বরিশাল
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে তেলের ট্যাংকারে আবারও বিস্ফোরণ, আহত ১১
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে সোমবার সন্ধ্যায় ‘সাগর নন্দিনী-২’ নামের তেলের ট্যাংকারে আবারও বিস্ফোরণের পর ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তাসহ অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন।
প্রায় ১১ লাখ লিটার পেট্রোল ও ডিজেল বহনকারী সাগর নন্দিনী-২ নামের জাহাজটিতে শনিবার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে চারজন নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন। ট্যাংকারের এক কর্মী এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
আমাদের ঝালকাঠি সংবাদদাতার অনুসারে, শনিবারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর জাহাজ থেকে ৭ লাখ লিটার ডিজেল সরানো হয় এবং বড় ধরনের তেল ছড়িয়ে পড়া এড়ানো সম্ভব হয়। কিন্তু গতকালকের (সোমবার) বিস্ফোরণের পরে কিছু পেট্রোল নদীতে ছড়িয়ে পড়েছে। তাছাড়া, জেলার বাসিন্দারা এর প্রভাব এবং নিজেদের সাধারণ নিরাপত্তা নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন।
আরও পড়ুন: বরিশালে তেল ট্যাংকার বিস্ফোরণ: নিখোঁজ কাশেমের সন্ধান মেলেনি
আজ (সোমবার) সন্ধ্যা ৭টার দিকে অপর একটি জাহাজ সাগর নন্দিনী-৪ ট্যাংকার থেকে অবশিষ্ট ৪ লাখ লিটার পেট্রোল খালাসের প্রস্তুতি নিচ্ছিল, তখন আগুনের সূত্রপাত হয়।
এ সময় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উদ্ধারকারী জাহাজটি সারাদিন উদ্ধার অভিযান শেষ করে নদীতে অপেক্ষা করছিল।
প্রচণ্ড বিস্ফোরণে আগুন লাগার পর সাগর নন্দিনী-৪ এর কর্মীরা পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করেন।
তবে এ ঘটনায় পুলিশসহ ১১ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. এইচএম জহিরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে তেলের ট্যাংকার বিস্ফোরণ: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩
সর্বশেষ প্রতিবেদকের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, জেলা, উপজেলা ও নৌ ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে।
আইএসপিআর (আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে যে উদ্ধার অভিযানে সহায়তার জন্য বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একটি কন্টিনজেন্ট মোতায়েন করা হয়েছে এবং বরিশাল থেকে নৌবাহিনীর একটি জাহাজ ‘ডলফিন’ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।
এদিকে আগের ঘটনার জন্য জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিনের নেতৃত্বে তদন্ত দল তদন্ত শুরু করেছে এবং আজ জেলা প্রশাসকের কাছে প্রতিবেদন জমা দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে তেলের ট্যাংকার বিস্ফোরণ: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪
ঝালকাঠিতে জাহাজ দুর্ঘটনা: ৩ জনের লাশ উদ্ধার
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে তেলবাহী জাহাজ সাগর নন্দিনী-২ বিস্ফোরণের ঘটনায় নিখোঁজ ৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও বিআইডব্লিউটিএ যৌথভাবে সুগন্ধা নদীতে অভিযান চালিয়ে বিস্ফোণে ডুবে যাওয়া জাহাজের মাস্টার ব্রিজের ভেতর থেকে লাশ তিনটি উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নিখোঁজ চা শ্রমিকের লাশ উদ্ধার
