চট্টগ্রাম
সীতাকুণ্ডে ঝর্ণার পানিতে ডুবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মৃত্যু
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে পাহাড়ি ঝর্ণার পানিতে ডুবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) উপজেলার বাঁশবাড়িয়ায় দুপুর পৌনে ১টার দিকে ঝর্ণার পানির নিচ থেকে তার লাশটি উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
নিহত শিক্ষার্থী একেএম নাইমুল হাসান (২০) চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়তলী থানার দক্ষিণ কাট্টলী উত্তর নাথ পাড়া শাহানা ভবন এলাকার মো.আবুল কাশেমের ছেলে।
চট্টগ্রামের আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (আইআইইউসি)র অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন নাইমুল।
আরও পড়ুন: যশোরের চৌগাছায় কলেজছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
কুমিল্লা ফায়ার স্টেশনের কর্মকর্তা মো. ফিরোজ মিয়া জানান, আমরা সকাল সাড়ে ১১টার দিকে খবর পেয়ে ঘটাস্থলে পৌঁছালে বাঁশবাড়িয়ায় ফায়ার কর্মীরা ঝর্ণায় আভিযান শুরু করে ১২টা ৪০ মিনিটে নিখোঁজ নাইমুলের লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। পরে সীতাকুণ্ড থানায় পুলিশের কাছে লাশটি হস্তান্তর করা হয়েছে।
জানা গেছে, নাইমুল, ওমর ও আজহারুল নামে তিনজন চট্টগ্রাম শহর থেকে বাঁশবাড়িয়া থেকে ঝর্ণায় ঘুরতে আসেন। এর পরে তারা ঝর্ণায় গোসল করতে নামলে নাইমুল ১১টার দিকে নিখোঁজ হয়। পরে আমরা তার লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত নাইমুল হাসানের সঙ্গী আজহারুল হক ভূঁইয়া বলেন, সকালে চট্টগ্রাম শহর থেকে আমরা চারজন বাঁশবাড়িয়ায় বিরাশি ঝর্ণা দেখতে যাই। আমরা সবাই ঝর্ণায় গোসল করতে নামি। তবে নাঈমুল সাঁতার জানতো না। তাছাড়া সে যেদিক দিয়ে নামে সেদিকে সম্ভবত গভীর গর্ত ছিল। ঝর্ণায় নামার সঙ্গে সঙ্গে সে নিচে তলিয়ে যায়। তখন আমরা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করলে কিছুক্ষণ পর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে তার লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: সিলেটে মসজিদের পুকুর থেকে ইমামের লাশ উদ্ধার
সীতাকুণ্ডে রাস্তা পার হওয়ার সময় বাসচাপায় বৃদ্ধা নিহত
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে রাস্তা পার হওয়ার সময় বাসচাপায় এক বৃদ্ধা মারা গেছেন।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দক্ষিণ বাইপাস এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: যাত্রাবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় বাসের হেলপার নিহত
নিহত মায়া নন্দী (৬৫) সীতাকুণ্ড পৌর সদরের পশ্চিম মহাদেবপুর এলাকার সুনীল নন্দীর স্ত্রী। তিনি যমুনা ডায়াগনস্টিক ল্যাবের কর্মচারী ছিলেন।
কুমিরা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন বলেন, সকালে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে রাস্তা পার হতে গিয়ে চট্টগ্রামমুখী একটি বাস তাকে ধাক্কা দেয়। তিনি পড়ে গেলে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মাথা থেঁতলে যায়।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মায়া নন্দীকে মৃত ঘোষণা করেন।
সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনার কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন রাশেদ বলেন, বাসচাপায় নিহত ওই নারীকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যু
ঢাকা থেকে কক্সবাজার নিয়ে ২ নৃত্যশিল্পীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, আটক ১
কক্সবাজার শহরের কলাতলীর কটেজ জোনে দুই নৃত্যশিল্পীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে এই ঘটনা ঘটে। তবে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি প্রকাশ পায়।
ধর্ষণের শিকার দুই কিশোরী ঢাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রিয়াদ (৩০) নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
