চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মা-ছেলেকে হত্যার অভিযোগ
চট্টগ্রামে কর্ণফুলী উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে প্রতিপক্ষের হামলায় মা ও ছেলে খুন হয়েছেন। এসময় আরও দুজন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে শিকলবাহা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড ব্লক পাড় (মাস্টার হাট) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দুজন হলেন- হোসনে আরা বেগম (৪৫) ও তার ছেলে পারভেজ (৩১)। তারা ওই এলাকার তৈয়ব আহমদের স্ত্রী ও ছেলে।
এই ঘটনায় একই পরিবারে আহত অপর দুজন হলেন- তৈয়ব আহমেদের ছেলে মো. আরজ (২২) ও মো. সিফাত (১৫)। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ দুইজন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, চলাচলের রাস্তার জায়গা নিয়ে প্রতিবেশিদের সঙ্গে ঝগড়া চলাকালে ৪/৫ জন আহত হয়। তাদের হাসপাতালে নেওয়ার পর মা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে।
শিকলবাহা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মোবারক হোসেন বলেন, হাঁটা চলার রাস্তার জায়গা নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে আগে একটা মারামারির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে মামলা হয়েছিল। ওই মামলায় তিনজনের মধ্যে একজন পলাতক ছিল। আজ আমাদের কাছে খবর ছিল সে বাসায় আসছে। দুপুরে আমরা বাড়িতে গেলে তল্লাশি করলেও তাকে পায়নি তবে আমরা চলে আসার পর শুনলাম মারামারি লাগছে। এতে দুজন মারা যায়।
টেকনাফে ৫ রোহিঙ্গা শিশু ‘অপহরণ’, ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি
কক্সবাজারের টেকনাফের জাদিমুড়া এলাকা থেকে অপহৃত রোহিঙ্গা পাঁচ শিশুর পরিবারের কাছে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) বিকাল ৪টায় নয়াপাড়ার রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান মো. একরাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, সোমবার দুপুরে জাদিমুড়ার ন্যাচার পার্ক থেকে মুখোশধারী ৭ থেকে ৮ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী পাঁচ শিশুকে অপহরণ করে পাহাড়ে নিয়ে গেছে। এরপর অপহৃতদের পরিবারের কাছে ফোনে মুক্তিপণ দাবি করেছে। অপহৃত পাঁচ শিশুর মধ্যে তার বাড়ির কাছে একই ব্লকের তিনজন রয়েছে।
অপহৃতরা হলো- টেকনাফের নয়াপাড়ার রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের সি ব্লকের হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. বেলাল (১৩), মোহাম্মদ ইলিয়াসের ছেলে নূর কামাল (১২), উবায়দুল্লাহর ছেলে নূর আরাফাত (১২), বি ব্লকের মো. রফিকের ছেলে ওসমান (১৪) এবং ডি ব্লকের মাহাত আমিনের ছেলে নূর কামাল (১৫)।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে যুবককে অপহরণ ও হত্যার অভিযোগ
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১৬-আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) পুলিশ সুপার মো. জামাল পাশা বলেন, ওই শিশুরা ঈদ উপলক্ষে বাইরে ঘোরাঘুরি করতে গিয়ে ছিল। এ সময় ন্যাচার পার্ক এলাকা থেকে তারা অপহৃত হয়। তাদের উদ্ধারে অভিযান চলছে।
তিনি আরও বলেন, তবে মুক্তিপণের বিষয়ে তাদের এখনও পরিবারগুলো কিছুই জানায়নি। তবে, তাদের উদ্ধারে অভিযান চালানো হচ্ছে।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল হালিম জানান, অপহরণের কথা তিনি শুনেছেন। তবে এখন পর্যন্ত কারও কাছ থেকে কোন ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এরপরও পুলিশ অপহৃতদের উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিড়ালের ছানা দেয়ার কথা বলে স্কুলছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ
টেকনাফে ফের কলেজছাত্রসহ ৭ জন অপহরণ
কক্সবাজারে সমুদ্রে নেমে আরও এক পর্যটক নিখোঁজ
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে গোসলে নেমে আরও এক পর্যটক নিখোঁজ হয়েছেন। এসময় আরও একজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫এপ্রিল) বিকাল ৫টার দিকে সৈকতের লাবনী পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ হিমেল আহমেদ (২২) ঢাকা গাজীপুর কালিয়াঘুর এলাকার বাসিন্দা। এসময় এমরান (২০) নামে আরেকজনকে আহত আবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা মোহাম্মদ শাহিন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, বিকালে দিকে তারা ৪-৫ বন্ধু লাবনী বিচে গোসল করতে আসেন। তারা সবাই সাগরের হাঁটু পরিমাণের কম পানিতে গোসল করছিলেন। তারা গোসল করতে গিয়ে এক পর্যায়ে স্রোতের টানে দুই বন্ধু ভেসে যায়। লাইফগার্ড কর্মীরা একজনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও অপরজনকে খোঁজে পাওয়া যায়নি। নিখোঁজ পর্যটকের উদ্ধারের কার্যক্রম চলছে। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। এর আগে সকাল শাহজাহান নামে আরেক পর্যটক গোসলে নেমে মৃত্যু হয়েছে। পর্যটদের অসচেতনের কারণে এই ঘটনা ঘটছে বলে জানান ট্যুরিস্ট পুলিশের কর্মকর্তা মোল্লা মো. শাহিন ইমরান।
