খুলনা
খুলনায় সড়ক দুর্ঘটনায় বৃদ্ধের মৃত্যু
খুলনায় ট্রাকচাপায় শ্রীধর বিশ্বাস (৬০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে নগরীর বেসরকারি সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: কালিহাতীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
নিহত শ্রীধরের বাড়ি খুলনার তেরখাদা উপজেলর সাচিয়াদহ বাজারে।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে সিটি করপোরেশনের বর্জ্যবাহী একটি ড্রাম ট্রাক ওই বৃদ্ধকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ যুবক নিহত
নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওয়াহিদুজ্জামান জানান, নগরীর সাতরাস্তা মোড় থেকে ট্রাকটি আটক করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাভারে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
নির্বাচন ২০২৪: বাগেরহাটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে
বাগেরহাটে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের জন্য এরই মধ্যে বিভিন্ন ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। জেলা থেকে ব্যালট বাক্স ও ভোটের কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম উপজেলায় পাঠানোর কাজ শেষ হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মাঠে অবস্থান করছে।
শনিবার উপজেলা থেকে ভোটকেন্দ্রে ভোটের বিভিন্ন সরঞ্জাম যাবে।
আরও পড়ুন: ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনে’ হিরো আলম শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন: তার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট
জেলা প্রশাসক ও রিটানিং কর্মকর্তা মোহা. খালিদ হোসেন জানান, ৭ জানুয়ারি সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন সম্পর্ণ করতে বিভিন্ন ধরনের প্রস্ততি সম্পন্ন করা হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার সকাল ৮টায় প্রার্থীদের প্রচার শেষ হয়েছে। এখন ভোটাররা প্রার্থীদের নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করছে। বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকার ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার আগ্রহের কথা জানালেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনবিরোধী প্রচেষ্টা নস্যাৎ করার সামর্থ্য রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর: আইজিপি
বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র মিলে মোট ২৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে বাগেরহাট-১ আসনে ছয়জন, বাগেরহাট-২ আসনে ছয়জন, বাগেরহাট-৩ আসনে সাতজন এবং বাগেরহাট-৪ আসনে সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চারটি আসনে মোট ৪৮৮টি ভোট কেন্দ্র রয়েছে। মোট ভোটার ১২ লাখ ৮১ হাজার ১৩৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৮৬ জন, নারী ভোটার ৬ লাখ ৩৭ হাজার ৪০ জন এবং হিজড়া ভোটার আটজন।
রিটানিং অফিসার মোহা. খালিদ হোসেন জানান, ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে ভোট গ্রহণের জন্য এখন পর্যন্ত যেসব প্রস্ততি তা সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। ভোটের বিভিন্ন মালামাল এরই মধ্যে বিভিন্ন উপজেলায় পাঠানো হয়েছে। উপজেলা থেকে ভোট কেন্দ্রেগুলোতে মালামাল যাবে।
আরও পড়ুন: আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিএনপির সংঘর্ষে রণক্ষেত্র নয়াপল্টন
সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে গিযে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
খালিদ হোসেন আরও জানান, বাগেরহাট জেলায় প্রায় ৬০০ জন সেনাবাহিনী সদস্য, ৯ প্লাটুন বিজিবি সদস্য, ১১০ জন আনসার সদস্য, ১৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ১৩ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশের ৫৫টি মোবাইল টিম, প্রতিটি উপজেলায় ২টি করে স্টাইকিং ফোর্স, ৪টি স্টাইকিং ফোস রিজার্ভ থাকবে, কেন্দ্রভিত্তিক এক থেকে তিনজন পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
এছাড়া ডিবি, ডিএসবি ও সাদাপোশাকে পুলিশ আর মোংলায় ৬০ থেকে ৭০ জন নৌবাহিনী সদস্য মোতায়েন থাকবে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে-পরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর: সিইসি
নড়াইলে টয়লেটের ট্যাংকি মিলল নারীর লাশ
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় টয়লেটের পেছনের ট্যাংকি থেকে আম্বিয়া (৫৮) নামে এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার মঙ্গলহাটা মধ্যপাড়া থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: নাটোরের সিংড়া থেকে কৃষকের লাশ উদ্ধার
আম্বিয়া উপজেলার মঙ্গলহাটা মধ্যপাড়া গ্রামের হবিবার মোল্যার মেয়ে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রজ্জেক মোল্যার ছেলে সাব্বির মোল্যাকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
লোহাগড়া থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সৈয়দ আলী লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে লোহাগড়া উপজেলার মঙ্গলহাটা মধ্যপাড়া গ্রামের রজ্জেক মোল্যার বাড়িতে থাকা টয়েলেটের ট্যাংকিতে ওই নারীর লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে লোহাগড়া থানা পুলিশে খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে লোহাগড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় বলেন, খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্যে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় সাব্বির মোল্যা নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পাহাড় থেকে অজ্ঞাত নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
খুলনা ৩ আসনে নির্বাচনি ক্যাম্পের পাহারাদারের গায়ে আগুন
খুলনা-৩ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এস এম কামাল হোসেনের নির্বাচনি প্রচার ক্যাম্পের পাহারাদার হাসান ফারাজীর গায়ে কেরোসিন দিয়ে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে যোগীপোল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে আহত অবস্থায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত হাসান ফারাজী যোগীপোল এলাকার সোহরাব ফারাজীর ছেলে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের মুরাদপুরে বস্তিতে আগুন
খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মো. মমতাজুল হক জানান, বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে যোগীপোল এলাকায় খুলনা-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এস এম কামাল হোসেনের নির্বাচনি ক্যাম্পের পাহারাদার হাসান ফারাজীর গায়ে দুই থেকে তিনজন দুর্বৃত্ত কেরোসিন ছুড়ে মারে। এরপর তারা আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে হাসান ফারাজীর ঘাড়ের দুই পাশে কিছু অংশ পুড়ে যায়।
ওসি আরও জানান, তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ৪ ভোটকেন্দ্রে আগুন, হাতবোমা উদ্ধার
আওয়ামী লীগ প্রার্থী এস এম কামাল হোসেন জানান, ধারণা করা হচ্ছে বিএনপি-জামায়াতের দুর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের জানান, গতরাতে খানজাহান আলী থানার যোগীপোল ৭ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচনি ক্যাম্পে পাহারা দেওয়ার জন্য যাচ্ছিলেন ফারাজী। তখন ৩/৪ জন যুবক তার জ্যাকেটে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে তার জ্যাকেটটি আংশিক পুড়ে যায় আর তিনি কিছুটা দগ্ধ হয়েছেন। তবে তিনি আশঙ্কামুক্ত।
তিনি বলেন, আমরা এরই মধ্যে নাশকতাকারীদের নাম পেয়েছি। যারা ভোট বর্জন করেছে, তারাই এই নাশকতার সঙ্গে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইন অনুযায়ী মামলা হবে এবং খুব শিগগিরই তাদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনে নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন
বাগেরহাটে বাড়িতে প্রবেশের পথ নিয়ে বিরোধের জেরে নারীকে পিটিয়ে হত্যা, আহত ৫
বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে বাড়িতে প্রবেশের পথ নিয়ে বিরোধের জেরে এক নারীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় উভয় পক্ষের ৫ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের গুয়াতলা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। আহতদের মোড়েলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত শাহিনুর বেগম (৪৫) বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলার গুয়াতলা গ্রামের জাকির তালুকদারের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে স্থানীয় ‘আ. লীগের’ বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থককে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ
মোড়েলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সামসুদ্দিন বলেন, গুয়াতলা গ্রামের জাকির তালকুদারের সঙ্গে তার চাচাতো ভাই ফেরদৌস তালুকদারের বাড়িতে প্রবেশের পথ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উভয় পক্ষের মধ্যে প্রথমে ঝগড়া ও পড়ে কথা কাটাকাটি হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘এক পর্যায়ে লাঠি নিয়ে উভয়ের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটে। এ সময় নারীসহ উভয় পক্ষের ৬ জন কমবেশি আহত হয়। আহতের মধ্যে শাহিনুর বেগমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
ওসি বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনার পর জড়িতরা পালিয়ে গেছে। জড়িতদের ধরতে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় চোর সন্দেহে কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা
চট্টগ্রামে বাসায় ঢুকে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, আটক ৩
যশোরে পিকআপচাপায় সাইকেল আরোহী নিহত
যশোরের শার্শায় পিকআপের চাপায় সাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৩ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের শার্শার শ্যামলাগাছি নামক স্থানে রাস্তা পার হওয়ার সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত জিহাদ সরদার (৫০) বেনাপোল পোর্ট থানার পুটখালী গ্রামের মৃত খিলাত আলী সরদারের ছেলে।
জিহাদ সরদারের ছেলে শফিকুল বলেন, তার বাবা বাজার করে বাড়ি ফেরার পথে শ্যামলাগাছিতে রাস্তা পারাপার হওয়ার সময় বেনাপোল থেকে ছেড়ে আসা দ্রুতগামী একটি পিকআপ তাকে চাপা দেয়। এ সময় স্থানীয়রা মারাত্মক আহত অবস্থায় উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নাভারন হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। পিকআপটি আটকের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে রাইস মিলের বয়লার বিস্ফোরণে মা-মেয়েসহ নিহত ৩
বগুড়ায় পিকআপ ও অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ২
চুয়াডাঙ্গায় বিভিন্ন পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা স্থাপন
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠোনে সহিংসতা ও যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে চুয়াডাঙ্গা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা স্থাপন করেছে জেলা পুলিশ।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজিম আল আজাদ, পরিদর্শক আবু জিহাদ খান, উপপরিদর্শক মেফাউল হাসানসহ আরও অনেক ছিলেন।
আরও পড়ুন: জীব বৈচিত্র রক্ষায় হালদা নদীর ৮ পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা
জেলা পুলিশ জানায়, শহরের পুলিশ অফিস মেইনগেট, সিভিল সার্জন বাংলো, জেলা জজ সাহেবের বাংলো, শহীদ হাসান চত্বর, নিউ মার্কেটের সামনে, পৌরসভার মোড়, টাউন ফুটবল মাঠ এলাকা, রেলস্টেশন, টিঅ্যান্ডটি মোড়, সরকারি কলেজ মোড়, হসপিটাল রোড, প্রেস ক্লাব মোড়, ডিসি অফিসের সামনেসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মোট ৫০টি হাই রেজুলেশন সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। সিসি ক্যামেরাগুলো পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে সর্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে।
পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান বলেন, শহরের চুরি, ডাকাতি নিয়ন্ত্রণসহ জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরাগুলো ২৪ ঘণ্টা প্রহরী হিসেবে কাজ করবে। জেলা শহরের সরকারি স্থাপনাসমূহ ও কেপিআইগুলোর নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষেত্রে সিসি ক্যামেরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
আরও পড়ুন: সিসিক নির্বাচন: ভোটকেন্দ্রে ১৭৪৭টি সিসি ক্যামেরা, কেন্দ্রে যাচ্ছে ইভিএমসহ ভোটের সরঞ্জাম
তিনি আরও বলেন, ২০১৬ সালে ১২টি সিসি ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের সিসি ক্যামেরা দ্বারা আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে হাতে খড়ি শুরু হয়। কিন্তু নানাবিধ প্রতিকূলতার কারণে ২০১৮ সালে এগুলো অকেজো হয়ে যায়। এবার চুয়াডাঙ্গায় ৫০টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে ডিজিটাল নজরদারি শুরু হলো।
আরও পড়ুন: ঢাকায় বসে সিসি ক্যামেরায় সিলেটের ভোট পর্যবেক্ষণ করবে ইসি: সিইসি
চুয়াডাঙ্গার দুই আসনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা জাপার দুই প্রার্থীর
দলীয় সিদ্ধান্তহীনতার অভিযোগ তুলে চুয়াডাঙ্গার দুটি আসনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) দুই প্রার্থী।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের প্রার্থী সোহরাব হোসেন ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের প্রার্থী রবিউল ইসলাম আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দেন। যদিও এর দুদিন আগে মৌখিকভাবে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা সাংবাদিকদের জানান দুই প্রার্থী।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জ-৪: আ. লীগ প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
দলীয় সিদ্ধান্তহীনতাকে দায়ী করে প্রার্থীরা জানান, দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু নির্বাচনসংক্রান্ত বিষয়ে একের পর এক সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করছেন। সেই সঙ্গে তারা প্রার্থীদের সঙ্গে অসহযোগিতা করছেন ও যোগাযোগ রাখছেন না।
দলের শীর্ষ এই দুই নেতা এই বার বার প্রার্থীদের বিপদে ফেলে সরকারে কাছ থেকে সুবিধা নিচ্ছেন বলেও অবিযোগ করেন তারা।
এসব কারণে ভোটের মাঠ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাশরাফিকে সমর্থন দিয়ে সরে দাঁড়ালেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়জুল
তারা বলেন, দলের হাই কমান্ড ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে ভোটারদের কাছে জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের হেয় ও নিন্দিত করছেন।
একই সঙ্গে অর্থনৈতিক দুরবস্থা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের অসহযোগিতার কারণে বাধ্য হয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন বলে জানান দুই প্রার্থী।
রবিউল ইসলাম বলেন, ‘এবারের ভোট কেমন হচ্ছে, তা তো জানছেন। আমাদের পার্টির চেয়ারম্যান আর মহাসচিব আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেন না। কেবল মনোনয়ন দিয়েই ছেড়ে দিয়েছেন। দল থেকে কোনো নির্বাচনের একটি টাকাও দেয়নি। আমি ২০০১ সাল থেকে নির্বাচন করছি। আমি বলতে পারি, আমি দলকে টাকা দিয়েছি, দল আমাকে টাকা দেয়নি।’
আরও পড়ুন: সিলেট-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সভায় হামলার অভিযোগ আ. লীগ প্রার্থীর কর্মীদের বিরুদ্ধে
তিনি বলেন, ‘২৬ জনকে নিয়েই ব্যস্ত নেতারা। আর আমরা ২৫৭ জন পড়েছি মহাবিপদে। এবারের ভোট অন্য রকম। টাকা ছাড়া কেউ কথা বলছে না। দৈনিক কোটি কোটি টাকা ওড়াচ্ছে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। সেখানে আমার যতটুকু ছিল খরচ করেছি। এখন আর পারছি না। তাই সরে দাঁড়ালাম।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জাপা প্রার্থী সোহরাব হোসেন বলেন, জাতীয় পার্টির ভোটারদের কোনো বিধি নিষেধ নেই। তারা পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন। জাপার প্রার্থীদের ভোট বর্জনের ঘটনা নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে না।
আরও পড়ুন: সিলেট বিভাগে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন ৪ প্রার্থী
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহসভাপতি শাহাবুদ্দিন বিশ্বাস খোকন, জীবননগর উপজেলার সিনিয়র সহসভাপতি মামুনুর রশীদ হানেয়ারসহ জাতীয় পার্টির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
বাগেরহাট কারাগারে হাজতির মৃত্যু
বাগেরহাট জেলা কারাগারে কামাল হোসেন মিজান (৪৩) নামে এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) রাত সোয়া ১১টার দিকে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: বছরের প্রথম দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৮৫ জন, মৃত্যু নেই
হাজতি কামাল হোসেন বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার সানকিভাঙ্গা গ্রামের মোকলেছ হোসেনের ছেলে।
২০২৩ সালের ১১ নভেম্বর একটি নাশকতা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল বলে কারা কর্তৃপক্ষ জানায়।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে আলমসাধু উল্টে চাচা ও ভাতিজার মৃত্যু
বাগেরহাট জেলা কারাগারের সুপার শংকর কুমার মজুমদার জানান, কামাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করলে তাকে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, সেখানে রাত সোয়া ১১টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে কামাল হোসেনের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার ডেঙ্গুতে ১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬০
ঝিনাইদহে আলমসাধু উল্টে চাচা ও ভাতিজার মৃত্যু
ঝিনাইদহে আলমসাধু (তিন চাকার স্থানীয় যানবাহন) উল্টে চাচা ও ভাতিজার মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকালে ঝিনাইদহ-মাগুরা মহাসড়কের সদর উপজেলার পাচঁমাইল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত দুইজন হলেন, সদর উপজেলার সাধুহাটী ইউনিয়নের রাঙ্গীয়ারপোতা গ্রামের আব্দুস ছামাদের ছেলে আলী হোসেন ও গোলাম নবীর ছেলে মাহফুজুর রহমান।
আরও পড়ুন: কালিহাতীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
৪ নম্বর সাধুহাটী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. মুকুল হোসেন জানান, আলী ও তার ভাতিজা মাহফুজ আলমসাধুতে করে বাড়ি থেকে পাটকাঠি আনতে ফরিদপুর যাচ্ছিলেন। পথে পাঁচমাইল এলাকায় পৌঁছালে আলমসাধুটি রাস্তার উপর উল্টে যায়। এসময় পেছন থেকে একটি ট্রাক আলমসাধুটিকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই চাচা-ভাতিজা মারা যান।
আরও পড়ুন: সাভারে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন উদ্দীন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠনো হয়েছে। এ ঘটনায় ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্য নিহত