নিহতরা হলেন- জাহাজের সুপারভাইজার মাসুদুর রহমান বেলাল (৩৫), ড্রাইভার রুহুল আমিন (৩২) ও মাস্টার সরোয়ার খান (৪০)। ড্রাইভার রুহুল আমিনের বাড়ি বাকেরগঞ্জ ও মাসুদুর রহমানের বাড়ি চাঁদপুর এবং মাস্টার সরোয়ারের বাড়ি পিরোজপুর।
এই ঘটনায় এপর্যন্ত নিখোঁজ চার জনেরই লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজ থেকে ডিজেলের পরে পেট্টোল অপসারণের কাজ চলছে। সোমবার সকাল থেকে উদ্ধারকারী জাহাজ এভি নির্ভিক কাজ শুরু করে ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজের বিস্ফোরণে উড়ে যাওয়া মাস্টার ব্রিজ ও স্টাফ কেভিন থেকে লাশ উদ্ধার করে এবং জাহাজের অবকাঠামো তীরের দিকে নিয়ে আসে।
এর আগে, ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে তেলবাহী জাহাজ ওটি সাগর নন্দিনী-২ বিস্ফোরণের ঘটনায় ২৩ ঘন্টা পর ইঞ্জিনরুম থেকে একজনের লাশ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড।
রবিবার (২ জুলাই) দুপুর ৩টার দিকে জাহাজের ২য় ইঞ্জিনরুমের কর্নার থেকে তার দগ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার হওয়া আব্দুস সালম হৃদয় (২৭) জাহাজের গ্রিজারম্যান (ইঞ্জিন রুমে ইঞ্জিনিয়ারের সহকারী)।
আরও পড়ুন: মিরসরাইয়ে ঝর্ণা দেখতে গিয়ে নিখোঁজ দুই কিশোরের লাশ উদ্ধার
দুঘর্টনাকবলিত জাহাজ সাগর নন্দিনী-২ এর কর্তৃপক্ষ মাহাবুবুর রহমান জানান, জাহাজটিতে ১৩জন স্টাফ কর্মরত ছিল। এই ঘটনার পর এক পর্যায়ে জাহাজে ইঞ্জিন রুমে পানি প্রবেশ করে ১১ লাখ লিটার পেট্টোল ও ডিজেল বহনকারী জাহাজটি ডুবে যাওয়ার উপক্রম হয়।
সুগন্ধায় জাহাজ দুর্ঘটনা: ২৩ ঘন্টা পর ইঞ্জিনরুম থেকে ১ জনের লাশ উদ্ধার
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে তেলবাহী জাহাজ ওটি সাগর নন্দিনী-২ বিস্ফোরণের ঘটনায় ২৩ ঘন্টা পর ৪ জনের মধ্যে ইঞ্জিনরুম থেকে একজনের লাশ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড।
বাকি ৩ জনের সন্ধান এখনও মেলেনি। রবিবার (২ জুলাই) দুপুর ৩টার দিকে জাহাজের ২য় ইঞ্জিনরুমের কর্নার থেকে তার দগ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার হওয়া আব্দুস সালম হৃদয় (২৭) জাহাজের গ্রিজারম্যান (ইঞ্জিন রুমে ইঞ্জিনিয়ারের সহকারী)।
আরও পড়ুন: পতেঙ্গা উপকূলে ৮৫০ টন ডালসহ জাহাজ দুর্ঘটনা
দুঘর্টনাকবলিত জাহাজ সাগর নন্দিনী-২ এর কর্তৃপক্ষ মাহাবুবুর রহমান জানান, জাহাজটিতে ১৩জন স্টাফ কর্মরত ছিল। ঈদের কারণে কয়েকজন ছুটিতে ছিলো। ছুটির দিন থাকার কারণে জানা সম্ভব হয়নি কে কে ছুটিতে ছিল।
তিনি জানান, এই ঘটনার পর থেকে এক পর্যায়ে জাহাজে ইঞ্জিন রুমে পানি প্রবেশ করে ১১ লাখ লিটার পেট্টোল ও ডিজেল বহনকারী জাহাজটি ডুবে যাওয়ার উপক্রম হয়। পদ্মা পেট্টোলিয়াম করপোরেশন অন্য দুটো জ্বালানিবাহী জাহাজ দিয়ে জ্বালানি অপসারণ করে ডিপোতে নিয়ে আসে এবং জ্বালানির কোনো ক্ষতি হয়নি।
তিনি আরও জানান, এই ঘটনা তদন্তে জিএম আব্দুস সোবাহানের নেতৃত্বে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অন্যদিকে, কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের অপারেশন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট সাফায়েত আরবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, নিখোঁজদের সন্ধ্যানে ফায়ার সার্ভিস, নৌ-পুলিশ, ঝালকাঠি জেলা পুলিশ সার্বিক সহযোগীতা করছে।
তিনি আরও জানান, ইঞ্জিনরুম থেকে এক জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্ঘটনার সময় তিনি ইঞ্জিন রুমের দায়িত্বে ছিলেন।
বরিশাল বিভাগীয় পর্যায়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এ এইচএম রাশেদুল জানান, শঙ্কা থাকলেও জাহাজ থেকে কোনো তেল নির্গত হয় নি। সে কারণে এক্ষেত্রে পরিবেশের জন্য কোনো হুমকি নেই।
জেলা প্রশাসক ফারাহ্ গুল নিঝুম ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুল এই ঘটনার পর থেকে সার্বক্ষনিকভাবে পর্যবেক্ষণ ও মনিটরিং এবং প্রয়োজনীয় বিষয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: নেপালে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা: ডাটা বক্স ফ্রান্সে পাঠানো হয়েছে
নেপাল-ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি: বাংলাদেশে ভারতীয় সহযোগিতা 'দৃশ্যমান', বললেন নসরুল
ভোলায় বিয়ের অনুষ্ঠানে বরের কাছে টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে সংর্ঘষ, কনেসহ আহত ১৫
ভোলায় বিয়ে বাড়িতে গেটে অভ্যর্থনা জানাতে গিয়ে বরযাত্রীদের কাছে ৫ হাজার টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে সংর্ঘষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে কনে, তার বাবা ও শ্বশুরসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
এদের মধ্যে গুরুতর আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটির ফলে পন্ড হয়ে গেছে আয়োজনটি।
শুক্রবার (৩০ জুন) দুপুরে ভোলা সদর উপজেলার জামিরালতা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ভোলায় আ. লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, একজন গুলিবিদ্ধসহ আহত ২০
স্থানীয়রা জানান, ভোলার মুসলিম পাড়া এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে শরিফের সঙ্গে জামিরালতা এলাকার হারুন মিয়ার মেয়ে নুপুরের দু’মাস আগে বিয়ে হয়। শুক্রবার দুপুরে জামিরালতায় মেয়ের বাড়িতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বরকে অভ্যর্থনা জানাতে গেটে লাল ফিতা কেটে ভেতরে বরসহ অতিথিদের প্রবেশের ব্যবস্থা করা হয়। এ সময় বরের কাছে ৫ হাজার টাকা চাইলে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটিসহ হট্টগোল বাধে। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংর্ঘষ, মারধরসহ চেয়ার-টেবিল, আসবাবপত্র ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
অতিথি আপ্যায়নের জন্য দুপুরের খাবার ফেলে দেয়া হয়। এতে করে নুপুর, তার বাবা হারুন, বরের বাবা জাকির হোসেনসহ দুই পক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে।
এদের মধ্যে কনেসহ গুরুতর ৯ জনকে ভোলা ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিন ফকির জানান, বিয়ে বাড়িতে হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে এখনও কেউ অভিযোগ দেয়নি।
আরও পড়ুন: ভোলায় ধান রোপন নিয়ে দুই পক্ষের সংর্ঘষে নিহত ১
চট্টগ্রামে পুলিশের সাথে বিএনপি সংর্ঘষ, আটক ৪৪
কাঁচা মরিচের ঝাঁজে পুড়ছে বরিশাল
টানা বর্ষণে নষ্ট হওয়া ও ঈদের ছুটিতে সরবরাহ বন্ধের কারণ দেখিয়ে ৫০ টাকা কেজির কাঁচা মরিচ ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বরিশালে।
চাহিদার চেয়ে মরিচের যোগান কম থাকায় অতি মুনাফা লোভীরা এই দাম বাড়িয়েছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।
আরও পড়ুন: জেনে নিন কাঁচা মরিচের যত গুণ
নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে দাম নিয়ন্ত্রণের দাবি জানিয়েছেন তারা। তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, বাজারে মরিচ না থাকার কারণে বেশি দামে কিনে কম লাভে বিক্রি করছেন।
