খুলনা
যশোরের অভয়নগরে ৩টি ক্লিনিককে ১.৫৫ লাখ টাকা জরিমানা
যশোরের অভয়নগর উপজেলার তিনটি ক্লিনিককে ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছেন ভ্রাম্যমাণ অদালত।
বুধবার (৩১জানুয়ারি) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন ক্লিনিকে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমান আদালতের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও উপজেলা প্রশাসনের দুইটি টিম।
প্রথমে নওয়াপাড়ার চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় অনিয়ম পরিলক্ষিত হওয়ায় মেডিকেল প্র্যাকটিস এবং বেসরকারি ক্লিনিক ও ল্যাব (নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ ১৯৮২ এর ১৩ (২) ধারা মোতাবেক এল ভি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক মো. শামছুস ইসলামকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
পর্যাপ্ত ডিউটি ডাক্তার না থাকা ও সরকারি অনুমোদনের অতিরিক্ত রোগী ভর্তির অপরাধে মেডিকেল প্র্যাকটিস এবং বেসরকারি ক্লিনিক ও ল্যাব (নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ ১৯৮২ এর ১৩ (২) ধারা এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৮ এবং ৫২ ধারা মোতাবেক ফাতেমা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক মো. তরিকুল ইসলামকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অবৈধ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
এদিকে, বিভিন্ন প্রকার পরীক্ষা নিরীক্ষার নির্ধারিত মূল্য তালিকা থাকা সত্ত্বেও অতিরিক্ত অর্থ আদায় করার দায়ে ভোক্তা সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪০ ধারায় আরোগ্য সদন প্রাইভেট হাসপাতালের মালিক মিলন কুমার বসুকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
যশোর র্যাব-৬ সিপিসি-৩ এর স্কোয়াড কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. ফয়সাল তানভীর বলেন, ‘বুধবার দিনব্যাপী সিভিল প্রশাসনের সঙ্গে যৌথ এই ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক ৩টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। পরবর্তীতে চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় এ সকল অনিয়ম না করার জন্য সতর্কও করা হয়েছে।’
জরিমানার অর্থ সংশ্লিষ্ঠ ব্যক্তি তাৎক্ষণিক প্রদান করায় সরকারি কোষাগারে জমা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে লাইসেন্সবিহীন ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টার ১৪টি
খুলনায় নিবন্ধনহীন ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারের তালিকা করছে সিভিল সার্জন অফিস
চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা বেড়েছে, গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হয়েছে রাতে
চুয়াডাঙ্গায় এক দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা বেড়েছে প্রায় ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে একদিকে বাড়তে শুরু করেছে তাপমাত্রা এবং অন্যদিকে কমছে শীতের তীব্রতা।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে এ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে, মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা শহরে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি দেখা গিয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, গত রবিবার (২৮ জানুয়ারি) এ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর থেকে উপরে উঠতে থাকে তাপমাত্রার পারদ। সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি ও মঙ্গলবার ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এক দিনের ব্যবধানে আজ বুধবার তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
আরও পড়ুন: তীব্র শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, বুধবার সকাল ৬টায় এ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৯৬ শতাংশ। সকাল ৯টায় একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এছাড়া রাতে শূন্য দশমিক ৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়ে তিনি আরও জানান, আজসহ আগামী শুক্রবার পর্যন্ত আকাশ মেঘলাসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এই মেঘলা কেটে গেলে আবারও শীত অনুভূত হবে। তবে আগামী সপ্তাহের শেষে আবারও একটি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, হঠাৎ তাপমাত্রার পারদ ওঠানামা করায় অনেকে আক্রান্ত হচ্ছেন বিভিন্ন রোগে। জ্বর ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে অনেকে ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে। এই পরিস্থিতিতে সবাইকে সচেতন থাকতে বলছে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ। বিশেষ করে শিশুদের প্রতি যত্ন নেওয়ার জন্য বলা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬.৬ ডিগ্রি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ
শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার আসামি সাত্তারের মৃত্যু
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি বহরে হামলা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি আব্দুস সাত্তার মারা গেছেন।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
আব্দুস সাত্তার উপজেলার কয়লা গ্রামের মৃত লতিফ সানার ছেলে।
আরও পড়ুন: অটোরিকশার চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু
সাতক্ষীরা জেলা কারাগারের সুপার আবুল বাশার জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি আব্দুল লতিফ। রবিবার সন্ধ্যায় তিনি অসুস্থবোধ করলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক সাইফুল ইসলাম জানান, হাসপাতালে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। কারাগার থেকে হাসপাতালে আনার পথে তার মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করেন তিনি।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিদুল ইসলাম জানান, সোমবার লাশের ময়নাতদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া শেষে সাত্তারের লাশ তার স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বালুভর্তি ট্রাক উল্টে কিশোরের মৃত্যু
চট্টগ্রামে ঘুড়ি ধরতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নারীর মৃত্যু
বেনাপোলে ২টি স্বর্ণের বার জব্দ, যুবক আটক
যশোরের বেনাপোল ইমিগ্রেশন-কাস্টমসে জাহাঙ্গীর হোসেন নামে একজনকে আটক করেছে শুল্ক গোয়েন্দা। এ সময় তার কাছ থেকে ২৩৩ গ্রাম ওজনের দুইটি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে শুল্ক গোয়েন্দার সদস্যরা।
আটক মেহেদী হাসান কুমিল্লার চানদিনা থানার জোয়াগ গ্রামের আব্দুল বাতেনের ছেলে। সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সন্দেহজনকভাবে তাকে আটক করে শুল্ক গোয়েন্দা সদস্যরা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিমানে আসনের নিচ থেকে সাড়ে ৪ কেজি স্বর্ণালঙ্কার জব্দ
তার পাসপোর্ট নম্বর- ইঙঙ২৭২৯৭১
শুল্ক গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, তারা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মেহেদী হাসান নামে একজন পাসপোর্টধারী যাত্রীকে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই যাত্রী তার পায়ুপথে দুইটি স্বর্ণের বার আছে বলে স্বীকার করে। পরে স্বর্ণের বার দুইটি উদ্ধার করা হয়। যার ওজন ২৩৩ গ্রাম এবং মূল্য প্রায় ২০ লাখ টাকা।
বেনাপোল শুল্ক গোয়েন্দা কামাল হোসেন জানান, আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে স্বর্ণপাচার আইনে মামলা দিয়ে বেনাপোল পোর্টথানায় সোপর্দ করা হবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ৪টি স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ২
চুয়াডাঙ্গায় ৭ কেজি রূপা জব্দ
২ বছর ৬ মাস কারাভোগ শেষে ২ বাংলাদেশি কিশোরকে দেশে ফেরত
ভারতে আড়াই বছর কারাভোগের পর দুই বাংলাদেশি কিশোরকে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে রবিবার সন্ধ্যায় দেশে ফেরত পাঠিয়েছে ভারতীয় পুলিশ।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেছে।
ফেরত আসারা কিশোররা হলো- সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা থানার পারুলিয়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে কামাল হোসেন (১৬) এবং ঢাকার শ্যামপুর পশ্চিম জুরাইন এলাকার হামিদ ফরাজির ছেলে সুলতান ফরাজি (১৭)।
আরও পড়ুন: ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরল ৫০ কিশোর-কিশোরী
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বিশ্বাস জানান, দেশে ফেরত আসা এই দুই বাংলাদেশি কিশোর আড়াই বছর আগে চোরাইপথে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যায়। কলকাতা রেলস্টেশন এলাকায় সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাঘুরির সময় পুলিশ তাদের আটক করে। পরে পুলিশ তাদের কোলকাতা আদালতে পাঠালে আড়াই বছরের সাজা হয় তাদের।
সাজা শেষে কলকাতার লিলুয়া নামের একটি এনজিও সংস্থা তাদের শেল্টার হোমে আশ্রয় দেয় তাদের। ভারত-বাংলাদেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দীর্ঘদিন চিঠি চালাচালির এক পর্যায়ে রবিবার সন্ধ্যায় তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়। পরে ভারত সরকারের দেওয়া বিশেষ ‘রিপেট্রিয়েশন’ পারমিটের মাধ্যমে তাদের দেশে ফেরত আনা হয়।
তিনি আরও জানান, দুই কিশোরকে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। সেখানে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের নিজ নিজ অভিভাবকের হাতে তুলে দেবেন পুলিশ।
আরও পড়ুন: ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ১০ বাংলাদেশি
ভারতে ৩ বছর কারাভোগের পর দেশে ফিরলেন ১৬ বাংলাদেশি
যশোরে ট্রাকচাপায় যুবক নিহত
যশোরের শার্শা উপজেলার পাচভুলোট এলাকায় ট্রাকচাপায় হাবিবুর রহমান নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় পাচভুলোট গ্রামের আব্দুল হামিদের বাড়ির সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত হাবিবুর রহমান উপজেলার পাচভুলোট গ্রামের আবু বাক্কারের ছেলে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ট্রাকচাপায় ট্রাকচালক নিহত
এলাকাবাসী জানায়, হাবিব ছিলেন একটি ইজিবাইকে। পেছন থেকে ইট বহনকারী একটি ট্রাক ইজিবাইকে ধাক্কা দেয়। এ সময় হাবিব পড়ে গিয়ে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (তদন্ত) মিলন কুমার মন্ডল জানান, এলাকাবাসীর মাধ্যমে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে।
ময়নাতদন্তের জন্য লাশ যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাভারে ট্রাকচাপায় অজ্ঞাত যুবক নিহত
টঙ্গীতে ট্রাকচাপায় পোশাকশ্রমিক নিহত
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স কাউন্টার!
কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স কাউন্টার বসানো হয়েছে এমন অভিযোগ করেছেন হাসপাতালের রোগী ও তাদের স্বজনরা।
এদিকে হাসপাতালের মধ্যে নবনির্মিত গ্যারেজের মধ্যেই চেয়ার-টেবিল বসিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স কাউন্টার। পাশে ঝোলানো হয়েছে খুলনা জেলা অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ সমিতি লিমিটেড পরিচালিত, অ্যাম্বুলেন্স কাউন্টার।
এছাড়া হাসপাতালের মধ্যে ও বাইরে রাস্তা দখল করে সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সগুলো। দূর থেকে দেখে মনে হবে এটা কোনো সরকারি হাসপাতাল না, যেন বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স স্ট্যান্ড।
সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের সামনে সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে আছে অ্যাম্বুলেন্স। রোগী পরিবহনে চাহিদা যতটা, তার চেয়ে অ্যাম্বুলেন্সের সংখ্যা বেশি। কিন্তু রোগী পেলেই ভাড়া হাঁকা হয় অনেক বেশি।
আরও পড়ুন: সরকারি বিএল কলেজে আবাসন-পরিবহন সংকট চরমে
হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা অ্যাম্বুলেন্স না নিয়ে অন্য কোথাও থেকে কম টাকায় ভাড়া করার সুযোগ নেই। হাসপাতালের মধ্যে নবনির্মিত গ্যারজের জায়গা দখল করে তোলা হয়েছে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স কাউন্টার।
কাউন্টারের সামনে ১০ থেকে ১২টা অ্যাম্বুলেন্স, জরুরি বিভাগের সামনে রয়েছে ৪ থেকে ৫টা, হাসপাতালের আউটডোর পেছনে রয়েছে ৭ থেকে ৮টা অ্যাম্বুলেন্সের সারিবদ্ধ লাইন।
এর বাইরে লাশ ঘরে যেতে যে রাস্তা সেখানেও রয়েছে কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স। এছাড়া হাসপাতালের দেয়াল ঘেঁষে বাইরে রয়েছে আরও ১০ থেকে ১২টা অ্যাম্বুলেন্সের লাইন। দূর থেকে যে কেউ মনে করবেন, এটা কোনো সরকারি হাসপাতাল নয়, অ্যাম্বুলেন্সের স্ট্যান্ড।
রোগীও স্বজনদের অভিযোগ, হাসপাতালকেন্দ্রিক ‘অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেট’ রোগীকে বাইরের অ্যাম্বুলেন্সে তুলতেই দেয় না। হাসপাতালকে কেন্দ্র করে অ্যাম্বুলেন্সের মতো একটি জরুরি পরিবহন সেবাকে ঘিরে এ নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি চলছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স এক চালক জানান, বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়ার ক্ষেত্রে সরকারের কোনো নীতিমালা নেই। তাছাড়া অ্যাম্বুলেন্সের সংখ্যা বেশি হয়ে যাওয়ায় ট্রিপ কমে গেছে। এ কারণে খরচ পোষাতে কিছুটা বাড়তি ভাড়া নিতে হয়। অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়ার কোনো তালিকা নেই। নেই সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালাও। যে যেভাবে পারছেন রাস্তায় অ্যাম্বুলেন্স নামাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রোগী পাওয়ার বিষয়টি নির্ভর করে হাসপাতালগুলোর কর্মচারীদের (ওয়ার্ডবয় ও আয়া) উপর। এজন্য তাদের ভাড়ার একটা অংশ কমিশন দিতে হয়। এ কমিশন বাণিজ্য না থাকলে ভাড়া অনেকটাই কমে যেত।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
এ ব্যাপারে খুমেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. মো. হুসাইন শাফায়াত বলেন, বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স কয়েকজন চালকরা আমার কাছে এসে বলেন, তাদের নিজস্ব জায়গায় কাউন্টার কাজ বসানোর কাজ চলছে। ২ থেকে ১ দিনের মধ্যে তাদের কাজ শেষ হয়ে যাবে। এই অনুরোধের কারণে তাদের বলেছিলাম কয়েকদিনের জন্য হাসপাতালের ভেতরে কাউন্টার রাখার জন্য। কিন্তু এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ শোনার পরে জানতে পারলাম এদের একটু মানবিক দিক সুযোগ দেওয়ায় পুরো হাসপাতালটাই দখল করে নিয়ে নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে মধ্যে কোনো বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স থাকতে পারবে না, রোগীদের প্রয়োজন হলে বাইরে থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভাড়া আনতে পারবেন। এর বাইরে হাসপাতালের জায়গা দখল করে অ্যাম্বুলেন্স রাখার সুযোগ নেই।
খুলনায় বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাধারণ সম্পাদক ডাক্তার মেহেদী নেওয়াজ জানান, মেডিকেল কলেজের নিজস্ব অ্যামবুলেন্স যার মাধ্যমে রোগীকে সেবা দেওয়া হয়। তারপরও বেসরকারি অ্যামবুলেন্স চালু হয়েছি বলে শুনেছি। কোনো রোগীকে যাতে হয়রানি না করা হয় সে জন্য প্রোয়জনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মো. মনজুর মোরশেদ বলেন, এ ব্যবসা অনেকদিন যাবত চলছে। খুমেক হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আইনি সহযোগিতায় তাদের উঠিয়ে দিলে কিছুদিন পর আবার তারা বসতে শুরু করে।
তিনি আরও বলেন, খুমেক হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার সেই ব্যবস্থা নেবে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
তীব্র শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস
তীব্র শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা। আজ রবিবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রির নিচে নামায় চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈতপ্রবাহ। আর বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ আজ ৯২ শতাংশ।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) তাপমাত্রা আরও কমতে পারে, এছাড়া দু-একদিনের মধ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে বলে জানায় আবহাওয়া অফিস।
এদিকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের দেখা মেলেনি আর উত্তরের হিমেল বাতাসে ঠান্ডার মাত্রাও বেড়ে যাওয়ায় বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছে এ এলাকার মানুষজন।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে তীব্র শীতে বোরোর বীজতলা নষ্টের আশঙ্কা
তীব্র শীত ও ঠান্ডা বাতাস মিলিয়ে ব্যাহত হচ্ছে চুয়াডাঙ্গার সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন এ এলাকার খেটে খাওয়া মানুষ।
সরেজমিনে ইউএনবির এই প্রতিবেদক দেখতে পান, এলাকার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ও চায়ের দোকানে শীত নিবারণের চেষ্টায় খড়কুটো জ্বালিয়ে উত্তাপ নিচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষরা।
তীব্র শীতে প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। শীত থেকে বাঁচতে সরকারি বিভিন্ন সাহায্য-সহযোগিতা চেয়েছেন এসব সাধারণ মানুষ।
বেসরকারি চাকরিজীবী শিউলি শারমিন বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গা থেকে অন্যদিন ভোরে মেহেরপুরে অফিসের জন্য বের হই। কিন্তু আজ একটু বেলা করে বের হয়েও প্রচুর শীত লাগছে। আর সঙ্গে ঠান্ডা বাতাসতো আছে।’
ঈমান আলী নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘আজ ভোরে কাজে যেতে পারিনি, শুধু অতিরিক্ত শীতের কারণে। ঘরেও জমানো অর্থ নেই। খুব বিপদে আছি। আল্লাহ ভরসা।’
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান জানান, চুয়াডাঙ্গায় আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড ৭ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আর বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ। এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে আর এক-দু’দিন।
আরও পড়ুন: তীব্র শীতে পোষা প্রাণীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করণীয়
কুষ্টিয়ায় বাবা-ছেলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়ায় বাবা-ছেলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা শহরের মঙ্গলবাড়িয়া এলাকার ভাড়া বাসা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
মৃতরা হলেন- কুষ্টিয়া পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের মঙ্গলবাড়িয়া এলাকার সেলিমের বাসার ভাড়াটিয়া মধু এবং তার একমাত্র ছেলে মুগ্ধ। রেজাউল করিম মধু শহরের আলফা মোড় এলাকার বিষ্ণুপদ রায়ের ছেলে।
আরও পড়ুন: মেসের কক্ষে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুরের দিকে পারিবারিক কলহের কারণে ছেলেকে হত্যা করে নিজে গলায় ফাঁস দিয়ে মধু আত্মহত্যা করেন ধারণা করা হচ্ছে।
এসময় তার স্ত্রী শেফালী আলফার মোড় এলাকায় বাবার বাড়িতে ছিলেন। দুপুরের দিকে বাবার বাড়ি থেকে ভাড়া বাসায় এসে ঘরে দুইজনের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান তিনি। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
মধুর স্ত্রী শেফালী খাতুন জানান, আমার স্বামী শনিবার সকালে আমার বাবার বাড়ি থেকে ছেলে মুগ্ধকে স্কুলে ভর্তি করার কথা বলে নিয়ে আসে। এরপর দুপুরে অনেকবার কল করলেও সে রিসিভ করেনি।
তিনি আরও জানান, পরে বিকালের দিকে বাবার বাড়ি থেকে ভাড়া বাসায় এসে দেখি দরজা জানালা বন্ধ। পরে স্থানীয়রা জানালা ভেঙে দেখে দুইজনের লাশ ঝুলছে। কী কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে তা জানি না।
কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, ছেলেকে হত্যার পর মধু আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে সঠিক তথ্য জানানো যাবে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন: ‘ভিডিও কলে স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ দেখায় জামাই’
সিলেটে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
খুলনায় ২ সন্তানকে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যা!
খুলনার ডুমুরিয়ায় মা তার দুই শিশু সন্তানকে হত্যা করে নিজে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া ইউনিয়নের কমলপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মৃতরা হলেন- ডুমুরিয়া উপজেলার কমলপুর গ্রামের মান্নান সরদারের স্ত্রী ডলি বেগম, তার কন্যা ফাতেমা (৬) ও ৭ মাস বয়সী ছেলে ওমর।
আরও পড়ুন: খুলনায় আরও দুই দিন বন্ধ থাকবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
স্থানীয়রা জানান, শনিবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে যেকোনো সময়ে নিজ বাড়িতে পারিবারিক কলহলের কারণে ডলি বেগম তার দুই সন্তানকে হত্যা করে তিনি নিজে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আসিফ ইকবাল বলেন, সবকিছু দেখে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি- মা ডলি বেগম আত্মহত্যা করেছেন। তবে আত্মহত্যার আগে তিনি তার দুই শিশু সন্তানকে হত্যা করেন। এ ব্যাপারে তদন্ত হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে সঠিক তথ্য জানানো যাবে।
আরও পড়ুন: হাতীবান্ধায় ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে অন্তঃসত্ত্বা নারীর আত্মহত্যা!
এনজিওর ঋণের চাপে রাবি কর্মচারীর আত্মহত্যার অভিযোগ