এদিকে ওই দুই কিশোরীর মধ্যে একজন কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় ধর্ষণের দুই মামলায় দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে কক্সবাজার সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশের দেওয়া তথ্য মতে, কলাতলী এলাকার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের বিপরীতে অবস্থিত রাজন কটেজে সোমবার রাতে দুই কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। কয়েকদিন আগে তাদের দুজনকে একটি অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশনের জন্য ঢাকা থেকে কক্সবাজারে আনা হয়েছিল। যার মাধ্যমে তারা আসেন সেই ব্যক্তি তাদের একটি চক্রের হাতে তুলে দেয়।
ওই চক্রের সদস্যরা রাজন কটেজে নিয়ে তাদের ধর্ষণ করেন। মঙ্গলবার সকালে তাদের ঢাকার একটি বাসে তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু ভুক্তভোগী এক কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়লে বাস থেকে রামু বাইপাস এলাকায় নেমে যায়। অপরজন ঢাকায় চলে যায়। রামুতে নেমে যাওয়া কিশোরীকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার সময় চিকিৎসক ঘটনার বিস্তারিত জেনে পুলিশকে জানান। পুলিশ তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে।
রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা নোবেল কুমার বড়ুয়া জানান, সকালে ওই কিশোরীকে চিকিৎসা দিয়েছেন চিকিৎসক নুরুল হুদা শাওন। কিশোরীর বক্তব্য পাওয়ার পর তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, পুলিশ ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিয়েছেন।একজন চিকিৎসাধীন। পুলিশ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করতে পেরেছে। একজন আটক হয়েছে। অন্যদের আটকের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা, ৫ আসামির যাবজ্জীবন
পিরোজপুরে নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২
কক্সবাজারে ট্রলারে বিস্ফোরণ: আরও ৩ জেলের মৃত্যু
কক্সবাজারে মাছ ধরার ট্রলারের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ আরও তিন জেলের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ট্রলারে বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত ১ জনের মৃত্যু
এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত দগ্ধ ১২ জনের মধ্যে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মৃত তিনজন হলেন- রহিম উল্লাহ (৩০), আরমান (২২) ও শাহিন (৩৫)।
এর আগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওসমান গণি ও আয়ুব আলী নামে আরও দুই জেলের মৃত্যু হয়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, কক্সবাজারে ট্রলারে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ আরও তিন জেলে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
তিনি বলেন, এদের মধ্যে রহিম উল্লাহ আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন। তার ৯০ শতাংশ বার্ন ছিল। এছাড়া ২২ বছর বয়সী আরমানের শরীরে ৭০ শতাংশ ও শাহীনের ৬০ শতাংশ বার্ন ছিল। আগুনে সবার শ্বাসনালী ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে কক্সবাজার বিমানবন্দর সড়কের বাঁকখালী নদীর নুনিয়ারছড়া ঘাটে নোঙর করা একটি মাছ ধরার ট্রলারে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ট্রলারটিতে থাকা ১৮ জন জেলের মধ্যে ১২ জেলে দগ্ধ হয়।
আরও পড়ুন: শৈলকুপায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে ১ জনের মৃত্যু
অবশেষে মারা গেলেন নবীনগরে পেট্রোলে অগ্নিদগ্ধ লতিফা
ওমান সাগরে নেমে ২ প্রবাসী ভাইয়ের মৃত্যু
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমান সাগরে নেমে চট্টগ্রাম ফটিকছড়ির প্রবাসী দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভোরে সাগরের পানিতে ভাসমান অবস্থায় তাদের লাশ উদ্ধার করেছে ওমান রয়েল পুলিশ।
