চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে নির্মাণাধীন হিমাগারে আগুন
চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া এলাকায় এস আলম গ্রুপের নির্মাণাধীন একটি হিমাগারে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। নগরীর বিভিন্ন স্টেশনের ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট আগুন নির্বাপনের কাজ করছে।
আজ শুক্রবার (১ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাকলিয়ার এক্সেস রোডে অবস্থিত কারখানায় আগুন লাগে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, এস আলম কোম্পানির নির্মাণাধীন তাজা মাল্টিপারপাস কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেড নামের ফল সবজি, মাছ ও মাংসের হিমাগারে আগুন লাগে। পরে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ হারুন পাশা বলেন, বাকলিয়ার একটি কারখানায় আগুনের খবর পেয়ে আগ্রাবাদ ও চন্দনপুরা ফায়ার সার্ভিসের মোট ৪টি ইউনিট কাজ করছে। আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে এখনো জানা যায়নি। তদন্ত রিপোর্টের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে মার্কেটের গোডাউনের আগুন নিয়ন্ত্রণে
রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় করাতকলের আগুন নিয়ন্ত্রণে
কুমিল্লায় যুবলীগ নেতা হত্যায় ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৮ জনের যাবজ্জীবন
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলায় যুবলীগ নেতা খুনের মামলায় ১০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৮ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কুমিল্লার জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক বেগম মোছা. মরিয়ম মুন মুঞ্জুরী এই রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের দক্ষিণ বাতাবাড়িয়া গ্রামের তাজুল ইসলামের তিন ছেলে মো. রিয়াদ হোসেন, মীর হোসেন ও আনোয়ার হোসেন, সামছুল হক পাটোয়ারীর দুই ছেলে মো. ইউসুফ ও মো. ইসমাইল হোসেন, ছালেহ আহম্মদের ছেলে মিসু, শহীদ উল্লাহ মেম্বারের ছেলে মো. রাজন, তাজুল ইসলামের ছেলে মানিক মিয়া ও আবুল হোসেনের ছেলে মো. মিজানুর রহমান।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, একই এলাকার তাজুল ইসলামের ছেলে নোমান, সিরাজুল ইসলামের ছেলে সালাহ উদ্দিন, হাজী আ. সামাদের ছেলে আবুল কাশেম পিচ্চি কাশেম, মৌরভী আরী আকবরের ছেলে মো. শহীদউল্লা মেম্বার, নূর আহম্মদের দুই ছেলে মো. সালেহ আহম্মদ ও মো. সোহাগ, মৃত সফিকুর রহমানের ছেলে মো. স্বপন, মৃত সুলতান আহম্মদের ছেলে মো. রাশেদ, মৃত মন্তাজুর রহমানের ছেলে মো. টিপু।
রায় ঘোষণার সময় আসামিদের মধ্যে শুধু যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৩ মে যুবলীগ কর্মী জাহাঙ্গীর হোসেনের বাড়িতে ঢুকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় আসামিরা। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো. আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে ২০ জনকে আসামি করে মনোহরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ ২০১৭ সালের ৮ জুন ১৮ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে এবং ২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
সব আইনি প্রক্রিয়া শেষে বৃহস্পতিবার ১৮ আসামির মধ্যে ১০ জনের উপস্থিতিতে আদালত এ রায় দেন বলে জানান পিপি মো. মোবারক হোসেন।
পদ্মা-মেঘনা অভয়ারণ্যে মাছ ধরায় ২ মাসের নিষেধাজ্ঞা মধ্যরাত থেকে শুরু
বৃহস্পতিবার মধ্যরাত (১ মার্চ) থেকে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার ৭০ কিলোমিটার জাটকা রক্ষা ও অভয়াশ্রম এলাকায় ইলিশের জাটকাসহ সব ধরনের মাছ ধরা নিষেধ।
জেলার মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে শুরু করে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত এ ৭০ কিলোমিটার এলাকায় অভয়াশ্রম বাস্তবায়ন করতে প্রস্তুত জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স।
সরকারি এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছেন ৪৩ হাজার নিবন্ধিত জেলে।
জেলা মৎস্য বিভাগ থেকে জানা গেছে, ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে সরকার প্রতি বছর ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস অভয়াশ্রম এলাকায় জাটকাসহ সব ধরনের মাছ আহরণ নিষিদ্ধ করে।
সরকারের এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে জেলা ও উপজেলায় টাস্কফোর্সের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পদ্মা-মেঘনা পাড়ের জেলে পাড়াগুলোতে জেলেদের অংশগ্রহণে সচেতনতা সভা করা হয়েছে। আইন অমান্য করে যেসব জেলে নদীতে মাছ আহরণ করবেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে টাস্কফোর্সে নিয়োজিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনায় মাছ ধরায় ১৩ জেলেকে জরিমানা
জেলা মৎস্য অফিসার মো. গোলাম মেহেদী হাসান ইউএনবিকে বলেন, ‘মার্চ-এপ্রিল দুই মাস জাটকা ধরা থেকে বিরত থাকা জেলেদেরকে মাথাপিছু ৪০ কেজি করে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে ইউনিয়নে চাল বিতরণ শুরু হয়েছে। জাটকা রক্ষায় জেলা টাস্কফোর্সের সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
চাঁদপুর সদর উপজেলার মেঘনা উপকূলীয় জেলে পাড়া আনন্দ বাজার এলাকায় জেলেদের সঙ্গে এই সংবাদদাতার কথা হয়। জালাল দেওয়ান ও হৃদয় হোসেনসহ অন্যরা জানান, তারা সরকারি নিষেধাজ্ঞা মানেন। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে যে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়, তাতে তাদের সংসার চলে না। সব দ্রব্যের দাম ডাবল। এরপর তাদের ঋণ থাকে। এই সময় বেকার হয়ে পড়ায় তাদের বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা নেই।
আরও পড়ুন: ২২ দিনের ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে মধ্যরাতে
তারা সরকারি সহযোগিতা দ্বিগুণ বাড়ানোর দাবি জানান।
চাঁদপুর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, দুই মাসের অভয়াশ্রম বাস্তবায়নে নৌপুলিশ সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। এ ব্যাপারে নদীতে কোনো অনিয়ম দেখলে কঠোরভাবে দমন করা হবে।
চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম বলেন, আইন অমান্য করে কোনো জেলে নদীতে নামলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জাটকা রক্ষায় টাস্কফোর্স নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করবে।
আরও পড়ুন: বরিশালে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরায় ৪৯ জেলের কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে ক্যামেরা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে ফটোগ্রাফারকে খুন, গ্রেপ্তার ৫
চট্টগ্রামে পরিকল্পিভাবে ডেকে নিয়ে ডিজিটাল ক্যামেরা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে ফটোগ্রাফারকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে।
এই খুনের সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
তারা হলেন- ইমতিয়াজ আলম মুরাদ, আশহাদুল ইসলাম ইমন, মো. তৌহিদুল আলম, মো. বাহার, মো. আলমগীর।
আজ বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে ৫ জনকে গ্রেপ্তারের বিষয় জানান চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (উত্তর) পঙ্কজ দত্ত।
তিনি বলেন, ‘শাওন বড়ুয়ার ডিজিটাল ক্যামেরা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য পরিকল্পনা করে ৫ জনের এই চক্র। পরে পরিকল্পনা মতো তারা শাওনকে নির্জনে নিয়ে গিয়ে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে ক্যামেরাসহ অন্যন্য মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়। কিন্তু ভুল করে ফেলে যায় শাওনের মোবাইল ফোনটি। মূলত এই ফোনের সূত্র ধরেই মঙ্গবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে খুনের সঙ্গে জড়িত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: সুপারি পাড়া নিয়ে দ্বন্দ্ব: ভাতিজার ছুরিকাঘাতে চাচা খুনের অভিযোগ
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) নগরীর চাঁন্দগাও থানার অনন্যা আবাসিক এলাকার একটি সড়কের থেকে পুলিশ শাওনের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে। বিয়ে ও গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে ছবি তোলার কথা বলে তারা (খুনি) শাওনের সঙ্গে চুক্তি করে। বিকাশে ৫০০ টাকা অগ্রিম পাঠায় তারা।
