খুলনা
খুলনার ৪ হাসপাতালে করোনায় মৃত্যু ২২
খুলনার চার হাসপাতালে আরও ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনায় ২১ জন এবং উপসর্গ নিয়ে একজন মারা গেছেন।
বুধবার (৭ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় চার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুনঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনায় মৃত্যু ৩, নতুন শনাক্ত ১০৩
খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে নয়জন, গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আটজন ও জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে দুজন ও আবু নাসের হাসপাতালে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনায় আটজন ও উপসর্গ নিয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৯৩ জন। যার মধ্যে রেডজোনে ১২৯ জন, ইয়ালোজোনে ২৫ জন, আইসিইউতে ১৯ জন এবং এইচডিইউতে ২০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৩২ জন আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫১ জন।
আরও পড়ুনঃ কুমিল্লাতে করোনায় ২৪ ঘণ্টায় ৭ মৃত্যু
গাজী মেডিকেল হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী ডা. গাজী মিজানুর রহমান জানান, ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আটজনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ১২৪ জন। এর মধ্যে আইসিইউতে রয়েছেন ৯ জন ও এইচডিইউতে আছেন ১১জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ২১ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২০ জন। এছাড়া পিসিআর ল্যাবে ৬২টি নমুনা পরীক্ষায় ৪৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বিশ্বে করোনায় মোট মৃত্যু ৪০ লাখ ছাড়াল
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন, রূপসা বাগমারার আনসার শেখ (৬০) ও দিঘলিয়ার উত্তর চন্দনীমহলের আমেনা বেগম (৮০)। এ ছাড়া চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৬৮ জন। তার মধ্যে ৩৩জন পুরুষ ও ৩৫ জন নারী। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ১৮ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৩ জন।
আরও পড়ুনঃ করোনায় একদিনে মৃত্যু ২০০ ছাড়াল
খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. প্রকাশ চন্দ্র দেবনাথ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন, ডুমুরিয়ার আবুল বাশার মোল্লা (৪৬), বটিয়াঘাটার রিজিয়া বেগম (৬৫) ও ঝিনাইদহ কালিগঞ্জের সিরাজুল ইসলাম(৬৫)। এখানে ভর্তি রয়েছেন ৪৩ জন রোগী। যার মধ্যে আইসিইউতে রয়েছেন ১০ জন। ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন চারজন ও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন একজন।
কুষ্টিয়াতে একদিনে করোনায় আরও ১৭ মৃত্যু
কুষ্টিয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গে আরও ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
কুষ্টিয়া করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে ১০ জন এবং করোনার লক্ষণ নিয়ে আরও সাত জনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এম এ মোমেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনায় মৃত্যু ৩, নতুন শনাক্ত ১০৩
বর্তামানে ২৫০ বেডের করোনা ডেডিকেটেড এই হাসপাতালটিতে করোনা আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ২৮৯ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই ২০২ জন।
এদিকে কুষ্টিয়াতে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৭৪৩ টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে নতুন করে ২৩২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ২২ ভাগ।
এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ালো ৯ হাজার ৬৬৪ জনে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৩০ জন এবং মারা গেছেন ২৮৬ জন।
আরও পড়ুন:বগুড়ায় করোনা ও উপসর্গে ১৯ মৃত্যু, শনাক্ত ২৩৮
এখন পর্যন্ত জেলায় ৬৬ হাজার ৮৯৬ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য নেয়া হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া গেছে ৬৫ হাজার ৯০২ জনের। বাকিরা নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনের অপেক্ষায় রয়েছেন। বর্তমানে কুষ্টিয়ায় করোনা রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ২২১ জন। এদের মধ্যে হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন আছেন ২৬৫ জন এবং হোম আইসোলেশনে আছেন ২ হাজার ৯৫৬ জন।
খুলনায় একদিনে করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যু ২২
খুলনার চার হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে করোনায় ২১ জন এবং উপসর্গ নিয়ে একজন মারা গেছেন।
খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ১০ জন, গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঁচজন ও জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে পাঁচজন ও আবু নাসের হাসপাতালে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়াতে করোনায় প্রাণ হারালেন আরও ১৭ জন
মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮ টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় চারটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
খুলনা ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডাঃ সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে করোনায় নয়জন ও উপসর্গে একজনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৮৯ জন।
আরও পড়ুন: করোনাতে কুমিল্লায় একদিনে ৭ মৃত্যু
গাজী মেডিকেল হাসপাতালের স্বত্তাধিকারী ডা. গাজী মিজানুর রহমান জানান, ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ১৩১ জন।
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৬৫ জন এবং গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ২৬ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৫ জন।
আরও পড়ুন: মৃদু ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল রাজধানী
খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মুখপাত্র ডাঃ প্রকাশ চন্দ্র দেবনাথ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এখানে ভর্তি রয়েছেন ৪৩ জন রোগী।
খুলনায় দুই ভাই আটক, অস্ত্র উদ্ধার
খুলনায় ডাকাত সন্দেহে দুই ভাইকে আটক করা হয়েছে। সোমবার রাতে সোনাডাঙ্গা আবু বক্কর খান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারের দাবি করেছে র্যাব ।
আরও পড়ুনঃ গাজীপুরে র্যাবের সাথে ‘গোলাগুলিতে ’ যুবক নিহত
আটক দুই ভাই হলেন, সোনাডাঙ্গা ময়লাপোতা এলাকার মো. হেলাল শিকদার (২৩) ও জেল্লাল (১৯)।
র্যাব-৬ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সোমবার রাতে র্যাব-৬ (সদর কোম্পানী) খুলনার একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে, সোনাডাঙ্গা আবু বক্কর খান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে কতিপয় ব্যক্তি ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে দলটি ঘটনার সত্যতা যাচাই ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে ওই স্থানে অভিযান চালায়। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালানোর চেষ্টাকালে হেলাল ও জেল্লালকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুনঃ র্যাবের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ টঙ্গীতে ‘হত্যা মামলার আসামি’ নিহত
এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩টি দেশে তৈরি হাসুয়া উদ্ধার করে জব্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জে অস্ত্র ও ভারতীয় রুপিসহ আটক ২
এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মহনগরীর সোনাডাঙ্গা থানায় পেনাল কোডের ১৮৬০ সালের ৩৯৯ ধারায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও র্যাব জানায়।
খুলনা বিভাগে রেকর্ড শনাক্ত, মৃত্যু ৪০
খুলনায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। করোনায় রেকর্ড প্রাণহানির ভাঙার পর এবার বিভাগে শনাক্তের রেকর্ডও ভেঙেছে। বিভাগে একদিনে শনাক্ত হয়েছে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৮৬৫ জন। একই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ৪০ জনের। এনিয়ে বিভাগে মৃত্যু ১ হাজার ৩০০ জন ছাড়াল।
এর আগে সোমবার খুলনা বিভাগে সর্বোচ্চ ৫১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আর একইদিন সর্বোচ্চ ১ হাজার ৪৭০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
মঙ্গলবার বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক রাশেদা সুলতানা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: খুলনার তিন হাসপাতালে আরও ১৭ মৃত্যু
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তর সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে খুলনায়। কুষ্টিয়ায় ১৩, যশোরে ছয়, মেহেরপুরে তিন, ঝিনাইদহ, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও চুয়াডাঙ্গায় একজন করে মারা গেছেন।
খুলনা বিভাগের মধ্যে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় চুয়াডাঙ্গায় গত বছরের ১৯ মার্চ। করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় মোট শনাক্ত হয়েছে ৬৩ হাজার ৮৯৯ জন। করোনায় মারা গেছেন ১ হাজার ৩০৫ জন। এ সময় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪১ হাজার ৪৭ জন।
আরও পড়ুন: খুলনায় করোনায় একদিনে আরও ১১ মৃত্যু
করোনা: বাগেরহাটে ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ১২৭
বাগেরহাটে গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরও ১২৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এসময়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে চিকিসাধীন অবস্থায় একজন মারা গেছেন।
পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩৬ দশমিক ৯ শতাংশ। এনিয়ে জেলায় মঙ্গলবার পর্যন্ত মোট করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা চার হাজার ২১ জনে দাঁড়িয়েছে। বাগেরহাটে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৯২ জন।
আরও পড়ুন: রাজশাহী মেডিকেলে ২৪ ঘণ্টায় ১৯ জনের মৃত্যু
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কেএম হুমায়ুন কবির জানান, বাগেরহাটে তিন দিন ধরে নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩৬ দশমিক ৯ থেকে ৪৮ দশমিক ২০ শতাংশের মধ্যে উঠানামা করছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৪৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১২৭ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত করা হয়েছে। আক্রন্তদের মধ্যে এ পর্যন্ত ২ হাজার ৭১৯ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় করোনা ও উপসর্গে আরও ১৩ মৃত্যু
জেলার প্রতিটি উপজেলায় এন্টিজেন টেস্ট করা হচ্ছে বলে সিভিল সার্জন জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাপী করোনা আক্রান্ত ১৮ কোটি ৪১ লাখ ছাড়াল
খুলনার তিন হাসপাতালে আরও ১৭ মৃত্যু
খুলনার তিন হাসপাতালে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘন্টায় আরও ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনায় ১৩ জন এবং উপসর্গে চারজন মারা গেছেন।
খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে আট জন, গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চার ও জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে।
খুলনা ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় আট জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনায় চারজন ও উপসর্গে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় করোনায় আরও ১৭ মৃত্যু
মৃতরা হলেন, খুলনা মহানগরীর চানমারী এলাকার মমতাজ বেগম (৫৫), খালিশপুরের রহিমা পারভীন, সোনাডাঙ্গার মনোয়ারা বেগম (৫০) ও বাগেরহাটের ফকিরহাটের সুব্রত পাল (৪৫)। হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৮০ জন। যার মধ্যে রেড জোনে ১০৯ জন, ইয়েলো জোনে ৩১ জন, আইসিইউতে ২০ জন। গত ২৪ ঘন্টায় ভর্তি হয়েছেন ৩৩ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪০ জন।
গাজী মেডিকেল হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী ডা. গাজী মিজানুর রহমান জানান, ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন, নগরীর বড় বয়রা এলাকার নোভা রানী দাশ (৭৫), খুলনার ডুমুরিয়ার নজরুল ইসলাম (৬৮), পাইকগাছার কপিলমুনির শোভা রানী সাহা (৭৫) ও বাগেরহাট সদরের মাহমুদা বেগম (৫৫)। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ১৩৪ জন। এর মধ্যে আইসিইউতে রয়েছেন ৯ জন ও এইচডিইউতে আছেন ১১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৩৬ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৭ জন। পিসিআর ল্যাবে ৬২টিনমুনা পরীক্ষায় ৪৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
মৃতরা হলেন, নগরীর খালিশপুরের জিল্লু মিয়া (৬৫), রহিম নগরের আমির হোসেন (৬৫), রূপসার নন্দনপুরের শরিফুল ইসলাম (৫২), বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার শারমিন বেগম (৪৫) ও একই উপজেলার মারিয়া (৩৯)। চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৭০ জন, তার মধ্যে ৩৬ জন পুরুষ ও ৩৪ জন নারী। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ২৪ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৩ জন।
আরও পড়ুন: করোনা: খুলনা বিভাগে রেকর্ড ৪৬ মৃত্যু
খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মুখপাত্র ডা. প্রকাশ চন্দ্র দেবনাথ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে কোন মৃত্যু হয়নি। করোনা শনাক্ত হওয়া ৪৫ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। যার মধ্যে আইসিইউতে রয়েছেন ১০ জন।
কুষ্টিয়ায় করোনা ও উপসর্গে আরও ১৩ মৃত্যু
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও উপসর্গ নিয়ে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে ১১ জন এবং উপসর্গ নিয়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এম এ মোমেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
আরও পড়ুন: করোনা: কুমিল্লায় ২৪ ঘণ্টায় ৪ মৃত্যু, শনাক্ত ২৮২
এদিকে, হাসপাতালে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে রোগী ভর্তির চাপ প্রতিদিনই বাড়ছে। ২৫০ বেডের করোনা ডেডিকেটেড এই হাসপাতালটিতে এখন শয্যার চেয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি। করোনা আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে সকাল ১১টা পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা হচ্ছে ২৭৪ জনে। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই ১৭৫ জন। আর উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন আরও ৯৯ জন।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তাপস কুমার সরকার জানান, শয্যা না থাকায় এখন রোগীদের মেঝেতে ও করিডোরে রাখতে হচ্ছে। প্রতিদিনই হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। রোগীর চাপ যেভাবে বাড়ছে তাতে সেবা প্রদান করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
অপরদিকে, কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৮৮৫টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে নতুন করে ২৯২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ৩০ ভাগ। এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৮ হাজার ৭৬৬ জনে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৮২৩ জন এবং মারা গেছেন ২৪৫ জন।
আরও পড়ুন: করোনা স্বাভাবিক না হলে গুচ্ছে ভর্তি পরীক্ষা নয়, শিগগিরই নতুন সিদ্ধান্ত
নতুন শনাক্তের মধ্যে কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ১৫৩ জন, দৌলতপুরে ৪৪, কুমারখালীর ২৪, ভেড়ামারার ৩৪, মিরপুরের ২৯ ও খোকসা উপজেলায় আট জন রয়েছেন। এখন পর্যন্ত জেলায় ৬৫ হাজার ৭১৪ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য নেয়া হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া গেছে ৬২ হাজার ৯৮১ জনের। বাকিরা নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনের অপেক্ষায় রয়েছেন।
বর্তমানে কুষ্টিয়ায় করোনা রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৬৯৮ জন। এদের মধ্যে হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন আছেন ২৫৯ জন এবং হোম আইসোলেশনে আছেন ২ হাজার ২৩৯ জন।
খুলনায় করোনায় আরও ১৭ মৃত্যু
খুলনার চার হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ১০ জন, জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে দুজন, আবু নাসের হাসপাতালে একজন ও বেসরকারি গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ রামেকের করোনা ইউনিটে আরও ১৮ মৃত্যু
রবিবার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এই চারটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে করোনায় ১২ জন ও উপসর্গে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে করোনায় পাঁচজন ও উপসর্গে পাঁচজন মারা গেছেন। এছাড়া হাসপাতালটিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৮৭ জন। যার মধ্যে রেড জোনে ১১৭ জন, ইয়ালো জোনে ৩০জন, আইসিইউতে ২০ জন ও এইচডিসিতে ২০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৩৬ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪৫ জন।
আরও পড়ুনঃ নাটোরে করোনার নতুন শনাক্ত ১৮৩
গাজী মেডিকেল হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী ডা. গাজী মিজানুর রহমান জানান, ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও ১১৯ জন। এরমধ্যে আইসিইউতে রয়েছেন ৯ জন ও এইচডিইউতে আছেন ৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ২৭ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৯ জন। এছাড়া পিসিআর ল্যাবে ৬৩টি নমুনা পরীক্ষায় ৪৪ জনের করোনা পজেটিভ এসেছে।
আরও পড়ুনঃ কুমিল্লায় করোনায় নতুন শনাক্ত ১৭৪, মৃত্যু ৩
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
খুলনার আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মুখপাত্র ডা. প্রকাশ চন্দ্র দেবনাথ জানান, হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত নগরীর নিরালা এলাকার ওয়াহিদুজ্জামান (৬৬) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তাছাড়া করোনা শনাক্ত হওয়া ৪১ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন।
নাটোরে করোনায় নতুন শনাক্ত ১৮৩
নাটোরে নিয়ন্ত্রণে আসছে না করোনা সংক্রমণের হার। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১৮৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং মারা গেছে এক জন।
এছাড়া গত ৯ জুন থেকে এই জেলায় টানা লকডাউন চলছে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, সবর্শেষ ২৪ ঘণ্টায় নাটোরে করোনা সংক্রমণের গড় হার ৩৯ শতাংশের ওপরে। এসময় ৪৭৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ১৮৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
অঅরও পড়ুন: রামেকের করোনা ইউনিটে আরও ১৮ মৃত্যু
এদিকে, সোমবার নাটোর সদর হাসপাতালে অতিরিক্ত ১২ জনসহ ৮২ জন করোনা রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে।