খুলনা
পিবিআইকে যা বললেন রহিমা
অবশেষে উদ্ধারের ১৬ ঘন্টা পর মুখ খুলেছেন রহিমা বেগম । তিনি দাবি করেছেন, নিজ বাসার নিচ থেকে চার থেকে পাঁচজন লোক মুখে কাপড় বেঁধে তাকে অপহরণ করেছিল। রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে সন্তানদের মুখোমুখি করা হলে তিনি মুখ খোলেন।
পুলিশ ইনভেস্টিগেশন অব বাংলাদেশ (পিবিআই) খুলনার পুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিকুর রহমান বলেন, শনিবার ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার সৈয়দপুর গ্রাম থেকে উদ্ধারের পর থেকে কোনো কথাই বলছিলেন না রহিমা বেগম। বেলা ১টার দিকে মেয়ে মরিয়ম মান্নানসহ তাকে চার মেয়ের মুখোমুখি করা হয়। এসময় মেয়েরা মাকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরে তিনি অপহৃত হয়েছিলেন বলে দাবি করেন। কান্নারত অবস্থায় মেয়েরা মাকে বলতে থাকেন, আমাদের ছেড়ে আর কোনোদিন কোথাও যাবে না! আমাদের জমির দরকার নেই। মাকে দরকার, তোমাকে দরকার!
জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে সৈয়দ মোশফিকুর রহমান বলেন, রহিমা বেগমকে অপহরণের পর অজ্ঞাতস্থানে ছেড়ে দেয়া হয় বলে দাবি করেন। জমি-জমার বিরোধ থাকা কিবরিয়া, মহিউদ্দিনসহ কয়েক ব্যক্তি তার কাছ থেকে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেন ও বাড়াবাড়ি না করার হুমকি দেন। এক পর্যায়ে তাকে এক হাজার টাকা দিয়ে ছেড়ে দেন।
রহিমা বেগমের দাবি, তিনি কিছুই চিনতে পারছিলেন না। এক পর্যায়ে গোপালগঞ্জের মুকছেদপুর হয়ে পূর্ব পরিচিত ভাড়াটিয়ার ফরিদপুরের বোয়ালখালী উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামে যান। কিন্তু তার কাছে কোনো মোবাইল নম্বর না থাকায় কারো সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি।
আরও পড়ুন: খুলনার রহিমাকে পিবিআইয়ে হস্তান্তর
পুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিকুর রহমান বলেন, আমরা রহিমা বেগমের বক্তব্য খতিয়ে দেখছি। তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আইন অনুযায়ী সবকিছু করা হবে।
এর আগে ফরিদপুরের বোয়ালমারী থেকে শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে উদ্ধারের পর রহিমা বেগম (৫৫) ও আরও দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। গত ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি ফরিদপুরের বোয়ালমারীর কুদ্দুসের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। কুদ্দুস এক সময় খুলনার জুট মিলে চাকরি করতেন ও রহিমা বেগমের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে ছিলেন। রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সোনাডাঙ্গা ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার থেকে রহিমা বেগমকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কার্যালয়ে আনা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট রাত আনুমানিক ১০টার দিকে খুলনা মহানগরীর মহেশ্বরপাশার উত্তর বণিকপাড়ার নিজ বাসা থেকে টিউবওয়েলে পানি আনতে গিয়ে নিখোঁজ হন রহিমা বেগম। এরপর আর ঘরে ফেরেননি তিনি। স্বামী ও ভাড়াটিয়ারা নলকূপের পাশে ঝোপঝাড়ে তার ব্যবহৃত ওড়না, স্যান্ডেল ও বালতি দেখতে পান। সেই রাতে মাকে খুঁজতে আত্মীয়স্বজন, আশপাশসহ সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করেন সন্তানরা। রহিমার ছয় সন্তান কখনও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, কখনো মাইকিং, কখনও আত্মীয়স্বজনদের দ্বারস্থ হয়েছেন। সাংবাদিক সম্মেলন, মানববন্ধনের পর মাকে খুঁজে পেতে গত ১৪ সেপ্টেম্বর দৌলতপুর থানায় মামলাও দায়ের করেন। মামলার বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে পিবিআই তদন্তের ভার পায়। ১৭ সেপ্টেম্বর দৌলতপুর থানা থেকে মামলাটি পিবিআইয়ে স্থানান্তর করা হয়।
পুলিশ জানায়, গত ২৭ আগস্ট নগরীর মহেশ্বরপাশা এলাকার বাড়ির সামনে থেকে রহিমা বেগম নিখোঁজ হয়-এ অভিযোগ তুলে তার মেয়ে আদুরি আকতার বাদী হয়ে পরের দিন দৌলতপুর থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় এ পর্যন্ত ৬ জন আটক হয়েছেন। তারা হলেন-খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) প্রধান প্রকৌশল কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী মো. গোলাম কিবরিয়া, নিখোঁজ গৃহবধূর দ্বিতীয় স্বামী হেলাল হাওলাদার, দৌলতপুর মহেশ্বরপশা বণিকপাড়া এলাকার মহিউদ্দিন, পলাশ, জুয়েল এবং হেলাল শরীফ।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
সাফ জেতার মধ্য দিয়ে মেয়েদের ফুটবল খেলা নিয়ে সমালোচনা জয় করেছি: সাবিনা
খুলনার রহিমাকে পিবিআইয়ে হস্তান্তর
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া খুলনার রহিমা বেগমকে আজ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, রহিমা গত ২৯ দিন ধরে ‘নিখোঁজ’ ছিল এবং আজ তাকে উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার কুদ্দুসের বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। তিনি ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে সেখানে ছিলেন।
খুলনা মহানগর পুলিশের (উত্তর) উপকমিশনার মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশ বাড়িটিতে গেলে রহিমাকে দুই নারীর সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। পুলিশ অফিসাররা প্রশ্ন করা শুরু করলে তিনি কথা বলা বন্ধ করেন।
খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) কর্মকর্তা বলেন, যেহেতু মামলাটি পিবিআইতে স্থানান্তর করা হয়েছে, তারা এখন বিষয়টি দেখবে। রহিমার ‘নিখোঁজ’ হওয়ার এই পুরো ঘটনা ও তাকে খোঁজ করা সারাদেশজুড়ে আলোড়ন তৈরি করেছে।
তিনি বলেন, ‘আল্লাহর কাছে হাজার শুকরিয়া যে আমরা তাকে খুঁজে বের করতে পেরেছি। আমরা সবাই খুশি এবং স্বস্তি পেয়েছি। বাকিটা পিবিআই তদন্ত করবে। আমি আশাবাদী যে পিবিআই রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হবে।’
ফরিদপুরের যে বাড়িতে রহিমাকে পাওয়া গেছে সেখান থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই নারীসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: খুলনার ‘নিখোঁজ’ রহিমা ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ফরিদপুরে ছিলেন: পুলিশ
এ প্রসঙ্গে রহিমার ছেলে সাদী বলেন, ‘যেহেতু আমার মা জীবিত উদ্ধার হয়েছে, সেহেতু তার মুখে নিখোঁজের বিষয়টি জানলে তিনি ভালো বলতে পারবেন।’
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় যদি আমার পরিবারের কেউ জড়িত থাকে তবে প্রশাসন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।’
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বিষয়টি আরও তদন্ত করবে বলে জানিয়েছেন মোল্লা জাহাঙ্গীর।
উল্লেখ্য, দৌলতপুর মহেশ্বরপাশা বণিকপাড়ায় গত ২৭ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে পানি আনতে বাড়ি থেকে বের হন রহিমা খাতুন (৫৫)। দীর্ঘ সময় পার হলেও তিনি আর বাসায় ফেরেননি। পরে মায়ের খোঁজে বের হয়ে সন্তানরা মায়ের ব্যবহৃত স্যান্ডেল, গায়ের ওড়না ও কলস রাস্তার ওপর পড়ে থাকতে দেখেন। রাতে সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ নেয়ার পর তাকে না পাওয়া গেলে সাধারণ ডায়েরি এবং পরবর্তীতে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে দৌলতপুর থানায় মামলা দায়ের করেন তারা।
গত ২০ দিনেও রহিমার খোঁজ মেলেনি। এ অবস্থায় পরিবারের সদস্যদের আবেদনে মামলাটি পিবিআইয়ের যাচ্ছে। এ পর্যন্ত পুলিশ ও র্যাব যৌথ অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন ছয় জনকে গ্রেপ্তার করলেও কোনো তথ্য উদঘাটন করা যায়নি।
আরও পড়ুন: খুলনার ‘নিখোঁজ’ রহিমা বেগম ফরিদপুরে জীবিত উদ্ধার: পুলিশ
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তরের আদেশ হয়েছে। কিন্তু ১৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নথি হস্তান্তর হয়নি। পিবিআই যেদিন চাইবে সেদিনই নথি হস্তান্তর করা হবে। এ জটিলতার কারণে এ মামলায় গৃহবধূর স্বামীর রিমান্ড আবেদনের শুনানি হয়নি। পিবিআই মামলাটি বুঝে নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে। এ পর্যন্ত ছয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) প্রধান প্রকৌশল কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী মো. গোলাম কিবরিয়া, নিখোঁজ গৃহবধূর স্বামী হেলাল হাওলাদার, দৌলতপুর মহেশ্বরপশা বণিকপাড়া এলাকার মহিউদ্দিন, পলাশ, জুয়েল এবং হেলাল শরীফ।
নিখোঁজ রহিমা খাতুনের মেয়ে মরিয়ম মান্নান বলেন, ১২ সেপ্টেম্বর ১৭ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ আমার মায়ের সন্ধান দিতে পারেনি। ফলে ১৩ সেপ্টেম্বর ১৮তম দিনে আমার ছোট বোন আদুরি আক্তার আদালতে মামলাটি পিবিআইতে হস্তান্তরের আবেদন করে। শুনানি শেষে ওই দিনই আদালত মামলা পিবিআইতে হস্তান্তরের আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে খুলনার নিখোঁজ নারীর লাশ পাওয়ার বিষয়ে পরিবারের সন্দেহ প্রকাশ
চুয়াডাঙ্গায় ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার জগন্নাথপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার সকাল ১০টার দিকে জগন্নাথপুর গ্রামের মাঠে রেললাইনের ওপর থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে ফাঁড়ি পুলিশ।
নিহত সানারুল ইসলাম (২৫) আলমডাঙ্গা উপজেলার পারকুলা গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে।
চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদ রানা জানান, রবিবার ভোর ৪টা ৪০ মিনিটের দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী আন্তঃনগর চিত্রা এক্সপ্রেক্স ট্রেনে কাটা পড়েন সানারুল। তার ডান হাত ও দুই পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, ভোরে রেললাইন পার হওয়ার সময় চলন্ত ট্রেনে কাটা পড়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, নিহতের লাশ সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এ ঘটনায় আইনগত বিষয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুন: সাফ জেতার মধ্য দিয়ে মেয়েদের ফুটবল খেলা নিয়ে সমালোচনা জয় করেছি: সাবিনা
খুলনায় তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৪
বেনাপোল চেকপোস্টে ১ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলারসহ আটক ২
সাফ জেতার মধ্য দিয়ে মেয়েদের ফুটবল খেলা নিয়ে সমালোচনা জয় করেছি: সাবিনা
সাফ জয়ী নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুনকে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। এসময় সাবিনা ও তার মাকে সংবর্ধনা দেয়া হয় এবং তাদের হাতে নগদ ১ লাখ টাকা ও ক্রেস তুলে দেয়া হয়।
শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এই উঞ্চ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।
এসময় সাবিনা বলেন, ‘আমি আপ্লুত ও আন্দোলিত। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা পেয়ে আমি মহাখুশি। ’
ফুটবল মাঠের ১২ বছরের বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন,‘এত সহজ ছিল না। নানা সমালোচনা সহ্য করে আজ নারীদের এই জায়গা তৈরি করতে হয়েছে। ’
আরও পড়ুন: সাফ নারী চ্যাম্পিয়নদের জন্য ১ কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা সেনাবাহিনীর
স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘শুরুতে যখন ফুটবল খেলতে শুরু করেছি তখন আমার পরিবার সাপোর্ট করলও পাড়া-প্রতিবেশিরা মেনে নেয়নি। নানা সমালোচনা করেছে তারা। আমরা যখন সাতক্ষীরা পিটিআই মাঠে অনুশীলন করতে যেতাম, তখন প্রায় নানা সমালোচনার মুখে পড়তাম। কিন্তু আজ সেই সমালোচনাকে জয় করতে পেরেছি। নারী ফুটবলকে দেশের মানুষ যে এতো ভালোবাসে তা বুঝতে পারিনি।’
সাবিনা সাতক্ষীরা জজ কোর্ট সংলগ্ন মেইন সড়ক থেকে তার বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সম্প্রসারণ এবং বোনের জন্য একটি চাকরির ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানান জেলা প্রশাসকের কাছে। জেলা প্রশাসক সাবিনার দাবি পুরণের আশ্বাস প্রদান করেন।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি।
এর আগে শুক্রবার ভোরে সাবিনা তার সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল সবুজবাগস্থ বাড়িতে পৌঁছায়। ওই দিন সকাল সাড়ে ১০ টায় সাবিনাকে সু-সজ্জিত একটি ছাদখোলা গাড়িতে করে সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার নেতৃবৃন্দ প্রথমে সার্কিট হাউজে নিয়ে আসেন। পরে তাকে ছাদখোলা গাড়িতে করে পুরো সাতক্ষীরা শহর প্রদক্ষিণ করানো হয় এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে দেয়া হয় রাজকীয় সংবর্ধনা।
সাতক্ষীরা জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ নাসেরুল হক বলেন, অধিনায়ক সাবিনা ও ডিফেন্ডার মাসুরা সাতক্ষীরার মুখ সারা পৃথিবীর বুকে উজ্জ্বল করেছে। তারা দেশের জন্য সুনাম বয়ে এনেছে। নারী খেলোয়াড়দের জন্য আরও সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর বলেন, সাবিনা ও মাসুরা দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছে। তাদের মুখ উজ্জ্বল করার দায়িত্ব আমাদের। সাবিনাকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উঞ্চ সংবর্ধনা দেয়া হলো।
তিনি বলেন, সাফ জয়ী ডিফেন্ডার মাসুরা পারভিন এখনো সাতক্ষীরার মাটিতে পা রাখেননি। মাসুরা সাতক্ষীরায় আসার পর একইভাবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকেও সংবর্ধনা দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: দেশে ফিরে সাফজয়ী ফুটবলারদের পুরস্কারে দেবেন প্রধানমন্ত্রী
বাঘিনীদের রাজসিক বরণ
খুলনায় তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৪
খুলনা মহানগরীতে এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় ফজলুর রহমান শাওন নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছেন পুলিশ। এ মামলার বাকি তিন আসামি এখনও পলাতক রয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে নগরীর আড়ংঘাটা থানার তেলিগাতী মধ্যপাড়া এলাকায় এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
আসামিরা হলেন- খালিশপুর নয়াবাটি এলাকার ফজলুর রহমান শাওন, খালিশপুর হাউজিং এলাকার আবু কাশেমের ছেলে সোয়ান, তেলিগাতী মধ্যপাড়া ক্লাব মোড়ের লিয়াকত শেখের ছেলে রুবেল শেখ ও অজ্ঞাত পরিচয় একজন।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর গলাকেটে হত্যা: প্রাইভেট শিক্ষকের ৩ দিনের রিমান্ড
মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়,পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে খালিশপুর নয়াবাটি এলাকার ফজলুর রহমান শাওন বৃহস্পতিবার বিকালে ভুক্তভোগী তরুণীকে নগরীর ফুলবাড়িগেট এলাকায় নিয়ে যান। সন্ধ্যায় আড্ডা দেয়ার সময় চায়ের সঙ্গে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে ওই তরুণীকে তেলিগাতী মধ্যপাড়ার আজগর সরদারের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই রাতে অভিযুক্ত চারজন ভুক্তভোগীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে।
আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওহিদুজ্জামান বলেন,সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগী নিজেই বাদি হয়ে মামলা করেছেন। পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও জানান, ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ভুক্তভোগীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক)হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুই কিশোরীকে ধর্ষণ: তিনজনের যাবজ্জীবন
সিরাজগঞ্জে প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণ মামলায় ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার
বেনাপোল চেকপোস্টে ১ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলারসহ আটক ২
বেনাপোল কাস্টমস চেকপোস্ট এলাকা থেকে এক লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলারসহ দুই জন ভারত ফেরত যাত্রীকে আটক করা হয়েছে বলে শুক্রবার কাস্টমস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
আটক ব্যক্তিরা হলেন, মুন্সীগঞ্জের কমলঘাট এলাকার শাহ আলমের ছেলে সাগর হোসেন (৪০) ও একই জেলার টঙ্গীবিদ গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে জসিম ঢালী (৩৫)।
আরও পড়ুন: বিশ্বকর্মা পূজা: বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বেনাপোল কাস্টম শুল্ক গোয়েন্দা দপ্তরের সহকারী পরিচালক মনিরুজ্জামান চৌধুরী জানান, খবর পেয়ে সন্ধ্যা ৭টার দিকে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া শেষ করে বন্দর টার্মিনাল এলাকায় অপেক্ষা করার সময় কাস্টমসের একটি দল তাদের আটক করে।
তাদের লাগেজ চেক করে এক লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার জব্দ করে এবং তাদের আটক করেন কাস্টমস কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: বেনাপোল প্রেসক্লাবের সভাপতিকে প্রাণনাশের হুমকি
আটকদের বিরুদ্ধে বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা হয়েছে এবং তাদেরকেও পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয় বলে জানান এই কর্মকর্তা।
যশোরে মাদক ও মদ জব্দ, আটক ৯
বৃহস্পতিবার পৃথক তিনটি অভিযান চালিয়ে যশোরের বিভিন্ন এলাকা থেকে মাদক ও বিদেশি মদ জব্দ করা হয়েছে। এই সময় আট ভারতীয় নাগরিকসহ ৯ জনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) একটি দল জেলার চুড়িপোট্টি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৮ বোতল ভারতীয় মদসহ ছয় জনকে আটক করে।
আরও পড়ুন: এসএসসি প্রশ্নপত্র ফাঁস: প্রধান শিক্ষকসহ আটক ৩
র্যাব-৬ যশোরের কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট এম নজিউর রহমানের মতে, আটক ছয় জনের সবাই ভারতীয় নাগরিক।
অপর এক ঘটনায়, পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি দল জেলার আশ্রম মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে একই দিনে আড়াই হাজার পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট, ৪০ বোতল দেশি ও নয় বোতল ভারতীয় মদসহ দুই ভারতীয় নাগরিককে আটক করে।
আরও পড়ুন: মানববন্ধনে যোগ দিতে ঢাকায় আসার পথে সলিমপুরের ৬৩ বাসিন্দা আটক
এদিকে, যশোর কোতোয়ালি থানা পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে জেলার বারান্দিপাড়া ঢাকা ব্রিজ এলাকা থেকে ২৩ বোতল ফেনসিডিলসহ স্থানীয় এক যুবককে আটক করেছে তারা।
আরও পড়ুন: সিলেটে ধর্ষণের অভিযোগে কবিরাজ গ্রেপ্তার
এ ঘটনায় যশোরের কোতোয়ালি থানায় পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে। পরে আদালতের নির্দেশে আটকদের কারাগারে পাঠানো হয়।
যশোরে রিকশা চালককে পিটিয়ে হত্যা
যশোর সদর উপজেলায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এক রিকশা চালককে পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার বিকাল চারটার দিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহতের নাম আলমগীর হোসেন (৩০)।
যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শুক্রবার দুপুরের দিকে আলমগীর হোসেনকে সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি এলাকার কাজির পুকুরে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। সেখানে তাকে বেধড়ক মারপিট করে ফেলে রেখে যায় তারা। বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে জানালে পুলিশ এসে আলমগীরকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ওসি আরও জানান, ময়নাতদন্তের জন্য আলমগীরের লাশ হাসপাতাল মর্গে নেয়া হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের আটক করতে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় যশোর কোতয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান ওসি।
ময়মনসিংহে খুলনার নিখোঁজ নারীর লাশ পাওয়ার বিষয়ে পরিবারের সন্দেহ প্রকাশ
খুলনায় নিখোঁজ রহিমা বেগমকে (৫৫) ময়মনসিংহে মৃত অবস্থায় পাওয়ার বিষয়ে পরিবার সন্দেহ প্রকাশ করেছে।
রহিমা বেগমের মেয়ে মরিয়ম মান্নান তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘আমি সন্দেহ করি এটা আমার মা।’
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), খুলনার দৌলতপুর থানা ও ময়মনসিংহ থানা পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেনি।
নারী নিখোঁজের ঘটনায় দায়ের করা মামলাটি তদন্ত করছে পিবিআই।
খুলনার পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সঙ্গে মরিয়মের কথা হয়েছে।
মরিয়ম তাদের জানান, ময়মনসিংহের ফুলপুর এলাকা থেকে তার মায়ের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
ময়মনসিংহ পুলিশ জানায়, গত ১০ সেপ্টেম্বর ফুলপুর থেকে এক নারীর লাশ উদ্ধার করে তাকে দাফন করা হয়।
তিনি বলেন, ময়মনসিংহে উদ্ধার হওয়া লাশের পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।
মরিয়ম মান্নান তদন্তকারী কর্মকর্তাকে জানান, লাশের কাপড়ের ছবি দেখে মায়ের লাশ শনাক্ত করেছেন তিনি।
ফুলপুর থানা পুলিশ লাশের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় রহিমা খাতুন নিখোঁজ মামলার তদন্তভার পিবিআইয়ের হাতে
তদন্তকারী কর্মকর্তা মরিয়মকে শনিবার ফুলপুর থানায় যেতে বলেছেন। সেখানে তার ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে উদ্ধার করা লাশের ডিএনএর সঙ্গে মেলানো হবে।
এসপি মুশফিকুর বলেন, ‘ডিএনএ মিলে গেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে।’
উল্লেখ্য, দৌলতপুর মহেশ্বরপাশা বণিকপাড়ায় গত ২৭ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে পানি আনতে বাড়ি থেকে বের হন রহিমা খাতুন (৫৫)। দীর্ঘ সময় পার হলেও তিনি আর বাসায় ফেরেননি। পরে মায়ের খোঁজে বের হয়ে সন্তানরা মায়ের ব্যবহৃত স্যান্ডেল, গায়ের ওড়না ও কলস রাস্তার ওপর পড়ে থাকতে দেখেন। রাতে সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ নেয়ার পর তাকে না পাওয়া গেলে সাধারণ ডায়েরি এবং পরবর্তীতে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে দৌলতপুর থানায় মামলা দায়ের করেন তারা।
গত ২০ দিনেও রহিমার খোঁজ মেলেনি। এ অবস্থায় পরিবারের সদস্যদের আবেদনে মামলাটি পিবিআইয়ের যাচ্ছে। এ পর্যন্ত পুলিশ ও র্যাব যৌথ অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন ছয় জনকে গ্রেপ্তার করলেও কোনো তথ্য উদঘাটন করা যায়নি।
আরও পড়ুন: খুলনায় রহিমা ১৮ দিন ধরে নিখোঁজ, স্বামীসহ গ্রেপ্তার ৬
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তরের আদেশ হয়েছে। কিন্তু ১৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নথি হস্তান্তর হয়নি। পিবিআই যেদিন চাইবে সেদিনই নথি হস্তান্তর করা হবে। এ জটিলতার কারণে এ মামলায় গৃহবধূর স্বামীর রিমান্ড আবেদনের শুনানি হয়নি। পিবিআই মামলাটি বুঝে নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে। এ পর্যন্ত ছয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) প্রধান প্রকৌশল কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী মো. গোলাম কিবরিয়া, নিখোঁজ গৃহবধূর স্বামী হেলাল হাওলাদার, দৌলতপুর মহেশ্বরপশা বণিকপাড়া এলাকার মহিউদ্দিন, পলাশ, জুয়েল এবং হেলাল শরীফ।
নিখোঁজ রহিমা খাতুনের মেয়ে মরিয়ম মান্নান বলেন, ১২ সেপ্টেম্বর ১৭ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ আমার মায়ের সন্ধান দিতে পারেনি। ফলে ১৩ সেপ্টেম্বর ১৮তম দিনে আমার ছোট বোন আদুরি আক্তার আদালতে মামলাটি পিবিআইতে হস্তান্তরের আবেদন করে। শুনানি শেষে ওই দিনই আদালত মামলা পিবিআইতে হস্তান্তরের আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: নিখোঁজ মাকে ফিরে পেতে ৬ সন্তানের আকুতি
ঝিনাইদহে ২৫ ভরি স্বর্ণালংকার জব্দ, নারী গ্রেপ্তার
ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় ২৫ ভরি স্বর্ণালংকার জব্দ করা হয়েছে। এসময় এক নারীকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে সদরের লক্ষীপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার মুক্তা খাতুন (৩৪) কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের মিজানুর রহমানের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে অস্ত্রসহ ৯ ডাকাত গ্রেপ্তার
ঝিনাইদহ ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহীন উদ্দিন জানান, কালীগঞ্জ থেকে ঢাকায় স্বর্ণ পাচার হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে লক্ষীপুর বিদ্যালয়ের সামনে চেকপোস্ট বসায় ডিবি পুলিশের একটি অভিযানিক দল। সেসময় দর্শনা থেকে বরিশালগামী চাকলাদার পরিবহনে তল্লাশি চালিয়ে মুক্তা খাতুন নামের এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে উদ্ধার করা হয় ২৫ ভরি ১৫ আনা ওজনের স্বর্ণালংকার। যার আনুমানিক মূল্য ২০ লাখ টাকা।
তিনি জানান, গ্রেপ্তার মুক্তা খাতুন কালীগঞ্জ থেকে এসব স্বর্ণালংকার ঢাকায় পাচার করছিল বলে প্রাথমিক ভাবে স্বীকার করেছেন।
এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের পক্ষ থেকে সদর থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে অস্ত্রসহ ৭ ডাকাত গ্রেপ্তার
এসএসসি প্রশ্নপত্র ফাঁস: কুড়িগ্রামে গ্রেপ্তার আরও ৩