খুলনা
পবিত্র আশুরা উপলক্ষে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
পবিত্র আশুরা উপলক্ষে শনিবার সকাল থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দু’দেশের মধ্যে বন্ধ রয়েছে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য। তবে স্বাভাবিক রয়েছে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার।
দু’দেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বানিজ্য সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বন্ধ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল বন্দরের পরিচালক আব্দুল জলিল।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামছুর রহমান জানান, পবিত্র আশুরা উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় আজ শনিবার (২৯ জুলাই) দু’দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যি বন্ধ রয়েছে। আগামীকাল রবিবার (৩০ জুলাই) সকাল থেকে পুনরায় সচল হবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যি।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবীব জানান, আজ শনিবার দু’দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যি বন্ধ থাকলেও বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার করছেন স্বাভাবিকভাবে। সকাল থেকে এ পর্যন্ত ১ হাজার ৫০০ যাত্রী পারাপার হয়েছেন।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৩ দিনে এলো ১২৩ টন কাঁচা মরিচ
বেনাপোল বন্দরে ৫ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
দুদকের চার্জশিটে নাম আসায় খুলনার সিভিল সার্জনকে ওএসডি
করোনা পরীক্ষার ২ কোটি ৬১ লাখ টাকা আত্মসাৎ মামলায় খুলনার বর্তমান সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ ও সাবেক সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক খন্দকার কামরুজ্জামান এই চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- খুলনার সিভিল সার্জন ও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সুজাত আহমেদ, সাবেক সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ, জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. এস এম মুরাদ হোসেন, সাময়িক বরখাস্ত থাকা মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) প্রকাশ কুমার দাস, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) মো. রওশন আলী এবং ক্যাশিয়ার তপতী সরকার।
আরও পড়ুন: সাংবাদিককে গালমন্দ করে ওএসডি হলেন টেকনাফের ইউএনও
দুদক কর্মকর্তারা জানান, করোনা পরীক্ষার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০২১ সালের ১৮ নভেম্বর দুদকের উপসহকারী পরিচালক খন্দকার কামরুজ্জামান বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন শুধু প্রকাশ কুমার দাস।
মামলার তদন্তে আরও পাঁচজনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। ওই ছয়জন পরস্পর যোগসাজশে সরকারি রশিদ বইয়ের বাইরে হাসপাতালের বুথে ডুপ্লিকেট রশিদ বই ব্যবহার করে বিদেশগামী যাত্রী ও সাধারণ কোভিড-১৯ রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে নমুনার সংখ্যা ফরওয়ার্ডিংয়ে বসিয়ে তা পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের আরটি-পিসিআর ল্যাবে পাঠান। সে অনুযায়ী ফলাফল পেয়ে তা প্রকাশ ও রোগীদের সরবরাহ করেন।
পরবর্তীতে রোগীর সংখ্যা কম দেখিয়ে সে অনুযায়ী ইউজার ফি’র টাকা সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করেন। প্রকৃত আদায় করা ইউজার ফির টাকা জমা প্রদান না করে বিদেশগামী যাত্রী ও সাধারণ কোডিড-১৯ রোগীদের ইউজার ফি বাবদ আদায় করা মোট ৪ কোটি ২৯ লাখ ৯১ হাজার ১০০ টাকার মধ্যে ১ কোটি ৬৮ লাখ ৪৬ হাজার ৭০০ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেন। অবশিষ্ট ২ কোটি ৬১ লাখ ৪৪ হাজার ৪০০ টাকা জমা প্রদান না করে আত্মসাৎ করা হয়।
আরও পড়ুন: চিকিৎসককে জরিমানা করে ওএসডি হলেন সাতকানিয়া ইউএনও
যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
যশোরের কেশবপুরে লেগুন ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার কলাগাছি বাজারের পাশে আড়খালি নামক স্থানে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ জন নিহত
নিহতরা হলেন- কেশবপুরের পাঁজিয়া গ্রামের দিপক মণ্ডলের ছেলে সাগর মণ্ডল (২৫) এবং পাঁজিয়া ইউনিয়নের সদাডাঙ্গা গ্রামের মৃত আকবর মোড়লের ছেলে রাজু আহমেদ (২৩)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চুকনগর থেকে মোটরসাইকেলে দুই আরোহী কেশবপুরের কলাগাছি বাজারের দিকে আসছিল।
পথের মধ্যে আড়খালি নামক স্থানে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি যাত্রবাহী লেগুনার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেলের দুই আরোহীর মৃত্যু হয়।
কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সড়ক দুর্ঘটনার ১৬ প্রধান কারণ চিহ্নিত করেছে এসসিআরএফ
দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
মাগুরায় হাজত থেকে আসামির পলায়ন, ২ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত
মাগুরার মহম্মদপুর থানার হাজত থেকে এক সাজাপ্রাপ্ত আসামি পালিয়ে গেছে। সোমবার (২৪ জুলাই) ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় মহম্মদপুর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ শাহিন ও ডিউটিতে থাকা পুলিশ সদস্য (কনস্টেবল) মোহাম্মদ পাপ্পুকে সামমিয়ক বরখাস্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরের সেফ হোম থেকে ১৭ বাসিন্দার পলায়ন
পলাতক আসামি সোয়েব মোল্যা (৩০) মহম্মদপুর উপজেলার পলাশবাড়িয়া ইউনিয়নের রো’নগর গ্রামের মৃত সিদ্দিক মোল্যার ছেলে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির হোসেন জানান, দেড় বছর আগে চুরির অপরাধে নড়াইলের আদালতে সোয়েবের ছয় বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয়। কিন্তু সাজার পর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন।
২৩ জুলাই শনিবার রাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পরে তাকে থানাহাজতে রাখা হয়। কিন্তু পরদিন সকাল সাড়ে দশটায় দেখা যায় আসামি হাজতে নেই। এ সময় হাজতখানার সামনের রড ভাঙা পাওয়া যায়।
মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, পালিয়ে যাওয়া আসামি আটকের চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও বলেন, দায়িত্বে অবহেলার কারণে কনস্টেবল পাপ্পু ও এএসআই শাহীনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুই জঙ্গির পলায়নকে 'ব্যর্থতা' বলেছেন র্যাব মহাপরিচালক
আদালত চত্বর থেকে ২ জঙ্গি ছিনতাই: ১০ আসামির ৫ দিনের রিমান্ড
খুলনায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে মৎস্যপণ্য রপ্তানি ২৮২৩ কোটি টাকার
খুলনা জেলা মাছ চাষে সাফল্য অর্জন করেছে, করছে। দিন দিন এই জেলায় চিংড়িসহ সব ধরনের মাছ চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০২২-২০২৩ অর্থবছরে মোট উৎপাদিত মাছের পরিমাণ ১ লাখ ২১ হাজার ৭৫০ মেট্রিক টন, যা জেলার চাহিদার চেয়ে ৬৪ হাজার ৫৪৫ মেট্রিক টন বেশি। এ সময়ে জেলায় ২৫ হাজার ৩৭৫ মেট্রিক টন চিংড়ি উৎপাদন হয়েছে।
খুলনা অঞ্চল থেকে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ২৮ হাজার ৩১৬ মেট্রিক টন মৎস্যপণ্য রপ্তানি করে মোট ২ হাজার ৮২৩ কোটি টাকা সমমূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়েছে।
উক্ত সময়ে জেলার বিভিন্ন নদী থেকে ২ হাজার ২৬৮ মেট্রিক টন ইলিশ আহরণ করা হয়েছে। সাগরে ৬৫ দিন মাছ আহরণ বন্ধ থাকাকালে জেলার ৭ উপজেলার ২৩ হাজার ৮০ জন জেলের মাঝে ১ হাজার ২৯২ দশমিক ৪৮ মেট্রিক টন ভিজিএফ এর চাল বিতরণ করা হয়।
আরও পড়ুন: গুলশান, বনানী ও বাড়িধারা লেকে মাছ চাষ করা হবে: আতিকুল ইসলাম
কোভিড-১৯ মহামারির সময় জেলার ৯ হাজার ৮৫৮ জন মাছচাষীর মাঝে ১৪ কোটি ২০ লাখ ১৩ হাজার টাকার সরকারি অনুদান বিতরণ করা হয়েছে। সম্প্রতি জেলায় ভেনামি চিংড়ির বাণিজ্যিক চাষে অনুমতি দেওয়া হয়েছে যার হেক্টর প্রতি উৎপাদন প্রায় ১০ মেট্রিক টন।
২০২১-২০২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৭৪ হাজার ৪২ মেট্রিক টন মৎস্যপণ্য রপ্তানি করে ৫ হাজার ১৯১ কোটি টাকা সমমূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফিন ইউএনবিকে বলেন, খুলনা জেলায় অনেক শিক্ষিত বেকার যুবক এখন মাছ চাষ শুরু করেছে। ফলে একদিকে যেমন বেকারত্ব কমছে, তেমনি লাভবান হচ্ছে।
জেলা মংস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল বলেন, দেশের অন্য জেলাগুলো থেকে খুলনা মাছ চাষে এগিয়ে রয়েছে।
আরও পড়ুন: বন্যা: নেত্রকোণায় মাছ চাষিদের সাড়ে ১১ কোটি টাকার ক্ষতি
চুয়াডাঙ্গায় পৃথক দুর্ঘটনায় ৩ শিশুর মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গায় পৃথক দুর্ঘটনায় ৩ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (২৩ জুলাই) বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে আলমডাঙ্গা উপজেলায় পানিতে ঢুবে ৬ মাস বয়সী ইয়াসিন, দামুড়হুদা উপজেলায় চলন্ত ভ্যান থেকে ছিটকে পড়ে রাশেদ (২) এবং জীবননগর উপজেলায় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে আয়েশা সিদ্দীকা (৯) নামের এই তিন শিশুর মৃত্যু ঘটে।
সংশ্লিষ্ট ৩ থানার ভারপ্তাপ্ত কর্মকর্তারা (ওসি) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছোট ছেলে ইয়াসিন তার মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল। এ সময় গড়াগড়ি দেওয়ার সময় খাটের পাশে থাকা মাছ ভর্তি বালতির পানিতে পড়ে যায় ইয়াসিন।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
ঘুম ভেঙে ছেলেকে পানিতে দেখতে পেয়ে দ্রুত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ইয়াসিনকে মৃত ঘোষণা করেন। অভিযোগ না থাকায় লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
অপরদিকে, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার কন্দর্পপুর স্কুলের সামনে ট্রাক চাপায় আয়েশা সিদ্দীকা নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। সে হাসাদহ ইউনিয়নের কন্দর্পপুর স্কুলপাড়ার বকুল উদ্দীনের মেয়ে ও কন্দর্পপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী।
জীবননগর থানা পুলিশের পরিদর্শক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দীন মৃধা বলেন, ঘটনার পর স্থানীয়রা ট্রাকটি জব্দ করে পুলিশ হেফাজতে দিয়েছে। চালককে আটক করা যায়নি। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অন্যদিকে, দামুড়হুদা উপজেলার নাপিতখালি গ্রামের রহিদুল ইসলামের ছেলে রাশেদ তার মায়ের সঙ্গে নানা বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে অসাবধানতায় মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয় এবং দ্রুত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অভিযোগ না থাকায় লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: নড়াইলে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গায় মাছভর্তি বালতির পানিতে ডুবে প্রাণ গেল শিশুর
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা মাছভর্তি বালতির পানিতে পড়ে ইয়াসিন নামের আটমাস বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (২৩ জুলাই) বিকাল ৪টার দিকে উপজেলার খাসকররা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ইয়াসিন খাসকররা ওই গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার কৃষক আলমগীর হোসেন ও মনিকা খাতুন দম্পতির ছোট ছেলে।
নিহত শিশু ইয়াসিনের বাবা আলমগীর হোসেন বলেন, আমি কাজের বাড়ির বাইরে ছিলাম। ছোট ছেলে ইয়াসিনকে নিয়ে আমার স্ত্রী ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। বড় ছেলে খেলা করছিল। ঘুমন্ত অবস্থায় খাটের সঙ্গে রাখা মাছভর্তি বালতির পানিতে খাট থেকে গড়াতে গড়াতে এসে পড়ে যায় আমার ছেলে। আমরা পরে ঠিক পেয়ে প্রথমে গ্রাম্য ডাক্তারের কাছে নিলে তিনি দ্রুত হাসপাতালে নিতে পরামর্শ দেন। আমরা আমার ছেলেকে নিয়ে দ্রুত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ইয়াসিনকে মৃত ঘোষণা করেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. খালিদ হাসান বলেন, পরীক্ষা-নিরিক্ষার পর ইয়াসিনকে মৃত ঘোষণা করা হয়। হাসপাতালে আসার আগেই শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে সড়কের পাশে থেকে নবজাতক উদ্ধার
