ঢাকা
অফশোর তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে দরপত্র আহ্বান করেছে পেট্রোবাংলা
বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ অনুসন্ধানের জন্য আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোকে আমন্ত্রণ জানিয়ে অফশোর দরপত্র আহ্বান করেছে তেল ও গ্যাস করপোরেশন পেট্রোবাংলা।
রবিবার (১০ মার্চ) 'অয়েল অ্যান্ড ন্যাচারাল গ্যাস এক্সপ্লোরেশন আন্ডার বাংলাদেশ অফশোর বিডিং রাউন্ড ২০২৪' শীর্ষক দরপত্রটি আহ্বান করেছে সংস্থাটি।
বিদেশে বাংলাদেশ মিশনসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় সংবাদপত্র ও ওয়েবসাইটে দরপত্র জমা দেওয়ার জন্য চলতি বছরের ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছয় মাস সময় দেওয়া হয়েছে।
আহ্বান করা দরপত্রে মোট ২৪টি অফশোর ব্লক রয়েছে- এর মধ্যে ৯টি অগভীর সমুদ্র ব্লক এবং ১৫টি গভীর সমুদ্র ব্লক।
আরও পড়ুন: লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হলে পেট্রোবাংলার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: নসরুল হামিদ
৯টি অগভীর সমুদ্র ব্লক হলো- এসএস-০১, ০২, ০৩, ০৫, ০৬, ০৭, ০৮, ১০ ও ১১) এবং ১৫টি গভীর সমুদ্র ব্লক হলো- ডিএস-০৮, ০৯, ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮, ১৯, ২০, ২১ ও ২২।
দরদাতা এককভাবে বা অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে মিলে এক বা একাধিক ব্লকের জন্য দরপত্র জমা দিতে পারেন।
আহ্বান করা দরপত্রের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে- বাংলাদেশ অফশোর মডেল প্রোডাকশন শেয়ারিং কন্ট্রাক্ট-২০২৩ অনুযায়ী সফল দরদাতাদের সঙ্গে চুক্তি সই হবে।
প্রস্তাবিত চুক্তির বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে- মুনাফার পূর্ণ প্রত্যাবর্তন, কোনো অতিরিক্ত আর্থিক সুবিধা বা রয়্যালটি না থাকা, আন্তর্জাতিক নির্দেশকের আলোকে অপরিবর্তিত আকর্ষণীয় গ্যাসের দাম, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বাজারমূল্যের ভিত্তিতে তেলের দাম নির্ধারণ করা হবে।
এতে পেট্রোলিয়াম পরিচালনার জন্য আমদানি করা যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রপাতির ওপর কোনো শুল্কারোপ করা হবে না। ঠিকাদারের করপোরেট আয়কর দায় পেট্রোবাংলা বহন করবে এবং ন্যূনতম অনুসন্ধান কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য ব্যাংক গ্যারান্টি বহন করবে।
মুনাফাভিত্তিক শেয়ার হস্তান্তর এবং শতভাগ ব্যয় পুনরুদ্ধারের ব্যবস্থা থাকবে, যার বার্ষিক সীমা ৭৫ শতাংশ।
আনুপাতিকভাবে বাধ্যতামূলক কাজের বাধ্যবাধকতা থেকে মুক্তি পেতে ঠিকাদারের অবশ্যই ২ডি সিসমিক সার্ভে থাকতে হবে। একই সঙ্গে বিডযুক্ত ব্লকগুলোর বিপরীতে ২ডি মাল্টি-ক্লায়েন্ট সিসমিক ডেটা ক্রয় বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
প্রতিটি অনুসন্ধান সময়কালে তাদের ন্যূনতম কাজের বাধ্যবাধকতা থাকবে এবং বাধ্যতামূলক কর্মসূচির উপরে অংশগ্রহণযোগ্য কাজের কর্মসূচির প্রতিশ্রুতি থাকবে।
নিলামযোগ্য সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন সীমাসহ আর-ফ্যাক্টরের ভিত্তিতে পেট্রোলিয়াম মুনাফা ভাগাভাগি হবে। তবে বিদেশি কোম্পানি যদি গ্যাস বিক্রি করতে চায়, তাহলে প্রথমে পেট্রোবাংলাকে প্রস্তাব দিতে হবে। পেট্রোবাংলা যদি তা প্রত্যাখ্যান করে তবেই তৃতীয় পক্ষের কাছে গ্যাস বিক্রির সুযোগ পাবে বিদেশি কোম্পানি।
অগভীর ও গভীর সমুদ্রে উভয় ধরনের ব্লকের জন্য রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (বাপেক্স) জন্য ১০ শতাংশ শেয়ার নিশ্চিত করতে হবে।
দরদাতাদের যোগ্যতার মানদণ্ডের মধ্যে রয়েছে- একক বা যৌথ উদ্যোগের ক্ষেত্রে কমপক্ষে একজন সদস্যের দৈনিক কমপক্ষে ১৫ হাজার ব্যারেল তেল বা ১৫০ এমএমএসসি গ্যাসের অফশোর উৎপাদন ক্ষমতা থাকতে হবে। দরদাতাদের অবশ্যই তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদনে কমপক্ষে একটি বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা (স্বদেশ ব্যতীত) থাকতে হবে।
আগ্রহী দরদাতা বা কোম্পানি ৩০০ মার্কিন ডলার বা সমপরিমাণ বাংলাদেশি টাকা খরচ করে তথ্য প্যাকেজটি সংগ্রহ করতে পারবেন।
সংস্থাগুলোর প্রস্তাবিত ব্লকগুলোর ভূতাত্ত্বিক সম্ভাবনাগুলো মূল্যায়ন করতে সক্ষম করার জন্য প্রচারমূলক ও ডাটা প্যাকেজ পেমেন্টের ভিত্তিতে পাওয়া যায়।
সংস্থাগুলো প্রস্তাবিত ব্লকগুলোর ভূতাত্ত্বিক সম্ভাবনাগুলো মূল্যায়নে সক্ষম করতে প্রচারমূলক ও ডেটা প্যাকেজগুলো অর্থ প্রদান সাপেক্ষে পাওয়া যাবে। প্রচারমূলক প্যাকেজগুলোতে দরপত্রের প্রয়োজনীয় নথি, ভূমিকম্প বিভাগের নমুনা, মাধ্যাকর্ষণ, চৌম্বকীয়, ভূতাত্ত্বিক মানচিত্র রয়েছে। নিলামের যোগ্যতা অর্জনের জন্য কোম্পানিগুলোকে প্রমোশনাল প্যাকেজ কেনার কথা বলা হয়েছে দরপত্রে।
প্রমোশনাল প্যাকেজের ক্রয়মূল্য ১০ হাজার মার্কিন ডলার বা সমপরিমাণ বাংলাদেশি টাকা। ডেটা বিক্রয় প্যাকেজ ক্রয় ঐচ্ছিক। বিভিন্ন মূল্যে বিভিন্ন ডাটা সেলস প্যাকেজ পাওয়া যায়।
দরপত্রে বলা হয়েছে, প্রমোশনাল ও ডাটা সেলস প্যাকেজের দরপত্র ক্রয়ে আগ্রহী কোম্পানিগুলো ঢাকার কাওরান বাজারের পেট্রোসেন্টারে অবস্থিত বাংলাদেশ তৈল, গ্যাস ও খনিজ করপোরেশনের (পেট্রোবাংলা) প্রোডাকশন শেয়ারিং কন্ট্রাক্ট-এর পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে।
আরও পড়ুন: পেট্রোবাংলার সঙ্গে এক্সেলারেট এনার্জির এলএনজি সরবরাহ চুক্তি সই
রেমিট্যান্স নিয়ে বিএনপি মিথ্যাচার করছে: অর্থমন্ত্রী
দেশের রেমিট্যান্স নিয়ে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো মিথ্যাচার করছে বলে অভিযোগ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
তিনি বলেন, প্রতি মাসে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ বাড়ছে। এমনকি গত মাসে (ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ রেমিট্যান্স পেয়েছে ২১৬ কোটি ডলার।
শনিবার (৯ মার্চ) দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত খানসামা সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে কাব স্কাউটসের হলিডে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মূল্যস্ফীতি মানুষের প্রধান উদ্বেগ কি না- নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অর্থমন্ত্রী
বাংলাদেশ স্কাউটস, খানসামা উপজেলার আয়োজনে কাব হলিডে প্রোগ্রামে ৫৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৪০০ কাব স্কাউট, স্কাউট ও কর্মকর্তা অংশ নেন।
খানসামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তাজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সফিউল আজম চৌধুরী লায়নসহ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক সব সূচক বাড়ছে, অনিশ্চয়তা-হতাশার কিছু নেই: অর্থমন্ত্রী
নারীকে উন্নয়নের মূল স্রোতে সম্পৃক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী: সাঈদ খোকন
নারীকে উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় সম্পৃক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।
শনিবার (৯ মার্চ) দুপুরে পুরান ঢাকার ওয়ারীর শেরেবাংলা বালিকা মহাবিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা জানান সাঈদ খোকন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে নারীর অগ্রগতী অনেক দূর এগিছে। আজ থেকে বিশ বছর আগে নারীদের সামাজিক প্রেক্ষাপট কেমন ছিলো; আজ কোন অবস্থানে রয়েছে। এখন প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধাঞ্জলী দিতে গেলে দেখবেন সেখানে নারীদের রাখেন, আজ থেকে ত্রিশ বছর আগে এ দৃশ্য দেখা যেত না। এভাবে চিকিৎসা, ট্রাফিক ব্যবস্থা, অর্থনীতিসহ সব সেক্টরে নারীদের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী দেখিয়েছেন বাস্তবে নারী-পুরুষে কোনো ভেদাভেদ নেই। নারীরাও যে পারে এটা প্রমাণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে সাঈদ খোকন বলেন, এক সময় আমরা কেউ থাকব না, কিন্তু আমাদের কর্মময় জীবন থাকবে। আমাদের নেত্রী যা রেখে যাচ্ছেন সেসব থাকবে। দেশটাকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে গেলেন, বৈদেশিক সম্পর্ক কীভাবে গড়ে তুললেন; একটা অনুন্নত দেশকে কীভাবে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে গড়ে তুললেন। শত বছর পরেও প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে গবেষণা হবে।
অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান মমতাজ বেগমের সভাপতিত্বে এবং কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জোবেদা বেগমের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এ সময় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা উপস্থিত ছিলেন।
‘মূলধারায় নারীর অংশগ্রহণ আরও বাড়াতে বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন’
জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের জন্য নারীকে মূলধারায় আরও বেশি করে সম্পৃক্ত করতে বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন বলে মত দিয়েছেন বক্তারা।
তারা বলেন, নারীর অংশগ্রহণ ছাড়া সুষম জাতীয় উন্নয়ন কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
শনিবার (৯ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাব আয়োজিত আন্তর্জাতিক নারী দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সেমিনার, মিট দ্য প্রেস ও আন্তর্জাতিক লিয়াজোঁ উপকমিটির আহ্বায়ক ও এপি’র ব্যুরো প্রধান জুলহাস আলমের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত।
এ সময় ‘আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে বিরাজও সত্য সুন্দর’ রবীন্দ্রসংগীতের সঙ্গে ক্লাবের সদস্য ও অতিথিরা প্রদীপ প্রজ্বলন করে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন।
আরোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বক্ষেত্রে নারীদের যুক্ত করার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন। দেশের প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী এবং তাদের পেছনে রেখে বাংলাদেশের অগ্রগতি নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। সেই চিন্তা থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাজের সর্বস্তরে নারীর অগ্রযাত্রা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় সংসদের ডিপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানে নারীর অধিকারকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে যে সংবিধান জাতিকে উপহার দিয়েছেন তাতে নারীর অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। জাতীয় নারী নীতিমালাসহ যেসব আইনকানুন ও বিধিবিধান প্রণয়ন করা হয়েছে, তাতেও নারী অধিকার রক্ষা ও উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।
জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস বলেন, অনেক ক্ষেত্রে নারী এগিয়ে গেলেও বাংলাদেশে এখনও তারা পিছিয়ে আছেন। জাতিসংঘ বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে নারীর উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এ ধারা যেন অব্যাহত থাকে তিনি সে বিষয়ে জাতিসংঘের অঙ্গীকার পুণর্ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে ছিলেন- জাতীয় সংসদের হুইপ সানজিদা খানম, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি হাসান হাফিজ, যুগ্ম সম্পাদক মো. আশরাফ আলী, ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ফরিদ হোসেন, কাজী রওনাক হোসেন, শাহনাজ সিদ্দীকি সোমা, কল্যাণ সাহা, মোহাম্মদ মোমিন হোসেনসহ ক্লাবের সিনিয়র নেতারা।
জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে চট্টগ্রামের উন্নয়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে চট্টগ্রামের অবদান অনস্বীকার্য। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার যে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন অতি গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, ‘বন্দর নগরী চট্টগ্রাম সবসময় সারা বাংলাদেশের উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে।’
শনিবার (৯ মার্চ) চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ষষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের তৃতীয় বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী।
তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার শক্তিশালী করতে শুধু বরাদ্দকেই বোঝায় না বরং নির্দিষ্ট এলাকার মানুষের আয় বৃদ্ধির সুযোগ সৃষ্টি করে স্বাবলম্বী স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানকে বোঝায়।
তিনি বলেন, প্রতিটি সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদকে তাদের নিজ নিজ এলাকার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়ার বিষয়ে ভাবতে হবে। মানুষের আয় বাড়লে এবং সহজে নাগরিক সেবা পেলে মানুষ রাজস্ব দিতে উৎসাহ বোধ করবে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সে বরাদ্দের সুফল যাতে জনগণ সঠিকভাবে পায় সেজন্য সিটি করপোরেশনের সব স্তরের সবাইকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী আসন্ন বর্ষাকালে এডিস মশা ও ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, বাসা বাড়ি, স্কুল কলেজ, হাসপাতাল ও থানা থেকে শুরু করে যেসব জায়গায় পরিষ্কার স্বচ্ছ পানি জমাট বাঁধতে পারে, সেখানে নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করতে হবে। যাতে এডিস মশা জন্মাতে না পারে। এ বিষয়ে উপস্থিত জনপ্রতিনিধিদের তাদের নিজ নিজ এলাকায় এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
