চট্টগ্রাম
ঘূর্ণিঝড় মোখা: চাঁদপুর রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ
ঘূর্ণিঝড় 'মোখা' উপকূলের দিকে অগ্রসর হওয়ায় চাঁদপুর থেকে সব রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
বিআইডব্লিউটিএ'র উপ-পরিচালক শাহাদাত হোসেন জানান, শুক্রবার রাতে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
শুক্রবার রাত ১১টা থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই আদেশ বলবৎ থাকবে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে ফ্লাইট বাতিল
এতে, নদীর যানগুলোকে নিরাপদ স্থানে নোঙর করতে বলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান জানান, মোখা মোকাবিলায় চাঁদপুর সদর ও বাকি সাত উপজেলায় সবর্মোট ৩৫৩টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সব ইউএনওদেরকে এ ব্যাপরে জরুরি নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, চাঁদপুর সদর, মতলব উত্তর ও হাইমচর উপজেলাধীন সব চরাঞ্চলের লোকদেরকে দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনার জন্যও বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় 'মোখা' রবিবার সন্ধ্যার মধ্যে কক্সবাজার-মিয়ানমারের উত্তর উপকূল অতিক্রম করতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
লক্ষ্মীপুরে ছোট ভাইয়ের ধাক্কায় পড়ে গিয়ে বড় ভাইয়ের মৃত্যুর অভিযোগ
লক্ষ্মীপুরে বাড়ির চলাচলের রাস্তা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ছোট ভাইয়ের ধাক্কায় পড়ে গিয়ে বড় ভাইয়ের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১২ মে) বিকালে পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের লাহারকান্দি গ্রামের বাইশমারা এলাকার আবদুল মজিদ খন্দকার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত গাছ ব্যবসায়ী শাহাদাত হোসেন এবং অভিযুক্ত মুরাদ হোসেন উভয়েই ওই গ্রামের মৃত আবুল বাশারের ছেলে।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে ট্রাকের ধাক্কায় অন্য ট্রাকের ২ চালক নিহত
নিহত শাহাদাতের স্ত্রী রোকসানা ইয়াসমিন জানান, বাড়ির চলাচলের রাস্তা নিয়ে তার স্বামী শাহাদাতের সঙ্গে দেবর মুরাদের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মুরাদ তার বড় ভাই শাহাদাতকে ধাক্কা দিলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে শাহাদাতকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত মুরাদ হোসেন আত্মগোপনে রয়েছে।
সদর হাসপাতালের চিকিৎসক কমলা শীষ রায় বলেন, ‘হাসপাতাল আনার আগেই শাহাদাত মারা গেছেন। তবে কি কারণে তিনি মারা গেছেন তা এখনও বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের পর চূড়ান্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।’
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, হাসপাতাল ও ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় অটোভ্যানের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু
মহাখালী রেলগেট এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু
ঘূর্ণিঝড় মোখা: চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে ফ্লাইট বাতিল
ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে সৃষ্ট বৈরী আবহাওয়ার কারণে শুক্রবার রাত থেকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সব ধরনের ফ্লাইট চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার (১২ মে) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তাসলিম আহমেদ।
তিনি বলেন, আবহাওয়া অধিদপ্তরের ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার সকাল ৬টা থেকে রবিবার রাত ১২টা পর্যন্ত শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট ওঠা-নামা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: চট্টগ্রাম বন্দরে অ্যালার্ট-২ জারি
এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরে অ্যালার্ট-২ এর পরিবর্তে অ্যালার্ট-৪ জারি করা হয়েছে। বন্দর থেকে সকল জাহাজ নিরাপদ স্থানে সারিয়ে নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার রাতে বন্দর কর্তৃপক্ষ জরুরি সভা আহ্বান করে বন্দরের সকল অপারেশন (কাজ) বন্ধ করে দিয়েছে।
এরই মধ্যে বন্দরের জেটিতে পণ্য ও কনটেইনার খালাসরত ১৬ জাহাজকে জেটি ছাড়তে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আজ (শনিবার) সকালে জোয়ারের সময়ে এসব জাহাজ জেটি ছেড়ে যাবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: চট্টগ্রাম-কক্সবাজারে ১৬০৬ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত
সেন্টমার্টিনের সব হোটেল-মোটেল-রিসোর্টকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় মোখা অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত মোখা শক্তিশালী হয়ে কক্সবাজারের দিকে এগিয়ে আসছে।
এ অবস্থায় সেন্টমার্টিন দ্বীপের সব হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। এরমধ্যে সেন্টমার্টিন দ্বীপ থেকে অনেকে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য টেকনাফে এসেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি টেকনাফের সেন্টমার্টিন দ্বীপসহ মিয়ানমারের উপকূল এবং এর আশেপাশের ওপর দিয়ে বয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: বৈরী আবহাওয়ায় সেন্টমার্টিনে আটকা তিন শতাধিক পর্যটক
সেন্টমার্টিনের বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে ট্রলারযোগে দ্বীপ ছেড়ে টেকনাফ আসতে শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত অনন্ত ২০০ পরিবারের দেড় হাজারের কাছাকাছি মানুষ দ্বীপ ছেড়েছেন বলে জানা গেছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপের সব হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে।
তবে এর মধ্যে কত সংখ্যক মানুষ দ্বীপ ছেড়ে টেকনাফ চলে এসেছেন তার সঠিক পরিসংখ্যান বলা যাচ্ছে না। তবে আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। দ্বীপে ১৭টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয়কেন্দ্র নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, বিজিবি, পুলিশ, জনপ্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবকরা একযোগে কাজ করছেন।
সেন্টমার্টিনের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, মোখা আসছে, সেন্টমার্টিন দ্বীপের মানুষ সবচেয়ে বেশি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। কারণ, সেন্টমার্টিনে নেই পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্র। দ্বীপের চারপাশে টেকসই বেড়িবাঁধ নেই। খাদ্য গুদাম নেই। চিকিৎসাসেবা নেই। সি অ্যাম্বুলেন্স নেই। আবহাওয়া অফিসের কার্যক্রম নেই।
তাই সেন্টমার্টিন দ্বীপের মানুষ নিজে ও নিজের পরিবারের নিরাপত্তার স্বার্থে দ্বীপ ছেড়ে নিরাপদ স্থলে ছুটে যাচ্ছে।
এদিকে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় বৈরি আবহাওয়া বিরাজ করছে। শুক্রবার (১২ মে) সকাল থেকেই কক্সবাজারের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। এছাড়া দুপুর ২ টা থেকে বৃষ্টি শুরু হয়।
আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিন থেকে ৭ লাখ ইয়াবা উদ্ধার: কোস্টগার্ড
স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা আব্দুর রহমান বলেন, মোখা কক্সবাজার উপকূলের কাছাকাছি। সাগর কিছুটা উত্তাল হয়েছে। মোখার প্রভাবে ভারি বৃষ্টি হতে পারে। বাতাসের তীব্রতা বাড়বে। ফলে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং পাহাড়ে বসতিগুলো ঝুঁকিতে পড়বে।
তিনি আরও বলেন, সিডর ছাড়া গেল ১৫ বছরে বড় কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়নি কক্সবাজারে। এবার মোখা কক্সবাজার অভিমুখী হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি বাড়ার শঙ্কা রয়েছে।
মোখার প্রভাব বিবেচনায় নিয়ে আগে থেকেই পাহাড় ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখা জরুরি বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, মোখার কারণে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সব উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
জেলার উপকূলীয় এলাকার সাইক্লোন শেল্টার ও বিদ্যালয়সহ ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
১০ লাখ ৩০ হাজার নগদ টাকা, ৪৯০ মেট্টিক টন চাল, সাত মেট্টিক টন শুকনো খাবার ও ১৯৪ বান্ডিল ঢেউটিন মজুদ রাখা হয়েছে। দ্বীপ অঞ্চলের মানুষের নিরাপত্তায় আমরা সব সময় সজাগ আছি। আতঙ্কের কোন কারণ নেই ।
দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় মোখা আরও উত্তর দিকে অগ্রসর এবং ঘণীভূত হয়ে একই এলাকায় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে।
ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
সেই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
ঘূর্ণিঝড় মোখা: চট্টগ্রাম বন্দরে অ্যালার্ট-২ জারি
ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে অ্যালার্ট-২ জারি করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এটি বন্দরের নিজস্ব অ্যালার্ট।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর মোখার কারণে চার নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত জারির পর বন্দর কর্তৃপক্ষ শুক্রবার (১২ মে) বিকালে নিজস্ব এ অ্যালার্ট জারি করে।
এ ব্যাপারে বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, আবহাওয়া অধিদপ্তর সতর্ক সংকেত ঘোষণা করলে অ্যালার্ট জারি করা হয়। এটা বন্দরের নিজস্ব অ্যালার্ট।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার, বেড়েছে ঘূর্ণন
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাঁচতে সাগরে অবস্থানকরা লাইটার জাহাজগুলোকে সদরঘাট থেকে কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতু এলাকার দিকে নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
জেটি ও বহির্নোঙরে থাকা জাহাজগুলোকে ইঞ্জিন চালু রাখতে বলা হয়েছে যাতে তাৎক্ষণিক মুভমেন্ট করতে পারে।
এছাড়া বন্দরের নিজস্ব জাহাজগুলোকে নিরাপদে থেকে ডাবল মুরিং করতে বলা হয়েছে বলে বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা রবিবার (১৪ মে) দুপুর নাগাদ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় মোখা উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় (১৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৮ দশমিক দুই ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে।
এটি শুক্রবার (১২ মে) দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার পাঁচ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৩৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৬৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৩০ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এছাড়া এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হতে পারে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: এখনো শান্ত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৩০ কি.মি., যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৫০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুদ্ধ রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান জানান, এখন পর্যন্ত যে গতিতে ঘূর্ণিঝড় মোখা এগোচ্ছে, তাতে রবিবার দুপুর নাগাদ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূল ও মিয়ানমারের উত্তর-উপকূল দিয়ে এটি অতিক্রম করতে পারে।
এছাড়া উপকূলে আঘাত হানার চার থেকে ছয় ঘণ্টার মধ্যে মোখা শক্তি হারাবে।
এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে অতিদ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১৪ মে ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশে আছড়ে পড়তে পারে
উখিয়ায় দুর্বৃত্তের গুলিতে রোহিঙ্গা যুবক নিহত
কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুর্বৃত্তের গুলিতে এক রোহিঙ্গা যুবক নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১১ মে) রাত ১১টার দিকে উখিয়া পালংখালী ৯ নম্বর ক্যাম্পে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবক মোহাম্মদ কবির আহমদ (২৮) কুতুপালং রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের আবুল হোসেনের ছেলে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে ইউপিডিএফ-কেএনএফ এর গোলাগুলিতে নিহত ৮
উখিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী শুক্রবার (১২ মে) দুপুর ২টার দিকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে ২০ থেকে ২৫ জনের মুখোশধারী দুর্বৃত্তের দল হঠাৎ রোহিঙ্গা যুবককে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে এনজিও এমএসএফ পরিচালিত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, কী কারণে এ যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এদিকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের বিশেষ অভিযান চলছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে সংরক্ষিত বনাঞ্চলে দস্যুদের গুলিতে ৪ বনকর্মী আহত
খাগড়াছড়িতে প্রতিপক্ষের গুলিতে ইউপিডিএফ সদস্য নিহত
চট্টগ্রামে পুকুরে ডুবে ২ বোনের মৃত্যু
চট্টগ্রাম মহানগরীর পতেঙ্গা থানার কাঠগড় এলাকায় পুকুরে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ মে) সকালে পূর্ব কাঠগড় তিনতলা মসজিদ মুছা কন্ট্রাক্টরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রিসবান সালেহ আরিশ (৩) ওই বাড়ির মো. নাছির উদ্দীনের মেয়ে এবং ফায়রুজ উলফাত ওয়াজিহা (৩)মো. নেজাম উদ্দিনের মেয়ে। তারা দুজন চাচাতো বোন বলে জানা গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জায়েদ নুর।
তিনি জানান, পরিবারের সদস্যদের অগোচরে দুই শিশু খেলতে গিয়ে পুকুরে পড়ে যায়। পরে বাড়ির লোকজন তাদের উদ্ধার করে নৌবাহিনী হাসপাতাল নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসকরা দুই শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কচুয়ায় পুকুরে ডুবে জমজ ভাইবোনের মৃত্যু
জামালপুরে পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
সন্দ্বীপে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
লক্ষ্মীপুরে মাকে হত্যার দায়ে ছেলের মৃত্যুদণ্ড
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে আমেনা বেগমকে হত্যার পর আগুনে পুড়িয়ে ফেলার দায়ে তার ছেলে রেদওয়ান হোসেন মিলনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তার ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামি নিজেই তার মাকে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাবি অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলা: দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে বাধা নেই
দণ্ডপ্রাপ্ত মিলন রামগনক উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের আশারকোটা গ্রামের মৃত আলী আকবরের ছেলে।
আদালত ও এজাহার সূত্র জানায়, ২০২২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে মিলন রাগান্বিত হয়ে তার মা আমেনাকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে কাপড় ও কম্বল দিয়ে মুড়িয়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
২৪ ফেব্রুয়ারি ভোর ৫টার দিকে ঘর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখে স্থানীয়রা তাদের বাসার গ্লাস ভেঙে দেখতে পায় মেঝেতে আগুন জ্বলছে। পরে দরজা ভেঙে বাসায় ঢুকে সবাই মেঝেতে আমেনার লাশ দেখতে পায়। আগুনে আমেনার শরীরের বেশিরভাগ অংশই পুড়ে যায়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মিলনকে আটক করে। একইদিন ভুক্তভোগী আমেনার ভাই টিপু সুলতান বাদী হয়ে রামগঞ্জ থানায় মামলা করেন। পরে আসামি দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়।
জবানবন্দিতে বলা হয়, চিকিৎসার জন্য মিলনকে দুই থেকে তিনজন ডাক্তার দেখায় তার মা আমেনা। এ নিয়েই তিনি মায়ের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে ফজরের আযানের আগ মুহূর্তে মিলন তার মাকে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে লাশ কাপড় ও কম্বল মুড়িয়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
২০২২ সালের ২২ জুন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রামগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. অলিউল্লাহ আদালতে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত এ রায় প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় কলেজ শিক্ষক হত্যা মামলায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড
সীতাকুণ্ডে গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা
সীতাকুণ্ড উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নে গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ মে) রাত ১২ টার দিকে হাসনাবাদ গ্রামের বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকায় নিহতের শ্বশুরবাড়ির উঠানে এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে ঘুমন্ত বড়ভাইকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ ছোটভাইয়ের বিরুদ্ধে
গৃহবধূ রোশনি আক্তার সায়মা (২০) হাসনাবাদ গ্রামের দিদারুল আলমের স্ত্রী। এছাড়া দিদারুল ফটিকছড়ির নানুপুর এলাকার একটি হাসপাতালে চাকরি করেন।
স্থানীয়রা জানায়, বাড়ির পাশে পুকুরপাড়ে পড়ে থাকা অবস্থায় গৃহবধূ রোশনি আক্তার সায়মার লাশ দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়।
পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
মুরাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বাহার বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে অথবা অন্য কোনো কারণে ওই গৃহবধূকে হত্যা করা হতে পারে।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) তোফায়েল আহমেদ বলেন, প্রাথমিকভাবে এটিকে একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে মনে হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ছুরি ও নিহতের ননদের রক্তমাখা জামা উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামী ও দুই ননদ পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
আরও পড়ুন: পাবনায় কৃষককে গলা কেটে হত্যা
মানিকগঞ্জে ঘুমন্ত বড়ভাইকে গলা কেটে হত্যা: ছোট ভাই গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে চলন্ত লরি থেকে কন্টেইনার পড়ে দুই রিকশাযাত্রী নিহত
চট্টগ্রাম মহানগরীর পতেঙ্গা থানার স্টিল মিল বাজারে চলন্ত লরি থেকে কন্টেইনার পড়ে দুইজন নিহত হয়েছেন।
বুধবার বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটের দিকে স্টিল মিল খাল পাড় রোডের মুখে আলী প্লাজার সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
নিহত দুজন রিকশাযাত্রী ছিলেন। তবে তাৎক্ষনিক তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানায়, একটি কন্টেইনারবাহী লরি যাওয়ার সময় হঠাৎ কন্টেইনারটি উল্টে রাস্তায় পড়ে রিকশাকে চাপা দেয়। এতে রিকশাচালকসহ দুই যাত্রী নিচে চাপা পড়েন। পরে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে ক্রেনের সাহায্যে কন্টেইনারের নিচ থেকে দুই যাত্রীকে মৃত এবং রিকশা চালককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে।
ঘটনাস্থল থেকে ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক মো. আব্দুল হালিম জানান, কন্টেইনার চাপা পড়া তিনজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
আহত একজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাবুবাজার সেতুতে ট্রাকের ধাক্কায় যুবক নিহত
ভারতের মণিপুরে সহিংসতায় নিহত বেড়ে ৬০, কয়েক হাজার বাস্তুচ্যুত