���������������������������
বান্দরবানে যৌথ অভিযানে কেএনএফের ৫৩ সদস্য আটক
বান্দরবানে সেনাবাহিনী ও পুলিশের পৃথক দুটি অভিযানে কেএনএফের ৫৩ সদস্যকে আটক করা হয়েছে।
রুমা উপজেলার সেনাবাহিনীর জোনের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কে. এম আরাফাত আমীন জানান, সোমবার রাত ৮টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়েছে।
তিনি জানান, এর মধ্যে ১৮ জন নারী। এছাড়া রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকের সহকারী ক্যাশিয়ারকেও আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় বাসের ধাক্কায় অটোরিকশা চালক নিহত
এ যৌথ অভিযানে সাতটি আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও কেএনএফের ব্যবহৃত সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে রুমা উপজেলার ব্যাথেল পাড়াসহ ওই এলাকার বেশ কয়েকটি পাড়ায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে অস্ত্র, গোলাবারুদসহ সরঞ্জামগুলো উদ্ধার করে।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল কে. এম আরাফাত আমীন জানান, রবিবার রাতে পুলিশ থানচি ও জেলা সদরের রেইচা ক্যাম্প থেকে তিনজন কেএনএফ সদস্য ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত গাড়ির চালককে আটক করেছে। আটকদের মধ্যে সোনালী ব্যাংকের সহকারী ক্যাশিয়ারের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম লালচিয়াম বম।
বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমী জানান, রুমা থেকে ৪৯ জন, বান্দরবন থেকে তিনজন ও থানচি থেকে একজন কেএনএফ সদস্যকে আটক করে বান্দরবান জেলা সদরে নিয়ে আসা হয়েছে।
পুলিশি অভিযানে আটকরা হলেন- ভানন্নূন ময় বম, জেমেনিউ বম ও আমে লানচেও বম। এদের বাড়ি রুমা উপজেলার সিমত্লাংপি পাড়ায়। গ্রেপ্তার গাড়ির চালক মো. কফিল উদ্দিন সাগর। তার বাড়ি থানচিতে।
রবিবার রাত থেকে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর কম্বিং অপারেশন শুরু হয়েছে বান্দরবানে। জেলার রুমা রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় এই অভিযান চলছে। অভিযানে ঢাকা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে ৪টি এপিসি।
এছাড়া নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। উপজেলাগুলোতে এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বন্ধ রয়েছে সব ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম।
একই সঙ্গে রুমা উপজেলায় যান চলাচলও বন্ধ রয়েছে। সন্ধ্যার পর বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বাজারগুলো। সেখানকার লোকজন এখন আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।
হাসপাতালগুলোকে রোগী এবং আহতদের সেবায় প্রস্তুত রাখার নির্দশনা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন।
আরও পড়ুন: এমপির নামে নকল সিল, ইউপি সদস্যসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
সিলেটে ১২৫ টিকিট জব্দসহ কালোবাজারি চক্রের ৭ সদস্য গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে ৫ দিন ধরে ব্যবসায়ী নিখোঁজ, থানায় অপহরণ মামলা
বোয়াখালী উপজেলা থেকে চট্টগ্রাম শহরে মালামাল কিনতে এসে নিখোঁজ হয়েছেন মো. আহসান হাবিব সাগর (৩১) নামের এক ব্যবসায়ী। গত ৫দিন ধরে তার কোন খোঁজ মিলছে না।
এ ঘটনায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে অপহরণ ও চাঁদাবাজির অভিযোগে সিএমপির চাঁন্দগাও থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
পুলিশ ও পরিবারের ধারণা মহানগরীর চান্দগাঁও থানা এলাকা থেকে ৩ এপ্রিল থেকে নিখোঁজ হন ব্যবসায়ী সাগর।
তিনি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী থানাধীর মধ্যম শাকপুরা ইয়াছিন তালুকদার পাড়ার মৃত ডা. হাবিবুর রহমানের ছেলে।
শাকপুরা চৌমুহনী বাজারে তার থাই এ্যালুমিনিয়ামের দোকান রয়েছে।
সাগরের পরিবারের দাবি, ৩ এপ্রিল বেলা ১১টায় নগরীর কাপ্তাই রাস্তার মাথায় এলাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হন সাগর। এরপর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। তার মোবাইলও বন্ধ রয়েছে।
এ বিষয়ে নিখোঁজ সাগরের স্ত্রী রুমি আকতার চান্দগাঁও থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে অপহরণ ও চাঁদাবাজির মামলা করেন।
