%E0%A6%96%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A6%A8%E0%A6%BE
চুয়াডাঙ্গায় সিসার অবৈধ কারখানা, হুমকির মুখে পরিবেশ-জনজীবন
চুয়াডাঙ্গায় অল্প সময়ে গড়ে উঠেছে ব্যাটারি পুড়িয়ে সিসা তৈরির অবৈধ কারাখানা। কারখানাটিতে রাতের আঁধারে আগুন জ্বালিয়ে সিসা আলাদা করা হয়। সিসার আগুনের বিষাক্ত ধোঁয়া পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের ওপর ফেলছে বিরূপ প্রভাব।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দোস্ত গ্রাম ও উক্ত গ্রামের আঞ্চলিক সড়কের পাশে প্রায় মাসখানেক আগে উক্ত গ্রামের এরশাদ নামের এক ব্যক্তির জমি ভাড়া নিয়ে বগুড়া জেলার শাহীন এই সিসা কারখানা গড়ে তুলেছেন। এর আগে এই কারখানা ছিল ঢাকার আশপাশ এলাকায়। প্রশাসনের অভিযানে ওই এলাকা এই এলাকায় কারখানাটি আনা হয়েছে।
সরোজমিনে এই প্রতিবেদক দেখতে পান, কারখানার ভেতর প্রায় ১৫-২০ জন শ্রমিক কাজ করছেন। কেউ ব্যাটারি ভাঙছেন, কেউ বা আবার ভাঙা ব্যাটারির প্লেট এক জায়গায় স্তুপ করছেন। এসব প্লেটের স্তূপের পাশে রয়েছে আগুন ধরিয়ে সিসা বের করার জন্য কড়াই। সারাদিন চলে ট্রাকে মাল তোলা-নামানো আর ব্যাটারি ভাঙার কাজ। আর রাত হলেই শুরু হয় আগুন ধরিয়ে এই প্লেটগুলো পুড়িয়ে এটা থেকে সিসা তৈরি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ফোম কারখানায় আগুনে ৬০ লাখ টাকার ক্ষতি
এই কারখানার মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে না পাওয়া গেলেও শ্রমিকদের প্রধান (সর্দার) গাইবান্ধার আব্দুল লতিফ বলেন, ‘বগুড়ার শাহীন এই কারখানার মালিক। মোবাইলে যোগাযোগের মাধ্যমে এখানে এসেছি। এখানে আমরা পুরনো ব্যাটারি দেশের বিভিন্ন যায়গা থেকে নিয়ে আসি। তারপর ব্যাটারি ভেঙে প্রসেস করে পুরনো ব্যাটারি সংগ্রহ করে পুড়িয়ে সিসা বের করি।’
দোস্ত আমতলা গ্রামের কামরুল ইসলাম বলেন, আমাদের গ্রামের মাঠের মধ্যে বেশ কয়েকদিন আগে একটি সিসা তৈরির কারখানা হয়েছে। এতে করে আমাদের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে এবং সঙ্গে এলাকার মানুষের শারিরীক ক্ষতির ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: পুরান ঢাকার জুতা কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে
স্থানীয় গ্রামের রমিজ উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের মাঠে টিন আর চাটাই এর বেড়া দিয়ে ওরা কি যেন করে। সারাদিন এখানে ট্রাক আসে যায়, প্রতিদিন গভীর রাতে প্রচুর আগুন জ্বলতে দেখি। তখন কেমন জানি ঝাঁঝালো গন্ধ আসে।’
একই গ্রামের মোহাম্মদ দ্বীন ইসলাম বলেন, ওই মাঠেই আমার চাষ। এরা প্রায় একমাস আগে এখানে এসে ব্যাটারি ভাঙার কাজ শুরু করেছে। রাতে আগুনও জ্বালায়। যখন আগুন জ্বালায় তখন চোখ-মুখ জ্বলে। মাঠের গাছগুলোর পাতা দিনদিন লাল হয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের ইন্সপেক্টর নরেশ চন্দ্র বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া কথা বলতে পারব না। তবে আপনার কাছ থেকে শুনলাম, আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত অভিযান পরিচালনা করব।’
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গার ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. আওলিয়ার রহমান বলেন, ব্যাটারির বর্জ্য পুড়িয়ে সিসা তৈরি করলে তা আশপাশে থাকা মানুষের শরীরে পয়জনিং (রক্তকণিকা ও মস্তিষ্কের কোষ ক্ষতি করা) সৃষ্টি করে। এর ফলে মানসিক বিকৃতি, রক্তশূন্যতা ও মস্তিষ্কের ক্ষতিসাধন হতে পারে। তাই এ ব্যাপারে সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতেমা-তুজ-জোহরা বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। যেহেতু জানতে পেরেছি, এই কারখানার বিরুদ্ধে খুব দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: বেলকুচিতে তাঁত কারখানায় আগুন, ক্ষতি প্রায় অর্ধ কোটি
খুলনায় নকশা বহির্ভূত ভবনের বিরুদ্ধে কেডিএ’র অভিযান
নকশা বর্হিভূতভাবে নির্মাণ করা ভবনের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ)।
বৃহস্পতিবার সকালে অভিযান চালিয়ে নগরীর সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার ৩টি ভবনের নকশা বর্হিভূত অংশ ভেঙে ফেলে কেডিএর শ্রমিকরা।
এছাড়া ৪টি ভবনের খেলাপি অংশ লাল রং দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে। নিজ উদ্যোগে ওই অংশ ভেঙে ফেলতে তাদের দেড় মাসের সময় দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
কেডিএ কর্মকর্তারা জানান, বৃহস্পতিবার অভিযানে মোট ৭টি ভবনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৩টি ভবনের বিভিন্ন অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে। অন্য ৪টি ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তারা আরও জানান, অভিযানে পরিবেশ দূষণ করায় খুলনা পাবলিক কলেজের পূর্বদিকে আধাপাকা একটি গবাদিপশুর খামার উচ্ছেদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কেডিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরীনের উপস্থিতিতে উচ্ছেদের কার্যক্রম তদারকি করেন কেডিএ স্থায়ী সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) শবনম সাবা ও অথরাইজড অফিসার জি এম মাসুদুর রহমান।
এ সময় কেডিএ’র ইমারত পরিদর্শক ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারণে ভবনের ছবি বাধ্যতামূলক করেছে কেসিসি
খুলনায় তরুণীকে ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
খুলনায় তরুণীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ ও হাসপাতাল চত্বর থেকে অপহরণের অভিযোগে ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে।
মামলাটি করেন ওই তরুণীর ভাই পরিচয়ে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা ব্যক্তি।
বুধবার বিকালে খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ ওই সংক্রান্ত অভিযোগ দাখিল করা হলে বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোসাম্মৎ দিলরুবা সুলতানা মামলাটি এজাহার হিসেবে নেওয়ার জন্য ডুমুরিয়া থানাকে নির্দেশ দেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- উপজেলা চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদের চাচাতো ভাই রুদাঘরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী তৌহিদুজ্জামান ও গাজী আবদুল হক এবং আল আমিন গাজী, আক্তারুল আলম, সাদ্দাম গাজী ও মো. ইমরান হোসাইন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে মেডিকেল শিক্ষার্থীকে গুলি করার ঘটনায় মামলা
মামলার আইনজীবী ও বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার খুলনা বিভাগীয় সমন্বয়ক মোমিনুল ইসলাম বলেন, বুধবার সকালের দিকে আদালতে অভিযোগ করা হয়। সাড়ে ৪টার দিকে বিচারক ওই অভিযোগ আমলে নিয়ে মামলার এজাহার হিসেবে নেওয়ার জন্য ডুমুরিয়া থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন। ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঘটনাটি তদন্ত করে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করবেন।
আদালতে দাখিল করা অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদ দীর্ঘদিন ধরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে আসছিলেন। গত ২৭ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে এজাজ আহমেদ ওই তরুণীকে শাহপুর বাজারে অবস্থিত তার নিজস্ব কার্যালয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে তাড়িয়ে দেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় ২ শিশুকে ধর্ষণ মামলায় ১ জনের যাবজ্জীবন
পরে তরুণী ঘটনাটি তার দূর সম্পর্কের খালাতো ভাইকে জানালে তিনি তরুণীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠান। পরের দিন ওসিসির সামনে থেকে আসামি তৌহিদুজ্জামাসহ ১০-১৫ জন তরুণী ও তার মাকে জোর করে একটি মাইক্রোবাসে অপহরণ করে নিয়ে যান।
পরে ওই তরুণী ও তার মাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অপহরণ করা হয়নি মর্মে স্বীকারোক্তি দেওয়ার জন্য সোনাডাঙ্গা থানায় নেওয়া হয়। পরে আবার সেখান থেকে মাইক্রোবাসে করে তাদের অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।
অভিযোগে বলা হয়েছে, বিষয়টি খুলনাসহ সারাদেশে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করলেও সোনাডাঙ্গা ও ডুমুরিয়া থানা-পুলিশ ওই তরুণী ও তার মাকে উদ্ধারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তাদের উদ্ধারের জন্য ডুমুরিয়া থানায় মামলা করতে গেলে থানা থেকে মামলা নেওয়া হয়নি। এ কারণে আদালতে মামলা করা হয়েছে।
জানতে চাইলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত সাহা বলেন, ডুমুরিয়া থানায় ওই সংক্রান্ত কেউ কোনো অভিযোগ কখনও নিয়ে আসেননি।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুই মামলা থেকেই অব্যাহতি পেলেন জবি শিক্ষার্থী খাদিজা
খুলনায় ‘যৌন হয়রানির’ অভিযোগে সহকারী শিক্ষক বরখাস্ত
খুলনা কলেজিয়েট গার্লস স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানীর অভিযোগে আজ বুধবার সহকারী শিক্ষক (চারুকলা) প্রদ্যুৎ কুমার ভট্টকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্কুল কতৃপক্ষ।
স্কুলের অধ্যক্ষ মো. তৌহিদুজ্জামান ঘটনার নিশ্চিত করে জানান, স্কুল গর্ভানিং বডির সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের নির্দেশে এই সাময়িক বরখাস্তের নির্দেশ দেওয়া হয়।
ঘটনার দিন হতে সেই শিক্ষক স্কুলে আসছেন না এবং তিনি মুঠোফোনে কথা বলে ছুটি নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: যৌন হয়রানির মামলায় ভিকারুননিসার শিক্ষক কারাগারে
অধ্যক্ষ মো. তৈহিদুজ্জামান জানান, ৬ষ্ট শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী মা অথ্যক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। যেখানে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষার্থী কলেজ বাথরুমে গেলে এই ঘটনা ঘটে।
প্রথম দিকে এই ঘটনাটি কর্তৃপক্ষ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। পরবর্তীতে অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে সোমবার অভিযুক্ত শিক্ষক প্রদ্যুৎ ভট্টকে শোকজ করা হয়। ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে শিক্ষক রাফিয়া আক্তারকে এবং সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে ।
এদিকে নানামুখী চাপে অভিযোগ শিক্ষার্থী মা সামজিক ও লোকলজ্জা ভয়ে শিক্ষকের বিরুদ্ধে বড় ধরনের শাস্তি না নিতে আবেদন দিয়েছেন। এই ঘটনায় শিক্ষাথী এবং অভিভাকদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হলে আজ সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির গর্ভানিং বডির সভাপতি হিসেবে সাময়িক বরখাস্ত করার নির্দেশনা দেন। এই সাময়িক বরখাস্তের নির্দেশ আজই অধ্যক্ষ সই করে শিক্ষকের কাছে পৌঁছে দিতে ব্যবস্থা নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ৪ শিশুকে যৌন নির্যাতন, শিক্ষকের মৃত্যুদণ্ড
চবিতে ছাত্রীকে যৌন হয়রানি: অধ্যাপক ড. মতিনকে চাকরিচ্যুত করার সিদ্ধান্ত
যশোরে ভাই ও মা-বাবার মারধরে যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ
যশোরের চৌগাছায় ছোট ভাই ও মা-বাবার মারধরে রেজাউল ইসলাম সাইমন নামে এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার নিজ বাড়িতে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পরে তাকে পাশ্ববর্তী কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৩টার দিকে মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ইজিবাইকের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু
নিহত রেজাউল ইসলাম ওরফে সাইমন উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের বড়খানপুর ঢাকাপাড়া গ্রামের আয়তাল হকের ছেলে।
নিহতের দেড় বছর বয়সী এক মেয়ে রয়েছে।
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের বাবা আয়তাল হক এবং মা সালেহা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে। এছাড়া ছোট ভাই ইসরাফিল পলাতক রয়েছে।
তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ইজিবাইকের ধাক্কায় ৭ বছরের শিশুর মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গায় ইজিবাইকের ধাক্কায় আইনজীবীর মৃত্যু
বাগেরহাটে ইঁদুর মারার ফাঁদে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবদল নেতার মৃত্যু
বাগেরহাটের কচুয়ায় ইঁদুর মারার জন্য নিজের পাতা বিদ্যুতের ফাঁদে পড়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মাহতাব শেখ নামে এক যুবদল নেতার মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার দিবাগত রাতে জেলার কচুয়া উপজেলার ছিটাবাড়ি গ্রামের ধানের জমিতে ওই যুবদল নেতা বিদ্যুৎপৃষ্ট হন।
সোমবার সকালে থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল শ্রমিকের
নিহত মাহাতাব শেখ বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার ছিটাবাড়ি গ্রামের এমানউদ্দিন শেখে ছেলে।
তিনি কচুয়া উপজেলার ধোপাখালি ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি এবং ওই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য ছিলেন।
এলাকাবাসি জানান, রাতে বোরো ধানের জমিতে ইঁদুর মারার জন্য বিদ্যুতের সংযোগ দিতে যান। কিন্তু অসাবধানবশত তিনি নিজের পাতা ফাঁদ স্পর্স করলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোহাসীন হোসেন জানান, বাড়ির কাছে জমিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মাহাতব শেখ মারা গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠান।
ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শিশুর মৃত্যু
ময়মনসিংহে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই শ্রমিকের মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গায় ১১টি স্বর্ণের বার জব্দ, নারী আটক
চুয়াডাঙ্গা দর্শনা থানার ছয়ঘড়িয়া থেকে স্বর্ণ পাচারের অভিযোগে তাছলিমা খাতুন (২৫) নামে একজন নারীকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি। এ সময় তার কাছ থেকে ১১টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে বিজিবি।
রবিবার (৩ মার্চ) দুপুরে বিজিবির চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমানের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে ১০টি স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ৩
আটক তাছলিমা খাতুন চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানাধীন কামাড়পাড়া এলাকার রেজাউল করিমের মেয়ে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ছয়ঘড়িয়া গ্রামের মধ্য দিয়ে সীমান্তে যাওয়ার পথে তাছলিমা খাতুন নামে এক চোরাকারবারিকে আটক করে বিজিবি।
তিনি বেলা ১১টার দিকে ব্যাটারিচালিত একটি ইজিবাইকে করে সীমান্তে যাচ্ছিলেন। পরে ওই ইজিবাইক তল্লাশি করে ১ কেজি ৩২০ গ্রাম (১১৩.১৬ ভরি) ওজনের ১১টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়।
এসব স্বর্ণের আনুমানিক দাম ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। আটক নারীকে দর্শনা থানায় হস্তান্তরসহ বিজিবির পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়েছে। এছাড়া জব্দ করা স্বর্ণের বারগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, স্বর্ণের বারগুলো চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে। আটক নারীকে দর্শনা থানায় হস্তান্তরসহ বিজিবির পক্ষ থেকে একটি মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পেট্রাপোল সীমান্তে ১০টি স্বর্ণের বার জব্দ, ৩ বাংলাদেশিকে আটক
শাহ আমানত বিমানবন্দে ওমান ফেরত উড়োজাহাজ থেকে ৬৪টি স্বর্ণের বার উদ্ধার
২ মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে সুন্দরবনে কাঁকড়া সংগ্রহে ফিরছেন জেলেরা
দুই মাসের নিষেধাজ্ঞ শেষে আবারও শুরু হয়েছে কাঁকড়া আহরণের জন্য বন বিভাগ থেকে ‘পাস-পারমিট’ প্রদান। তাই দীর্ঘ সময় অলস বসে থাকার পর সুন্দরবনে নদী ও খালে কাঁকড়া আহরণের জন্য সরঞ্জম নিয়ে ছুটছেন জেলেরা।
শুক্রবার থেকে সুন্দরবনে কাঁকড়া আহরণ শুরু হলেও আহরণের নৌকা ও মালামাল সংগ্রহ করতে ও প্রস্তুতি নিতে দেরি হওয়ায় আজ রবিবার (৩ মার্চ) সকালে ভাটিতে বনের গহীনে প্রবেশ করতে শুরু করেছে মোংলা, রামপাল, দাকোপসহ উপকূলীয় অঞ্চলের জেলেরা।
পূর্ব সুন্দরবন চাঁদপাই রেঞ্জের তথ্য অনুযায়ী, সুন্দরবনের ৬ হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটার বাংলাদেশ অংশে জলভাগের পরিমাণ ১ হাজার ৮৭৪ দশমিক ১ বর্গকিলোমিটার। যা পুরো সুন্দরবনের আয়তনের ৩১ দশমিক ১৫ শতাংশ। জলভাগে ছোট-বড় মিলিয়ে ৪৫০টি নদ-নদী ও খাল আছে। এসব খালে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ছাড়াও ১৪ প্রজাতির কাঁকড়া রয়েছে।
জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি দুই মাস কাঁকড়ার প্রজনন মৌসুম হওয়ায় ৫৯ দিনের জন্য জেলেদের সুন্দরবনে প্রবেশ করে কাঁকড়া ধরার অনুমতি বন্ধ রাখে বন বিভাগ।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরায় নিষেধাজ্ঞা
করমজল বন্যপ্রাণী ও ইকোট্যুরিজম কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির জানান, সুন্দরবনের মধ্যে অভয়ারণ্য ঘোষিত ৩০টি খাল এবং ২৫ ফুটের কম প্রশস্ত খালে সারা বছরই কাঁকড়া ধরা নিষিদ্ধ থাকে। বাকি অংশের নদী ও খালে বন বিভাগের বৈধ পাস-পারমিটধারী প্রায় ১৫ হাজার জেলে শুধু কাঁকড়া আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
১৯৯৮ সালে কাঁকড়া রপ্তানি নীতিমালা প্রণয়নের পর থেকেই প্রতিবছর দুই মাস কাঁকড়া ধরার পাস-পারমিট বন্ধ রাখা হয় বলে জানান তিনি।
কাঁকড়া আহরণকারী মোংলার জয়মনি এলাকার আনিছুর রহমান জানান, আর্থিকভাবে স্বচ্ছল কোনো লোক সুন্দরবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাঁকড়া ধরতে যান না। যারা যান, তারা প্রায় সবাই দরিদ্র। দুই মাস নিষেধাজ্ঞা চলাকালে দরিদ্র জেলেদের চরম দুর্দিন গেছে। বন্ধের দিনগুলোয় সরকারি কোনো ভাতার ব্যবস্থা না থাকায় মানবেতর জীবন যাপন করতে হয়েছে তাদের। শুক্রবার সকালে কাঁকড়া ধরার অনুমতি পেয়ে তারা আশার আলো দেখছেন।
একই এলাকার ছগির মোল্লা জানান, ‘সংসারে সাতজন সদস্য। সুন্দরবনে একদিন না গেলে তার চুলা জ্বলে না। দুই মাসের কাঁকড়া আহরণ বন্ধে দিনমজুরি করে কোনোমতে সংসার চালিয়েছি। মহাজনের কাছ থেকেও ধার নিয়ে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছি।’
আরও পড়ুন: বন্যায় ভেসে গেছে ৮ কোটি টাকার মাছ-চিংড়ি-কাঁকড়া
জেলেদের অভিযোগ, বনবিভাগ যে উদ্দেশ্যে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল তা সফল হয়নি। কারণ নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও গোপনে অসাধু লোকজনের সঙ্গে আঁতাত করে কাঁকড়া আহরণ করা হয়েছে এর বহু প্রমাণ রয়েছে।
খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দে বলেন, কাঁকড়ার বংশ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সুন্দরবনে বিভিন্ন নদী-খালে দুই মাস জেলেদের কাঁকড়া আহরণ নিষিদ্ধ ছিল। ২ মার্চ থেকে বন বিভাগের অনুমতি নিয়ে জেলেরা প্রবেশ নিষিদ্ধ অভয়াশ্রম ছাড়া অন্য নদী-খালে কাঁকড়া আহরণ করতে পারবেন। তবে কেউ যাতে সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরার অনুমতি নিয়ে বেআইনি কর্মকাণ্ডে জড়িত হতে না পারে, সেজন্য বনরক্ষীদের স্মার্ট পেট্রোলিং টহল ও অন্যান্য কার্যক্রম জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে ইঞ্জিনচালিত কোনো নৌকা বা ট্রলার কাঁকড়া পরিবহনের ক্ষেত্রে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে।
শুধু পরিবহন করতে পারবে যে নৌকায় কাঁকড়া আহরণ করে সেই নৌকায়। আর এ ব্যতিত ট্রলার যোগে পরিবহন করছে যদি এ রকম কাউকে পাওয়া বা এর সঙ্গে বন রক্ষীদের কেউ জড়িত থাকে প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান বন বিভাগের এ কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনের অভয়ারণ্য এলাকায় কাঁকড়া ধরায় ২৪ জেলে আটক
বেইলি রোড ট্র্যাজেডি: বাঁচার আকুতিতে মামাকে রকির শেষ ‘কল’
দুই মাস আগে রেস্টুরেন্টে চাকরি নেন যশোরের কামরুল হাবিব রকি (২২)। কর্মরত ছিলেন ঢাকার বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে।
বৃহস্পতিবার রাতে সেখানে আগুন লাগে। আটকা পড়ে মারা গেছেন রকি। দুই মাস পর তিনি বাড়িতে ফিরলেন লাশ হয়ে। শোকের মাতম চলছে সদর উপজেলার ধোপাখোলায় তার গ্রামের বাড়িতে।
শুক্রবার (১ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে তার মৃতদেহ পৌঁছায় গ্রামের বাড়িতে। তার মৃত্যুর সংবাদে স্বজন, প্রতিবেশীরা ভিড় করেন একনজর দেখার জন্য। তাদের আহাজারি, কান্নায় গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
নিহত রকির ভাই কামরান হোসেন সাজিম বলেন, ‘তার ভাই মাদরাসা থেকে আলিম পাশ করে গত ডিসেম্বর মাসে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে ক্যাশিয়ার পদে চাকরি নেন। বৃহস্পতিবার সেখানে কর্মরত অবস্থায় ভবনটিতে আগুন লাগে। তিনি ভবনের ভেতরে আটকা পড়েন। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার সময় মারা যান। শুক্রবার সকালে তার মরদেহ বাড়িতে এসেছে।’
আরও পড়ুন: বেইলি রোড ট্র্যাজেডি: ভোলার দুই যুবকের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া
তিনি আরও বলেন, আমাদের ৩ ভাইয়ের মধ্যে রকি সবার বড়। পরিবারের বড় ছেলে হিসেবে চাকরি করে সংসারের হাল ধরেছিল। বাবা ইজিবাইক চালিয়ে সংসার চালান। তাদের দুইজনের আয়ে আমাদের সংসার চলতো। ভাইকে এভাবে হারাতে হবে কখনো কল্পনাই করিনি।
রকির মামা জিহাদ হোসেন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে রকির ম্যাসেঞ্জারে ভিডিও কল দিয়েছিলাম, সে রিসিভ করেনি। পরে আমাকে কল ব্যাক করে বাঁচানোর আকুতি জানায়। আমাকে বলে মামা আমাদের ব্রাঞ্চে (কাচ্চি ভাই, বেইলি রোড শাখা) আগুন লাগছে। আমি আটকা পড়ছি। আমাকে বাঁচাও। কিছুক্ষণ পর কল কেটে যায়। আমি ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে বিষয়টি জানাই। তারা জানায়, উদ্ধার কাজ চলছে, ধৈর্য ধরুণ। এরপর আমি ঢাকায় রওনা হই। সেখানে গিয়ে হাসপাতালে পাই রকিকে। ততক্ষণে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।’
আরও পড়ুন: বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে ৩ জন আটক
তিনি বলেন, ‘আমিই রকিকে ঢাকায় নিয়ে গিয়েছিলাম। ওর চাকরি হওয়ার পর আমিই তাকে ঢাকা চিনিয়েছি। গত ডিসেম্বরে রকি চাকরিতে ঢুকেছে। আজ ওর লাশ নিয়ে বাড়ি ফিরলাম।’
এদিকে, রকির বাড়িতে শোকের মাতম চলছে। স্বজনদের আহাজারিতে চারপাশ ভারী হয়ে উঠেছে। প্রতিবেশীরাও রকির স্মৃতিচারণ করে দীর্ঘশ্বাস ফেলছেন। রকির মা রিপা বেগম ও বাবা কবির হোসেন সন্তানের শোকে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন।
বাদ জুম্মা ধোপাখোলা গ্রামের মসজিদ প্রাঙ্গণে নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় রকিকে।
আরও পড়ুন: বেইলি রোড অগ্নিকাণ্ড: ৪৬টির মধ্যে ৩৯টি মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর
মহেশপুরে পৃথক দুর্ঘটনায় ২ যুবক নিহত
ঝিনাইদহের মহেশপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১ মার্চ) সকাল দিকে উপজেলার সস্তার বাজার ও গয়েশপুর গ্রামে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- উপজেলার যোগিহুদা গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে জিসান ও যাদবপুর ইউনিয়নের বড়বাড়ি গ্রামের রবিউল্যার ছেলে মমিনুর রহমান।
আরও পড়ুন: ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৭০
মহেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাব্বুর রহমান জানান, জিসান মোটরসাইকেল নিয়ে লেবুতলা গ্রামে যাওয়ার পথে একটি আলমসাধুর সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
এতে জিসান গুরুতর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, অপরদিকে একই উপজেলার গয়েশপুর গ্রামের মমিনুর রহমান মোটরসাইকেল নিয়ে বাঁশ বোঝায় ভ্যানকে ধাক্কায় দেয়। এতে মমিনুর রহমান ঘটনাস্থলেই মারা যায়। নিহতের লাশ উদ্ধার করে মহেশপুর থানায় রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ড: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৬
বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৪৩