%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B2
বরগুনায় পিকনিকের বাস খাদে পড়ে ব্যবসায়ী নিহত, আহত ১৮
বরগুনার আমতলীতে পিকনিকের বাস খাদে পড়ে এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ১৮ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) ভোর ৫টার দিকে পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের ঘটখালী নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যবসায়ী মো. ইসলাম হোসেন (৫২) নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানার সল্পের চর গ্রামের শামসুদ্দিন বেপারীর ছেলে। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
আহতদের আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। জানা গেছে, তাদের সবার বাড়ি নারায়ণগঞ্জের সল্পের চর গ্রামে।
আহতরা বলেন, নারায়ণগঞ্জ বন্দর থেকে পরিবার নিয়ে পিকনিক করতে বুধবার রাতে কুয়াকাটা রওনা দেন। তাদের বহনকারী সেন্টমার্টিন বাসটি আমতলী উপজেলা চাওড়া ইউনিয়নের ঘটখালী নামক স্থানে পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে পিকনিকের বাস উল্টে নিহত ২, আহত ২০
তারা আরও বলেন, এ সময় ওই বাসে ৪৫ জন যাত্রীর মধ্যে ১৮ জন গুরুতর আহত হন। আহতদের চিকিৎসক পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পটুয়াখালী থেকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে ইসলাম হোসেন নামের একজন ব্যবসায়ী নিহত হন।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. ইমরান বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ১৮ জন হাসপাতালে এসেছিলেন। তাদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেছি।’
আমতলী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল বারেক বলেন, ‘আমরা খবর শুনে আমতলী হাসপাতালে যাই এবং যারা গুরুতর আহত তাদেরকে পটুয়াখালী হাসপাতালে প্রেরণ করি এবং ওখানে নিহতের কোনো খবর আমরা পাইনি।’
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাখাওয়াত হোসেন তাপু বলেন, দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি জব্দ করা হয়েছে। যারা গুরুতর আহত ছিল তাদেরকে পটুয়াখালী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে পিকনিকের বাস উল্টে আহত ২০
বিদ্যালয়ের পিকনিক বাস দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ৪০
বরিশালে শিশু ধর্ষণের ঘটনায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
বরিশালে ৯ বছরের শিশুকন্যা ধর্ষণ করে হত্যার দায়ে তিনজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন অপরাধ দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মো. ইয়ারব হোসেন এই আদেশ দেন।
দণ্ডিতরা হলেন- বরিশাল নগরীর উত্তর সাগরদী নবগ্রাম খান সড়কের বাছেদ খান (৪৮), একই সড়কের শাহরিয়ার শাকিল খান (২৭) ও ইমাম হোসেন হাওলাদার (১৭)। দণ্ডিতদের মধ্যে বাছেদ খান নামে একজন পলাতক রয়েছে।
আরও পড়ুন: নাটোরে শিশু ধর্ষণ মামলায় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ট্রাইবুনালের সার্টলিপিকার মো. সাইফুল ইসলাম চৌধুরী জানান, খান সড়কের টুলু পালোয়ানের ৯ বছরের কন্যা তন্বীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আসামি ইমাম হোসেনের বয়স কম হওয়ায় তার বিচার শিশু অপরাধ আইনে সম্পন্ন হয়েছে।
মামলার অভিযোগপত্র সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে তন্বী তার মায়ের সঙ্গে নবগ্রাম সড়কের বাসায় যাচ্ছিল। জিয়া সড়কে তার বাবাকে ডেকে আনার জন্য তন্বীকে রিকশা থেকে নামিয়ে দেন তার মা। এরপর সেদিন তন্বীর আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরদিন সকাল ৭টার দিকে বাড়ির অদূরে খান সড়কের শাকিলের বাসাসংলগ্ন ডোবার মধ্যে তন্বীর লাশ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় তন্বীর বাবা অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত চলাকালে শাকিল খান ও ইমাম হোসেনকে সন্দেহজনক গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা তন্বীকে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তীমূলক জবানবন্দী দেন এবং ঘটনার সঙ্গে পলাতক বাছেদ খানও জড়িত বলে জানান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি মডেল থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক মো. মশিউর রহমান ২০১৭ সালের ২২ জুন আদালতে অভিযোগপত্র দেন। সাক্ষ্য-প্রমাণে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রত্যেককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে শিশু ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
বরিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় নারী চিকিৎসক নিহত
বরিশালের গৌরনদীতে প্রাইভেটকার দুর্ঘটনায় এক নারী চিকিৎসক নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন প্রাইভেটকারের চালক।
বুধবার (৯ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার কটকস্থল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ইন্টার্ন চিকিৎসক ইকরা বিনতে হাফিজ (২৮) এবং আহত চালকের নাম নাহিদ।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ট্রাকচাপায় নির্মাণশ্রমিক নিহত
গৌরনদী হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তমাল সরকার বলেন, ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশে যাচ্ছিল প্রাইভেট কার (ঢাকা মেট্রো গ ১০৬৫৪৯)। গৌরনদীর কটকস্থল এলাকায় এসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশের গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়।
তিনি আরও বলেন, এতে প্রাইভেটকারে থাকা চালক নাহিদ ও যাত্রী চিকিৎসক আহত হয়েছেন। পরে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চিকিৎসকের মৃত্যু হয়।
পুলিশ জানায়, নিহত ইকরা বিনতে হাফিজ উত্তরা উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক। তার স্বামীর নাম মাহী বলে জানিয়েছেন গৌরনদী মহাসড়ক থানার এসআই তমাল সরকার। আহত চালক নাহিদ গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় মালবাহী ট্রাকচাপায় নিহত ১
দিনাজপুরে ট্রাকচাপায় বাইসাইকেল চালক নিহত
বরগুনায় নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে
বর্ষা ও পূর্ণিমার জোয়ারের প্রভাবে বরগুনার গুরুত্বপূর্ণ নদ-নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় জেলার নিম্নাঞ্চলের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ার শঙ্কায় রয়েছে। নদীর পানি বাড়ায় বাঁধ ভাঙার শঙ্কায় কাটছে তাদের দিন।
তা ছাড়া পানি বিপৎসীমার নিচে নেমে গেলে এইসব এলাকায় নদী ভাঙন দেখা দেবে বলে বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) আশঙ্কা প্রকাশ করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো), বরগুনা।
বরগুনার মাঝের চর এলাকার বাসিন্দা আলি আকবর বলেন, ‘আমাদের জমাজমি নেই। তাই নদীর চরে বাড়ি করেছি। ভাবছিলাম এবার বন্যা হবে না, কিন্তু পানি যেভাবে বাড়ছে তাতে বোরো আবাদ মনে হয় বন্যায় খেয়ে যাবে। রাতে ঘুম হয় না, খুব দুশ্চিন্তায় আছি।’
আরও পড়ুন: তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত
১ নম্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান রাজা বলেন, ‘মাঝের চরের বরগুনা অংশের কিছু এলাকার বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। খুব শিগগিরই এই মৌসুমে এডিপির অর্থ দিয়ে বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হবে।’
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক মো. মাহাতাব হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) গৌরীচন্না ইউনিয়নের দক্ষিণে অবস্থিত খাকদন নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, বেতাগীর বিশখালী নদীর পানি ৩১ সেন্টিমিটার, বরগুনার আমতলীর বুড়েশ্বর/পায়রা নদীর পানি ১৭ সেন্টিমিটার, বরগুনার বিশখালী নদীর পানি ৪৩ সেন্টিমিটার এবং পাথরঘাটার বিশখালী নদীর পানি বিপৎসীমার সর্বোচ্চ ৫৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে দুধকুমার নদের পানি বিপৎসীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপরে
কাজিপুরে বিপৎসীমার ৫৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে যমুনার পানি
বরিশালে অস্ত্রোপচার করে সুঁই বের করার সময় শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ
বরিশাল নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ৬ মাস বয়সী শিশুর অস্ত্রোপচার করে সুঁই বের করার সময় তার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) বিকালে নগরীর বান্দ রোডের রাহাত আনোয়ার হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশু তানজিম পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার ডাউকা গ্রামের ফিরোজ খানের ছেলে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
শিশুর মামা রাকিব জানান, তানজিমের নিতম্বে ছোট একটি সুঁই ঢোকে। গলাচিপা উপজেলায় এক্সরে করে বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে পটুয়াখালীতে আসি।
তিনি জানান, সেখানকার চিকিৎসক বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক তৌহিদুল ইসলামের কাছে গিয়ে অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন।
রাকিব আরও জানান, গলাচিপা থেকে সোমবার তারা প্রথমে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) আসেন। সেখানে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি হওয়ায় চিকিৎসক তৌহিদুল ইসলামের পরামর্শে তারা নগরীর আগরপুর রোডের মিড টাউন হাসপাতালে ভর্তি করান।
ডা. তৌহিদুল ইসলাম তাদের জানান, মিডটাউনে অস্ত্রোপচারের ভালো ব্যবস্থা নেই। রাহাত আনোয়ার হাসপাতালে সব ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে জানিয়ে সেখানে পাঠান তিনি।
তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার সকালে অপারেশন করতে রাহাত আনোয়ার হাসপাতালে এসে ভর্তি করা হয় তানজিমকে।
তানজিমের বাবা ফিরোজ খান বলেন, ডা. তৌহিদুল ইসলাম নিজে বলেছেন যে শিশুটির নিতম্বে একটি সুঁই ঢুকেছে। এটা মেশিনে অপারেশন হবে। এটা কোনো বিষয়ই নয়। ২০ হাজার টাকা জমা দেন।
ঘটনাস্থলে এসে পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার ফজলুল করিম বলেন, আমরা ৯৯৯-এ সংবাদ পেয়ে এখানে ছুটে এসেছি। তানজিমের অপারেশন হয়েছিল। বাবা-মার সঙ্গে কথা বলেছি।
তিনি বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হবে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শিশুর অস্ত্রোপচার করেছেন ডা. তৌহিদুল ইসলাম। তাকে অজ্ঞান করেছেন ডা. মনিরুল ইসলাম।
শিশুকে অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়া চিকিৎসক মনিরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত, হৃদয়বিদারক। ৬ মাস বয়সী একটি শিশুকে অজ্ঞান করা ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু শিশুটির জরুরি অস্ত্রোপচারও প্রয়োজন। তাই ঝুঁকি নিতে হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এজন্য আমার ১৬ বছরের চিকিৎসা পেশায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। কিন্তু অস্ত্রোপচারের শেষ মুহূর্তে এসে শিশুর হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায়। আমরা হৃৎস্পন্দন ফিরিয়ে আনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। কিন্তু পারিনি। এখানে আমাদের চেষ্টার কোনো ঘাটতি ছিল না।
ডা. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, অপারেশন সাকসেসফুল হয়েছিল। অ্যানেস্থেসিয়ায় প্রবলেম হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লার বিজয়পুরে ট্রেনে কাটা পড়ে নারী ও শিশুর মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গায় মাছভর্তি বালতির পানিতে ডুবে প্রাণ গেল শিশুর
ভোলায় একদিনে পানিতে ডুবে ৩ শিশুর মৃত্যু
ভোলার লালমোহনে একদিনে পানিতে ডুবে তিন শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (০১ আগস্ট) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছে আরও এক পানিতে পড়া শিশু।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্যমতে, সকালের দিকে উপজেলার ধলী গৌরনগর ইউনিয়নের চতলা এলাকায় মোসা. হুজাইফা নামে আড়াই বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়। সে ওই এলাকার মাওলানা মো. রাকিবের মেয়ে।
এছাড়া, চরভূতা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে মো. জুনায়েদ নামে আট বছরের আরেক শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। সে ওই এলাকার মো. জাকিরের ছেলে।
সবশেষ, দুপুরের দিকে লালমোহন পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নয়ানীগ্রাম এলাকায় পানিতে ডুবে মোসা. নুসরাত নামে ৬ বছরের আরও এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
অন্যদিকে, একই দিন সকালে পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে নানা বাড়িতে বেড়াতে এসে পানিতে পড়ার পর রুহা নামে আড়াই বছরের এক শিশুকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন।
এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. হামিদা আকতার বলেন, মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত হাসপাতালে পানিতে পড়া ৪ জন শিশুকে আনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এদের মধ্যে ৩ জনকেই মৃত অবস্থায় আনা হয়। বাকি একজনের অবস্থা কিছুটা খারাপ হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে খালের পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
লালমনিরহাটে পানিতে ডুবে প্রাণ গেলো ৩ জনের
নিম্নচাপে ভোলায় ৫ ট্রলারডুবি, ৬ জেলে নিখোঁজ
নিম্নচাপের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর মোহনায় প্রবল ঝড় ও ঢেউয়ের কবলে পড়ে ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা মনপুরার ৫৮ জেলেসহ ৫টি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে।
এতে অর্ধশতাধিক জেলের মধ্যে ৫২ জেলে উদ্ধার হলেও ৬ জেলে নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে নোয়াখালীর হাতিয়ার উড়িরচরের পূর্বপাশে সাগর মোহনায় ও সাঙ্গু গ্যাসফিল্ড সংলগ্ন সাগর মোহনায় এই ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে।
ডুবে যাওয়া ট্রলারগুলো হলো- উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের মৎস্য আড়তদার মাইনুদ্দিনের ট্রলার এফবি মায়ের দোয়া, মনপুরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন হাওলাদারের মৎস্য আড়তের লতিফ মাঝির ট্রলার, দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের পঁচাকোড়ালিয়া ঘাটের ইউনুচ বলির ট্রলার, সূর্যমুখী ঘাটের জান্টু মাঝির ট্রলার, উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের মাষ্টারহাট খালের জামাল মাঝির ট্রলার।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে তিস্তায় নৌকাডুবি, ৩ কৃষক নিখোঁজ
বরিশালে খালে ডুবে শিশুসহ ২ জনের মৃত্যু
বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলায় খালের পানিতে ডুবে শিশু ও তার খালুর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৩১ জুলাই) বিকালে দুই জনের লাশ খাল থেকে উদ্ধার করা হয়।
মৃত শিশু কন্যা ফাতেমা (৪) উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের মহিষাপোতা গ্রামের আলাউদ্দীনের কন্যা। তার খালু কাইয়ুম ফকির (৩৫) উপজেলার সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের মালিকান্দা গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে খালের পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
স্থানীয়রা জানান, নানা বাড়িতে বেড়াতে আসা শিশু ফাতেমাকে নিয়ে উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের খালে দুপুর ২টার দিকে গোসল করতে যায় খালু কাইয়ুম ফকির।
গোসল শেষে তারা বাড়িতে না আসায় স্বজনরা খুঁজতে বের হয়। খাল পাড়ে এসে ট্রলারে দুই জনের জামা-কাপড় দেখতে পায় স্বজনরা। কিন্তু কাইয়ুম ও ফাতেমার কোনো সন্ধান না পেয়ে খালে তল্লাশি করে।
বিকাল ৫টার দিকে ট্রলার থেকে একশ গজ দূরে দুই জনকে ডুবন্ত অবস্থায় পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখানে নেওয়ার পর চিকিৎসক দুইজনকেই মৃত ঘোষণা করেছেন।
বানারীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাকসুদ আলম চৌধুরী বলেন, পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে লাশ বিনা ময়নাতদন্তে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শিশুটি খালে পড়ে ডুবে গেলে তাকে উঠাতে গিয়ে কাইয়ুম হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনিও মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: ফরিদগঞ্জে পুকুরে ডুবে ২ বোনের মৃত্যু
লালমনিরহাটে পানিতে ডুবে প্রাণ গেলো ৩ জনের
পাসপোর্ট করতে এসে রোহিঙ্গা যুবকসহ আটক ৩
বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে পাসপোর্ট করতে এসে এক রোহিঙ্গা যুবক আটক হয়েছেন। এ কাজে সহায়তা করার অভিযোগে আরও দুই বাংলাদেশিকে আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৩১ জুলাই) দুপুরে বরিশাল বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিস থেকে তাদের আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: টাঙ্গুয়ার হাওরে বেড়াতে গিয়ে বুয়েটের ৩৪ শিক্ষার্থী আটক
আটক রোহিঙ্গা হলো- মো. ইসমাইল (১৮)। তিনি উখিয়া থানার বালুখালী এলাকার মো. ইলিয়াসের ছেলে।
তাকে সহায়তা করার অভিযোগে আটকরা হলো- বরিশালের কাজীরহাট থানার চরসোনাপুর এলাকার হাসেম ফকিরের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৩৭) ও পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার চান্দুয়া গ্রামের আব্দুল্লাহ হাওলাদারের ছেলে হোসাইন (২৬)।
বরিশাল বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের উপপরিচালক আবু নোমান মো. জাকির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সোমবার দুপুরে তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বরিশালের কাজিরহাট থানার শ্যামের হাট কসবা এলাকার ঠিকানা ব্যবহার করে বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরি করেছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, সেখানে নিজের নাম মো. রাফি ও বাবা ছাদের আলী বেপারী উল্লেখ করেছে।
বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, এক রোহিঙ্গা আটক রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ১২ কেজি গাঁজাসহ ২ মাদক কারবারি আটক
বেনাপোলে ১৮ স্বর্ণের বারসহ আটক ২
বরিশালে কাঁচা মরিচ বিক্রি নিয়ে দ্বন্দ্ব, ছুরিকাঘাতে নিহত ১
বরিশাল নগরীতে কাঁচা মরিচ বিক্রি নিয়ে দ্বন্দ্বে ছুরিকাঘাতে এক সবজি বিক্রেতা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৫ জন। শনিবার (২৯ জুলাই) সকালে নগরীর কাশিপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. কামাল হোসেন (৩৮) নগরীর ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন সৈয়দপুর এলাকার এসকান্দার সর্দারের ছেলে।
আহতরা হলেন- কাশিপুর এলাকার তিনু মাঝির ছেলে মো. আলমগীর হোসেন, তার ভাই মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও অপর ভাই মো. জয়নাল আবেদীন এবং একই এলাকার প্রয়াত মো. ইয়াকুব আলীর ছেলে মো. আব্দুল মালেক।
আরও পড়ুন: ধানমন্ডিতে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে কলেজশিক্ষার্থী নিহত
এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (তদন্ত) মো. লোকমান হোসেন জানান, এ ঘটনায় ছুরিকাঘাতকারী মরিচ বিক্রেতা, সাবেক সেনা সদস্য মো. সোহেল রানাকে আটক করেছে পুলিশ।
তিনি নগরীর কাশিপুর ইছাকাঠি এলাকার সোনাবুদ্দিনের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. শহিদ জানান, কাশিপুর বাজারে দোকানিরা ৩০০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি করছিলেন। এ সময় সোহেল রানা ভ্যান নিয়ে সেখানে গিয়ে মাইকিং করে ১২০ টাকা কেজি দরে মরিচ বিক্রি শুরু করেন। তখন কামালসহ কয়েকজন দোকানি সোহেল রানাকে এ দামে মরিচ বিক্রি করতে নিষেধ করেন। কিন্তু রানা ১২০ টাকা কেজি দরেই তার মরিচ বিক্রি চালিয়ে যান। এতে কামালসহ বাজারের কয়েকজন কাঁচা মরিচ বিক্রেতা রানাকে মারধর করেন।
এক পর্যায়ে সোহেল রানা তার কাছে থাকা সবজির বস্তা কাটার ছুরি নিয়ে হামলাকারীদের উপর চড়াও হন। এতে চারজন জখম হন। তাদের হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক কামালকে মৃত ঘোষণা করেন।
নগরীর এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) লোকমান হোসেন বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ছুরিকাঘাতে স্ত্রীকে খুন, স্বামী গ্রেপ্তার
যাত্রাবাড়ীতে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত