খুলনা
১৪ বছরেও হয়নি সেতু, ভেলায় চড়েই স্কুলে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা
কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের মঠবাড়ি গ্রামে একটি সেতুর অভাবে ভেলায় চড়েই গত ১৪ বছর ধরে শিক্ষার্থীরা পার হচ্ছে খাল।
এছাড়া মঠবাড়ি গ্রামটিকে দুইভাগে বিভক্ত করেছে প্রায় তিন কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ২৫০ মিটার চওড়া একটি খাল। ২০০৯ সালে গ্রামের পার্শ্ববর্তী শাকবাড়িয়া নদীর বাঁধ ভেঙে জোয়ার-ভাটার প্রবল স্রোতে ওই খালের সৃষ্টি হয়।
এক বছর পর বাঁধ মেরামত হলেও খালটি ভরাট করা হয়নি। ফলে গত ১৪ বছর ধরে গ্রামের মানুষ ভেলায় চড়ে ও নৌকার মাধ্যমে খাল পারাপার হচ্ছেন। এতে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছে বিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থীরা।
সুন্দরবন সংলগ্ন কয়রা উপজেলার প্রতাপ স্মারণী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাবেয়া খাতুন বলেন, কত মানুষ এসে দেখে গেছে প্রতিশ্রুতি দিয়েই গেছে, কিন্তু কেউ কথা রাখেনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের স্বাস্থ্যশিক্ষা ও গবেষণায় ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের আগ্রহ প্রকাশ
তিনি আরও বলেন, বছরের পর বছর দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যেকোনো একটা উপায় হলে বই খাতা নিয়ে কোনো আতঙ্ক ছাড়াই স্কুলে আসতে পারতাম।
গ্রামবাসী জানান, খালটির পশ্চিম পাড়ে প্রতাপ স্মারণী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মঠবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এছাড়া একটি কমিউনিটি ক্লিনিকও রয়েছে সেখানে। প্রথমদিকে খালের অন্য পাড় থেকে বিদ্যালয়গামী ছেলেমেয়েরা ডিঙি নৌকায় পারাপার হতো। কিন্তু নৌকা সব সময় পাওয়া যায় না। জেলেরা নৌকা নিয়ে সুন্দরবনে চলে গেলে কলার ভেলায় পার হতে হয় তখন। এতে ঝুঁকি ছিল বেশি। পরে প্লাস্টিকের ড্রামের উপর কাঠের তক্তা দিয়ে স্থায়ীভাবে ভেলা বানানো হয়।
সরেজমিন দেখা গেছে, প্লাস্টিকের ড্রাম চারকোনা করে বেঁধে উপরে তক্তার পাটাতন বিছিয়ে তৈরি করা হয়েছে বিশেষ এই ভেলা। খালের দুই পাশে একটি লম্বা রশি আড়াআড়িভাবে খুঁটির সঙ্গে টানিয়ে রাখা হয়েছে। লোকজন ভেলায় চড়ে নিজেরাই রশি টেনে পারাপার হচ্ছেন। সেখানকার বাসিন্দাদের ভেলায় খাল পেরিয়ে উপজেলা সদরে যেতে হয়।
প্রায় পাঁচ হাজার জনসংখ্যার বড় এ গ্রামটির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া শাকবাড়িয়া নদী পেরিয়ে সুন্দরবন। রয়েছে একটি বাজার ও ফরেস্ট স্টেশন। খালের পূর্ব পাড়ে সুপেয় পানির সংকট থাকায় বাসিন্দারা ভেলায় খাল পেরিয়ে পশ্চিম পাড় থেকে পানি নিয়ে আসেন।
খালের পশ্চিম পাড়ের মঠবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, এ বছরের শুরুতে ছেলে মেয়েরা নতুন বই নিয়ে বাড়ি যাওয়ার সময় একটা দুর্ঘটনা ঘটে গেছে এখানে।
তিনি আরও জানান, ভেলায় পার হওয়ার সময় সেটি উল্টে শিক্ষার্থীরা খালে পড়ে যায়। আশপাশের লোকজন এসে ছোট ছোট শিশুদের উদ্ধার করলেও তাদের নতুন বইগুলো ভিজে গেছে।
তবে এ ধরনের দুর্ঘটনা বর্ষাকালে বেশি হয় জানিয়ে তিনি বলেন, একটি সেতু নির্মাণ না হলে এখানকার দুর্ভোগ কমবে না।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের ডিসি পার্ক দিঘিতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে হলো সাম্পান বাইচ
প্রতাপ স্মারণী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) প্রধান শিক্ষক রনজিত কুমার সরকার বলেন, দুই শতাধিক শিক্ষার্থী প্রতিদিন খাল পার হয়ে যাতায়াত করে।
তিনি আরও বলেন, অভিভাবকরা শিক্ষার্থীদের খাল পারাপার নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন। অন্তত শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে মঠবাড়ি গ্রামের খালে একটি সেতু নির্মাণ করে দেওয়া জরুরি।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার, নজরুল ইসলাম, আরিফুজ্জামান, সুভাষ মণ্ডলসহ কয়েকজন জানান, প্রতিদিন ভেলায় খাল পার হয়ে বিদ্যালয়ে আসতে যেতে ভয় লাগে তাদের। ভেলা থেকে পড়ে গেলে বই, খাতা ভিজে যায়। অনেক সময় ভেলায় লোকজন বেশি উঠলে পার হতে পারে না তারা। এজন্য অনেক সময় ক্লাসে উপস্থিত হতে দেরি হয়ে যায়।