কক্সবাজারে সমুদ্রে গোসলে নেমে পর্যটকের মৃত্যু
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে গোসলে নেমে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১২ টায় সৈকতের লাবনী পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শাহাজাহান (৪০) চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানার শোলকবহর এলাকার মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা মোহাম্মদ শাহিন।
তিনি জানান, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
স্বজনদের বরাতে মোল্লা মোহাম্মদ শাহিন বলেন, সকালে সৈকতের লাবনী পয়েন্ট পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শাহাজাহান গোসল করতে নামেন। তিনি সাগরের হাঁটু পরিমাণের কম পানিতে গোসল করছিলেন। এক পর্যায়ে তিনি স্রোতে ভেসে যান। কিছুক্ষণ পর তাকে খোঁজাখুঁজি করে পানিতে ভাসমান অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়। পরে স্বজন ও স্থানীয় লাইফগার্ড কর্মীদের সহায়তায় উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক শাহাজাহানকে মৃত ঘোষণা করেন।
লক্ষ্মীপুরে নারীর খণ্ডিত লাশ উদ্ধার
লক্ষ্মীপুরে সড়ক বিভাগের আবাসিক এলাকা থেকে এক নারীর বিবস্ত্র অবস্থায় কয়েক খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে লক্ষ্মীপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের স্টাফ কোয়ার্টারের ভেতর থেকে বিবস্ত্র অবস্থায় কয়েক খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
নিহত মমতাজ বেগম লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা কুশাখালী ইউনিয়নের মৃত আব্দুল মতিনের স্ত্রী। তার স্বামী সড়ক বিভাগে চাকরি করতেন। তিনি মারা যাওয়ার পর থেকেই দুই ছেলে শরিফুল ইসলাম বাপ্পি ও সাইফুল ইসলাম রকিকে নিয়ে সড়ক বিভাগের স্টাফ কোয়ার্টারে বসবাস করছেন মমতাজ। তার স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে বর্তমানে বড় ছেলে মাস্টার রুলে কাজ করে আসছেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তে এলাকায় যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে লক্ষ্মীপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের স্টাফ কোয়ার্টারে বসবাস করতো মমতাজ বেগম। রাতে তার বড় ছেলে বাপ্পি বাসায় ফিরে দেখে তার মায়ের কয়েক খণ্ড লাশ পড়ে আছে। পরে পুলিশে খবর দিলে তারা লাশটি উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, লক্ষ্মীপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের স্টাফ কোয়ার্টারে ভেতরে এক নারীর বিবস্ত্র অবস্থায় কয়েক খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে তদন্ত চলছে এবং আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ট্রলার থেকে ১০ জেলের লাশ উদ্ধার: পুলিশ বলছে পূর্ব পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড
টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন
কক্সবাজারের টেকনাফের একটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন লেগেছে। ঘটনার পর থেকে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। সোমবার (২৪ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে টেকনাফ পালখালী ইউনিয়নের চাকমারখুল ২১ নং ক্যাম্পে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
ইতোমধ্যে ৩০টির বেশি ঘর পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন রোহিঙ্গারা।
২১ নং ক্যাম্পের বাসিন্দা কুদ্দুস জানান, ‘হঠাৎ দেখতে পাই একটি ঘরের ভিতর থেকে আগুন বের হচ্ছে। মূহুর্তের আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।’
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হোয়াইক্যং ফাঁড়ি উপপরিদর্শক (এসআই) রোকনুজ্জামান।
তিনি বলেন, ‘আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ফায়ার সার্ভিসও কাজ করছে। আগুনের তীব্রতা বেশি। এই মূহুর্তে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট কাজ করছে। ইতোমধ্যে অনেক ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আপাতত কিছু বলা যাচ্ছে না।’
