খুলনা
মাগুরায় এডিসির ঝুলন্ত ও কনস্টেবলের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার
পৃথক ঘটনায় মাগুরায় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এডিসি) লাবনী আক্তারের ঝুলন্ত লাশ এবং পুলিশ কনস্টেবল মাহমুদুল হাসানের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার সারঙ্গদিয়া গ্রামে নানাবাড়ি থেকে এডিসি লাবনী আক্তারের ওড়না পেঁচানো লাশ এবং মাগুরা পুলিশ লাইন্স ব্যারাকের ছাদ থেকে কনস্টেবলের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, শ্রীপুর উপজেলার সারঙ্গদিয়া গ্রামে নানার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন কেএমপির এডিসি লাবনী আক্তার। সেখানে বৃহস্পতিবার সকালে তার গলায় ওড়না পেঁচানো লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: অভিযান চালানোর সময় হামলা: খুলনায় ৩ পুলিশ আহত, আটক ৩
খুলনা মেট্রোপলিটনের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) এস এম ফজলুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, লাবনী ছুটিতে ছিলেন। এটি আত্মহত্যা নাকি অন্য কিছু সেটি এখনই বলা যাচ্ছে না।
নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানা যায়।
এদিকে মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান জানান, রাতের ডিউটি শেষে ব্যারাকে ফিরে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে নিজ নামে ইস্যু করা অস্ত্র দিয়ে মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করেন মাহমুদুল হাসান। তার বাড়ি কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলায়।
মাহমুদুল হাসান দেড় মাস আগে বদলি হয়ে মাগুরা এসেছিলেন বলেও জানান পুলিশ সুপার।
তিনি আরও জানান, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাণীনগরে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য নিহত
রাজধানীতে সড়ক দর্ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবল নিহত
বিয়ের ৮ বছর পর একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম
যশোর সদরে বিয়ের আট বছর পর একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দিয়েছেন ২৬ বছরের এক গৃহবধূ। সোমবার রাতে যশোর শহরের কুইন্স হাসপাতালে সিজারের মাধ্যমে চার সন্তানের জন্ম দেন তিনি।
প্রসূতি শম্পা বেগম উপজেলার বসুন্দিয়া খান পাড়ার মালয়েশিয়া প্রবাসী কুদ্দুস মোল্লার স্ত্রী।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে একসাথে ৫ সন্তানের জন্ম দিলেন গৃহবধূ
শম্পার পরিবার জানায়, সোমবার দুপুরে শম্পার প্রসববেদনা উঠলে তাকে দ্রুত কুইন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই রাত সাড়ে ৯টার দিকে ডা. প্রতিভা ঘরাইয়ের তত্ত্বাবধানে সিজারের মাধ্যমে চার সন্তানের জন্ম হয়। এদের মধ্যে দুটি ছেলে ও দুটি কন্যা সন্তান। শম্পা ও তিন শিশু বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন।
শম্পা বেগম জানান, তার স্বামী মালয়েশিয়া প্রবাসী কুদ্দুস মোল্লার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হয়েছে। তিনিও খুব খুশি হয়েছেন।
আরও পড়ুন: যশোরে হাত-পাবিহীন সন্তানের জন্মগ্রহণ
কুইন্স হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. প্রতিভা ঘরাই বলেন, নবজাতকদের স্বাভাবিক ওজন হলো আড়াই কেজি। কিন্তু এই চার নবজাতকের মধ্যে একজনের ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় কম হওয়ায় তাকে আদ-দ্বীন হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। ওই শিশুটি দ্রুত সুস্থতা লাভ করবে বলে আমরা আশাবাদী।
মাগুরায় পরিবহন শ্রমিকের মৃত্যু: পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ, ৫ পুলিশের বিরুদ্ধে এফআইআর
মাগুরায় পুলিশি নির্যাতনে এক পরিবহন শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্তের পাশাপাশি পাঁচ পুলিশের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার দুপুরে নিহতের স্ত্রী যমুনা বেগম আদালতে আবেদন করলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (দ্বিতীয়) সব্যসাচী এই আদেশ দেন।
বাদীর অভিযোগকে বিবেচনা করে এফআইআর নির্দেশ দেন এবং পিবিআইকে বিষয়টি তদন্ত করতে বলেন আদালত।
মামলার আসামিরা হলেন- নাকোল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এস আই) জামাল, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সিরাজ মোল্লা, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) জসিম ও পুলিশ ভ্যানচালক নাজমুল।
আরও পড়ুন: মাগুরায় পুলিশের নির্যাতনে পরিবহন শ্রমিকের মৃত্যুর অভিযোগ
মামলার অভিযোগে বলা হয়, শনিবার এক ব্যক্তির মিথ্যা অভিযোগের প্রেক্ষিতে শ্রীপুর উপজেলার ওয়াপদা টিকিট কাউন্টারের কর্মী আব্দুস সালামকে (৪৫) মারধর করে আসামিরা। সালাম অজ্ঞান হয়ে পড়লে পুলিশ তাকে প্রথমে নাকোল ক্যাম্পে এবং পরে মাগুরা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে নিহতের স্বজন ও ওয়াপদা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শ্রমিকরা এসআই জামালের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনে প্রায় এক ঘণ্টা মাগুরা-ফরিদপুর সড়ক অবরোধ করে রাখে।
মাগুরার পুলিশ সুপার জহিরুল ইসলাম জানান, ওই দিনই এসআই জামালকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: শিয়ালের কামড়ে মাগুরায় আহত ৫
তিনি জানান, বিষয়টি তদন্তের জন্য তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া নিহতের পরিবার শ্রীপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
পাইকগাছায় সুইচ গেট ভেঙে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা
খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার সোলাদানা বাজার সংলগ্ন ওয়াপদা রাস্তার ওপর নির্মিত পানি সরবরাহের সুইচ গেটটি দীর্ঘ দিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। গেট সংলগ্ন এলাকা ভেঙে যাওয়ায় সেখান থেকে জোয়ারের পানি ঢুকে অন্তত ৩-৪ গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। একই অবস্থা বিরাজ করছে পাশের হাড়িভাঙ্গা এলাকায়।
চলতি বর্ষা মৌসুম ও জোয়ারে অতিরিক্ত পানির চাপকে সামনে রেখে নানা আশঙ্কার দানা বেঁধে উঠেছে স্থানীয়দের মধ্যে। তারা জানান, বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো দীর্ঘ দিনেও সংস্কার না হওয়ায় মূলত এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য প্রবীর রায় জানান, তিনি বিষয়টি নিয়ে চেয়ারম্যান ও ওয়াপদা অফিসের এসও কে জানিয়েছেন। তারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এ ব্যাপারে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।
সোলাদানা ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবদুল মান্নান গাজী বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে স্থানীয়ভাবে কাজ করার ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২৩
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এসএসসি পরীক্ষার্থীরা নতুন বই পাবে: শিক্ষামন্ত্রী
খুলনায় এবার ইলিশের চড়া দাম
খুলনার বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় দাম বেশি বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
খুলনার বেশ কয়েকটি মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এবার বাজারে তুলনামূলক ইলিশের সংখ্যা খুবই কম। বাজারে যে ইলিশ আছে তার আকাশ ছোঁয়া দাম হাঁকছেন বিক্রেতারা। আর এসব ইলিশ হচ্ছে নদ নদীর ইলিশ।
শেখ সাদি নামের এক ক্রেতা বলেন, এ বছর ইলিশের দাম আকাশ ছোঁয়া। দামের কারণে মাছটি সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। অথচ এই বর্ষাকালে ইলিশের দাম ছিল ক্রেতাদের নাগালে। মাইকিং করে বাজারে মাছ বিক্রি করা হতো। কিন্তু এ বছর ভরা মওসুমেও ইলিশ জোটেনি অনেকের ভাগ্যে।
আরও পড়ুন: বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে চায় সরকার: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
কেসিসি রূপসা মৎস্য আড়তের মেসার্স মদিনা ফিস ট্রেডার্সের পরিচালক মো. আবু মুছা বলেন, খুলনায় এবার ইলিশের দাম স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। দেড় কেজি ওজনের নদীর ইলিশ ১৭০০-১৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি ২০০ গ্রামের ইলিশ ১৫০০ টাকা। এক কেজির ইলিশ ১৩০০-১৪০০ টাকা। যা এখন থাকার কথা ছিল ৭০০-৮০০ টাকা। ৭০০-৮০০ গ্রামের ইলিশের দাম ১১০০-১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তিনি বলেন, এসময় ইলিশের সরবরার বেশি থাকার কথা হলেও সরবারহ কম।
খুলনা কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সহ-সভাপতি বিকাশ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সাগরে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ রয়েছে। যে কারণে বাজারে ইলিশের সংকট। ২৩ জুলাই এর পর সাগরে মাছ ধরা শুরু হলে বাজারে মাছের সরবরাহ বেড়ে যাবে। তখন এ সংকট থাকবে না।
আরও পড়ুন: ইলিশ আহরণ বন্ধের সময় মৎস্যজীবীদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থান
নড়াইলে ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫ জন রিমান্ডে
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া গ্রামে ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ এনে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা,ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচজনকে তিনদিনের রিমান্ডে দিয়েছে আদালত। সোমবার বিকালে লোহাগড়া আমলী আদালতের বিচারক জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. মোরশেদুল আলমের আদালত এ নির্দেশ দেন।
এর আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান তাদের ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। বিচারক শুনানী শেষে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন-সাদেকুর রহমানের ছেলে মাসুম বিল্লাহ (৩২), আমিনউদ্দিনের ছেলে সাইদ শেখ (২৫), বারিক শেখের ছেলে রেজাউল শেখ (৪০), এসহাক শেখের ছেলে রাসেল মৃধা (৩৮) ও আজিজুল গাজীর ছেলে কবীর গাজী (৪০)।
এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু হেনা মিলন বলেন, ‘অজ্ঞাত ২৫০ জনের নামে মামলা হয়েছে।ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে পাঁচজনকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি।’
আরও পড়ুন: নড়াইলে ভাঙচুর: গ্রেপ্তার যুবকের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
প্রসঙ্গত, গত ১৫ জুলাই লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া সাহাপাড়ার কলেজছাত্র আকাশ সাহার ফেসবুকে ধর্ম নিয়ে কটূক্তির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ তুলে সাহাপাড়ার গোবিন্দ সাহা, তরুণ সাহা, দিলীপ সাহা, পলাশ সাহার বাড়িসহ বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। এসময় তারা গোবিন্দা সাহার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
ভাংচুর ঘটনায় ১৭ জুলাই লোহাগড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাকফুর রহমান বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় ২৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা করে মামলা দায়ের করেন।
অপরদিকে, সাহা পাড়ার অশোক সাহার ছেলে আকাশ সাহার বিরুদ্ধে ফেসবুকে মহানবী (সা.)কে নিয়ে কটুক্তির অভিযোগে ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে দাঙ্গা সৃষ্টির অপরাধ’ সংক্রান্ত মামলা হয়েছে। গত ১৬ জুলাই লোহাগড়া থানায় মামলাটি করেন দিঘলিয়া গ্রামের সালাহ উদ্দিন কচি সরদার।
এরপর এদিন রাতে খুলনা থেকে আকাশ সাহাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ১৭ জুলাই বিকালে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মোরশেদুল আলমের আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা লোহাগড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাকফুর রহমান সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করলে বিচারক শুনানি শেষে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: নড়াইলে হিন্দু বাড়ি ও দোকান ভাঙচুর
নড়াইলে অধ্যক্ষ হেনস্তা: ১ শিক্ষক ও কলেজ পরিচালনা পরিষদকে শোকজ
নড়াইলে ভাঙচুর: গ্রেপ্তার যুবকের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
নড়াইলের লোহাগড়ার দিঘলিয়া এলাকায় মহানবীকে (সা.) নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তির অভিযোগে গ্রেপ্তার কলেজছাত্র আকাশ সাহার (২০) তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রবিবার বিকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোরশেদুল আলমের আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা লোহাগড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাকফুর রহমান সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করলে বিচারক শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে শনিবার রাতে খুলনা থেকে আকাশ সাহাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই দিন রাত সোয়া ৯টার দিকে দিঘলিয়া গ্রামের সালাহ উদ্দিন কচি সরদার বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় আকাশের নামে ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে দাঙ্গা সৃষ্টির অপরাধ’সংক্রান্ত মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়: চট্টগ্রামে পুলিশের ৬ সদস্য রিমান্ডে
এদিকে, সাহাপাড়ার বাড়িঘর ও দোকান ভাঙচুর এবং দু’টি মন্দিরে হামলার ঘটনায় রবিবার রাতে ২৫০ জনকে আসামি করে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করেন এসআই মাকফুর রহমান।।
এই বিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু হেনা মিলন জানান, গত শুক্রবার লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া সাহাপাড়ার কলেজছাত্র আকাশ সাহার ফেসবুকে মহানবীকে (সা.) নিয়ে কটূক্তির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠে। এরপর বিক্ষুদ্ধ লোকজন আকাশ সাহার গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে তাদের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করেন এবং বিকাল থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ভারতীয় জুয়াড়ি সন্দেহে গ্রেপ্তার তিনজন রিমান্ডে
ওসি জানান, বিক্ষুদ্ধ লোকজন একপর্যায়ে সাহাপাড়ার ৫-৬টি বাড়িঘর ভাঙচুর করে একটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়া সাহাপাড়ার মন্দিরের চেয়ার ও সাউন্ডবক্স এবং আখড়াবাড়ি মন্দিরে ভাঙচুর করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়।
পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আপাতত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
খুলনায় পানিতে ডুবে মাদ্রাসারছাত্রের মৃত্যু
খুলনায় পুকুরে গোসল করতে গিয়ে আরাফাত (১৩) নামের এক মাদ্রাসাছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার দুপুর ১২ টার দিকে খুলনা মহানগরীর আইজার মোড় এলাকার একটি পুকুরে ডুবে তার মৃত্যু হয়।
খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) কঞ্জারভেন্সি বিভাগের উচ্চমান সহকারী আনোয়ার হোসেনের বড় ছেলে আরাফাত। সে স্থানীয় ইকরা মাদ্রাসার হাফেজী পড়তো।
কেসিসির সহকারী কঞ্জারভেন্সি অফিসার মোল্লা মারুফ রশিদ জানান, দুপুর ১২ টার দিকে ৬/৭ জন শিশু কিশোর মিলে আইজার মোড়ের পুকুরে গোসল করতে যায়। এসময় আরাফাত ও তার ছোট ভাই তাদের সঙ্গে যায়। সবাই গোসল করে উঠে আসলে আরাফাত না আসায় ছোট ভাই তাকে খুঁজতে থাকে। পরে প্রতিবেশি ও স্বজনরা পুকুর থেকে আরাফাতকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, আরাফাত সাঁতার জানতো না। সে ১২ পারা কোরআন মুখস্থ করেছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
বাগেরহাটে পুকুরে ডুবে একই পরিবারের ২ শিশুর মৃত্যু
বন্যায় ভেসে গেছে ৮ কোটি টাকার মাছ-চিংড়ি-কাঁকড়া
সাতক্ষীরায় খোলপেটুয়া নদীর উপকূল রক্ষা বেড়িবাঁধ ভেঙে পানির স্রোতে ভেসে গেছে বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের মাছের ঘের ও কাঁকড়া খামার। বাঁধ ভাঙার তিন দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও বাঁধ মেরামত করা যায়নি। এ কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে।
সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, বাঁধ ভেঙে পানিতে ভেসে গেছে এক হাজার ৬৫৫ হেক্টর চিংড়ি ও কাঁকড়া খামার। এর মধ্যে পুকুর রয়েছে ১০০টি। চিংড়ি, কাঁকড়া, সাদা মাছ, মাছের পোনাসহ আনুষঙ্গিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আট কোটি ২৮ লাখ টাকার।
সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আনিসুর রহমান জানান, ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের তালিকা প্রস্তুত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তালিকা প্রস্তুত সম্পন্ন হলে সেটি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
জেলা প্রশাসক জানিয়েছেন, তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় প্রণোদনার চেষ্টা করবেন।
আরও পড়ুন: বন্যা: সিলেট নগরীর সড়কে ক্ষতি ২০০ কোটি টাকা
খুলনায় নারী নির্যাতনের মামলায় আরও ২ জন গ্রেপ্তার
খুলনার কয়রা উপজেলার গিলাবাড়ি কুচির মোড়ে সন্তানদের সামনে মাকে গাছে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- মামলার ২ নম্বর আসামি আফছার গাজী (৪০) এবং ৫ নম্বর আসামি আখফর হোসেন গাজী।
শনিবার সন্ধ্যায় কয়রা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইব্রাহিম আলী গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে পোশাকশ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগে ভণ্ড পীর গ্রেপ্তার
তিনি জানান, শনিবার দুপুরে আসামি আফছার গাজী ও আখফর হোসেন গাজীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে শুক্রবার রাতে মামলার পরপরই আসামি আরাফাত হোসেন ও সাইদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইয়াবা জব্দ, দম্পতিসহ গ্রেপ্তার ৩
এর আগে ঘটনার চারদিন পরে ভিকটিমের বাবা আব্দুল গফফার গাজী বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে ১৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।