গ্রামের বাসিন্দা কোহিনুর আলম বলেন, ‘১৪ বছর ধরে শুনতেছি, এ জায়গায় ব্রিজ হবে। আবার শুনি খালের ওপর আড়াআড়ি বাধ হবে। কিন্তু কিছুইতো হয় না। উপায়ন্তর না দেখে স্কুলের বাচ্চাগের পারাপারের জন্যি(জন্যে) ড্রামের ভেলা বানাই দিছি। তাতেই এখন গ্রামের সব মানুষ পার হই।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু সাইদ বলেন, সাড়ে ১৪ বছর আগে তৈরি হওয়া খালটির পাড়ে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। পারাপারে ভোগান্তি লাঘবে খালের উপর একটি সেতু হলে এই এলাকার কয়েক হাজার মানুষ নিরাপদ যোগাযোগের সুযোগ পাবেন।
মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের বাজেট দিয়ে এত বড় খালে সেতু বানানো সম্ভব নয়। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা পরিষদের সমন্বয় কমিটির সভায় আলোচনা করে দেখব।
কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের স্কুলে পৌঁছাতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে, এটা দুঃখজনক। বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করেছি।
আপাতত ভাসমান সেতু নির্মাণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে প্রবাসীদের প্রতি হাইকমিশনার আল্লামা সিদ্দীকীর আহ্বান
কুড়িগ্রামে জমিজমা নিয়ে বিরোধে সংঘর্ষে নিহত ১
কুড়িগ্রামের উলিপুরে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে দু-পক্ষের সংঘর্ষে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে উপজেলার ধরনিবাড়ী ইউনিয়নের মালতিবাড়ী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত নুর হোসেন (৫৮) একই গ্রামের বাসিন্দা।
উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম মর্তুজা জানান, এ ঘটনায় প্রতিপক্ষের জাফর আলী ও রাণু বাবু নামে দু’জনকে আটক করেছে উলিপুর থানা পুলিশ।
স্থানীয় জানান, নিহত নুর হোসেন ও প্রতিপক্ষ জাফর আলীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে শনিবার জমিতে দুপক্ষের সংঘর্ষ বাধে। এতে নুর হোসেন নিহত হন।
ওসি গোলাম মর্তুজা জানান, এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ৮
সাভারে গাছের সঙ্গে পিকাপ ভ্যানের ধাক্কা, নিহত ২
সাভারে নৌকায় কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
ঢাকার সাভারে ডিঙি নৌকায় আটকে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামিকে বাগেরহাট থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শুক্রবার(২ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা বাজার এলাকা থেকে খুলনা র্যাব-৬ গ্রেপ্তার করে।
শনিবার (৩ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তার গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে খুলনা র্যাব-৬।
গ্রেপ্তার মোসলেম মোল্লা ঢাকার সভার উপজেলার দেওয়ান বাড়ি (বেগুনবাড়ি, আমিন বাজার) এলাকার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: প্রতিপক্ষের মারধর: মাদরাসা সভাপতির মৃত্যু, বাবা-ছেলে গ্রেপ্তার
গত ২৭ জানুয়ারি রাতে ওই নারী ধর্ষণের শিকার হন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের সঙ্গে মোসলেম মোল্লা জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
ধর্ষণের শিকার ওই নারী কলেজে পড়ালেখার পাশাপাশি একটি কসমেটিকের দোকানে চাকরি করেন। ২৭ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার দিকে কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফেরার সময় নৌকায় ধর্ষণের শিকার হন।
পরদিন ২৮ জানুয়ারি দুপুরে নৌকা থেকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে। পরে তাকে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এতে আরও জানানো হয়, এঘটনায় নির্যাতনের শিকার ওই নারী বাদী হয়ে দুইজনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে ধর্ষণ মামলার মূলহোতা মোসলেম মোল্লার অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারে র্যাব। পরে র্যাব খুলনা-৬ এর একটি অভিযানিক দল বাগেরহাটের শরণখোলায় অভিযান চালিয়ে মোসলেম মোল্লাকে গ্রেপ্তার করে।
তাকে সাভার মডেল থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়াধীন বলে জানায় র্যাব।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ২ কিশোর গ্যাংয়ের সংঘর্ষ: গ্রেপ্তার ১৬, অস্ত্র-ককটেল জব্দ
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যু
যশোরের কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক কয়েদির মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল পৌনে ৮টার দিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মৃত আসামি হাবিবুর রহমান (৭২) মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার কোটভাগ গ্রামের মৃত গহর মুন্সির ছেলে।
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার শরিফুল আলম জানান, হাবিবুর রহমান একটি হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদি আসামি। তিনি মাগুরা জেলা কারাগারে ছিলেন। গত বছর ২০২৩ সালের জুন মাসের ২০ তারিখে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে আসেন।
জানা গেছে, শনিবার সকালে হঠাৎ করে বুকে ব্যথা অনুভব করে। এ সময় তাকে চিকিৎসার জন্য কারাগার থেকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাবিবুর মারা যান। নিহতের লাশ ময়নতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ময়নাতদন্ত শেষ নিহতের লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান জেলার শরিফুল।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের আরএমও পার্থ প্রতিম চক্রবর্তী বলেন, হৃদযন্ত্রের (হার্ট) সমস্যায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্ত শেষে রিপোর্ট আসার পরে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
কুষ্টিয়ায় পদ্মার চর থেকে যুবকের ৯ টুকরা লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পদ্মা নদীর চর থেকে এক যুবকের খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাশের ৯টি খণ্ড পৃথক ৬ স্থানে পুঁতে রাখা হয়েছিল।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের কান্তিনগর বোয়ালদহ সংলগ্ন পদ্মার চর থেকে লাশের টুকরোগুলো উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, চাঁদার দাবিতে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাবেক সহ-সভাপতি এস কে সজিবের নেতৃত্ব এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। পুলিশ সজিবসহ ৫ জনকে আটক করেছে।
নিহত যুবকের নাম মিলন হোসেন (২৪)। তিনি দৌলতপুর উপজেলার পূর্ব বাহিরমাদি গ্রামের মাওলা বক্সের ছেলে। তিনি পরিবার নিয়ে কুষ্টিয়া শহরের হাউজিংয়ের ই-ব্লকের ভাড়া বাসায় থাকতেন।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির ভাসমান লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) পলাশ কান্তি নাথ বলেন, বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে মিলন বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। ওই দিন সন্ধ্যায় তার স্ত্রী মুমো খাতুন কুষ্টিয়া মডেল থানায় জিডি করেন। জিডির প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, মুঠোফোনের একটি কল লিস্টের সূত্র ধরে প্রথমে মিলনের এক বন্ধুকে আটক করা হয়। তার স্বীকারোক্তিতে জানা যায়, আরেক বন্ধু সজিবের নেতৃত্বে মিলনকে হত্যা করা হয়েছে। পরবর্তীতে শুক্রবার বিকালে অভিযান চালিয়ে সজিবসহ আরও ৪ জনকে আটক করা হয়।
পলাশ কান্তি নাথ বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে তারা মিলনকে হত্যা করে তার লাশ টুকরা করে নদীর চরে পুঁতে রাখার বিষয়টি স্বীকার করেন। এরপর শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে তাদেরকে নিয়ে হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের কান্তিনগর বোয়ালদহ পদ্মা নদীর চরে অভিযানে যায় পুলিশ। রাতভর অভিযান চালিয়ে নদীর চরের ছয়টি স্থান থেকে মিলনের খণ্ডিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র বাঁধ বাজার এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারের হোটেল থেকে পর্যটকের লাশ উদ্ধার
খুবি ক্যাম্পাসে শোভা পাচ্ছে সূর্যমুখীর হাসি
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) তৃতীয় একাডেমিক ভবনের সামনের পুকুরের চারপাশ, চারুকলা কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে ও পেছনে, উপাচার্যের বাসভবনের সামনে সূর্যমুখী ফুলের আবাদ হয়েছে। তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসনিক ভবনের সামনে, ছাত্র-ছাত্রীদের হলের সামনে গাঁধা ফুলের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের ফুলের সমারোহও দেখা যায়।
প্রস্ফুটিত এ সব ফুলে এখন সুশোভিত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। ফুলে ফুলে সজ্জিত ক্যাম্পাস যেন শিল্পীর তুলিতে আঁকা নয়ন জুড়ানো অপরূপ কোনো ছবি!
বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতেই হাতের ডান পাশে তাকালেই ‘কালজয়ী মুজিব’ ম্যুরালের সম্মুখে দেখা যাবে রংবেরঙের নানা ফুল। একটু সামনে এগিয়ে যেতেই হাতের বাম পাশে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসনিক ভবনকে ঘিরে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন সব ফুলের বাগান।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে সূর্যমুখী ফুলে আকৃষ্ট হচ্ছেন মানুষ
উপাচার্যের বাসভবন ও মাইকেল মধুসূদন দত্ত অতিথি ভবনের সম্মুখে সৌরভ ছড়াচ্ছে নানা রঙের গাঁদা ফুল। ফুটে থাকা এসব ফুলের বাগানের সৌন্দর্যে মোহিত হন সবাই।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন স্থানে রোপণ করা হয়েছে হরেক রকমের ফুলগাছ। গড়ে তোলা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন বাগান। উপাচার্যের বাসভবন, অগ্রণী ব্যাংক, পোস্টঅফিস প্রাঙ্গণ, অপরাজিতা হল, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, খান বাহাদুর আহছানউল্লা হল, খান জাহান আলী হলসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি একাডেমিক ভবন ও আবাসিক হলের ভেতরের প্রতিটি স্থানে রোপণ করা হয়েছে হরেক রকমের ফুলগাছ। এসব বাগানে ফুটেছে রংবেরঙের নানা প্রকৃতির ফুল। তবে সবচেয়ে বেশি ফুটেছে সূর্যমুখী।
আরও পড়ুন: খুলনাঞ্চলের লবণাক্ত জমিতে সূর্যমুখীর হাসি
যশোরে চার দিনব্যাপী ফুল উৎসব শুরু
যশোরের ঝিকরগাছায় চার দিনব্যাপী ফুল উৎসবের উদ্বোধন হয়েছে। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে এ উৎসব।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বিকালে উপজেলার গদখালী-পানিসারা-হাড়িয়া ফুলমোড়ে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. আবরাউল হাছান মজুমদার।
আয়োজক সূত্র জানিয়েছে, এবারের মেলায় ফুল উৎপাদক, ব্যবসায়ী ও দর্শনার্থীরা অংশগ্রহণ করেছে। মেলায় ১৪টি স্টলে এ অঞ্চলের বিভিন্ন পণ্য ব্রান্ডিং করা হয়েছে। দর্শনার্থীরা সেখান থেকে পণ্য কিনছে ও ঘুরে দেখছেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক বলেন, মানুষ এখন কক্সবাজার, সিলেট, বান্দরবান, রাঙামাটি বেড়াতে যায়। একইভাবে মানুষ যশোরেও বেড়াতে আসবে। পর্যটক আসার মতো অনেক কিছুই যশোরে রয়েছে। এরমধ্যে এখন অন্যতম হয়ে উঠেছে গদখালীর ফুল বাগান ও চাষাবাদ। মানুষ এখান থেকে ফুল কিনছে ও ঘুরে ঘুরে আনন্দ করছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিতান কুমার মন্ডল।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মাসব্যাপী ফুল উৎসব শুরু হচ্ছে আজ
বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার যশোরের উপপরিচালক রফিকুল হাসান, সহকারী পুলিশ সুপার (নাভারণ সার্কেল) নিশাত আল-নাহিয়ান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রশিদুল আলম, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল হোসেন ভূঁইয়া।
এ সময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ঝিকরগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন পলাশ।
চাষিদের মধ্যে বক্তব্য দেন যশোর ফুল উৎপাদক ও বিপণন সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুর রহিম ও নারী উদ্যোক্তা সাজেদা বেগম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে উৎসব চত্ত্বরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে কুষ্টিয়া লালন একাডেমির শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন।
এছাড়াও বিভিন্ন শিল্পীরা নৃত্য পরিবেশন করেন।
আরও পড়ুন: ফুল ভাসিয়ে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ৩ দিনের বৈসাবি উৎসব শুরু
যশোরের অভয়নগরে ৩টি ক্লিনিককে ১.৫৫ লাখ টাকা জরিমানা
যশোরের অভয়নগর উপজেলার তিনটি ক্লিনিককে ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছেন ভ্রাম্যমাণ অদালত।
বুধবার (৩১জানুয়ারি) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন ক্লিনিকে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমান আদালতের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও উপজেলা প্রশাসনের দুইটি টিম।
প্রথমে নওয়াপাড়ার চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম পরিলক্ষিত হওয়ায় মেডিকেল প্র্যাকটিস এবং বেসরকারি ক্লিনিক ও ল্যাব (নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ ১৯৮২ এর ১৩ (২) ধারা মোতাবেক এল ভি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক মো. শামছুস ইসলামকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
পর্যাপ্ত ডিউটি ডাক্তার না থাকা ও সরকারি অনুমোদনের অতিরিক্ত রোগী ভর্তির অপরাধে মেডিকেল প্র্যাকটিস এবং বেসরকারি ক্লিনিক ও ল্যাব (নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ ১৯৮২ এর ১৩ (২) ধারা এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৮ এবং ৫২ ধারা মোতাবেক ফাতেমা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক মো. তরিকুল ইসলামকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অবৈধ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
এদিকে, বিভিন্ন প্রকার পরীক্ষা নিরীক্ষার নির্ধারিত মূল্য তালিকা থাকা সত্ত্বেও অতিরিক্ত অর্থ আদায় করার দায়ে ভোক্তা সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪০ ধারায় আরোগ্য সদন প্রাইভেট হাসপাতালের মালিক মিলন কুমার বসুকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
যশোর র্যাব-৬ সিপিসি-৩ এর স্কোয়াড কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. ফয়সাল তানভীর বলেন, ‘বুধবার দিনব্যাপী সিভিল প্রশাসনের সঙ্গে যৌথ এই ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক ৩টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। পরবর্তীতে চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় এ সকল অনিয়ম না করার জন্য সতর্কও করা হয়েছে।’
জরিমানার অর্থ সংশ্লিষ্ঠ ব্যক্তি তাৎক্ষণিক প্রদান করায় সরকারি কোষাগারে জমা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে লাইসেন্সবিহীন ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার ১৪টি
খুলনায় নিবন্ধনহীন ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারের তালিকা করছে সিভিল সার্জন অফিস
চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা বেড়েছে, গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হয়েছে রাতে
চুয়াডাঙ্গায় এক দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা বেড়েছে প্রায় ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে একদিকে বাড়তে শুরু করেছে তাপমাত্রা এবং অন্যদিকে কমছে শীতের তীব্রতা।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে এ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে, মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা শহরে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি দেখা গিয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, গত রবিবার (২৮ জানুয়ারি) এ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর থেকে উপরে উঠতে থাকে তাপমাত্রার পারদ। সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি ও মঙ্গলবার ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এক দিনের ব্যবধানে আজ বুধবার তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
আরও পড়ুন: তীব্র শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, বুধবার সকাল ৬টায় এ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৯৬ শতাংশ। সকাল ৯টায় একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এছাড়া রাতে শূন্য দশমিক ৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়ে তিনি আরও জানান, আজসহ আগামী শুক্রবার পর্যন্ত আকাশ মেঘলাসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এই মেঘলা কেটে গেলে আবারও শীত অনুভূত হবে। তবে আগামী সপ্তাহের শেষে আবারও একটি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, হঠাৎ তাপমাত্রার পারদ ওঠানামা করায় অনেকে আক্রান্ত হচ্ছেন বিভিন্ন রোগে। জ্বর ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে অনেকে ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে। এই পরিস্থিতিতে সবাইকে সচেতন থাকতে বলছে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ। বিশেষ করে শিশুদের প্রতি যত্ন নেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬.৬ ডিগ্রি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ
শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার আসামি সাত্তারের মৃত্যু
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি বহরে হামলা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি আব্দুস সাত্তার মারা গেছেন।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
আব্দুস সাত্তার উপজেলার কয়লা গ্রামের মৃত লতিফ সানার ছেলে।
আরও পড়ুন: অটোরিকশার চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু
সাতক্ষীরা জেলা কারাগারের সুপার আবুল বাশার জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি আব্দুল লতিফ। রবিবার সন্ধ্যায় তিনি অসুস্থবোধ করলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক সাইফুল ইসলাম জানান, হাসপাতালে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। কারাগার থেকে হাসপাতালে আনার পথে তার মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করেন তিনি।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিদুল ইসলাম জানান, সোমবার লাশের ময়নাতদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে সাত্তারের লাশ তার স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বালুভর্তি ট্রাক উল্টে কিশোরের মৃত্যু
চট্টগ্রামে ঘুড়ি ধরতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নারীর মৃত্যু