অতিরিক্ত শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. শামসুদৌজ্জা জানিয়েছেন, আগুনের উত্তাপ বেড়েই চলেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কক্সবাজার ও রামু থেকে ফায়ার সার্ভিসের আরও ৪ টি ইউনিট রওয়ানা
দিয়েছে।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন: পুড়ে গেছে ২ হাজার ঘর
উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৫ শতাধিক বসতঘরে আগুন
চট্টগ্রামে ‘নওমুসলিম’ যুবকের মৃত্যুর আড়াই মাস পর আদালতের রায়ে দাফন
চট্টগ্রামের পটিয়ায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত আহমদ (২৯) নামে এক নওমুসলিম যুবকের লাশ দীর্ঘ আড়াই মাসের বেশি সময় হাসপাতালের মর্গে পড়ে থাকার পর আজ সোমবার (২৪ এপ্রিল) ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক দাফন সম্পন্ন হচ্ছে।
নিহত আহমেদের (পূর্বের নাম রতন দাশ) ধর্মপরিচয় নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হওয়ায় সোমবার আদালতের রায়ে তার জানাজা শেষে দাফনের ব্যবস্থা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২
নিহত আহমদের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার পূর্ব মায়ানী গ্রামে। তার বাবার নাম মনোরঞ্জন দাশ ও মায়ের নাম সন্ধ্যা রানী দাশ।
সোমবার দুপুরে উভয় পক্ষের আইনজীবীদের শুনানি শেষে পটিয়া জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক বিশ্বেস্বর সিংহ নিহত নওমুসলিম আহমদকে ইসলামী রীতি মোতাবেক দাফনের পক্ষে রায় দেন।
আদালতে মামলা পরিচালনাকারী অ্যাডভোকেট এনামুল হক রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, নিহত নওমুসলিম আহমদের লাশ তার ধর্মীয় শিক্ষক আকরাম হোসেনের তত্ত্বাবধানে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক এখন করার জন্য বিজ্ঞ আদালত রায় দিয়েছেন।
নিহত যুবকের সহপাঠী সিরাজুল মাওলা মিলাদ বলেন, আমাদের সহপাঠী আহমাদ আগে হিন্দু ধর্মের অনুসারী ছিলেন। ২০২০ সালের ১৭ নভেম্বর চট্টগ্রামের লালখান বাজার এলাকার একটি মাদরাসায় মাওলানা হারুন এজাহারের কাছে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
এরপর থেকে তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন ও ইসলাম ধর্মের সব নিয়ম-কানুন মেনে চলতেন।
তার মৃত্যুর পর আমরা বন্ধুরা তার দাফনের ব্যবস্থা করলে তার পরিবার হিন্দু ধর্ম মতে সংস্কারের দাবি করে। এ নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হলে তা আদালত পর্যন্ত করায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ
সোমবার আদালতে রায়ের পর আমরা তার দাফন সম্পন্ন করার উদ্যোগ নিয়েছি। রাতে জানাজা শেষে তার লাশ নগরীর চৈতন্য গলির কবরস্থানে আহমদকে কবর দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, আদালতের মাধ্যমে এফিডেভিড করে এবং কালেমা পড়ে স্ব-ইচ্ছায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পর চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি দুপুর ২টার দিকে পটিয়া উপজেলার মনসা বাদামতল এলাকায় তেলবাহী লরির চাপায় পিষ্ট হয়ে মোটরসাইকেল আরোহী আহমদের মৃত্যু হয়।
তখন নিহত যুবকের মা সন্ধ্যারানী দাশ দাবি করেন যে তার ছেলে রতন দাশ হিন্দু ছিলেন। তাই হিন্দু ধর্মের নিয়ম মেনে শেষকৃত্য চিতায় সম্পন্ন করতে চান।
কিন্তু তার সহপাঠীদের দাবী রতন দাশ তার হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। তাই তার দাফন করা হবে।
যুবক আহমদের শেষ যাত্রা নিয়ে বিরোধ সৃষ্টির কারণে মৃত্যুর পর দিন ৩০ জানুয়ারি পটিয়ার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত মার্চের ১৩ তারিখের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু ১৩ মার্চ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারেননি হাইওয়ে থানা পুলিশ।
সেদিন তারা আবারও অধিকতর তদন্তের জন্য সময়ের আবেদন করে আদালতে একটি চিঠি দিয়েছেন।
পটিয়া হাইওয়ে পুলিশের সময়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত গত ২০ এপ্রিল পরবর্তী শুনানির এ নির্দেশ দেন। কিন্তু ২০ এপ্রিল পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকারের নির্বাহী আদেশে এই দিন ছুটি থাকার কারণে সেদিন আদালত বন্ধ থাকায় সোমবার (২৪ এপ্রিল) উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে আদালত দাফনের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ৬
চট্টগ্রামে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ
চট্টগ্রাম মহানগরীতে একটি সিএনজি অটোরিকশার গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হয়েছেন।
সোমবার (২৪ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ১টার দিকে নগরীর বাকলিয়া থানার শাহ আমানত সেতু এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কোল্ড স্টোরেজে বিস্ফোরণে আগুন
অগ্নিদগ্ধরা হলেন-কর্ণফুলী উপজেলার উত্তর শিকলবাহা গোদার পাড় এলাকার বিলকিস (২৮), জোসনা বেগম (২৮), সাথী আক্তার (১৭), জান্নাত (৮) ও কাইনাত (৩)।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নূরুল আলম আশেক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, দুপুরে শাহ আমানত সেতু এলাকায় একটি সিএনজি অটোরিকশার গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের পাঁচজন অগ্নিদগ্ধ হয়। তাদেরকে চমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে কিশোর গ্যাংয়ের ককটেল বিস্ফোরণ
কুড়িগ্রামে কুড়িয়ে পাওয়া মর্টারশেল বিস্ফোরণে বিচ্ছিন্ন হলো পা
ট্রলার থেকে ১০ জেলের লাশ উদ্ধার: পুলিশ বলছে পূর্ব পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড
কক্সবাজারে একটি ট্রলার থেকে উদ্ধার হওয়া ১০ জেলের লাশ শনাক্ত করা হয়েছে।
রবিবার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সূত্রে জানা গেছে, মৃত ১০ জেলে শামসুল আলম (২৩) সাইফুল ইসলাম (১৮) সওকত উল্লাহ (১৮) ওসমান গণি (১৭) সাইফুল্লাহ (২৩) পারভেজ মোশাররফ (১৪) নুরুল কবির, (২৮) সাইফুল ইসলাম (৩৪) মোহাম্মদ শাহজাহান (৩৫) এবং তারেক জিয়া (২৫) সবাই চকরিয়া ও মহেশখালীর বাসিন্দা।
ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত দাবি করে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ট্রলারের বরফ রাখার কক্ষ থেকে ১০ জেলের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনজনের হাত-পা রশি দিয়ে বাধা ছিল। কয়েকজনের শরীরে জাল প্যাঁচানো ছিল। একটি লাশের গলা থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন ছিল। আরেকটি লাশের হাত বিচ্ছিন্ন পাওয়া গেছে। লাশগুলো ট্রলারের যে কক্ষ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, সেই কক্ষের ঢাকনাও পেরেক দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছিল। তাছাড়া ট্রলারের জাল ও ইঞ্জিনও ছিল। এ কারণে সন্দেহ হচ্ছে, হত্যাকাণ্ডটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে মাছ ধরার ট্রলার থেকে ১০ লাশ উদ্ধার
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গভীর সাগরে ডুবিয়ে দেওয়া ট্রলারটি আরেকটি মাছ ধরার ট্রলারের জালে আটকা পড়েছিল। ওই ট্রলারের জেলেরা রশি দিয়ে ডুবন্ত ট্রলারটি টেনে মহেশখালীর সোনাদিয়া চ্যানেলে নিয়ে আসেন।
রবিবার বেলা দেড়টার দিকে ডুবন্ত ট্রলারটি কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক (বিমানবন্দরের পশ্চিমে) চ্যানেলে পৌঁছালে মৃত ব্যক্তিদের হাত-পা ভেসে উঠতে দেখা যায়। তাতে ভয় পেয়ে যান টেনে আনা ট্রলারের জেলেরা। ডুবন্ত ট্রলারটি রেখে পালিয়ে যান তারা।
স্থানীয় লোকজন লাশবোঝাই ডুবন্ত ট্রলার ভেসে আসার খবর জানালে বেলা ২টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস।
স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা বেলা ৩টা পর্যন্ত ট্রলার থেকে ১০ জনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেন।
এরপর ময়নাতদন্তের জন্য লাশগুলো কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয় বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তে এলাকায় যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার
নাসিরনগরে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (২৩ এপ্রিল) উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের শংকরাদহ গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত দুই শিশু হলেন- দুবাই প্রবাসী আক্তার শাহ এর মেয়ে রৌজা (৭) ও আরেক দুবাই প্রবাসী শাহানুর শাহ এর ছেলে শামী (৫)।
পরিবারের পক্ষ থেকে জানায়, বাড়ি সংলগ্ন পুকুরে গোসল করতে গিয়ে তারা পানিতে ডুবে যায়। পরে তাদেরকে পুকুর থেকে তুলে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক শিশু দু’টিকে মৃত ঘোষণা করে।
সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে বালতির পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
মাদারীপুরে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু