চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে বাসে তল্লাশি চালিয়ে সাড়ে ৯ কেজি স্বর্ণ জব্দ, আটক ৪
চট্টগ্রাম মহানগরীর কর্ণফুলী থানাধীন নতুন ব্রিজ এলাকায় একটি বাসে তল্লাশি চালিয়ে সাড়ে ৯ কেজি স্বর্ণ জব্দ এবং দুই নারীসহ চারজনকে আটকের দাবি করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৬ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কক্সবাজার থেকে আসা মারছা পরিবহনের বাস নগরীর শাহ আমানত সেতু সংলগ্ন (নতুন ব্রিজ) মইজ্জ্যার টেক চেক পোস্টে পৌঁছালে তাতে তল্লাশি চালিয়ে এসব স্বর্ণ জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: যশোরে প্রায় দেড় কোটি টাকার স্বর্ণ উদ্ধার করেছে বিজিবি
আটক চারজন হলেন- অলক ধর (২৩), নারায়ণ ধর (৩৮), তার স্ত্রী জুলি ধর (৩৫) ও পরিতোষ ধর (৩৮)। তাদের সবার বাড়ি বাঁশখালী উপজেলার সাধনপুরে বলে পুলিশ জানায়।
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমাদের একটি চৌকস টিম নগরী মইজ্জ্যার টেক এলাকা থেকে সাড়ে ৯ কেজি স্বর্ণ জব্দ করেছে। কক্সবাজার থেকে আসা একটি বাসে এ স্বর্ণ মিলেছে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় দুইজন পুরুষ ও দুইজন নারীকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডাকাতির পর পালানোর সময় পিকআপচাপায় পথচারী নিহত, স্বর্ণ ব্যবসায়ীসহ আহত ৩
শাহ আমানত বিমানবন্দরে ৬৩.১৭ লাখ টাকার স্বর্ণ জব্দ
কুমিল্লায় ডাকাতদের এলোপাতাড়ি কোপে নারীসহ আহত ১১
ডাকাতি শেষে পালিয়ে যাওয়ার সময় কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার বড়ইয়ার কৃষ্ণপুর গ্রামে বেশ কয়েকজন গ্রামবাসীদের রামদা, ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়েছে ডাকাত দলের সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানান গ্রামবাসীদের। এতে আহত ১১ নারী-পুরুষ বড়ইয়া ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় পুলিশ-যুবদল সংঘর্ষের ঘটনায় ৮৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা
আহতরা হলো- গ্রামের প্রধানীয়া বাড়ির মো. শাহ আলম (৭০), তার স্ত্রী জয়নব বেগম (৬২), ছেলে আনিছুর রহমান (৩০), একই বাড়ির মৃত মজিবুর রহমান ছেলে আবদুর রহমান (৩১), মো. লোকমান হোসেনের ছেলে সোলায়মান (২৮), মৃত ছিফাত উল্লাহর ছেলে রবিউল্লাহ (৪৫), মৃত আবদুল মান্নানের ছেলে জসিম উদ্দিন প্রধান (৪৫), মৃত আমিন উদ্দিন প্রধানের ছেলে মফিজুল ইসলাম প্রধান (৬৫), মৃত মজিবুর রহমানের স্ত্রী তাসলিমা (৩৮), রশিদ প্রধানের ছেলে ওসমান গনি (৩৫), সেলিম প্রধানের ছেলে আলমগীর হোসেন (২৮)।
এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আনিছুর রহমানকে গৌরীপুর সরকারি হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠান চিকিৎসকরা।
জানা যায়, বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক আড়াইটায় বিল্ডিং বাড়ির পেছন দিক থেকে জানালার গ্রিল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে ডাকাত দল। ২০-২৫ জনের শর্ট প্যান্ট পরিহিত ও মুখোশধারী ডাকাত দল তাদের পরিবারের সদস্যদের এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে। ডাকাতরা নগদ টাকা, একটি মোবাইল, স্বর্ণের কানের দুল ও আংটি লুট করে।
এ সময় পার্শ্ববর্তী ঘরের লোকজন টের পেয়ে গেলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। ভুক্তভোগীদের চিৎকারে গ্রামের অন্যান্য লোকজন ডাকাতদের ধাওয়া করে। এছাড়া কয়েকজন রাস্তায় ডাকাতদের আটকের চেষ্টা করে। এ সময় ডাকাত দলের সদস্যরা সবাইকে কুপিয়ে পালিয়ে যায়।
চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহাবুদ্দীন খাঁন বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় হত্যা মামলায় ২ জনের ফাঁসির আদেশ
কুমিল্লায় পুলিশের সঙ্গে যুবদল কর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, আটক ১০
চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে লাইটার জাহাজডুবি, ১৩ জন উদ্ধার
চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পণ্যবাহী একটি লাইটার জাহাজ ডুবে গেছে। ‘দেলোয়ার আল বাহার’- নামের এই লাইটার জাহাজটি বুধবার (১৪ জুন) রাতে বৈরি আবহাওয়া কারণে তলা ফেটে ডুবে যায় বলে জানিয়েছে কোস্টগার্ড।
বৃহস্পতিবার বিকালে বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘একটি ছোট লাইটার জাহাজ ডুবে গেছে। কেউ হতাহত নেই, ডুবে যাওয়ার জায়গাটি আমরা চিহ্নিত করে রেখেছি। বন্দরে জাহাজ চলাচলের কোনো সমস্যা হচ্ছে না।’
কোস্টগার্ড সদরদপ্তরের স্টাফ অফিসার (অপারেশন্স) লে. কমান্ডার মো. আশিকুর রহমান জানান, ডুবে যাওয়া জাহাজটিতে ১৩ জন নাবিক ছিলেন। আশপাশের লাইটার জাহাজগুলো তাদের উদ্ধার করেছে।
তিনি বলেন, বহির্নোঙরে আলফা এ্যাঙ্করেজ এলাকায় ‘এমভি দেলোয়ার আল বাহার’ নামের লাইটার জাহাজটির তলা ফেটে যায়। এসময় বৈরি আবহাওয়া ছিল। জাতীয় জরুরি সেবা থেকে সকল পেয়ে কোস্টগার্ডের উদ্ধারকারী জাহাজ ‘মেটাল শার্ক’কে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। এর আগেই ডুবে যাওয়া জাহাজের ১৩ জন নাবিককে উদ্ধার করে আশপাশের লাইটারগুলো।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, অভ্যন্তরীণ নদীপথে চলার জন্য নৌপরিবহন অধিদপ্তর থেকে অনুমোদন নেয় জাহাজটি। কিন্তু নিয়ম ভেঙে লাইটার জাহাজটি সমুদ্রপথে চলছিল।
আরও পড়ুন: মোংলায় সারবোঝাই লাইটার জাহাজডুবি
মেঘনায় তেলবাহী জাহাজডুবি: ৩ দিনেও শুরু হয়নি উদ্ধারকাজ, আরও তদন্ত কমিটি গঠন
কর্ণফুলীতে জাহাজডুবি: আরও ২ জনের লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙচুর, ৫ যুবদল-ছাত্রদল নেতাকর্মী আটক
চট্টগ্রামে বিএনপির অঙ্গসংগঠনের আহ্বানে নগরীর কাজীর দেউড়িতে তারুণ্যের সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়ার পথে ছাত্রলীগের হামলার জেরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (১৪ জুন) বিকাল সোয়া ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে ছাত্রদল ও যুবদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- বায়েজিদ বোস্তামী থানার শেরশাহ কলোনীর মৃত ইউসুফ সিদ্দিকীর ছেলে মো. মাহবুব সিদ্দিকী (৩৫), বাকলিয়া থানার ১৮নং পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডের ওমরা মিয়া সওদাগরের বাড়ির মৃত নুরুল আবছারের ছেলে মো. এরফান (৩০), একই ওয়ার্ডের ইয়াকুব আলী মেম্বারের বাড়ির মৃত আবুল হাশেমের ছেলে নুরুল ইসলাম ওরফে মাসুম (৩৯), একই ওয়ার্ডের ওয়াইজর পাড়ার হাফেজ আহম্মেদ সওদাগর বাড়ির মো. ইউনুসের ছেলে মো. মহিউদ্দিন হাসান ইমন (২০) ও চান্দগাঁও থানার কালুরঘাট ওসমানি পুলের গোড়া এলাকার মো. আইয়ুব খানের ছেলে মো. ইমন খান (২০)।
আরও পড়ুন: রাজধানীর বাড্ডায় মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার, স্বামী আটক
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির জানান, আটক পাঁচজন সবাই ছাত্রদল-যুবদলের নেতাকর্মী।
এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ওসি আরও বলেন, ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে তাৎক্ষণিক অভিযান চালানো হয়। অভিযানে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় পাঁচজনকে আটক করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, কাজীর দেউড়িতে যুবদলের ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ এ যোগ দিতে চান্দগাঁও ও বাকলিয়া এলাকার বিএনপির নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে মিছিল করে আসার পথে পৌনে ৩টার দিকে চকবাজার থানার চট্টগ্রাম কলেজের সামনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা করে।
পরে বিএনপি নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে জামালখান মোড়ে এসে সোয়া ৩টার দিকে জামালখান সড়কের বিভিন্ন দেয়ালে আঁকা বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের স্থিরচিত্র সংবলিত ৪০টি ট্যাম্পার্ড, গ্লাস, ম্যুরাল, নৌকা প্রতীক ভাঙচুর করে। এরপর তারা কাজীর দেউড়ির দিকে অগ্রসর হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে ছুরিকাঘাতে নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্র নিহত, আটক ২
বরিশাল সিটি নির্বাচন: হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী ফয়জুল করিমের ওপর হামলাকারী আটক
নোয়াখালীতে বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়ে পথচারী নিহত
নোয়াখালী পৌরসভার সোনাপুর জিরো পয়েন্ট এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটি পড়ে এক পথচারী নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৪ জুন) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম তানভীর হাসান ওরফে সবুজ (৩০)। তিনি এসিআই ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির নোয়াখালী আঞ্চলিক কার্যালয়ের বিপণন কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
আরও পড়ুন: উল্লাপাড়ায় ট্রাকচাপায় পথচারী নিহত
তাঁর বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলায়।
স্থানীয়রা জানান, তানভীর একটি বেসরকারি কোম্পানির আঞ্চলিক কার্যালয়ের মাঠপর্যায়ের বিপণন কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
প্রতিদিনের মতো বুধবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে তিনি নোয়াখালী শহরের সোনাপুর এলাকার বাসা থেকে অফিসে আসছিলেন।
সোনাপুর জিরো পয়েন্ট এলাকায় বিদ্যুৎ বিভাগের ঠিকাদারদের লোকজন বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থাপনের কাজ করছিলেন। সে সময় একটি খুঁটি তানভীরের মাথার ওপর পড়ে।
এতে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
সোনাপুর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক জিসান আহমেদ বলেন, এটি একটি দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু। অসাবধানতাবশত বৈদ্যুতিক খুঁটিটি পথচারী তানভীর হাসানের মাথার ওপর পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
খবর পেয়ে সোনাপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মো. রিয়াজ লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছেন।
এছাড়া ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের লাশ তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলায় নিয়ে যাওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ডাকাতির পর পালানোর সময় পিকআপচাপায় পথচারী নিহত, স্বর্ণ ব্যবসায়ীসহ আহত ৩
বাগেরহাটে বাসের ধাক্কায় পথচারী নিহত
চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ ও যুবদলের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৫
চট্টগ্রামে বিএনপির আঙ্গ সংগঠন সমূহের উদ্যোগে তারুণ্য সমাবেশকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ ও যুবদলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৫ জন আহত হয়েছে।
বুধবার (১৪ জুন) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে চট্টগ্রাম কলেজ এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: চবিতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে ৩ কমিটি
আহতদের মধ্যে চান্দগাঁও থানা যুবদল কর্মী ফয়সাল সায়েম, মহসিন, জুনায়েদ রয়েছেন।
আহত যুবদল কর্মী সায়েম জানায়, চান্দগাঁও এলাকা বাস নিয়ে আমরা কাজীর দেউড়ি এলাকায় তারুণ্যের সমাবেশ যাওয়ার সময় চট্টগ্রাম কলেজ এলাকায় আমাদের গাড়িকে লক্ষ্য করে ইটপাটকের মেরে গাড়ি থামিয়ে ২০/২৫ জন ছাত্রলীগ কর্মীরা হামলা চালায়। পরে আমরা সংগঠিত হয়ে তাদের ধাওযা করি। এছাড়া তাদের হামলায় কয়েকজন আহত হয়েছে।
সিএমপির চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুর কাদের বলেন, ছাত্রলীগ ও যুবদলের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন আছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে পৌরসভা নির্বাচন: ২ কাউন্সিল প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ
বরিশাল সিটি নির্বাচন: হাতপাখার প্রার্থীর ওপর হামলা, নৌকার কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ
নোয়াখালীতে বাসায় ঢুকে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা
নোয়াখালীর সদর উপজেলায় বাসায় ঢুকে মা-মেয়েকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে পৌরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের গুপ্তাংকের বার্লিংটন মোড় সংলগ্ন একটি বাসায় ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন- একই এলাকার ফজলে আজিম কচি মিয়ার স্ত্রী নূর নাহার বেগম (৪৫) ও তার স্কুল পড়ুয়া মেয়ে ফাতেমা আজিম প্রিয়ন্তী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, নিহত মা ও মেয়েকে দুর্বৃত্তরা বাসায় ঢুকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। ঘটনাস্থলে নূর নাহার বেগম মারা যান এবং মেয়েকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ফল ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান পাঠান বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে। নিহতদের পরিবার থেকে হত্যার কারণ জানা যায় নি।
স্থানীয়রা একজনকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরে বাবাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে ছেলে গ্রেপ্তার
নড়াইলে গ্রামপুলিশকে কুপিয়ে হত্যা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের ২ মামলা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রদলের নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির ও পদবঞ্চিতদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
বিস্ফোরণ ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে সদর মডেল থানার দু’জন উপপরিদর্শক (এসআই) বাদী হয়ে মামলা দুইটি দায়ের করেন।
এসব মামলায় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের জেলা ও উপজেলার নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ জুন) সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমরানুল ইসলাম জানান, দায়ের করা দুইটি মামলার একটিতে ৪৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৩০-১৫০জনকে আসামি করা হয়েছে। অপর মামলায় ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫০-৬০জনকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পূর্বশত্রুতার জের ধরে মসজিদে সংঘর্ষ, নিহত ১
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জেলা ছাত্রদলের সাত সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিশেষ সহকারী আব্দুর রহমান সানির বড় ভাই কবির আহমেদ ভূঁইয়ার অনুসারী শাহীনুর রহমানকে আহ্বায়ক ও সমীর চক্রবর্তীকে সদস্য সচিব করা হয়।
নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক শাহীনুর, সদস্য সচিব সমীর, যুগ্ম আহ্বায়ক এলভিন লস্কর ও আব্দুল গাফফার রিমন শুক্রবার সকালে জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক আবু শামীম মো. ভিপি শামিমের কান্দিপাড়ার বাসায় যান। সেখানে সদ্য ঘোষিত কমিটির সদস্যদের শুভেচ্ছা দেওয়া হচ্ছে বলে জানতে পারেন পদবঞ্চিত ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
এই খবরে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা জেলা কৃষক দলের আহ্বায়কের কান্দিপাড়ার বাড়িতে হামলা চালায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পুলিশের এসআই’র বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
এ সময় আবু শামীমের বাড়ির পেছন দিয়ে সদ্য ঘোষিত কমিটির সদস্যরা পালিয়ে আত্মরক্ষা করেন।
একই দিন বিকালে জেলা শহরের টিএ রোড ও পাওয়ার হাউস রোডে বিক্ষোভ মিছিল করে ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। মিছিল শেষে তারা কান্দিপাড়ায় জেলা ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক শাহীনুর রহমান ও কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাউসার কাউন্সিলরের বাড়িতে হামলা করে ভাঙচুর চালায়।
এরপর দিন শনিবার রাতে শহরের কান্দিপাড়ায় সদ্য ঘোষিত ছাত্রদলের কমিটির নেতারা পাল্টা হামলার প্রস্তুতি নেয়। এই খবরের পদবঞ্চিত ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উল্টো তাদের উপর হামলা করে। এতে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায় অর্ধশত রাউন্ড গুলি বিনিময় হয় ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করা হয়।
এ ঘটনায় পরদিন পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নাশকতার মামলায় বিএনপির ৪০ নেতাকর্মীর বিচার শুরু
চট্টগ্রামে নাশকতার মামলায় বিএনপির ৪০ নেতাকর্মীর বিচার শুরু
চট্টগ্রাম পুলিশের করা একটি নাশকতা মামলায় মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন এবং দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ানসহ ৪০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত।
মঙ্গলবার (১৩ জুন) পঞ্চম অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ নারগিস আক্তারের আদালত এই আদেশ দেন।
মামলায় বিএনপির ৪০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। তাদের মধ্যে ডা. শাহাদাত হোসেন এবং দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ানসহ ৩৬ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ১৪ দলের সমাবেশে আ.লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের ২ নভেম্বর নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন এলাকায় সড়কের ওপর নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা এবং সরকারের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্রমূলক গোপন বৈঠক করা হচ্ছিল।
এ ঘটনায় পাচঁলাইশ থানার তৎকালীন এসআই আশরাফুল কবির বাদী হয়ে ডা. শাহাদাত হোসেনসহ ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেন।
তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৩১ অক্টোবর ৪০ জনকে আসামি করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। আগামী ১৬ আগস্ট এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।
আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আহমেদ কামরুল ইসলাম চৌধুরী জানান, নাশকতা, বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনসহ বিএনপির ৪০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য ছিল।
আদালতে আসামিদের অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। আদালত শুনানি শেষে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন। আগামী ২৬ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।
অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিভিশন দায়ের করা হবে। আদালতে ডা. শাহাদাত হোসেন ও আবু সুফিয়ানসহ ৩৬ জন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পুলিশের এসআই’র বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
চট্টগ্রামে ২ গৃহবধূর লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রামে পুলিশের এসআই’র বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) সাবেক পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সুমন কুমার দে’র বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (১৩ জুন) দুর্নীতি দমন কমিশন ঢাকা জেলা সমন্বিত-১ কার্যালয়ে মামলাটি করেন দুদক চট্টগ্রাম জেলা সমন্বিত-১ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাহমুদা আক্তার।
এসআই সুমন কুমার দে কক্সবাজার জেলার মহেশখালী থানাধীন বড় মহেশখালীর ননী গোপাল দের ছেলে। বর্তমানে তিনি রাঙ্গুনিয়া থানায় কর্মরত রয়েছেন।
আরও পড়ুন: কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ দখলের অভিযোগে স্বামী-স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
অবৈধভাবে আয় করা ১৭ লাখ টাকার খোঁজ পেয়েছে দুদক পাঁচ বছর তার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষে মঙ্গলবার মামলা করে।
এর আগে সুমন চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন থানায় এবং বোয়ালখালী ও রাঙ্গুনিয়া থানায় কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীতে গাজীপুর শিল্প পুলিশে কর্মরত থাকার পর ফের চট্টগ্রাম রেঞ্জে বদলি হয়ে এসেছেন।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদক সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-১ এর ইনচার্জ ও দুদকের উপ-পরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাত।
তিনি বলেন, মামলাটি ঢাকায় হয়েছে। অনুসন্ধান ও তদন্ত চট্টগ্রাম থেকে হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১৭ সালে সুমন দের সম্পদ অনুসন্ধানে নামে দুদক। ২০১৮ সালের মার্চে দুদকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন এসআই সুমন দে। সম্পদ বিবরণীতে সুমন নিজ নামে ৩৬ লাখ ৫৪ হাজার ২৭০ টাকার স্থাবর এবং ১৮ লাখ ৩৮ হাজার ৩৭৯ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ সর্বমোট ৫৪ লাখ ৯২ হাজার ৬৪৯ টাকার সম্পদ অর্জনের ঘোষণা দেন।
এছাড়াও আয়কর নথি অনুযায়ী সুমন কুমার দে ৪ লাখ ৯২ হাজার ৮০ টাকা পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয় করেছেন বলে উল্লেখ করেন। অর্থাৎ পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয়সহ তার মোট সম্পদ অর্জনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৫৯ লাখ ৮৪ হাজার ৭২৯ টাকা।
দুদক জানায়, সুমন কুমার ২০১৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং ফাইন্যান্স করপোরেশন লিমিটেড (ডিবিএইচ) থেকে ১৫ লাখ টাকার ঋণ নেন। এর মধ্যে ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি ৩ হাজার ৭৮৯ টাকা এবং ২০১৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারিতে ৩ হাজার ৮১৯ টাকা কিস্তিতে ঋণ পরিশোধ করেন তিনি।
এছাড়াও তার নামে ১৪ লাখ ৮৮ হাজার ৫৪৩ টাকার ঋণ থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। অর্থাৎ সুমন কুমারের ৫৪ লাখ ৯২ হাজার ৬৪৯ টাকার সম্পদ অর্জনের বিপরীতে ঋণসহ সর্বমোট ৪২ লাখ ৯৩ হাজার ৬৪৬ টাকার গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায়। বাকি ১৬ লাখ ৯১ হাজার ৮৩ টাকা আয়ের উৎসের কোন দালিলিক কাগজপত্র পাওয়া যায়নি।
এক্ষেত্রে সুমন কুমার ১৬ লাখ ৯১ হাজার ৮৩ টাকার সম্পদ তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণভাবে অর্জন করে ভোগ দখলে রেখেছেন বলে প্রতীয়মান হয়।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
দুদকের মামলায় তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তার সাক্ষ্য