তিনি আরও বলেন, বিয়ে-অনুষ্ঠানে যারা ফটোগ্রাফি করে তারাই মূলত ওদের টার্গেট। বিভিন্ন মাধ্যমে নম্বর সংগ্রহ করে নামে-বেনামে ফটোগ্রাফারদের কাছ থেকে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়াই তাদের কাজ। যে নম্বরগুলো ব্যবহার করে ছিনতাইয়ের ফাঁদ পাতা হয় তার বেশিরভাগেই ছিনতাই করা মোবাইল।
ঘটনাস্থলে পাওয়া অপরাধীদের মোবাইল ফোনে আরও অনেক ফটোগ্রাফারের নম্বর পাওয়া গেছে। যার কারণে আঁচ করা যাচ্ছে তাদের সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত আছে। তাদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় দুর্বৃত্তের হাতে যুবক খুন
চট্টগ্রামে দোকান কর্মচারীর হাতে আরেক কর্মচারী খুনের অভিযোগ
টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ছুরিকাঘাতে রোহিঙ্গা নিহত
কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নূর মোহাম্মদ নামে এক রোহিঙ্গা যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে টেকনাফের নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড ক্যাম্পে ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে ৫ রোহিঙ্গা নিহত
নিহত যুবকের নাম নূর মোহাম্মদ নয়াপাড়া ক্যাম্পের ডি ব্লকের বাসিন্দা।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গণি বলেন, নূর মোহাম্মদ নিজ বাসায় যাওয়ার সময় ডি ব্লক সংলগ্ন পানির ট্যাংকির সামনে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
আশেপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে ক্যাম্প সংলগ্ন আইপিডি হাসপাতালে নিয়ে যায়। আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় তার মৃত্যু হয়।
লাশ ময়নাতদন্তের কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় আরসা-আরএসও 'বন্দুকযুদ্ধে' রোহিঙ্গা নিহত
সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই রোহিঙ্গা নিহত
চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে কলেজছাত্র নিহত
চট্টগ্রাম মহনগরীর চান্দগাঁও থানার অনন্যা আবাসিক এলাকায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে শাওন বড়ুয়া নামে এক কলেজছাত্র খুন হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) আবাসিক এলাকার একটি সড়ক থেকে লাশটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
তবে কি কারণে কারা ওই ছাত্রকে খুন করেছে তা জানা যায়নি।
নিহত শাওন বড়ুয়া জেলার সাতকানিয়া উপজেলার বাজারিয়া ইউনিয়নের শীলঘাটা গ্রামের দীপু বড়ুয়ার ছেলে।
ভুক্তভোগী ছাত্র নগরীর নাসিরাবাদের ওমরগণি এম.ই.এস. কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। পাশাপাশি তিনি ওয়েডিং ফটোগ্রাফির কাজ করতেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় রেঁস্তোরায় ঢুকে ম্যানেজারসহ ৩ জনকে ছুরিকাঘাত
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির বলেন, আজ সকালে শাওন নামে ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আমাদের মনে হচ্ছে এটি খুন। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আমরা তদন্ত করছি। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এজাহার দায়ের করা হচ্ছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
নিহত শাওনের মামা তাপস বড়ুয়া বলেন, ‘শাওন মূলত ফটোগ্রাফি করতো। সে গতকাল সন্ধ্যায় একটি বিয়েতে যেতে বাসা থেকে বের হয়। এ সময় তার সঙ্গে ক্যামেরা ট্রাইপডসহ আরও অনেক সরঞ্জাম ছিল। গতকাল রাতে সে আর বাসায় ফেরেনি। আজ সকালে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করেছে। এ সময় তার কাছে শুধুমাত্র মোবাইল ছিল।’
এ ঘটনায় শাওন বড়ুয়ার বাবা বাদী হয়ে নগরের চান্দগাঁও থানায় মামল দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: পাবনায় পূর্ব বিরোধের জেরে প্রতিবেশীর ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
চাঁদপুরে ঘুমন্ত মা-মেয়ের উপর এসিড নিক্ষেপ, আটক ১
চাঁদপুরে মতলব উত্তরে দুর্বৃত্তদের ছোঁড়া এসিডে ঝলসে গেছে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে থাকা মা ও মেয়ের শরীর। এদের মধ্যে মেয়ে মিলি আক্তারের অবস্থা গুরুতর। মিলি ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানা যায়।
রবিবার রাত ১১টায় উপজেলার সুজাতপুর এলাকায় এ র্ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর স্বজনরা তাদের দুইজনকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে তাদের অবস্থার অবনতি দেখা দিলে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়।
মিলির স্বামী মোহাম্মদ সায়েম বিদেশে থাকেন।
আরও পড়ুন: নেশার টাকার না পেয়ে স্ত্রীর গায়ে এসিড নিক্ষেপের অভিযোগ
স্থানীয়রা জানান, এলাকার এক যুবক মিলিকে বিয়ের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। বিয়ের পর মিলি আক্তার স্বামীর বাড়িতেই বসবাস করতেন। এরমধ্যে বাপের বাড়িতে বেড়াতে এলে রবিবার রাতে এসিড নিক্ষেপের শিকার হন মিলি ও তার মা।
এসিডদগ্ধদের স্বজন সাকিব হাসান জানান, রাতে মা ও মেয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। এ সময় কে বা কারা জানালার ফাঁক দিয়ে বাইরে থেকে এসিড ছুঁড়ে মারে। পরে তাদের চিৎকারে বাড়ির অন্যরা ছুটে আসেন। পরে আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসাদুজ্জামান জুয়েল ইউএনবিকে জানান, এসিডে মেয়ে মিলি আক্তারের মুখ, বুক, পিঠ, ডান হাত এবং মা রাশেদা আক্তারের বাম হাত ও উরু ঝলসে গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের দ্রুত ঢাকায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহীদ হোসেন ইউএনবিকে জানান, এসিড ছুঁড়ে মারার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে ঘটনায় জড়িত দুর্বৃত্তদের পরিচয় জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, এরইমধ্যে রাত ১টায় সফিকুল ইসলাম মানিক নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ওসি জানান, এ যুবক মিলি আক্তারের বিয়ের আগে তাকে উত্ত্যক্ত করত। তাই সন্দেহভাজন হিসেবে তাকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া সোমবার দুপুরে মেয়ের বাবা আইয়ুব আলী প্রধানীয়া এ ব্যাপারে মামলা রুজু করেছেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে পরকীয়ার জেরে যুবককে এসিড নিক্ষেপ
মানিকগঞ্জে স্ত্রীকে এসিড নিক্ষেপ মামলায় স্বামী গ্রেপ্তার
ভাসানচরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: চমেকে আরও এক রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু
নোয়াখালীর ভাসানচরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ চার বছর বয়সী শিশু মুবাসসারা নামে এক রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে চমেকে দুই রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু হলো।
আরও পড়ুন: চমেক হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরির অভিযোগ
এর আগে গত শনিবার রাসেল (৩) নামে এক রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে চমেক হাসপাতালে আরও ৫ জন চিকিৎসাধীন।
তারা হলেন- জোবায়দা (২২), রোসমিনা (৫), রবি আলম (৫), আমেনা খাতুন (২৪) ও সোহেল (৫)।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল সূত্র জানায়, ভাসানচরের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দুই পরিবারের ৯ জন দগ্ধ হন। এর মধ্যে সাতজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক আহতদের চমেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করেছেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, ভাসানচরের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিদগ্ধ সাতজনকে চমেক হাসপাতালে আনা হয়।
এর মধ্যে- রাসেল ও মুবাসসারা নামে দুই শিশু মারা গেছে। বর্তমানে পাঁচজন বার্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছয়জনের মধ্যে- রোসমিনা ৫০ শতাংশ, রবি আলম ৪৫ শতাংশ, আমেনা খাতুন ৮ শতাংশ, সোহেল ৫২ শতাংশ ও জোবায়দা ২৫ শতাংশ শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম আশিক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: খতনা করতে গিয়ে দুই শিশুর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নির্দেশ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
লালমনিরহাটে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শিশুর মৃত্যু
চাঁদপুরে কৃষি ব্যাংকের ছাদ থেকে নৈশপ্রহরীর হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার গজরা এলাকার কৃষি ব্যাংকের ছাদ থেকে নৈশ্য প্রহরী শাহাদাত হোসেন সাজ্জাদের হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রবিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মতলব পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। নিহত শাহাদাত হোসেন সাজ্জাদ গজরা গ্রামের ছামাদ প্রধানিয়ার ছেলে।
সাজ্জাদের ফুফু রহিমা বেগম ওই ব্যাংকে রান্না-বান্নার কাজ করেন।
আরও পড়ুন: শেবাচিমের কোয়ার্টার থেকে আইএইচটি ছাত্রীর লাশ উদ্ধার
তিনি জানান, সাজ্জাদ রাতের ডিউটি শেষে বাড়ি না ফেরার খবর পেয়ে খুঁজতে থাকেন তিনি। পরে ব্যাংকের ছাদে তাকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় দেখতে পান।
মা শিরিন বেগম বলেন, দুই মাস হলো ব্যাংকে চাকরি করছেন তিনি। মাত্র এক মাসের বেতন পেয়েছেন। প্রতিদিন বিকালে বাড়ি থেকে ব্যাংকে যান, আর সকালে বাসায় ফিরে যান।
তিনি আরও বলেন, রবিবার সকালে বাড়িতে না ফিরে যাওয়ায় আমি নিজে ব্যাংকে আসি। এসে দেখি ব্যাংকের সব দরজা তালাবদ্ধ। পরে চলে যাই। মনে করেছি কোনো দোকানে নাস্তা খেতে গেছে। আমার ছেলের কোনো শত্রু নেই।
ছেলে হত্যার বিচার দাবি করে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।
মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহীদ হোসেন ইউএনবিকে জানান, এ বিষয়ে তদন্ত কাজ চলছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
কৃষি ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শিমুল এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোনো কথা বলতে পারবেন বলে জানান।
আরও পড়ুন: সিরাজদিখানে একই বাড়ি থেকে মাসহ ২ সন্তানের লাশ উদ্ধার
ভারত সীমান্তের ভেতরে পড়ে থাকা বাংলাদেশি কিশোরের লাশ হস্তান্তর
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে ইউপিডিএফ সদস্যকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার বঙ্গলতলী ইউনিয়নের বোধিপুর এলাকায় নিপুণ চাকমা চোগা (৩৫) নামে ইউপিডিএফ প্রসিত গ্রুপের এক সদস্যকে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে মোটরসাইকেল যোগে এসে তাকে গুলি করে পালিয়ে যায় দুই সন্ত্রাসী।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, বঙ্গলতলী ইউনিয়নের বোধিপুর বনবিহারে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সেখানে গিয়েছিলেন নিপুন চাকমা ও তার সহকর্মীরা। রাতের অন্ধকারে সন্ত্রাসীরা এসে নিপুণ চাকমাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় ঘর থেকে ডেকে নিয়ে রোহিঙ্গা যুবককে গুলি করে হত্যা
ইউপিডিএফ প্রসিত দলের বঙ্গলতলী এলাকার সমন্বয়ক আর্জেন্ট চাকমা বলেন, জেএসএস এমএন লারমা দলের দুই সন্ত্রাসী অতর্কিত গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনা স্থলে নিপুণ চাকমা চোগার মৃত্যু হয়। এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান তিনি।
এই হত্যাকাণ্ডের দায় অস্বীকার করে জেএসএস এমএন লারমা গ্রুপ।
এদিকে জেএসএস এমএন লারমা দলের দলের উপজেলা সভাপতি জ্ঞানজীব চাকমা বলেন, এই হত্যার সঙ্গে জেএসএস এমএন লারমা দল কোনোভাবেই জড়িত নয়।এই হত্যাকাণ্ড ইউপিডিএফের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের বিষয়।
এছাড়া হত্যা কান্ডের প্রতিবাদে আজ রবিবার বাঘাইছড়ি উপজেলায় আধাবেলা সড়ক অবরোধের ডাক দেয় ইউপিডিএফ।
বাঘাইছড়ি থানার সার্কেল অফিসার ও রাঙ্গামাটির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল আওয়াল বলেন, সংবাদ পেয়ে বাঘাইছড়ি থানার ওসি ইশতিয়াক আহম্মেদের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়েছে। এলাকাটি দুর্গম এবং রাত হওয়ায় পুলিশ পৌঁছাতে সময় লেগেছে। সেখান থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হচ্ছে।
উল্লেখ, গত ৪ ফেব্রুয়ারি সাজেকের মাচালং ব্রিজ পাড়ায় ইউপিডিএফের দুই সদস্য দীপায়ন চাকমা ও আশিষ চাকমাকে একই উপায়ে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। ওই ঘটনায় জেএসএসের সন্তু লারমা দলেকে দায়ী করে ইউপিডিএফ। পরে নিহত দীপায়ন চাকমার স্ত্রী এশিয়া চাকমা বাদী হয়ে সাজেক থানায় মামলা করলেও এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার থেকে গুলিবিদ্ধ নারীসহ ৫ রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে যুবক আহত