খুলনা
করোনা ও উপসর্গে কুষ্টিয়ায় আরও ১৯ মৃত্যু
কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
কুষ্টিয়া করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে ১৫ জন ও উপসর্গ নিয়ে আরও চার জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ছিল ১৪ জন।
আরও পড়ুন: বরিশালে করোনা ও উপসর্গে ১১ জনের মৃত্যু
রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মো. মেজবাউল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে রবিবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ২০৮ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই ১৪৮ জন। আর উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন আরও ৬০ জন।
এদিকে, কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৮৪১ নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে নতুন করে ২৬০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ৯১ ভাগ। এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা হচ্ছে ১৩ হাজার ১৯৯ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ৬৫ জন। এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৫০৪ জন।
আরও পড়ুন: রাজশাহী মেডিকেলে করোনায় আরও ১১ মৃত্যু
নতুন শনাক্তদের মধ্যে সদর উপজেলার ৫২ জন, কুমারখালীর ২৬. দৌলতপুরের ৮৯, ভেড়ামারার ৩০, মিরপুরের ৪৯ ও খোকসা উপজেলায় ১৪ জন রয়েছেন। বর্তমানে কুষ্টিয়ায় করোনা রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৬৫৪ জন। এদের মধ্যে হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন ২২৬ জন। হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ৩ হাজার ৪২৮ জন।
নৌবাহিনীর অভিযানে নিখোঁজ সেনা সদস্যের লাশ উদ্ধার
নৌবাহিনীর অভিযানে যশোর পৌরপার্কের পুকুরে ডুবে নিখোঁজ হওয়া এক সেনা সদস্যের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার প্রথম প্রহরে রাত ২টার দিকে খুলনা থেকে আসা নৌবাহিনীর একটি স্পেশাল ডুবুরি দল ওই সেনা সদস্যের লাশ উদ্ধার করে।
নিহত তানভির ফারহান (১৯) শুভ বিমান বাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার আকরাম হোসেনের ছেলে ও যশোর শহরতলীর আরবপুর এলাকার বাসিন্দা এবং ঝিনাইদাহ ক্যাডেট কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।
আরও পড়ুন: টাঙ্গন নদী থেকে বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার
নৌবাহিনীর অভিযানে সাত সদস্যের বিশেষ ডুবুরি দলের নেতৃত্ব দেন লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিবুল ইসলাম।
সংশ্লিষ্টরা জানান, শুক্রবার বিকালে ফুটবল খেলা শেষে শুভ তার কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে পৌরপার্কের পুকুরে গোসল করার জন্য নামে। সাঁতার কেটে তার বন্ধুরা সহ সকলে পুকুরের পশ্চিম পাড় থেকে পূর্ব পাড়ে উঠে যায়। সবাই সাঁতরে পাড়ে উঠতে পারলেও শুভ উঠতে পারেনি।
পরে তাকে খুঁজে না পেয়ে স্থানীয়রা তার পরিবারকে জানায়। এই ঘটনা জানাজানির পরে যশোরের ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ও ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে এসে দীর্ঘ চার ঘণ্টা ধরে উদ্ধার কার্যক্রম চালায়। কিন্তু কোনও হদিস না পেয়ে রাতে উদ্ধার কাজ স্থগিত রাখেন।
এদিকে নিহত শুভর বাবা নৌবাহিনীতে যোগাযোগ করলে, একটি নৌবাহিনীর বিশেষ একটি দল উদ্ধার কাজ শুরু করে রাত ২টার দিকে শুভর লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: সিলেটে সড়কে বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার
শুভর বাবা আকরাম হোসেন জানান, শুভ ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করার পর সেনাবাহিনীতে সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট হিসেবে যোগদান করে। সামনে তার ট্রেনিংয়ে যাওয়ার কথা ছিলো।
নওগাঁয় ট্রাক্টরের ধাক্কায় ২ সহোদর নিহত
নওগাঁ পত্নীতলা উপজেলার জলকার মোড় এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহতের ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে ট্রাক্টরের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই সহদর ভাই নিহত হয়।
নিহতরা হলেন- উপজেলার মহিমাপুর গ্রামের মৃত নেপাল চন্দ্রের ছেলে অলিত চন্দ্র (৩২) ও সুভাষ চন্দ্র (২৬)।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ৩
পত্নীতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামছুল আলম শাহ্ জানান, অলিত চন্দ্র ও সুভাষ চন্দ্র দুই ভাই মোটরসাইকেল যোগে মধইলবাজার থেকে নজিপুর পৌরসভা এলাকায় আসার পথে জলকার মোড়ে তাদের মোটরসাইকেলটি ট্রাক্টরের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষের ফলে ঘটনাস্থলে অলিত চন্দ্র নিহত হন। স্থানীয়রা ছোট ভাই সুভাষ চন্দ্রকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পত্নীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনিও মারা যান।
আরও পড়ুন: গৌরনদীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২ ভাইয়ের মৃত্যু
ওসি জানান, ট্রাক্টরটি জব্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পত্নীতলা থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
কুষ্টিয়া জেলাতে করোনায় আরও ১৪ মৃত্যু
কুষ্টিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে আরও ১৪ জন মারা গেছেন। এসময় করোনা আক্রান্ত হয়ে ১৩ জন ও উপসর্গ নিয়ে এক জনের মৃত্যু হয়েছে।
কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মার যান।
এর আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ছিল ১৭ জন।
আরও পড়ুন:রামেকে করোনা কেড়ে নিলো আরও ২২ প্রাণ
শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মো. মেজবাউল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, করোনা আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ২২৮ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই ১৬৮ জন। আর উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন আরও ৬০ জন।
এদিকে, কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ২০৭ নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে নতুন করে ৬৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ২০ শতাংশ। এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১২ হাজার ৯৩৯ জনে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৮ হাজার ৮৬৫ জন। এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৪৮৫ জন।
নতুন শনাক্তদের মধ্যে সদর উপজেলায় ৩৬ জন, কুমারখালীতে ১৩. দৌলতপুরে চার, ভেড়ামারায় আট, মিরপুরে চার ও খোকসা উপজেলায় দুই জন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: করোনা: কুমিল্লায় আরও ১০ মৃত্যু, শনাক্ত ২০৯
বর্তমানে কুষ্টিয়ায় করোনা রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৬০৯ জন। এদের মধ্যে হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন ২৩২ জন। হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ৩ হাজার ৩৭৭ জন।
খুলনায় কঠোরভাবে পালিত হচ্ছে লকডাউন
করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে শুরু হওয়া লকডাউনের দ্বিতীয় দিন খুলনায় বেশ কঠোরভাবে পালিত হচ্ছে। গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে।
সর্বাত্মকভাবে লকডাউন পালনের জন্য জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি মেট্রোপলিটন ও জেলা পুলিশ ব্যাপক তৎপর রয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা: কুমিল্লায় আরও ১০ মৃত্যু, শনাক্ত ২০৯
শহর ঘুরে সরেজমিনে দেখা যায়, লকডাউন সর্বাত্মকভাবে পালনে বাধ্য করতে পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে প্রধান সড়ক ও মোড়ে মোড়ে পুলিশ টহল দিচ্ছে। রাস্তায় পুলিশের টহল গাড়ি, পণ্যবাহী ট্রাক, রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহৃত সীমিত সংখ্যক যানবাহন ছাড়া তেমন যানবাহন চোখে পড়ছে না। পথে পথে ব্যারিকেড দেয়া হয়েছে। জরুরি কাজে কেউ বের হলেও পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
খুলনা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেবাশীষ বসাক জানান, লকডাউনের নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তিনটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। যাদের সাথে রয়েছে বিজিবি ও এপিবিএন।
আরও পড়ুন: রামেকে করোনা কেড়ে নিলো আরও ২২ প্রাণ
খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহবুব হাসান বলেন, জেলাব্যাপী লকডাউন কার্যকর করতে জেলা পুলিশ, জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ সমন্বিতভাবে কাজ করছি। আমাদের সাথে সব সময় জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ জনগণ রয়েছেন। লকডাউন সফল করতে জেলার ৯ থানায় ২৯টি চেক পোস্ট বসানো রয়েছে। ৪১টি টহল গাড়ির টিম সমগ্র জেলায় কাজ করছে।
তিনি জানান, করোনা সংক্রমণ রোধে শুরু হওয়া দুই সপ্তাহব্যাপী লকডাউনের শেষ পর্যন্ত কঠোর অবস্থানে থাকবে খুলনা জেলা পুলিশ।
খুলনায় শুরু হয়েছে কঠোর লকডাউন
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে শুক্রবার ভোর থেকে খুলনায়ও শুরু হয়েছে কঠোর লকডাউন। খুলনা মহানগরীর মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে পুলিশি চেকপোস্ট। তৎপর রয়েছে প্রশাসনের সদস্যরা। অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার কোন যাত্রীবাহী পরিবহন খুলনা থেকে ছেড়ে যায়নি। তবে রাতে যে সকল বাস ঢাকা থেকে খুলনার উদ্যেশে ছেড়েছে তার দু’একটা দেখা গেছে।
আরও পড়ুনঃ লকডাউনেও আন্তর্জাতিক যাত্রীদের জন্য চলবে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট
ঈদের ছুটির পর শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় অনেকেই বাড়ি থেকে বের হয়নি। নগরীর প্রাণকেন্দ্র ডাকবাংলা মোড়ে কয়েকটি ফলের দোকান ছাড়া অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ থাকতে দেখা গেছে। দু’একজন চলাচল করলেও পুলিশের চেকপোস্টের কাছে এসে তাদের জবাবদিহি করতে হচ্ছে। অকারণে মোটরসাইকেলে ঘোরাঘুরির কারণে কয়েকজনকে পুলিশের মুখোমুখি হতে হয়েছে। আটক করা হয়েছে অনেকের গাড়ি। দূরপাল্লার বাসের কয়েকজন যাত্রীকে মালামাল নিয়ে বাসস্ট্যান্ডে দাড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে গাড়ির জন্য। সকাল থেকে নগরীর কোথাও কোন গণপরিবহন চলতে দেখা যায়নি।
আরও পড়ুনঃ পুনরায় লকডাউনে রাজধানীর সড়কগুলোতে শুনশান নীরবতা
মূল সড়ক ফাঁকা থাকলেও নগরীর অলিগলিতে রয়েছে জনসমাগম। খোলা রয়েছে চা ও কিছু মুদি দোকান। অর্ধেক শাটার নামিয়ে সেখানে চলছে সব বয়সী মানুষের আড্ডা। পুলিশের গাড়ি দেখা মাত্র দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যাচ্ছে।
খুলনার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুস্মিতা সাহা জানান, ‘সরকারি প্রজ্ঞাপনে যে নির্দেশগুলো দেওয়া আছে সেগুলো জনগণ মানছে কী না আমরা সেটা দেখবো। যৌক্তিক কারণ ছাড়া যারা ঘর থেকে বাইরে বের হবে বা আড্ডা দিবে সেখানে আমরা অভিযান চালিয়ে তাদের বাড়ি পাঠানোর চেষ্টা করবো, এরপরও তারা না শুনলে মামলা দিবো। দু’টি টিম নগরীতে কাজ করছে। তাদের সঙ্গে রয়েছে এপিবিএনের সদস্যরা। প্রয়োজনে অন্য বাহিনীর সদস্যরাও অভিযানে যোগ হবে।‘
খুলনা বিভাগে করোনায় ৩০ মৃত্যু
খুলনা বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে শনাক্ত হয়েছে ৩৬১ জনের। এর আগে বৃহস্পতিবার বিভাগে ৪০ জনের মৃত্যু ও ২১৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
শুক্রবার বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
আরও পড়ুন: রামেকে করোনা কেড়ে নিলো আরও ২২ প্রাণ
স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তর সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে কুষ্টিয়া জেলায়। বাকিরা খুলনায় ও যশোরে পাঁচ জন করে; মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গায় তিন জন করে; মাগুরায় ২ জন ও ঝিনাইদহে একজন মারা গেছেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে করোনা ও উপসর্গে আরও ১০ মৃত্যু
খুলনা বিভাগের মধ্যে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় চুয়াডাঙ্গায় গত বছরের ১৯ মার্চ। করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় মোট শনাক্ত হয়েছে ৮৫ হাজার ৫৩৫ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২ হাজার ৯৩ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫৯ হাজার ১১৫ জন।
করোনা: খুলনায় আরও ৭ জনের মৃত্যু
খুলনার পাঁচটি হাসপাতালে গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
খুলনা ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালে দুজন, শহীদ শেখ আবু নাসের হাসপাতালে একজন, খুলনা জেনারেল হাসপাতালে একজন, বেসরকারি সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন এবং গাজী মেডিকেল হাসপাতালের দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: রামেকে করোনায় মৃত্যুর মিছিলে আরও ২২ প্রাণহানি
খুলনা ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডাঃ সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, হাসপাতালে গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১২১ জন। গত ২৪ ঘন্টায় ভর্তি হয়েছেন ৫ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরেছেন ৪ জন।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্ত প্রায় ১৯ কোটি ২৫ লাখ
খুলনার শহীদ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. প্রকাশ দেবনাথ জানান, হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন ৪৫ জন। তার মধ্যে আইসিইউতে রয়েছে ১০ জন।
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩৮ জন, তার মধ্যে ২২ জন পুরুষ ও ১৬ জন মহিলা। গত ২৪ ঘন্টায় ভর্তি হয়েছেন ৫ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১০ জন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় করোনা জটিলতায় আরও ১৭ মৃত্যু
সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে বর্তমানে ৫৮জন ভর্তি রয়েছেন। গত ২৪ ঘন্টায় ভর্তি হয়েছেন আটজন আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ছয়জন।
গাজী মেডিকেল হাসপাতালের স্বত্তাধিকারী ডাঃ গাজী মিজানুর রহমান জানান, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৬৫ জন। গত ২৪ ঘন্টায় ভর্তি হয়েছেন ১৪ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১০ জন।
মাগুরায় করোনা সংক্রমণে আরও ৪ মৃত্যু
মাগুরা জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত আরও চার জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
মাগুরার সিভিল সার্জন ডা. শহীদুল্লাহ দেওয়ান জানান, মৃতদের মধ্যে দুইজনের বাড়ি মাগুরা শহরে, এক জনের বাড়ি হাজরাপুর ও আরেক জনের বাড়ি রাজারামপুরে। এ নিয়ে জেলায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫৩ জনে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে করোনা জটিলতায় আরও ১০ মৃত্যু
তিনি জানান, শুক্রবার প্রাপ্ত নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনে ৫১ জনের মধ্যে ২০ জনের করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এ নিয়ে জেলায় করোনা শনাক্তের হার ৩৯ দশমিক ২১ শতাংশ। মাগুরায় এখন পর্যন্ত মোট ২৭০৫ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা: কুমিল্লায় আরও ৭ মৃত্যু, শনাক্ত ২৫১
এদিকে, জেলায় সর্বত্র কঠোর লকডাউন চলছে। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হচ্ছে।
করোনা: কুষ্টিয়ায় আরও ১৭ মৃত্যু
কুষ্টিয়ায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গ নিয়ে মৃতের সংখ্যা আবারও বেড়ে গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আরও ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
কুষ্টিয়া করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে ১১ জন এবং করোনার উপসর্গ নিয়ে আরো ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগের ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মৃতের সংখ্যা ছিল ১৪ জন। শুক্রবার সকাল ১০ টায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মো: মেজবাউল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটি শেষে ফের কঠোর বিধিনিষেধ, বন্ধ থাকবে সব কারখানা
এদিকে হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে রোগী ভর্তির চাপ আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে। আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে শুক্রবার সকাল ১০ টা পর্যন্ত ২৩৫ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই ১৭৯ জন। আর উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন আরো ৫৬ জন।
এদিকে কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৭৭ টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে নতুন করে ৫৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ২০ ভাগ।
আরও পড়ুন: বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্ত প্রায় ১৯ কোটি ২৫ লাখ
এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বর্তমানে ১২ হাজার ৮৭২ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৮ হাজার ৬৮৭ জন। এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৪৭১ জন। নতুন করে শনাক্ত হওয়া ৫৭ জনের মধ্যে রয়েছেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ২৩ জন, কুমারখালী উপজেলায় ২০. দৌলতপুর উপজেলায় ০২ জন, ভেড়ামারা উপজেলায় ০৩, মিরপুর উপজেলায় ০৮জন ও খোকসা উপজেলায় ০১ জন।
আরও পড়ুন: দেশে করোনায় মৃত্যু ১৮৭, শনাক্ত ৩,৬৯৭
এখন পর্যন্ত জেলায় ৮০ হাজার ৯৫০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পেয়েছেন ৭৬ হাজার ৯৮২ জন। বাকিরা নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনের অপেক্ষায় রয়েছেন।
বর্তমানে কুষ্টিয়ায় সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৭৩১ জন। এদের মধ্যে হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন ২৪৪ জন। হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ৩ হাজার ৪৮৭ জন।