ঢাকা
জনগণকে নিয়ে গুলশান-বারিধারা লেক পরিষ্কারের উদ্যোগ নিয়েছি: মেয়র আতিক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, গুলশান লেক ও বারিধারা লেক মূলত রাজউকের অধীনে আছে, তাই এই লেক দুইটি হস্তান্তর করুক আর না করুক সেটি নিয়ে চিন্তা না করে জনগণকে নিয়ে লেক পরিষ্কারের উদ্যোগ নিয়েছি।
মেয়র বলেন, রাজউকের কাছে আমি চিঠি দিয়েছি এগুলোকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অধীনে দিয়ে দেওয়া হোক। কিন্তু এই লেক এখনো রাজউকের অধীনে রয়ে গেছে। সিটি করপোরেশনকে দেয়নি।
শনিবার (১৬ মার্চ) ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও গুলশান সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে গুলশান লেক পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গুলশান লেকের পাশেই গুলশান জামে মসজিদ। এই মসজিদের মুসল্লিরা আমাকে বার বার জানিয়েছেন লেকের দূষিত পানির দুর্গন্ধ মসজিদে আসে। দুর্গন্ধে টেকা যায় না। গুলশান সোসাইটি, বারিধারা সোসাইটির নেতারা আমার কাছে গিয়েছেন। তারা নিজেরা এই লেক পরিষ্কারে অংশ নিতে চান।
আরও পড়ুন: জরিমানা করায় মানুষ সচেতন হয়েছে: মেয়র আতিক
শনিবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া পরিষ্কার অভিযানে ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতা কর্মীর পাশাপাশি গুলশান সোসাইটি, ছয়টি স্কুলের শিক্ষার্থী, জাগো ফাউন্ডেশন ও শক্তি ফাউন্ডেশনের প্রায় ৪০০ জন অংশ নেন।
ছয়টি স্কুল হলো- স্যার জন উইলসন স্কুল, চট্টগ্রাম গ্রামার স্কুল, স্কলাস্টিকা স্কুল, দিল্লি পাবলিক স্কুল, অস্ট্রেলিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এবং সানিডেল স্কুল।
গুলশান লেক পার্কে শিক্ষার্থী ও অতিথিরা মিলিত হয়।
সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময় শেষে গুলশান-৬৩ নম্বর রোডের গুলশান জামে মসজিদের পাশ থেকে লেক পরিষ্কার কার্যক্রম শুরু হয়।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মেয়র মো. আতিকুল পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশ নেন।
মেয়রি বলেন, গুলশান মসজিদের সামনে লেকের খুব খারাপ অবস্থা হয়ে আছে। এই এলাকার মলমূত্র সব এখানে ফেলা হয়। এটি মেনে নেওয়া যায় না। এই লেকগুলোতে মাছের চাষ হয় না, মশার চাষ হচ্ছে। আমি চাই এই লেকগুলোতে শিশুরা খেলবে। ওয়াটার ট্যাক্সি চলবে। আরও আধুনিক যন্ত্র থাকবে যা দিয়ে তারা খেলবে। কিন্তু পানি হয়ে আছে শতভাগ দূষিত। এখানকার কোনো মানুষ এই লেক থেকে উপকৃত হচ্ছে না। এই এলাকায় অতিরিক্ত মশা, যা এই লেকগুলো থেকে হয়। গুলশান এলাকার মানুষের জন্য ঈদ উপহার হিসেবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এই লেক পরিষ্কার করে দিচ্ছে।
নগরবাসীর উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, সরকারের একার পক্ষে একটা সোসাইটিকে সুন্দর করা সম্ভব নয়, যতক্ষণ না এখানকার মানুষই এগিয়ে আসে। আজকে এখানকার বিভিন্ন স্বনামধন্য স্কুলের শিক্ষার্থী ও শিশুরা এই কার্যক্রমে উপস্থিত হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন ফাউন্ডেশনও এখানে উপস্থিত হয়েছে। গুলশান বনানী অভিজাত এলাকা। এখানকার একেকটি ফ্ল্যাট ২৫ কোটি, ৫০ কোটি টাকা মূল্য। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক এই এলাকার বিল্ডিংগুলো থেকে পয়োবর্জ্য সরাসরি এই লেকে এসে পড়ছে।
তিনি বলেন, ডিএনসিসির স্টর্ম ড্রেনের সঙ্গে একটি চোরাই পাইপ সংযুক্ত করা হচ্ছে। এই ড্রেন দিয়ে শুধু বৃষ্টির পানি যাওয়ার কথা। যারা পয়োবর্জ্য সরাসরি ফেলবে তাদের পাইপে আমি কলাগাছ থেরাপি দেব। যাতে করে এই বর্জ্য আবার তাদের দিকে ব্যাক যায়। একটা ছোট ইটিপি প্ল্যান্ট মাত্র তিন লাখ টাকা। এসব প্ল্যান্ট করতে রাস্তার নিচে যতটুকু জায়গা লাগে সিটি করপোরেশন ব্যবস্থা করে দেবে। আমরা চাই শুধু সরকার না এলাকাবাসী এগিয়ে আসুক।
পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
আরও পড়ুন: দ্রুত কাজ শেষ করে রাস্তা-ঘাট খুলে দেওয়ার নির্দেশ মেয়র আতিকের
পরিবেশের ক্ষতি করে উন্নয়ন করা যাবে না: মেয়র আতিক
গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২
গাজীপুরে সিলিন্ডারের গ্যাস থেকে লাগা অগ্নিকাণ্ডে মো. মুনসুর আলী আকন্দ (৪৫) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাড়িয়েছে দুই জনে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. পার্থ শঙ্কর পাল।
তিনি বলেন, তার (মুনসুর আলী আকন্দ) শরীরের শতভাগ দগ্ধ হয়েছিল। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (১৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টায় তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: আহত পোশাক শ্রমিকের মৃত্যু
তার বাড়ি বগুড়া শিবগঞ্জ উপজেলার সালদাহ উত্তরপাড়া গ্রামে। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন। গাজীপুরের কালিয়াকৈরে থাকতেন। ঘটনার সময়ে তিনি কাজ শেষে বাসায় ফিরছিলেন।
এর আগে গত শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকাল ১০টায় মো. সোলেমান মোল্লা (৪৫) চিকিৎসাধীন মারা যান।
সিলিন্ডার থেকে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ২৯ জন এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনে দগ্ধ ৩৫
গাজীপুরে দগ্ধ রোগীদের উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বোর্ড সভা
পুরান ঢাকায় ছাপাখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে
শুক্রবার রাতে পুরান ঢাকার পাটুয়াটুলিতে একটি ছাপাখানায় অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের গুদাম পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, রাত ৯টা ৩৮ মিনিটে জিনাত প্রিন্টিং ওয়ার্কস লিমিটেডে আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাত ১০টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
অগ্নিনির্বাপক কর্মীদের সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সদস্যরাও।
আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি বলে জানান এই কর্মকর্তা। এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: উত্তরার কাঁচাবাজারের আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে
বঙ্গবন্ধু টানেলের পরিত্যক্ত ওয়্যার হাউজে আগুন নিয়ন্ত্রণে
যাত্রাবাড়ীতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু
ঢাকার যাত্রাবাড়ীর কোনাপাড়া এলাকায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় কামাল হোসেন নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
নিহত কামাল হোসেন ওই এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
আরও পড়ুন: ফরিদগঞ্জে পাগলা কুকুরের কামড়ে শিশুসহ আহত ২০
নিহতের ভাই মো. আক্তার হোসেন জানান, ওয়ার্কশপে কাজ শেষ করে রাস্তা পার হওয়ার সময় দ্রুতগামী একটি মোটরসাইকেল তার ভাইকে ধাক্কা দেয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় কামালকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, লাশ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চায়ের দোকানে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: একজন দগ্ধ
ঋণ করে ওমানে গিয়েছিলেন অগ্নিকাণ্ডে নিহত হোসেন
চায়ের দোকানে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: একজন দগ্ধ
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি চায়ের দোকানে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে হারুন মিয়া নামে একজন দগ্ধ হয়েছেন।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) দুপুরে সদর উপজেলার ফতুল্লার ইসদাইর বুড়ির দোকান এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পরপরই তাকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
দগ্ধ হারুন মিয়ার বাড়ি নারায়ণগঞ্জের কাঠেরপুল এলাকায়।
আরও পড়ুন: সিদ্ধিরগঞ্জে বিস্ফোরণ: ২ বোনের মৃত্যু
স্থানীয়রা জানান, ইসদাইর বুড়ির দোকান এলাকায় নিজের চায়ের দোকান খোলেন হরুন। চুলায় আগুন দিলে গ্যাস সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে দোকানটিতে আগুন ধরে যায়। পরে আশপাশের লোকজন হারুনকে হাসপাতালে নিয়ে যান। হারুনের শরীরের বিভিন্ন অংশ আগুনে পুড়ে গেছে।
ফায়ার সার্ভিসের নারায়ণগঞ্জের উপসহকারী পরিচালক ফখরুদ্দিন আহামেদ বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, সিলিন্ডার থেকে গ্যাস নিগর্ত হয়ে জমে ছিল দোকানটিতে। ম্যাচ দিয়ে আগুন জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ ঘটে।
তিনি আরও জানান, দগ্ধ হারুনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট ভর্তি করেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাবাকে জমি না বুঝিয়ে দেওয়ায় দাদার বাড়িতে নাতির ককটেল বিস্ফোরণ
চট্টগ্রামে সেপটিক ট্যাংক বিস্ফোরণে ৫ জন আহত
ফরিদপুরে ১২০ টাকা খরচায় পুলিশে চাকরি পেলেন ৪৮ তরুণ-তরুণী
ফরিদপুরে মাত্র ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেয়েছেন হতদরিদ্র এবং মধ্যবিত্ত পরিবারের ৪৮ জন তরুণ-তরুণী। কোনো প্রকার হয়রানি, সুপারিশ এবং ঘুষ ছাড়া সোনার হরিণ খ্যাত এই চাকরি পেয়ে খুশিতে আত্মহারা এসব তরুণ-তরুণী। এমন স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিনামূল্যে চাকরি পেয়ে পুলিশ সুপারকে খুশিতে কান্নায় জড়িয়ে ধরেন অনেক অভিভাবক।
শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকালে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম ৪৮ জন তরুণ-তরুণী চাকরি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বুধবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যায় পুলিশ সুপার ট্রেইনি পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেন। এতে ৪১ জন ছেলে ও ৭ জন মেয়ে প্রাথমিকভাবে ট্রেইনি পুলিশ কনস্টেবল পদের জন্য নির্বাচিত হন। পরে রাতেই পুলিশ লাইন্সের ড্রিলশেডে কনস্টেবল পদে ৪৮ জন উত্তীর্ণকে বরণ করে নেয় ফরিদপুর জেলা পুলিশ।
আরও পড়ুন: ভবিষ্যতে সরকারি চাকরির আবেদনে সত্যায়নের প্রয়োজন হবে না: জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- এসপি মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইমদাদ হুসাইন (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) শৈলেন চাকমা (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সালাউদ্দিন প্রমুখ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি পাওয়া এক তরুণের বাবা বলেন, ‘ছেলেকে নিয়ে খুবই চিন্তায় ছিলাম। মানুষের কাছে শুনি এখন সরকারি চাকরি নিতে গেলে টাকা লাগে, লোক লাগে। কিন্তু এখন দেখি সব ধারণা ভুল।’
তিনি আরও বলেন, ‘মাত্র ১২০ টাকা দিয়ে যে পুলিশে চাকরি হবে তা কখনো চিন্তাও করি নাই। এতো সুন্দর ও সচ্ছভাবে পুলিশের চাকরির পরীক্ষার ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য পুলিশ সুপার ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।’
আরও পড়ুন: চাকরির জন্য সিভি তৈরিতে যে বিষয়গুলো পরিহার করবেন
এ বিষয়ে জানতে ফরিদপুরের মোহাম্মদ মোর্শেদ আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'স্মার্ট পুলিশ গঠন করার জন্য আমরা যোগ্য প্রার্থীদেরকে বাছাই করেছি। আর এই কার্যক্রম চালু হয়েছিল গত ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে। নিয়োগ বোর্ডের যেসকল সদস্য ছিল সবাই একদম স্বচ্ছ ছিল। যারা চান্স পেয়েছে সবাই যোগ্য প্রার্থী। মাত্র ১২০ টাকায় নিয়োগ পেয়েছে। কোনো প্রকার সুপারিশ ও লেনদেনের সুযোগ ছিল না।'
তিনি আরও বলেন, 'প্রথমে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরির জন্য ২ হাজার ১৬২ জন প্রার্থী আবেদন করেছিল। তবে এদের মধ্যে থেকে ১ হাজার ৭ ২৮ জন নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। সেখান থেকে লিখিত পরীক্ষায় বাছাই হয়েছিল ৪৭২ জন। লিখিত পরীক্ষার ফলাফলে ১৮৯ জন থেকে মৌখিক পরীক্ষার ফলাফলে ৪৮ জনকে চূড়ান্তভাবে মনোনীত করেছি। এদের মধ্যে পুরুষ ৪১ ও নারী ৭ জন।'
এসপি মোর্শেদ আলম বলেন, 'প্রাথমিকভাবে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা সম্পূর্ণ তদবিরবিহীন, প্রভাবমুক্ত, স্বচ্ছ, মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নির্বাচিত। তাইতো উত্তীর্ণ সকলে আগামী দিনে ‘সেবার ব্রতে চাকরি’ এই মহান ব্রতে উজ্জীবিত হয়ে, সততা দেশপ্রেম এবং কর্মনিষ্ঠার মাধ্যমে দায়িত্ব পালন করে বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল রাখবেন বলে বিশ্বাস করি।'
আরও পড়ুন: মাদকের সঙ্গে জড়িত থাকলে চাকরি হারাবেন পুলিশ কর্মকর্তারা: আইজিপি
রাজধানীর হাতিরপুলে আগুন: ৪ জনকে জীবিত উদ্ধার
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাতিরপুল কাঁচা বাজারের কাছে আগুন লাগা ছয়তলা ভবনের ছাদ থেকে চারজনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের গুদাম পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যা ৬টায় ওই ভবনের দ্বিতীয় তলায় কার্পেটের গুদামে আগুনের সূত্রপাত হয়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে।
এই কর্মকর্তা বলেন, ‘জানালা না থাকায় আমরা দেয়াল ভাঙতে বাধ্য হচ্ছি।’
নেপাল-বাংলাদেশের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ ও বহুমুখী: বাকৃবিতে নেপাল রাষ্ট্রদূত
নেপাল ও বাংলাদেশের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ ও বহুমুখী বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী।
তিনি বলেন, নেপাল ও বাংলাদেশের মানুষের আশা, প্রত্যাশা, প্রতিকূলতা ও সম্ভাবনা একই রকমের। চমৎকার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে শিল্প, বাণিজ্য, যোগাযোগ, শিক্ষা ও কৃষিতে আরও উন্নয়ন করা সম্ভব।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) কৃষি অনুষদের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের ‘ফিড দ্যা ফিউচার ইনোভেশন ল্যাব ফর হর্টিকালচার’ ও ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ইউএসএইড) অর্থায়নে “উন্নয়ন দক্ষতা ও কর্মসংস্থানের সম্পর্ক: বাংলাদেশ ও নেপালে উন্নত প্রযুক্তিভিত্তিক শহর এবং এর আশেপাশে উদ্যান কৃষি” শীর্ষক প্রকল্পের কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও নেপালের আয়তন সমান হলেও চাষাবাদের জমির পরিমাণে বিশাল পার্থক্য রয়েছে। নেপালের অধিকাংশ অঞ্চল হিমালয়ান পর্বতভূক্ত হওয়ায় চাষাবাদ সেখানে খুবই কঠিন।
এ সময় রাষ্ট্রদূত নেপালের প্রেক্ষাপটে শহর ও এর আশেপাশে ফল ও সবজি চাষের অবস্থা, সম্ভাবনা ও প্রতিকূলতা সম্পর্কে আলোচনা করেন।
প্রকল্পটির পিআই অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আবেদীন বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রতি বছরই আমাদের জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। তাই শহর ও এর আশেপাশের জায়গাগুলোতে ফল ও সবজি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও নেপালে প্রকল্পটি পরিচালিত হচ্ছে। দেশের নারী ও যুব সমাজকে এই প্রকল্পের আওতায় এনে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার পাশাপাশি কম্পিউটার মডেলিংয়ের মাধ্যমে নতুন নতুন জায়গা এই প্রকল্প প্রতিষ্ঠা করা হবে।’
তিনি আরও জানান, নেপালের চারটি অঞ্চল ও বাংলাদেশের তিনটি অঞ্চলে প্রকল্পটি চালু রয়েছে। ২০২৩ সালের ১ মার্চ থেকে শুরু হওয়া এই প্রকল্প ঢাকা, ময়মনসিংহ ও খুলনা বিভাগে চালু রয়েছে। এটি চলবে ৩১ আগস্ট ২০২৬ পর্যন্ত।
কর্মশালায় নেপালে প্রকল্পটির অগ্রগতি সম্পর্কে তুলে ধরেন দেশটির এগ্রিকালচার অ্যান্ড ফরেস্ট্রি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. কল্যাণী মিশ্র ত্রিপাঠী।
বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরীর পৃষ্ঠপোষকতায় ও মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রাব্বানী, আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা কেন্দ্রের বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. হোমনাথ ভান্ডারী, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেমের পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহফুজা বেগম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পরিচালক আবু মো. এনায়েত উল্লাহ।
২৩ নাবিকসহ জাহাজ ফেরত আনার লক্ষ্যে আমরা অবিচল: এমএইউ সচিব খুরশেদ
ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুর কবলে পড়া বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিককে সুস্থ অবস্থায় ফিরিয়ে আনাই প্রথম লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মারিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম।
তিনি বলেন, ‘এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ বাংলাদেশি নাবিক সুস্থ আছেন। তাদেরসহ জাহাজ ফেরত আনাই আমাদের প্রথম লক্ষ্য এবং সেই লক্ষ্য থেকে আমরা বিচ্যুত হব না।’
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি এ কথা বলেন।
জলদস্যুরা মুক্তিপণ চেয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমে মুক্তিপণের কথা প্রকাশিত হয়ে থাকলে তা কল্পিত। আমাদের কাছে এখনো কোনো মুক্তিপণ তারা চায়নি, মুক্তিপণের ব্যাপারে কোনো যোগাযোগও করেনি।’
আরও পড়ুন: সোমালিয়ার হাবিয়ো বন্দরে নোঙর করেছে জিম্মি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ
খুরশেদ আলম বলেন, ‘জাহাজ চলাচলের নানা ঝুঁকির রুট থাকে। আমাদের এই জাহাজ উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ রুট দিয়ে যায়নি। তারপরও জলদস্যুরা অপেক্ষায়ই ছিল বা এ নিয়ে ভিন্নমত আছে।’
তিনি বলেন, ‘জলদস্যুরা জাহাজটির দখল নিয়ে সোমালিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) ভোর নাগাদ সোমালিয়ার কাছাকাছি তারা নোঙর করেছে। জলদস্যুরা আমাদের সাথে এখনও কোনো যোগাযোগ করেনি। বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা খবর রাখছি, জলদস্যুদের প্রায় ৬০ জন জাহাজে অবস্থান নিয়েছে এবং বাংলাদেশি ২৩ নাবিক সুস্থ আছেন।’
সচিব বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের আগের অভিজ্ঞতা আছে। জাহান মনি নামের একটি জাহাজ ২০১০ সালে এমন ঘটনার মুখে পড়েছিল। ১০০ দিনের মাথায় সব নবিকসহ জাহাজটি আমরা ফেরত আনতে পেরেছিলাম। এছাড়া মালয়েশিয়ান জাহাজ 'আল-বেদো' যখন জলদস্যুদের কবলে পড়ে তখন সাতজন বাংলাদেশি, দুইজন ইরানি, তিনজন ভারতীয়, দুইজন পাকিস্তানি ও পাঁচজন শ্রীলঙ্কান নাবিক ছিল কিন্তু মালয়েশিয়ার মালিকপক্ষ কোনো দায়িত্ব না নেওয়ায় জাহাজটি আটকে থাকে, আড়াই বছর পর ডুবে যায়, কিছু প্রাণহানিও ঘটে।’
রিয়ার অ্যাডমিরাল বলেন, ‘আমরা পুরো সময় জুড়েই কাজ করেছি এবং প্রায় তিন বছর চার মাস পরে আমরা নেগোসিয়েশন করে কেনিয়ার সেনাবাহিনী দিয়ে বাংলাদেশি নাবিকদের অক্ষত উদ্ধার করে এনেছি।’
সরকারের তৎপরতা নিয়ে তিনি বলেন, আমরা আন্তরিকভাবে চেষ্টায় আছি। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, জাহাজের মালিকসহ সব পক্ষের সঙ্গে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সার্বক্ষণিক যোগাযোগ আছে।
সামুদ্রিক ইউনিট সচিব বলেন, “আমরা এখনও জানি না জলদস্যুদের কী দাবি-দাওয়া। আমরা যদি জানতে পারি, তখন হয়তো কৌশলগতভাবেই গণমাধ্যমকে পুরোপুরি জানাতে পারব না। তবে যেভাবে 'জাহান মনি'কে আনা হয়েছে, যেভাবে 'আল-বেদো' থেকে নাবিকদের অক্ষত আনা হয়েছে সেই অভিজ্ঞতার আলোকে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। 'জাহান মনি' আনতে একশ’ দিন লেগেছে, আর মালয়েশিয়ান জাহাজ থেকে সাতজন ক্রু ফেরত আনতে লেগেছে তিন বছর চার মাস। কাজেই সময় একটা ব্যাপার।’
আরও পড়ুন: দুপুরে সোমালিয়া উপকূলে পৌঁছাতে পারে ‘এমভি আব্দুল্লাহ’
রোহিঙ্গাদের জন্য আরও ৫২ লাখ পাউন্ড সহায়তা দেবে যুক্তরাজ্য
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক সহায়তা হিসেবে আরও ৫২ লাখ পাউন্ড (৭৩ কোটি ২০ লাখ টাকা) সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাজ্য। বৃহস্পতিবার ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশন এ তথ্য জানিয়েছে।
বুধবার জেনেভায় 'জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান' নামে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সহায়তার জন্য ২০২৪ সালের মানবিক আবেদনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেয় যুক্তরাজ্য।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি), আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) ও জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) যৌথভাবে এটি বাস্তবায়ন করেছে। যুক্তরাজ্যের সহায়তার নতুন প্যাকেজটির অধীনে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য খাদ্য ও রান্নার গ্যাস সরবরাহ করা হবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক বলেন, 'কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে মানবিক প্রয়োজন মেটাতে এবং রোহিঙ্গাদের জন্য অত্যাবশ্যকীয় খাদ্য ও রান্নার গ্যাস সরবরাহের জন্য আমি ৫২ লাখ পাউন্ডের এই নতুন প্যাকেজ ঘোষণা করতে পেরে আনন্দিত।’
তিনি বলেন, এই সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গা শরণার্থী ও স্থানীয় বাংলাদেশি জনগোষ্ঠীর পাশে রয়েছে যুক্তরাজ্য।
হাইকমিশনার বলেন, 'আমরা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দিই এবং দীর্ঘমেয়াদি সমাধান খুঁজে বের করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় মানবিক সহায়তা দিচ্ছি। আমরা এই বছরের শেষের দিকে অতিরিক্ত সহায়তার ঘোষণা দেব।’
যুক্তরাজ্যের এই নতুন সহায়তার মধ্যে রয়েছে: ৩ লাখ ১১ হাজার ৬০০ রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য খাদ্য সরবরাহ করতে ডব্লিউএফপিকে ২৮ লাখ পাউন্ড এবং ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে রান্নার গ্যাস সরবরাহের জন্য আইওএম ও ইউএনএইচসিআরকে ২৪ লাখ পাউন্ড দেওয়া হবে।
২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ও সেখানকার স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য মানবিক সহায়তা দিয়ে আসছে যুক্তরাজ্য।