চট্টগ্রাম
সমুদ্রে গোসলে নেমে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
কক্সবাজার সমুদ্রে গোসল করতে নেমে ভেসে গিয়ে তানভিরুল হক তানিম (১৪) নামের এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় মুমূর্ষু অবস্থায় মাহিম নামের আরও একজনকে উদ্ধার করেছে লাইফ গার্ড ও বীচকর্মীরা।
সোমবার (৪ জুলাই) বিকালে লাবণী পয়েন্টে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত তানভিরুল সদর উপজেলার বাস টার্মিনাল এলাকার নুরুল হকের ছেলে। সে কক্সবাজার বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমির সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশ জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম।
স্থানীয়দের বরাতে তিনি বলেন, 'দুপুরে সদর উপজেলার টার্মিনাল এলাকা থেকে কিছু স্কুল পড়ুয়া ছেলে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে আসে। সৈকতে ফুটবল খেলার পর সহপাঠীরা মিলে সাগরে গোসলে নামে। গোসলের এক পর্যায়ে টিউব উল্টে দুই বন্ধু সাগরে ভেসে যায়। পরে লাইফ গার্ড কর্মীদের সহযোগিতায় একজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। ৪০ মিনিট পর অপরজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) মো. আশিকুর রহমান বলেন, 'মুমূর্ষু অবস্থায় দুই জনকে হাসপাতালে আনা হয়। এদের মধ্যে হাসপাতালে আনার পথে একজনের মৃত্যু হয়। অপর জনের চিকিৎসা চলছে।
নিহতের লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম।
আরও পড়ুন: রাণীশংকৈলে পুকুরে ডুবে বৃদ্ধের মৃত্যু
গোসল করতে নেমে কাপ্তাই হ্রদে ডুবে দুই বন্ধুর মৃত্যু
কক্সবাজারে ছাত্রলীগ নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
কক্সবাজারের সদরে রবিবার ছাত্রলীগের এক নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
নিহত ফয়সাল উদ্দিন (২৫) খুরুশকুলের দক্ষিণ ডেইলপাড়ার মৃত লাল মোহাম্মদের ছেলে এবং সদর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
আরও পড়ুন: নড়াইলে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনির উল গিয়াস জানান, রবিবার সন্ধ্যায় ফয়সাল আওয়ামী লীগের সম্মেলন থেকে বাড়ি ফেরার সময় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, নুরুল হুদা হত্যাকে কেন্দ্র করে ফয়সাল ও ওই এলাকার নুরুল হুদার স্বজনদের মধ্যে বিরোধ চলছিল।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম
রবিবার সন্ধ্যায় নুরুল হুদার স্বজনরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে ফয়সালের ওপর হামলা চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই ফয়সাল নিহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
ওসি জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে রাখা হয়েছে। ‘দোষীদের ধরার চেষ্টা চলছে’।
চট্টগ্রামে স্ত্রীর লাশ উদ্ধার, কাউন্সিলর পুত্র গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের পাহাড়তলী এলাকা থেকে শনিবার সকালে এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই নারীর স্বামী ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের এক ওয়ার্ড কাউন্সিলেরের ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নিহত গৃহবধূ রেহনুমা ফেরদৌস তারেক ইমতিয়াজের মেয়ে। আর গ্রেপ্তার নওশাদুল আমিন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১২ নম্বর সরাইপাড়া ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নুরুল আমিনের ছেলে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে করোনায় আরও একজনের মৃত্যু
পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, রেহনুমা ফেরদৌসের মৃত্যুর ঘটনায় তার স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে রেহনুমার বাবা তারেক ইমতিয়াজ বাদী হয়ে মামলা করেন। আসামি নওশাদুল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদালতে তার রিমান্ড আবেদন করা হবে।
আরও পড়ুন: খুলনায় মাদকসহ ৪ পুলিশ গ্রেপ্তার
নিহতের বাবা তারেক ইমতিয়াজ বলেন, ‘এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। ঘটনা ধামাচাপা দিতে তারা আত্মহত্যার গল্প সাজিয়েছে। তারা বলছে আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু আমরা মেয়ের লাশ বিছানায় পেয়েছি।’
চট্টগ্রামে করোনায় আরও একজনের মৃত্যু
চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়। এ নিয়ে চট্টগ্রামে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো এক হাজার ৩৬৪ জনে।
রবিবার চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন মো. ইলিয়াছ চৌধুরী একজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ২৯৭টি নমুনা পরীক্ষা করে ৫০ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
আরও পড়ুন: একদিনে বিশ্বে করোনায় মৃত্যু ১,১৬১
নতুন আক্রান্ত ৪৫ জন মহানগর এলাকার এবং পাঁচ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।
এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ২৭ হাজার ৩৫১ জন। এর মধ্যে মহানগর এলাকায় ৯২ হাজার ৭৩০ জন এবং উপজেলায় ৩৪ হাজার ৬২১ জন।
হাতির আক্রমণে রাঙ্গুনিয়ায় কৃষকের মৃত্যু
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় বন্য হাতির আক্রমণে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে পদুয়া ইউনিয়নের ত্রিপুরা সুন্দরী ২ নম্বার ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত আব্দুল আজিজ (৬৫) ওই এলাকার মৃত গুনু মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে বন্য হাতির আক্রমণে মানসিক প্রতিবন্ধীর মৃত্যু
বন বিভাগের নারিশ্চা বিট কর্মকর্তা মিন্টু কুমার দে বলেন, জমি বর্গা নিয়ে বিভিন্ন সবজি চাষ করতেন আব্দুল আজিজ। রাতে সবজি খেত পাহারা দিতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তাকে হাতি আক্রমণ করে। এতে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। শনিবার সকালে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: কাপ্তাইয়ে বন্য হাতির আক্রমণে ১ জনের মৃত্যু
দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবায়দুল্লাহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সাড়ে ৪ মাস পর চট্টগ্রামে করোনায় মৃত্যু
প্রায় সাড়ে চার মাস পর চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে নুরুন নাহার (৬০) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি পটিয়া উপজেলার বাসিন্দা।
দুইদিন ধরে চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এর আগে সর্বশেষ গত ১৬ ফেব্রুয়ারি দু’জন জন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান বলে জানায় চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন অফিস।
শুক্রবার (০১ জুলাই) সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী জানান, চলতি মাসের প্রথম থেকেই বাড়তে শুরু করে করোনা সংক্রমণ। প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে এই হার। এ পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৩৬৩ জনের। এর মধ্যে নগরীর ৭৩৪ জন এবং উপজেলায় ৬২৯ জন।
২০২০ সালের ৩ এপ্রিল চট্টগ্রামে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। ৯ এপ্রিল করোনায় চট্টগ্রামে প্রথম কারও মৃত্যু হয়।
এদিকে প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত হয়েছেন ৫২ জন। শনাক্তের হার ১১.৬৮ শতাংশ। এসময়ে ৪৪৫টি নমুনা পরীক্ষা করে নগরে ৪৪ জন এবং উপজেলায় ৮ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এদিন অ্যান্টিজেন টেস্টসহ চট্টগ্রামের ১১টি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
চট্টগ্রামে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ২৭ হাজার ২৫৮ জন। এর মধ্যে মহানগর এলাকায় ৯২ হাজার ৬৫০ জন এবং উপজেলায় ৩৪ হাজার ৬০৮ জন।
পড়ুন: করোনা ঊর্ধ্বমুখী, আমরা কিছুটা চিন্তিত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
চট্টগ্রামে পরীর পাহাড়ে ধস ও ফাটল, পরিদর্শনে বিশেষজ্ঞ দল
চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালি থানাধীন পরীর পাহাড়ে ধস ও ফাটল দেখা দিয়েছে। বুধবার বিকালে বিষয়টি জানাজানির পর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কারিগরি টিম, পরিবেশ অধিদপ্তরের টিম, গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলীসহ একটি টিম পরীর পাহাড়ের ধসে পড়া স্থান সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, পরীর পাহাড় (কোর্টহিল) অ্যাডভোকেট ক্লার্ক ও স্ট্যাম্প ভেন্ডর সমিতির স্থাপনার পিছনে পাহাড়ের মাটি ধসে পড়ে। খবর পেয়ে বিকালে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফায়ার সার্ভিস, পরিবেশ অধিদপ্তরের, গণপূর্ত বিভাগকে জানালে সংশ্লিষ্ট বিভাগের টিম ছুটে যায়।এ সময় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান ও চট্টগ্রাম জেলার যুগ্ম জেলা জজ (নেজারত) খায়রুল ইসলামও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান জানান, পরীর পাহাড়ের ধসে পড়া স্থান পরিদর্শন করে ফায়ার সার্ভিস, গণপূর্ত বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষজ্ঞ দল অতি দ্রুত রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ ও সংস্কারের পরামর্শ প্রদান করেন। সে মোতাবেক পরীর পাহাড়ের ধস প্রতিরোধে এবং ধসে পড়া স্থানের ক্ষতি প্রশমনে অতিসত্বর রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ ও প্রয়োজনীয় সংস্কার করার জন্য গণপূর্ত বিভাগকে অনুরোধ করা হয়।এদিকে যৌথ পরিদর্শক দল চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির ঝুঁকিপূর্ণ বহুতল স্থাপনাসমূহের কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনাগুলো পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শক দল আশঙ্কা প্রকাশ করেন, ঝুঁকিপূর্ণ এ সকল বহুতল স্থাপনার কারণে পরীর পাহাড় এলাকায় যে কোন সময় মারাত্মক পাহাড় ধসসহ ভূমিকম্পে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।
তারা যুগ্ম জেলা জজ (নেজারত), জেলা জজ আদালত, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এবং প্রধান বিচারিক হাকিম আদালতের ভবনের আশপাশের অবৈধ স্থাপনাগুলো দ্রুত অপসারণের নির্দেশনা দেন। জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম সম্ভাব্য পাহাড়ধস ও ভূমিধসে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি রোধকল্পে অবৈধ ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনাসমূহ স্বীয় উদ্যোগে অপসারণের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
জেলা প্রশাসন জানায়, এই পাহাড়ে রয়েছে চট্টগ্রামের প্রশাসনিক কেন্দ্রবিন্দু বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়। এছাড়া এখানে রয়েছে মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত, জেলা ও দায়রা জজ আদালতসহ মোট ৭৬টি আদালত। এই পাহাড়ের পাদদেশে রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম শাখা, সাব রেজিস্টি অফিস এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অফিস। ১৯৭৭ সালে তৎকালীন জেলা প্রশাসক পরীর পাহাড়ের ১ নং খাস খতিয়ানভুক্ত জমি থেকে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নামে ১২ দশমিক ৯০ শতক জমি লিজ দলিলমূলে বরাদ্দ দেন। তারপর থেকে এ পর্যন্ত পাঁচটি ঝুঁকিপূর্ণ বহুতল ভবন নির্মাণ করেছে চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতি।
রোহিঙ্গাদের জন্য বিশেষায়িত হাসপাতাল হচ্ছে: ত্রাণ সচিব
বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের চিকিৎসায় কক্সবাজারে বিশেষায়িত হাসপাতাল তৈরি হচ্ছে। একই সঙ্গে রোহিঙ্গাদের পরিবার পরিকল্পনা সেবার আওতায় আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ও ত্রাণ সচিব মো.কামরুল হাসান।বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে কক্সবাজারের উখিয়াতে ইউএনএইচসিআরের অর্থায়নে একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল তৈরির সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।রোহিঙ্গাদের জন্মহার নিয়ন্ত্রণে কি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে জানতে চাইলে ত্রাণ সচিব বলেন, আমাদের হিসাবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রতিবছর কম বেশি ৩৫ হাজারের মতো নতুন শিশু জন্ম নেয়। আমরা সেখানে আমাদের দেশে প্রচলিত পরিবার পরিকল্পনা সেবা সম্প্রসারিত করছি।
তিনি বলেন, তাদের কিছুটা ধর্মীয় অনুভূতি আছে। তাই তারা এটা (পরিবার পরিকল্পনা) করতে চায় না। তাদের জোর করে কিছু করা হচ্ছে না, মোটিভেট করে বুঝিয়ে এ কাজে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আশার কথা হলো তারাও এ কাজে আগ্রহী হচ্ছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যকে এক লাখ রোহিঙ্গার পুনর্বাসনের অনুরোধ ঢাকার
বিশেষায়িত হাসপাতাল নিয়ে ত্রাণ সচিব বলেন, আমরা উখিয়াতে একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল করতে যাচ্ছি। এখানে মূলত সেখানে যারা বাংলাদেশে অবস্থানরত বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক আছে তাদের এবং যারা স্থানীয় বাংলাদেশি আছেন তাদের স্বাস্থ্যসেবাটা আরও উন্নত করার জন্যই এটা করা হচ্ছে।
