%E0%A6%AC%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A6%BE%E0%A6%B2
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতাদের কক্ষ থেকে ২ শতাধিক দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শেরে বাংলা হলের তিনটি কক্ষ থেকে বিপুল সংখ্যক দেশীয় অস্ত্র দুই শতাধিক জিআই পাইপ, ১৩টি রড, দু’টি দা উদ্ধার করেছে হল কর্তৃপক্ষ। শনিবার (৩ জুন) বিকালে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে এসব অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
শনিবার বিকালে হলটির ২০০৬, ৩০০৫ এবং ৫০০৯ নম্বর কক্ষ থেকে এসব অস্ত্র উদ্ধার করেন প্রভোস্ট আবু জাফর মিয়া। বিষয়টি তিনি ওই দিন রাত ১০টার দিকে নিশ্চিত করেছেন। এদিকে এই ঘটনার পর সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস বিরোধী মিছিল করেছে।
আরও পড়ুন: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলছে ৪ অক্টোবর
হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা গেছে, কক্ষগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা তাহমিদ জামান নাভিদ এবং একই বর্ষের ইংরেজি বিভাগের তানজিম মঞ্জুসহ তাদের অনুসারীরা অবস্থান করে থাকেন। অভিযানকালে কক্ষগুলো থেকে এসব দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রুম্মান ইসলাম জানান, হলের কয়েকজন শিক্ষার্থী নাভিদ, মঞ্জু এবং আরও কয়েকজনকে শুক্রবার গভীর রাতে হলে অস্ত্র ঢুকাতে দেখে। পরে শনিবার দুপুরে শিক্ষার্থীরা স্বপ্রণোদিত হয়ে ২০০৬ নম্বর কক্ষে তালা লাগিয়ে প্রভোস্টকে খবর দেয়।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি টের পেয়ে কক্ষটিতে অবস্থান করা শিক্ষার্থীরা জানালা দিয়ে দুইটি দা নিচে ফেলে দেয়। পরে প্রভোস্ট এসে তালা খুলে এই কক্ষ থেকে দুই বস্তাবন্দী ২৫টি জিআই পাইপ উদ্ধার করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরও তিনজন আবাসিক শিক্ষার্থী জানান, ২০০৬ নম্বর কক্ষে অভিযান পরিচালনা করার পর ৩০০৫ এবং ৫০০৯ নম্বর কক্ষে অভিযান চালানো হয়। সেই কক্ষ দুইটি থেকে দেড় শতাধিক জিআই পাইপ, বেশকিছু রড উদ্ধার করা হয়। এসব কক্ষগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা নাভিদ এবং মঞ্জু নিয়ন্ত্রণ করতো।
আরও পড়ুন: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ঢুকে ঘুমন্ত দুই ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম
সন্ধ্যায় মিছিলে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী ইরাজ রব্বানী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে অভিযান পরিচালনা করার জন্য দীর্ঘদিন যাবৎ কর্তৃপক্ষকে বলা হচ্ছে। কিন্তু তারা নানাভাবে গড়িমসি করেছে। আমরা চাই বিশ্বিবদ্যালয়ের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম গতিশীল রাখতে এবং সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিক।
এ ব্যাপারে হল প্রভোস্ট আবু জাফর মিয়া বলেন, বিকালে একটি কক্ষ তালা দেবার খবর পেয়ে দ্রুত আমি হলে যাই এবং শিক্ষার্থীদের সামনে ২০০৬ নম্বর কক্ষে প্রবেশ করি। সেখান থেকে ২৫ টি জিআই পাইপ উদ্ধার করা হয়েছে। কক্ষটিতে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের তানজিদ মনজু, তাহমিদ জামান নাভিদ থাকে৷
তিনি আরও বলেন, এরপর আরও দুটি কক্ষে অভিযান চালিয়ে কিছু রড, দা ও জিআই পাইপ পাওয়া গেছে। দাগুলো আগে আনা ছিল হয়তো।
এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া এ ঘটনার পর কক্ষগুলো সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মারামারি
ভোলায় ১৫ কেজি হরিণের মাংস জব্দ, গ্রেপ্তার ১
ভোলার মনপুরায় ১৫ কেজি হরিণের মাংস জব্দ করা হয়েছে। এসময় এক শিকারিকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৯ মে) গভীর মধ্যরাত সাড়ে ৩ টার দিকে মনপুরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের উত্তর পাশের পাকা সড়কের ওপর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মো. কালু (২৮) উপজেলার মনপুরা ইউনিয়নের ঈশ্বরগঞ্জ গ্রামের ৮ নং ওয়ার্ডের বাসিদা গদু সর্দারের ছেলে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে হরিণের মাংস ও মাথাসহ শিকারি আটক
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার মধ্যরাত সাড় ৩ টায় উপজেলা সদর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের উত্তর পাশে সড়কে অভিযান চালিয়ে তারা ১৫ কেজি হরিণের মাংসসহ কালুকে গ্রেপ্তার করে।
এসময় চক্রের অপর পাঁচ সদস্য পালিয়ে যায়। পরে পুলিশের জেরার মুখে গ্রেপ্তার কালু চক্রের অপর পাঁচ সদস্যের নাম জানায়। পরে পুলিশ কালুসহ চক্রের ছয় সদস্যের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী নিধন আইনে মামলা করে।
মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদ আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১৫ কেজি হরিণের মাংসসহ এক হরিণ শিকারিকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চক্রের ছয় জনের বিরুদ্ধে বণ্যপ্রাণী নিধন আইনে মামলা করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, চক্রের অপর সদস্যদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় ১২০ কেজি হরিণের মাংস জব্দ, আটক ১
বাগেরহাটে হরিণের মাংস ও দু’টি চামড়াসহ ২ শিকারি আটক
পিরোজপুরে ছাত্রলীগ কর্মী হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন
পিরোজপুরে ছাত্রলীগ কর্মী তানভীর আহসান সাকিব হত্যা মামলায় অভিযুক্ত চার আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে আসামিদের উপস্থিতিতে পিরোজপুরে জেলা ও দায়রা জজ মো. মহিদুজ্জামান এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের খলিল মোল্লার ছেলে দুলাল মোল্লা (৪০), একই এলাকার ওহাব আলী শেখের ছেলে সাইদুল ইসলাম ওরফে সায়েদ শেখ (৩৩), শহিদুল ইসলাম ওরফে শহিদ শেখ (৩৬) এবং আলম শেখের ছেলে বেল্লাল শেখ (৩০)।
নিহত তানভীর আহসান সাকিব (১৭) পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা গ্রামের মৃত আলতাফ হোসেন হাওলাদারের ছেলে।
আরও পড়ুন: নাটোরে শিশু ধর্ষণ মামলায় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মামলার আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আহসানুল কবীর বাদল।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী ও পিপি অ্যাডভোকেট ফারুক সরদার জানান, ২০১৭ সালের ৬ মে পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়নের একপাই জজুভোলা এলাকায় ছাত্রলীগ কর্মী তানভীর আহসান সাকিবের ওপর হামলা চালায় প্রতিপক্ষ। এ সময় সে গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনার পরের দিন ৭ মে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাবিক মারা যায়।
এ ঘটনায় নিহত সাকিবের মা দেলোয়ারা বেগম বাদী হয়ে পিরোজপুর সদর থানায় আসামিদের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেন।
পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকতা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সেলিম ২০১৯ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ছয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
আদালত ২৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিদের উপস্থিতিতে আদালতের বিচারক যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অপর দুই আসামি আনিস শেখ ও হাফিজুল শেখকে খালাস দেন।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ২৬ বছর পর হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন
ঝিনাইদহে হত্যা মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন
আসন্ন সিটি নির্বাচনের জন্য বরিশালে পৌঁছেছে ১৫০০ ইভিএম
আগামী মাসে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে সোমবার গাজীপুর থেকে বরিশাল এসে পৌঁছেছে ১৫শ’ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম।
তিনি জানান, গাজীপুরে যে ইভিএম দিয়ে ভোট গ্রহণ করা হয়েছে বরিশালে সেই মেশিনেই ভোট দেবেন ভোটাররা।
আরও পড়ুন: ইভিএম হচ্ছে শতভাগ স্বচ্ছতার প্রতীক: চুয়াডাঙ্গায় ইসি হাবিব
তিনি জানান, বরিশালের এই নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নে ইতোমধ্যে প্রায় দেড়শতাধিক ব্যক্তিকে ইভিএমের ওপর বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে।
এছাড়া আগামী ১২ জুন বরিশাল সিটি নির্বাচন আইন অনুযায়ী শতভাগ সুষ্ঠু হবে বলে জানান তিনি।
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর মেয়র পদে সাত জন অংশ নেবেন।
এছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১৯ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৪২ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
নির্বাচনে ১২৬টি কেন্দ্রের ৮৯৪ কক্ষে দুই লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ ভোটার ভোট দেবেন।
আরও পড়ুন: আগামী জাতীয় নির্বাচন ইভিএম নয়, ব্যালট পেপারে হবে: ইসি সচিব
৫ সিটি নির্বাচনে ইভিএম, সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করবে ইসি: কমিশনার রাশেদা সুলতানা
লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগ নেতা হত্যায় ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড
২০১৩ সালে এক ছাত্রলীগ নেতাকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আটজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আমিনা ফারহিন এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আলী হোসেন বাচ্চু, মো. মোস্তফা, মো. খোকন, আবুল হোসেন, মোবারক উল্লাহ, কবির হোসেন রিপন, জাফর আহমদ ও হিজবুর রহমান স্বপন।
আসামিদের মধ্যে সাত আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং অপর আসামি হিজবুর রহমান স্বপন পলাতক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে বাবাকে হত্যার দায়ে মেয়ের মৃত্যুদণ্ড
ভুক্তভোগি মেহেদী হাসান জসিম কফিল উদ্দিন ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক ও সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের মফিজ উল্লাহর ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, শ্রীরামপুর গ্রামের মফিজ উল্লাহর সঙ্গে মোবারক উল্লাহ ও আলী হোসেন বাচ্চুর সঙ্গে এক খণ্ড জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের শত্রুতা ছিল।
শত্রুতার জের হিসেবে ২০১৩ সালের ৭ জানুয়ারি মোবারক ও তার সমর্থকরা মফিজ উল্লাহ ও তার পরিবারের সদস্যদের মারধর করে। পরে থানায় মামলা হয়।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি জসিম রাধাপুর গ্রামে তার আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে সেখানেই থাকে। আসামিরা রাতে জানালার গ্রিল ভেঙে ঘরে ঢুকে জসিমকে গুলি করে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়।
জসিমকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরদিন জসিমের বাবা মফিজ উল্লাহর অভিযোগে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়।
পরে এ মামলায় ১২ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। ইতোমধ্যে অভিযুক্তদের মধ্যে চারজন মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ওসি প্রদীপের সম্পদের খোঁজে ৭ দেশে দুদকের চিঠি
সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বরিশালে সুষ্ঠু নির্বাচন চান সিইসি
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রার্থীদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল প্রার্থীদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘ডিজিলেন্স’ বলে একটা কথা আছে, এর বাংলা হবে নিজেরাই পর্যবেক্ষণে রাখবেন। কেউ যদি অনিয়ম করে তা আপনাকে প্রতিহত করার চেষ্টা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রিজাইডিং অফিসার থাকবে তার কাছে আপনার পোলিং এজেন্ট অভিযোগ করবে। প্রিজাইডিং অফিসার যদি দায়িত্ব অবহেলা করে তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব। আপনাদেরকেও (প্রার্থীরা) ভালোভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। ভোটের দিন সবাইকে জাগ্রত থাকতে হবে। শুধুমাত্র আমাদের চেষ্টায় নির্বাচন ভালোভাবে হবে তা আমি বলছি না। সমভাবে আপনাদেরও সেই চেষ্টা থাকতে হবে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর একক চেষ্টায় এটা হবে না। সমন্বিত প্রয়াস থাকতে হবে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনে আ. লীগ সরকার বাধা: বিএনপি নেতা মোশাররফ
বরিশাল জেলা শিল্পকলা একাডেমির হলরুমে শনিবার রাতে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় প্রার্থীদের বিভিন্ন অভিযোগ শুনে সমাধান ও বিভিন্ন পরামর্শ গ্রহণ করেন সিইসি।
হাবিবুল আউয়াল বলেন, প্রিজাইডিং অফিসাররা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন যার দৃষ্টান্ত হচ্ছে গাজীপুর সিটি নির্বাচন। প্রিজাইডিং অফিসাররা মোটামুটি ভালোভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। যদি আমাদের কাছে অভিযোগ আসে ভোটাররা কেন্দ্রে যেতে পারেনি, ভোট দিতে পারেনি, কেন্দ্রে মাস্তানরা ছিল, তারা তাদেরকে প্রতিহত করেছে তাহলে আমাদের নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরের নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে সরকার বিচলিত নয়: কৃষিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘আপনি যদি ক্ষমতা দেখিয়ে বলেন ভোট আমাকেই দিতে হবে তাহলে গণতন্ত্র বিনষ্ট হয়ে গেল। যদি নির্বাচিত হন তাহলে জনগণের সমর্থন থাকবে না। তাই আহ্বান থাকবে আপনারা গণতন্ত্র ধারণ করে সুস্থ ধারায় বিকশিত করার চেষ্টা করবেন।’
এ সময় বরিশালের সবগুলো ভোট কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে বলে ঘোষণা দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাংগীর আলম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: কেসিসি নির্বাচন: প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা শুরু
বরিশাল সিটি নির্বাচন: প্রতীক পেলেন ৭ মেয়র প্রার্থী
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে সাত প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার সকালে নগরীর নথুল্লাবাদে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির প্রতীক বিতরণ করেন।
তাদের বরাদ্দ প্রতীক নিয়ে প্রচারণা শুরু করেছেন মেয়র প্রার্থীরা।
আরও পড়ুন: বরিশাল সিটি নির্বাচন: ৪ মেয়র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল, বৈধ ৬
প্রার্থী ও তাদের প্রতীকগুলো হলো- আওয়ামী লীগের আবুল খায়ের আবদুল্লাহ (নৌকা), জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন তাপস (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করিম (হাতপাখা), জাকের পার্টির মিজানুর রহমান বাচ্চু (গোলাপ ফুল), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কামরুল আহসান (ঘড়ি), আসাদুজ্জামান (হাতি) ও আলী হোসেন (হরিণ)।
কাউন্সিলর প্রার্থীদের ক্ষেত্রে লটারির মাধ্যমে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়।
১১ দফা দাবিতে বরিশালে বেসরকারি শিক্ষকদের মানববন্ধন
শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ, মূল বেতনের ৪০ ভাগ মহার্ঘ্য ভাতা দেওয়াসহ ১১ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বরিশালে মানববন্ধন করেছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকালে বরিশাল নগরের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে বাংলাদেশ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (বাকশিস) বরিশালের উদ্যোগে এই কর্মসূচি হয়।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষক নিহত
মানববন্ধন শেষে শিক্ষক নেতারা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেন।
বক্তারা বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা একটি অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক শিক্ষাব্যবস্থা, যা বাস্তবায়নের জন্য মানসম্মত শিক্ষার দরকার। যদি শিক্ষার মানোন্নয়ন না করা যায়, তাহলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণ হবে না।
বক্তারা আরও বলেন, শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য শিক্ষকদের আর্থিক সচ্ছলতা বাড়াতে হবে। যদি মানসম্মত শিক্ষক পেতে হয়, তাহলে শিক্ষকদের মানসম্মত সম্মানি দিতে হবে। সরকারি ও বেসরকারি চাকরিজীবীদের মাঝে কোনোরকম বৈষম্য যাতে না থাকে, সে ব্যবস্থা করতে হবে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে বেসরকারি শিক্ষকদের পরিবার বিপর্যস্ত।
তারা বলেন, যদি ৪০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা না দেওয়া হয়, তাহলে আমরা ঘরে বসে থাকবো না, আমরা এ সরকারকে বাধ্য করবো ৪০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দিতে।
জেলা বাকশিসের সভাপতি উপাধ্যক্ষ আনোয়ারুল হকের সভাপতিত্বে বক্তৃতা দেন কেন্দ্রীয় সদস্য অধ্যাপক মিজানুর রহমান সেলিম, বরিশাল জেলার সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মশিউর রহমান, কেন্দ্রীয় সদস্য অধ্যাপক জাকির হোসেন, কেন্দ্রীয় সদস্য অধ্যাপক কামাল চৌধুরী প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় বাসের ধাক্কায় কলেজশিক্ষক নিহত
কুড়িগ্রামে ইয়াবা জব্দ, কলেজশিক্ষক গ্রেপ্তার
বরিশালে নিখোঁজের ২ দিন পর পথশিশু সাথীর লাশ উদ্ধার
নিখোঁজের দুই দিন পর বরিশালের কীর্তনখোলা নদী থেকে পথশিশু সাথীর (১২) লাশ উদ্ধার করেছে সদর থানা নৌ-পুলিশ।
শনিবার (২০ মে) সকাল ৮টার দিকে বরিশাল নদী বন্দরের লঞ্চ টার্মিনাল এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নৌ-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল জলিল।
তিনি জানান, সকালে নিখোঁজ পথশিশু সাথীর লাশ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে নৌ-পুলিশের একটি দল গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে নিখোঁজের ৪দিন পর শিশুর লাশ উদ্ধার
ওসি আব্দুল জলিল বলেন, সকাল থেকে সাথীর খোঁজখবর নিতে কেউ আসেনি। তবে তার পরিবারের লোকজনকে খোঁজার চেষ্টা চলছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮ মে) বিকালে বরিশাল লঞ্চ টার্মিনাল থেকে কীর্তনখোলা নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয় সাথী।
আরও পড়ুন: বরিশালে লঞ্চ টার্মিনাল থেকে নদীতে পড়ে পথশিশু নিখোঁজ
বরিশালে লঞ্চ টার্মিনাল থেকে নদীতে পড়ে পথশিশু নিখোঁজ
বরিশাল নদী বন্দরে দোতলা লঞ্চ টার্মিনাল থেকে কীর্তনখোলা নদীতে এক পথশিশু পড়ে নিখোঁজ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ মে) বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
লঞ্চঘাটের এক পথশিশু চাঁদনী জানায়, আমি, আসলাম, জনি ও সাথী পন্টুনের পাশে বসে ছিলাম। হঠাৎ করে পেছন থেকে নাইম এসে সাথী ও আসলামকে ধাক্কা দেয়।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে ট্রলারডুবি: বরসহ এখনও নিখোঁজ ৪
এ সময় আসলাম সাঁতার কেটে উঠে। কিন্তু সাথী সাঁতার না জানায় ডুবে যায়। আমরা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করি। কিন্তু সাথীকে আর পাওয়া যায়নি।
লঞ্চঘাটের আরেক পথশিশু আসলাম জানায়, আমরা পন্টুনে বসে দুষ্টুমি করছিলাম, এ সময় পেছন থেকে কে যেনো ধাক্কা দেয়। আমি নদীতে পড়ে গেলে সাঁতার কেটে উপরে উঠি।
নদীতে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া শিশুর নাম নাইম (১৩)। তার বাবা অজ্ঞাত। সে ৫নং ওয়ার্ডের পলাশপুর এলাকার বাসিন্দা।
নিখোঁজ পথশিশু সাথী আক্তারের (১২) বাড়ি ঢাকায় বলে জানা গেছে। সে বরিশাল নদী বন্দরে থাকত।
সদর নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ. জলিল বলেন, স্থানীয়ভাবে আমরা বিষয়টি জেনে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেই।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নিখোঁজ শিশুকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
বরিশাল নদীবন্দর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. এনামুল হক সুমন জানান, আমাদের ফায়ার সার্ভিসের একটি দল শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ৫ দিন ধরে নিখোঁজ মাদরাসা ছাত্র
নাসিরনগরে নিখোঁজ শিশুর লাশ উদ্ধার