খুলনা
খুলনা দুদক কার্যালয়ে আগুন, পুড়ে গেছে ফাইলপত্র
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ে আগুন লেগে বেশ কিছু ফাইল ও আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। বৃহস্পতিবার বিকাল পৌনে ৬টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
দুদকের ডিএডি কামরুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বিকাল ৫টায় অফিস ছুটি হওয়ায় বেশির ভাগ কর্মী অফিস ত্যাগ করে বাসায় চলে গিয়েছিল। হঠাৎ ৩য় তলায় শব্দ এবং পরে ধোয়া দেখে পাশেই দমকল বিভাগে খবর দেয়া হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স দরজার তালা এবং জানালার কাচঁ ভেঙে ৪৫ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আগুনে আলমারিতে থাকা মূল্যবান ফাইলপত্র বিনষ্ট হয়েছে বলে তিনি জানান।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা আজিজুর রহমান জানান, ৬টি কক্ষর ফাইলপত্র সব পুড়ে গেছে। দমকল বিভাগ দ্রুত আসায় আগুন ছড়াতে পারেনি।
পড়ুন: চকবাজারে প্লাস্টিক কারখানায় আগুন
খুলনায় বাস খাদে পড়ে নিহত ২, আহত ১১
খুলনার ডুমুরিয়ায় মোটরসাইকেলের সঙ্গে সংঘর্ষে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে দুই জন নিহত হয়েছেন। বুধবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মোটরসাইকেল চালক আলী ওসমানের বাড়ি সাতক্ষীরার তালা উপজেলার খলিসখালী গ্রামে এবং আব্দুল খালেকের বাড়ি খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার গোলনা গ্রামে।
আলী ওসমান একটি ঔষধ কোম্পানির রিপ্রেজেন্টটেটিভ এবং আবুল খালেক গাছ কাটা শ্রমিক ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাজবাড়ীতে ত্রিমুখী সংঘর্ষে সড়কে ঝরল ৬ প্রাণ
নিহতদের উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ কনি মিয়া।
ডুমুরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শফিক বলেন, সাতক্ষীরাগামী একটি যাত্রীবাহী বাস সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া এলাকার পিসিএফ ইন্ডাস্ট্রিজের সামনে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এসময় মোটরসাইকেলের চালক ঘটনাস্থলেই নিহত হন। পরে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের একটি খাদে পড়ে যায়। তখন বাসের একজন যাত্রী নিহত হয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ১১ জন। আহতদের মধ্যে তিনজন ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও আটজনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩, আহত ৬
খুলনার পূর্বঘোষিত পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার
প্রশাসনের আশ্বাসে ১ জুন থেকে খুলনাসহ দেশের ১৮টি রুটে ডাকা অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এর আগে সড়ক-মহাসড়কে নসিমন, করিমনসহ বিভিন্ন অবৈধ যানবাহন বন্ধের দাবিতে খুলনা জেলা বাস-মিনিবাস কোচ মালিক সমিতি ও বাস-মিনিবাস কোচ মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল।
বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সোনা জানান, মঙ্গলবার দুপুরে এক বৈঠকে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে দাবি পূরণের আশ্বাস দেয়ায় ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সড়ক-মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধের জন্য সোমবার (৩০ মে) পর্যন্ত প্রশাসনকে সময় দিয়েছিলে বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিকরা। কিন্তু দাবি আদায় না হওয়ায় ১ জুন থেকে খুলনা-ঢাকা, খুলনা-মাওয়া, খুলনা-বাগেরহাট, খুলনা-যশোর, খুলনা-কুষ্টিয়া, খুলনা-সাতক্ষীরা, খুলনা-পাইকগাছা, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুরসহ ১৮টি রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেয়।
পড়ুন: খুলনার ১৮ রুটে ১ জুন থেকে লাগাতার পরিবহন ধর্মঘট
গুরুদাসপুরে ভ্যান চালক হত্যার অভিযোগে ভাড়াটে খুনিসহ গ্রেপ্তার ৩
নাটোরের গুরুদাসপুরে ভ্যান চালক হত্যার ঘটনায় ভাড়াটিয়া খুনিসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার রাতে উপজেলার নাজিরপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- বিপ্লব (৩৫), প্রবাসী রায়হানের ছেলে লিটন (১৭) ও তার ভাই আব্দুল হান্নান (৪১)।
আরও পড়ুন: শিশু ধর্ষণের অভিযোগে সিরাজগঞ্জে রিকশাচালক গ্রেপ্তার
মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহম্মদ মোহসীন বলেন, গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর এলাকার ভ্যান চালক আব্দুর রহিমের স্ত্রীর সঙ্গে পরোকীয়ার সম্পর্ক একই এলাকার মালয়েশিয়া প্রবাসী আবু রায়হানের। একই সঙ্গে তাদের মধ্যে জমি বন্দক নিয়েও বিরোধ ছিল।
আরও পড়ুন: পাকস্থলীতে সাড়ে ৪ হাজারের বেশি ইয়াবা, ঢাকা বিমানবন্দরে ব্যক্তি গ্রেপ্তার
তিনি বলেন, এই সব কিছুর জের ধরে প্রতিশোধ নিতে গত ২৪ মে প্রবাস থেকে রায়হান তার ভাই আব্দুল হান্নান (৪১) ও কিশোর ছেলে লিটনকে দিয়ে ভাড়াটিয়া খুনি বিপ্লবের মাধ্যমে ভ্যান চালক আব্দুর রহিমকে হত্যা করায়।
আধিপত্য বিস্তার: নড়াইলে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে ‘হত্যা’
নড়াইলের লোহাগড়ায় ৫৫ বছর বয়সী এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। সোমবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার তেলকাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নিজাম শেখ একই গ্রামের পেতা শেখের ছেলে ও বড়দিয়া বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে যুবককে কুপিয়ে হত্যা!
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু হেনা মিলন জানান, গ্রামে আধিপত্য বিস্তারসহ আগে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের জের ধরে তেলকাড়া গ্রামে দুইপক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও সংঘাত চলে আসছিল। এর জের ধরে সোমবার রাতে তেলকাড়ার থেকে চা পান করে বাড়ি ফেরার পথে প্রতিপক্ষের লোকজন নিজামকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: পাবনায় ফুটপাতের হকারকে কুপিয়ে হত্যা
ওসি জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে এবং ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
খুলনার ১৮ রুটে ১ জুন থেকে লাগাতার পরিবহন ধর্মঘট
খুলনার ১৮টি রুটে বুধবার (১ জুন) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাস মালিক-শ্রমিকরা। সড়ক-মহাসড়কে নসিমন, করিমনসহ বিভিন্ন অবৈধ যানবাহন বন্ধের দাবিতে খুলনা জেলা বাস-মিনিবাস কোচ মালিক সমিতি ও বাস-মিনিবাস কোচ মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ অনির্দিষ্টকালের এ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।
খুলনা জেলা বাস-মিনিবাস কোচ মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সোনা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মহাসড়কে নসিমন-করিমনসহ অবৈধ যানবাহন চলাচলের কারণে সড়ক দুর্ঘটনা যেমন বাড়ছে, তেমনই বাসের যাত্রী কমেছে। এ অঞ্চলের পরিবহন মালিকদের ক্ষতির মধ্যে পড়তে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মহাসড়কে ইজিবাইক, মাহেন্দ্র, নছিমন, করিমনসহ অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধের দাবি করে আসছি। মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচল বন্ধে এ অঞ্চলের পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা অনেকদিন ধরে সাংগঠনিকভাবে প্রতিবাদ ও আন্দোলন করে আসছে।
সড়ক-মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধের জন্য সোমবার (৩০ মে) পর্যন্ত প্রশাসনকে সময় দেয়া হয়েছিল। কিন্তু দাবি আদায় না হওয়ায় ১ জুন থেকে খুলনা-ঢাকা, খুলনা-মাওয়া, খুলনা-বাগেরহাট, খুলনা-যশোর, খুলনা-কুষ্টিয়া, খুলনা-সাতক্ষীরা, খুলনা-পাইকগাছা, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুরসহ ১৮টি রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন চলাচল বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার
সিলেটে রবিবারের পরিবহন ধর্মঘট স্থগিত
রবিবার থেকে সিলেটে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক
কুষ্টিয়ায় কৃষক হত্যা মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় কৃষক সাবু মিয়াকে (২০) হত্যার দায়ে দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাদের ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
সোমবার (৩০ মে) দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের চাঁপাইগাছি গ্রামের আজিম প্রামাণিকের ছেলে মো. বাপ্পি প্রামাণিক এবং একই ইউনিয়নের মহেন্দ্রপুর গ্রামের গোলাপ সর্দ্দারের ছেলে আলামিন সর্দ্দার।
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের কুষ্টিয়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে কুষ্টিয়ার জজকোর্টের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী জানান, ২০১৫ সালের ১২ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টার দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের মো.স্বপন মন্ডলের বড় ছেলে সাবু মিয়া জগন্নাথপুর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে বাইসাইকেলে করে চাঁপাইগাছি বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এরপর সাবু রাতে বাড়ি ফিরে না আসায় সম্ভাব্য স্থানে খোঁজ খবর নিয়ে তার কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। পরের দিন ১৩ সেপ্টেম্বর সকালে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের চাঁপাইগাছি এলাকার কাদের বিশ্বাসের কলা বাগানের মধ্যে মৃতদেহ পড়ে থাকার খবর শুনে নিহত সাবুর বাবা মো. স্বপন মন্ডল, সাবুর স্ত্রী ও মেয়ে মোছা. শাপলা খাতুন এবং প্রতিবেশিরা গিয়ে সাবুর লাশ শনাক্ত করে। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় নিহত সাবু মিয়ার বাবা মো.স্বপন মন্ডল বাদী হয়ে কুমারখালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামি মো.বাপ্পি প্রামাণিক ও আলামিন সর্দ্দারের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আজ (৩০ মে) রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন আদালত।
আরও পড়ুন: হত্যা মামলা: দিনাজপুরে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ঝালকাঠিতে হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন
যশোরে পুকুরে ডুবে ৩ শিশুর মৃত্যু
যশোরের বাঘারপাড়ায় একসাথে পুকুরে গোসল করতে নেমে তিন শিশু মারা গেছে। সোমবার দুপুরে উপজেলার দক্ষিণ শ্রীরামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো-দক্ষিণ শ্রীরামপুরের হারুন মোল্যার মেয়ে তমা (৮), কামরুল ইসলামের মেয়ে সুমাইয়া (৮) এবং সাঈদ মোল্যার ছেলে হোসাইন (৫)।
স্থানীয় বাসুয়াড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান সরদার বলেন, দুপুরে ওই এলাকার চার শিশু পাশের পুকুরে গোসল করতে যায়। তাদের মধ্যে তিনজন পুকুরে ডুবে যায়। আরেক শিশু দৌড়ে বাড়ি ফিরে সবাইকে খবর দেয়। স্থানীয়রা দ্রুত পুকুরে নেমে শিশুদের উদ্ধার করে বাঘারপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
বাঘারপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ উদ্দিন ঘটনার সত্যততা স্বীকার করে বলেন, দুপুর ১২টা থেকে সাড়ে ১২টার মধ্যে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
ওসি আরও বলেন, পুকুরটি গভীর ও বাচ্চারা সাঁতার না জানার কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে পুকুরের পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
হলের পুকুরে ডুবে ঢাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
ছয়দিনের শিশুপুত্রের জন্য দুধ কিনে বাড়ি ফেরা হলো না তার!
যশোরে ছয়দিনের শিশুপুত্রের জন্য দুধ কিনে বাড়ি ফেরা হলো না আফজাল হোসেনের। পথে দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। রবিবার রাত ৮টার দিকে শহরের নাজির শংকরপুর চাতালের মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আফজাল হোসেন (৩৩) শহরের নাজির শংকরপুর এলাকার কবিরের বাড়ির ভাড়াটিয়া সোলায়মান হোসেনের ছেলে।
সোলায়মান হোসেন জানান, শহরের নাজির শংকরপুর চাতালের মোড়ে তার একটি চায়ের দোকান আছে। আফজাল তার দোকানে ছিল। রাত ৮টার দিকে তার ছয়দিনের শিশুপুত্রের জন্য দুধ নিয়ে বাড়ি ফিরছিল। চাতালের মোড়ের পুকুর পাড়ে পৌঁছালে সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় দুটি বোমার শব্দ শোনা যায়। লোকজন হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আফজাল দিনমজুর ছিল। পাশাপাশি তার চায়ের দোকানে বসে দোকানদারি করতো। ছয়দিন আগে তার একটি পুত্র সন্তান হয়। আরও দুটি ছেলে আছে আফজালের।
স্থানীয়রা জানায়, কিছুদিন আগে নাজির শংকরপুর কোল্ডস্টোরেজ মোড়ের সুজন ওরফে ট্যারা সুজনের সঙ্গে আফজালের বিরোধ সৃষ্টি হয়। আফজালের হাতে মারধরের শিকার হয় সুজন। সেই থেকে প্রতিশোধ নিতে সুজন তার গ্রুপের সদস্যরা আফজালকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। সুজনের নামেও একাধিক মামলা আছে থানায়। রোজার মাসের কয়েকদিন আগে সে জেল থেকে মুক্তি পায়।
রমজান নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিনি নাজির শংকরপুর জিরোপয়েন্টে ছিলেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তিনটি ইজিবাইকে করে ১৪-১৫ জন জিরোপয়েন্ট থেকে দক্ষিণ দিকে চাতালের মোড়ের পুকুরপাড়ে দাঁড়িয়েছিল। আফজাল পৌঁছানো মাত্রই তাকে পেছন থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারে। এ সময় চিৎকার শুনে তিনিসহ অন্যরা এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা পরপর দুটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। তারা চলে গেলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গিয়ে একটি রিকশায় করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাই। আধাঘন্টা পর আফজালের মৃত্যু হয়। ঘটনার সময় ট্যারা সুজনকে দৌঁড়ে যেতে দেখেছে এলাকার লোকজন।
হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. সোহান জানিয়েছেন, রোগীর মাথা ও ঘাড়ের পেছনে ধারালো অস্ত্রের কোপ রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।
কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, নাজির শংকরপুর চাতালের মোড়ে সন্ত্রাসীদের আক্রমণে আফজাল নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। এলাকায় পুলিশি অভিযান চলছে।
আরও পড়ুন: মেঘনায় বালু তুলতে পারবেন না সেলিম চেয়ারম্যান
কুষ্টিয়ায় জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিবসহ আটক ৩
অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক ম্যালকমের পাশে পুনাক সভানেত্রী
বাংলাদেশে বসবাসরত অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক অসুস্থ ম্যালকম আর্নল্ডের (৭৪) সাহায্যে এগিয়ে এলেন বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) সভানেত্রী জীশান মীর্জা।
বাংলাদেশের খুলনা জেলার একজন এনজিওকর্মী হালিমা বেগমকে বিয়ে করে ১৯ বছর ধরে বাংলাদেশে বসবাস করছেন ৭৪ বছর বয়সী ম্যালকম আর্নল্ড। যদিও ম্যালকমের ভিসার মেয়াদ আছে আগামী ২০২৫ সাল পর্যন্ত এবং অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডে তার সম্পত্তি রয়েছে; তবে ম্যালকম আর সেখানে ফিরে যেতে চান না।
গত বছরের ডিসেম্বরে ইউএনবি প্রতিনিধি এই দম্পতিকে দেখতে গেলে তারা তাদের প্রেম এবং বিয়ের গল্প শুনিয়েছিলেন।
কিন্তু বর্তমানে তিনি আর্থিক সংকটের সম্মুখীন এবং অসুস্থতার কারণে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন।
আরও পড়ুন: ভালোবেসে ১৮ বছর ধরে বাংলাদেশে যেভাবে জীবন কাটছে অস্ট্রেলিয়ার ম্যালকমের
তার অবস্থার কথা জেনে শুক্রবার (২৭ মে) দুপুরে পুনাকের সভাপতি ও আইজিপির স্ত্রী জীশান মীর্জা এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ম্যালকমের সঙ্গে কথা বলেন এবং তার সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। এসময় তিনি ম্যালকমকে আর্থিক ও চিকিৎসা সহায়তা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
এসময় ম্যালকমকে নিজ জন্মভূমি ছেড়ে বাংলাদেশকে ভালোবেসে বসবাস করার জন্য ধন্যবাদ জানান জীশান মীর্জা।
ভিডিও কনফারেন্সে জীশান মীর্জার পক্ষে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান ভূঞা ম্যালকম আর্নল্ডকে দেখতে তার সোনাডাঙ্গা মডেল থানাধীন লাভলু সাহেবের বাড়িতে এসে শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন। এছাড়াও তিনি ম্যালকমের আঁকা দুটি চিত্রকর্ম কিনে নেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন কেএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) এসএম ফজলুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এএন্ডও) সরদার রকিবুল ইসলাম, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (সদর) মোহাম্মদ এহসান শাহ্, অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) সোনালী সেন, পিপিএম-সেবা এবং অফিসার ইনচার্জ (সোনাডাঙ্গা মডেল থানা) মো. মমতাজুল হক।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ আমার দ্বিতীয় জন্মভূমি: ম্যালকম আর্নল্ড