ত্রাণ সচিব বলেন, ১৭ হাজার পাঁচশ’ বর্গফুটের এই হাসপাতালটা হবে। এখানে কক্ষ সংখ্যা ৬০টি। এখানে চোখের চিকিৎসা, দাঁতের চিকিৎসাসহ অন্যান্য অপারেশন হবে। এখানে টেলিমেডিসিনের ব্যবস্থাও আছে। এই হাসপাতালে অত্যাধুনিক চিকিৎসাগুলো নিশ্চিত করা হবে।বস্তিবাসী বা দারিদ্র সীমার নিচে থাকা বাংলাদেশিদের জন্য এ ধরনের স্বাস্থ্য সেবা দেয়ার কোনো উদ্যোগ আছে কিনা জানতে চাইলে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, সারাদেশে আমাদের প্রাইমারি হেলথ কেয়ার, সেকেন্ডারি হেলথ কেয়ার আর টার্সিয়ারি হেলথ কেয়ার এই তিন ধরনের স্বাস্থ্য সেবা আছে। প্রাইমারি হেলথ কেয়ারের সেন্টারগুলো আমাদের গ্রামে-গঞ্জে অবস্থিত। শহরে আমাদের প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সেন্টার নেই। এর কারণ লোকাল গভমেন্টের ম্যান্ডেট আছে আরবান মানুষকে হেলথ কেয়ার তারা দেবে। সে হিসেবে তাদের দেয়ার কথা। কিন্তু আমরা দেখি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এ ধরনের সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে অনেক ঘাটতি আছে। তবুও তারা চেষ্টা করছে।তিনি আরও বলেন, আমাদের শহরে সেকেন্ডারি ও টার্সিয়ারি লেভেলের যে হাসপাতালগুলো আছে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য মানুষ জড়ো হয়। এতে আমাদের হাসপাতালগুলোতে ভিড় হয়। আমরা একটা নেটওয়ার্কের মধ্যে স্বাস্থ্য সেবাকে রাখি যাতে সবাই সেবা পায়। এ জন্যই কমিউনিটি ক্লিনিক তৈরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কমনওয়েলথ দেশগুলোর সহায়তা চায় ঢাকা
মিয়ানমারে ফেরার দাবিতে কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের সমাবেশ
চট্টগ্রামে বিদ্যুৎকেন্দ্রের আগুন নিয়ন্ত্রণে
চট্টগ্রাম মহানগরী বাকলিয়া বিদ্যুৎ সাবস্টেশনের আগুন পৌণে এক ঘন্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে।মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস।এর আগে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ওই সাবস্টেশনে ২৬ মেগা ওয়াটের নতুন পাওয়ার ট্রান্সফরমার চালু করলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সিনিয়র কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম আগুন লাগার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আগুন লাগার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভাতে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট। পৌনে একঘন্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেস্থানীয়রা জানান, বিকেলের দিকে বাকলিয়া বিদ্যুৎ সাবস্টেশনে ২৬ মেগা ওয়াটের নতুন পাওয়ার ট্রান্সফরমার চালু করলে হঠাৎ আগুন লেগে যায়। মুহূর্তেই তা দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে। এ সময় স্টেশনের কর্মকর্তারা আগুন নেভানোর পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। পরে চারটি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বাকলিয়ার এ সাবস্টেশন থেকে ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: মগবাজারে ভবনে আগুন
বনশ্রীর জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে
বোয়ালখালীতে ডাকাত দলের হামলায় নারী ও শিশুসহ ১০ জন আহত
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় পরিবারের সদস্যদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান মালামাল নিয়ে গেছে ডাকাতদল। এসময় ডাকাতদের হামলায় নারী ও শিশুসহ ১০জন আহত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার সারোয়াতলী মজু ভান্ডার এলাকায় নুরু ছাফার বসত ঘরে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী পরিবারটির সদস্যরা জানান, নুরুচ্ছফার দোতলা বাড়ির পেছনের লোহার গ্রিলের তালা ভেঙে ২০-২৫ জনের সংঘবদ্ধ ডাকাতদল ঘরে প্রবেশ করে আগ্নেোস্ত্রের মুখে পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে। ডাকাতদল প্রায় ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান করে ভবনের প্রতিটি কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ও মূল্যবান সামগ্রী লুট করে। এসময় ডাকাতদের মারধরে আহত হয়েছেন- শাহনাজ (৩৮), আনোয়ার ছাফা (৫৪), আফরিন সুলতানা (১৭), হাবিবুল বাশার (১৩), ফরিদা বেগম (৩৩), আহমদ ছাফা (৫২), তাহের ইসলাম (১৮), ওবাইদুল আকবর তারেক (২৪), নুর মহল বেগম (৪০) ও নুরু ছাফা (৫৬)।