন প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, এ বছর দিবসের প্রতিপাদ্য ‘মহীয়সী বঙ্গমাতার চেতনা, অদম্য বাংলাদেশের প্রেরণা’। অনুষ্ঠানে বঙ্গমাতার জীবন ভিত্তিক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক।
সংবাদ সম্মেলনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাসানুজ্জামান কল্লোল, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান চেমন আরা তৈয়ব, শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, অতিরিক্ত সচিব মো. মুহিবুজ্জামান, জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক সাকিউন নাহার বেগমসহ ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, সারাদেশে জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে সমন্বয় করে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর-সংস্থা বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উদযাপনে আলোচনা সভার আয়োজন করবে। বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাস ও মিশনসমূহ বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠান উদযাপন করবে। যার মাধ্যমে দেশের নতুন প্রজন্ম বঙ্গমাতার সংগ্রামী জীবন, আত্মত্যাগ, সাহসিকতা, দেশপ্রেম, মহান মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অপরিসীম অবদান এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের অজানা তথ্য জানতে পারবে। দিবসটি উপলক্ষে জাতীয়ভাবে ক্রোড়পত্র ও পোস্টার প্রকাশ করা হবে। মহীয়সী নারী বঙ্গমাতার গৌরবময় কর্মজীবনের ওপর প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ ও স্মরণিকা প্রকাশ করা হবে। অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হবে। বঙ্গমাতার কর্মময় ও বর্ণাঢ্য জীবনের বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন দ্বারা সজ্জিত করা হবে।
তাজউদ্দীন আহমদ দেশের সবচেয়ে অন্ধকার সময়ে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন: সিআরআই
বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদকে তার জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানিয়ে শনিবার সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) বলেছে, তাজউদ্দীন আহমদ দেশের সবচেয়ে অন্ধকার সময়ে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।
তাজউদ্দীন আহমদকে তার দূরদর্শী নেতৃত্বের জন্য স্মরণ করা হয়।
সিআরআই তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজ থেকে শেয়ার করা এক পোস্টে বলেছে, ‘জনকল্যাণের একটি হাতিয়ার হিসেবে রাজনীতির ওপর বিশ্বাস, তার জীবদ্দশায় অসংখ্য উদাহরণের মাধ্যমে ফুটে উঠেছে।’
তাজউদ্দীন আহমদকে নিয়ে চার মিনিটের একটি ভিডিও শেয়ার করেছে সিআরআই।
২৩ জুলাই বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং মুক্তিযুদ্ধকালীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমদের ৯৭তম জন্মবার্ষিকী।
আরও পড়ুন: জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী আজ
আজ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম জন্মবার্ষিকী
রাঙ্গামাটিতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ‘আষাঢ়ী পূর্নিমা’ উদযাপিত
যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে রাঙ্গামাটিতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব আষাঢ়ী পূর্ণিমা পালিত হয়েছে। বুধবার সকালে আষাঢ়ী পূর্ণিমা উপলক্ষে রাঙ্গামাটির আনন্দ বিহার ও মৈত্রী বিহারসহ বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারে নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এদিন সকাল থেকে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা পঞ্চশীল গ্রহণ, অষ্টশীল গ্রহণ, সমবেত প্রার্থনা, চীবরদান, গুরু ভক্তি, ছোয়াইং প্রদান (ভান্তেদের দান), মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জলনসহ নানা অনুষ্ঠান পালন করেন।
এসময় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের উদ্দেশে ধর্মীয় দেশনা প্রদান করেন আনন্দ বিহারের উপাধ্যক্ষ ধর্মেশ্বর ভান্তে থেরো।
বিকালে বুদ্ধ মূর্তি স্নান, ধর্মদেশনা, হাজার প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও দেশ-জাতির মঙ্গল কামনায় প্রার্থনার মধ্যদিয়ে শেষ হয় আষাঢ়ী পূর্ণিমার আয়োজন।
আষাঢ়ী পূর্ণিমা বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি ধর্মীয় উৎসব। কারণ এ তিথিতেই গৌতম বুদ্ধ মাতৃগর্ভে প্রতিসন্ধি লাভ, রাজ প্রাসাদ, রাজত্ব ও স্ত্রী-পুত্রের মায়া ত্যাগ করে দুঃখ থেকে মুক্তির পথ অন্বেষণে গৃহত্যাগ এবং বুদ্ধত্ব লাভের পর তাঁর পঞ্চবর্গীয় শিষ্যদের উদ্দেশে প্রথম ধর্মচক্র দেশনা দেন (ধর্মের বাণী প্রচার করেন)। এবং তিনি সংযম পালনের ব্রত নিয়ে এই আষাঢ়ী পূর্ণিমা থেকে আশ্বিনী পূর্ণিমা তিথি পর্যন্ত তিনমাস বর্ষাবাস শুরু করেছিলেন।
এ আষাঢ়ী পূর্ণিমার পরে তিনমাস বৌদ্ধ ভিক্ষুরা বর্ষাবাস শুরু করেন। এ সময় ভিক্ষুরা জরুরি কোনো কারণ ছাড়া বিহারের বাইরে রাত্রিযাপন করতে পারেন না। এছাড়া এ তিনমাস বৌদ্ধ ভিক্ষুরা ধর্ম বিনয় অধ্যয়ন ও ধ্যান চর্চা করে থাকেন। তিনমাস বর্ষাবাস শেষ হওয়ার পর প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপনের মধ্যদিয়ে শুরু হয় মাসব্যাপী কঠিন চীবর দানোৎসব।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে বৌদ্ধ বিহারে দানোত্তম কঠিন চীবর দান অনুষ্ঠিত
বুদ্ধাংকুর বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর দান উৎসব শুরু
নিউইয়র্কে প্রথম ইংরেজি মঞ্চ নাটকে তাসনুভা আনান
সংবাদ উপস্থাপক, মডেল ও অভিনেত্রী তাসনুভা আনান সম্প্রতি নিউইয়র্কে তার প্রথম ইংরেজি মঞ্চ নাটক ‘শকুন্তলা’ তে অভিনয় করেছেন।
নাটকটি ধ্রুপদী সংস্কৃত লেখক কালিদাসের লেখা ক্লাসিক কাহিনী থেকে গৃহীত হয়েছে। এটি মঞ্চে নিয়ে এসেছে এনওয়াই-ভিত্তিক থিয়েটার গ্রুপ ঢাকা ড্রামা এবং নাটকটি নিউইয়র্কের কুইন্সের জ্যামাইকা সেন্টার ফর আর্টস অ্যান্ড লার্নিং-এ মঞ্চস্থ হয়।
তাসনুভা ইউএনবিকে বলেছে,‘শকুন্তলা’ নানা সমস্যার সম্মুখীন হওয়া দক্ষিণ এশীয় অভিবাসী নারীদের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। আমি যখন একটি এনজিওর সঙ্গে কাজ করছিলাম, তখন আমি সেসব অভিবাসী নারীদের দুঃখ,কষ্ট দেখেছি, যা এই নাটকের অংশ হতে আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে।
উল্লেখ্য বাংলাদেশের প্রথম ট্রান্সজেন্ডার নারী সংবাদ উপস্থাপক তাসনুভা গত বছরের ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বৈশাখী টিভিতে যোগ দেন। তিনি বিখ্যাত নাট্যদল বটতলার সক্রিয় সদস্য এবং ২০০৭ থেকে থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত আছেন।
আরও পড়ুন: নিউইয়র্ক সিটি ফ্যাশন উইকে ট্রান্স মডেল হিসেবে বাংলাদেশের তাসনুভা আনান শিশির
টাইম ম্যাগাজিনের বর্ষসেরা ছবিতে তাসনুভা আনান শিশির