নিহতরা হলেন- উপজেলার নাজিরহাট পৌরসভাধীন ৪ নং ওয়ার্ডের চাঁদগাঁও পাড়ার মৃত আহমদ হোসেনের ছেলে আব্বাস (২৫ ) ও আজাদ (২০)। পরিবারে ছয় ভাইয়ের মধ্যে আব্বাস দ্বিতীয় আজাদ চতুর্থ। তারা অবিবাহিত ছিলেন বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ৩ নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে- দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিকভাবে তারা ওমানের হামিরিয়া এলাকায় বসবাস করছেন। কয়েকমাস পূর্বে দেশে তাদের বাবা মারা গেলে পরিবারের সবাই দেশে আসে। সম্প্রতি মাকে রেখে আব্বাস ও আজাদ ওমান চলে যান।
সোমবার স্থানীয় সময় রাত তিনটার দিকে বন্ধুদের সঙ্গে সাগর পাড়ের শিফা এলাকায় আড্ডা দিতে যান তারা। সেখানে দুই ভাই সাগরে গোসল করতে নামলে পানিতে তলিয়ে যায়। সঙ্গে থাকা বন্ধুরা খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। ভোরে পুলিশ এসে পানি থেকে দুই জনের লাশ উদ্ধার করে।
নাজিরহাট পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শাহাজাহান নিহত দুই ভাইয়ের পরিবারের বরাতে বলেন, দুই ভাই দীর্ঘদিন পরিবারসহ ওমানের হামিরিয়ায় বসবাস করেন। রবিবার রাতে দুই ভাই পাঁচ বন্ধু মিলে মাস্কাট জেবল সিফা সাগরে বেড়াতে যান। সবাই মিলে সাগরে নামলে জোয়ারের পানিতে ভেসে গিয়ে নিখোঁজ হন দুই ভাই।
তিনি আরও বলেন, রাতে খোঁজাখুঁজি করে না পেলেও সোমবার সকালে ওমান রয়েল পুলিশের একটি দল দুই ভাইয়ের লাশ উদ্ধার করে। বর্তমান তাদের লাশ ওমানের রাজধানীর কুরুম রয়েল পুলিশ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চৌগাছায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ছেলে নিহত, বাবা আহত
কুড়িগ্রামের উলিপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে গৃহবধূর মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ৩ নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিন নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বিকালে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের তেরকান্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত নির্মাণ শ্রমিকেরা হলেন- লোকমান মিয়া (২৯), আমজাদ (১৮) ও শরীফ (১৫)। এদের মধ্যে লোকমান ও আমজাদের বাড়ি সরাইল উপজেলার সদর ইউনিয়নের নিজসরাইল এবং শরীফের বাড়ি ঝিলুকদার পাড়া গ্রামে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দুপুরে নির্মাণ শ্রমিক লোকমান তার দুই সহযোগী আমজাদ ও শরীফকে নিয়ে তেরকান্দা গ্রামের বরকত আলীর বাড়িতে নির্মাণাধীন সীমানা প্রাচীরে রডের কাজ করছিলেন। রডের পিলার দাঁড়া করানোর সময় উপরে থাকা হাই ভোল্টেজের বিদ্যুতের তারে রড লেগে যায়। এ সময় বিদ্যুতের তার রডে জড়িয়ে গেলে তারা তিনজনই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। পরে তাদেরকে মুমূর্ষু অবস্থায় সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিনজন মারা গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: চৌগাছায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ছেলে নিহত, বাবা আহত
কুড়িগ্রামের উলিপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে গৃহবধূর মৃত্যু
চাঁদপুরে স্বর্ণের দোকান থেকে ৪৬ লাখ টাকার সোনা ও হীরা লুট
চাঁদপুর শহরের আ. করিম পাটোয়ারী সড়কের একটি স্বর্ণের দোকান থেকে ৪৬ লাখ টাকার সোনা ও হীরা লুট হয়েছে। সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) আনুমানিক ভোর ৬টার দিকে ঘোষপাড়া পোলের পাশে ‘স্বর্ণভূবন’ নামের দোকানে এই ঘটনা ঘটেছে।
সংঘবদ্ধ চোর চক্র দোকানের তালা ভেঙে ভেতর থেকে প্রায় ৪০ ভরি স্বর্ণালংকারসহ ৫ লাখ টাকার হীরা লুটে নেয়।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ডিবি পরিচয়ে প্রবাসীর গাড়ি আটকে ১০ লাখ টাকার মালামাল লুটের অভিযোগ
ওই দোকানের মালিক মানিক লাল মজুমদার ইউএনবিকে জানান, প্রতিদিনের মতো গতরাতে তারা দোকান বন্ধ করে বাড়িতে চলে যায়। সকালে দোকান খুলতে এসে তালা ভাঙা দেখেন তারা। দোকানের ভেতরের সবকিছু এলোমেলো দেখতে পেয়ে তারা চুরির বিষয়টি বুঝতে পারেন। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি তারা পুলিশকে জানান।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, ৭ থেকে ৮ সদস্যের একটি চোর চক্র ভোরে মার্কেটের সামনে আসে। এদের কেউ বাইরে পাহারা দেয় এবং কেউ দোকানের তালা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে।
এ বিষয়ে চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মহসিন আলম জানান, বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছি। আপাতত এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না।
আরও পড়ুন: কানাইঘাটে ব্যবসায়ীর ১৩ লাখ টাকা লুট, যুবক খুন
নড়াইলে আ.লীগ নেতার বাড়িতে ডাকাতি, ৪০ লাখ টাকার মালামাল লুট
পোশাক রপ্তানির নামে ৩০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ ১০ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে
চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পোশাক রপ্তানির আড়ালে জালিয়াতির মাধ্যমে ৩০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ উঠেছে ঢাকার ১০ গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গণমাধ্যমকে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বশির আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর জানান, ব্যাপক অনুসন্ধ্যানে টাকা পাচারের বিষয়টি প্রমাণ পেয়েছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। এসব কারসাজির সঙ্গে জড়িত আছে চট্টগ্রামের বেশ কয়েকটি সিএন্ডএফ এজেন্ট।
আরও পড়ুন: স্বর্ণ চোরাচালানে বছরে ৭৩ হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে: বাজুস
রপ্তানিকারক ১০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে-
ঢাকা সাভারের প্রজ্ঞা ফ্যাশন লিমিটেড, গুলশানের ফ্যাশন ট্রেড, ঢাকা উত্তরার এমডিএস ফ্যাশন, গাজীপুরের হংকং ফ্যাশনস লিমিটেড, বনানীর থ্রী স্টার ট্রেডিং, মিরপুরের ফরচুন ফ্যাশন, কচুক্ষেতের অনুপম ফ্যাশন ওয়্যার লিমিটেড, গাজীপুরের পিক্সি নিটওয়্যারস লিমিটেড, ঢাকা শাহবাগের স্টাইলাইজ বিডি লিমিটেড ও খিলখেতের ইডেন স্টাইল টেক্স।
কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, অভিনব কায়দায় রপ্তানি জালিয়াতির মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পণ্যচালান বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে কিন্তু কিছু বৈদেশিক মুদ্রা প্রত্যাবাসিত হচ্ছে না এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমস গোয়েন্দা পরিচালনা করেছে।
রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো বিল অব এক্সপোর্ট জালিয়াতি করে অন্য রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশ ব্যাংকের এক্সপোর্ট মনিটরিং সিস্টেম (ইএক্সপি) ব্যবহার করে পণ্য রপ্তানি করেছে। যার বিপরীতে কোনো অর্থ দেশে ফিরে আসেনি বা সমুদয় রপ্তানি মূল্য বাবদ অর্থ বিদেশে পাচার হয়েছে।
তদন্তকালে ১০টি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান বিগত সময়ে ১ হাজার ২৩৪টি পণ্য চালান এমন জালিয়াতি করেছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। চালানের বিপরীতে পণ্যের পরিমাণ ১ হাজার ৯২১ মেট্রিক টন যার বিপরীতে ফেরতযোগ্য বৈদেশিক মুদ্রার সম্ভাব্য পরিমাণ ৩ কোটি ৫৩ লাখ ৬৬ হাজার ৯১৮ মার্কিন ডলার।
প্রতিষ্ঠানগুলোর সংশ্লিষ্ট দলিলাদি পর্যালোচনায় দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানসমূহ টি-শার্ট, টপস, লেডিস ড্রেস, ট্রাউজার, বেবি সেট, পোলো শার্ট, প্রভৃতি পণ্য সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, কাতার, সৌদি আরব ও নাইজেরিয়া প্রভৃতি দেশে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে রপ্তানি দেখিয়ে অর্থ পাচার করেছে।
প্রতিষ্ঠানগুলো মূলত বিল অব এক্সপোর্টের কোড ব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করেছে বলে প্রমাণ পেয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা।
১০ প্রতিষ্ঠানের বিল অব এক্সপোর্ট ও ইএক্সপি তথ্যের মধ্যে মিল পাওয়া যায়নি এবং সাউথ ইস্ট ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত ১০ প্রতিষ্ঠানের কোনোটিই ওই ব্যাংকে লিয়েন করা নয়।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতির কারণে টাকা পাচার কমবে: মোমেন
সরকারের গণতন্ত্র হচ্ছে চুরি, লুট, টাকা পাচার ও মানুষ হত্যা করার গণতন্ত্র: ফখরুল
কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রে ২০৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন
সপ্তাহজুড়ে থেমে থেমে রাঙামাটির কাপ্তাই লেক এবং এর আশেপাশে এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ফলে উজান হতে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে লেকের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০৩ মেগাওয়াটে।
যা চলতি বছরে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের সর্বাধিক বিদ্যুৎ উৎপাদন।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই হ্রদে পানি বাড়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে, একসঙ্গে চালু হলো ৫ ইউনিট
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এটিএম আব্দুজ্জাহের বলেন, সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫টি ইউনিট থেকে ২০৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রুলকার্ভ (পানির পরিমাপ) অনুযায়ী ৪ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত কাপ্তাই লেকে পানি থাকার কথা ৯৯ দশমিক ৬৯ ফুট মিন সি লেভেল (এমএসএল)। কিন্তু লেকে এখন পানি রয়েছে ১০৫ দশমিক ৮৮ ফুট এমএসএল। কাপ্তাই লেকে পানির ধারণ ক্ষমতা ১০৯ ফুট এমএসএল।
প্রসঙ্গত কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫টি ইউনিট থেকে সর্বোচ্চ ২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব।
আরও পড়ুন: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট ২০২৪ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রে ২০০ মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন
কুমিল্লায় প্রথমবারের মতো চালু হলো ‘আসুন মন খুলে কথা বলি’ কাউন্সেলিং কর্নার
কুমিল্লার বরুড়ায় মানসিক স্বাস্থ্যের যত্নে প্রথমবারের মতো চালু হলো ‘আসুন মন খুলে কথা বলি’ কাউন্সেলিং কর্নার।
রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) কর্নারটি উদ্বোধন করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কামরুল হাসান সোহেল।
আরও পড়ুন: দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু বুক কর্নার হবে: প্রতিমন্ত্রী
ডা. কামরুল হাসান সোহেল বলেন, শারিরীক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক সুস্থতার দিকটিও আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। অনেক কারণেই মানসিক বিষন্নতা, অবসাদগ্রস্ততা, হতাশা আসতে পারে জীবনে। এই মানসিক সমস্যাগুলো নিয়ে আমরা কারো সঙ্গে কথা বলতে চাই না, কিন্তু এই সমস্যাগুলো খুব সহজেই সমাধানযোগ্য। আপনাকে আপনার প্রিয়জনের সঙ্গে এই সমস্যাগুলো নিয়ে মন খুলে কথা বলতে হবে।
আপনার চিকিৎসকও আপনার প্রিয়জন। তাই আমাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মানসিক স্বাস্থ্য কাউন্সেলিং কর্ণারের নামকরণ করা হয়েছে, ‘আসুন মন খুলে কথা বলি।’
কুমিল্লায় এমন উদ্যোগ প্রথম উল্লেখ করে কুমিল্লার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মুহাম্মদ নাজমুল আলম বলেন, গ্রামের মানুষ মানসিক রোগ বলতে কিছু আছে তা একসময় জানতো না। কুমিল্লায় মানসিক স্বাস্থ্যের দিক মাথায় রেখে নতুন এই উদ্যোগ প্রথম। কুমিল্লায় হাতে গোণা কয়েকজন মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ আছেন। এই কর্নারের মাধ্যমে আশা করছি এই সংকট কিছুটা হলেও লাঘব হবে।
এ সময় কর্নারটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- জুনিয়র কনসালটেন্ট মেডিসিন ডা. মো. শরীফুল ইসলাম, জুনিয়র কনসালটেন্ট সার্জারি ডা. মো. সাইদুল আনোয়ার, জুনিয়র কনসালটেন্ট এনেস্থিসিয়া ডা. জুলকারনাইন মজুমদার, মেডিকেল অফিসার (রোগ-নিয়ন্ত্রণ) ডা. তানজিম মজুমদার, মেডিকেল অফিসার ডা. নূরেন তাসকিন তুলি, নার্সিং ইনচার্জ এসএসএন মাজেদা বেগম ও এসএসএন মো. রবিউল হোসাইনসহ অন্যান্যরা।
আরও পড়ুন: এসএসএফের সদরপ্তরে মুজিব কর্নার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
ভারতের বঙ্গবন্ধু কর্নার ও বঙ্গবন্ধু গার্ডেন উদ্বোধন করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী