চট্টগ্রাম
কুমিল্লায় ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন রাখতে কাজ করছে জেলা হাইওয়ে পুলিশ
আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদ উদযাপনে গ্রামে ছুটে যাচ্ছেন মানুষ। ঈদ যাত্রায় যানজটের কারণে মানুষ সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েন সড়কপথে। তবে দেশের লাইফ লাইন খ্যাত ব্যস্ততম ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নিরাপদ রাখতে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ।
ঢাকা থেকে বন্দর নগরী চট্টগ্রামসহ অন্তত ১০ জেলার যানবাহন চলাচল করে মহাসড়কের কুমিল্লা অংশ দিয়ে। তবে গেল কয়েক দিনের তাপদাহকে উপেক্ষা করে ঈদ যাত্রা নিরাপদ করতে মহাসড়কে কাজ করছে হাইওয়ে পুলিশ।
যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপের বিষয়টি মাথায় রেখে বিশেষ পরিকল্পনার কথা জানান কুমিল্লা রিজিয়ন হাইওয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ। তিনি বলেন, কোনো প্রকার দুর্ঘটনা ঘটলে দ্রুত যান চলাচল স্বাভাবিক করতে, অ্যাম্বুলেন্সের পাশাপাশি প্রস্তুত রয়েছে বিশেষ কুইক রেসপন্স টিম।
আরও পড়ুন: ঈদযাত্রা নিরাপদ করুন: আইজিপি
তিনি আরও বলেন, সড়ক জুড়ে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি কাজ করছে কমিউনিটি পুলিশ।
বড় কোনো দুর্ঘটনা না ঘটলে এবারের ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্নে হবে বলে জানিয়েছেন হাইওয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা।
যানজট ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে প্রতিযোগীতাহীন গাড়ি চালানোর পাশাপাশি সড়ক পারাপারে পথচারীদের সচেতন থাকার পরামর্শ হাইওয়ে পুলিশের।
আরও পড়ুন: প্রয়োজন ছাড়া লঞ্চে ঈদযাত্রা পরিহারে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর আহ্বান
চট্টগ্রামে কোল্ড স্টোরেজে বিস্ফোরণে আগুন
চট্টগ্রামের বক্সিরহাট ওয়ার্ডের রাজাখালী এলাকায় একটি চারতলা ভবনের নীচতলায় অ্যামোনিয়া গ্যাস বিস্ফোরণে ভবনের নীচের অংশ ধসে পড়েছে।
বিস্ফোরণের পর পরই ওই ভবনের নীচতলায় অবস্থিত জনতা কোল্ড স্টোরেজে (হিমাগার) আগুন লেগে যায়।
মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১টার দিকে হঠাৎ বিস্ফোরণের পর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
বিস্ফোরণে শুটকি প্রক্রিয়াজাতকরণের এই কোল্ড স্টোরেজের চারতলা ভবনের নীচতলার অনেকাংশ ধসে পড়ে। এতে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছে।
ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট ভোর পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ ও উদ্ধার কাজ চালায়।
আহতদের মধ্যে চারজন হলেন- মো. তারেক (২৮), নুর হোসেন, মো. মান্নান (৩৪) ও রবিন (২২)। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ভবনে বিস্ফোরণের পর আগুন, আহত ২
বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহিম বলেন, রাজাখালী এলাকায় জনতা কোল্ড স্টোরেজ নামে একটি শুটকি কারখানায় বিস্ফোরণের কারণে আগুন লাগে। এতে অ্যামোনিয়া গ্যাস আশেপাশে ছড়িয়ে পড়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ফাইটাররা।
ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো.আব্দুল হালিম জানায়, বিস্ফোরণ থেকে আগুন লাগার খবর পেয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে কাজ করে। কয়েকজন আহত ব্যক্তিকে আমরা উদ্ধার করেছি। চারজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আগুনের কারণে ভবনের চারপাশের মানুষদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। গ্যাস চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। বিকট শব্দে বিস্ফোরণের কারণে চারতলা ভবনের নীচতলা অনেকাংশ ধসে পড়ে। ভবনের সব বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশেক বলেন, রাজাখালীর আগুন ও বিস্ফোরণে আহত চারজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গুলিস্তানে বিস্ফোরণ: চিকিৎসাধীন আরও একজনের মৃত্যু, সংখ্যা বেড়ে ২৫
ফেনীতে বিদ্যুৎ কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় অজ্ঞাত ৫০০ জনের নামে মামলা, আটক ১
ফেনীর ছাগলনাইয়ায় পল্লী বিদ্যুতের জোনাল কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় অজ্ঞাত ৫০০ জনের নামে মামলা করা হয়েছে।
ঘটনায় জড়িত এবং মুঠোফোনে ভবিষ্যতে আরও বড় ধরনের হামলার হুমকি প্রদানের অভিযোগে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটক ব্যক্তির নাম রাকিবুল হাসান শুভ (২৬)। তিনি উপজেলার পশ্চিম ছাগলনাইয়া গ্রামের সুবেদারী রাস্তার মাথা নামক এলাকার বাসিদা ও একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালের আইন বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র।
মঙ্গলবার ( ১৮ এপ্রিল) বিকালে তাকে আটক করে ছাগলনাইয়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। থানায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুদ্বীপ রায় ছাগলনাইয়া পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে আটকের বিষয় নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ছাগনাইয়ায় পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনার পর আবারও এক ব্যক্তি কার্যালয়ের সরকারি ফোন নম্বরে কল দিয়ে পরবর্তীতে আরও বড় ধরনের হামলা, ভাঙচুর ও জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।
আরও পড়ুন: ফেনীতে লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ
ছাগলনাইয়া পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. জানে আলম এ হুমকির বিষয় তাৎক্ষণিক পুলিশকে অবহিত করেন।
পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ওই অজ্ঞাত ফোনের মালিককে শনাক্ত করে তাকে আটক করেন। তবে ওই নম্বরের সিমটি উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। তাকে আরও অধিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই সিমটি উদ্ধার করার চেষ্টা করছে পুলিশ।
জানে আলম জানান, পিক আওয়ারে উপজেলায় বিদ্যুতের চাহিদা ২০ মেঘাওয়াট। কিন্তু তাদেরকে দেওয়া হয় ছয় মেগাওয়াট বা সাত মেগাওয়াট। যা গ্রাহক পর্যায়ে গড়ে প্রতিটি এলাকায় দিনে সাত বা সাড়ে সাত ঘন্টা বিদ্যুৎ দেওয়া যায়।
উল্লেখ্য, গত রবিবার রাত পৌনে ৮টায় লোডশেডিং-এ অতিষ্ঠ হয়ে বিদ্যুৎ গ্রাহকরা উপজেলা সদরে মিছিল বের করে এবং এক পর্যায়ে অতর্কিত বিদ্যুৎ কার্যালয়ে হামলা ও ভাংচুর চালায়। এ সময় কার্যালয়ের ফটক ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে আসবাবপত্র ভাঙচুর ও কিছু প্রয়োজনীয় নথি নষ্ট করা হয়। ফলে প্রায় দুই লাখ ৫০ হাজার টাকার সম্পদের ক্ষতি হয়েছে বলে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ফেনীতে সাজাপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তার আদালতে আত্মসমর্পণ, কারাগারে প্রেরণ
কক্সবাজার উপকূলে ভেসে এসেছে বিশাল মৃত তিমি
কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে বিশালাকার একটি মৃত তিমি ভেসে এসেছে। মঙ্গলবার (৮এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে সৈকতের মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন হিমছড়ি পয়েন্টে তিমিটি ভাসতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: আবারও কক্সবাজারের সৈকতে বিশাল মৃত তিমি
খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, বন বিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর, প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তাসহ জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে যান।
কক্সবাজার পর্যটক সেলের ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। মৃত তিমিটি পচে তীব্র দুর্গন্ধ ছড়াতে পারে। তাই এটিকে তীরে এনে গর্ত করে পুঁতে ফেলার সিন্ধান্ত নেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের একই এলাকায় দুটি মৃত তিমি ভেসে আসে।
আরও পড়ুন: নিউজিল্যান্ডে তিমির সঙ্গে ধাক্কা লেগে নৌকাডুবে নিহত ২, নিখোঁজ ৩
সৈকতে ভেসে এলো বেলিন প্রজাতির মৃত তিমি!
কুমিল্লায় বাসচাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
কুমিল্লায় বাসচাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। সোমবার (১৭ এপ্রিল) দুপুর সোয়া ১ টার দিকে ক্যান্টনমেন্ট সংলগ্ন টিপরাবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- বুড়িচং উপজেলার শরিফপুর এলাকার মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে আব্দুল বাতেন এবং বরুড়া উপজেলার পোমতলা এলাকার মোখলেস মিয়ার ছেলে মিজানুর রহমান।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্রের মৃত্যু
স্থানীয়রা জানান, সোমবার দুপুরে নিউ জনতা নামে বাসটি কোম্পানিগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল। ক্যান্টনমেন্ট অফিসের সামনে এলে বাসটি বিপরীত দিক থেকে আসা মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হন।
ময়নামতি হাইওয়ে ক্রসিং থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, নিহত দুই জনের লাশ এবং দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি উদ্ধার করেছে ময়নামতি হাইওয়ে পুলিশ।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ৪
সিলেটে সড়ক দুর্ঘটনায় নারীর মৃত্যু
ফেনীতে লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ
ফেনীর ছাগলনাইয়ায় অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের অভিযোগ কেন্দ্রে হামলা ও ভাঙচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার (১৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে পৌর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিন ধরে ফেনীর ছাগলাইয়ায় অতিরিক্ত লোডশেডিং হওয়ায় বিদ্যুতের দাবিতে বিক্ষোভ করেন গ্রাহকেরা। রাতে লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ লোকজন প্রথমে একটি মিছিল করে এবং পরে অভিযোগ কেন্দ্রের মূল গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে আসবাবপত্র, ইলেকট্রিসিটির লাইন ও এসিসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে ছাগলনাইয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বিক্ষুব্ধ লোকজন পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: লোডশেডিংয়ে ভুগছে ঢাকা, মোমবাতি কারিগরদের মুখে হাসি
ছাগলনাইয়া বাজারের ব্যবসায়ী আবদুল মতিন জানান, এখন ঈদের মৌসুম। কেনাকাটার সময়। পুরো দিন বিদ্যুৎ থাকে না। সন্ধ্যার পর বিদ্যুতের আসা-যাওয়ায় আমরা অতিষ্ঠ। এছাড়া লোডশেডিংয়ের কোনো সময় নেই। সারাদিন গড়ে দুই থেকে তিন ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না।
ছাগলনাইয়া বিদ্যুৎ অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. জানে আলম জানান, বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে বিক্ষুব্ধ দুই সহস্রাধিক জনতা বিদ্যুৎ অফিসে হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র, দরজা ও জানালার কাঁচ ভাঙচুর করেছে।
কুমিল্লায় দুই ট্রেনের সংঘর্ষ, ২০ জন আহত
কুমিল্লার হাসানপুর রেলস্টেশনে রবিবার সন্ধ্যায় ঢাকাগামী সোনার বাংলা এক্সপ্রেস একটি মালবাহী ট্রেনকে ধাক্কা দেওয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল যোগাযোগ বিঘ্নিত হয়েছে।
জানা যায়, সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের ছয়টি বগি ও লোকোমোটিভ লাইনচ্যুত হয়ে ঘটনাস্থলেই কমপক্ষে ২০ জন যাত্রী আহত হয়, যাদের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে নাঙ্গলকোট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
লাকসাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন জানান, ঢাকাগামী মালবাহী ট্রেনটি হাসানপুর স্টেশনে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল। সন্ধ্যা ৬টা ২২ মিনিটে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ভুল করে একই লাইনে ঢুকে মালবাহী ট্রেনের পেছনের দিকে ধাক্কা মারে।
সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের ছয়টি বগি লাইনচ্যুত হওয়ায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। রেললাইন থেকে বগিগুলো এখনও সরানো হয়নি বলেও জানান ওসি।
তিনি জানান, ঘটনার পর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে যুবক নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছে। শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) রাতে উপজেলার কালিকচ্ছ বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফয়সাল (২২) কুট্টাপাড়া এলাকার মো. রাকিব মিয়ার ছেলে। পরিবারের দাবি, পুলিশের গুলিতে তার মৃত্যু হয়েছে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকালে মোটরসাইকেলের সঙ্গে রিকশার ধাক্কা লাগা নিয়ে কালিকচ্ছ ইউনিয়নের ধরন্তী গ্রামের ইকবাল চৌকিদারের ছেলে আকাশের সঙ্গে একই ইউনিয়নের সূর্যকান্দি গ্রামের সুমনের বাকবিতণ্ডা হয়। এরই জের ধরে আকাশের লোকজন শুক্রবার দুপুরে সুমনের ওপর হামলা করে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় প্রতিপক্ষের হামলায় যুবক নিহত, ২ পুলিশ সদস্যসহ আহত ৩
এনিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে সন্ধ্যার দিকে কালিকচ্ছ বাজারে ইকবাল চৌকিদারের গোষ্ঠী ও সূর্যকান্দি গ্রামের দুলালের গোষ্ঠীর লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন।
নিহতের পরিবারের দাবি, ফয়সাল পড়াশোনার ফাঁকে তার মামা ওসমান হারুনির রড-সিমেন্টের দোকানে কাজ করতেন। সংঘর্ষের সময় আতঙ্কিত হয়ে দোকান বন্ধ করার সময় পুলিশ অতর্কিতভাবে নিরপরাধ ফয়সালকে গুলি করে। এতে সে নিহত হয়।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হোসেন রেজা বলেন, ধারণা করা হচ্ছে সংঘর্ষের সময় ককটেলের স্প্লিন্টাররের আঘাতে ফয়সালের মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তিনি আরও বলেন, এ সময় চার থেকে পাঁচজনকে আটকসহ ১০টি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করা হয়। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রাজধানীর আশকোনায় ট্রেনের ধাক্কায় যুবক নিহত
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পুলিশের সঙ্গে আরসার গোলাগুলি, নিহত ২
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পুলিশ ও আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় আরসার গুলিতে এক পথচারী নিহত হন। অন্যদিকে, পুলিশের গুলিতে আরসার এক শীর্ষ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।
আহত হয়েছেন দুই পুলিশ সদস্য। অস্ত্রসহ একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সন্দেহভাজন এআরএসএ কমান্ডার নিহত: এপিবিএন
শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে উখিয়া ১৮নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এই ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন, ৮ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ।
আটক আরসা সদস্য ১৮নং ক্যাম্পের নুরুল হাকিমের পুত্র মোহাম্মদ সাদেক (৩১)।
নিহতরা হলেন, ১৮নং ক্যাম্পের বশির আহমেদের পুত্র
আরসার শীর্ষ সন্ত্রাসী মোহাম্মদ হাশিম (৩২) ও পথচারী নুরুল ইসলামের স্ত্রী নূর হাবা (৫০) ।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত আসরার শীর্ষ সন্ত্রাসী মোহাম্মদ হাশিম চাঁদাবাজি ও মাদক পাচারসহ একাধিক মামলার আসামি।
৮ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ বলেন, দুপুরে দিকে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের অবস্থানের খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ক্যাম্প ১৮ এর এল/১৭ ব্লকে মসজিদের পাশে পাহাড়ের পাদদেশে কয়েকটি ঘর ঘিরে ফেলে।
পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আশপাশের গলি ও পাহাড় থেকে আরসার অস্ত্রধারী ২০-৩০ জন সন্ত্রাসী গুলি ছুড়লে পুলিশও আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি করে। এ সময় আরসার গুলিতে এক পথচারী নিহত হয়।
ফারুক আরও জানান, ঘণ্টাব্যাপী গোলাগুলির পর সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলের একটু দূর থেকে আরসার শীর্ষ নেতা হাশিমের লাশ উদ্ধার করে।
এরপর আশপাশের ঘরে তল্লাশি চালিয়ে এক আরসা সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকে উখিয়া থানায় হস্তান্তর ও নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী।
৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক ও অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আমির জাফর ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে জানান, এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় দুর্বৃত্তের গুলিতে রোহিঙ্গা নিহত
উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে যুবককে অপহরণ ও হত্যার অভিযোগ
চাঁদপুরে মেঘনায় জাটকা ধরায় ২৫ জেলে আটক, ১৯ জনকে কারাদণ্ড
চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার অভয়াশ্রম এলাকায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরার অপরাধে ২৫ জেলেকে আটক করেছে টাস্কফোর্স টীম। এ সময় ১৯ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং কিশোর ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক ৬ জেলেকে শাসন করে অভিভাবকের জিম্মায় ছেড়ে দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত সোয়া ১১টা পর্যন্ত মেঘনা নদীর সদর উপজেলার দাসাদী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে জাটকা ধরা অবস্থায় হাতেনাতে তাদেরকে আটক করা হয়।
অভিযানকালে সাতটি মাছ ধরার নৌকা, এক লাখ ২০ হাজার মিটার কারেন্টজাল, চারটি বেহুন্দি জাল ও ২০ কেজি জাটকা জব্দ করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় অভিযানে অংশগ্রহণকারী চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
অভিযান শেষে কোস্টগার্ড চাঁদপুর স্টেশনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. হেদায়েত উল্লাহ।
আরও পড়ুন: মেঘনায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরার অভিযোগে ২৩ জেলের কারাদণ্ড
কারাদণ্ড প্রাপ্ত জেলেদের মধ্যে এক বছর কারাদণ্ড প্রাপ্ত জেলে হলেন-মো. সোহেল (২০)। এক মাস করে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জেলেরা হলেন- লক্ষণ চন্দ্র বর্মন (৩০), রতন চন্দ্র বর্মন (৩৫), নুরুল হক দেওয়ান (৬৫), বাসুদেব চন্দ্র বর্মন (৪০), স্বপন চন্দ্র বর্মন (৪৮), ইকবাল হোসেন বেপারী (৩৫), বিশ্বজিৎ চন্দ্র বর্মন (৩৫), আরিফ হোসেন (১৪), বিল্লাল হোসেন (৩০), মো. সেলিম হোসেন (২৪), সাইফুল ইসলাম (২২), শিপন (২০), সুকান্ত চন্দ্র বর্মন (২০), বাদল চন্দ্র বর্মন (২২), মো. আল-আমিন হোসেন (২০), অপু চন্দ্র বর্মন (২০), হৃদয় চন্দ্র বর্মন, (২২) ও মো. মেহেদী হাসান (২৫)। এরা সবাই শরিয়তপুর ও চাঁদপুর সদরের নদীর পাড় এলাকার বাসিন্দা।
কিশোর ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক জেলেরা হলেন-নিত্য চন্দ্র বর্মন (১৪), মো. সাকিল (১৫), রাজন (১৪), মো. সিয়াম (১৪), মো. ইয়াছিন (১৭) ও রাব্বি (১২)।
সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান জানান, জব্দকৃত কারেন্ট ও বেহুন্দি জাল আগুনে পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়েছে। জব্দকৃত মাছ ধরার নৌকা কোস্টগার্ড হেফাজতে এবং জাটকাগুলো স্থানীয় গরীব ও দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন কোস্টগার্ড জেটি অফিসার মনিরুজ্জামান ও সঙ্গীয় ফোর্স, চাঁদপুর নৌ থানার এএসআই মো. শামীম ও সঙ্গীয় ফোর্স ও জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. তছলিম বেপারী।
প্রসঙ্গত, জাতীয় সম্পদ ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি ও জাটকা রক্ষায় ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস দেশের পাঁচটি অভয়াশ্রম এলাকায় জাটকাসহ সব ধরণের মাছ আহরণ, বেচা-কেনা, মওজুদ ও পরিবহন নিষিদ্ধ। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড বা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।
আরও পড়ুন: মেঘনায় মাছ শিকারে দায়ে ১৩ জেলে আটক