শুক্রবার নগরীর একাধিক ফুটপাতের সবজির দোকান ঘুরে এই দৃশ্য দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সবজির বাজারে চলমান আগুনে উত্তাপ বাড়িয়েছে কাঁচা মরিচ। বুধবার যে মরিচ বিক্রি হয়েছে ৫০০ টাকা কেজি, সেই মরিচ একদিন পরই ছয়শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতাদের দাবি, ১৫ দিন আগেও এই মরিচের কেজি ছিল মাত্র ৫০ টাকা।
বর্তমানে ঈদ চলমান হওয়ায় পণ্য সরবরাহ বন্ধ থাকায় মরিচ না আসা ও বৃষ্টির কারণে পঁচে যাওয়ায় মরিচের দাম বেড়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
নগরীর কাউনিয়ার বাসিন্দা ক্রেতা মোতাহার উদ্দিন জানান, বেতন পাই ৯ হাজার টাকা আর কাঁচা মরিচের কেজি ৬০০ টাকা। দাম শুনে কাঁচা মরিচ না কিনে শুকনা মরিচ কিনে বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অন্যান্য সবজির দামও ক্রয় ক্ষমতার বাইরে।
তিনি আরও বলেন যে এর মধ্যে নানান অজুহাতে কাঁচা মরিচেরও দাম বাড়িয়েছে ব্যবসায়ীরা। নিয়মিত বাজার মনিটরিং থাকলে লাফিয়ে দাম বৃদ্ধি হতো না।
কলেজছাত্র আরাফাত জানান, মেসে রান্না করে খাই। সবজি কিনতে এসে দেখি টমেটোর কেজি ২৫০ আর কাঁচা মরিচের কেজি ৬০০ টাকা। তাই কাঁচা মরিচ না কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন অজুহাতে দাম বাড়িয়েছেন।
তিনি আরও বলেন যে ১৫ দিন আগে এই কাঁচা মরিচ ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। একদিন আগেও ছিল ৫০০ টাকা, সেই কাঁচা মরিচ এক দিনের ব্যবধানে ৬০০ টাকা হয়ে গেছে।
বরিশাল নগরীর জেলখানার মোড় এলাকার সবজি ব্যবসায়ী মোহাম্মদ রহমত বলেন, বাজারে কাঁচা মরিচ নেই। যে কয় কেজি ওঠে তার দামও অনেক বেশি। ৫০০ টাকায় এক কেজি পাইকারি মরিচ কিনে এনেছি। ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রির জন্য দাম চাইছি, কেউ কিনছে না।
তিনি আরও বলেন, দাম শুনে চলে যাচ্ছে। মরিচের দাম বেশি তা প্রমাণ করার জন্য ভাউচার দেখালেও ক্রেতারা বিশ্বাস করছেন না। মরিচ কিনেও বিপদে পরেছি।
আরেক সবজি বিক্রেতা কামাল উদ্দিন বলেন, কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির কারণে মরিচ নষ্ট হয়েছে। এছাড়া ঈদ চলছে। তাই বাজারে কাঁচা মরিচ আসছে না। আমরা সামান্য লাভ করি। বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করি। আমাদের কিছু করার নেই।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক অপূর্ব অধিকারী বলেন, বৃর্ষ্টিতে কাঁচা মরিচ পঁচে গিয়েছে। এছাড়া বন্ধের কারণে বাজারে চাহিদা অনুযায়ী সবজি আসছে না। আমাদের নিয়মিত কর্মসূচির আওতায় বাজার মনিটরিং চলছে।
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু
দাম বৃদ্ধির কারণে দেশে কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি
ভোলায় ট্রলারডুবির ৫ দিন পর ৫ জেলের লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ ২
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের মোহনায় ট্রলারডুবির পাঁচ দিন পর ৫ জেলের ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (৩০ জুন) দুপুর ২টার দিকে বঙ্গোপসাগরের মোহনা থেকে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়।
ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান খান ও স্থানীয় প্রশাসন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: ভোলায় ট্রলারডুবি: শিশুর লাশ উদ্ধার, মা-ছেলে নিখোঁজ
নিহতরা হলেন – মো. হারুন দর্জী, মো. শরীফ হোসেন, মো. ছাত্তার হাওলাদার, মো. নুর ইসলাম ও ফজলে করিম বারী।
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার সামরাজ মাছঘাট সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ জুন স্থানীয় জাহাঙ্গীর মাঝির ট্রলার নিয়ে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যায় ১৩ জেলে। একদিন পর ২৪ জুন শনিবার সাগরে ঢেউয়ের কবলে পড়ে ট্রলারটি ডুবে যায়।
এতে ১৩ জেলে নিখোঁজ হয়। আজ শুক্রবার সকালে ৬ জেলে সাগর মোহনায় ভেসে আসলে তাদের উদ্ধার করে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী স্থানীয় জেলে ও আড়তদাররা ট্রলার নিয়ে দুপুর ২টার দিকে বঙ্গোপসাগর থেকে পাঁচ জেলের লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় সাগরে ভেসে থাকা ছয় জেলেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তারা চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন। এছাড়া এখনো দুই জেলে নিখোঁজ রয়েছে।
আহত, নিহত ও নিখোঁজ সকল জেলের বাড়ি জেলার চরফ্যাশনে উপজেলার বিভিন্ন গ্ৰামে। তবে আহত ও নিখোঁজ জেলেদের নাম পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এঘটনায় নিহত পাঁচ জেলের পরিবারকে ভোলা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল নোমান।
উল্লেখ্য, সাগরে মাছ ধরা ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ওই জেলেরা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে সাগরে মাছ ধরতে গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ২৪ জেলেসহ ট্রলারডুবি, নিহত ১
ভোলায় কালবৈশাখী ঝড়ে মালবাহী ভলগেট ও ট্রলার ডুবি
বরিশালে শপথ গ্রহণের ৫ দিন আগে কাউন্সিলরের মৃত্যু
বরিশাল নগরীর ৮ নম্বর ওয়ার্ডের একাধিকবারের নির্বাচিত কাউন্সিলর সেলিম হাওলাদার (৫৯) মৃত্যুবরণ করেছেন।
মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে ব্রেইন স্ট্রোক করে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: বোটানিক্যাল গার্ডেনের লেকে চাচার সঙ্গে সাঁতার কাটতে নেমে ভাতিজার মৃত্যু
সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা যাওয়ার পথে ফরিদপুরের ভাঙ্গা এলাকায় আসলে বুধবার ভোর ৬টার দিকে মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে স্থানীয় বাসিন্দা ও বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুল আহসান জানান, শারিরীক অবস্থার অবনতি ঘটলে বরিশালের চিকিৎসকদের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই তাকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে অ্যাম্বুলেন্সে করে রওয়ানা দেন স্বজনরা। পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক মেয়ে ও দুই ছেলে সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন জানিয়ে কামরুল আহসান বলেন, বরিশাল সিটি করপোরেশন হওয়ার পূর্বে ১৯৯১ সালের বরিশাল পৌরসভার কমিশনার ছিলেন তিনি।
আর সিটি করপোরেশন হওয়ার পর ২০০৩ সাল থেকে ৮ নম্বর ওয়ার্ডে একাধারে কমিশনার-কাউন্সিলর রয়েছেন তিনি। এ নিয়ে মোট ৬ বার তিনি নির্বাচিত কাউন্সিলর।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বৈদ্যুতিক মিস্ত্রির মৃত্যু
দিনাজপুরে বালতির পানিতে পড়ে ১৫ মাস বয়সী শিশুর মৃত্যু
১৮ দিন উৎপাদন বন্ধের পর অবশেষে জ্বালানি নিয়ে পায়রা বন্দরে জাহাজ ভিড়েছে
অবশেষে ১৮ দিন পর পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৪১ হাজার ৩২৭ মেট্রিকটন কয়লা নিয়ে পায়রা বন্দরে এসেছে এমভি অ্যাথেনা নামের একটি জাহাজ।
কেন্দ্রটি বন্ধের পর এই প্রথম চালান নিয়ে আসা এমভি অ্যাথেনা শুক্রবার (২৩ জুন) বিকাল ৩টায় লাইটার জাহাজের মাধ্যমে চ্যানেলে নোঙর করা অবস্থায় কিছু কয়লা খালাস করার কথা রয়েছে।
এছাড়া রাতে কোনো এক সময় পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটিতে ভিড়বে জাহাজটি।
আরও পড়ুন: পায়রা বন্দরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জাহাজ ভিড়বে এপ্রিলে
এবং আগামিকাল শনিবার (২৩ জুন) সকালে পুরো কয়লা খালসের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন পায়রার একটি দায়িত্বশীল সূত্র।
সূত্র জানায়, জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে আরও ৪টি কয়লাবাহী জাহাজ আসবে পায়রায়।
প্লান্ট ম্যানেজার মো. গোলাম মাওলা বলেছেন, প্রায় ২ লাখ মেট্রিকটন কয়লা মজুতের পরই পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি পুনরায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাবে।
তবে এর আগেই প্রথম চালানে আসা কয়লা দিয়ে ২৫ জুন বিদ্যুত উৎপাদনে যাওয়ার সম্ভাবনাকেও উড়িয়ে দেননি ওই কর্মকর্তা।
বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে এমভি অ্যাথেনা নামক জাহাজটি পায়রা বন্দরের গভীর চ্যানেলে পৌঁছানোর পর বন্দরের একটি মাদার ভ্যাসেল গিয়ে কয়লাবোঝাই জাহাজটিকে প্রোটোকল দেয়।
প্রসঙ্গত, জ্বালানি শেষ হওয়ায় গত ৫ জুন দুপুর থেকে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় দেশের বৃহত্তম তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র পায়রার উৎপাদন। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দায় চলতি বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত কয়লা আমদানিতে ৩৯০ মিলিয়ন ডলার বকেয়া পড়ে।
ডলার সংকটে বিল পরিশোধ করতে না পারায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কয়লা সরবরাহ বন্ধ করে দিলে জ্বালানি সংকটে গত ২৫ মে বন্ধ হয় বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি ইউনিটের উৎপাদন।
অবশিষ্ট কয়লা দিয়ে একটি ইউনিটের উৎপাদন চালু রাখা হলেও গত ৫ জুন্য বন্ধ হয় দ্বিতীয় ইউনিট। জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ কমে যাওয়ায় দেশব্যাপী শুরু হয় লোডশেডিং।
পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (অপারেশন) শাহ আব্দুল হাসিব জানান, বৈশ্বিক পরিস্থিতি ও ডলার সংকটের কারণে এলসি খুলতে বিলম্ব হয়।
তিনি জানান, ইতোমধ্যেই বিশ্বব্যাংকের মাধ্যমে ১০০ মিলিয়ন ডলার বকেয়া পরিশোধ করা হয়েছে। আগামি ২৫ জুনের মধ্যে কয়লাবাহী জাহাজ আমাদের জেটিতে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
এছাড়া ৩/৪ দিনের মধ্যে কয়লা আনলোড করে আগামী ১ জুলাইের মধ্যে ইউনিটগুলো চালু করতে পারবো।
আরও পড়ুন: মোংলা ও পায়রা বন্দর ব্যবহার করতে পারবে নেপাল: প্রধানমন্ত্রী
পায়রা বন্দরে কন্টেইনার ইর্য়াড নির্মাণের উদ্যোগ
হারানো ২৭ মোবাইল সেট প্রকৃত মালিকের হাতে তুলে দিয়েছে এপিবিএন
দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চুরি-ছিনতাই হওয়াসহ হারিয়ে যাওয়া ২৭টি মোবাইল সেট মালিকদের হাতে তুলে দিয়েছেন বরিশালের ১০ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বরিশালের ১০ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তরে এক অনুষ্ঠানে সেটগুলো তুলে দেন কমান্ডিং অফিসার মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঁঞা।
তিনি বলেন, সেটগুলো উদ্ধার হলেও কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। কারণ, সেটগুলো খোয়া যাওয়ার পর একাধিক হাত ঘুরেছে। একটি সেটতো আমরা ১০ হাত পরিবর্তন হওয়ার পরে পেয়েছি। তাই প্রকৃত দোষীদের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: চোরাই মোবাইল সেট বিক্রিকারীদের গ্রেপ্তার করা হবে: ডিএমপি
তিনি আরও বলেন যে এ পর্যন্ত তারা ৮০টির উপরে সেট উদ্ধার করেছেন।
ব্যবহৃত সেট কেনার আগে অবশ্যই কাগজপত্র যাচাই করে নিতে পরামর্শ দেন তিনি।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ১০ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের উপ-অধিনায়ক মোল্লা আজাদ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাসরিন জাহান, সহকারী পুলিশ সুপার মাহমুদুল হাসান চৌধুরী প্রমুখ।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় পুলিশের অভিযানে ৩৭ টি মোবাইল সেট উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জে ছিনতাইয়ের অভিযোগে আটক ৫, মোবাইল সেট জব্দ
এবার কোরবানি ঈদে ঝড় তুলবে ‘টাইটানিক’
ঘনিয়ে আসছে কোরবানি ঈদ বা পবিত্র ঈদুল আজহা। তাই আগে থেকেই গ্রামাঞ্চলের পাশাপাশি শহরাঞ্চলেও খামারিরা তাদের পশুগুলো বিক্রির উদ্দেশ্যে প্রস্তুত করে ফেলেছেন।
বিগত কয়েক বছর ধরে বরিশাল অঞ্চলে মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা দেখা গেলেও আলোচনায় থাকে বিশালাকৃতির গরুগুলো। এরই মধ্যে আলোচনায় উঠে এসেছে বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার রামপট্টি বাজার এলাকায় এমইপি এগ্ৰো ফার্মে বেড়ে ওঠা ২৯ মণ ওজনের ‘টাইটানিক’।
দেখতে অন্য সব গরুর চেয়ে বিশালাকার দেহের অধিকারী হওয়ায় এর নাম রাখা হয়েছে টাইটানিক।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে বিলুপ্তপ্রায় বিরল প্রজাতির ‘গন্ধগোকুল’ উদ্ধার
স্থানীয়দের ধারণা এটি এবার গোটা বরিশালের মধ্যে আকারে সব থেকে বড় কোরবানির গরু হতে যাচ্ছে।
বাবুগঞ্জ উপজেলার রামপট্টি বাজার এলাকার এমইপি এগ্ৰো ফার্ম ঘুরে দেখা যায়, প্রায় ৩শ’টির মতো গরু লালন পালন চলছে এ ফার্মে। গরুগুলো দেখা শোনার জন্য রয়েছে ১৩ জন কর্মচারী। এর মধ্যে বিশালাকার দেহের অধিকারী টাইটানিক লালন পালনে রয়েছে নির্ধারিত একজন কর্মচারী।
টাইটানিক লালন পালনের দায়িত্বে থাকা মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে বিশাল আকৃতির এই গরুটির লালন-পালনে দিনে এক হাজার চারশ টাকা খরচ হয়।
তাছাড়া সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক নিয়মে গরুটিকে পালন করা হচ্ছে। খাবারে প্রতিদিন ধান ভাঙ্গা, গম ভাঙ্গা, ভুট্টাসহ মিক্সড একটি উপাদান দেয়া হয়।
এছাড়া দিনে দুইবার গোসল করানো, দেখাশোনা, নিয়মিত পরিচর্যা করাসহ বিভিন্ন দিকে খেয়াল রাখতে হয়।
ইসমাইল বলেন, গত কোরবানির পরপরই গরুটি এই ফার্মে আনা হয়েছে। তারপর থেকেই লালন পালন করতে করতে একটা মায়া হয়ে গেছে। বিক্রি করে দেওয়ার কথা শোনার পর থেকে খারাপ লাগছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে সৌখিন মাছ শিকারির খোঁচায় ১৬ কেজির বোয়াল!
এমইপি এগ্ৰো ফার্মের ইনচার্জ রাফিউর রহমান অমি বলেন, গত কুরবানির পরপরই এই গরুটি ফার্মে আনা হয়েছে। তখন গরুটির ওজন ছিল প্রায় ১২ মণ। এখন গরুটির ওজন হয়েছে সাড়ে প্রায় ২৯ মণ। আগে গরুটির পেছনে ৮-৯শ’ টাকা খরচ হলেও এখন প্রায় ১৫শ’ টাকা খরচ হচ্ছে।