চট্টগ্রাম নগরীর যানজট নিরসনে রাস্তা প্রশস্তকরনের জন্য নেওয়া যেকোনো উদ্যোগে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন তাজুল ইসলাম।
ইনসিনারেশন পদ্ধতিতে চট্টগ্রাম নগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করার উপর গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী বলেন, কর্নফুলি নদী ও বঙ্গপসাগরকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা করতে হলে এছাড়া বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের রাস্তাগুলো সংস্কার করার জন্য আইডি নম্বর দিয়ে কাজ করা হবে যাতে একই রাস্তায় বরাদ্দ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী এবং আরও উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য এম আব্দুল লতিফ, মহিউদ্দিন বাচ্চু এবং আব্দুস সালাম, সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম, ভারতীয় দূতাবাসের সহকারী হাই কমিশনার রাজিব রঞ্জন।
দেশে রাজবন্দি নেই, যারা আছেন তারা বিএনপির কর্মী: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, বিএনপি বলছে যে, হাজার হাজার রাজবন্দি। আমি বলব দেশে রাজবন্দি বলতে এখানে কেউ নেই। আমাদের কাছে যারা বন্দি আছেন তারা বিএনপির কর্মী।
শনিবার (৯ মার্চ) পুলিশ মেমোরিয়াল ডে-২০২৪ উপলক্ষে পুলিশ স্টাফ কলেজের কনভেনশন হলে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, রাজবন্দি বলতে আমাদের এখানে কেউ নেই। যারা প্রধান বিচারপতির বাসায় ভাঙচুর করেছে, যারা পুলিশ-আনসার পিটিয়ে হত্যা করেছে, মেয়েদের গায়ে হাত দিয়েছে আমরা ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের শনাক্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছি। যেটা পুলিশ করছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালেও বিএনপি একটি অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি, অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে নির্বাচনকে বানচালের চেষ্টা করেছে। তবে ক্রমান্বয়ে তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়েছে। ২০০৮ সালে ৩০টি, ২০১৮ ছয়টি সিট পেয়েছে।
তারেক রহমানকে উদ্দেশ করে মন্ত্রী বলেন, ইংল্যান্ডে বসে থেকে তিনি এদেশে তার দলের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছেন। তিনি শুধু এ দেশের জনগণ নয় তার দলীয় নেতা-কর্মীদেরও তিনি ভালো চান না। দিন দিন এই দল জনবিচ্ছিন্ন দলে পরিণত হয়েছে। আর আমাদের প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। এদেশের মানুষ বিশ্বাস করে যতদিন প্রধানমন্ত্রী বেঁচে থাকবেন ততদিন পথ হারাবে না বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য সহনীয় রাখতে জেলা প্রশাসকদের অনুরোধ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
ভাঙ্গায় বাস উল্টে নিহত ৩, আহত ১০
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী বাস উল্টে তিনজন নিহত হয়েছেন। এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।
শুক্রবার ভোর রাতের দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের উপজেলার সদরদী বাবনা তলা এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতদের মধ্যে একজনের পরিচয় জানা গেছে। তিনি হলেন- পাবনা জেলার সাথিয়া উপজেলার পানদুড়িয়া গ্রামের মৃত ইদ্রিস মিয়ার ছেলে শফিকুল ইসলাম সুরুজ।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুই কলেজছাত্রের মৃত্যু
খবর পেয়ে ভাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সদস্যরা ও হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
ভাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ম্যানেজার আবু জাফর জানান, বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা ঢাকা গামী ইমরান ট্রাভেলস নামের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার উপর উল্টে যায়। বাসটি সম্পূর্ণ দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং বাসের ভেতরে থাকা যাত্রীরা আটকা পড়ে ঘটনাস্থলে দুইজন নিহত হয়।
তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ১০ যাত্রী। আহতদেরকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আবু সাঈদ বলেন, বাসটি রাস্তায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গিয়ে দুইজন নিহত ও ১০ জন যাত্রী আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও একজনের মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, নিহত একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। অপর দুইজনের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
গাইবান্ধায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
সবজির ১৩৫টি জাত ও ৭৭টি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে বারি
এ পর্যন্ত ১৩৫টি সবজির জাত উদ্ভাবন ও ৭৭টি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি)।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে প্রতিষ্ঠানটির সবজির আধুনিক জাত ও প্রযুক্তি প্রদর্শন কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে আর জানানো হয়, দেশে বর্তমানে ২.২ কোটি টন সবজি উৎপাদন হয়। উৎপাদিত সবজি খাওয়ার পাশাপাশি একটি অংশ বিদেশে রপ্তানি হয়।
আরও পড়ুন: কেঁচো সারে ভাগ্য বদল, লাইসেন্স না পাওয়ায় হুমকি দেখছেন চুয়াডাঙ্গার আসাবুল হক
উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. মুন্সী রাশীদ আহমদের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বারির মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার।
এরপর বারির এফএমপিই বিভাগের সেমিনার কক্ষে কৃষি যন্ত্রপাতি প্রতিভা অন্বেষণের পুরস্কার বিতরণ কর্মশালা এবং নব নির্মিত এফএমপিই ল্যাব বিল্ডিং উদ্বোধন করা হয়েছে।
এ অনুষ্ঠানে প্রকল্প পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) ড. ফেরদৌসী ইসলাম, পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ) ড. মো. তারিকুল ইসলাম, বারির সাবেক মহাপরিচালক ড. এম এ মাজেদ ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ১৮ লাখ ৩ হাজার নিবন্ধিত জেলে রয়েছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
দেশের চিকিৎসকদের মান পৃথিবীর কোনো দেশ থেকেই কম নয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, বাংলাদেশের চিকিৎসকদের মান বিশ্বের কোনো দেশের তুলনায় কম নয়। দেশে প্রতি বছর হাজার হাজার মেধাবী চিকিৎসক বের হচ্ছে। তারা বেশিরভাগই উন্নত বিশ্বের ডাক্তারদের সমান দক্ষ।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল এডুকেশন কনফারেন্স রুমে সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য বিভাগ আয়োজিত মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের চিকিৎসকদের সুযোগ দিলে তারা তাদের যোগ্যতা বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে পারবেন।
চিকিৎসকদের কর্মক্ষেত্রে অসুবিধা থাকলে তা উপরের কর্মকর্তাকে জানাতে হবে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চিকিৎসকদের কর্মক্ষেত্রে তাদের অসুবিধার কথাগুলো বলতে হবে। আমি মন্ত্রী হওয়ার আগে মন্ত্রণালয়ের পিওন থেকে উপর পর্যন্ত সব জায়গায় ঘুরেছি। কোথাও না পেলে আমি একেবারে প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত চলে যেতাম। কিন্তু আমার কাজের জন্য যা প্রয়োজন তা আমি চাইতাম ও আদায় করতাম। এক দরজা থেকে অন্য দরজা ঘুরতে ঘুরতেই মাত্র পাঁচটি বার্ন বেড থেকে পাঁচশ বেডের বার্ন হাসপাতাল করেছি। আপনাদেরও নিজের কাজের জন্য এভাবে আন্তরিক হতে হবে, মনে দরদ দিয়ে রোগীর সেবা করতে হবে।’
চিকিৎসক শিক্ষকদের উদ্দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যোগ্যতা সম্পন্ন চিকিৎসক সংখ্যায় কম বের হলেও সমস্যা নেই। আপনারা কোয়ান্টিটি দেখবেন না, দেখবেন কোয়ালিটির দিকে।’
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যখাত নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা পূরণ হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সভায় উপস্থিত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও চিকিৎসক নেতারা বিভিন্ন দাবি তুলে ধরে বক্তব্য রাখলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে বিভাগে বিভাগে আমরা ছুটে চলে যাচ্ছি কারণ বিভাগীয় স্বাস্থ্য সমস্যাগুলো জেনে সেখানেই যাতে সমাধান করা যায়। আপনাদের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট দাবিগুলো জানাতে হবে। আমরা চেষ্টা করব সব দাবি যাতে কম-বেশি পূরণ করতে পারি।
সিলেট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক এনায়েত হোসেন জানান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজের জন্য পিডি নিয়োগ দেওয়াসহ কিছু লোকবল নিয়োগ প্রয়োজন আছে।
এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ৭ মার্চ উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৭টায় সিলেট সিভিল সার্জন অফিসে যান এবং সেখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। সেখানে সিভিল সার্জন অফিসে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীদের ৭ মার্চের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা সামন্ত লাল সেন।
মন্ত্রী সকাল ৯টায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইনডোর ও আউটডোরে রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের চিকিৎসার খোঁজ নেন।পরে সিলেটের বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।
সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক শিশির রঞ্জনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, সিলেট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক এনায়েত হোসেন, বিএমএ কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব অধ্যাপক এহতেশামুল হক চৌধুরী, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুব, সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষসহ বিএমএ সিলেট শাখার সভাপতি ও সম্পাদক, স্বাচিপ সিলেট শাখার সভাপতি ও সম্পাদকসহ বিভিন্ন স্তরের পেশাজীবী চিকিৎসক নেতা ও কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: অবৈধ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিকে অভিযান জোরদার হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
শ্রেণিকক্ষে গুলি: সিরাজগঞ্জ মেডিকেল কলেজের প্রভাষক বরখাস্ত
ক্লাসরুমে গুলি করার ঘটনায় সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক ডা. রায়হান শরীফকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ বুধবার(৬ মার্চ) এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউএনবিকে জানিয়েছে কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আমিরুল হোসেন।
মঙ্গলবার সিরাজগঞ্জের একটি আদালত ডা. রায়হানকে কারাগারে পাঠান।
মঙ্গলবার সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক বিল্লাল হোসেনের আদালতে রায়হানকে হাজির করার পর এ রায় দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় ব্যাপক নিন্দার ঝড় উঠলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। গুলির ঘটনা খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার মেডিকেল কলেজ পরিদর্শনে যায় কমিটি।
এ ঘটনায় শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শিক্ষার্থীরা সিরাজগঞ্জ-বগুড়া-৪ লেন মহাসড়কে ডা. রায়হানকে অবিলম্বে চাকরিচ্যুত ও কঠোর শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের গুলিতে মেডিকেল ছাত্র গুলিবিদ্ধ
তাদের দাবি, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) নিবন্ধন বাতিল, অভিযুক্তকে তার শিক্ষকের পদ থেকে স্থায়ীভাবে অপসারণে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন শিক্ষার্থীরা। শেষ পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তদন্ত দলের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করেন শিক্ষার্থীরা।
গুলিবিদ্ধ তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আরাফাত আমিন তমাল বর্তমানে চিকিৎসাধীন। সোমবার বিকালে ক্লাস চলাকালীন এ ঘটনা ঘটে। পরে তমালকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে ডা. রায়হানকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তার আগ্নেয়াস্ত্রটি জব্দ করে পুলিশ।
স্থানীয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, ডা. রায়হান শরীফ অস্ত্র ও ছুরি বহনের জন্য পরিচিত ছিলেন, যা তিনি বক্তব্যের সময় প্রকাশ্যে প্রদর্শন করতেন। শরীফ যখনই শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে তাদের উপস্থিতির বিরোধিতা করে তখনই তারা এই অস্ত্র দিয়ে হুমকি দেয় বলে জানা গেছে।
সোমবার পরীক্ষা চলাকালে তমালকে গালিগালাজ করার পর ডা. রায়হান তাকে গুলি করলে ওই শিক্ষার্থী আহত হয়। প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে, ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রটি অবৈধ, যার ফলে ডা. রায়হানের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে অতিরিক্ত অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা আব্দুল্লাহ আল আমিন বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেছেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে মেডিকেল শিক্ষার্থীকে গুলি করার ঘটনায় মামলা