গাইবান্ধায় মায়ের বিরুদ্ধে নবজাতককে হত্যার অভিযোগ
নাটোরে সদর হাসপাতাল থেকে অভিনব কায়দায় নবজাতক চুরি
চুয়াডাঙ্গায় ট্রেনের ধাক্কায় ভ্যানচালকের মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গা সদরে ট্রেনের ধাক্কায় এক ভ্যানচালক মারা গেছেন। শনিবার (২২ জুলাই) রাত ৮টার দিকে উপজেলার মোমিনপুর ইউনিয়নের আমিরপুর গ্রাম সংলগ্ন রেলগেটের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ভ্যানচালক কাবরান আলী (৪০) আমিরপুর গ্রামের মৃত ওহিদ আলীর ছেলে। তিনি পেশায় ভ্যানচালক ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ট্রেনের ধাক্কায় শ্রমিক নিহত
মোমিনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, শনিবার রাতে বাড়ির সামনে রেললাইনের উপর কাবরান আলী বসে ছিলেন।
এ সময় রাজশাহীগামী সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস ট্রেন এসে তাকে ধাক্কা দিয়ে কিছু দূর নিয়ে যায়। এতে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তিনি।
চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদ রানা জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে পোড়াদহ রেলওয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হবে।
আরও পড়ুন: যশোরে ট্রেনের ধাক্কায় ব্যবসায়ী নিহত
পাবনায় ট্রেনের ধাক্কায় যুবক নিহত
শৈলকুপায় সেচ খাল থেকে কৃষকের লাশ উদ্ধার
ঝিনাইদহের শৈলকুপা থেকে এক কৃষকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২২ তজুলাই) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ভগবাননগর গ্রামের একটি সেচ খাল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত কৃষক ইদ্রিস আলী (৪২) ভগবাননগর গ্রামের সানারুদ্দিন মণ্ডলের ছেলে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় মাঠ থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
স্থানীয়রা জানান, ইদ্রিস আলী শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। রাতে তাকে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে গ্রামের চাষিরা সেচ খালে পাট জাগ দিতে গিয়ে তার লাশ দেখেন। এরপর তারা ইদ্রিসের পরিবারকে বিষয়টি জানান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, ইদ্রিস আলীর গলায় গামছা পেঁচানো ছিল। তার মৃত্যুর কারণ এখনও জানা যায়নি। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের পরই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: ববি ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
দিনাজপুরে ঢেপা নদী থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
সুন্দরবনে বন্ধ হচ্ছে না হরিণ শিকার
বন্যপ্রাণী শিকার আইন প্রণয়নের পরও বন্ধ হচ্ছে না সুন্দরবনের হরিণ শিকার। মাছ ধরার অনুমতি নিয়ে অনেক শিকারি হরিণ শিকার করছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
এতে একদিকে যেমন সুন্দরবনের প্রধান আকর্ষণ হরিণ অস্তিত্ব হারাচ্ছে, অন্যদিকে বাঘের প্রধান খাদ্য হরিণ হওয়ায় বনের ইকো সিস্টেম নষ্ট হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে হরিণের মাংস-গুলিসহ এক ‘শিকারি’ আটক
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুন্দরবনের হরিণসহ সব বন্য সম্পদ রক্ষায় আরও কঠোরভাবে নজরদারি বাড়াতে হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আবারও খুলনার কয়রা থেকে হরিণের ৫৩ কেজি মাংস উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৯ জুলাই) ভোরে উপজেলার ৪ নম্বর কয়রায় শাকবারিয়া খালের পাশে অভিজান চালিয়ে এ মাংস উদ্ধার করা হয়।
এ ছাড়া খালে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যায় পাচারকারী।
উপজেলা প্রশাসন থেকে পাওয়া তথ্য মতে, সুন্দরবনসংলগ্ন কয়রা উপজেলায় হরিণ শিকারিদের দৌরাত্ম্য সব চেয়ে বেশি।
গত ৩ মাসে এ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫৩২ কেজি হরিণের মাংস, একটি গলাকাটা হরিণ, ৫টি চামড়া ও মাথা জব্দ করে প্রশাসন।
এ সময় মামলা হয়েছে ১০টি, গ্রেপ্তার হয়েছেন ৬ জন। এ ছাড়া গত এক বছরে এর সংখ্যা ৫০ জনের বেশি।
সম্প্রতি ৩ মণ হরিণের মাংসসহ এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ অবস্থার মধ্যে গত ২৫ এপ্রিল কয়রা উপজেলা পরিষদের সম্মেলনকক্ষে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় নির্বিচারে হরিণ নিধনের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ পায়।
জানা যায়, বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ এই চিত্রা হরিণ। কিন্তু দিনের পর দিন প্রশাসনের রেড এলার্টসহ বিভিন্ন অভিযানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে হরিণ নিধন করে যাচ্ছে পাচারকারীরা।
আরও পড়ুন: ভোলায় ১৫ কেজি হরিণের মাংস জব্দ, গ্রেপ্তার ১
স্থানীয়রা বলছে, সুন্দরবনসংলগ্ন উপজেলা ও আশপাশের এলাকায় দাম কম হওয়ায় এই বন্যপ্রাণীর মাংসের চাহিদা বেড়েছে। এ কারণে হরিণ শিকার বন্ধ করা যাচ্ছে না। অনেকেই অগ্রিম ‘দাদন’নিয়ে জেলের ছদ্মবেশে মাছ ধরার অনুমতি নিয়ে বনে ঢুকে চোরা-শিকারিরা।
তাদের সঙ্গে যোগাযোগ থাকে ‘এজেন্ট ব্যবসায়ীদের’। এই এজেন্টদের মাধ্যমে কখনো অগ্রিম, আবার কখনো মাংস এনেও বিক্রি করা হয়।
এই চক্রের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানেও পৌঁছে যায় হরিণের মাংস।
সুন্দরবন একাডেমির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির বলেন, বন্যপ্রাণী শিকার নিষিদ্ধ হলেও আইন অমান্য করে হরিণ শিকার করছে একটি চক্র। এতে সুন্দরবনে দিন দিন কমে যাচ্ছে হরিণের সংখ্যা।
সম্প্রতি সময়ে হরিণ শিকার বেড়ে যাওয়া আমাদের জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। যেখানে বনদস্যু আটক হয়ে সুন্দরবন দস্যুমুক্ত হচ্ছে। সেখানে ফাঁদ পেতে হরিণ শিকার বেড়ে যাচ্ছে।
এর পেছনে বনবিভাগ ও আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর মধ্যে সমন্বয়হীনতা রয়েছে বলে মনে করছেন তিনি।
এ ছাড়া যে পরিমাণ হরিণের মাংস ও চামড়া জব্দ হয়, তার থেকে কয়েকগুণ বেশি হরিণ শিকার হয়।
অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির আরও বলেন মাঝেমধ্যে দুই-একটা অভিযানে হরিণের মাংস, চামড়া, মাথা জব্দ হলেও মূল চোরাশিকারি ও পাচারকারীরা থেকে যায় ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে মাংস বহনকারীরাই ধরা পড়ে। তারা দুর্বল আইনের কারণে কয়েক দিন পর জেল থেকে ফিরে একই কাজে লিপ্ত হন।
কয়রার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের বাসিন্দা সোলায়মান গাজী বলেন, সুন্দরবন প্রভাবিত কয়রার গ্রামগুলোতে বেশির ভাগই শ্রমজীবী মানুষের বসবাস।
এসব গ্রামের প্রতিটি পরিবারের কেউ না কেউ সুন্দরবনকেন্দ্রিক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এ উপজেলার ৩০টির বেশি চোরাশিকারি চক্র নির্বিচারে সুন্দরবনের হরিণ নিধন করছে।
কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মমিনুর রহমান বলেন, সুন্দরবনসংলগ্ন কয়রায় সুন্দরবনকেন্দ্রিক অপরাধ প্রবণতার চিত্র তাদের উদ্বিগ্ন করেছে।
তিনি আরও বলেন, বিশেষত হরিণ শিকারিদের দৌরাত্ম রুখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বন বিভাগকে নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে।
সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু নাসের মোহসিন হোসেন বলেন, অল্প জনবল দিয়ে এত বড় বনে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খেতে হয় বন বিভাগের।
তারপরও হরিণ শিকার আগের তুলনায় অনেকাংশে কমেছে। র্যাব, কোস্ট গার্ড, বিজিবি ও বন বিভাগের নিয়মিত টহলের কারণে এখন বনে হরিণ শিকারের সুযোগ কম।
আরও পড়ুন: খুলনায় ১২০ কেজি হরিণের মাংস জব্দ, আটক ১
মোহসিন বলেন, বনে জলদস্যুরাই বেশি হরিণ শিকার করে খেত। ২০১৮ সালে সুন্দরবন দস্যুমুক্ত হওয়ায় পর এবং গত কয়েক বছর রাসমেলা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বনে হরিণ শিকার কমেছে।
তা ছাড়া সাম্প্রতিক বন্যপ্রাণী রক্ষায় অপরাধে জড়িতদের তথ্য প্রদানকারীকে পুরস্কার দেয়ার ঘোষণার ফলে চোরা শিকারিদের ব্যাপারে সাধারণ মানুষ তথ্য দিতে উৎসাহিত হয়েছে।
এখন মাংসসহ হরিণ শিকারি বেশি ধরা পড়ছে।