পাশাপাশি ৫ এপ্রিল চট্টগ্রাম র্যাব-৭ কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগও দেন।
আরও পড়ুন: মেঘনায় ট্রলার ডুবে নিহত ১, পুলিশ সদস্যসহ ৮ জন নিখোঁজ
স্ত্রী রুমি আকতার বলেন, রবিবার রাত (৭ এপ্রিল) অবধি আমার স্বামী সাগরের কোনো খোঁজ পায়নি। আমরা সমস্ত আত্মীয় স্বজন ও সম্ভাব্য স্থানে খোঁজ নিয়েছি। কোথাও তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। এ নিয়ে পরিবারের সবাই উৎকণ্ঠায় রয়েছে। সাগর ৩ এপ্রিল বেলা ১১টার দিকে ঘর থেকে বের হয়েছিলেন কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকার একটি দোকান থেকে মালামাল আনার জন্য। তিনি ওই দোকানে গিয়েছিলেন। তবে মালামাল কেনেননি।
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির বলেন, নিখোঁজ সাগরের ব্যবহৃত মোবাইলটি বন্ধ রয়েছে। যে কারণে তার অবস্থান শনাক্ত করতে একটু সময় লাগছে। যেহেতু নিখোঁজ হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা পার হয়ে গেছে। সে কারণে কিডন্যাপ এবং চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা নেওয়া হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা কাজ করছি। আশা করছি, শিগগির তাকে পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: রূপসা রেলসেতুর পিলারে ধাক্কা লেগে কার্গো জাহাজ ডুবে নিখোঁজ ২
চট্টগ্রামে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ ২ জনের মৃত্যু
চট্টগ্রামের পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় এক শিশুসহ ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ছয়জন।
রবিবার (৭ এপ্রিল) ফটিকছড়ি ভূজপুর কাজিরহাট ও হাটহাজারীর মির্জাপুর ইউনিয়নের কুমারীকুল রাস্তার মাথায় এলাকায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, মো. শাকিল (২০) ও শোরনীল মহাজন (১)।
আহতরা হলেন- শিশু রাইসা মনি (৬), ওয়াজিয়া (১৫) ও মো. ইউসুফ (৩৬), শাশ্বত ঋত্বিক মহাজন (৩৪), ঋদ্ধি দাস (১৪) ও মনীষা দাস (২৪)।
নিহত শিশু শোরনীল পুলিশ সদস্য শাশ্বত ঋত্বিক মহাজনের সন্তান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার দুপুর ১২টার দিকে বন্ধুর ইফতারের দাওয়াতে যাওয়ার সময় শাকিল কাজিরহাটে সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত হন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আরেফিন আজিম বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় চারজন রোগী আসে। একজন মারা গেছে।
তিনি আরও বলেন, মৃতের লাশ ভূজপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আহত তিনজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ভূজপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, লাশ আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
অন্যদিকে, হাটহাজারীতে সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দিলে চার যাত্রী গুরুতর আহত হয়। আহতদের হাসপাতালে নেওয়ার পর শোরনীল মহাজন নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়। একই ঘটনায় চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
নাজিরহাট হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনিস বলেন, খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িটি উদ্ধার করা হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় একটি শিশু নিহত হয়েছে আর বাকিরা সবাই চিকিৎসাধীন।
চট্টগ্রামে ১৭০ টাকার ব্রয়লার মুরগি ২৭০ টাকা
রমাজানের শেষ দিকে ঈদের আগ মুহূর্তে চট্টগ্রামে হঠাৎ করে অস্বাভবিক ভাবে বেড়ে গেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। তাই মুরগি কিনতে ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ।
নগরীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রমাজান মাস জুড়ে ১৭০ টাকায় কেজিতে বিক্রি হওয়া মুরগি এখন বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৭০ টাকায়।
চট্টগ্রাম চকবাজার এলাকায় মুরগি ক্রেতা আব্দুল জব্বার বলেন, মুরগির দাম নিয়ে এমন ‘লাফালাফি-বাড়াবাড়ি’ চলছে বছরখানেক ধরে। নানা উৎসব-পার্বণ ঘিরে তা ছাড়িয়ে যাচ্ছে মাত্রাতিরিক্ত। এবার পবিত্র শবে কদর, ঈদুল ফিতর ঘিরে আরও অস্থির বাজার।
আরও পড়ুন: সিলেটে ঈদের আগে বেড়েছে মুরগির দাম
নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী আলমগীর বলেন, দামের বাড়াবাড়িতে আমাদের কিছুই করার নেই। বাড়তি চাহিদা থাকায় সাপ্লায়াররা বাড়তি দাম নিচ্ছেন, আমরা সে হিসেবে কেজি প্রতি বিক্রি করছি। চাহিদা বাড়লেই সাপ্লায়াররা দাম বাড়ায়, আমাদেরও বাড়াতে হয়।
আরেক ব্যবসায়ী বলেন, একদিকে বাজারে কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। অন্যদিকে মুরগির খাবার ও ওষুধের দাম অনেক। সব মিলিয়ে উৎপাদন খরচের প্রভাব পড়েছে বাজারে। আর এসবে ভুগছেন ক্রেতারাই।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দুই কেজির বেশি ওজনের ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ২৪৫ থেকে ২৫০ টাকায়, দেড় কেজি ওজনের মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ২০৫ থেকে ২১০ টাকায়।
এছাড়া লেয়ার ও সোনালি জাতের মুরগির কেজি স্থানভেদে ৩১০ থেকে ৩৩০ টাকা, দেশি মুরগি ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
ঈদকে সামনে রেখে মুরগির দাম আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন কাজীর দেউড়ি বাজারের মুরগি বিক্রেতা মোহাম্মদ সাত্তার।
তিনি বলেন, ঈদকে ঘিরে মুরগির চাহিদা বেড়ে যাবে। তাই অর্ডার নিতে চাইলেও সাপ্লাইররা চাহিদা মোতাবেক দিতে পারবে না বলছে। যার কারণে দাম বাড়তি থাকার আশংকা আছে। সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি বাজারেই কেজিপ্রতি ৪০ থকে ৬০ টাকা বেড়েছে।
রিয়াজউদ্দিন বাজারের ক্রেতা হাজী আব্দুল হামিদ বলেন, প্রতি বছরই শবে কদর এলে মাংসের দাম বাড়িয়ে দেয় দোকানিরা। গত এক মাস ধরে মুরগির দাম ২০০ টাকার নিচে নামছেই না। ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, ঈদে আরও বাড়বে। তাই একটু আগেভাগে কিনে রাখছি।
রমজানজুড়ে গরিব-মধ্যবিত্তদের আমিষের অবলম্বন ছিল মুরগির মাংস।
তবে শবে কদর ও ঈদকে ঘিরে সপ্তাহ ব্যবধানে মুরগির দাম বেড়ে যাওয়ায় তা এখন অনেক পরিবারের জন্য ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।
ক্রেতা-ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণকারী জাতীয় প্রতিষ্ঠান কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন বলেন, এ বছর রমজান মাস এবং ঈদ উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকারের কোনো তৎপরতা ছিল না বাজারগুলোতে। ফলে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ইচ্ছামতো জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে চলছে।
১৭০/১৮০ টাকার মুরগি হঠাৎ করে ২৭০ টাকায় বিক্রি করার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এ মুহূর্তে নতুন করে বাচ্চার দাম বা খাদের দাম বাড়েনি। তাহলে কোন যুক্তিতে মুরগির দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়বে?
তিনি বলেন, প্রশাসনের সঠিক তদারকির অভাবে সাধারণ ক্রেতাদের এই ভোগান্তি এবং সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা জনগণের পকেট কাটছে।
আরও পড়ুন: মাংস-মুরগি-ডিমের দাম বাড়লেও কমেছে সবজি-পেঁয়াজের দাম
মুরগির ঘরের মাটি খুঁড়তেই মিলল স্কুল ছাত্রের লাশ
ফেনীতে ট্রেন দুর্ঘটনা: দুই গেটম্যান বরখাস্ত
ফেনীর মুহুরীগঞ্জে বালুবোঝাই ট্রাকে ট্রেনের ধাক্কায় ছয়জন নিহতের ঘটনায় দুই গেটম্যানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
রবিবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী (পথ) রিটন চাকমা।
বরখাস্ত দুইজন হলেন- মো. সাইফুল ও মো. রাশেদ খান। তাদের বিরুদ্ধে দাপ্তরিক তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম কারাগারে কয়েদির আত্মহত্যা, ৩ কারারক্ষী বরখাস্ত
এদিকে দুর্ঘটনার কারণ জানতে রেলওয়ের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) আনিসুর রহমানকে আহ্বায়ক করে ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির সদস্যরা হলেন- রেলওয়ের চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আবদুল হানিফ, বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (লোকো) সাজিদ হাসান নির্জর, রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর কমানডেন্ট রেজানুর রহমান, রেলওয়ের বিভাগীয় মেডিকেল অফিসার আনোয়ার হোসেন এবং বিভাগীয় টেলিযোগাযোগ ও সংকেত প্রকৌশলী জাহেদ আরেফিন তন্ময়।
এ ব্যাপারে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম বলেন, কী কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে তদন্ত সাপেক্ষে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। দুর্ঘটনার সময় সিগন্যাল বারটি ফেলা হয়নি বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি।
এর আগে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ফেনীর মুহুরীগঞ্জ ব্রিজ সংলগ্ন ক্রসিং এ চট্টগ্রামগামী একটি মেইল ট্রেন বালুবাহী ট্রাককে ধাক্কা দেয়। এ ঘটনায় ছয়জন নিহত হয়। এরমধ্যে ট্রেনের ইঞ্জিনের সামনে থাকা তিনযাত্রী যুবক, ট্রাক চালক, সহকারী ও চালকের ছেলে মারা যান।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় হাতকড়াসহ ২ আসামির পলায়ন, ৪ পুলিশ বরখাস্ত
যৌন নিপীড়নের অভিযোগে জবি শিক্ষক শাহেদ ইমনকে বরখাস্ত ও চেয়ারম্যান জুনায়েদ হালিমকে অব্যাহতি
বান্দরবানে কেএনএফের প্রধান সমন্বয়ক গ্রেপ্তার
কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) প্রধান সমন্বয়ক চেওসিম বমকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।রবিবার বান্দরবান সদর উপজেলার সুলকের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বান্দরবান জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক কর্নেল সাজ্জাদ এ তথ্য জানান।
র্যাব জানায়, এই অভিযান কেএনএফের কার্যক্রম মোকাবিলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কেএনএফ প্রধান নাথান বমের সঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের নাম করে সংগঠনটি গড়ে তুলেছিলেন রোয়াল লিন বম ও চেওসিম বম।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে সন্দেহভাজন ৫ কেএনএফ সদস্য গ্রেপ্তার, ২টি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ
এর আগে অস্ত্রসহ দুই সন্দেহভাজন কেএনএফ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদের বিবৃতিতে জানানো হয়।
শনিবার রুমা ও থানচি উপজেলায় শতাধিক সদস্য অভিযান চালায়। বান্দরবানে সন্ত্রাসবিরোধী বৃহত্তর উদ্যোগের অংশ হিসেবে র্যাব এই অভিযান চালায়।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক খন্দকার আল মঈন এই অভিযান শুরুর বিষয়ে গণমাধ্যমকে জানান। সংবাদ সম্মেলনে সোনালী ব্যাংকের রুমা শাখার অপহৃত ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে সফলভাবে উদ্ধারের পর থানচি উপজেলায় সম্প্রতি ব্যাংক ডাকাতিসহ কেএনএফ এর অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের ভয়াবহতা তুলে ধরা হয়।
এসব ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলাগুলোতে উত্তেজনাকর পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, নিরাপত্তা বাহিনী ও প্রশাসনের প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসব কর্মকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে রুমা ও থানচি থানায় আটটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের অঙ্গীকার সেনাপ্রধানের
গীতিকার, সুরকার সৈয়দ মহিউদ্দিন আর নেই
চট্টগ্রামের প্রখ্যাত গীতিকার, সুরকার সৈয়দ মহিউদ্দিন (মহি আল ভাণ্ডারী) আর নেই।
রবিবার (৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।
তার নামাজের জানাজা বাদ জোহর নগরীর কাতালগঞ্জ মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। বেলা ২টায় নেওয়া হয় চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে।
সংগীতশিল্পী ও তার ছাত্র আলাউদ্দিন তাহের জানান, শিল্পকলা একাডেমিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তাকে ফটিকছড়ির সুয়াবিল গ্রামে দাফন করা হবে।
সৈয়দ মহিউদ্দিন চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গানের একজন খ্যাতনামা গীতিকার ও সুরকার ছিলেন। তিনি মহি আল ভান্ডারী নামেও পরিচিত ছিলেন।
২০১৫ সালের ৪ ডিসেম্বর ডিসি হলে এক অনুষ্ঠানে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সেদিন তিনি ক্রেস্ট ও সনদ নিয়ে মঞ্চ ত্যাগ করার সময় পা পিছলে পড়ে গিয়ে বাম হাত ও বাম পা ভেঙে ফেলেন। কাতালগঞ্জে আনিকা কমিউনিটি সেন্টার সংলগ্ন ভাড়া করা একটি সেমিপাকা গৃহে তিনি মানবেতর জীবনযাপন করতেন।
সৈয়দ মহিউদ্দিন ফটিকছড়ির সুয়াবিল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা সৈয়দ আমির হোসেন এবং মা সৈয়দা আনোয়ারা বেগম। গানের মাধ্যমে সমাজ বদলের স্বপ্ন দেখতেন।
তিনি গ্রামে বসবাসকালীন অধ্যক্ষ হেম মজুমদারের কাছে সংগীত চর্চা শুরু করেন। ১৯৬৪ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত কুমিল্লায় ওস্তাদ সুরেন দাশের কাছে তিনি শাস্ত্রীয় সংগীত তালিম নেন। দেশ হানাদারমুক্ত হলে গান রচনা ও সুর চর্চায় মনোনিবেশ করেন। ১৯৮০ এর দশকে বাংলাদেশ বেতার চট্টগ্রাম কেন্দ্রে গীতিকার হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। আধুনিক গান রচনার পাশাপাশি তিনি চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ও মাইজভাণ্ডারী গান রচনায় হাত দেন।
সৈয়দ মহিউদ্দিন ১৯৭৮ সালে দৈনিক আমার বাংলা পত্রিকায় কাজ করার জন্য ঢাকায় চলে যান। তিনি দৈনিক আমার বাংলায় ঢাকায় ১ বছর কাজ করেন। এরপর ঢাকায় দেশের প্রথম সংগীত পত্রিকা মাসিক সংগীতের সঙ্গে জড়িত হন। পত্রিকাটির চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন ৩ বছর।
তার রচিত ও সুরারোপিত জনপ্রিয় ও উল্লেখযোগ্য চাটগাঁইয়া গান-‘মেজ্যান দিয়ে মেজ্যান দিয়ে ঐতারত’, ‘সাম্পান মাঝি সাম্পান বায় আগর মতো পেসিঞ্জার ন পায়’, ‘অউডা ক অছে ভাইপুত ক্যেনে বলে ম্যাট্টিক পাশ গল্লি’, ‘আঁরা এই সংসারত মিলিমিশি আছি দুয়া জাল’, ‘গর্কি তুয়ান বন্যা খরা মহামারি ঘূর্ণিঝড়’, ‘তালাকনামা পাঠাই দিলাম চিঠির ভিতরে’, ‘আইচ কাইল ঢেঁইর ঘরত কম দেখা যায় ধান’, ‘আঁই কারে কইলাম কি তুঁই কি হুনিলা কি’ প্রভৃতি।
চাঁদপুরে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পরিবারের দাবি ‘পরিকল্পিত হত্যা’
চাঁদপুরে মিনারা বেগম (১৮) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের দাবি, মিনারাকে হত্যা করে আত্মহত্যার ঘটনা সাজিয়েছে তার স্বামী।
শনিবার (৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় চরভৈরবী ইউনিয়নের জালিয়ারচর এলাকা থেকে তার লাশটি উদ্ধার করা হয়।
মিনারা বেগম ওই এলাকার লিটন বেপারীর স্ত্রী।
পরিবারের দাবি, মিনারাকে তার স্বামী লিটন পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে আত্মহত্যার ঘটনা সাজিয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে শিশুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, বাবার দাবি হত্যা
মিনারার বড় বোন আসমা আক্তার হেনা জানান, তারা ঢাকার ডেমরা এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা। ৬ মাস আগে লিটন মিনারাকে পালিয়ে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন। এখন মিনারাকে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছেন।
বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইয়াসিন জানান, রবিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চাঁদপুর সদর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: নাটোরে ছাত্রীনিবাস থেকে শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
বান্দরবানে সন্দেহভাজন ৫ কেএনএফ সদস্য গ্রেপ্তার, ২টি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ
বান্দরবানের সদর উপজেলার একটি পাহাড়ি এলাকা থেকে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সন্দেহভাজন ৫ সদস্যকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদস্যরা। এ সময় দুটি আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার করা হয়।
তবে জব্দ আগ্নেয়াস্ত্রগুলো গত ২ এপ্রিল রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের কাছ থেকে লুট হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র কি না তা এখনো জানা যায়নি।
এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানিয়েছে র্যাব।
এর আগে গত শনিবার থেকে বান্দরবানে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে র্যাব। অভিযানে শতাধিক র্যাব সদস্য অংশ নেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে জাল নোট জব্দ, যুবক গ্রেপ্তার
শুক্রবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক খন্দকার আল মঈন এ অভিযানের কথা জানান। শনিবার থেকে বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় এ অভিযান শুরু হয়।
এর আগে কেএনএফ সদস্যদের অপহরণের ৪৮ ঘণ্টা পর গত বৃহস্পতিবার র্যাবের মধ্যস্থতায় সোনালী ব্যাংকের রুমা শাখার অপহৃত ব্যবস্থাপক নিজাম উদ্দিনকে বান্দরবানের বাথেলপাড়া এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।
গত ২ এপ্রিল সোনালী ব্যাংকের রুমা শাখার ভল্ট থেকে দেড় কোটি টাকা লুটের চেষ্টা চালায় বিচ্ছিন্নতাবাদী দলটি। টাকা নিতে না পেরে তারা ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ করে।
এ ছাড়া বুধবার বান্দরবানের থানচি উপজেলায় সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকের শাখায় ডাকাতি করে তারা।
ঘটনার পর উপজেলায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এরই মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নিরাপত্তা বাহিনী ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ পর্যন্ত রুমা ও থানচি থানায় ৮টি মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মোংলায় ১৫ কেজি গাঁজা জব্দ, নারী গ্রেপ্তার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নামাজের মাসআলা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ১৬
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে মসজিদে নামাজের মাসআলা নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ১৬ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার চরচারতলা মোল্লা বাড়ি ও কিছকি বাড়ি গোষ্ঠীর মধ্যে এ সংঘর্ষ ঘটে। পরে বিষয়টি শনিবারে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চরচারতলা উত্তরপাড়া জামে মসজিদে মোল্লা বাড়ির নেতা মাওলানা মহিউদ্দিন মোল্লা ইমামতি করেন। শুক্রবার এশা ও তারাবির নামাজ শেষে কিছকি বাড়ির নেতা ঠিকাদার শফিকুর রহমান ইমাম সাহেবের অনুমতি নিয়ে নামাজের কিছু মাসআলা নিয়ে মুসল্লিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এতে দু’পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে নামাজ শেষে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
আরও পড়ুন: গড়াই নদী থেকে মাটি কাটায় বাধা দেওয়ায় সংঘর্ষ, আহত ৫
মাওলানা মহিউদ্দিন মোল্লা বলেন, তারাবি নামাজ শেষে কিছকি বাড়ির নেতা ঠিকাদার শফিকুর রহমান ২ মিনিট কথা বলতে আমার অনুমতি চাইলে আমি তাকে অনুমতি দেই। তিনি তার বক্তৃতায় এ মসজিদের কোনো মুসল্লিরই নামাজ হয় না এমনটা বললে উপস্থিত সবাই এর প্রতিবাদ করেন। এতে শফিকুল ইসলামের বাড়ির লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে মসজিদসহ আমাদের বাড়ির লোকজনের উপর হামলা করে। এ সময় আমাদের বাড়ির ৫ জন গুরুতর আহত হন।
ঠিকাদার শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমি তারাবি নামাজ শেষে নিয়ম অনুযায়ী অনুমতি নিয়ে নামাজের কিছু গুরত্বপূর্ণ মাসআলার বিষয়ে ইমাম সাহেব ও মুসল্লিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করি। নামাজের প্রয়োজনীয় তাসবিহ পাঠের জন্য রুকু, সিজদা ও দাঁড়ানোতে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া ও কাতার সোজা করার গুরুত্ব নিয়ে এসব বিষয়ে নজর দিতে ইমাম সাহেবকে অনুরোধ করি। এতে ইমাম সাহেব ও তার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে মসজিদের ভেতরেই আমাকে নাজেহাল করেন।’
আরও পড়ুন: অষ্টগ্রামে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, পুলিশসহ আহত ১৫
তিনি আরও বলেন, ‘পরে তারা আমার ও আমার এক ভাইয়ের বিল্ডিংয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন। আমার ব্যবহারের গাড়ি ও দুটি মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করেন। এ সময় আমদের বাড়ির ৮ জন গুরুতর আহত হয়।’
এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহাম্মেদ বলেন, সংঘর্ষ বাধার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ উপস্থিত হয়ে নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় পুলিশ প্রায় ৩৫ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।
তিনি আরও বলেন, অফিসারসহ ৩ জন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন। ঘটনার পর থেকে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে ঘোড়ার লাথিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ১০