খুলনা
যশোরে পিকআপচাপায় সাইকেল আরোহী নিহত
যশোরের শার্শায় পিকআপের চাপায় সাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৩ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের শার্শার শ্যামলাগাছি নামক স্থানে রাস্তা পার হওয়ার সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহত জিহাদ সরদার (৫০) বেনাপোল পোর্ট থানার পুটখালী গ্রামের মৃত খিলাত আলী সরদারের ছেলে।
জিহাদ সরদারের ছেলে শফিকুল বলেন, তার বাবা বাজার করে বাড়ি ফেরার পথে শ্যামলাগাছিতে রাস্তা পারাপার হওয়ার সময় বেনাপোল থেকে ছেড়ে আসা দ্রুতগামী একটি পিকআপ তাকে চাপা দেয়। এ সময় স্থানীয়রা মারাত্মক আহত অবস্থায় উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নাভারন হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। পিকআপটি আটকের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে রাইস মিলের বয়লার বিস্ফোরণে মা-মেয়েসহ নিহত ৩
বগুড়ায় পিকআপ ও অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ২
চুয়াডাঙ্গায় বিভিন্ন পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা স্থাপন
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠোনে সহিংসতা ও যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে চুয়াডাঙ্গা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা স্থাপন করেছে জেলা পুলিশ।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজিম আল আজাদ, পরিদর্শক আবু জিহাদ খান, উপপরিদর্শক মেফাউল হাসানসহ আরও অনেক ছিলেন।
আরও পড়ুন: জীব বৈচিত্র রক্ষায় হালদা নদীর ৮ পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা
জেলা পুলিশ জানায়, শহরের পুলিশ অফিস মেইনগেট, সিভিল সার্জন বাংলো, জেলা জজ সাহেবের বাংলো, শহীদ হাসান চত্বর, নিউ মার্কেটের সামনে, পৌরসভার মোড়, টাউন ফুটবল মাঠ এলাকা, রেলস্টেশন, টিঅ্যান্ডটি মোড়, সরকারি কলেজ মোড়, হসপিটাল রোড, প্রেস ক্লাব মোড়, ডিসি অফিসের সামনেসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মোট ৫০টি হাই রেজুলেশন সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। সিসি ক্যামেরাগুলো পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে সর্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে।
পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান বলেন, শহরের চুরি, ডাকাতি নিয়ন্ত্রণসহ জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরাগুলো ২৪ ঘণ্টা প্রহরী হিসেবে কাজ করবে। জেলা শহরের সরকারি স্থাপনাসমূহ ও কেপিআইগুলোর নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষেত্রে সিসি ক্যামেরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
আরও পড়ুন: সিসিক নির্বাচন: ভোটকেন্দ্রে ১৭৪৭টি সিসি ক্যামেরা, কেন্দ্রে যাচ্ছে ইভিএমসহ ভোটের সরঞ্জাম
তিনি আরও বলেন, ২০১৬ সালে ১২টি সিসি ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের সিসি ক্যামেরা দ্বারা আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে হাতে খড়ি শুরু হয়। কিন্তু নানাবিধ প্রতিকূলতার কারণে ২০১৮ সালে এগুলো অকেজো হয়ে যায়। এবার চুয়াডাঙ্গায় ৫০টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে ডিজিটাল নজরদারি শুরু হলো।
আরও পড়ুন: ঢাকায় বসে সিসি ক্যামেরায় সিলেটের ভোট পর্যবেক্ষণ করবে ইসি: সিইসি
চুয়াডাঙ্গার দুই আসনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা জাপার দুই প্রার্থীর
দলীয় সিদ্ধান্তহীনতার অভিযোগ তুলে চুয়াডাঙ্গার দুটি আসনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) দুই প্রার্থী।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের প্রার্থী সোহরাব হোসেন ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের প্রার্থী রবিউল ইসলাম আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দেন। যদিও এর দুদিন আগে মৌখিকভাবে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা সাংবাদিকদের জানান দুই প্রার্থী।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জ-৪: আ. লীগ প্রার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
দলীয় সিদ্ধান্তহীনতাকে দায়ী করে প্রার্থীরা জানান, দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু নির্বাচনসংক্রান্ত বিষয়ে একের পর এক সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করছেন। সেই সঙ্গে তারা প্রার্থীদের সঙ্গে অসহযোগিতা করছেন ও যোগাযোগ রাখছেন না।
দলের শীর্ষ এই দুই নেতা এই বার বার প্রার্থীদের বিপদে ফেলে সরকারে কাছ থেকে সুবিধা নিচ্ছেন বলেও অবিযোগ করেন তারা।
এসব কারণে ভোটের মাঠ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: মাশরাফিকে সমর্থন দিয়ে সরে দাঁড়ালেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়জুল
তারা বলেন, দলের হাই কমান্ড ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে ভোটারদের কাছে জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের হেয় ও নিন্দিত করছেন।
একই সঙ্গে অর্থনৈতিক দুরবস্থা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের অসহযোগিতার কারণে বাধ্য হয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন বলে জানান দুই প্রার্থী।
রবিউল ইসলাম বলেন, ‘এবারের ভোট কেমন হচ্ছে, তা তো জানছেন। আমাদের পার্টির চেয়ারম্যান আর মহাসচিব আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেন না। কেবল মনোনয়ন দিয়েই ছেড়ে দিয়েছেন। দল থেকে কোনো নির্বাচনের একটি টাকাও দেয়নি। আমি ২০০১ সাল থেকে নির্বাচন করছি। আমি বলতে পারি, আমি দলকে টাকা দিয়েছি, দল আমাকে টাকা দেয়নি।’
আরও পড়ুন: সিলেট-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সভায় হামলার অভিযোগ আ. লীগ প্রার্থীর কর্মীদের বিরুদ্ধে
তিনি বলেন, ‘২৬ জনকে নিয়েই ব্যস্ত নেতারা। আর আমরা ২৫৭ জন পড়েছি মহাবিপদে। এবারের ভোট অন্য রকম। টাকা ছাড়া কেউ কথা বলছে না। দৈনিক কোটি কোটি টাকা ওড়াচ্ছে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। সেখানে আমার যতটুকু ছিল খরচ করেছি। এখন আর পারছি না। তাই সরে দাঁড়ালাম।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জাপা প্রার্থী সোহরাব হোসেন বলেন, জাতীয় পার্টির ভোটারদের কোনো বিধি নিষেধ নেই। তারা পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন। জাপার প্রার্থীদের ভোট বর্জনের ঘটনা নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে না।
আরও পড়ুন: সিলেট বিভাগে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন ৪ প্রার্থী
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহসভাপতি শাহাবুদ্দিন বিশ্বাস খোকন, জীবননগর উপজেলার সিনিয়র সহসভাপতি মামুনুর রশীদ হানেয়ারসহ জাতীয় পার্টির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
বাগেরহাট কারাগারে হাজতির মৃত্যু
বাগেরহাট জেলা কারাগারে কামাল হোসেন মিজান (৪৩) নামে এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) রাত সোয়া ১১টার দিকে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: বছরের প্রথম দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৮৫ জন, মৃত্যু নেই
হাজতি কামাল হোসেন বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার সানকিভাঙ্গা গ্রামের মোকলেছ হোসেনের ছেলে।
২০২৩ সালের ১১ নভেম্বর একটি নাশকতা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল বলে কারা কর্তৃপক্ষ জানায়।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে আলমসাধু উল্টে চাচা ও ভাতিজার মৃত্যু
বাগেরহাট জেলা কারাগারের সুপার শংকর কুমার মজুমদার জানান, কামাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করলে তাকে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, সেখানে রাত সোয়া ১১টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে কামাল হোসেনের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার ডেঙ্গুতে ১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬০
ঝিনাইদহে আলমসাধু উল্টে চাচা ও ভাতিজার মৃত্যু
ঝিনাইদহে আলমসাধু (তিন চাকার স্থানীয় যানবাহন) উল্টে চাচা ও ভাতিজার মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সকালে ঝিনাইদহ-মাগুরা মহাসড়কের সদর উপজেলার পাচঁমাইল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত দুইজন হলেন, সদর উপজেলার সাধুহাটী ইউনিয়নের রাঙ্গীয়ারপোতা গ্রামের আব্দুস ছামাদের ছেলে আলী হোসেন ও গোলাম নবীর ছেলে মাহফুজুর রহমান।
আরও পড়ুন: কালিহাতীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
৪ নম্বর সাধুহাটী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. মুকুল হোসেন জানান, আলী ও তার ভাতিজা মাহফুজ আলমসাধুতে করে বাড়ি থেকে পাটকাঠি আনতে ফরিদপুর যাচ্ছিলেন। পথে পাঁচমাইল এলাকায় পৌঁছালে আলমসাধুটি রাস্তার উপর উল্টে যায়। এসময় পেছন থেকে একটি ট্রাক আলমসাধুটিকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই চাচা-ভাতিজা মারা যান।
আরও পড়ুন: সাভারে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন উদ্দীন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠনো হয়েছে। এ ঘটনায় ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্য নিহত
১০ দিনেও খোঁজ মিলেনি কুমারখালীর নিখোঁজ ব্যাংক কর্মকর্তার
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে নিখোঁজের ১০ দিনেও সন্ধান মিলেনি রাজিব আহমেদ (৪০) নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তার।
স্বজনদের দাবি, গত ২২ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুমারখালী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের শেরকান্দি এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়েছেন ওই ব্যাংক কর্মকর্তা।
নিখোঁজ ব্যাংক কর্মকর্তা রাজিব আহমেদ পূবালী ব্যাংকের কুমারখালী শাখার সিনিয়র কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত।
তিনি জেলার ভেড়ামরা উপজেলার বামনপাড়া গ্রামের ইব্রাহিম আলীর ছেলে। এ ঘটনায় ২২ ডিসেম্বর রাতে কুমারখালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন ওই কর্মকর্তার স্ত্রী রায়হানা পারভীন।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে দুর্বৃত্তের গুলিতে ৪ ইউপিডিএফ নেতা-কর্মী নিহত, নিখোঁজ ২
রায়হানা জানান, দুই সন্তান নিয়ে তিনি মাসখানেক ধরে তার বাবার বাড়ি খোকসায় আছেন। তার স্বামী কুমারখালী শেরকান্দি এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে নিয়মিত ব্যাংকে যাওয়া আসা করে। গত ২১ ডিসেম্বর রাতে তার স্বামী মুঠোফোনে তাকে জানিয়েছিল শুক্রবার ( ২২ ডিসেম্বর) তিনি ( রাজিব) গ্রামের বাড়ি ভেড়ামারা যাবেন। এরপর ২২ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার সঙ্গে কথা বলে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। কিন্তু বের হওয়ার ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর থেকে স্বামীর ফোন বন্ধ পান তিনি।
তিনি আরও জানান, ওই দিন বিকাল থেকেই তিনি তার স্বামীকে স্বজন, বন্ধুসহ সব স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান পাননি। পরে থানায় জিডি করেছেন তিনি।
রায়হানা বলেন, স্বামী রাজিবের কোনো শত্রু ছিল না। তবে তাদের সংসার জীবনে কিছুটা পারিবারিক কলহ ছিল।
ব্যাংক কর্মকর্তার বড় ভাই সাইদুল ইসলাম সান্টু জানান, নিখোঁজের খবর পেয়ে সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজাখুঁজি করছেন তারা। থানায়ও গিয়েছেন। তবুও ভাইকে পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, স্ত্রীর সঙ্গে তার ভাইয়ের পারিবারিক কলহ ছিল।
রাজিব আহমেদকে তার স্ত্রী রায়হানা মারধর করতেন বলে অভিযোগ করেন সান্টু।
পূবালী ব্যাংক কুমারখালী শাখার ব্যবস্থাপক আব্দুল হামিদ জানান, রাজিব খুব ভদ্র, নম্র ভালো মানুষ। অফিসে কারো সঙ্গে কোনো মনোমালিন্য ছিল না। গত ২০ ডিসেম্বর শেষ অফিসে এসেছিলেন রাজিব।
জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে। এখনই বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: বগুড়ার বিএনপির নিখোঁজ দুই নেতার অবস্থান জানাতে হাইকোর্টের নির্দেশ
কাজ বাকি থাকায় আজ চালু হচ্ছে না খুলনা-যশোর-মোংলা রুটে ট্রেন চলাচল
খুলনা-যশোর-মোংলা রুটে আজ সোমবার (১ জানুয়ারি) থেকে চালু হচ্ছে না যাত্রীবাহী কমিউটার ট্রেন চলাচল। রেললাইন পুরোপুরি ট্রেন চলাচলের উপযোগী না হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
রেলওয়ের পশ্চিম জোনের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার বলেন, ‘১ জানুয়ারি থেকে ট্রেন চালু হচ্ছে না। রেললাইনে এখনও কিছু কাজ বাকি রয়েছে। সেজন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এখনও রেললাইনটি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘হস্তান্তর করতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। ট্রেন চলাচলের নতুন তারিখ এখনও নির্ধারণ হয়নি।’
খুলনা-মোংলা রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক মো. আরিফুজ্জামান বলেন, ‘রেললাইনের কিছু কাজ বাকি রয়েছে। তা সম্পন্ন হওয়ার পর ট্রেন চলাচলের নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হবে।’
এর আগে গত বছরের ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খুলনা-মোংলা রেললাইন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: ১ জানুয়ারি থেকে খুলনা-যশোর-মোংলা রুটে চলাচল করবে ৩ জোড়া নতুন ট্রেন
উদ্বোধনের এক মাস পরও খুলনা-মোংলা রুটে শুরু হয়নি ট্রেন চলাচল
পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হচ্ছে সুন্দরবনের কালাবগী ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্র
বিশ্বের ঐতিহ্যের অপরূপ লীলাভূমি সুন্দরবনের প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখার জন্য নতুনভাবে সাজানো হয়েছে পশ্চিম সুন্দরবনের খুলনা রেঞ্জের কালাবগী ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্র। সেখানে উপস্থিত হলে পর্যটকদের মন কেড়ে নেয় সুন্দরবনের প্রাকৃতিক দৃশ্য ও তার অবকাঠামো।
বর্তমানে স্থানটি পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে অল্প দিনে। পর্যটকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার বনে গিয়ে একটু ভিন্ন রকমের মনে হয়েছে তাদের। কালাবগীতে হরিণের পাল দেখা গেছে নদীর চরে। পর্যটন কেন্দ্রটি অবকাঠামোগত উন্নয়ন হওয়ায় চলাচলও হয়েছে সহজ।
কামরুল ইসলাম নামের এক পর্যটক বলেন, ‘তিনি আগে সুন্দরবন ঘুরে গেছেন। মোংলা থেকে রওনা হয়ে করমজল, হাড়বাড়িয়া, নীলকমল ও কটকা ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্র পরিদর্শনে এসেছেন।’
আরও পড়ুন: সুন্দরবনের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মূল্যায়ন করবে আরণ্যক ফাউন্ডেশন ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
তিনি বলেন, ‘এবার কালাবগী গিয়ে একটু ভিন্ন রকমের আনন্দ উপভোগ করেছি। সেখানে বেশ অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হয়েছে। ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্রের অপর পাশে হরিণের পাল দেখতে পেয়েছি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভারপুর সুন্দরবনের আসল চেহারা উপলব্ধি করা সম্ভব হয়েছে।’
বন বিভাগ জানায়, আগে সুন্দরবনে পর্যটকদের জন্য ৭টি ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্র ছিল। এত বেশি মানুষের মাত্র ৭টি স্থানের যাতায়াতের ফলে ঝুঁকির মুখে পড়েছিল সেখানের সার্বিক পরিবেশ। পর্যটকদের ভারে বনের ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো এবং তাদের ভ্রমণ আরও সুচারু করার জন্য পরিবেশবান্ধব পর্যটন স্পট বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয় বন বিভাগ।
সম্প্রতি নতুন করে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের আলীবান্ধা ও চাঁদপাই রেঞ্জের আন্ধারমানিক আর পশ্চিম সুন্দরবন বিভাগের খুলনা রেঞ্জে শেখেরটেক ও কালাবগীতে আরও ৪টি পর্যটন স্পট তৈরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে জেলের জালে ধরা পড়ল লাখ টাকার মেদ মাছ
খুলনায় স্কুল শিক্ষিকা ভারতে, নিয়মিত সই হাজিরা খাতায়
ভারতে অবস্থান করেও একজন এমপিওভুক্ত সহকারী শিক্ষিকা স্কুলের হাজিরা খাতায় নিয়মিত সই করছেন। ব্যাংক হতে তুলছেন বেতন-বিলের টাকাও। দীর্ঘ প্রায় এক বছর ধরে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের যোগসাজশে এমনটা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার হরিঢালী ইউনিয়ন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের।
অভিযোগ করা হচ্ছে- বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুধাংশু কুমার মন্ডল প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালনকালীন নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। এমনকি, প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়ের হিসাব কিংবা অভ্যন্তরীণ অডিট করার নির্দেশনা থাকলেও না করারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: প্রাথমিকের বই বিক্রির অভিযোগে প্রধান শিক্ষিকা কারাগারে
তবে, প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষিকা লিপিকা রাণী ভদ্র বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থেকে কীভাবে দীর্ঘ এক বছর নিয়মিত হাজিরা খাতায় সই করছেন, কীভাবে তার বেতনের টাকা উত্তোলন করছেন- এটা শুনে রীতিমত অবাক হয়েছেন সহকর্মী ও প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা।
এদিকে, হরিঢালী ইউনিয়ন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুধাংশু কুমার মন্ডল জানান, লিপিকা রাণী ভদ্রের স্বামী ভারতে বসবাস করেন। তিনি অসুস্থ, তাই সভাপতির কাছ থেকে ছুটি নিয়ে ভারতে গিয়েছেন।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত লিপিকা ভারতে অবস্থান করছেন বলেও জানান তিনি।
তবে, ঠিক কতদিনের ছুটি নিয়েছেন, ভারতে অবস্থান করার ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ম অনুসরণ করে ছুটি নিয়েছেন কি না কিংবা এই ছুটির অনুমতি প্রদানে কোনো রেজুলেশন রয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে সড়কে স্বামীর সামনে মাদরাসা শিক্ষিকার মৃত্যু
অন্যদিকে, নিয়ম বহির্ভূতভাবে লিপিকা ভদ্র অনুপস্থিত থাকা অবস্থায় সরকারি অর্থ উত্তোলনে সহযোগিতার অভিযোগ অস্বীকার করে স্কুল পরিচালনা পরিষদের সভাপতির দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আরও বলেন, ‘লিপিকা ভদ্র আমার দায়িত্বকালের পূর্বেও এমন কাজ করেছেন। তৎকালীন প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের সুবাদে তিনি স্কুলের কিছু টেবিল ও বেঞ্চ জরিমানা স্বরূপ প্রদান এবং প্রধান শিক্ষককের মাধ্যমে এ বিষয়ে রক্ষা পান।’
হরিঢালী ইউনিয়ন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. মুনছুর আলী সরদার পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি একজন বয়স্ক মানুষ। আমাকে ভুল বুঝিয়ে ও ভুল তথ্য দিয়ে বেতন-বিলে সই করিয়ে নিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুধাংশু কুমার মন্ডল নিজে লিপিকার সই জাল করে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি (সভাপতি) প্রতিষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপ-পরিচালক, দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়, খুলনা বরাবর লিখিত আবেদন করেছি।’
সদ্য যোগদান করা পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল-আমিন বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এ ধরনের কাজ করার কোনো সুযোগ নেই। আমি শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
আরও পড়ুন: যশোরে শিক্ষিকার নাক ফাটানো সেই ট্রেনপরিচালক বরখাস্ত
মাগুরায় দুই ভাইয়ের গলা কাটা লাশ উদ্ধার
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় দুই ভাইয়ের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে এই ঘটনা ঘটেছে।
নিহতরা হলেন- উপজেলার পানিঘাটা গ্রামের মঞ্জুর আলীর ছেলে সবুর আলী (৩০) ও তার ছোট ভাই হৃদয় আলী।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বোরহান আলী জানান, গ্রামের একটি জমির মালিকানা নিয়ে নিহতের পরিবার ও প্রতিবেশির মধ্যে বিরোধ চলছিল।
পরিবারের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, শনিবার রাত ৮টার দিকে কেউ তাদের বাড়িতে গিয়ে দুই ভাইকে বের হতে বলে। এরপর তারা বাড়ি ফেরেননি।
আরও পড়ুন: মাগুরায় প্রেসার কুকার বিস্ফোরণে ৩ জন আহত
ওসি বলেন, পরে স্থানীয়রা তাদের বাড়ি থেকে অল্প দূরে একটি ফসলের খেতে দুই ভাইয়ের লাশ দেখতে পান। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের গলা কাটা হয়েছে।
খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় বলে পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা না গেলেও জড়িতদের শনাক্ত করতে তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ট্রাকচাপায় ভ্যানচালকসহ নিহত ২