বরিশাল
বরিশালে প্রাইভেটকার থেকে ৩৫ কেজি গাঁজা জব্দ, গ্রেপ্তার ২
বরিশালের উজিরপুরে অভিযান চালিয়ে ৩৫ কেজি গাঁজাসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। এ সময় মাদক বহনকারী একটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়।
রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৫টায় উজিরপুর উপজেলার ইচলাদি টোল প্লাজা সংলগ্ন বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে এ অভিযান চালানো হয়।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ১৯ ফুট উচ্চতার গাঁজার গাছসহ আটক ১
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- বানারীপাড়া উপজেলার বাইশারি ইউনিয়নের উত্তরকুল গ্রামের মনির বেপারি (৪৮) ও গাজীপুরের সালডোবা এলাকার খোরশেদ আলম।
বরিশাল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এনায়েত হেসেন বলেন, ঢাকা থেকে বিপুল পরিমাণ গাঁজা আসছে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে উজিরপুরের ইচলাদি টোল প্লাজায় চেকপোস্ট বসানো হয়। এরপর সেখানে একটি প্রাইভেটকার ভর্তি ৩৫ কেজি গাঁজাসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার এবং মাদক বহনের গাড়িটি জব্দ করা হয়।
বরিশাল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিদর্শক ইশতিয়াক বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে উজিরপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন বরিশাল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এনায়েত হোসেন।
আরও পড়ুন: মতিঝিলে সাড়ে ৪৮ কেজি গাঁজা জব্দ, যুবক আটক
গাজীপুরে ১০০ কেজি গাঁজা জব্দ, আটক ৪
বরিশালে লঞ্চের ধাক্কায় নৌকা ডুবে ২ জেলে নিখোঁজ, ভাঙচুর-লুট
বরিশালের কালাবদর নদে কুয়াশায় নিয়ন্ত্রণ হারানো লঞ্চের ধাক্কায় চারটি জেলে নৌকা ডুবেছে।
এতে দুই জেলে নিখোঁজ হওয়ার পর বিক্ষুদ্ধ জেলে ও স্থানীয়রা লঞ্চ ভাংচুর, কর্মচারীদের মারধর এবং মালামাল ও টাকা লুট করেছে বলে অভিযোগ করেছেন এমভি প্রিন্স অব রাসেল-৫ লঞ্চের সুপারভাইজার।
এছাড়া বিক্ষুদ্ধরা নৌ পুলিশের ওপর চড়াও হওয়ার চেষ্টা করে।
সোমবার ভোর রাত থেকে সকাল আটটা পর্যন্ত মেহেন্দিগঞ্জের চর শেফালী লঞ্চ ঘাট এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ দুই জেলে হচ্ছে উপজেলার বরজালিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. বাকীউল্লাহ সিকদার (৪০) ও একই ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাকের মৃধা (৩৫)।
আরও পড়ুন: রাজধানীর মানিকদিয়ায় নৌকা ডুবে যুবকের মৃত্যু
উলানিয়া নৌ-পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ মো. ফারুক হোসেন জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা এমভি প্রিন্স অব রাসেল-৫ লঞ্চ চর শেফালী ঘাটে নোঙর করতে গিয়ে মাছ ধরা ইঞ্জিনচালিত নৌকায় ধাক্কা দেয়।
এতে চারটি নৌকা চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে ডুবে যায়। এসব নৌকার অধিকাংশ জেলেরা লাফিয়ে নদীতে পড়ে রক্ষা পেলেও দুই জন নিখোঁজ রয়েছে।
তাদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা চেষ্টা করছে।
পরিদর্শক ফারুক আরও জানান, ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা লঞ্চের কর্মচারীদের মারধর, ভাংচুর ও লুট করেছে। পরে স্থানীয় চেয়ারম্যান এসে জনতাকে শান্ত করে।
বর্তমানে লঞ্চ তাদের হেফাজতে রয়েছে। যাত্রীদের বিকল্প নৌযানে গন্তব্যে পাঠানো হয়েছে।
মেহেন্দিগঞ্জের জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাদের ফরাজী বলেন, লঞ্চের ধাক্কায় কয়েকটি জেলে নৌকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুই জন জেলে নিখোঁজ রয়েছে। তাদের উদ্ধারে ডুবুরিরা তল্লাশি চালাচ্ছে।
এমভি প্রিন্স অব রাসেল লঞ্চের সুপারভাইজার সাইদুর রহমান জানান, রবিবার সন্ধ্যায় লঞ্চটি ঢাকা থেকে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
সোমবার ভোর রাত তিনটার দিকে কালাবদর নদীতে পৌঁছালে ঘন কুয়াশার কারণে কিছুই দেখা যাচ্ছিল না।
তখন চরশেফালী লঞ্চ ঘাটে ভেড়ানোর সিদ্বান্ত নেয় মাস্টার।
সুপারভাইজারি আরও বলেন, লঞ্চ ঘাটের চারপাশে জাল ফেলে জেলেরা পন্টুনের পাশে ছিল। লঞ্চ ঘাটে যাওয়ার সময় নদীতে ফেলা জালে লঞ্চের ডান পাশের পাখা আটকে যায়। বাম পাশের পাখা চালু থাকায় লঞ্চ ঘুরে পন্টুনের পাশে জেলে নৌকার ওপর উঠে যায়।
এতে কয়েকটি নৌকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শুনেছি দুই জেলে নিখোঁজ রয়েছে।
সুপারভাইজার সাইদুর অভিযোগ করেন, এরপর ৩০/৪০ জন লাঠিসোটা নিয়ে লঞ্চে উঠে মাস্টার মজিবর রহমানকে বেধড়কভাবে পেটায়।
এছাড়াও লঞ্চে ব্যাপক ভাংচুর করে। মাস্টারকে রক্ষায় এগিয়ে গেলে স্টাফ মাসুদ ও ইলিয়াসকে বেধড়কভাবে মারধর করে। এক পর্যায়ে তাকে (সুপারভাইজার) ধরে নামিয়ে একটি খেতের মধ্যে নিয়ে বেধড়কভাবে পেটানো হয়।
এছাড়াও পাঁচ লাখ টাকা না দিলে তাকে জবাই করারও হুমকি দেয়।
পরে লঞ্চের যাত্রীরা ৯৯৯ এ কল করলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করেছে। তিনি বর্তমানে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
সাইদুর আরও অভিযোগ করেন, পরে এলাকার আরও কয়েক শতাধিক লোক জড়ো হয়ে লঞ্চের তান্ডব চালিয়েছে। তারা লঞ্চের সকল গ্যাস ভাংচুর করেছে। দেড়শ’ কার্টন ফল, নগদ ২০ হাজার টাকা, দুই ব্যারেল ডিজেল লুট করেছে। লঞ্চের তেলের লাইন পিটিয়ে ভেঙে ফেলেছে। এতে বিপুল পরিমাণ তেল নদীতে ভেসে গেছে।
স্থানীয় চেয়ারম্যানের সহায়তায় ট্রলার ভাড়া করে লঞ্চের দেড়শতাধিক যাত্রীকে গন্তব্যে পাঠানো হয়েছে জানিয়ে বলেন, এ ঘটনায় মামলা করা হবে কিনা বিষয়টি মালিক ও স্থানীয় চেয়ারম্যান এবং পুলিশ বসে সিদ্ধান্ত নেবেন।
আরও পড়ুন: বাহামাস উপকূলে অভিবাসী বহনকারী নৌকা ডুবে ১৭ জনের মৃত্যু
সিরাজগঞ্জে যমুনায় নৌকা ডুবে নারীর মৃত্যু
বরিশালে বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারডুবি, নিহত ১
বরিশালে বাল্কহেডের ধাক্কায় খেয়া পারাপারের একটি ট্রলার ডুবে গেছে। এ ঘটনায় ট্রলারের বৃদ্ধ এক যাত্রী নিহত হয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে।
এছাড়া নৌ পুলিশ বাল্কহেডসহ পাঁচ কর্মচারীকে আটক করেছে।
রবিবার (২৯ জানুয়ারি) রাত সাড়ে আটটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে মালয়েশিয়াগামী ট্রলারডুবি: ২৯ রোহিঙ্গাসহ আটক ৩৩
ওই যাত্রীর নাম-মো. নান্নু বেপারী (৬০)। মুলাদী উপজেলার সাহেবের চর এলাকার বাসিন্দা তিনি।
গৌরনদী ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার বিপুল হোসেন বলেন, গৌরনদী উপজেলার হোসনাবাদ ও মুলাদী উপজেলার সাহেবের চর রুটে খেয়া ট্রলার রয়েছে। রবিবার রাত সাড়ে আটটায় হোসনাবাদ থেকে ট্রলার সাহেবের চরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। এ সময় একটি বাল্কহেডের ধাক্কায় খেয়া ট্রলার ডুবে যায়। ট্রলারে থাকা সাতজন যাত্রী তীরে উঠতে পারলেও নান্নু বেপারী নিখোঁজ হয়।
স্টেশন অফিসার আরও জানান, সোমবার সকাল থেকে নিখোঁজ যাত্রীর সন্ধানে উদ্ধার অভিযান চলে।
বেলা ১১টার দিকে গৌরনদী উপজেলার হোসনাবাদ লঞ্চঘাট এলাকায় নিখোঁজ নান্নু বেপারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
মুলাদী উপজেলার নাজিরপুর নৌ-পুলিশের ইনচার্য পরিদর্শক প্রদীপ কুমার মিত্র বলেন, বাল্কহেড ও পাঁচ কর্মচারীকে আটক করা হয়েছে।
অভিযোগ পেলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: কক্সবাজারের উপকূলে ১৩ ট্রলারডুবি
করতোয়ায় ট্রলারডুবি: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬, এখনও নিখোঁজ ৪০
বরিশালে একই ঘরে মিলল সাবেক ইউপি সদস্যের মা-পুত্রবধূর লাশ
বরিশালের বাবুগঞ্জে একই ঘর থেকে দুই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় ঘরে থাকা আরেক নারীকে অজ্ঞান অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করেছে স্থানীয়।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি ) মধ্যরাতে উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়ন পরিষদের পাশে নং ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটে।
মৃতরা হলেন- কেদারপুরের সাবেক ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেনের মা লালমুন নেছা (৯৫) ও তার পুত্রবধূ রিপা আক্তার (২৩)। দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী মিনারা বেগম (৫৫) বাবুগঞ্জের বাহেরচর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে ৫ দিনে হোটেল থেকে এক নারীসহ ৩ লাশ উদ্ধার
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করে বাবুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান জানান, বুধবার রাত ১১টার দিকে পার্শ্ববর্তী বাড়ির লোকজন ডাকাডাকি করে তাদের কোনো সাড়া-শব্দ না পেয়ে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে। এ সময় তিনজনকে অজ্ঞান অবস্থায় খাটে শোয়া দেখতে পেয়ে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালের চিকিৎসক তিনজনের মধ্যে দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।
ওসি আরও জানান, ঘরের মেঝে সিঁদ কাটা অবস্থায় পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে চুরির উদ্দেশ্যে কৌশলে পরিবারের সদস্যদের অজ্ঞান করতে গিয়ে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিষয়টি তদন্ত করে মূল ঘটনা উদঘাটনের আশ্বাস দেন বরিশালের জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) ওয়াহিদুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার
নিখোঁজের ৬ দিন পর যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
বরিশালে ট্রাফিক অফিস থেকে ৬০ রাউন্ড গুলি চুরি, ৩ মাস পর জানাজানি
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক অফিস থেকে তিনমাসে আগে ৬০ রাউন্ড গুলি চুরি হয়েছে। ঘটনার তিনমাস পর বিষয়টি জানাজানি হয়েছে।
সূ্ত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে বরিশাল নগরীর কালিবাড়ি রোডে ট্রাফিক অফিস থেকে ৬০ রাউন্ড গুলি চুরি হয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকেই ট্রাফিক অফিসে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে প্রাথমিকের ১৩২ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ট্রাফিক পুলিশের সদস্য বলেন, তিনমাস আগে কালিবাড়ি রোড শীতলাখোলা ট্রাফিক অফিস থেকে ৬০ রাউন্ড গুলি চুরি হয়েছে। এরপর থেকেই অফিসের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
এছাড়া আগে অফিসে যে কেউ প্রবেশ করতে পারতো, তবে এখন আগেরমতো নেই। গুলি চুরির ঘটনার পরপরই সিসি ক্যামেরা বাড়ানো হয়েছে। তাছাড়া অফিসে প্রবেশের ক্ষেত্রেও নিয়মকানুন জোরদার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে মহানগর পুলিশের ট্রাফিক জোনের উপকমিশনার তানভীর আরাফাত বলেন, ৬০ রাউন্ড গুলি চুরির ঘটনা ঘটেছে। তবে সেটা নিয়ে আমাদের সিনিয়ররা কাজ করছেন। আর ওই গুলি আমাদের নয়।
এই বিষয় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের দক্ষিণ জোনের উপকমিশনার আলী আশারফ ভূঁঞা বলেন, ট্রাফিক অফিস থেকে ৬০ রাউন্ড গুলি চুরির ঘটনায় তদন্ত চলমান আছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে।
এই বিষয়ে বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিমুল করিম বলেন, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের রিজার্ভ ফোর্সের ৬০ রাউন্ড গুলি ট্রাফিক অফিসে রাখাছিল, সেখান থেকেই গুলি চুরি হয়েছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি।
আরও পড়ুন: বরিশালে সৎ মায়ের ছোড়া গরম পানিতে কিশোরের মৃত্যু!
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ঢুকে ঘুমন্ত দুই ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখম
বরিশালে সৎ মায়ের ছোড়া গরম পানিতে কিশোরের মৃত্যু!
বরিশালের হিজলা উপজেলায় সৎমায়ের ছোড়া গরম পানিতে ঝলসে গিয়ে এক কিশোরের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনার পাঁচ দিন পর সোমবার (২৩ জানুয়ারি) তার মৃত্যু হয়।
নিহত ছাইদুল ইসলাম (১৪) উপজেলার মেমানিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাউশিয়া গ্রামের নুরু মীরার ছেলে। সে মানসিক ও শারিরীক প্রতিবন্ধী ছিল।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে নারিকেল গাছ থেকে পড়ে কিশোরের মৃত্যু
ছাইদুলের ভাই ছিদ্দিক বলেন, ছাইদুল প্রতিবন্ধী। বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সৎ মা ক্ষিপ্ত হয়ে রান্নাঘর থেকে গরম পানি ছুঁড়ে মারেন। এতে তার শরীর ঝলসে যায়। ঘটনার পাঁচ দিন পর্যন্ত সৎমা তাকে চিকিৎসার জন্য বাইরে যেতে দেননি। পাঁচ দিন পর আমি নদী থেকে মাছ ধরে বাড়িতে এসে ছোট ভাইয়ের এই অবস্থা দেখে উপজেলা স্বাস্থ্যে কমপ্লেক্সে নিই। পরে সেখানকার চিকিৎসকেরা উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
প্রতিবেশি ইউনুস সরদার বলেন, জন্ম থেকেই সাইদুল শারিরীক ও মানসিক প্রতিবন্ধী। জন্ম থেকে বিছানায় শুয়ে থাকতো। এক বছর আগে তার মা মারা গেছে। ছয় মাস আগে তার বাবা আবারও বিয়ে করেছে। তার বাবা ও ভাই মাছ শিকারে নদীতে থাকে।
ইউনুস সরদার আরও বলেন, সোমবার বিকালে সাইদুল বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে অন্যান্য প্রতিবেশিরা দেখতে যায়। সেখানে গিয়ে তারা শুনেছে, সাইদুল খেতে চেয়েছিলো। তখন সৎ মা ফাহিমা গরম পানি ছুঁড়ে মেরেছে। এতে শরীর ঝলসে গিয়েছে। কয়েকশ’ মানুষ বাড়িতে উপস্থিত হলে সৎ মা পালিয়ে গেছে।
হিজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইউনুস মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, জন্ম থেকে বিছানায় পড়ে ছিলো ছেলেটি। চামড়া উঠে গেছে। আপাতত অপমৃত্যুর মামলা করে ময়নাতদন্ত করা হবে। প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে ট্রেনে কাটা পড়ে কিশোরের মৃত্যু
চুয়াডাঙায় মোটরসাইলেক দুর্ঘটনায় কিশোরের মৃত্যু
বরিশালে নার্সিং কলেজ ছাত্রীর ‘আত্মহত্যা’
বরিশাল নগরীতে বেসরকারি নার্সিং কলেজের এক ছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেছে।
শুক্রবার রাত আটটার দিকে কলেজের ছাত্রী নিবাস থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় বলে পুলিশ ও শিক্ষক জানিয়েছেন।
নিহত লামিয়া আক্তার সায়েমা (২২) নগরীর সিএন্ডবি রোডের ডিডাব্লিউএফ নার্সিং কলেজের ডিপ্লোমা তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। সায়েমা বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নের অর্জুন মাঝি গ্রামের শাজাহান মোল্লার কন্যা।
ডিডাব্লিউএফ নার্সিং কলেজের শিক্ষক সুদীপ কুমার নাথ জানান, শারীরিক অসুস্থতার কারণে সায়েমা সহপাঠীদের সঙ্গে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্নি করতে যায়নি। তিনি সিএন্ডবি রোড এলাকার মো. সুলতানের ভবনের তিন তলার ছাত্রী নিবাসে ছিলেন। সায়েমা নিজ কক্ষে একাই ছিলেন। রাত আটটার দিকে সহপাঠীরা এসে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পেয়ে চিৎকার দেয়। তখন তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: নড়াইলে দুই সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টা!
তিনি আরও বলেন, ‘আত্মহত্যার কারণ জানি না। পরিবারকে খবর দেয়া হয়েছে।’
বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাইনুল জানান, হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করার পর লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হবে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় চিরকুট লিখে ইন্টার্ন চিকিৎসকের আত্মহত্যা!
বরিশালে বাস-মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে কিশোরীর মৃত্যু
বরিশাল নগরীতে বাস-মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক কিশোরী নিহত হয়েছে। এসময় মোটরসাইকেল চালকসহ অপর আরোহী আহত হয়েছেন।
শুক্রবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে নগরীর কাশিপুর রাব্বি ফিলিং স্টেশন এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আনুশকা (১৮) ভোলার চরফ্যাশনের রসূলপুর গ্রামের লেরতা বাজার এলাকার আবু জাহেরের কন্যা।
আরও পড়ুন: রানীশংকৈলে সাপের কামড়ে কিশোরীর মৃত্যু
আহতরা হলেন- নগরীর কাশিপুর এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে শাওন (২০) এবং মুলাদী উপজেলার ৪নং গাছুয়া এলাকার জুবায়ের আহমেদ (২০)।
বরিশাল মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদি জানান, নগরীর নথুল্লাবাদের বরিশাল কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে সাকুরা পরিবহনের একটি বাস। একটি মোটরসাইকেলে কিশোরীসহ তিনজন নথুল্লাবাদের দিকে যাচ্ছিলো। এসময় কাশিপুরের রাব্বি ফিলিং স্টেশন এলাকায় মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেলের তিন আরোহী গুরুতর আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এসআই মেহেদি আরও জানান, সাকুরা পরিবহনের বাসটি আটক করা হয়েছে। তবে চালক ও সহকারী পালিয়েছে।
এছাড়া ঢাকাগামী যাত্রীদের সাকুরা পরিবহনের অপর একটি বাস এসে নিয়ে রওনা হয়েছে বলে জানান এসআই মেহেদি।
বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের উপপরিদর্শক (এসআই) মাইনুল বলেন, বাস ও মোটরসাইকেলের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত কিশোরী আনুশকাকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেছেন। এছাড়া আহত দুই জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে মহাসড়কে ট্রাক উল্টে কিশোরীর মৃত্যু
নানার বাড়ি বেড়াতে গিয়ে পানিতে ডুবে কিশোরীর মৃত্যু
শরীয়তপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে একজন পরোপকারী বরিশালের সাংবাদিক মাসুদ
শরীয়তপুর সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের একজন স্থানীয় সাংবাদিক ও ফ্রিল্যান্সার মাসুদ রানার স্ত্রী মালা রাখাইন জাজিরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে স্বামীর মৃতদেহ নিতে গিয়ে মঙ্গলবার তার দিন শুরু করেন ভিন্নভাবে।
মালা প্রতিদিন খুব ভোরে তার রেস্তোরাঁয় যেতেন। স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য তিনি ও মাসুদ রানা বরিশাল শহরে একটি রেস্তোরাঁ খুলেছিলেন।
দৈনিক নবচেতনা পত্রিকার ব্যুরো চিফ এবং সোবহান মৃধা ও কহিনুর বেগম দম্পতির ছোট ছেলে মাসুদ রানা বরিশাল নগরীর গোরাচাঁদ দাস রোডে থাকতেন।
বিকাল সোয়া ৩টার দিকে মাসুদের মরদেহ আগৈলঝাড়ার বাশাইলের নিজ বাড়িতে আনা হয়।
মাসুদের পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও পরিচিতজনরা তাকে বিদায় জানাতে সেখানে ভিড় করেন।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরের জাজিরায় ট্রাক-অ্যাম্বুলেন্স সংঘর্ষে রোগীসহ নিহত ৬
মাসুদের আত্মীয় বাপ্পী বলেন, ‘মাসুদ খুবই পরোপকারী ছিলেন এবং তিনি কিছু না ভেবেই অন্যকে সাহায্য করতেন।’
এর আগে, মঙ্গলবার ভোরে শরীয়তপুর জাজিরা উপজেলার পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার কাছে দ্রুতগামী একটি ট্রাকের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় ছয়জন নিহত হন।
নিহতরা হলেন- রোগী জাহানারা বেগম (৫৫); তার মেয়ে লুৎফুন নাহার লিমা (৩০); স্বাস্থ্যকর্মী ফজলে রাব্বি (২৮); অ্যাম্বুলেন্স চালক জিলানী (২৮); সহকারী রবিউল ইসলাম (২৬) এবং স্থানীয় সাংবাদিক দৈনিক নবচেতনা পত্রিকার বরিশাল ব্যুরো প্রধান মাসুদ রানা (৩০)।
লুৎফুন নাহার লিমার বন্ধু হিসেবে মাসুদ অ্যাম্বুলেন্সে ওঠেন।
স্থানীয় আরেক সাংবাদিক মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘মাসুদ কোভিড মহামারি চলাকালীন অসহায় মানুষের জন্য কাজ করেছেন এবং সর্বদা দরিদ্রদের সাহায্য করেছেন। তার এভাবে চলে যাওয়াটা মেনে নেয়া কঠিন।’
আরও পড়ুন: সাংবাদিক আবদুর রহমান খান আর নেই
গাইবান্ধায় বাস-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ৩
ভোলায় কাকড়া ট্রলি ও মোটরসাইকেল সংঘর্ষে ২ ভাইয়ের মৃত্যু
ভোলা সদর উপজেলায় ইটবোঝাই কাকড়া ট্রলি ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই ভাই নিহত হয়েছেন। রবিবার দুপুর ২টার দিকে সদর উপজেলার ভোলা-বরিশাল মহাসড়কের পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের পাঙ্গাশিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. সোহেল (২৬) ও মো. শাওন (২০) বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জের আলিমাবাদ ইউনিয়নের সেলিমাবাদ গ্রামের প্রবাসী আব্দুল করিম মোল্লার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুরের দিকে সোহেল ও শাওন দুই ভাই মোটরসাইকেলে ভোলা সদর থেকে বাড়ি যাচ্ছিলেন। এসময় সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ভোলা-বরিশাল মহাসড়কের পাঙ্গাশিয়া এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ইটবোঝাই কাকড়া ট্রলির সঙ্গে তাদের মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
আরও পড়ুন: যশোরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
এতে ঘটনাস্থলেই দুই ভাই নিহত হন এবং কাকড়া ট্রলিটি সড়কের পাশের ডোবায় পড়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে আনা হয়।
ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন ফকির জানান, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালে আনা হয়েছে।
দুর্ঘটনাকবলিত কাকড়া ট্রলিটি জব্দ করা হয়েছে। ট্রলির চালককে আটকের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তঃসত্ত্বা নারী নিহত
ঝিনাইদহে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত