খুলনা
এক ভোল মাছের দাম প্রায় লাখ টাকা!
বঙ্গোপসাগরে এক জেলের জালে প্রায় এক লাখ টাকা মূল্যের একটি ভোল মাছ ধরা পড়েছে। বুধবার রাতে সাগরে জাল ফেলতেই মূল্যবান ওই ভোল মাছটি ধরা পড়ে।
বরগুনা জেলার পাথরঘাটার মাছ ব্যবসায়ী মাসুমের এফবি আলাউদ্দিন নামে ট্রলারে জেলেদের জালে ওই মাছটি ধরা পড়ে।
শুক্রবার মাছটি বাগেরহাট কেবি বাজার পাইকারি মাছের আড়তে বিক্রির জন্য তোলা হয়। নিলামে ডাকের মাধ্যমে সাড়ে ১৯ কেজি ওজনের ওই ভোল মাছটি ৮৫ হাজার টাকায় কিনে নেন এক মাছ ব্যবসায়ী। মাছের প্রতি কেজির মূল্য পড়েছে চার হাজার ৩৫৮ টাকা।
চিকিৎসকরা বলেছেন, ভোল মাছের ফুসফুস চিকিৎসা বিজ্ঞানের কাজে লাগে। একারণে ভোল মাছ অনেক মূল্যবান।
এফবি আলাউদ্দিন ট্রলারের মাঝি জাফর আলী সাংবাদিকদের জানান, সাগরে বৈরী আবহাওয়ার কারণে তাদের জালে ইলিশ ধরা পড়ছিলনা। ফিরে আসার আগে বুধবার রাতে তারা সাগরে জাল ফেলে। জাল তুলতেই ভোল মাছটি উঠে আসে। অনেক মূল্যেবান ভোল মাছ ধরা পড়ায় তারা অনেক খুশি। পরে শুক্রবার বাগেরহাট কেবি বাজারে নিলামে মাছটি বিক্রি করা হয়।
আরও পড়ুন: মহানন্দায় ধরা পড়লো ৩২ কেজির বাঘাইড় মাছ
যশোরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ভাই-বোনের মৃত্যু
নিজেদের নির্মাণাধীন বাড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল শিশু ভাই-বোনের। যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলায় শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ছাদের ওপর এ বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো- উপজেলার ভদ্রডাঙ্গা গ্রামের কবির হোসেনের ১৪ বছরের ছেলে আবু হুসাইন আকাশ ও পাঁচ বছরের মেয়ে নুসরাত।
বাঘারপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মকবুল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নিহতদের বাবা কবির হোসেন জানান- আমি যশোর শহরে বসবাস করি। বৃহস্পতিবার বাঘারপাড়ার ভদ্রডাঙ্গা গ্রামের বাড়িতে যায়। শুক্রবার সকালে আমার দুই ছেলে মেয়েকে খোঁজ করি। তারা কখন ছাদে গিয়েছে খেয়াল করিনি। ছাদে উঠে সাইনবোর্ডে হাত দিয়েছে। সাইনবোর্ড বিদ্যুৎতায়িত তা আমাদের জানা ছিল না। আমার দুই সন্তান সাইনবোর্ডে হাত দেয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়।
তিনি আরও জানান, লোকজন তাদের উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শুভাশীষ রায় আকাশকে মৃত ঘোষণা করেন এবং চিকিৎসার জন্য নুসরাতকে ভর্তি করেন। কিছুক্ষণ পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশু সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক নুসরাতকেও মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বিদ্যুৎপৃষ্টে ২ জনের মৃত্যু
নীলফামারীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিশুর মৃত্যু
বাঁচার তাগিদে স্বেচ্ছাশ্রমে রিংবাঁধ নির্মাণ
‘একদিন আয় না করলে সংসার চলে না, তবুও বাঁচার তাগিদে স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করতে হয়। সব ভেসে গেছে, জিনিসের দাম বেড়েছে। সংসার চালানো নিয়ে চিন্তিত।’ খুলনার কয়রায় স্বেচ্ছাসেবায় রিংবাঁধ নির্মাণ করতে আসা এক উপকূলযোদ্ধা গোপাল সরকার আক্ষেপের সাথে এমনটি জানালেন। তিনি দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের হলুদবুনিয়ায় বসবাস করেন।
দক্ষিণ বেদকাশী গ্রামের চা বিক্রেতা ওবায়দুল হোসেন বলেন, দিন শেষে যে আয় হয় সেটা দিয়ে কোন রকমে তিন সদস্যের পরিবার নিয়ে কষ্টে দিনতিপাত করি। পানি ওঠায় কয়েক দিন দোকান বন্ধ, প্রতিদিন বাঁধে যেয়ে ফ্রি কাজ করেছি। বাজার করতে পারিনি, খেয়ে না খেয়ে বেঁচে আছি। তবে বাঁধ মেরামত করতে পেরে তিনি খুঁশি।
এমন আক্ষেপ শুধু ওবায়দুল কিংবা গোপালের নয়, অবহেলিত কয়রার লাখো মানুষের। ওই এলাকার অধিকাংশ মানুষই নিম্নবিত্ত। কোথাও বাঁধ ভেঙে গেলে টিকে থাকতে স্বেচ্ছাশ্রম নিজেদেরই ঝাপিয়ে পড়তে হয় পানি আটকানোর জন্য।
পাউবো সূত্রে জানা গেছে, ১৪/১ নম্বর পোল্ডারে কয়রা উপজেলার শাকবাড়িয়া, মেদেরচর, ঘড়িলাল বাজার ও চরামুখা এলাকার বাঁধ মেরামতে ৩ কোটি ১২ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়। কাজটিতে অর্থায়ন করেছে জাপান আন্তর্জাতিক সহায়তা সংস্থা (জাইকা)। দরপত্রের মাধ্যমে ‘অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা’ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওই কাজটির দায়িত্ব পায়।
প্রতিষ্ঠানটির ঠিকাদার জাকির মোহান্দি। তিনি তার পূর্ব পরিচিত শ্রমিক সর্দার সাতক্ষীরার আক্কাস আলীর কাছে লিখিত চুক্তির মাধ্যমে লাইসেন্স ভাড়া দিয়েছেন। বিষয়টি শ্রমিক আক্কাস আলী স্বীকার করেছেন। বর্তমানে ওই কাজটি তিনিই করছেন। আর স্থানীয়ভাবে কাজ দেখাশুনা করছেন ওই মোজাফ্ফার মেম্বার।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বড় কাজের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ, সরঞ্জাম ও লোকবল নেই ওই শ্রমিক সর্দারের। কাজের মান ভালো না হওয়ায় চলমান কাজের চরামুখা এলাকার বাঁধ গত ১৭ জুলাই ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দাপ্তরিকভাবে ওই কাজের তদারকির দায়িত্বে আছেন পাউবো’র উপ-সহকারি প্রকৌশলী মশিউল আবেদীন। তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন।
সরঞ্জাম বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা অফিস থেকেই সব দিয়েছি। যে কোন দোকান থেকে সব আনতে বলি, পরে যে ঠিকাদার কাজ পাবেন তিনি সব পরিশোধ করেন। পরে মোজাফ্ফার মেম্বারের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, তিনি ওখানের কাজের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, এজন্য উনাকে দিয়ে করাচ্ছি।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহনেওয়াজ তালুকদার বলেন, কয়রার দক্ষিণ বেদকাশী এলাকার স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় প্রাথমিকভাবে পানি প্রবেশ রোধ করা গেছে। পাউবো’র পক্ষ থেকে বেড়িবাঁধ মেরামতের জন্য বাঁশ ও জিও ব্যাগ দেয়া হয়েছিল। এবার পাউবো বাঁধ শক্তিশালী করার কাজ করবে।
গত ১৩ আগস্ট জোয়ারের পানির চাপে কপোতাক্ষ নদের চরামূখা নামক স্থানের রিংবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় বিস্তীর্ণ এলাকা। ওই দিন থেকে টানা পাঁচ দিন স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে বুধবার (১৭ আগস্ট) নির্মাণ সম্ভব হয়েছে। টানা ৪ দিন বাঁধ মেরামতের চেষ্টা করে ব্যর্থ হলেও পঞ্চমদিনে প্রায় ৩ হাজার মানুষের স্বেচ্ছাশ্রমের প্রচেষ্টায় ফের রিংবাঁধ দিয়ে কপোতাক্ষের নোনা পানি আটকাতে সক্ষম হয়েছে। তবে শুধু এবার নয়, প্রতি দুর্যোগের পর এভাবেই ভাঙা বাঁধ মেরামতে স্থানীয় মানুষকেই দায়িত্ব নিতে হয় বলে জানালেন তারা। এবার বাঁশ- সিনথেটিক ব্যাগ চাহিদা মত না পাওয়ায় কাজে চরম ভোগ পেতে হয় বলে অভিযোগ তাদের।
পড়ুন: কয়রায় স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ নির্মাণে সহস্রাধিক মানুষ
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ জুলাই ভোরে চরামুখার এই বাঁধের প্রায় ৩০০ মিটারের মতো ধসে যায়। সেসময় ভাঙা স্থানে রিংবাঁধ দিয়ে পানি আটকানো সম্ভব হয়। এরপর ১৩ আগস্ট দুপুরে উচ্চ জোয়ারে ওই রিং বাঁধটি পুনরায় ভেঙে যায়। এই ভাঙনে কপোতাক্ষের নোনা পানিতে ডুবে যায় ১০টির বেশি গ্রাম। পানিবন্দি হয়ে পড়ে ১৫ হাজারের বেশি মানুষ। অভ্যন্তরিণ যোগাযোগ ব্যবস্থা, মৎস্য ঘের, আমনের বীজতলা, বসতবাড়িসহ পরিবেশের চরম ক্ষতি হয়েছে।
বাঁধ মেরামতে আসা লোকজন অভিযোগ করেন, চরামুখার বাঁধটি সংস্কারের জন্য কর্তৃপক্ষকে বারবার তাগিদ দেয়া হলেও তারা এড়িয়ে গেছে। এলাকার জনপ্রতিনিধিদের জানালে এ কাজ তাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না বলে জানিয়ে দেন। উপজেলা প্রশাসনও একই কথা জানায়। অথচ বাঁধ ভাঙলে বারবার ভুক্তভোগী মানুষকেই তা রক্ষায় এগিয়ে আসতে হয়।
দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা নাজমুল জানান, বাঁধ নির্মাণে কাজ করেছি। চাহিদা অনুযায়ী সরঞ্জামাদি দেয়া হয়নি। মোজাফ্ফার মেম্বার ও এক পাউবো কর্মকর্তার সখ্যতা রয়েছে।
কয়রা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ উদ্দিন বলেন, আমরা দেখেছি বিগত ১০ বছরে জরুরি কাজের নামে কয়রার বেড়িবাঁধ সংস্কার ও নির্মাণ বাবদ খরচ দেখানো হয়েছে ১শ’ ৪২ কোটি ৫৮ লাখ ৮ হাজার টাকারও বেশি। বরাদ্দ অনুযায়ী কাজ হয় না। সেখানে রয়েছে অর্থ লুটপাটের অসাধু চক্র। টেন্ডারে কাজ পেয়ে মূল ঠিকাদার নিজের লাভটা রেখে কাজটা বিক্রি করে দেন আরেকজনের কাছে। এভাবে হাতবদল হলে কাজের মান খারাপ হতে বাধ্য- এটাই দেখে এসেছি এতদিন।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে চরামুখা গ্রামের খালের গোড়া নামক স্থানে কপোতাক্ষ নদের ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধের রিংবাঁধ মেরামত কাজ পরিদর্শন করেছেন খুলনা-৬ আসনের (কয়রা-পাইকগাছা) আসনের সংসদ সদস্য মো. আক্তারুজ্জামান বাবু।
এসময় তিনি বলেন, সরকার টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার প্রকল্প দিয়েছেন যেটা একনেকে পাশ হয়েছে, এটার টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন। এছাড়া জাইকার অর্থায়ানে ৩৫০ কোটি ব্যয়ে বেঁড়িবাধের কাজ চলমান আছে। এছাড়াও বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানসমূহ জরুরি ভিত্তিতে সংস্কারের জন্য মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।
পড়ুন: কয়রায় বেড়িবাঁধ ভেঙে ৪ গ্রাম প্লাবিত
বাগেরহাটে গাছের সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় স্কুলশিক্ষার্থী নিহত
বাগেরহাটের ফকিরহাটে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের বটগাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। এসময় মোটরসাইকেল আরোহী অপর এক স্কুলছাত্র আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার বাহিরদিয়া এলাকায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত লাবিব শেখ (১৩) খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার নারায়ণখালী গ্রামের কবির শেখের ছেলে। সে ফকিরহাট উপজেলার সাতশৈয়া হাজি আব্দুল হামিদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল। লাবিবদের পরিবার দীর্ঘদিন ধরে ফকিরহাটে ভাড়াবাড়িতে বসবাস করে আসছে।
জানা যায়, আহত মোটরসাইকেল আরোহী সাদিক নিহত লাবিবের সহপাঠী। আহত অবস্থায় সাদিককে ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়।
ফকিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মু. আলীমুজ্জামান জানান, লাবিব ও সাদিক একটি মোটরসাইকেলে করে রূপসার দিক থেকে ফকিরহাটে আসছিল। ঘটনাস্থলে পৌঁছালে মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে বটগাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এসময় মোটরসাইকেল আরোহী ওই দুই সহপাঠি আহত হয়। স্থানীয় লোকজন দ্রুত তাদের উদ্ধার করে ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে সাদিককে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য লাবিবকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে লাবিবকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে পৃথক মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ৪
পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত ২ জনের মৃত্যু
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ৮ নারী
ভারতে পাচার হওয়া আট বাংলাদেশি নারী দুই বছর সাজাভোগ শেষে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরেছেন। বুধবার সন্ধ্যায় ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করেন।
তারা হলেন- লিজা মন্ডল, বৃষ্টি আক্তার, রেবেকা খাতুন, নাসরিন মন্ডল, রেবেকা আক্তার, সুলতানা বেগম, হেলেনা খাতুন ও রিতু আক্তার।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার সময় আটক ২
ফেরত আসা বৃষ্টি আক্তার বলেন, আমরা দালালদের মাধ্যেমে বিভিন্ন সীমান্ত পথে ভালো কাজের আশায় ভারতে পাড়ি জমাই। এরপর বাসা বাড়িসহ বিভিন্ন কাজের সময় ভারতীয় পুলিশের হাতে আটক হয়ে আদালতের মাধ্যেমে দুই বছর প্রাজাওয়ালা হায়দারাবাদ শেল্টার হোমে থেকে বুধবার দেশে ফিরেছি। শেল্টারহোমে আমাদের বয়সী অনেক বাংলাদেশি মেয়েরা আছে। তারা দেশে আসার অপেক্ষায় প্রহর গুনছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ভারত সরকারের বিশেষ ট্রাভেল পারমিটে ফেরত আসা বাংলাদেশি নারীদের ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে এনজিও সংস্থা জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবেন।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে আসছে ভারতীয় গরু
যশোর জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মুহিত হোসেন বলেন, ফেরত আসাদের যশোর জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের নিজস্ব শেল্টার হোমে রাখা হবে। এরপর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তরর করা হবে।
মোটরসাইকেল-ট্রাক সংঘর্ষে নাটোরে এনজিও কর্মকর্তা নিহত
নাটোর শহরের হরিশপুর বাইপাস এলাকায় মঙ্গলবার দুপুরে মোটরসাইকেল ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক এনজিও কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।
নিহত দুরুল হুদা (৪৫) এনজিও প্রতিষ্ঠান প্রশিকার ব্রাঞ্চ ম্যানেজার,তার বাড়ি রাজশাহীর গোদাগাড়ি উপজেলায়।
আরও পড়ুন: সাজেকে চাঁদের গাড়ি উল্টে ব্যবসায়ীসহ নিহত ২
ঝলমলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএনএম মাসুদ জানান, নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার প্রশিকার ব্রাঞ্চ ম্যানেজার দুরুল হুদা মঙ্গলবার দুপুরে স্ত্রীর জন্য রক্ত সংগ্রহ করতে মোটরসাইকেলে নাটোর শহরের যাচ্ছিলেন। পথে হরিশপুর বাইপাস এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে তার মোটরসাইকেলটি মুখোমুখি সংঘর্ষে হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় ট্রাকের ধাক্কায় এনজিও কর্মকর্তা নিহত
দুর্ঘটনার পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ট্রাকের চালকের সহকারি সুইট হোসেনকে আটক করে এবং ট্রাকটি জব্দ করেছে।
ট্রাকচাপায় সাতক্ষীরায় আখ ব্যবসায়ী নিহত
সাতক্ষীরার দেবহাটায় বালুবাহী ট্রাকচাপায় এক আখ ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। বুধবার সকাল ৬টার দিকে উপজেলার সখিপুর ইউনিয়নের টেলিফোন টাওয়ার সংলগ্ন মোড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আবুল কালাম (৪৫) দেবহাটা উপজেলার সখিপুর ইউনিয়নের নারিকেলী গ্রামের পিয়ার আলীর ছেলে।
দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ ওবায়দুল্লাহ জানান, প্রতিদিনের ন্যায় আবুল কালাম তার চাষকৃত আখ জমি থেকে তোলার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। এই সময় সখিপুর টেলিফোন অফিসের কাছাকাছি আসলে পেছন খুলনাগামী একটি বালু ভর্তি ট্রাক তাকে চাপা দিলে তিনি গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা আহ আবুল কালামকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: সাজেকে চাঁদের গাড়ি উল্টে ব্যবসায়ীসহ নিহত ২
এদিকে, গত ২৮ মে নিহতের ভাই আব্দুল লতিফ মৎস্য ঘেরে অবস্থানকালে বজ্রপাতে মৃত্যু হয়। দুই মাসের ব্যবধানে একই পরিবারের দুজনের মৃত্যু হওয়ায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
কুষ্টিয়ায় স্ত্রীকে গলাটিপে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন
কুষ্টিয়ার মিরপুরে ডলি খাতুন নামের এক নারীকে গলাটিপে হত্যার ঘটনায় তার স্বামী আসাদুজ্জামান কামাল কবিরাজকে (৪২) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো.তাজুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
দন্ডপ্রাপ্ত আসাদুজ্জামান কামাল কবিরাজ মিরপুর উপজেলার শামুখিয়া গ্রামের হান্নান ওরফে সন্টু কবিরাজের ছেলে। আর নিহত ডলি খাতুন মিরপুর উপজেলার পশ্চিম চুনিয়াপাড়া গ্রামে বাহারুল ইসলামের মেয়ে।
রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে কড়া পুলিশ পাহারায় জেলা করাগারে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: খুলনায় ধর্ষণ মামলায় আসামির যাবজ্জীবন
কুষ্টিয়া জজ কোটের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাড. অনুপ কুমার নন্দী রায় এই বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মিরপুর উপজেলার পশ্চিম চুনিয়াপাড়া গ্রামে বাহারুল ইসলামের মেয়ে ডলি খাতুনের সাথে ১৪ বছর আগে পারিবারিকভাব বিয়ে হয় একই উপজেলার শামুখিয়া গ্রামের হান্নান ওরফে সন্টু কবিরাজের ছেলে আসাদুজ্জামান কামাল কবিরাজের। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ডলির সঙ্গে কামালের পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। এর মধ্যেই ডলি মিরপুর থানার তালবাড়ীয়া পরিবার পরিকল্পনা অফিসে স্বাস্থ্য সহকারী পদে চাকুরী পান। চাকুরি পাওয়ার পর থেকে ডলি খাতুনের ওপর তার স্বামী কামাল নির্যাতনের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালের ১৫ এপ্রিল সকালে আসাদুজ্জামান কামালের সঙ্গে তার স্ত্রী ডলির কথা কাটাকাটি এবং ধস্তাধস্তি হয়। এর এক পর্যায়ে কামাল তার স্ত্রীকে গলা টিপে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহত ডলির পিতা বাহারুল ইসলাম বাদী হয়ে একই দিনে মিরপুর থানায় ডলির স্বামী আসাদুজ্জামান কামাল কবিরাজ, তার পিতা সন্টু কবিরাজ এবং মা আমেনা খাতুনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
গ্রেপ্তারের পর স্ত্রী ডলিকে গলা টিপে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেন আসাদুজ্জামান কামাল কবিরাজ। দীর্ঘ তদন্ত শেষে আসাদুজ্জামান কামালকে অভিযুক্ত করে ২০১৯ সালে ২৬ জুন মামলার চুড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আবু বক্কার।
পরে দীর্ঘ শুনানী শেষে ১৪ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় আ.লীগ নেতা হত্যা: ৫ জনের যাবজ্জীবন
শিক্ষক হত্যা মামলা: খুলনায় ১৭ বছর পর ২ জনের যাবজ্জীবন
যশোরে ছাত্রাবাস থেকে শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
যশোরের সদর উপজেলায় ছাত্রাবাসের জানালা ভেঙে যশোর এমএম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে শহরের বেজপাড়া টিবি ক্লিনিকের পাশে পৃথ্বীশ মজুমদারের ছাত্রাবাস থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত সুদীপ্ত বিশ্বাস (২৬) মাগুরা জেলার সদর উপজেলার কুচিমারা গ্রামের সুজন বিশ্বাসের ছেলে এবং তিনি যশোর এমএম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের মাস্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
ছাত্রাবাসের মালিক পৃথ্বীশ মজুমদারের স্ত্রী তৃবেনী মজুমদার বলেন, আমরা এই বাড়িতে বসবাস করি না। দুইতলা ভবনের নিচের তলায় ছয়টি রুম এবং ওপরের তলায় পাঁচটি রুমের সবগুলোই ছাত্রদের কাছে ভাড়া দেয়া। সকালে ছাত্রাবাসে দ্বিতীয়তলার একজন ফোন দিয়ে জানায় নিচের তলায় সুদীপ্ত নামের একটি ছেলে রুমে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ আসে।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুজ্জামান বলেন, জানালা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখি রুমের ভেতর দরজার কাছে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। রুমের ভেতর সব কিছু এলোমেলো অবস্থায় ছিল।
কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তা এই মুহুর্তে বলা যাচ্ছে না। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: নাটোরে যুবকের লাশ উদ্ধার
যশোরে মাছের ঘের থেকে কন্যাশিশুর লাশ উদ্ধার
শোক দিবস: চুয়াডাঙ্গায় চিকিৎসা সেবাসহ ওষুধ বিতরণ বিজিবির
জাতীয় শোক দিবসে চুয়াডাঙ্গার সীমান্ত এলাকায় তিন শতাধিক মানুষের মাঝে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও খাদ্য বিতরণ করেছে বিজিবি। দামুড়হুদার ফুলবাড়ি সীমান্তের ফুলবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সোমবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলে।
চুয়াডাঙ্গা বিজিবি হাসপাতালের ক্লাসিফাইড চাইল্ড কনসালট্যান্ট লেফটেনেন্ট কর্নেল ডা. শায়লা চৌধুরীর নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি টিম চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এসময় সীমান্ত গ্রামগুলো থেকে আসা শিশুসহ দুই শতাধিক অসুস্থ নারী-পুরুষকে চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়, একইসঙ্গে প্রত্যেককে বিনামূল্যে রোগের ওষুধ বিতরণ করেন তারা।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে শোকদিবসে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতি
শিশু বিশেষজ্ঞ লেফটেন্যান্ট কর্নেল ডা. শায়লা চৌধুরী বলেন, জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গার সীমান্ত এলাকায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প পরিচালনা করছি। এর পাশাপাশি গরীব ও অসহায় মানুষের মধ্যে বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ করা হয়েছে।
এদিকে, চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবির সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ইমরান শেখের তত্ত্বাবধানে ৩০০ দুস্থ ও অসহায়দের মাঝে খাদ্যসামগ্রীসহ নানা সহায়তা প্রদান করেন চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির পরিচালক লেফটেনেন্ট কর্নেল শাহ মো. ইশতিয়াক।
খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, তৈল, চিনি এবং আলু।
এ ব্যাপারে লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহ মো. ইশতিয়াক জানান, জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বিজিবির সদর দপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক ৬ ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তরে কোরআন খতম, বিশেষ দোয়া ও বঙ্গবন্ধুর জীবনীর ওপর আলোচনা সভাসহ বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়েছে। মহান নেতার স্মরণে দর্শনার ফুলবাড়ি সীমান্তের ১০০ দুস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে বিনামূল্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ এবং মা ও শিশুদের মধ্যে বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়া সীমান্তবর্তীব গ্রামগুলোর অসুস্থ নারী-পুরুষকে মেডিকেল ক্যাম্প পরিচালনা করে ফ্রি চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ‘ঝাড়ুর লাঠি’তে পতাকা: পাকিস্তানি ‘হাবিব ব্যাংকে’র বিরুদ্ধে অবমাননার অভিযোগ
এসময় চুয়াডাঙ্গা ৬ ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ইমরান শেখ, বিজিবির অন্যান্য কর্মকর্তা ও বিজিবির সদস্যরাসহ অত্র এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।