%E0%A6%A2%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%BE
গাজীপুরে বয়লার বিস্ফোরণে চীনের নাগরিক নিহত
গাজীপুরে ব্যাটারি তৈরির কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণে পু জুকি নামে এক চীনের নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কাশিমপুর থানার দক্ষিণ পানিশাইলের পলাশ হাউজিং এলাকার টং রুইদা ইন্ডাস্ট্রিজ কারখানায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: পাবনায় বয়লার বিস্ফোরণে শিশুসহ নিহত ২
জানা যায়, মঙ্গলবার বয়লারটিতে বিস্ফোরণে ৫ বাংলাদেশিসহ ৬ জন আহত হন। তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের উদ্ধার করে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চীনা প্রকৌশলীর মৃত্যু হয়।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, কাশিমপুরের দক্ষিণ পানিশাইল এলাকার পলাশ হাউজিং এ আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আধা ঘণ্টারও কম সময়ে আগুন নির্বাপণ করে। বয়লার ও ব্যাটারি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে তদন্ত ছাড়া দুর্ঘটনার কারণ বলা যাচ্ছে না।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের কাশিমপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মহিউদ্দিন বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কাশিমপুরের পলাশ হাউজিং এলাকায় এক চায়না ব্যাটারি কারখানায় বিস্ফোরণে এক চীনা নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণে ৩ শ্রমিক আহত
সীতাকুণ্ডে শিপ ইয়ার্ডে বয়লার বিস্ফোরণে নিহত ১, আহত ৩
ফরিদপুরে পিকআপের ধাক্কায় মা-ছেলে নিহত, বাবা-মেয়ে আহত
ফরিদপুরে গ্যাস সিলিন্ডারবোঝাই পিকআপের ধাক্কায় মা ও ছেলের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এতে আহত হয়েছেন বাবা ও মেয়ে।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ফরিদপুরের নগরকান্দার বড় কুমারদিয়া নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন- মা সুমাইয়া আক্তার (৩৫) ও তার ৮ মাস বয়সী ছেলে মোহাম্মদ মীর যশোরের লাউনিয়ার সিদ্ধিরপাশা গ্রামের আজমিন মিয়ার স্ত্রী ও সন্তান বলে জানা গেছে। এ সময় নিহতের স্বামী আজমিন (৪৫) ও মেয়ে ফাতেমা আক্তার (২) গুরুতর আহত হন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনা: ত্রাণের টিন আনতে গিয়ে প্রাণ গেল ৪ জনের
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত সুমাইয়া আক্তার তার স্বামী সন্তানদের সঙ্গে মোটরসাইকেলে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পেছন দিক থেকে আসা একটি গ্যাস সিলিন্ডারবোঝাই পিকআপ তাদের ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মা ও ছেলের মৃত্যু হয়।
নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আমিনুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে। যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে এবং লাশ দুটিকে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানায় বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খাইরুল আনাম বলেন, লাশ উদ্ধার করে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানায় আনা হয়েছে। পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে বাস ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের ৫ জনসহ নিহত ১৩
ফরিদগঞ্জে গাছের গুঁড়ির আঘাতে যুবকের মৃত্যু
ফরিদগঞ্জে কাটা গাছের গুঁড়ির আঘাতে মেহেদী হাসান (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিকালে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের লাউতলী গ্রামের জহির উদ্দিন বেপারির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মেহেদী জহির উদ্দীন বেপারির ছেলে।
গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বুলবুল আহমেদ জানান, জহির উদ্দিন বেপারি বাড়ির আবুল কালাম, মুসলিম মিয়া ও মেহেদী হাসানসহ চারজন দিনমজুর গাছ কাটার কাজ করেন। সোমবার বিকালে তারা নিজ বাড়ির একটি গাছ কাটার পর গাছের একটি গুঁড়ি কাঁধে নিয়ে অন্যস্থানে ফেলার সময় অসাবধনতাবশত মেহেদী হাসান গুঁড়ির নিচে চাপা পড়েন। এসময় তিনি মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পান। পরে স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পরে হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে সংবাদ পেয়ে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) প্রদীপ মন্ডল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
তিনি ইউএনবিকে বলেন, মৃত মেহেদীর পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লাশ দাফন করা হয়েছে।
ফরিদপুরের সড়ক দুর্ঘটনার দায় পুলিশ-বিআরটিএ এড়াতে পারে না: জাতীয় কমিটি
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ফরিদপুরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে দুর্ঘটনায় ১৩ জন নিহতের ঘটনার দায় পুলিশ, বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারে না বলে মন্তব্য করেছে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি (এনসিপিএসআরআর)।
কর্তৃপক্ষের অবহেলার নিন্দা জানিয়ে এনসিপিএসআরআর জানায়, ট্রাক, পিকআপ ভ্যান ও বাসে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন নিষিদ্ধ থাকলেও দুর্ঘটনার শিকার গাড়িটি ২৫-৩০ জন যাত্রী নিয়ে ফরিদপুরের বোয়ালমারী থেকে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল।
একই সঙ্গে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও দুর্ঘটনায় আহতদের উন্নত চিকিৎসা এবং চিকিৎসা শেষে পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছে জাতীয় কমিটি।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরের সড়ক দুর্ঘটনা তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন
এনসিপিএসআরআর সভাপতি শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে এই হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
এর আগে ফরিদপুর সদর উপজেলায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস ও পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৩ জন নিহত ও ১৫ জন আহত হয়।
হতাহতরা সবাই পিকআপ ভ্যানের যাত্রী এবং তাদের মধ্যে পাঁচজন একই পরিবারের সদস্য ছিলেন।
ঢাকা থেকে মাগুরাগামী ইউনিক পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে ঢাকাগামী একটি পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
এতে ঘটনাস্থলেই ১১ জন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও দু’জন মারা যান। আহতদের ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ (বিএসএমএমসি) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে বাস ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের ৫ জনসহ নিহত ১৩
ফরিদপুরে বাস ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের ৫ জনসহ নিহত ১৩
ফরিদপুরে যাত্রীবাহী বাস ও পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের ৫ জনসহ নিহত হয়েছেন ১৩ জন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে জন। নিহতরা সবাই পিকআপের যাত্রী।
মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে ফরিদপুর সদরের কানাইপুরের তেঁতুলতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। খরব পেয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে ফায়ার সার্ভিস, হাইওয়ে পুলিশ ও জেলা পুলিশের সদস্যরা উদ্ধার কাজ শুরু করে।
ঢাকা থেকে মাগুরাগামী ইউনিক পরিবহনের সঙ্গে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থেকে আসা একটি পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় ঘটনাস্থলেই পিকআপ ভ্যানের চালকসহ ১১ জন নিহত হন। পরে আহতদের উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে আরও ২ জনের মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে ছুটে যান ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার ও পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম। এ ঘটনায় ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা ও আহতদের প্রত্যেককে ৩ লাখ টাকা দেওয়ার ঘোষণা দেন জেলা প্রশাসক।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, ‘খবর পেয়েই আমরা ছুটে এসেছি। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া নিহতদের পরিবারের সদস্যদের জন্য ৫ লাখ এবং আহতদের পরিবারের জন্য ৩ লাখ টাকা ঘোষণা করা হয়েছে।’
এসপি মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, ‘সড়কে আমাদের চলাচলে আরও সচেতন হতে হবে। তা না হলে থামবে না মৃত্যুর মিছিল। শুধু যাত্রীদেরই নয়, মালিক ও শ্রমিকদের বড় ভূমিকা রাখতে হবে।’
একই পরিবারের নিহত ৫ জন হলেন- ফরিদপুরের বোয়ালমারীর বেজিডাঙ্গা গ্রামের রফিক মোল্লা (৩৫), তার স্ত্রী সুমি বেগম (২৩), ২ ছেলে রুহান মোল্লা (৬) ও হাবিব মোল্লা (৩) এবং রফিকের মা।
রফিক ঢাকায় একটি সরকারি অফিসে লিফটম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঈদের ছুটি শেষ করে তিনি মা, স্ত্রী ও ২ ছেলেকে নিয়ে পিকআপ ভ্যানে করে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। নিহত বাকিদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
নিহতের স্বজনরা জানান, বাসে সিট না পেয়ে পিকআপ ভ্যান ভাড়া করে সবাই বাড়ি থেকে সকালে বের হয়ে ফরিদপুরের উদ্দেশে রওনা হন।
এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কানাইপুরের দিগনগর গ্রামের বাসিন্দা সাহানা বেগম বলেন, ঘটনাস্থলে আসার পর বাসটির একটি চাকা রাস্তার গর্তে পড়ে যায়। গাড়িটি আড়াআড়িভাবে সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে যায়। এ সময় পিকআপ ভ্যানটি বাসটির মাঝামাঝিতে এসে আঘাত করলে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসানুজ্জামান বলেন, ‘লাশের সুরতহালের পরে আমার পরিচয় শনাক্ত করে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।’
নারায়ণগঞ্জে অটোরিকশা চাপায় স্কুল শিক্ষার্থী নিহত
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার শহীদনগর এলাকায় অটোরিকশা চাপায় হোসেন মিয়া (১২) নামে এক স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
নিহত স্কুল শিক্ষার্থী ওই এলাকার ফিরোজ মিয়ার ছেলে ও বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হোসেন মিয়া বাড়ির পাশের রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিল। এসময় দ্রুতগতির একটি অটোরিকশা তাকে চাপা দিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে তাকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন বলেন, নিহত শিশুর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: রাজশাহী নগরীতে দুই দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ তরুণ নিহত
গুইমারায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
গাজীপুরে গাছের সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কা, ২ বন্ধুর মৃত্যু
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে গাছের সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় দুই বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও এক বন্ধু আহত হয়েছেন।
সোমবার কালিয়াকৈর উপজেলার শেওড়াতলী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- শফিকুল খন্দকার ও রায়হান খন্দকার এবং আহত বন্ধু হলেন- বিল্লাল খান।
আরও পড়ুন: গুইমারায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
স্থানীয়রা জানায়, সোমবার তিন বন্ধু মিলে মোটরসাইকেলে ঘুরতে যান। এসময় মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে একটি গাছে ধাক্কা দেয়। এতে তিন বন্ধু গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শফিকুল খন্দকার ও রায়হান খন্দকারকে মৃত ঘোষণা করেন। সেখান থেকে আহত অপরজন বিল্লাল খানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জোবায়ের আহমেদ বলেন, খবর পেয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজশাহী নগরীতে দুই দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ তরুণ নিহত
চট্টগ্রামে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
রাজধানীতে গাড়ির ধাক্কায় রিকশাচালকের মৃত্যু
রাজধানীর গাবতলীতে অজ্ঞাত গাড়ির ধাক্কায় রেজাউল (৩০) নামে এক রিকশাচালকের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) ভোরে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত রেজাউল দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার উত্তর কাটলা গ্রামের আনছার আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী কিশোর নিহত
আহত রিকশাচালককে হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী কাজী শামসুদ্দিন হাবিব বলেন, রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গাবতলী বেড়িবাঁধ স্লুইসগেট এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময় অজ্ঞাত গাড়িটি রেজাউলকে ধাক্কা দেয়।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, অজ্ঞাত গাড়ির ধাক্কায় রাস্তায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। এরপর তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল নেওয়া হয়।
সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন রাত ১২টার দিকে মারা যান তিনি।
তিনি বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে এবং বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ওই রিকশাচালক ঢাকায় থাকলেও তার পরিবার দিনাজপুরের গ্রামের বাড়িতে থাকেন।
আরও পড়ুন: রামপুরায় গাড়ির ধাক্কায় বাইকারের মৃত্যু
সীতাকুণ্ডে গাড়ির ধাক্কায় নিহত ১
ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ
পরিবারের সঙ্গে ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে যোগ দিতে রাজধানীতে ফিরছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ। বাস, ট্রেন, লঞ্চ ও ব্যক্তিগত গাড়িতে করেও ঢাকায় প্রবেশ করছেন তারা।
এদিকে ছুটি শেষে যে পরিমাণ ভিড় বা গাড়ির চাপ থাকার কথা তেমন নেই। তবে সোমবার সকালে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাট এলাকা ছিল ফাঁকা।
তবে ফেরির চেয়ে লঞ্চে যাত্রী বেশি পার হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ৪০.২ ডিগ্রি দাবদাহে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা, হাঁপিয়ে উঠেছে খেটে খাওয়া মানুষ
সকালে দীর্ঘক্ষণ দৌলতদিয়া ঘাটে অবস্থান করে দেখা যায়, মহাসড়কের কোথাও তেমন কোনো চাপ নেই। যানজট ও ভোগান্তি না থাকায় স্বস্তিতে ফিরছে ঢাকামুখী যাত্রীরা। তবে লঞ্চ ঘাটে যাত্রীর চাপ কিছুটা বেশি দেখা যায়।
এদিকে দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ঘাটে অপেক্ষমান কেটাইপ ফেরি কপোতি প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা অপেক্ষার পর সকাল সোয়া ৯টার দিকে একটি বাস, দুইটি পণ্যবাহী ট্রাক, তিনটি অ্যাম্বুলেন্সসহ কয়েকটি ছোট গাড়ি নিয়ে মানিকগঞ্জ পাটুরিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
৭ নম্বর ঘাটে রাজবাড়ী থেকে আসা সৌহার্দ্য পরিবহনের চালক মো. রাশেদ বলেন, পদ্মা সেতু চালুর আগে নদী পাড়ি দিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হতো। ভেবেছিলাম ঈদের ছুটি শেষে অন্তত আজকের দিন যানজট হতে পারে। কিন্তু ঘাটে এসে দেখি সব ফাঁকা।
পরিবহনটির ঘাট তত্বাবধায়ক মনির হোসেন বলেন, আগের আর বর্তমান দৌলতদিয়া ঘাটের মধ্যে অনেক পার্থক্য। সেতু চালুর আগে ঈদের ছুটি শেষে নদী পাড়ি দিতে আসা গাড়িতে ঘাট এলাকায় ৬-৭ কিলোমিটার যানজট হতো। ভোগান্তিতে পড়তেন হাজারো মানুষ। এখন যানজট নেই, ভোগান্তিও নেই। সরাসরি ঘাটে এসে ফেরিতে উঠতে পারছেন।
এদিকে সোমবার সকালে ফেরি ঘাটের পরিবর্তে লঞ্চ ঘাটে যাত্রীর চাপ তুলনামূলক বেশি ছিল। গতকাল রবিবার বিকাল থেকে ঈদ শেষে কর্মজীবী মানুষ কর্মস্থলের দিকে ছুটতে শুরু করেছে।
জেলা পুলিশ জানায়, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ছোট-বড় ১৮টি ফেরি ও ২০টি লঞ্চ রয়েছে। দৌলতদিয়ায় ৭টির মধ্যে ৩, ৪ ও ৭ নম্বর ফেরি ঘাট এবং একটি লঞ্চ ঘাট সচল রয়েছে।
রবিবার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দৌলতদিয়া দিয়ে ৫২১টি বাস, ২৯২টি ট্রাক, ১ হাজার ৬১৭টি ছোট গাড়ি ও ১ হাজার ৫১৪টি মোটরসাইকেল নদী পাড়ি দিয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ট্রাফিক বিভাগের ঘাট তত্বাবধায়ক মো. শিমুল ইসলাম বলেন, এ রুটে ২০টি লঞ্চ চলছে। রবিবার বিকাল থেকে কর্মমূখী মানুষ ছুটতে শুরু করেছে। পদ্মা সেতু চালুর আগে যে চাপ থাকত তার অর্ধেকটাও নেই। যে কারণে সবাই স্বস্তিতেই কর্মস্থলে যেতে পারছেন।
বিআইডব্লিউটিএ’র দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহ উদ্দিন বলেন, ছোট-বড় ১৮টি ফেরি থাকলেও গাড়ির চাপ না থাকায় ৮-১০টি ফেরি যানবাহন পার করছে। গাড়ির চাপ বুঝে অন্যান্য ফেরি পর্যায়ক্রমে ছাড়ছে। তবে মনে হচ্ছে সোমবার বিকাল থেকে যাত্রীর সঙ্গে গাড়ির চাপ বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন: মানুষের সেবায় বছরে ১ লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়: জনপ্রশাসনমন্ত্রী
এবারের ঈদে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হয়েছে সাধারণ মানুষ: ফখরুল
নরসিংদীতে ইউপি সদস্যকে গুলি করে ও গলা কেটে হত্যা
নরসিংদীতে এক ইউপি সদস্যকে গুলি করে ও গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। সোমবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে নরসিংদীর পাচঁদোনা ইউনিয়নের পাকুড়িয়া বাজারে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত রুবেল আহাম্মেদ ওরফে বডি রুবেল আমদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। তিনি ভূইয়ম গ্রামের শাজাহান মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, নিহত রুবেল সোমবার বেলা পৌনে ২টার দিকে পাকুড়িয়া বাজার থেকে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে প্রাইভেটকারে এসে একদল দুর্বৃত্ত তাকে লক্ষ্য করে পরপর ৬ রাউন্ড গুলি ছুড়ে।
গুলিবিদ্ধ হয়ে রুবেল মোটরসাইকেল থেকে মাটিতে পড়ে গেলে দুর্বৃত্তরা তার গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।
পুলিশ জানায়, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রুবেলের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ইমরুল। নির্বাচনের পর দুই প্রার্থীর মধ্যে একাধিকবার হামলার ঘটনা ঘটে। ওই নির্বাচনে রুবেল বিজয়ী হন। এ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ইমরুলের সঙ্গে দ্বন্দ্ব বাড়তে থাকে।
এরই জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
মাধবদী থানার এসআই ফজলে রাব্বি বলেন, হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে ইউপি সদস্যের লাশ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। রহস্য উদঘাটনে তদন্ত করছে পুলিশ।