খুলনা
বেনাপোলে পৃথক অভিযানে ১৯ স্বর্ণের বার উদ্ধার, আটক ২
বেনাপোল সীমান্তে পৃথক অভিযানে ৩ কেজি ১৬০ গ্রাম ওজনের ১৯টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় দু’জনকে আটক করা হয়। বুধবার ভোর রাতে পুটখালি ও মালিপোতা সীমান্ত থেকে তাদের আটক করে বিজিবি।
আটক ব্যক্তিরা হলেন-পুটখালী ইউনিয়নের ইসমাইল সর্দারের ছেলে আঁশা সর্দার (২৮) ও মৃত কালাম হোসেনের ছেলে সোহানুর রহমান বিশাল (২৭)।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ৬টি স্বর্ণের বারসহ নারী আটক
উদ্ধার হওয়া বারের মধ্যে ৪৯ বর্ডার গার্ড পরিত্যক্ত অবস্থায় দুই কেজি ১০০ গ্রাম ওজনের ১৮ পিস এবং ২১ বর্ডার গার্ডে এক কেজি ৬০ গ্রাম ওজনের একটি বার রয়েছে।
আরও পড়ুন: শাহজালাল বিমানবন্দরে প্রায় সাড়ে আট কোটি টাকার স্বর্ণের বার জব্দ
যশোর ৪৯ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহেদ মিনহাজ সিদ্দিকী জানান, ভারতের বিপুর পরিমাণ স্বর্ণ পাচার হচ্ছে এমন সংবাদ পেয়ে বিজিবি সদস্যরা অভিযান চালিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানার মালিপোতা সীমান্ত থেকে দুই কেজি ১০০ গ্রাম ওজনের ১৮ পিস স্বর্ণের বার উদ্ধার করে। এ সময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারীরা পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ৮০টি স্বর্ণের বারসহ নিরাপত্তারক্ষী আটক
খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর রহমান জানান, বিএসবির (গোয়েন্দা) গোপন তথ্যে খবর পেয়ে বিজিবি সদস্যরা পুটখালী সীমান্তে অভিযান চালায়। পরে সোহানুর রহমান বিশাল ও আঁশা সর্দার নামে দুজনের কাছ থেকে এক কেজি ৬০ গ্রাম ওজনের এক পিস স্বর্ণের বার উদ্ধার এবং তাদের আটক করা হয়।
ভারতে ৩ বছর কারাভোগের পর দেশে ফিরলেন ৪ নারী
ভালো কাজের প্রলোভনে পাচারের শিকার চার নারী ভারতে তিন বছর কারাভোগের পর ট্রাভেল পারমিটে বেনাপোল দিয়ে দেশে ফিরেছেন বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ পাচার হওয়া এসব নারীদের বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে হস্তান্তর করেন।
আরও পড়ুন: ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ৮ নারী
ফেরত আসা নারীরা হলেন- তানজিলা আক্তার (২৩), সাবিরা খাতুন (২০), শিল্পী খাতুন (২৬) ও রহিমা খাতুন (২৭)। তাদের বাড়ি যশোর ও গাজীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায়।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, ভালো কাজের আশায় দালালদের খপ্পরে পড়ে তারা ভারতে পাড়ি জমান। পরে সেখানকার পুলিশ তাদের আটক হয়ে জেল হাজতে পাঠায়। প্রায় তিন বছর পর তারা বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে দেশে ফেরত আসে।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার সময় আটক ২
ওসি জানান, ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে এই চার নারীকে তাদের পরিবারের কাছে পৌঁছে দিতে যশোর জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার নামে একটি এনজিও সংস্থার কাছে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
যশোর জাস্টিজ অ্যান্ড কেয়ারের ফিল্ড অফিসার রোকেয়া খাতুন জানান, ফেরত আসা বাংলাদেশিরা যদি পাচারকারীদের শনাক্ত করে আইনি সহায়তা চাইলে সংস্থার পক্ষ থেকে তাদের সহযোগিতা করা হবে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে আসছে ভারতীয় গরু
তিনি জানান, ফেরত আসা ৪ নারীকে বেনাপোল থেকে যশোরে নিজেদের সংস্থার শেল্টার হোমে রাখা হবে। পরে অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের হাতে হস্তান্তর করা হবে।
দুর্গাপূজা: বাগেরহাটে ৬৪২টি মন্দিরে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি
বাগেরহাটে শারদীয় দুর্গোৎসবের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। জেলায় এবছর ৬৪২টি মন্দিরে দুর্গোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। পূজামণ্ডপগুলোতে কারিগরদের নিপুণ হাতের ছোঁয়া, আর রং তুলিতে প্রতিমা সাজানো হচ্ছে। মাটির প্রতিমায় জীবন্ত রূপ দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা।
অন্যদিকে, এসব মণ্ডপে নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা উদযাপনের জন্য প্রতিবছরের মতো এবারও পুলিশ, র্যাব ও আনসার সদস্যরা কাজ করবেন।
মঙ্গলবার দুপুরে বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা, নিরাত্তা ব্যবস্থা এবং পূজা চলাকালীন আযান ও নামাজের সময়সূচি নির্ধারণ সংক্রান্ত এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান। সভায় জেলার বিভিন্ন মসজিদের ইমাম,পূজা উদযাপন পরিষদের কর্মকর্তাসহ জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, পূজার এই পাঁচদিন জেলার সব মসজিদে একই সময়ে আযান ও নামাজ হবে।
আরও পড়ুন: দুর্গা পূজায় দুর্ভেদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে পুলিশ: আইজিপি
বাগেরহাট শ্রীশ্রী হরিসভা মন্দির দুর্গাপূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি লিটন সরকার জানান,এবারের শারদীয় দুর্গোৎসব ঘিরে এক ধরনের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এপর্যন্ত প্রশাসনের সবগুলো সভাতেই দুর্গোৎসবকে ঘিরে শঙ্কা প্রকাশ করেছে।
তিনি বলেন, দুর্গোৎসব শুধু হিন্দুদের নয়, বাঙালীর সংস্কৃতিরও অংশ।
আর তাই দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার জন্য সরকারের কাছে সার্বিক সহযোগীতার দাবি জানান তিনি।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক জানান, শারদীয় দুর্গোৎসব শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর করতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে দুই স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রতিটি পূজামণ্ডপে সিসি ক্যামেরার পাশাপাশি নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে। স্টাটিক ডিউটির পাশাপাশি, পর্যাপ্ত মোবাইল টিম রাখা হবে।
তিনি জানান, দুর্গোৎসব শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য জেলা পুলিশ পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা রেখেছে। শঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
পুলিশ সুপার আরও জানান, এরইমধ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
আর কদিন বাদে সনাতনধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শরৎকালের কাশফুলের সৌন্দর্য জানান দিচ্ছে দেবী দুর্গা স্বর্গ থেকে মর্ত্যলোকে আসছেন।
মহামারি করোনার কারণে গেল দুই বছর দুর্গাপূজায় উৎসবের কিছুটা কমতি ছিল। এবছর করোনার প্রভাব কমে আসায় আড়ম্বরসহকারে পূজার আয়োজন চলছে। দর্শনার্থী আর ভক্তদের ঢল নামবে এমন আশায় মণ্ডপগুলো সাজানো হচ্ছে নানা ভাবে। ভক্তরাও অপেক্ষায় রয়েছে দেবী দুর্গাকে বরণ করতে।
এই মুহূর্তে বিভিন্ন পূজামণ্ডপে দেবদেবীর প্রতিমায় রঙের কাজ চলছে। প্রতিমা শিল্পীরা অপরূপ সাজে প্রতিমা সাজাচ্ছেন। এই সঙ্গে পূজামণ্ডপগুলোতে সাজসজ্জা আর আলোক সজ্জার কাজ চলছে।
বাগেরহাট শহরের শালতলা শ্রীশ্রী হরিসভা মন্দিরে গিয়ে দেখা গেছে,শিল্পীরা রং তুলিতে দেবদেবীর প্রতিমা সাজাচ্ছেন। সেই সঙ্গে চলছে সাজসজ্জা আর লাইটিংয়ের কাজ। এই অঞ্চলের মধ্যে এই প্রথম শতবছরের প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী হরিসভা মন্দিরের থিমের ওপর ভিত্তি করে সাজসজ্জা করা হচ্ছে। ডেকরেশনে অনটাইম প্লেট ও বাটি ও বাঁশের তৈরি কুলার ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া নানা ধরণের উপকরণ ব্যবহার করে সাজসজ্জায় নানা বৈচিত্র আনা হয়েছে। এই পূজামন্দিরে দূর-দূরান্ত থেকে কয়েক হাজার দর্শনার্থী ও ভক্তদের ঢল নামবে বলে আয়োজকরা আশা করছেন।
উল্লেখ্য, ১ অক্টোবর মহাষষ্ঠী পূজার মধ্যে দিয়ে দেবী দুর্গা হাতিতে (গজে) চড়ে স্বর্গ থেকে মর্ত্যলোকে আসবেন। মহাসপ্তমী,মহাঅষ্টমী,মহানবমী এবং ৫ অক্টোবর দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে দুর্গাপূজা।
আরও পড়ুন: দুর্গা পূজায় দুর্ভেদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে পুলিশ: আইজিপি
দুর্গাপূজা: এমন উৎসব যা বাংলাদেশকে এক করে
বেনাপোল সীমান্তে ১০ স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ১
বেনাপোলের গোগা সীমান্ত এলাকায় ১০টি স্বর্ণের বারসহ এক পাচারকারীকে আটকের দাবি করেছে বর্ডার গার্ড (বাংলাদেশ) বিজিবি। মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে গোগা সীমান্তের গাজীপাড়া থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক সাকিব হোসেন (১৮) গোগা গ্রামের মৃত কালাম হোসেনের ছেলে।
খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর রহমান (পিএসসি) জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোগা সীমান্তের গাজীপাড়া এলাকায় বিজিবির একটি অভিযানিক দল অভিযান চালিয়ে ওই পাচারকারীকে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে আসে। পরে তার হাতে থাকা সারের ব্যাগে তল্লাশি চালিয়ে ১০টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়।
জব্দকৃত স্বর্ণের ওজন এক কেজি ২৩৩ গ্রাম। যার বাজার মূল্য প্রায় কোটি টাকা।
তিনি আরও জানান, স্বর্ণের পাচার রোধে সীমান্ত এলাকায় বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে। আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে শার্শা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সাড়ে ১৭ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ, গ্রেপ্তার ২
যশোরে মাদক ও মদ জব্দ, আটক ৯
বিয়ানীবাজারে ২৩৬ বোতল ফেনসিডিল জব্দ, গ্রেপ্তার ১
ধানখেতে সার দিতে গিয়ে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
খুলনার কয়রায় ধানখেতে সার দেয়ার সময় বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের কালনা বিলে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত কৃষকের নাম নূর ইসলাম গাজী। তিনি ওই ইউনিয়নের কালনা গ্রামের মৃত আলি গাজীর ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নূর ইসলাম কালনা বিলে তার নিজের ধানখেতে সার দেয়ার সময় হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হয় আর সেই সঙ্গে বজ্রপাত হয়। বজ্রপাতে তিনি আহত হন। স্থানীয়রা টের পেয়ে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, নূর ইসলাম তার নিজের ধানখেতে সার দিচ্ছিল। এ সময় বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুবর্ণচরে বজ্রপাতে গৃহবধূর মৃত্যু
মেঘনায় বজ্রপাতে জেলে নিখোঁজ, আহত ১
হবিগঞ্জে বজ্রপাতে ২ কৃষক নিহত
চুয়াডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় ভ্যানচালক নিহত
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে যাত্রীবাহী বাস ও ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে জীবননগর উপজেলার বৈদ্যনাথপুর গ্রামে মসজিদের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মোতালেব হোসেন (৫২) জীবননগর উপজেলার বৈদ্যনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক জানান, সোমবার দুপুরে কাজ শেষে ব্যাটারিচালিত পাখি ভ্যান নিয়ে জীবননগর থেকে বাড়ি ফিরছিলেন মোতালেব হোসেন। এসময় বৈদ্যনাথপুর গ্রামের মসজিদের সামনে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী বাস তাকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
ওসি আরও জানান, ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বাসটি জব্দ করা হয়েছে। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় চাঁদপুরের যুবক নিহত
হাজারীবাগে কুরিয়ার সার্ভিসের ডিপোতে বিস্ফোরণ, নিহত ১
ফিলিপাইনে টাইফুনের আঘাতে ৫ উদ্ধারকর্মী নিহত
সুপেয় পানির সংকট নিরসনের দাবিতে খালি কলসি মিছিল!
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে সুপেয় পানির সংকট নিরসনের দাবিতে খালি কলসি নিয়ে মিছিল করেছেন স্থানীয়রা। রবিবার বিকালে উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের পোড়াকাটলা গ্রামে ব্যতিক্রমী এ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘বারসিক’-এর সহযোগিতায় উপকূলীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘সুন্দরবন স্টুডেন্ট সলিডারিটি টিম’ ও ‘সিডিও ইয়ুথ টিম’ আয়োজিত এই প্রতীকী মিছিলে সংহতি প্রকাশ করে স্থানীয় কয়েকশ’ নারী-পুরুষ খালি কলসি নিয়ে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: পিবিআইকে যা বললেন রহিমা
এসময় সমবেত নারী-পুরুষের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন শ্যামনগর উপজেলা জনসংগঠন সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ সিরাজুল ইসলাম।
এসময় শেখ সিরাজুল ইসলাম বলেন,পানির রাজ্যে খাওয়ার পানি নেই। বার বার নদী ভাঙনের ফলে উপকূলের মিষ্টি পানির আধারগুলো লবণ পানিতে ডুবে যায়। খাওয়ার পানি সংগ্রহে উপকূলের নারীদের সবসময় সংগ্রাম করতে হয়। বাধ্য হয়ে পানি কিনে খেতে হয়।
তিনি আরও বলেন, উপকূলবাসীকে সুপেয় পানির নিশ্চয়তা রাষ্ট্রকেই দিতে হবে। সেই সঙ্গে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
এর আগে একই দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালিত হয়।
আরও পড়ুন: খুলনার রহিমাকে পিবিআইয়ে হস্তান্তর
চুয়াডাঙ্গায় ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
পিবিআইকে যা বললেন রহিমা
অবশেষে উদ্ধারের ১৬ ঘন্টা পর মুখ খুলেছেন রহিমা বেগম । তিনি দাবি করেছেন, নিজ বাসার নিচ থেকে চার থেকে পাঁচজন লোক মুখে কাপড় বেঁধে তাকে অপহরণ করেছিল। রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে সন্তানদের মুখোমুখি করা হলে তিনি মুখ খোলেন।
পুলিশ ইনভেস্টিগেশন অব বাংলাদেশ (পিবিআই) খুলনার পুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিকুর রহমান বলেন, শনিবার ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার সৈয়দপুর গ্রাম থেকে উদ্ধারের পর থেকে কোনো কথাই বলছিলেন না রহিমা বেগম। বেলা ১টার দিকে মেয়ে মরিয়ম মান্নানসহ তাকে চার মেয়ের মুখোমুখি করা হয়। এসময় মেয়েরা মাকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরে তিনি অপহৃত হয়েছিলেন বলে দাবি করেন। কান্নারত অবস্থায় মেয়েরা মাকে বলতে থাকেন, আমাদের ছেড়ে আর কোনোদিন কোথাও যাবে না! আমাদের জমির দরকার নেই। মাকে দরকার, তোমাকে দরকার!
জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে সৈয়দ মোশফিকুর রহমান বলেন, রহিমা বেগমকে অপহরণের পর অজ্ঞাতস্থানে ছেড়ে দেয়া হয় বলে দাবি করেন। জমি-জমার বিরোধ থাকা কিবরিয়া, মহিউদ্দিনসহ কয়েক ব্যক্তি তার কাছ থেকে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেন ও বাড়াবাড়ি না করার হুমকি দেন। এক পর্যায়ে তাকে এক হাজার টাকা দিয়ে ছেড়ে দেন।
রহিমা বেগমের দাবি, তিনি কিছুই চিনতে পারছিলেন না। এক পর্যায়ে গোপালগঞ্জের মুকছেদপুর হয়ে পূর্ব পরিচিত ভাড়াটিয়ার ফরিদপুরের বোয়ালখালী উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামে যান। কিন্তু তার কাছে কোনো মোবাইল নম্বর না থাকায় কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি।
আরও পড়ুন: খুলনার রহিমাকে পিবিআইয়ে হস্তান্তর
পুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিকুর রহমান বলেন, আমরা রহিমা বেগমের বক্তব্য খতিয়ে দেখছি। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আইন অনুযায়ী সবকিছু করা হবে।
এর আগে ফরিদপুরের বোয়ালমারী থেকে শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে উদ্ধারের পর রহিমা বেগম (৫৫) ও আরও দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। গত ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি ফরিদপুরের বোয়ালমারীর কুদ্দুসের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। কুদ্দুস এক সময় খুলনার জুট মিলে চাকরি করতেন ও রহিমা বেগমের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে ছিলেন। রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সোনাডাঙ্গা ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার থেকে রহিমা বেগমকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কার্যালয়ে আনা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট রাত আনুমানিক ১০টার দিকে খুলনা মহানগরীর মহেশ্বরপাশার উত্তর বণিকপাড়ার নিজ বাসা থেকে টিউবওয়েলে পানি আনতে গিয়ে নিখোঁজ হন রহিমা বেগম। এরপর আর ঘরে ফেরেননি তিনি। স্বামী ও ভাড়াটিয়ারা নলকূপের পাশে ঝোপঝাড়ে তার ব্যবহৃত ওড়না, স্যান্ডেল ও বালতি দেখতে পান। সেই রাতে মাকে খুঁজতে আত্মীয়স্বজন, আশপাশসহ সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করেন সন্তানরা। রহিমার ছয় সন্তান কখনও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, কখনো মাইকিং, কখনও আত্মীয়স্বজনদের দ্বারস্থ হয়েছেন। সাংবাদিক সম্মেলন, মানববন্ধনের পর মাকে খুঁজে পেতে গত ১৪ সেপ্টেম্বর দৌলতপুর থানায় মামলাও দায়ের করেন। মামলার বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে পিবিআই তদন্তের ভার পায়। ১৭ সেপ্টেম্বর দৌলতপুর থানা থেকে মামলাটি পিবিআইয়ে স্থানান্তর করা হয়।
পুলিশ জানায়, গত ২৭ আগস্ট নগরীর মহেশ্বরপাশা এলাকার বাড়ির সামনে থেকে রহিমা বেগম নিখোঁজ হয়-এ অভিযোগ তুলে তার মেয়ে আদুরি আকতার বাদী হয়ে পরের দিন দৌলতপুর থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় এ পর্যন্ত ৬ জন আটক হয়েছেন। তারা হলেন-খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) প্রধান প্রকৌশল কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী মো. গোলাম কিবরিয়া, নিখোঁজ গৃহবধূর দ্বিতীয় স্বামী হেলাল হাওলাদার, দৌলতপুর মহেশ্বরপশা বণিকপাড়া এলাকার মহিউদ্দিন, পলাশ, জুয়েল এবং হেলাল শরীফ।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
সাফ জেতার মধ্য দিয়ে মেয়েদের ফুটবল খেলা নিয়ে সমালোচনা জয় করেছি: সাবিনা
খুলনার রহিমাকে পিবিআইয়ে হস্তান্তর
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া খুলনার রহিমা বেগমকে আজ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, রহিমা গত ২৯ দিন ধরে ‘নিখোঁজ’ ছিল এবং আজ তাকে উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার কুদ্দুসের বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। তিনি ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে সেখানে ছিলেন।
খুলনা মহানগর পুলিশের (উত্তর) উপকমিশনার মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশ বাড়িটিতে গেলে রহিমাকে দুই নারীর সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। পুলিশ অফিসাররা প্রশ্ন করা শুরু করলে তিনি কথা বলা বন্ধ করেন।
খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) কর্মকর্তা বলেন, যেহেতু মামলাটি পিবিআইতে স্থানান্তর করা হয়েছে, তারা এখন বিষয়টি দেখবে। রহিমার ‘নিখোঁজ’ হওয়ার এই পুরো ঘটনা ও তাকে খোঁজ করা সারাদেশজুড়ে আলোড়ন তৈরি করেছে।
তিনি বলেন, ‘আল্লাহর কাছে হাজার শুকরিয়া যে আমরা তাকে খুঁজে বের করতে পেরেছি। আমরা সবাই খুশি এবং স্বস্তি পেয়েছি। বাকিটা পিবিআই তদন্ত করবে। আমি আশাবাদী যে পিবিআই রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হবে।’
ফরিদপুরের যে বাড়িতে রহিমাকে পাওয়া গেছে সেখান থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই নারীসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: খুলনার ‘নিখোঁজ’ রহিমা ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ফরিদপুরে ছিলেন: পুলিশ
এ প্রসঙ্গে রহিমার ছেলে সাদী বলেন, ‘যেহেতু আমার মা জীবিত উদ্ধার হয়েছে, সেহেতু তার মুখে নিখোঁজের বিষয়টি জানলে তিনি ভালো বলতে পারবেন।’
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় যদি আমার পরিবারের কেউ জড়িত থাকে তবে প্রশাসন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।’
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বিষয়টি আরও তদন্ত করবে বলে জানিয়েছেন মোল্লা জাহাঙ্গীর।
উল্লেখ্য, দৌলতপুর মহেশ্বরপাশা বণিকপাড়ায় গত ২৭ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে পানি আনতে বাড়ি থেকে বের হন রহিমা খাতুন (৫৫)। দীর্ঘ সময় পার হলেও তিনি আর বাসায় ফেরেননি। পরে মায়ের খোঁজে বের হয়ে সন্তানরা মায়ের ব্যবহৃত স্যান্ডেল, গায়ের ওড়না ও কলস রাস্তার ওপর পড়ে থাকতে দেখেন। রাতে সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ নেয়ার পর তাকে না পাওয়া গেলে সাধারণ ডায়েরি এবং পরবর্তীতে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে দৌলতপুর থানায় মামলা দায়ের করেন তারা।
গত ২০ দিনেও রহিমার খোঁজ মেলেনি। এ অবস্থায় পরিবারের সদস্যদের আবেদনে মামলাটি পিবিআইয়ের যাচ্ছে। এ পর্যন্ত পুলিশ ও র্যাব যৌথ অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন ছয় জনকে গ্রেপ্তার করলেও কোনো তথ্য উদঘাটন করা যায়নি।
আরও পড়ুন: খুলনার ‘নিখোঁজ’ রহিমা বেগম ফরিদপুরে জীবিত উদ্ধার: পুলিশ
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তরের আদেশ হয়েছে। কিন্তু ১৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নথি হস্তান্তর হয়নি। পিবিআই যেদিন চাইবে সেদিনই নথি হস্তান্তর করা হবে। এ জটিলতার কারণে এ মামলায় গৃহবধূর স্বামীর রিমান্ড আবেদনের শুনানি হয়নি। পিবিআই মামলাটি বুঝে নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে। এ পর্যন্ত ছয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) প্রধান প্রকৌশল কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী মো. গোলাম কিবরিয়া, নিখোঁজ গৃহবধূর স্বামী হেলাল হাওলাদার, দৌলতপুর মহেশ্বরপশা বণিকপাড়া এলাকার মহিউদ্দিন, পলাশ, জুয়েল এবং হেলাল শরীফ।
নিখোঁজ রহিমা খাতুনের মেয়ে মরিয়ম মান্নান বলেন, ১২ সেপ্টেম্বর ১৭ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ আমার মায়ের সন্ধান দিতে পারেনি। ফলে ১৩ সেপ্টেম্বর ১৮তম দিনে আমার ছোট বোন আদুরি আক্তার আদালতে মামলাটি পিবিআইতে হস্তান্তরের আবেদন করে। শুনানি শেষে ওই দিনই আদালত মামলা পিবিআইতে হস্তান্তরের আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে খুলনার নিখোঁজ নারীর লাশ পাওয়ার বিষয়ে পরিবারের সন্দেহ প্রকাশ
চুয়াডাঙ্গায় ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার জগন্নাথপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার সকাল ১০টার দিকে জগন্নাথপুর গ্রামের মাঠে রেললাইনের ওপর থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে ফাঁড়ি পুলিশ।
নিহত সানারুল ইসলাম (২৫) আলমডাঙ্গা উপজেলার পারকুলা গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে।
চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদ রানা জানান, রবিবার ভোর ৪টা ৪০ মিনিটের দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী আন্তঃনগর চিত্রা এক্সপ্রেক্স ট্রেনে কাটা পড়েন সানারুল। তার ডান হাত ও দুই পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ভোরে রেললাইন পার হওয়ার সময় চলন্ত ট্রেনে কাটা পড়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, নিহতের লাশ সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এ ঘটনায় আইনগত বিষয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুন: সাফ জেতার মধ্য দিয়ে মেয়েদের ফুটবল খেলা নিয়ে সমালোচনা জয় করেছি: সাবিনা
খুলনায় তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৪
বেনাপোল চেকপোস্টে ১ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলারসহ আটক ২