শিল্প-সংস্কৃতি
চট্টগ্রামে মাসব্যাপী বাণিজ্য মেলা শুরু আজ
চট্টগ্রামে শুরু হচ্ছে ৩০তম মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। আজ (১৬ ফেব্রুয়ারি) নগরীর রেলওয়ে পলোগ্রাউন্ড মাঠে এ মেলার উদ্বোধন করা হবে।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ মেলার উদ্বোধন করবেন।
চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত এ মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। প্রতি বছরের মতো এবারও মেলায় ভারত, থাইল্যান্ড, ইরানসহ বিভিন্ন দেশ তাদের পণ্য প্রদর্শন করবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে শুরু হচ্ছে মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা
মেলায় ২০টি প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন, ৫৬টি প্রিমিয়ার স্টল, ৯৪টি স্বর্ণের স্টল, ৪৮টি মেগা স্টল ও ১১টি ফুড স্টল থাকবে। মেলায় তিনটি পৃথক জোনে ৪০০টি স্টলে ৩০০টি প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য প্রদর্শন করবে।
মেলা প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিন শিফটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে।
এছাড়া বাণিজ্য মেলায় ১২ হাজার ৩২০ বর্গফুটের একটি উন্মুক্ত প্লাজা রয়েছে।
মেলায় প্রবেশের জন্য দর্শনার্থীদের ২০ টাকা দিতে হবে। তবে প্লে গ্রুপ থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে প্রবেশ করতে পারবে।
আরও পড়ুন: ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০২৩ এর উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর
সিরাজগঞ্জে ঘোড়া সমাবেশ অনুষ্ঠিত
সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার চরাঞ্চলে ঘোড়া সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রাণীসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের আয়োজনে বৃহস্পতিবার বিকালে নাটুয়ারপাড়া হাটে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
আনন্দঘন পরিবেশে ব্যতিক্রমী এ সমাবেশ দেখতে এলাকার নারী-পুরুষ ভিড় জমায়। এ সমাবেশে চরাঞ্চলের ২ শতাধিক ঘোড়ার গাড়িসহ মালিকেরা অংশগ্রহণ করেন।
জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকতা ডা. গৌরাঙ্গ কুমার তালুকদারের সভাপতিত্বে এ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী বিভাগীয় প্রাণীসম্পদ দপ্তরের পরিচালক ড. মো. নজরুল ইসলাম এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রাণীসম্পদ দপ্তরের ট্রেনিং অফিসার ডা. মো. হাবিবুর রহমান, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকতা ডা. মো. দিদারুল ইসলাম, ভেটেরিনারি সার্জন ডা. আশিষ কুমার দেবনাথ ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান চাঁন প্রমুখ।
বক্তারা বলেছেন, যমুনা নদীর তীরবর্তী সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার চরাঞ্চলে ৬ শতাধিক ঘোড়া ও গাড়ি রয়েছে। এসব ঘোড়ার গাড়িতে চরাঞ্চলের যাত্রীসহ পণ্য পরিবহন করা হয়। এতে সংসার চলে ঘোড়ার গাড়ি চালকদের। সরকারি নির্দেশনায় সংশ্লিষ্ট প্রাণীসম্পদ বিভাগ থেকে এসব ঘোড়ার বিনামূল্যে সব ধরনের চিকিৎসাসহ সেবা দেয়া হবে।
এ সময় ভ্যাটেনারি সার্জন ডা. মাহমুদুল হাসান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরাসহ ঘোড়ার গাড়ির চালকেরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সমাবেশ শেষে প্রাণীসম্পদ দপ্তরের পক্ষ থেকে ঘোড়ার ফ্রি ওষুধপত্র দেয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে পূণ্যস্নানে হাজারো মানুষের ঢল
বড়দিন উদযাপনে পাহাড়ে খ্রিস্টান পল্লীতে উৎসবের আমেজ
ঢাবিতে পাঁচ দিনব্যাপী বাংলা চলচ্চিত্র উৎসব শুরু
ঢাকা ইউনিভার্সিটি ফিল্ম সোসাইটি (ডিইউএফএস) ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে 'আমার ভাষা চলচ্চিত্র উৎসব' নামে পাঁচ দিনব্যাপী বাংলা চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করেছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ। উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা ও চলচ্চিত্র নির্মাতা নাসির উদ্দিন ইউসুফ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং ডিইউএফএস-এর মডারেটর হাবিবা রহমান এবং ডিইউএফএস-এর সভাপতি শিয়ান শাহরিয়ার আলমগীর।
রবিবার টিএসসি অডিটোরিয়ামে চলচ্চিত্র প্রদর্শন শুরু হয়েছে, যেখানে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট ২২টি বাংলা ক্লাসিক চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।
আরও পড়ুন: দুই বছর পর ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন শুরু হচ্ছে বইমেলা
আজ যে কয়েকটি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়েছে সেগুলো হল সিমানা পেরিয়ে, গোলাপী এখন ট্রেনে, বেহুলা, ইন্টারভিউ, আবার তোরা মানুষ হো, আনন্দ অশ্রু, শিল্প শহর স্বপ্নলোক, বাঞ্চারামের বাগান এবং মন্দ মেয়ের উপখ্যান।
আগামী তিন দিনের মধ্যে প্রদর্শিত হওয়ার জন্য নির্ধারিত কিছু চলচ্চিত্র হল চিত্রাঙ্গদা, পরবাসী, ঢেউ, দূরে, মানিকবাবুর মেঘ, বল্লভপুরের রূপকথা, শিমু, কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া, হাওয়া, ওয়ানস আপন এ টাইম ইন কলকাতা, দামাল এবং সাঁতাও।প্রতিদিন চারটি সেশনে চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। প্রথম স্ক্রীনিং প্রতিদিন সকাল ১০টায় শুরু হবে, দ্বিতীয়টি প্রতিদিন দুপুর ১টায় শুরু হবে, তৃতীয়টি বিকাল ৩টা ৩০ মিনিটে এবং শেষ স্ক্রীনিং শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়।
দর্শনার্থীরা ভেন্যুতে প্রবেশের জন্য টিকিট কিনতে হবে। টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ টাকা।
প্রতিটি ছবির টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ টাকা।
আরও পড়ুন: আলোকচিত্র প্রদর্শনী 'প্রত্যাশা: অভিবাসীদের আশা' শুরু মঙ্গলবার
টাঙ্গাইলে ১৫তম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব উদ্বোধন
লাইভ প্রিন্টমেকিং সেশন ও প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে গার্ডেন গ্যালারিতে শেষ হলো ইমপ্রেশন অব রোকেয়া’স
প্রিন্টমেকিং শিল্পের পেছনের চিত্তাকর্ষক কৌশল ও গল্পগুলো তুলে ধরতে শিল্পকলার বিশিষ্ট অধ্যাপক রোকেয়া সুলতানার ইমপ্রেশন অব রোকেয়া’স শীর্ষক প্রিন্টমেকিং কর্মশালাটি শেষ হয়েছে। শনিবার রাজধানীর বারিধারার গার্ডেন গ্যালারিতে একটি লাইভ প্রিন্টমেকিং সেশন এবং দিনব্যাপী প্রদর্শনীর মধ্যদিয়ে কর্মশালাটি শেষ হয়।
দেশ ও দেশের বাইরের ১০ জন তরুণ ও বিশিষ্ট বাংলাদেশি শিল্পীর সঙ্গে অধ্যাপক রোকেয়া সুলতানার এক্সক্লুসিভ ইন্টাগ্লিও প্রক্রিয়া, সফটগ্রাউন্ড ও স্টেনসিল ওয়ার্কশপটি পরিচালিত হয়। এই শিল্পীদের মধ্যে ছিলেন- অস্মিতা আলম শাম্মী, রুজভেল্ট বেঞ্জামিন, ছবি জুলফিকার, রিফাত জাহান কান্তা, ফারজানা রহমান ববি, মোহাম্মদ রেজওয়ানুর রহমান, বাচ্চু মিয়া আরিফ, কামরুজ্জোহা, এস এম এহসান ও ভারতীয় শিল্পী সুক্লা পোদ্দার।
মালিবাগের কসমস আতেলিয়া-৭১ এ ২৩ জানুয়ারি উদ্বোধন করা এই কর্মশালায় চারজন অতিথি শিল্পীও ছিলেন। তারা হলেন- প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী আফরোজা জামিল কনকা, বিশিষ্ট ফটোসাংবাদিক-শিল্পী নাসির আলী মামুন, প্রবীণ শিল্পী ও মুক্তিযোদ্ধা বীরেন সোম এবং শিল্পী-সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম।
এছাড়াও শিল্পী স্যাম জামিল জুলিয়ান, রুমেসা মাইলক্স ও সৌরভ চৌধুরীও এতে অংশ নেন।
শনিবার দর্শক ও শিল্প অনুরাগীদের জন্য লাইভ প্রিন্টমেকিং সেশন, গ্যালারির মনোরম পরিবেশে একক শিল্প প্রদর্শনী এবং লাইভ মিউজিক্যাল পারফরম্যান্সের মধ্যদিয়ে কর্মশালাটি সমাপ্ত হয়।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী শিল্পীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন কসমস আতেলিয়ার-৭১ ও গ্যালারি কসমসের পরিচালক তেহমিনা এনায়েত।
অনুষ্ঠানে তেহমিনা এনায়েত বলেন, ‘গ্যালারি কসমস ও কসমস আতেলিয়ার-৭১ বাংলাদেশি শিল্পীদের শৈল্পিক দীপ্তি প্রসারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আমরা আমাদের গার্ডেন গ্যালারিতে এই একক প্রিন্টমেকিং ওয়ার্কশপ, লাইভ প্রিন্টমেকিং সেশন এবং শিল্প অনুরাগীদের জন্য প্রদর্শনী আয়োজন করতে পেরে গর্বিত ও আনন্দিত। এই সমস্ত মেধাবী শিল্পী তাদের শিল্পকর্মের মাধ্যমে আমাদের মন্ত্রমুগ্ধ করেছেন এবং তাদের প্রত্যেকের আন্তরিক এবং নিবেদিত অংশগ্রহণের ফলে এটি একটি উৎসবমুখর ও ফলপ্রসূ প্রিন্টমেকিং ওয়ার্কশপে পরিণত হয়।’
এই উদ্যোগের প্রশংসা করে রোকেয়া সুলতানা বলেন, ‘শিল্পীরা সত্যিকার অর্থে তখনই তাদের পূর্ণ প্রতিভা বিকশিত করতে এবং প্রদর্শন করতে পারে, যখন তারা আন্তরিক ও অর্থপূর্ণ পৃষ্ঠপোষক পায়। গ্যালারি কসমস দেশ ও দেশের বাইরের শিল্পীদের জন্য একটি দূরদৃষ্টিসম্পন্ন পৃষ্টপোষক ও সমর্থক। এই কর্মশালাটি ছিল আমার, গ্যালারি কসমস এর পরিচালক তেহমিনা এনায়েত, গ্যালারির আর্টিস্টিক ডিরেক্টর সৌরভ চৌধুরী এবং আমাদের সমস্ত অংশগ্রহণকারী শিল্পীদের মিশ্র দৃষ্টিভঙ্গির বহিঃপ্রকাশ। আমরা প্রিন্টমেকিংয়ের জন্য এই ওয়ার্কশপটি আয়োজন করতে পেরে আনন্দিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘পুরো ওয়ার্কশপ জুড়ে তেহমিনা এনায়েত এবং সমগ্র কসমস আতেলিয়ার- ৭১ টিম আমাদের সঙ্গে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন। এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের বিষয় যে আমাদের প্রিয় এনায়েত ভাইও (কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও ইউএনবি-এর প্রধান সম্পাদক এনায়েতুল্লাহ খান) আমাদের সঙ্গে কর্মশালায় যোগ দিয়েছিলেন।’
আরও পড়ুন: কসমস আতেলিয়ার ৭১-এ চলছে প্রিন্ট মেকিং ওয়ার্কশপ ইমপ্রেশন অব রোকেয়া’স
রোকেয়া সুলতানা অনুষ্ঠানে লাইভ প্রিন্টমেকিং সেশন সম্পর্কে বলেন, ‘প্রিন্টমেকিং শিল্পটি আনন্দদায়ক ও চিত্তাকর্ষক; এটি আমাদের যেকোন শিল্পকর্মের একাধিক অর্থ তৈরি করার সুযোগ দেয় এবং আমরা সাধারণ দর্শকদের মধ্যে এই অনন্য কৌশলটি প্রচার করতে চেয়েছিলাম। আমাদের শিল্প অনুরাগীদের জন্য আমরা এই লাইভ প্রিন্টমেকিং সেশন নিয়ে এসেছি, যাতে আমরা তাদের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নিতে পারি; যা আমরা নিয়মিত আমাদের কাজের মাধ্যমে অন্বেষণ করি।’
অতিথি শিল্পী ও কসমস আতেলিয়ার-৭১ এর অন্যতম সহযোগী প্রতিষ্ঠাতা মুক্তিযোদ্ধা বীরেন সোম এই উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেছেন, ‘গ্যালারি কসমস ও আতেলিয়ার-৭১ সর্বদা আমাদের শিল্প ও সংস্কৃতির প্রচারের জন্য নিবেদিত এবং শিল্প বিশেষজ্ঞ রোকেয়া সুলতানার এই একক প্রিন্টমেকিং কর্মশালা ও এই লাইভ প্রদর্শনী তারই প্রমাণ।’
সার্টিফিকেট উপস্থাপনা পর্বের পর শিল্পী-সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম এবং বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী আফরোজা জামিল কঙ্কাসহ অন্যান্য অংশগ্রহণকারী শিল্পীরা সঙ্গীত ও কবিতায় শ্রোতাদের বিমোহিত করেন।
কসমস আতেলিয়ার-৭১ এ ২৩-২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত কর্মশালাটি চলে।
আরও পড়ুন: কসমস অ্যাতেলিয়ার ৭১ পরিদর্শন করলেন ফরাসি রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুই
ফরিদপুরে পূণ্যস্নানে হাজারো মানুষের ঢল
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূণ্যস্নান অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখানকার পূণ্যস্নান শত বছরের পুরোনো ঐতিহ্য। ফরিদপুরসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসেন পূণ্যার্থীরা।
রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের জয়নগরে অবস্থিত কয়ড়া কালীমন্দির ঘেঁষে প্রবাহিত চন্দনা-বারাসিয়া নদীতে এ পূণ্যস্নান অনুষ্ঠিত হয়।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূণ্যস্নান ও নানা আয়োজনের পাশাপাশি বসেছে ঐতিহ্যবাহী মেলা। তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে এ মেলা।
প্রতি বছরের মতো এবারও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসবের অন্যতম পূণ্যস্নান অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: দুবলারচরে পূণ্যস্নানের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ৩ দিনের রাস উৎসব
অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার ১৪২৯ পেলেন সাংবাদিক-লেখক শাহনাজ মুন্নী
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে সাংবাদিক ও লেখক শাহনাজ মুন্নীর হাতে শনিবার সম্মানজনক অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার ১৪২৯ (২০২৩) তুলে দেয়া হয়।
প্রশংসিত নারীবিষয়ক ম্যাগাজিন 'অনন্যা' প্রতি বছর এই পুরস্কার প্রদান করে থাকে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বিশিষ্ট লেখক আনোয়ারা সৈয়দ হক মুন্নীকে পুরস্কার প্রদান করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবিদ ও লেখক-গবেষক হামীম কামরুল হক।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অনন্যা’র সম্পাদক তাসমিমা হোসেন। তিনি বলেন, ‘অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার ১৪২৯ অর্জনের জন্য আমি শাহনাজ মুন্নীকে অভিনন্দন জানাতে চাই। তিনি একজন বিশিষ্ট লেখক এবং আমি বিশ্বাস করি যে তিনি তার কর্মজীবনে দুর্দান্ত সফলতা অর্জন করবেন।’
এই অর্জনে আনন্দ প্রকাশ করে শাহনাজ মুন্নি বলেন, ‘ত্রিশ বছর ধরে আমি লিখছি এবং আমার লেখার ক্যারিয়ারে এটাই প্রথম পুরস্কার। আমি এই পুরস্কারের জন্য ও পাক্ষিক অনন্যার কাছে কৃতজ্ঞ।’
আরও পড়ুন: ‘অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার ১৪২৮’ পেলেন রঞ্জনা বিশ্বাস
শাহনাজ মুন্নী ১৯৬৯ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। একজন সফল লেখক হিসেবে এই পরিচয়ের পাশাপাশি তিনি একজন প্রখ্যাত টেলিভিশন সাংবাদিক এবং বর্তমানে নিউজ ২৪-এ প্রধান বার্তা সম্পাদক হিসেবে কাজ করছেন।
তার সাহিত্যকর্মের ২৪টি বইয়ের মধ্যে রয়েছে- ‘এলো ক্রুদ্ধ অন্ধকার’, ‘বাদুর ও ব্র্যান্ডি’, ‘তৃতীয় ঘন্টা পড়ার আগেই’, ‘পান সুন্দরী, ‘নির্বাচিত গল্প’, ‘আমি আর আমিন যখন আজিমপুর থাকতাম’, ‘স্নানের শব্দ’।
অনন্য সাহিত্য পুরস্কার প্রবর্তিত হয় ১৯৯৩ সালে। সাহিত্যে অবদানের জন্য প্রতি বছর একজন নারী লেখককে এই পুরস্কার দেয়া হয়।
সেলিনা হোসেন, রাবেয়া খাতুন, নিয়াজ জামান, রিজিয়া রহমান, নীলিমা ইব্রাহিম, দিলারা হাশেম, রুবী রহমান, বেগম আকতার কামাল, ঝর্ণা দাশ পুরকায়স্থ, আকিমুন রহমান, নাদিরা মজুমদারসহ বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট নারী লেখক এই সম্মানজনক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: এবার খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার পাচ্ছেন ধ্রুব এষ ও পাপড়ি রহমান
একুশে বইমেলার শিকড়ের সন্ধান
বাঙালি জাতির আত্মপরিচয়ের ক্ষেত্রে বাংলা ভাষা সবসময়ই অগ্রগণ্য ভূমিকা রেখেছে। অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও সাহিত্যের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ। প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসে বইমেলা হয়।
এটি দেশের বৃহত্তম বইমেলা, যেখানে প্রকাশকরা বিভিন্ন ধারায় লেখা মুদ্রিত বই প্রদর্শন ও বিক্রি করেন।
এই মেলা পাঠকদের জন্য তাদের প্রিয় লেখক, কবি, ঔপন্যাসিক ও প্রকাশকদের সঙ্গে মুখোমুখি দেখা করার দুর্দান্ত সুযোগ করে দেয়। পাঠকদের বই পড়তে ও কিনতে উৎসাহিত করার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে পরিবেশন করার পাশাপাশি বইমেলা মাসব্যাপী একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবেও কাজ করে– যা বাংলাদেশের বৈচিত্র্যকে তুলে ধরে।
অমর একুশে বইমেলার ইতিহাসের শিকড় অনুসন্ধান করা যাক-
চিত্তরঞ্জন সাহা
বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে একটি মাঠ থেকে বইমেলা শুরু হয়। চিত্তরঞ্জন সাহা ১৯২৭ সালে নোয়াখালী জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকার বাংলাবাজারে অবস্থিত তার প্রকাশনা সংস্থা পুঁথিঘর প্রকাশনী ১৯৭১ সালে পুড়িয়ে দেয়া হয়। চিত্তরঞ্জন সাহা ২৬ মার্চের পর ঢাকা ছেড়ে যান। তিনি আগরতলায় আশ্রয় নেন এবং তারপরে মুক্তিযুদ্ধের সময় কলকাতায় চলে আসেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের অনেক বিশিষ্ট লেখক, শিল্পী, সাংবাদিককে শরণার্থী হিসেবে কলকাতায় থাকতে হয়েছিল।
সেই সময়কালে চিত্তরঞ্জন কলকাতায় বসবাসরত কয়েকজন বিশিষ্ট সাহিত্যিকের সঙ্গে একটি বৈঠকের ব্যবস্থা করেন। তারা বাংলাদেশের (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) ওপর হওয়া অন্যায় ও যুদ্ধ নিয়ে লেখার ও তা প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নেন। এভাবেই মুক্তধারার জন্ম হয়।
১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে চিত্তরঞ্জন সাহা বাংলা একাডেমি ভবনের সামনে গাছের নিচে একটি মাদুর বিছিয়ে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে প্রায় ৩২টি (কিছু সূত্র অনুসারে ৩৩টি) বই প্রদর্শন করেন।
যদিও চিত্তরঞ্জন সাহা প্রথমদিককার উদ্যোক্তা হিসেবে বইমেলার সূচনা করেছিলেন, তবে কিছু সূত্র অনুসারে তিনিই প্রথম ব্যক্তি নন যিনি ফেব্রুয়ারিতে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বই বিক্রি শুরু করেছিলেন। স্ট্যান্ডার্ড পাবলিশার্সের রুহুল আমিন নিজামী রাশিয়ান বই প্রদর্শন শুরু করেন। এই বইগুলো তাদের সমৃদ্ধ বিষয়বস্তু এবং সাশ্রয়ী মূল্যের জন্য সেসময়ে খুব জনপ্রিয় ছিল।
আরও পড়ুন: দুই বছর পর ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন শুরু হচ্ছে বইমেলা
বাংলাদেশে প্রথম বইমেলার পেছনের ইতিহাস
চিত্তরঞ্জন সাহা একুশের বইমেলার প্রবর্তক হিসেবে স্বীকৃত হলেও বইমেলার শিকড় আরও গভীরে প্রোথিত।
তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে প্রথম বইমেলা অনুষ্ঠিত হয় ১৯৬৫ সালে।
উদ্যোগটি নিয়েছিলেন সরদার জয়েনউদ্দীন। তিনি ১৯১৮ সালে পাবনায় জন্মগ্রহণ করেন।১৯৬৫ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) গ্রন্থাগারের নিচতলায় কিছু শিশুতোষ বই প্রদর্শন শুরু করেন। তখন তিনি শিশুদের বই নিয়ে ইউনেস্কোর একটি প্রকল্পে কাজ করছিলেন।
১৯৭০ সালে জয়েনউদ্দীন নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সহযোগিতায় নারায়ণগঞ্জে একটি বইমেলার আয়োজন করেন।
ইউনেস্কো ১৯৭২ সালকে ‘আন্তর্জাতিক বই বর্ষ’ ঘোষণা করায়, ডিসেম্বরে জয়েনউদ্দীন বাংলা একাডেমিতে বইমেলার আয়োজনের উদ্যোগ নেন। এরপর থেকে বাংলা একাডেমি বইমেলার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত হয়।
একুশে বইমেলার যাত্রা
চিত্তরঞ্জন সাহা আরও কয়েক বছর বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বই প্রদর্শন ও বিক্রি চালিয়ে যান। ১৯৭৬ সালে বই বিক্রির এই ধারণা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে অন্যান্য প্রকাশকরা একত্র হন এবং এতে যোগ দেন। ১৯৭৮ সালে বাংলা একাডেমি এই উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হয়।
আশরাফ সিদ্দিকী সে সময় বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ছিলেন এবং বইমেলার সঙ্গে একাডেমির যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে তার সক্রিয় ভূমিকা ছিল। এরপর ধীরে ধীরে বাংলা একাডেমির আয়োজক সমিতি বইমেলাকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে।
১৯৭৯ সালে বাংলা একাডেমির প্রাঙ্গণে ‘বাংলাদেশ পুস্তক বিক্রেতা ও প্রকাশক সমিতি’ (চিত্তরঞ্জন সাহা প্রতিষ্ঠিত) এবং বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় একটি বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: এবার একুশে বইমেলায় সাড়ে ৫২ কোটি টাকার বই বিক্রি
দুই বছর পর ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন শুরু হচ্ছে বইমেলা
কোভিড-১৯ এর কারণে গত দুই বছরের অমর একুশে বইমেলার ঐতিহ্যবাহী তারিখ পরিবর্তন করা হয়।
সামাজিক দূরত্বের মতো কোভিড-১৯ এর নিয়মগুলোর বাধ্যবাধকতা এখন না থাকায় এ বছরের মেলা ঐতিহ্যবাহী ১ ফেব্রুয়ারি তারিখেই শুরু হতে যাচ্ছে। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ বাংলা একাডেমির বিস্তীর্ণ প্রাঙ্গণে এবার পুরো মাসজুড়ে আয়োজনটি চলবে।
২০২০ সালের পর প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী সশরীরে মেলার উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২২ প্রদান করবেন এবং সাতটি নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করবেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, সংস্কৃতি সচিব আবুল মনসুর এবং বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি নুরুল হুদা উপস্থিত থাকবেন।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে ৩ দিনব্যাপী নন-ফিকশন বইমেলা শুরু ২৬ ডিসেম্বর
এবারের বইমেলার জন্য ৬০১টি প্রতিষ্ঠানকে ৯০১টি ইউনিট (স্টল) বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, যা গত বছর ছিল ৫৩৪টি প্রতিষ্ঠানের জন্য ৭৭৬টি স্টল। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ১১২টি প্রতিষ্ঠানকে ১৬৫টি স্টল এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৪৮৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৩৬টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
সোমবার সংবাদ সম্মেলনে অমর একুশে বইমেলা কমিটির সম্পাদক কে এম মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রকাশক ও মেলাপ্রেমীদের পরামর্শ ও চাহিদার কথা বিবেচনা করে আমরা স্টল ও প্যাভিলিয়ন ব্যবস্থার পাশাপাশি প্রবেশ ও প্রস্থান পয়েন্টে কিছু পরিবর্তন এনেছি। পূর্ববর্তী পদ্ধতি পরিবর্তন করা হচ্ছে এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অভ্যন্তরে ৪৮৯টি স্টল এমনভাবে স্থাপন করা হয়েছে যাতে দর্শনার্থীরা যে কোনো কোণ থেকে পুরো মেলার মাঠ দেখতে পারেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইন্সটিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্সের পাশে পুলিশ, আনসার ও ফায়ার সার্ভিসের স্টল বসানো হয়েছে। খাবার দোকানের জন্য দুটি নির্দিষ্ট এলাকা নির্ধারিত হয়েছে। কোনো অসংগঠিত, খোলা বা রাস্তার খাবারের দোকান থাকবে না।’
মেলায় প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা এবং ছুটির দিনে সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চারটি প্রবেশপথ ও চারটি প্রস্থান পথ দিয়ে দর্শনার্থীরা চলাচল করতে পারবেন। তবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে তারা সকাল ৮টায় মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন এবং রাত সাড়ে ৮টার পর সব প্রবেশপথ বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে ১০দিনব্যাপী 'কিনে'র বইমেলা
বায়তুল মুকাররমে মাসব্যাপী ইসলামী বইমেলা শুরু
কসমস অ্যাতেলিয়ার ৭১ পরিদর্শন করলেন ফরাসি রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুই
বাংলাদেশে ফ্রান্সের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুই কসমস ফাউন্ডেশনের প্রিন্টমেকিং স্টুডিও, শৈল্পিক স্থান গ্যালারি কসমস ও কসমস অ্যাতেলিয়ার ৭১ পরিদর্শন করেছেন। বৃহস্পতিবার তিনি এই পরিদর্শন করেন।
মারি মাসদুপুই কসমস সেন্টারে ‘ইমপ্রেশন অব রোকেয়াস’ শিরোনামে আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত শিল্পী ও শিল্প শিক্ষক, অধ্যাপক রোকেয়া সুলতানার চলমান একক ইন্টাগ্লিও প্রক্রিয়া সফটগ্রাউন্ড এবং স্টেনসিল ওয়ার্কশপ পরিদর্শন করেন।
কসমস আতেলিয়ার ৭১ এবং গ্যালারি কসমস-এর ডিরেক্টর তেহমিনা এনায়েত ও রোকেয়া সুলতানা রাষ্ট্রদূত মাসদুপুয়কে অভ্যর্থনা জানান এবং তাদের শৈল্পিক দৃষ্টিভঙ্গি বিনিময় করেন। গ্যালারি কসমসের আর্টিস্টিক ডিরেক্টর সৌরভ চৌধুরী স্টুডিও ও গ্যালারি পরিদর্শনে দিকনির্দেশনা দেন। চলমান শৈল্পিক উদ্যোগ ও কর্মশালার বিষয় বর্ণনা করেন।
তেহমিনা এনায়েত ইউএনবিকে বলেন, ‘কসমস আতেলিয়ার ৭১ এবং গ্যালারি কসমস-এ আমাদের মাঝে ফরাসি রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুইকে পেয়ে আমরা অভিভূত। ফ্রান্স শিল্পকলার জগতে অগ্রগামী দেশ এবং আমাদের কূটনৈতিক মিত্রদের মধ্যে একটি।’
