খুলনা
বেনাপোল বন্দরে শ্রমিকদের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৩
যশোরের বেনাপোল বন্দরে সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শ্রমিকদের দুই পক্ষের সংঘর্ষে তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
সংঘর্ষের ঘটনায় শ্রমিকদের একটি অংশ বন্দরে মালামাল লোড-আনলোড ও পণ্য খালাস বন্ধ করে দেয়।
আরও পড়ুন: বরিশালে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫
আহত শ্রমিকরা হলেন- বেনাপোল বন্দর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রাজু আহম্মেদ (৪৫), শ্রমিক নেতা হাসেম (৩৩) ও গোলম মোস্তফা (৩৪)।
জানা যায়, সোমবার সকালে হঠাৎ করে শ্রমিকদের দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এসময় দুই শ্রমিক নেতাসহ আরও কয়েকজন আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে বন্দরের মধ্য থেকে শ্রমিকদের বের করে দেয়।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন বলেন, সকালে শ্রমিকদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৩
ভোলায় আ. লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, একজন গুলিবিদ্ধসহ আহত ২০
রূপসায় নদী ভাঙন, ৫২৫ হেক্টর আবাদি জমি তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা
খুলনার রূপসা উপজেলার নৈহাটি ইউনিয়নের শ্রীরামপুর, নৈহাটি, নিহালপুর, কিসমত খুলনাসহ কয়কটি গ্রামের পাঁচ শতাধিক কৃষক চর শ্রীরামপুর বেড়িবাঁধ নদী ভাঙনের কবলে পড়ায় দুশ্চিন্তা ও শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন।
চর শ্রীরামপুর বিলে প্রায় ৫২৫ হেক্টর জমি আছে। পাঁচ শতাধিক কৃষক এ সকল জমি আবাদ করে নানারকম ফসল ফলিয়ে এ অঞ্চলের মানুষের খাদ্যের চাহিদা মিটিয়ে বাইরে রপ্তানি করে থাকে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তিস্তার ভাঙনে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে
এই বিলের যে জমি, জানা যায় তা অত্যন্ত উর্বর। এ সকল জমিতে বছরে তিনবার ফসল হয়। এ অঞ্চলের কৃষকরা সুখে শান্তিতে জমিগুলো আবাদ করে বিভিন্ন ধরনের সবজি, ফল ও ধান চাষাবাদ করে হাসিমুখে দিন কাটাচ্ছিল।
কিন্তু তিন বছর আগে রূপসা নদীর ভাঙনে শ্রীরামপুর পালপাড়া থেকে ইদ্রিস জমাদ্দারের ইটের ভাটা পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার বাঁধ ভেঙে পড়ে, ফলে ফসলি জমি হুমকির মুখে পড়ে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য আবদুস সালাম মুর্শেদী সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিলেও কিছু জটিলতার কারণে বেড়িবাঁধ নির্মাণে কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় স্থানীয় জনসাধারণ ও কৃষকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
শ্রীরামপুর চরে জমি আছে এমন উপজেলার কৃষক এএইচএম কামাল বলেন, প্রজন্ম ধরে আমরা এই জমি চাষ করে আসছি। এ অঞ্চলের চাহিদা মিটিয়ে বাকি ফসল রপ্তানি করা হয়। তিন বছর আগে শুরু হওয়া নদী ভাঙনের কারণে আমরা চরম উদ্বেগের মধ্যে আছি।
তিনি আরও বলেন, নদীর পানি ফসলি জমিতে ঢুকে ফসলের ক্ষতি করতে পারে বলে আমরা সব সময় আশঙ্কা করি। তাই আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্থানীয় সংসদ সদস্য আবদুস সালাম মুর্শেদীর কাছে দ্রুত বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে এলাকার কৃষকদের বাঁচানোর জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. জাহাঙ্গীর হোসেন মুকুল বলেন, এই এলাকার কৃষকদের জীবনে এই বাঁধের অনেক গুরুত্ব রয়েছে। ভাঙনের কারণে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেলে হাজার হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ফসল জমি ধ্বংস হবে এবং খাদ্যের অভাব হবে। তাই এই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা খুবই জরুরি বলে মনে করি।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে তিস্তার ভাঙনে ঘরবাড়ি হারানোর আতঙ্কে এলাকাবাসী
কুড়িগ্রামে তিস্তার ভাঙনে ৫০টি বাড়ি বিলীন
খুলনায় জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের তিন দফা দাবিতে ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহার
খুলনায় তিন দফা দাবিতে জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের অনির্দিষ্টকালের ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। রবিবার (০৩ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ১০টার দিকে এ ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির খুলনা বিভাগীয় কমিটির সভাপতি আব্দুল গফফার বিশ্বাস সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এর আগে জ্বালানি তেল বিক্রির উপর কমিশন বাড়ানোসহ ৩ দফা দাবিতে রবিবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য জ্বালানি ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করেন খুলনার জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা।
জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের ৩ দফা দাবি হচ্ছে— জ্বালানি তেল পরিবহনকারী ট্যাংক-লরির অর্থনৈতিক জীবনকাল ৫০ বছর করা, জ্বালানি তেল বিক্রির উপর প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ করা, জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা কমিশন এজেন্ট বিধায় প্রতিশ্রুতি মোতাবেক সুস্পষ্ট গেজেট প্রকাশ করা।
আরও পড়ুন: ফিলিং স্টেশন মালিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার না হলে সোমবার থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: বিপিসি
বাংলাদেশ ট্যাংকলরী ওনার্স এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতি, খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়ন এবং পদ্মা মেঘনা ও যমুনা ট্যাংকলরী শ্রমিক কল্যাণ সমিতি এই কর্মসূচি আহ্বান করে। ফলে খুলনা বিভাগের ১০ জেলা ও বৃহত্তর ফরিদপুরের ৪ জেলায় জ্বালানি তেল সরবরাহ বন্ধ ছিল।
অপরদিকে সকালে খালিশপুর, দৌলতপুর, বয়রা, ফুলবাড়ী গেটের কয়েকটি পেট্রোল পাম্প ঘুরে দেখা যায় সেখানে তেল সরবরাহ করা হচ্ছে না। খালিশপুরের তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা যমুনা থেকে তেল সরবরাহ করা হচ্ছে না। সেখানে কয়েক’শ ট্যাংক-লরি দাঁড়িয়ে ছিল।
উল্লেখ্য, গত ২৩ আগস্ট খুলনার নিউমার্কেট এলাকায় আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় জ্বালানি তেল বিক্রির উপর কমিশন বাড়ানোসহ তিন দফা দাবি পূরণে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন: খুলনায় জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের ৩ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু
বেনাপোল স্থলবন্দরে ২৩টি দেশীয় বোমা উদ্ধার
বেনাপোল স্থলবন্দরে ড্রেনের ভেতর থেকে ২৩টি দেশীয় বোমা উদ্ধার করা হয়েছে।
রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্থলবন্দর এলাকায় রাসায়নিক শেডের পশ্চিম পাশ থেকে বোমাগুলো উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে এ সময় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভূঁইয়া জানান, বেনাপোল বন্দর এলাকার ৩৫ নম্বর রাসায়নিক শেডের কাছে একটি ড্রেনে বিপুল পরিমাণ দেশীয় বোমা মজুদ করা হয়েছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানা পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে ২৩টি দেশীয় বোমা উদ্ধার করে।
ওসি জানান, সেখানে কারা বোমা রেখেছিল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এ ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে ৪টি বোমা উদ্ধার
বেনাপোল সীমান্তে ৪ স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ৩
চৌগাছায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ছেলে নিহত, বাবা আহত
যশোরে চৌগাছায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শিমুল হোসেন নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তার বাবা জাহাঙ্গীর আলম (৪২) গুরুতর আহত হয়েছেন।
রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে চৌগাছা উপজেলার সদর ইউনিয়নের লস্করপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
তারা চৌগাছা উপজেলার সদর ইউনিয়নের লস্করপুর গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামের উলিপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে গৃহবধূর মৃত্যু
স্থানীয়রা জানান, রবিবার সকালে লস্করপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম ও তার ছেলে শিমুল হোসেন বিচালি কাটা মেশিনে বিচালি কাটছিলেন। হঠাৎ মেশিনটি বিদ্যুতায়িত হয়ে পড়ে।
এতে শিমুল বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়লে তাকে বাঁচাতে গেলে জাহাঙ্গীর আলমও আক্রান্ত হন। পরে প্রতিবেশিরা তাদেরকে উদ্ধার করে চৌগাছা স্বাস্থ্যে কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তানভীর হাসান জানান, শিমুলকে মৃত অবস্থায় এখানে আনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জাহাঙ্গীর আলমের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। জাহাঙ্গীর আলমকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মা-মেয়েসহ প্রাণ গেল ৩ জনের
জামালপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ইজিবাইকচালকের মৃত্যু
খুলনায় জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের ৩ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু
জ্বালানি বিক্রয়ের ওপর কমিশন বৃদ্ধিসহ ৩ দফা দাবিতে তেল ব্যবসায়ীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করছেন।
রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে এ ধর্মঘট শুরু হয়। এর ফলে খুলনায় পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও এ অঞ্চলে সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতি, খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়ন এবং পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা ট্যাংকলরি শ্রমিক কল্যাণ সমিতি এ ধর্মঘট পালন করছে।
৩ দফা দাবি হচ্ছে- জ্বালানি তেল পরিবহনকারী ট্যাংকলরির অর্থনৈতিক জীবনকাল ৫০ বছর করা, জ্বালানি তেল বিক্রয়ের ওপর প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ করা, জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা কমিশন এজেন্ট বিধায় প্রতিশ্রুতি মোতাবেক সুস্পষ্ট গেজেট প্রকাশ করা।
আরও পড়ুন: হিলিতে চালকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার, পণ্য আমদানি শুরু
এদিকে জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটের খবরে শনিবার রাতে তেল পাম্পগুলোতে জ্বালানির জন্য মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট গাড়িগুলোকে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির নেতা মো. মুরাদুজ্জামান মুরাদ বলেন, জ্বালানি তেল বিক্রির ওপর কমিশন বৃদ্ধিসহ ৩ দফা দাবি আমাদের দীর্ঘদিনের। দাবিগুলো অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত।
তিনি আরও বলেন, দাবি পূরণে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে সরকার দাবি পূরণ না করায় রবিবার সকাল ৮টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির খুলনা বিভাগীয় সভাপতি আবদুল গফফার বিশ্বাস বলেন, ৩ দফা দাবিতে দীর্ঘদিন থেকে আন্দোলন করছে তেল ব্যবসায়ীরা। সংশ্লিষ্টরা কয়েকবার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, প্রতিবারই সময় নিয়েছেন, কিন্তু দাবি বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে বাধ্য হয়েই তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধের কর্মসূচি পালন করতে হচ্ছে।
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
এর আগে, ২৩ আগস্ট (বুধবার) খুলনার নিউমার্কেট এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় জ্বালানি তেল বিক্রয়ের ওপর কমিশন বৃদ্ধিসহ ৩ দফা দাবি পূরণে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা।
দাবি পূরণের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা শেষ হওয়ায় ৩১ আগস্ট বিকালে খুলনার খালিশপুরে ট্যাংকলরি ভবনে সভা করে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের কয়েকটি সংগঠন ৩ সেপ্টেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালনের চূড়ান্ত ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বৈঠক শেষে ধর্মঘট ও মানববন্ধন স্থগিত বিএসবিআরএ’র
চুয়াডাঙ্গায় পিকআপের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে যুবক নিহত
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় সবজিবোঝাই পিকআপের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ বাজার সংলগ্ন মসজিদের সামনে চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আশরাফুল ইসলাম (৩৫) সদর উপজেলার পদ্মবিলা ইউনিয়নের বুড়োপাড়া গ্রামের মসজিদপাড়ার গোলাম রাসুলের ছেলে। তিনি পেশায় বৈদ্যুতিক মিস্ত্রী ছিলেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে বাসের চালক ও সুপারভাইজার নিহত
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, একটি মোটরসাইকেলে দু’জন যাচ্ছিলেন। দু’জনের মাঝে স্টিলের একটি মই ছিল। ডিঙ্গেদহ বাজারের কাছে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি সবজিবোঝাই পিকআপের পেছনে থাকা নম্বর প্লেটের বাম্পারে মইটি বেধে যায়।
এতে মোটরসাইকেলের পেছনের আরোহী আশরাফুল ইসলাম ও চালক রাসেল ছিটকে সড়কের উপর পড়ে। দু’জনকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক আশরাফুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. হাসানুর রহমান হাসান বলেন, আশরাফুল মাথায় প্রচণ্ড আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়। রাসেল সামান্য আহত হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভর্তির পরামর্শ দিয়েছি।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাব্বুর রহমান কাজল বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। পিকআপটি আটক করা হয়েছে। তবে চালক পালিয়ে গেছে।
আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: গোবিন্দগঞ্জে বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩ জন নিহত, আহত ১০
যশোরে যবিপ্রবি শিক্ষার্থীসহ পাঁচ ভুয়া পরীক্ষার্থী আটক
যশোরের চৌগাছায় উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষা দিতে গিয়ে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীসহ পাঁচ ভুয়া পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টার দিকে এইচএসসি প্রোগ্রামের দ্বিতীয় বর্ষের ইংরেজী ২য় পত্র পরীক্ষার সময় চৌগাছা সরকারি কলেজ ও চৌগাছা মৃধাপাড়া মহিলা কলেজ কেন্দ্র থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটক পরীক্ষার্থীরা টাকার বিনিময়ে অন্যদের হয়ে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন।
কেন্দ্র সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা কেন্দ্রে শুক্রবার বিকালে চৌগাছা মৃধাপাড়া মহিলা কলেজ কেন্দ্রে এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা চলাকালে চৌগাছা উপজেলার আন্দারকোটা গ্রামের আল আমিন হোসেন, যশোর সদর উপজেলার তীরেরহাট গ্রামের হাসান ইমাম যশোর সদর উপজেলার আপন মোড়ের মো. আরিফকে আটক করা হয়।
এদিকে একই সময়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানার নির্দেশে চৌগাছা সরকারি কলেজ কেন্দ্রে যবিপ্রবি’র শিক্ষার্থী চৌগাছার আন্দারকোটা গ্রামের মো. সজিব এবং ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার দাদপুর গ্রামের মো. ইমরানকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: টেকনাফে ৮০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ, আটক ১
কেন্দ্র সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, পাঁচ ভুয়া পরীক্ষার্থী যাদের পরিবর্তে পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন তাদের সবাই সেনাবাহিনীর সদস্য। এদের মধ্যে পরীক্ষার্থী যশোর সদর উপজেলার তীরেরহাট গ্রামের মেহেদী হাসান জাতিসংঘ মিশনে বিদেশে রয়েছেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কলেজ শিক্ষক জানিয়েছেন।
তিনি জানান, বদলী পরীক্ষা দিতে আসা চৌগাছার আন্দারকোটা গ্রামের মো. সজিব যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
শিক্ষক আরও জানান অন্যরাও মিশনে বিদেশে থাকতে পারে। তবে সেটি নিশ্চিত করে বলতে পারছি না।
এবিষয়ে চৌগাছার সহকারী কমিশনার (ভূমি) গুঞ্জন বিশ্বাস বলেন, একজন ভুয়া পরীক্ষার্থী বাথরুম যাওয়ার কথা বলে তিনতলার একটি বাথরুমের ভেন্টিলেটর দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে আমি নিজে তাকে আটক করি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা এবং চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: টেকনাফে ৮০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ, আটক ১
চুয়াডাঙ্গায় মাথাভাঙ্গা নদী থেকে নারীর লাশ উদ্ধার
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার মাথাভাঙ্গা নদী থেকে এলিজা খাতুন (৪০) নামে এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে দামুড়হুদা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন মাথাভাঙ্গা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: পাইকগাছায় খাল থেকে মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
নিহত এলিজা খাতুন চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার হাটকালুগঞ্জ গ্রামের রুস্তম মল্লিকের মেয়ে।
দামুড়হুদা মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি-অপারেশন) শফিউল আলম বলেন, এলিজা খাতুন একজন প্রতিবন্ধী নারী। বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার সকালে দামুড়হুদায় মাথাভাঙ্গা নদীতে তার লাশ ভেসে উঠে। পরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ধারণা করছি, পানিতে ডুবে তিনি মারা যান। তবে ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে প্রকৃত ঘটনা।
এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বরিশালে নদীতে নিখোঁজ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
সিলেটে বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার
বাগেরহাটে ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে বাবা ও মেয়ে নিহত
বাগেরহাটে ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংর্ঘষে বাবা ও মেয়ে নিহত হয়েছেন। এ সময় তার স্ত্রী ও ছেলে গুরুতর আহত হন।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাগেরহাট-খুলনা মহাসড়কের ফকিরহাট উপজেলার পিলজংগ এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন- বাগেরহাট জেলার শরণখোলা উপজেলার খোন্তাকাটা গ্রামের ব্যবসায়ী সোহেল ফরাজী (৩৭) এবং তার মেয়ে নওরীন আক্তার (৫)।
আহতরা হলেন- সোহেল ফরাজীর স্ত্রী মিমি আক্তার (৩২) এবং ছেলে নওসীন ফরাজী (১০)। গুরুত আহত অবস্থায় তাদের ২ জনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আটক ট্রাকচালক শাজাহান সরদারের (৩৮) বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার সদর উপজেলার কাশেমপুর গ্রামে।
আরও পড়ুন: নাটোরে ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে ২ কলেজছাত্র নিহত
বাগেরহাটের কাটাখালী হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ব্যবসায়ী সোহেল ফরাজী, তার স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে একটি মোটরসাইকেলযোগে শরণখোলা থেকে খুলনায় যাচ্ছিলেন। পথে পিলজংগ এলাকায় পৌঁছালে বিপরীতমুখী একটি ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংর্ঘষ হয়। এ সময় ওই মোটরসাইকেল আরোহী ৪ জন গুরুতর আহত হন।
তিনি আরও বলেন, দ্রুত তাদের উদ্ধার করে খুমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সোহেল ফরাজী এবং তার মেয়ে নওরীন আক্তারকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় সোহেল ফরাজীর স্ত্রী এবং ছেলেকে সেখানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ওসি বলেন, পুলিশ ট্রাক জব্দ করেছে এবং চালককে আটক করেছে। শুক্রবার ২ জনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় ট্রাক-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ১
নারায়ণগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যক্তি নিহত