তিনি বলেন, আমাদের শিল্পকলার রাষ্ট্রদূতের পরিদর্শন দুই দেশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য বন্ধন ও বন্ধুত্বকে আরও শক্তিশালী করবে।
প্রফেসর রোকেয়া সুলতানা বলেন, ‘এটা আমাদের গর্বের বিষয় যে রাষ্ট্রদূত মাসদুপুই এই একক প্রিন্টমেকিং ওয়ার্কশপ পরিদর্শন করেছেন। আমি ও আমাদের সকল অংশগ্রহণকারী শিল্পীরা আমাদের কাজের বিষয়ে তার উপস্থিতি ও উৎসাহে মুগ্ধ।’
আরও পড়ুন: ইমপ্রেসন অব রোকেয়া'স: কসমস আতেলিয়ার ৭১ এ নকশা খোদাই পদ্ধতির কর্মশালা শুরু
২৩ জানুয়ারি উদ্বোধন করা কর্মশালায় দেশ ও দেশের বাইরের তরুণ এবং বিশিষ্ট শিল্পীরা উপস্থিত রয়েছেন। এর মধ্যে অস্মিতা আলম শাম্মী, রুজভেল্ট বেঞ্জামিন, ছোট জুলফিকার, রিফাত জাহান কান্তা, ফারজানা রহমান ববি, মোহাম্মদ রেজওয়ানুর রহমান, বাচ্চু মিয়া আরিফ, কামরুজ্জোহা এবং ভারতীয় এস এম এহসান। শিল্পী শুক্লা পোদ্দার।
কর্মশালায় চার অতিথি শিল্পী- প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী আফরোজা জামিল কনকা, বিশিষ্ট ফটোসাংবাদিক-শিল্পী নাসির আলী মামুন, প্রবীণ শিল্পী ও মুক্তিযোদ্ধা বীরেন শোম এবং সাংবাদিক-শিল্পী জাহাঙ্গীর আলমসহ অংশগ্রহণকারী অতিথি শিল্পী স্যাম জামিল জুলিয়ান, রুমেসা মাইলক্স এবং সৌরভ চৌধুরী।
আরও পড়ুন: কসমস আতেলিয়ার ৭১-এ চলছে প্রিন্ট মেকিং ওয়ার্কশপ ইমপ্রেশন অব রোকেয়া’স
কসমস আতেলিয়ার ৭১-এ চলছে প্রিন্ট মেকিং ওয়ার্কশপ ইমপ্রেশন অব রোকেয়া’স
প্রিন্ট মেকিং শিল্পের পেছনের চিত্তাকর্ষক কৌশল ও গল্পগুলো তুলে ধরতে শিল্পকলার বিশিষ্ট অধ্যাপক রোকেয়া সুলতানার ইমপ্রেশন অব রোকেয়া’স শিরোনামের একটি এক্সক্লুসিভ প্রিন্টমেকিং ওয়ার্কশপ বর্তমানে ঢাকার মালিবাগের কসমস আতেলিয়ার ৭১ -এ চলছে।
প্রখ্যাত শিল্পী ও শিল্পশিক্ষাবিদ এর জন্মদিন উপলক্ষে সোমবার (২৩ জানুয়ারি) এই কর্মশালার উদ্বোধন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের তরুণ ও বিশিষ্ট শিল্পী অস্মিতা আলম শাম্মী, রুজভেল্ট বেঞ্জামিন, ছবি জুলফিকার, রিফাত জাহান কান্তা, ফারজানা রহমান ববি, মোহাম্মদ রেজওয়ানুর রহমান, বাচ্চু, মিয়া আরিফ, কামরুজ্জোহা, এস এম এহসান ও ভারতীয় শিল্পী শুক্লা পোদ্দার।
অধ্যাপক রোকেয়া সুলতানার এক্সক্লুসিভ ইন্টাগ্লিও প্রসেস-সফটগ্রাউন্ড এবং স্টেনসিল ওয়ার্কশপে চার অতিথি শিল্পী- প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী আফরোজা জামিল কনকা, বিশিষ্ট ফটোসাংবাদিক-শিল্পী নাসির আলী মামুন, প্রবীণ শিল্পী ও মুক্তিযোদ্ধা বীরেন সোম এবং শিল্পী-সাংবাদিক জাহাঙ্গীর অংশ নিয়েছেন।
অতিথি শিল্পী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- স্যাম জামিল জুলিয়ান, রুমেসা মাইলক্স ও সৌরভ চৌধুরী।
কসমস আতেলিয়ার ৭১ এবং গ্যালারি কসমসের পরিচালক তেহমিনা এনায়েত ইউএনবিকে বলেন, ‘কসমস গ্যালারি ও কসমস আতেলিয়ার ৭১- দীর্ঘদিন ধরে দেশের শিল্পের অগ্রগতি প্রচারকে অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় দশজন প্রতিভাবান এবং অতিথি শিল্পী রোকেয়া সুলতানার সঙ্গে সহযোগিতা করছেন। রোকেয়া সুলতানা বাংলাদেশের অন্যতম বিশিষ্ট ও সফল একজন শিল্পী। এই অনন্য প্রিন্টমেকিং কর্মশালায় ভারতীয় শিল্পী শুক্লা পোদ্দার এবং আমাদের শিল্পাঙ্গণের আরও বেশ কয়েকজন বিখ্যাত চিত্রশিল্পী আমাদের সঙ্গে অংশ নিচ্ছেন; এবং তাদের সম্মিলিত অবদান এই প্রচেষ্টাকে আরও সফল করে তুলবে।’
আরও পড়ুন: ইমপ্রেসন অব রোকেয়া'স: কসমস আতেলিয়ার ৭১ এ নকশা খোদাই পদ্ধতির কর্মশালা শুরু